Tag: India

India

  • PM Modi: বার দশেক ফোন করেও যেদিন দ্রৌপদীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর…

    PM Modi: বার দশেক ফোন করেও যেদিন দ্রৌপদীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি প্রধানমন্ত্রীর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে এনডিএ (NDA)-র বাজি হতে চলেছেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) এ খবর প্রথম দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। বার দশেক চেষ্টা করেও ফোনে পাননি তিনি। পরে অবশ্য সে খবর দেন দ্রৌপদীকে। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার আগাম শুভেচ্ছাও জানান তিনি। সরকারি সূত্রেই এখবর মিলেছে।

    সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতি। দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতিও তিনিই। এদিন তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। সংসদের সেন্ট্রাল হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দ্রৌপদীর রাইসিনা হিলসের যাত্রাপথ মোটেই সুগম ছিল না। যে মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে তাঁর নামে সিলমোহর পড়ে, তখনই তাঁকে সেই সুখবর জানাতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্রৌপদীকে সুখবর পৌঁছতে এবং আগাম শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সেদিন বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মোদিকে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    সরকারি সূত্রে খবর, সেদিন মোদি বার দশেক দ্রৌপদীকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেন। যদিও লাইন পাওয়া যায়নি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্বল নেটওয়ার্কের কথা সরকারি কর্তাদের অজানা নয়। তাও চেষ্টা করে যান তাঁরা। অন্য কোনও উপায় না দেখে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা খুঁজে বের করেন দ্রৌপদীর গ্রাম রায়রঙ্গপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতা ও দ্রৌপদীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বিকাশচন্দ্র মাহাতর ফোন নম্বর। যখন তাঁর কাছে পিএমওর ফোন যায়, তখন তিনি তাঁর নিজের দোকানে কাজ করছিলেন। ফোনের ওপার থেকে আর্জি জানানো হয়, ম্যাডাম মুর্মুর সঙ্গে তাড়াতাড়ি কথা বলান, প্রধানমন্ত্রীজি কথা বলতে চান। এর পরেই পড়ি-কি-মরি করে সাইকেল চালিয়ে দ্রৌপদীর বাড়ির দিকে রওনা দেন বিকাশ। পথে দুবার তাঁর ফোনের সংযোগ কেটে যায়। শেষমেশ দ্রৌপদীর বাড়িতে পৌঁছান বিকাশ। পিএমও থেকে ফের ফোন যায় বিকাশের কাছে। নিজের ফোন দ্রৌপদীর হাতে তুলে দিয়ে সরে যান বিকাশ। প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানান দ্রৌপদীকে।

    আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

  • Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাতসকালে ইডির (ED) হানা শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) ঘনিষ্ট সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) বাড়িতে। জমি-দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডিকে, বলছেন বিরোধীরা।

    বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হন সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ প্রবীণ রাউত। তখন থেকেই ইডির আতস কাচের তলায় ছিলেন সঞ্জয়। ইডি সূত্রে খবর, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও, একবারই হাজিরা দিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর স্ত্রী বর্ষাকেও একপ্রস্ত জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সেই সময় আলিবাগের ৮টি জমি ও দাদরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    জানা গিয়েছে, পয়লা জুলাই ওই মামলায় জেরা করার জন্য সঞ্জয়কে তলব করে ইডি। সেদিন ঘণ্টা দশেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। পরে ২০ জুলাই ও ২৭ জুলাই তাঁকে ফের তলব করে ইডি। এই দুবারই হাজিরা দেননি সঞ্জয়। আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন চলায় এই মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। হাজিরা দিতে পারবেন ৭ আগস্টের পর। এর পরেই এদিন সাতসকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।

    বাড়িতে ইডির অভিযান প্রসঙ্গে ট্যুইটবার্তায় সঞ্জয় বলেন, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমি শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে এ কথা বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়াই করতে শিখিয়েছেন। আমি শিবসেনার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। আমি শিবসেনা ছাড়ব না। যদি মরেও যাই, তবুও আত্মসমর্পণ করব না। জয় মহারাষ্ট্র। বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের প্রশ্ন, যদি উনি(সঞ্জয় রাউত) নির্দোষ হল, তবে ইডিকে ভয় পাচ্ছেন কেন? ওনার কাছে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রয়েছে, অথচ তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দেওয়ার সময় নেই?

    আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

  • MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    MH-60R Helicopter: শক্তি বাড়াল নৌসেনা! মার্কিন দেশ থেকে ভারতে এল দুটি এম এইচ -60R চপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হল ভারতীয় নৌসেনা (Navy)। এবার সমুদ্রে চিন ও পাকিস্তানকে (China and Pakistan) টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেল নৌসেনা। প্রতিরক্ষা ক্ষত্রে আরও একধাপ এগিয়ে  সাবমেরিন ধ্বংসকারী MH-60R হেলিকপ্টার এসে গেল ভারতে। দুটি এমএইচ ৬০ আর মাল্টি রোল হেলিকপ্টার বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) থেকে ভারতে এল। ভারতের নৌসেনায় যে ২৪ টি হেলিকপ্টার সংযোজনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এই হেলিকপ্টারগুলি তার মধ্যে অন্যতম। এই চপারগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সি সেভেন্টিন হেভিলিফ্ট এয়ারক্রাফ্ট থেকে উড়ে এসেছে।

    আরও পড়ুন: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিক্রান্ত হাতে পেল নৌসেনা! জানুন কবে থেকে কাজ করবে এই রণতরী

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে ২৪ টি লকহিড মার্টিন (Lockheed Martin-Sikorsky) এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতীয় নৌসেনায় অ্যান্টি সাবমেরিন ও অ্যান্টি সারফেস যুদ্ধে (anti-submarine/anti-surface warfare) এই বিশেষ চপার কার্যকরী ভূমিকা নিতে চলেছে। সমুদ্রের যত গভীরেই শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ঘাপটি মেরে থাকুক না কেন, সেগুলিকে খুঁজে বার করে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম এই হেলিকপ্টারগুলি। এই নয়া হেলিকপ্টারগুলি ব্যাবহার করে ভারত মহাসাগরে চিন ও পাকিস্তানের মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া প্রথম তিনটি এমএইচ ৬০ আর হেলিকপ্টার নৌসেনার কর্মীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপর ৩ টি হেলিকপ্টার কোচিতে এসে পৌঁছনোর কথা। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার দুটি হেলকপ্টার ভারতের মাটি ছুঁয়েছে। এরপর পরবর্তী হেলিকপ্টার ২২ অগাস্ট ভারতে আসার কথা। জানা গিয়েছে, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ২৪ টি হেলিকপ্টারের মধ্যে আরও যে বাকি  হেলিকপ্টারগুলি রয়েছে সেগুলি ভারতে ২০২৫ সালের মধ্যে এসে পৌঁছবে। 

  • Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণখেলাপি নীরব মোদির (Nirav Modi) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, গয়না ও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন ২০২২-এ এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হংকং (Hong Kong) থেকে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আর্থিক তছরুপের মামলায় বর্তমানে লন্ডনের জেলে রয়েছেন নীরব মোদি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নীরবের ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হংকংয়ে নীরব মোদির বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকে টাকা ও গয়না গচ্ছিত ছিল নীরব মোদির। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের পাঁচ নম্বর ধারা মেনেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। সব মিলিয়ে আড়াইশো কোটি টাকার জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে বিদেশে নীরব মোদির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, নীরব মোদি ও তাঁর সহযোগীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের রায় মেনেই প্রায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। আপাতত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    নীরব মোদি পেশায় হিরে ব্যবসায়ী। বছর কয়েক আগে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ দেয় ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। পরে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো জামিনদারকে কাজে লাগিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন এই হিরে ব্যবসায়ী।

     

  • Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu: স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে শপথ নিলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সংসদের সেন্ট্রাল হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে এদিন সকালে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তাঁকে স্বাগত জানান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তেরঙ্গা শাড়ি পরে শপথ নেন দ্রৌপদী। শপথ গ্রহণের পর প্রথা মেনে তাঁকে একুশবার তোপধ্বনি দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

    দ্রৌপদী দেশের সর্ব কনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। শপথ নেওয়ার পর সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন তিনি। বলেন, সকলের আশীর্বাদে আমি দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। একটি প্রগতিশীল দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছি। নিজেকে খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। ভারতের নয়া রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে আমি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পেয়েছি। দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়। এটি ভারতের প্রতিটি দরিদ্র মানুষের প্রাপ্তি। আমার রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রমাণ করে যে ভারতের দরিদ্র মানুষরা শুধু স্বপ্নই দেখেন না, সেই স্বপ্ন পূরণও করতে পারেন।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্রৌপদী বলেন, ২৬ জুলাই দিনটি কার্গিল বিজয় দিবস। দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্বের প্রতীক। কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও দেশবাসীকে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এদিকে, রবিবার রাত থেকেই উৎসব শুরু হয়েছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের উপরবেদা গ্রামে। সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দ্রৌপদীর প্রায় ৬০ জন নিকট আত্মীয়।

