Tag: India

India

  • Bharat: সপ্তপদী থেকে সপ্তসিন্ধু, ভারতীয় সভ্যতার প্রেক্ষাপটে ‘সাত’ সংখ্যার তাৎপর্য

    Bharat: সপ্তপদী থেকে সপ্তসিন্ধু, ভারতীয় সভ্যতার প্রেক্ষাপটে ‘সাত’ সংখ্যার তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যার জগৎ শুধু গণিতের অঙ্কেই সীমাবদ্ধ নয়। দর্শন, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা এবং সভ্যতার গভীরেও রয়েছে এর তাৎপর্য। ভারতীয় (Bharat) সভ্যতা, পৃথিবীর প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক, সেখানে প্রতিটি সংখ্যার এক একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘সাত’ (৭) সংখ্যা (Number seven) এক অনন্য স্থান অধিকার করেছে। সময়, স্থান, ধর্মীয় আচার, পুরাণকথা, সামাজিক রীতি কিংবা আধ্যাত্মিকতা—সবেতেই ‘সাত’ তার রহস্যময় গুরুত্ব নিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।

    সূর্য ও রথসপ্তমী: জীবনের শক্তি

    প্রতি বছরের মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথিতে পালিত হয় রথসপ্তমী বা সূর্য-সপ্তমী। সূর্যকে হিন্দু ধর্মের দেবতা মানা হয়। এই দিনে সূর্য পূজিত হন জীবনের ধারক শক্তি হিসেবে। পুরাণ মতে, সূর্যের রথ টেনে নিয়ে যায় সাতটি ঘোড়া, আর আধুনিক বিজ্ঞান বলছে সূর্যালোকে ভেঙে যায় সাতটি রঙে—লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, আকাশী ও বেগুনি। অতএব, সূর্য ও সাতের যোগসূত্র কেবল পুরাণেই নয়, বিজ্ঞানের ভিত্তিতেও প্রতিফলিত।

    সপ্তলোক: মহাবিশ্বের সাত স্তর

    হিন্দু (Bharat) দর্শনে মহাবিশ্বকে সাতটি জ্যোতির্ময় স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে,ভূলোক,ভুবর্লোক,স্বর্লোক,মহালোক,জনলোক,তপোলোক,সত্যলোক। এই সাতটি স্তর মানুষের চেতনাবিকাশের বিভিন্ন ধাপের প্রতীক। নিচের দিকে রয়েছে পাতাললোকসমূহও, যা জড়তা ও অন্ধকারকে নির্দেশ করে। ফলে ‘সাত’ সংখ্যা একদিকে ঊর্ধ্বগামী আধ্যাত্মিক যাত্রা আবার অন্যদিকে নিচের স্তরের অচেতন জগতেরও প্রতিচ্ছবি।

    সপ্তর্ষি: জ্ঞানের সাত দিশারী

    ঋষিদের মধ্যে সপ্তর্ষি—অত্রি, ভরদ্বাজ, গৌতম, জামদগ্নি, কশ্যপ, বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্র—ভারতীয় (Bharat) জ্ঞানের মূল স্তম্ভ। তাঁরা শুধু দর্শন ও বেদীয় জ্ঞানের ধারকই নন, বরং মানব সমাজকে শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার পথ দেখিয়েছেন। আকাশে ধ্রুবতারা ঘিরে যে নক্ষত্রমণ্ডলীকে আমরা ‘সপ্তর্ষিমণ্ডল’ বলি, সেটি আজও তাঁদের অমর অবদানের প্রতীক।

    সপ্তচিরঞ্জীবী: অমরত্বের প্রতীক

    ভারতীয় (Bharat) পুরাণে সাত চিরঞ্জীবীর কথা বলা হয়েছে। তাঁরা হলেন—অশ্বত্থামা, মহাবলী, ব্যাসদেব, হনুমান, বিভীষণ, কৃপাচার্য ও পরশুরাম। বিশ্বাস করা হয়, এঁরা যুগে যুগে বেঁচে থাকবেন এবং মানবজাতিকে পথ দেখাবেন। এটি ‘অমরত্ব’ ও ‘অবিনশ্বর শক্তির’ প্রতীক, যা সময়কে ছাপিয়ে চিরন্তন সত্যে প্রতিষ্ঠিত।

    সপ্তসিন্ধু: সভ্যতার প্রাণশক্তি

    ভারতীয় (Bharat) সভ্যতার গোড়াপত্তন নদীনির্ভর সমাজে। প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যে উল্লেখিত সপ্তসিন্ধু—গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু ও কাবেরী—ভারতীয় জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই নদীগুলো শুধু ভৌগোলিক নয়, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও জীবনদাত্রী।

    সপ্তদ্বীপ: পৃথিবীর ধারণা

    প্রাচীন ভারতীয় কল্পনায় পৃথিবী বিভক্ত সাত দ্বীপে—জম্বুদ্বীপ, প্লক্ষ, শাল্মল, কুশ, ক্রোঞ্চ, শক ও পুষ্কর। এগুলো আসলে পৃথিবী ও মহাবিশ্বকে বোঝার প্রচেষ্টা, যা ভৌগোলিক কল্পনার পাশাপাশি মহাজাগতিক দৃষ্টিও উপস্থাপন করে।

