Tag: India

India

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

  • Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

    প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

    প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

    সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

  • India: ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    India: ২০২৪ সালে রেকর্ড ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা, জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে উপার্জন করে রেকর্ড পরিমাণ টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা (India)। এনিয়ে সম্প্রতি এক তথ্য় সামনে এনেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ভারতে বিদেশ থেকে এসেছে ১২৯.৪ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৯৪০ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তাই নয়, তার আগের তিন বছরেও প্রায় একই পরিমাণ টাকা ঢুকছে এদেশে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিদেশভূমে পড়ে থেকে টাকা কামানোতে ভারতীয়রা অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এই তথ্য যেমন সামনে এল, একইভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বাজারে ভারতীয়রা উপার্জনের দিক থেকে অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলেছে, এটাও প্রতিষ্ঠিত হল।

    কী জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক?

    দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (India) সূত্রে জানানো হয়েছে, রেমিট্যান্স বা প্রবাসী ভারতীদের উদ্যোগেই দেশে আসছে এই কোটি কোটি মার্কিন ডলার। এই প্রসঙ্গেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে (India Remittance)। সেই রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২৪ সাল নিয়ে টানা তিন বছর রেমিট্যান্স হিসাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রা (India)।

    বিগত ২৫ ধরে অটুট রয়েছে ভারতের রেকর্ড

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের (India) তরফে আরও জানানো হয়েছে, নব্বইয়ের দশকেই বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব আসে। এর ফলে দেশের অন্দরে বিদেশে উপার্জনের টাকার আগমন বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে এই রেমিট্যান্স বা পরিযায়ী টাকা গ্রহণের ব্যাপারে ভারত বিশ্বের মধ্য়ে শীর্ষে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিগত ২৫ বছর ধরে শীর্ষস্থানে নিজেকে বজায়ও রেখেছে ভারত।

    ভারত ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে কোন কোন দেশে

    এই রেমিট্যান্স গ্রহণের নিরিখে ২০২৪ সালে ভারতের পরেই দ্বিতীয় স্থান পায় মেক্সিকো। ২০২৪ সালে ওই দেশে বিদেশি অর্থ ঢুকেছে ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে চিনে পরিযায়ীদের অর্থ হিসাবে প্রায় এসেছে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াল চিনের। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে শনিবার কলম্বো পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অফ অনারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ সাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ডিজিটাল প্ররিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে চুক্তি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সাক্ষর হয়েছে। চিনের নাম না নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এদিন জানান, ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার ভূমি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

    ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে আশ্রয় নয়

    শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলপথ ব্যবহার করে ভারতের নিরাপত্তার বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক। ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনও কাজে শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলভাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে চিনের বেশ কিছু জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে, ভারত মহাসাগরে ঘুরপাক খেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে অনুরার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    শ্রীলঙ্কায় রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে

    তিনদিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। কলম্বোতে নমোকে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। তিনদিন পড়শি দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার সকালে মোদি পা রাখেন পড়শি দেশে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী বিজিথা হেরাথ, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা, শ্রম মন্ত্রী অনিল জয়ন্ত, মৎস্য মন্ত্রী রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সরোজা সাবিত্রী পালরাজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণাথা আবেসেনা। সকলের থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মোদি।

    ভারত শ্রীলঙ্কা মউ স্বাক্ষর

    দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন মোদি (India Sri Lanka Relation)৷ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ৭টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা শেষে সই করা হয়৷ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সই করা স্মারকটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রায় ৩৫ বছর আগে ত্রিনকোমালি এলাকা একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য একটি চুক্তি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে ভারতের বহুমুখী সহায়তার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সই হওয়া ৭টি মউ

    ১. এইচভিডিসি আন্তঃসংযোগের বাস্তবায়নের জন্য (বিদ্যুৎ আমদানি/রফতানি)
    ২. ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সফল ডিজিটাল সমাধান শেয়ারিংয়ে
    ৩. ত্রিনকোমালি এলাকা শক্তি কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা
    ৪. ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য চুক্তি
    ৫. শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের জন্য বহুমুখী গ্রান্ট সহায়তার চুক্তি
    ৬. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    ৭. ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফার্মাকোপিয়াল সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়

    চিন্তা বাড়ল চিনের

    ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার চেষ্টা করছে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ। এই আবহে মোদির এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তার মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের।

    মৎস্যজীবীদের মুক্তি

    ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কখনও ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে যান। এমন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী এখনও শ্রীলঙ্কার জেলে বন্দি। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের যাতে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয়, সে কথাও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে অনুরাকে পাশে নিয়ে আবারও সেই কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তাঁদের (মৎস্যজীবীদের) দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁদের নৌকাও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

  • Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা (India) হয়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ৪৪ শতাংশ। একলপ্তে এতটা শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পোশাক ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের অ্যাডভাইজার তুলি কুরে বলেন, “আমাদের শোকবার্তা লিখতে হবে। ৪৪ শতাংশ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।”

    ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা (Donald Trump)

    দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তাঁরা হয়তো আর বড় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবেন না। তাঁদের অর্ডার চলে যাবে কম শুল্কযুক্ত ও বড় শিল্প শক্তিসম্পন্ন দেশগুলিতে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি হল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য রেডিমেড পোশাকের একটি বড় অংশ রফতানি হয় এই দেশটিতে। আমেরিকায় ফি বছর বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার, এর সিংহভাগই রেডিমেড পোশাক। গত বছর ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রিটেইলারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারী শাহিদুল্লা আজিমের খদ্দের। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু আমরা কখনওই এতটা সাংঘাতিক কিছু আশা করিনি। এটি আমাদের ব্যবসা এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ঙ্কর।”

    কী বলছেন বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা, যাঁদের ক্লায়েন্ট গ্যাপ ইনকর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্প, বলেন, “ট্রাম্পের আচমকা ঘোষণার কয়েক (India) ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সরকারি সাহায্য চাইতে শুরু করেছি।” বিদেশি ক্রেতাদের ধরে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দরাদরি করতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের সরকারি কর্তাদের চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। রেডিমেড পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ। বার্ষিক জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১০ শতাংশ।

    সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি

    আজিম বলেন, “আমার কোম্পানিতে কাজ করেন (Donald Trump) ৩ হাজার ২০০ শ্রমিক। এক ধাক্কায় এতটা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমতে পারে অর্ডারের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে আমার পাশাপাশি বিপদে পড়বেন আমার কোম্পানির শ্রমিকরাও।” বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “শুল্কের বোঝা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা শুক্রবারই সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। সরকারি কর্তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।” এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কারখানা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলাম বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। বাণিজ্যের বিষয়ে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। আশাকরি, আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে”।

    ভারতের পৌষমাস!

    বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর আরোপ করা (India) হয়েছে ২৯ শতাংশ শুল্ক। চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র জেরে (Donald Trump) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যখন সর্বনাশ, তখন ভারতের হতে চলেছে পৌষ মাস। পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইভিন্সের আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর আশঙ্কা, “গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের পর থেকে আমেরিকার সরবরাহকারীরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি খোঁজখবর করছে। এতে আদতে আরও বেশি করে লাভবান হবে ভারত। কারণ, তাদের ওপর ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন ২৭ শতাংশ।” ইভিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টমি হিলফিগার এবং লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি। তারা শার্ট, ডেনিম ও সুতো নিয়ে কাজ করে। চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ভারতের অবদান ৬-৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম (Donald Trump)। তবে, ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের জেরে শীর্ষ ৩০টি মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বদলে ভারতের (India) বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে স্থলবেষ্টিত আখ্যা দেওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) কড়া সমালোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে, সহযোগিতা হল একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গী, এটি কোনওভাবেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়।” সরকারি বিবৃতিত বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনে (বিমস্টেক) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।” তিনি বলেন, “ভারত বিমস্টেকে তার দায়িত্ব উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্ক অবগত।” তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বাস করে যে আঞ্চলিক সহযোগিতা একটি সমন্বিত পদ্ধতি এবং এটি নির্বাচিত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে।”

    ইউনূসের দাবি (S Jaishankar)

    গত সপ্তাহে চার দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে তিনি দেখা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। চিনকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। সেই সূত্রেই চিনকে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “সমুদ্রের (বঙ্গোপসাগর) একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য ইউনূসের দাবির প্রতি পরোক্ষ খোঁচা।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “বঙ্গোপসাগরে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কিলোমিটারের উপকূলরেখা রয়েছে ভারতের। বঙ্গোপসাগরে এটিই দীর্ঘতম উপকূলরেখা। বিমস্টেকের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ দেশকেই যুক্ত করে ভারত। কেবল তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়ও রক্ষা করে ভারত।” বিশেষ করে উত্তরপূর্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী জানান, এই যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরপূর্ব ভারত। তিনি (S Jaishankar) জানান, ভারত বিশ্বাস করে সহযোগিতা একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়, শুধুমাত্র একটি লাভদায়ক বা সুবিধাজনক বিষয় বেছে নেওয়া নয়।

    জয়শঙ্কর বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক অবস্থানে পণ্য, পরিষেবা ও মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভৌগোলিক স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখেই আমরা বিগত এক দশক (Muhammad Yunus) ধরে বিমস্টেককে শক্তিশালী ও মজবুত করছি (S Jaishankar)।”

  • Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    Dragon-Elephant Tango: ‘একসঙ্গে নৃত্য হোক হাতি-ড্রাগনের’, ট্রাম্পের ট্যারিফের আবহে চিন-ভারত সম্পর্কের হয়ে সওয়াল জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন এবং ভারতের সম্পর্ক (India China Relation) একটি “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) এর মতো হওয়া উচিত, যা তাদের প্রতীকী প্রাণীদের শান্তিপূর্ণ নৃত্যের প্রতিফলন। মঙ্গলবার, দুই দেশের ৭৫ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন উপলক্ষে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করার সময় এই মন্তব্য করেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাঁর কথায়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন। শি জিনপিং এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু ছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিশেষ উপলক্ষে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির সূচক।

    বিশ্বাসযোগ্যতা প্রয়োজন

    মার্কন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময় ট্যারিফ নিয়ে ভারতকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিচ্ছেন, সেই সময়ে জিনপিংয়ের মুখে ভারতের উদ্দেশে ‘ট্যাঙ্গো’র বার্তা অর্থবহ। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা বাড়াতে, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা তৈরি করতে এবং মতপার্থক্য কমাতে আমি ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিনের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। তিনি আরও বলেছেন, ভারত এবং চিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। এই অঞ্চলের এবং গোটা বিশ্বের শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রশ্নে দুই দেশের ভূমিকা অপরিসীম। এই দুই দেশের বিকাশের সঙ্গে তাদের মৌলিক স্বার্থ জড়িত। দরকার একে অপরের প্রতি বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক তৈরি করা।

    ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো

    “ড্রাগন-এলিফ্যান্ট ট্যাঙ্গো” (Dragon-Elephant Tango) একটি রূপক যা ভারত এবং চিনের মধ্যে জটিল এবং মাঝে মাঝে সংবেদনশীল সম্পর্কের বর্ণনা দেয়। “ড্রাগন” চিনের প্রতীক, যা এর উন্নত অর্থনৈতিক, সামরিক এবং ভূরাজনৈতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে, আর “এলিফ্যান্ট” ভারতের প্রতীক, যা এর উত্থানশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে। “ট্যাঙ্গো” এই সম্পর্কের মধ্যে জটিল, কিন্তু সতর্ক নৃত্যকে বোঝায়, যা কখনও কখনও সহযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে বিরোধী শক্তির প্রতিফলন। ভারত-চিন সম্পর্কও খানিকটা এরকম। বহু ওঠানামার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এখন ভুল বুঝতে পেরে দুই দেশের জনগণের জন্য একযোগে কাজ করা কথা বলছে চিন।

  • Sunita Williams: মনে করিয়েছে শিকড়ের টান, মহাকাশ থেকে ভারত ‘অবিশ্বাস্য’, জানালেন সুনীতা

    Sunita Williams: মনে করিয়েছে শিকড়ের টান, মহাকাশ থেকে ভারত ‘অবিশ্বাস্য’, জানালেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে এসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। এবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, মহাকাশ থেকে ভারত (India) এক কথায় ‘অবিশ্বাস্য’।

    মনে করিয়েছে শিকড়ের টান

    মহাকাশ থেকে ভারতের ভূদৃশ্য দেখে মুগ্ধ সুনীতা (Sunita Williams) বলেন, ‘‘অত্যাশ্চর্য, একেবারে অবিশ্বাস্য।’’ বিশেষত হিমালয়ের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর যে ছবি তুলেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ বলে জানিয়েছেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী। ওই সাক্ষাৎকারে সুনীতা আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমে গুজরাট ও মুম্বইয়ের উপকূলের মাছ ধরার নৌবহর থেকে শুরু করে উত্তরের বিশাল হিমালয়। এসবই তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছে নিজের শিকড়ের কথা। দিনের আলোয় ভারতের নানা রঙ, আর রাতের অন্ধকারে শহর থেকে গ্রামে বিস্তৃত আলোর মালা তাঁকে মোহিত করেছে বলে জানিয়েছেন এই মার্কিন মহাকাশচারী।

    ভারতে আসতে আগ্রহী সুনীতা (Sunita Williams)