    আরও পড়ুন : নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন দ্রৌপদী।

     

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।

    সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে।  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।

     

  • Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    Draupadi Murmu: ভারতের রাষ্ট্রপতির বেতন কত জানেন? সুযোগ সুবিধাই বা পান কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপি-র দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেপি বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হতে চলেছেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন রাইসিনা হিলসের নয়া বাসিন্দা।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন বিশ্বের সব চেয়ে বড় রাষ্ট্রপতি ভবন। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল এই ভবন। ৩২০ একর জমির ওপর তৈরি হয়েছিল দিল্লির রাইসিনা হিলসের এই রাষ্ট্রপতি ভবন। রাইসিনা হিলসের মূল ভবনে ঘর রয়েছে ৩৪০টি। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রাইসিনা হিলসে রয়েছে তাঁর আধিকারিকনিবাস, স্বাগত কক্ষ, অতিথিশালা এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ভবনের বাইরে রয়েছে বিশাল আকারের বাগান, কর্মচারীদের থাকার ব্যবস্থা। রয়েছে আস্তাবলও। রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই রয়েছে মুঘল গার্ডেন, মিউজিয়াম। মুঘল গার্ডেনে রয়েছে ময়ূরও। টিকিট কেটে এগুলি ঘুরে দেখতে পারেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন : জয়ী দ্রৌপদী, মমতা ব্যর্থ, তৃণমূলনেত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির

    আগামী পাঁচ বছরের জন্য এখানকারই বাসিন্দা হতে চলেছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা দ্রৌপদী। রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতি মাসে বেতন বাবদ তিনি পাবেন ৫ লক্ষ করে টাকা। জানা গিয়েছে, ১৯৫১ সালের আইন মোতাবেক নির্ধারিত হয় রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ও পেনশনের পরিমাণ। রাষ্ট্রপতির জন্য দুটি ভ্যাকেশন রিট্রিটের ব্যবস্থাও রয়েছে। বছরে দু বার ছুটি কাটাতে যেতে পারেন তিনি। তাঁর জন্য ব্যবস্থা থাকে সিমলার দ্য রিট্রিট বিল্ডিং ও হায়দরাবাদের রাষ্ট্রপতি নিলয়মে। সফরের যাবতীয় খরচ বহন করে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এ তো গেল রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন সুযোগ সুবিধা। অবসরের পরেও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। ফি মাসে রাষ্ট্রপতি পেনশন পান দেড় লক্ষ টাকা। রাইসিনা হিলস ছেড়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয় সুসজ্জিত বাংলোর। এজন্য কোনও টাকা দিতে হয় না তাঁকে। পাঁচজন কর্মচারীও রাখতে পারেন রাষ্ট্রপতি। এই কর্মচারীদের বেতন দেয় ভারত সরকার। জীবনভর বিনা মূল্যে ট্রেন এবং বিমানে ভ্রমণের সুযোগও পান অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি।

     

  • MQ-9B drones: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    MQ-9B drones: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে খুব শীঘ্রই ভারতের হাতে চলে আসবে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’। তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ— গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকার’ হয়েছেন অনেকে। শত্রু খতম করতে এর জুড়ি মেলা ভার। সেই ড্রোনই এ বার ভারতের হাতে আসতে চলেছে। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এ নিয়ে চুক্তি প্রায় পাকা। ৩০০ কোটি ডলার ব্যয় করে আমেরিকা থেকে ড্রোন কিনবে ভারত। 

    মাঝেমধ্যেই সীমান্ত পেড়িয়ে ভারতের আকাশে চলে আসছে পাক ড্রোন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের সঙ্গেও ভারতের বিবাদ লেগে রয়েছে। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই আমেরিকা থেকে অতি উন্নতমানের ড্রোন আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। ভারতীয় স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনার জন্য প্রিডেটরের ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জেনারেল অ্যাটোমিক্স গ্লোবাল কর্পোরেশনের মুখ্য আধিকারিক বিবেক লাল জানান, এই ড্রোন নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সরকারের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘‘কী কথাবার্তা হয়েছে, তা দুই সরকারের প্রতিনিধিদের জিজ্ঞাসা করা উচিত। তবে জেনারেল অ্যাটোমিক্স ভারতকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’

    আরও পড়ুন: মার্কিন সামরিক শক্তির ভরকেন্দ্র পেন্টাগনে প্রবেশের অধিকার পেল ভারত, কেন জানেন?