    সপ্তরঙ: রঙের রহস্য

    বৃষ্টির পরে আকাশে যে ইন্দ্রধনু দেখা যায়, সেটি সাতটি (Number seven) রঙে গঠিত। এই সাত রঙ সৃষ্টির বৈচিত্র্য, জীবনচক্রের বহুমাত্রিকতা ও প্রকৃতির সৌন্দর্যকে প্রতিফলিত করে।

    সপ্তদিবস: সময়ের ছন্দ

    মানবসভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সপ্তাহের ধারণা। সাত দিনকে কেন্দ্র করে সময়চক্র আবর্তিত হয়—রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি। এভাবে মানুষের কাজকর্ম, আচার, এমনকি জ্যোতিষ শাস্ত্রও সাত দিনের সঙ্গে সংযুক্ত।

    সপ্তপুরী: মুক্তির তীর্থ

    ভারতীয় ধর্মে সাতটি মোক্ষদায়িনী নগরী—অযোধ্যা, মথুরা, মায়া (হরিদ্বার), কাশী, কাঞ্চী, উজ্জয়িনী ও দ্বারকা। এগুলোকে বলা হয় সপ্তপুরী, যা মোক্ষ বা মুক্তি অর্জনের পবিত্র ক্ষেত্র।

    সপ্তপদী: বিবাহের বন্ধন

    ভারতীয় বিবাহ প্রথায় দম্পতি সাত পা (সপ্তপদী) এগিয়ে যান এবং প্রতিটি পদক্ষেপে এক একটি শপথ গ্রহণ করেন। এই সাত শপথেই বিবাহের পূর্ণতা আসে। অতএব, বিবাহ শুধু সামাজিক প্রতিষ্ঠান নয়, আধ্যাত্মিক ও নৈতিক চুক্তি হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত।

    সপ্ত মাতৃকা: দেবী শক্তির বহুরূপ

    তন্ত্র ও পুরাণে সাত মাতৃকা দেবী—ব্রাহ্মী, মহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বারাহী, ইন্দ্রাণী ও চামুণ্ডা—নারী শক্তির বিভিন্ন দিককে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁরা সৃষ্টির শক্তি, ধ্বংস ও পুনর্গঠনের ধারক।

    ভারতীয় সভ্যতায় ‘সাত’

    ভারতীয় সভ্যতায় ‘সাত’ সংখ্যা কেবল গণনার অঙ্ক নয়, বরং সময়, স্থান, আচার, আধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির বহুমাত্রিক প্রতীক।
    রথসপ্তমী থেকে শুরু করে সপ্তলোক, সপ্তর্ষি, সপ্তসিন্ধু, সপ্তপুরী কিংবা সপ্তপদী—সবক্ষেত্রেই ‘সাত’ জীবন, শক্তি, চিরন্তন সত্য, মুক্তি ও ঐক্যের প্রতীক হয়ে আছে। অতএব, ‘সাত’ ভারতের আধ্যাত্মিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত। যা যুগে যুগে সভ্যতাকে একত্রিত করেছে এবং আজও মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে রয়েছে।

  • Bangladesh: ছিলেন ব্যবসায়ী সেজে, ঢাকায় উদ্ধার মার্কিন সেনা আধিকারিকের দেহ, নজর রাখছে দিল্লি

    Bangladesh: ছিলেন ব্যবসায়ী সেজে, ঢাকায় উদ্ধার মার্কিন সেনা আধিকারিকের দেহ, নজর রাখছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকার (Bangladesh) একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক মার্কিন সেনা আধিকারিকের মৃতদেহ। এই ঘটনায় উপমহাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভারত-মার্কিন শুল্ক সংঘাত, ভারত-চীন-রাশিয়ার কাছাকাছি আসার আবহে মার্কিন সেনা আধিকারিকের দেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ৩১ অগাস্ট উদ্ধার হয় ওই আধিকারিকের দেহ

    জানা গেছে, গত ৩১ অগাস্ট ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ওই মার্কিন সেনা আধিকারিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভারত আরও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।

    মার্কিন সেনা আধিকারিকের নাম টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন

    আরও বিস্ময়কর তথ্য হল, ওই মার্কিন সেনা আধিকারিক টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন বিগত তিন মাস ধরে বাংলাদেশে (Bangladesh) অবস্থান করছিলেন এবং তিনি ব্যবসায়ী পরিচয়ে সেখানে ছিলেন। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যাকসন আদতে কোনও ব্যবসায়ী বা পর্যটক ছিলেন না; তিনি ছিলেন আমেরিকার স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ডের কমান্ড ইন্সপেক্টর জেনারেল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই স্পেশাল ফোর্সেস কমান্ড হল মার্কিন সেনাবাহিনীর (US Special Forces Officer) বিশেষ অপারেশন ইউনিট, যারা সেনাদের সংঘটিত করা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

    বাংলাদেশের পুলিশ কোনও ময়নাতদন্ত করেনি

    চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও সামনে এসেছে যে, জ্যাকসনের মৃতদেহ উদ্ধারের পরে বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশ কোনও ময়নাতদন্ত করেনি। বরং দেহটি সরাসরি ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আমেরিকা এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবুও বাংলাদেশে ওই সেনা আধিকারিকের (US Special Forces Officer) উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন জোরদার হচ্ছে।

    ছিলেন ব্যবসায়ী সেজে

    বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার নিশ্চিত করেছে যে জ্যাকসন ব্যবসায়িক সফরের নাম করে কয়েক মাস ধরে দেশে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু একজন কর্মরত মার্কিন সেনা বিদেশে এতদিন ধরে কীভাবে ব্যবসায়িক কাজে থাকতে পারেন—সেই প্রশ্নও উঠছে। অন্যদিকে, জ্যাকসনের সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে বাংলাদেশের প্রশাসন জানতে পেরেছে যে, আগামী দু’ বছরের মধ্যে সেনাবাহিনী ছাড়ার কোনও পরিকল্পনাই তাঁর ছিল না। ফলে এই মৃত্যু ও তার পেছনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে।

  • China: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! পাকিস্তানের বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াল চিন

    China: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! পাকিস্তানের বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি-ম্যাজিকেই বাজিমাত! এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে (China) গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও। পড়শি দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরপরই ‘দুঃসংবাদ’ পেল পাকিস্তান। তারা জানল, পাকিস্তানের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের দেশ। চিনের এই সিদ্ধান্তের জেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় ইসলামাবাদের।

    এমএল-১ প্রজেক্ট (China)

    প্রায় এক দশক ধরে টাকার অভাবে আটকে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি থেকে পেশোয়ার যাওয়ার রেল উন্নয়নের কাজ। নাম এমএল-১ প্রজেক্ট। বর্তমানে এই পথে একটি রেলরুট রয়েছে। তবে বাণিজ্যিক পণ্য সরবরাহের মতো কাজে তা ব্যবহারের অযোগ্য। তাই খাইবার পাখতুন প্রদেশ হয়ে যাওয়া ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার পথের উন্নয়নের জন্য চিনের কাছ থেকে ঋণ চেয়েছিল শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে রেল নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে অর্থায়ন করার প্রকল্প এমএল-১ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে এসেছে চিন। বস্তুত, দুই বন্ধুর স্বপ্নের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপেক) প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কথা ছিল এই রেল নেটওয়ার্ক প্রকল্পটি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনাও হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    বিশ বাঁও জলে পাকিস্তান

    প্রত্যাশিতভাবেই চিন হাত তুলে নেওয়ায় আপাতত বিশ বাঁও জলে পাকিস্তানের এই প্রকল্পের কাজ। এমএল-১ প্রকল্প থেকে চিন সরে যাওয়ার পর এখন ওই প্রকল্পে টাকা ঢালার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। এমএল-১ প্রকল্পের করাচি-রোহরি রেল যোগাযোগ উন্নত করতে এডিবির কাছ থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান। এমএল-১ প্রকল্পে এডিবির হস্তক্ষেপ করার অর্থ পাকিস্তান প্রথমবারের জন্য একটি বহুপাক্ষিক ঋণদাতাকে এমন একটি প্রকল্পে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে, যা এক সময় চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মূল প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হত।

    পাকিস্তানের পরিকাঠামো পরিকল্পনায় বড় ধাক্কা

    কিছু দিন আগেই চিনের হাইপ্রোফাইল সামরিক প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং আর্মি চিফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তাঁরা সাক্ষাৎ করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও। তাঁরাই এখন বুঝতে পেরেছেন, এমএল-১ রেলওয়ে প্রকল্পের ২ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের তহবিল দেবে না। জিনপিং সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের পরিকাঠামো পরিকল্পনার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইসলামাবাদকে জরুরি ভিত্তিতে এডিবির কাছ থেকে অর্থ জোগাড়ে বাধ্য করছে, যাতে সিপেক করিডরের দ্বিতীয় পর্যায়টা অন্তত রক্ষা করা যায় (Pakistan)। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে চিন। সেই প্রকল্পগুলির আর্থিক কার্যকারিতা নিয়ে বেজিংয়ের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান আর্থিক সংকট এবং ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের অনীহা দেখেও এমএল-১ প্রকল্পে এখন আর টাকা ঢালতে চাইছে না চিনা সরকার।

    অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা ভারতের

    প্রথম থেকেই এই অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করেছে ভারত। কারণ সিপেকের একটা অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অংশটি ভারতের বলেই দাবি করে আসছে নয়াদিল্লি। তাই চিনের এই প্রকল্প ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলেই মনে করে বিদেশমন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সিপেক থেকে এখনও পুরোপুরি সরে দাঁড়ায়নি বেজিং। তবে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত বদলালেও বদলাতে পারে (Pakistan)। আপাতত এই প্রকল্পের অংশ এমএল-১ রেল উন্নয়ন প্রকল্পে যে তারা টাকা ঢালতে নারাজ সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে চিন (China)। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দেশের বাইরে বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে চিন। কারণ কিছু ক্ষেত্রে চিন নিজেই মুখোমুখি হয়েছে অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার। পকেট বাঁচাতে তাই আপাতত প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে থাকা বিদেশি প্রকল্পগুলির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে চিন। শোনা যাচ্ছে, ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না, এমন দেশগুলিতে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি থেকেও সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিনপিংয়ের সরকার। আর সে ক্ষেত্রে ভিখিরি পাকিস্তানকে যে সাহায্য না করার তালিকায় চিন প্রথমে রাখবে, তা বলাই বাহুল্য (China)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সম্প্রতি চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মোদি-সহ বিশ্বের বিভিন্ন নেতা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সেখানে (Pakistan) খানিকটা উপেক্ষিতই হন পাক প্রধানমন্ত্রী। এহেন আবহে চিনের এমএল-১ প্রকল্প থেকে চিনের সরে আসার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে (China)।

  • PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের এই চড়া শুল্কনীতির জেরে এক অক্ষে চলে আসে ভারত-রাশিয়া ও চিন। এতেই প্রমাদ গোনে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই তিনি বলেন, “আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু। নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষই থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতিকে অনুভব করেন।

    মোদির ট্যুইট বার্তা (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন ট্রাম্প বলেন, তিনি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকবেন। অথচ এর ঠিক একদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকা ভারতকে সব চেয়ে গভীর, অন্ধকার চিনের হাতে হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যুত্তরে ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নের গভীর প্রশংসা করি এবং সম্পূর্ণভাবে অনুভব করি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী সামগ্রিক ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তবে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে তিনি ট্রাম্পের অনুভূতির “প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন”, তখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করতে এড়িয়ে গিয়েছেন। যার অর্থ হল, এই সম্পর্কের উত্তাপ শিথিল করতে হলে পেছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে।

    ইতিবাচক বাক্য বিনিময়

    দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক (PM Modi) এই বাক্য বিনিময় এই ধারণাকে জোরালো করে যে, ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকদের ভারতবিরোধী উত্তেজক মন্তব্যের ঝড় সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার দরজা এখনও খোলা রয়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা একাধিকবার ভারত বিরোধী মন্তব্য (Donald Trump) করলেও, ভারত সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি, করেনি কোনও পদক্ষেপও। ট্রাম্পের সমালোচনাও করেনি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকার জন্য খোলার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় আটকে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পর্কের শীতলতা। শুক্রবারও ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে জানান, যখন তিনি চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিয়ানজিনে হাসিমুখে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ছবি প্রদর্শন করার পর আরও বিব্রত বোধ করেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    এর পরেই মোদি, পুতিন ও শি জিনপিংকে এক (PM Modi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি সবচেয়ে গাঢ়, অন্ধকার চিনের কাছে। তারা যেন এক সঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ কাটায়!’ এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি জানান, সম্পর্কটি এখনও ‘বিশেষ’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী বন্ধন বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি সর্বদা (প্রধানমন্ত্রী) মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সর্বদা বন্ধু থাকব। তবে আমি ঠিক এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের মতবিরোধ হয় (PM Modi)।”

    ট্রাম্পের ভোল বদল

    সম্প্রতি ট্রাম্প ও তাঁর সহকারীরা ভারতের ব্যাপারে আরও সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। অথচ গোটা সপ্তাহটা ধরে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতকে “ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট”ও বলা হয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে বলা হয়েছিল “মোদি যুদ্ধ”। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও তিনি এই সম্পর্ককে “একতরফা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য অসমতার কারণে। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও (Donald Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের শক্তি এবং স্থায়ীত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দিনের শেষে, দু’টি মহান দেশ এটি সমাধান করবে (PM Modi)।”

  • Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘সবসময় মোদির বন্ধু’! চিনের কাছে ভারত, রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম বলার পর ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডিগবাজি ট্রাম্পের। ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এইভাবেই তিনি ভারত ও রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই শুল্কনীতির জবাবে ভারত, চিন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর ট্রাম্প জানালেন, তিনি সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু। একইসঙ্গে শুক্রবারে তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, “চিনের কাছে হয়ত ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়ে ফেললাম।”