    গত বছর আমেরিকা সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে বিবেকের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। ওই সময়েই তাঁদের মধ্যে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিডেটর ড্রোন কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, আমেরিকার তৈরি এই ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’ ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় টানা ২৭ ঘণ্টা উড়তে পারে। এর সর্বোচ্চ বহন ক্ষমতা রয়েছে এক হাজার ৭৪৬ কিলোগ্রাম। এই ড্রোন ব্যবহার করে সাত হাজার ৫০০ কিলোমিটার উপকূল রেখা বরাবর নজরদারি চালানো যাবে। আমেরিকা ছাড়া সম্প্রতি এই ড্রোন ব্যবহার করছে ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনের বিমানবাহিনী। এবার সেই তালিকায় ঢুকতে চলেছে ভারতও।

  • CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকায় বিকিয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষা নীটে(NEET)-র আসন। অন্তত এমনই অভিযোগ উঠেছে। এবার একই অভিযোগ উঠল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আসন এবং রাজ্যপালের (Governorship) পদের ক্ষেত্রেও। ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট মিলবে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে কারবার চালাচ্ছিল একটি চক্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) সূত্রেই জানা গিয়েছে এমন তথ্য। চক্রের কয়েকজন পান্ডাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে একটি ফোনে দুই ব্যক্তির কথোপকথনকে ঘিরে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের কয়েকজনের। সেই সময় অর্থের বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন নিশ্চিত করার কথা বলতে শোনা যায় ফোনের দু প্রান্তে থাকা মানুষদের। ফাঁদ পাতে সিবিআই। ছদ্মবেশে চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। টাকা হাত বদলের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।  ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। সিবিআইয়ের তরফে এদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর-ও।

    আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    ১০ জুন দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হয়। তার আগে থেকেই ওই চক্র সক্রিয় ছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অভিযোগের ভিত্তিতে ফোনে নজরদারি চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। সিবিআই জানিয়েছে, এরা হল মহারাষ্ট্রের করমলকর প্রেমকুমার, কর্নাটকের রবীন্দ্র বিঠঠল নায়েক, দিল্লির মহেন্দ্র পাল অরোরা ও আসামের অভিষেক বরা। এফআইআরে নাম রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মহম্মদ আজিজ খান নামে এক ব্যক্তিরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিষেক ও প্রেমকুমারের কাজ ছিল পদস্থ সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। বাকিরা চাইত টাকা। এ ব্যাপারে যাতে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা আমলার সঙ্গে যোগাযোগ না করা হয়, সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিত অভিযুক্তরা।

    আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    প্রসঙ্গত, শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া আশ্বাস দিয়ে মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়কের কাছে চাওয়া হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়াজ শেখ নামে একজনকে। এবার মোটা টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিবিআইয়ের জালে চার। এই চক্রের জল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

     

  • PM Modi:  দেশের চেয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অভিযোগ মোদির  

    PM Modi:  দেশের চেয়ে বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অভিযোগ মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশের তুলনায় বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থকেই (Political Interest) বেশি গুরুত্ব দিতে আগ্রহী। এদিন এই ভাষায়ই বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা (Opposition) সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছে। গত সপ্তাহেই শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। অধিবেশন শুরুর সময় শুরুর সময় থেকেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে সংসদের উভয় কক্ষে অধিবেশন মুলতুবি করা হয়েছে।

    এদিন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ হরমোহন সিংয়ের দশম মৃত্যু বার্ষিকীতে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিশানা করেন বিরোধীদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। কারণ তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিল, কাজগুলির বাস্তবায়ন করতে পারেনি। মোদি জানান, সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিলেই প্রশ্ন করে বিরোধীরা। মোদি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তগুলি যদি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয় তবে বিরোধীরা তার বিরোধিতা করে। দেশবাসী বিরোধীদের এই আচরণ মোটেও পছন্দ করেন না বলেও জানান মোদি।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মতাদর্শ বা রাজনৈতিক স্বার্থকে সমাজ ও দেশের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর কথাও শোনা যায় মোদির মুখে। মোদি বলেন, রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব টিকে রয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, গণতন্ত্র টিকে রয়েছে দেশের জন্য। দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল মূলত, অ-কংগ্রেসি রাজনৈতিক দলগুলি এই নীতি মেনে চলছে।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    এদিন জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গও টানেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থার সময় যখন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, তখন সব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি একযোগে রক্ষা করেছিল সংবিধানকে। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেসের চার সাংসদকে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। সংসদের ভিতরে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। স্পিকার ওম বিড়লা প্রথমে তাঁদের সতর্ক করলেও, প্রতিবাদ চালিয়ে যান তাঁরা। কংগ্রেসের ওই চার সাসপেন্ডেড সাংসদ পরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিভোক্ষ দেখান।

     

LinkedIn
Share