    কী লিখলেন, কী বললেন ট্রাম্প (Donald Trump)?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ পোস্ট করে ট্রাম্প লেখেন, “দেখে মনে হচ্ছে ভারত ও রাশিয়াকে চিনের কাছে হারিয়ে ফেললাম। তাদের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পরে, হোয়াইট হাউসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নিজের আগের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নয়াদিল্লিকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না আমরা ভারতকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুব আশাহত যে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এত তেল কিনছে। আমি সে কথা জানিয়েছি। আমরা ভারতের উপরে চড়া শুল্ক বসিয়েছি, ৫০ শতাংশ শুল্ক। আপনারা জানেন, মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। কয়েক মাস আগে তিনি এখানে এসেছিলেন। আমরা রোজ গার্ডেনে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলাম।” ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সবসময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত (India) ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।”

    ভারত-চিন-রাশিয়ার জোট

    আমেরিকা যখন ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সামিটে অংশ নিতে চিনের তিয়ানজিনে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Donald Trump) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাঁরা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাৎ ও আলোচনা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারত, চিন ও রাশিয়া একত্রে একটি ত্রি-শক্তির মঞ্চ তৈরি করছে, যার ফলে আমেরিকা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কিছুটা একঘরে হয়ে পড়ছে।

  • Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    Sin Tax: দেশজুড়ে চর্চা, এই পণ্যগুলি কিনলে বইতে হবে বাড়তি ‘পাপের বোঝা’! কী এই ‘সিন ট্যাক্স’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৭ সালে চালু হয় পণ্য ও পরিষেবা কর, যাকে বলা হয় জিএসটি। ৮ বছর পর বুধবার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটি কাউন্সিল করের স্ল্যাব পুনর্বিন্যাস করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নতুন জিএসটি হার ঘোষণা করেছেন। নতুন জিএসটি কর হারের ঘোষণা হওয়া ইস্তক দেশে একজোড়া শব্দবন্ধ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। তা হচ্ছে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax)।

    জিএসটি কাউন্সিলের ঘোষণা অনুযায়ী, এ বার থেকে দু’টি হারে জিএসটি কার্যকর হবে— ৫ এবং ১৮ শতাংশ। ১২ এবং ২৮ শতাংশের যে জিএসটি স্তর ছিল, তা তুলে দেওয়া হল। এছাড়া, কিছু পণ্যকে রাখা হয়েছে ৪০ শতাংশ হারের বিশেষ তালিকায়। এই বিশেষ কর হারের তালিকাকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি ট্যাক্স’ (Sin Tax) আর সেই তালিকায় থাকা পণ্যগুলিকে বলা হচ্ছে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’।

    ‘সিন ট্যাক্স’-এর বাংলা অর্থ করলে বোঝায় ‘পাপের কর’। অর্থাৎ, অর্থনৈতিক ও নীতিগতভাবে এই শব্দটি একটি নির্দিষ্ট গুরুত্ব বহন করে। কারণ, মনে করা হয়, ব্যক্তি বা সমাজের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে—এমন জিনিসগুলিকে এই করের আওতায় আনা হয়। অর্থাৎ, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায়। সাম্প্রতিক সময়ে জিএসটি কাউন্সিলের সভায় এই ‘সিন ট্যাক্স’-এর প্রাসঙ্গিকতা ফের একবার উঠে এসেছে, বিশেষত এই করের মাধ্যমে রাজস্ব তৈরি এবং এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি কীভাবে যেকোনও মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতবর্ষের (India) ক্ষেত্রে ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) কিভাবে কাজ করে, তা বোঝা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপিত করা হচ্ছে এমন কতগুলি পণ্য

    শুরুর কথাতেই যেমন বলা হয়েছে, নাগরিকদের স্বাস্থ্য, সমাজ বা পরিবেশের উপর ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয় এমন পণ্য ও পরিষেবার উপর আরোপিত একটি করকেই ‘সিন ট্যাক্স’ (Sin Tax) বলা হয়। এগুলি সাধারণভাবে বেশিরভাগটাই অপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা সামাজিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সমাজের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এবার কয়েকটি উদাহরণ সহ বোঝা যাক—যেমন, ‘সিন ট্যাক্স’-এর আওতায় পড়ছে তামাক, সিগারেট, মদ্যপান, পান মসলা, জুয়া, যেকোনও ধরনের বাজি। এর পেছনে উদ্দেশ্য হল—এই করের আওতায় থাকা জিনিসগুলি যাতে মানুষ কম ব্যবহার করেন এবং সেগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যায়, সেইজন্যই সরকার এগুলির ওপর বেশি কর আরোপ করছে, জিএসটি বেশি নিচ্ছে।

    বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে

    দেশে বর্তমানে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের উপরে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি রয়েছে। ভারতে সিগারেটের উপরে মোট ৫২ শতাংশ কর চালু রয়েছে। বিড়ির উপরে ২২ শতাংশ কর বর্তমানে চালু রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভারত। সেই অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্যে ৭৫ শতাংশ কর আরোপ করতে পারে ভারত সরকার। ৪০ শতাংশ জিএসটি হওয়ায় এই করের হার ৬৪ শতাংশ হবে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট—দাম যত বাড়বে, তত মানুষ এগুলি কিনতে চাইবেন না। বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মতো দেশে জনস্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ আজ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই চ্যালেঞ্জের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে—তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল সেবন এবং জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সমাজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে কী বলা হল?

    একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে—তামাক ব্যবহারের ফলে ভারতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এও জানিয়েছে যে, প্রতিবছর শুধুমাত্র তামাক ব্যবহারের কারণেই ভারতে প্রায় ১৩.৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতের নাগরিকরাই সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহার করেন। তামাক উৎপাদনকারী দেশ হিসেবেও ভারত সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

    ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক সেবন করে

    ২০১৬-১৭ সালের ‘গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ইন্ডিয়া’-র তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ২৬ কোটি মানুষ তামাক (Sin Tax) ব্যবহার করেন। ভারতে তামাক ব্যবহারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল ‘ধোঁয়াবিহীন তামাক’। এর মধ্যে পড়ে—খৈনি, গুটখা, পান তামাক, জর্দা ইত্যাদি। আর ধোঁয়াযুক্ত তামাকের মধ্যে পড়ে—বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি। এই ধরনের ‘সিন ট্যাক্স’ আরোপ করে মোদি সরকার অতিরিক্ত তামাক সেবনকে রুখতে চাইছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত রাজস্ব সুরক্ষিত করতে চাইছে।

    এক নজরে ‘সিন অ্যান্ড লাক্সারি গুডস’-এর তালিকা

    ১) তামাকজাত পণ্য, ২) গুটখা, ৩) পানমশলা, ৪) জর্দা, ৫) অন্যান্য তামাকজাত পণ্য, ৬) সিগারেট, ৭) সিগার/চুরুট, ৮) মিষ্টি যুক্ত ঠান্ডা পানীয়, ৯) কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১০) ক্যাফিন যুক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস, ১১) লাক্সারি গাড়ি, ১২) ১২০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির পেট্রল গাড়ি, ১৩) ১৫০০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটির ডিজেল গাড়ি, ১৪) ৩৫০ সিসির উপরে মোটরবাইক, ১৫) ইয়ট, ১৬) হেলিকপ্টার, প্রাইভেট এয়ারক্রাফট, ১৭) কয়লা, লিগনাইট, পিট, ১৮) অনলাইন গ্যাম্বলিং ও গেমিং সার্ভিস

  • Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    Putin: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না”, ট্রাম্পকে সতর্ক করলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” ওয়াশিংটনকে ঠিক এই ভাষায়ই সতর্ক করে দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। শুধু তাই নয়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার (Trumps Tariff Pressure) মাধ্যমে ভারত ও চিনকে জোর করে চাপে ফেলার চেষ্টা  না করার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিন্ডেন্টকে।

    বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা! (Putin)

    চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন অর্থনৈতিক চাপকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।” ভারত ও চিনকে অংশীদার আখ্যা দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ছিল এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা।” তিনি বলেন, “আপনারা ভারতের মতো দেশ পেয়েছেন যেখানে দেড় বিলিয়ন মানুষ, চিন, যাদের শক্তিশালী অর্থনীতি আছে, তবে তাদেরও নিজেদের ঘরোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন রয়েছে। যখন কেউ আপনাকে বলে যে তারা আপনাকে শাস্তি দেবে, তখন ভাবতে হবে — এত বড় দেশের নেতৃত্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?”

    কী বললেন পুতিন?

    পুতিন (Putin) বলেন, “ইতিহাস এই দুই দেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের ইতিহাসেও কঠিন সময় ছিল, যেমন ঔপনিবেশিক শাসন, দীর্ঘ সময় ধরে সার্বভৌমত্বের ওপর চাপ। যদি তাদের মধ্যে কেউ দুর্বলতা দেখায়, তবে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাবে। তাই এই বিষয়গুলি তার আচরণকে প্রভাবিত করে।” এর পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটনের কথাবার্তা এখনও পুরোনো মানসিকতার প্রতিধ্বনি। ঔপনিবেশিকতার যুগ এখন শেষ। তাদের বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথোপকথনে এই ধরনের শব্দ তারা ব্যবহার করতে পারে না।” তিনি বলেন, “অবশেষে সব কিছু মিটে যাবে। প্রতিটি বিষয় তার নিজের জায়গায় বসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা দেখতে পাব (Trumps Tariff Pressure)।”

    প্রসঙ্গত, পুতিনের (Putin) এই মন্তব্য করেছেন এমন একটা সময়ে যখন ভারত রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে মার্কিন জরিমানার মুখে পড়ছে। আর চিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।

     

  • India: অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত, বলছে সমীক্ষা

    India: অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে ভারতের উৎপাদন খাত। এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স’ ইনডেক্স (PMI) গত জুলাইয়ের ৫৯.১ থেকে বেড়ে অগাস্টে দাঁড়িয়েছে (India) ৫৯.৩-তে। সোমবার এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্রকাশিত রিপোর্ট থেকেই এ খবর মিলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি গত সাড়ে ১৭ বছরে কার্যকলাপের অবস্থার সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি। এই প্রবৃদ্ধির হার রেকর্ড-ব্রেকিং। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই গতি মূলত শক্তিশালী হয়েছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং প্রস্তুতকারীদের সফল বিজ্ঞাপন প্রচেষ্টার কারণে। এইচএসবিসির প্রধান  অর্থনীতিবিদ (ভারত) প্রাঞ্জুল ভান্ডারী বলেন, “অগাস্টে ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই আবারও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা মূলত উৎপাদনের দ্রুত সম্প্রসারণ দ্বারা চালিত হয়।”

    নয়া চাকরির সৃষ্টি (India)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মধ্যবর্তী পণ্যের খাতই প্রবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, যা পুঁজি পণ্য ও ভোক্তা পণ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিভিন্ন খাতের উৎপাদকরা শক্তিশালী বিক্রি ও উৎপাদন কর্মদক্ষতার কথা জানিয়েছেন, যা সম্ভব হয়েছে দেশীয় অর্ডারের ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের প্রবৃদ্ধির কৃতিত্ব দিয়েছেন কার্যকর বিজ্ঞাপনী প্রচার এবং শক্তিশালী গ্রাহক মনোভাবকে। এই দেশীয় চাহিদা আন্তর্জাতিক অর্ডারের তুলনামূলক ধীর প্রবৃদ্ধির বিপরীতে কেবলমাত্র সামান্য বৃদ্ধিকে সমন্বয় করেছে। প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, এই প্রবৃদ্ধি ইঙ্গিত দিচ্ছে নয়া চাকরির সৃষ্টি ও মজুদ বৃদ্ধি আত্মবিশ্বাসের। ইতিবাচক লক্ষণ হিসেবে এই সব উৎপাদন খাত টানা আঠারো মাস ধরে নয়া চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কোম্পানিগুলি কাঁচামালের মজুদ বৃদ্ধি করেছে এবং তৈরি হয়ে যাওয়া পণ্যের মজুদেও বৃদ্ধি দেখেছে, যা গত ন’মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো মজুদের ঊর্ধ্বগতি নির্দেশ করছে (PMI)।

    বেড়েছে কাঁচামাল কেনাও

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিরোনাম (India) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী গতি মূলত উৎপাদন ভলিউম বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হওয়ার প্রতিফলন, যা প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণ। এই আশা কেবল উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। ব্যবসাগুলি ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশায় কাঁচামাল কেনাও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার জেরে আগামী এক বছরেও বর্তমান ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে বলে আত্মবিশ্বাসী ব্যবসায়ীরা। জুলাই মাসে তিন বছরের নিম্নতম স্তরে পৌঁছনোর পর প্রস্তুতকারীদের ইতিবাচক মনোভাব ফের বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক অর্ডারে সামান্য বৃদ্ধি হলেও, আসল প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি এসেছে দেশীয় ক্রেতাদের কাছ থেকে। কার্যকর বিপণন এবং উন্নত অর্থনৈতিক ভিত্তির সহায়তায় প্রস্তুতকারীরা বড় ধরনের দেশীয় চাহিদাকেই মূল অনুঘটক হিসেবে কৃতিত্ব দিচ্ছেন (India)।

    পিএমআই কী?

    প্রশ্ন হল, পিএমআই কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? পিএমআই বা পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স মূলত উৎপাদন খাতের মাসিক একটি রিপোর্ট কার্ডের মতো। এটি একটি প্রধান সূচক। এ থেকে অতীতের পারফরম্যান্স জানা যায় না ঠিকই, তবে ভবিষ্যতের প্রবণতার একটা ধারণা মেলে বই কি! কীভাবে কাজ করে পিএমআই (PMI)? জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে ভারতের প্রায় ৪০০টি উৎপাদনকারী কোম্পানির ওপর সমীক্ষা করা হয়। উত্তর দেন পারচেজিং ম্যানেজাররা। এঁরাই কাঁচামাল অর্ডার ও সরবরাহের দিকটা দেখেন। তাঁরাই জানান, তাঁদের ব্যবসায়িক কাজকর্ম গত মাসের তুলনায় ভালো, নাকি খারাপ, অথবা একই রয়ে গিয়েছে। এই পারচেজিং ম্যানেজারদের দেওয়া উত্তরগুলিকে পাঁচটি প্রধান উপাদানের ভিত্তিতে একটি একক স্কোরে রূপান্তরিত করা হয়।

    পাঁচটি উপাদানের একক স্কোর

    এই পাঁচটি উপাদানের একক স্কোর হল, নয়া অর্ডার ৩০ শতাংশ, উৎপাদন ২৫ শতাংশ, কর্মসংস্থান ২০ শতাংশ, সরবরাহকারীর ডেলিভারির সময় ১৫ শতাংশ এবং কেনাকাটার মজুদ ১০ শতাংশ (India)। এবার সব মিলিয়ে মোট স্কোর যদি ৫০-এর ওপরে হয় তবে তা ধরা হয় সম্প্রসারণ হিসেবে অর্থাৎ কারখানার উৎপাদন ভালোই হচ্ছে। আর এর নীচে হলে ধরা হয় সংকোচন, অর্থাৎ কারখানায় উৎপাদনের গতি অত্যন্ত ধীর। এই সব কারণেই লগ্নিকারী, নীতিনির্ধারক এবং ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন পিএমআই। তাই যে কোনও দেশের অর্থনীতির জন্য পিএমআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিএমআই ৫৯.৩ স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের উৎপাদন খাতের ভিত মজবুত। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন, উচ্চ শুল্ক এবং রফতানি অর্ডারের দুর্বলতা সত্ত্বেও, দেশীয় চাহিদা এক শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করছে (PMI)। উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই স্থিতিশীলতা শুধু কারখানার জন্য ভালো নয়, এটি লজিস্টিকস, বাণিজ্য এবং সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি আনে, যার ব্যাপক প্রভাব পড়ে সমগ্র অর্থনীতিতে (India)।

  • US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    US: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী,” মোদি-শি-পুতিনের মেরুকরণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী। একবিংশ শতাব্দীতে এই সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।” সোমবার নয়াদিল্লিকে এই মর্মে বার্তা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন (US)। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (PM Modi) এই বার্তা পাঠানোর সময়টা খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ। রবিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেলা ১২টা নাগাদ বৈঠক করেন মোদি।

    আমেরিকার বিদেশসচিবের বার্তা (US)

    এর কিছুক্ষণ আগেই ভারতের মার্কিন দূতাবাসে পোস্ট করা হয় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বার্তা। তিনি বলেন, “আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্বই আমাদের সহযোগিতার ভিত্তি এবং এটি আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, যখন আমরা আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিশাল সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করি।” মার্কিন দূতাবাসের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়েছে, “এই মাসে আমরা আলোকপাত করছি সেই মানুষদের ওপর, অগ্রগতির ওপর এবং সম্ভাবনার ওপর, যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাবন ও উদ্যোগ থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যন্ত – এই যাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে আমাদের দুই দেশের স্থায়ী বন্ধুত্ব।”

    মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US)। শাস্তিস্বরূপ, তিনি দুদফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। সঙ্গে করেছেন জরিমানাও। তবে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। সেই জন্য একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের তরফে। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। ইতিমধ্যেই এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি পার্শ্ব বৈঠক করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। পার্শ্ববৈঠক হয় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও। একটি গাড়িতে করে মোদি-পুতিন পৌঁছন সম্মেলনস্থলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-চিন-রাশিয়া এই তিন (PM Modi) শক্তিধর দেশ এক মেরুতে চলে আসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেই চলে আসে মার্কিন ‘বন্ধুত্বে’র বার্তা (US)।

  • India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    India Blocks Azerbaijans Bid: এসসিওতে আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টায় ভেটো দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে, এসসিওতে (SCO) আজারবাইজানের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের চেষ্টা (India Blocks Azerbaijans Bid) রুখে দিল ভারত। রবিবার কূটনৈতিক সূত্রেই এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে বাকু(আজারবাইজানের রাজধানী)-র ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্কই এই বিরোধিতার প্রধান কারণ। এই দুই দেশই কাশ্মীর-সহ নানা বিষয়ে বারবার অবস্থান নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।

    ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা (India Blocks Azerbaijans Bid)

    বর্তমানে আজারবাইজান এসসিও জোটে ডায়লগ পার্টনারের মর্যাদা ভোগ করছে। তবে পূর্ণ সদস্যপদে উন্নীত হওয়ার চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি সময়ে এসসিওর এক বৈঠকে আজারবাইজান ফের এই চেষ্টা করলে আপত্তি জানায় ভারত। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যেখানে ইতিমধ্যেই সদস্য, সেখানে আজারবাইজানকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভারত রাজি নয়। কারণ এতে সংগঠনটির ভারসাম্য ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানকে আজারবাইজানের সমর্থন এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)- প্রকল্পে তার সম্পৃক্ততাও ভারতের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে। যেহেতু ঐকমত্য প্রয়োজন, তাই ভারতের ভেটোয় আপাতত বাকুর এই আশা পূরণ হল না (India Blocks Azerbaijans Bid)।

    হিন্দু পর্যটকদের হত্যা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর ঠিক পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালায় ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। পরে পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ভারত। এই সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। সরবরাহ করেছিল সামরিক সরঞ্জামও। ওই সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন করে আজারবাইজান। আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী জেইহুন বায়রামভের সঙ্গে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দারের ফোনে কথাবার্তা হয়েছে। ওই সময়ই পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানান আজারবাইজানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে আন্তরিক (SCO) সমবেদনা জানান পাকিস্তানের জনগণের প্রতি। উল্লেখ্য, ভারতের দাবি, অপারেশন সিঁদুরে খতম করা হয়েছে কেবলই জঙ্গিদের (India Blocks Azerbaijans Bid)।

LinkedIn
Share