    ওই সাক্ষাৎকারে সুনীতা উইলিয়ামসকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় তিনি কি সাহায্য করতে আগ্রহী? জবাবে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই! আমি চাই ভারত আরও এগিয়ে যাক মহাকাশ গবেষণায়। ভারত অসাধারণ দেশ, বড় গণতন্ত্র, যে দেশ এখন মহাকাশ অভিযানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। আমি অবশ্যই এর অংশীদার হতে চাই।’’ প্রসঙ্গত, সুনীতা উইলিয়ামসের বাবা ছিলেন ভারতীয়। সুনীতার বহুদিনের ইচ্ছে নাকি ভারতে আসার। সঙ্গে নিয়ে আসতে চান সহযাত্রী বুচ উইলমোরকেও। সাক্ষাৎকারে মজার ছলে সুনীতা (Sunita Williams) বলেন, ‘‘তোমার (বুচ উইলমোর)  হয়তো একটু আলাদা লাগবে, তবে ঠিক আছে! তোমাকে আগে থেকেই ঝাল-মশলা খাওয়ার অভ্যাস করিয়ে দেব।’’ অন্যদিকে, খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে নাসার অ্যাক্সিয়ম মিশন। এনিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সুনীতা। প্রসঙ্গত, এই মিশনে মহাকাশে পাড়ি জমাবেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট এবং ইসরোর মহাকাশযাত্রী শুভাংশু শুক্লা। ভারতের একজন প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ করবেন, এতে দারুণ আশাবাদী সুনীতা।

  • Nagaland: আরও সহজ উত্তর-পূর্ব যাত্রা, রেল মানচিত্রে কোহিমাকে জুড়তে উদ্যোগ মোদি সরকারের

    Nagaland: আরও সহজ উত্তর-পূর্ব যাত্রা, রেল মানচিত্রে কোহিমাকে জুড়তে উদ্যোগ মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপূর্ব ভারতে ক্রমশই উন্নত হচ্ছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই আবহে নাগাল্যান্ডের (Nagaland) রাজধানী কোহিমাকে রেল মানচিত্রে জোড়ার কাজ এগোল আরও একধাপ। রেল যোগাযোগের মাধ্যমে জুড়তে চলেছে নাগাল্যান্ডের সোখুবই ও মলভম নামের দুটি জায়গা। জানা যাচ্ছে, এই ব্রডগেজ প্রকল্প খুব তাড়াতাড়ি শুরু হচ্ছে। এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে গত ২৭ এবং ২৮ মার্চ। প্রসঙ্গত কোহিমা পর্যন্ত রেল চালু করতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর আগে সাড়ে ১৬ কিলোমিটারের জন্য ধানসিঁড়ি থেকে সোখুবই পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়। এর পর ফের ট্রেন মানচিত্রে নাগাল্যান্ডের রাজধানীকে (Kohima) জুড়তে পদক্ষেপ করতে দেখা গেল রেলকে।

    সর্বোচ্চ গতি থাকবে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা

    জানা গিয়েছে, সোখুবই ও মলভম পর্যন্ত ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা রাখার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে একদল রেল আধিকারিক দুই স্থানেই পরিদর্শন করে গিয়েছেন বলে খবর। এই পরিদর্শনকালে, রেলওয়ে নিরাপত্তা আধিকারিক সুমিত সিংহলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) উচ্চপদস্থ কর্তারাও হাজির ছিলেন। প্রশাসনিক আধিকারিক অঞ্জনি কুমার, আশুতোষ কুমার মিশ্র, রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ সিং প্রমুখরা।

    বড় মাইলফলক পের হবে রেল (Nagaland)

    মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে একটা বড় মাইলস্টোন পেরবে ভারতীয় রেল (Nagaland)। নাগাল্যান্ডের যে প্রাকৃতিক সম্পদ তা সহজে আনা যাবে এবং ব্যবহার করা যাবে। উত্তরপূর্ব ভারতের (Kohima) সঙ্গে দেশের অন্যান্য় অংশে যোগাযোগও বাড়বে। রেল যোগাযোগের মাধ্যমে দুর্গম এলাকাগুলোতে পর্যটকদের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই ট্রেন পরিষেবা চালু হয়, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়নে অজস্র প্রকল্প চালু করেছে। যার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রেল যোগাযোগকে।

  • PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ৩ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঘোষিত মহাসাগর নীতির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোয় ভারতের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সফর করা হচ্ছে। এই সামিট শেষে ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি (PM Modi)

    অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একদিনের সংক্ষিপ্ত, অথবা সর্বাধিক দু’দিনের শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। এবার তিনি যাবেন তিনদিনের সফরে। কলম্বোর বাইরে সম্ভাব্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) তৃতীয় তাইল্যান্ড  সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর এবং ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ভারতের ‘প্রথমে প্রতিবেশী’ নীতি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি, ‘মহাসাগর’ দর্শন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” ‘মহাসাগর’ বা “মিউচুয়াল অ্যান্ড হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়নস” দর্শন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মরিশাস সফরের সময়ই ঘোষণা করেছিলেন।

    বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন

    বিমস্টেকের (BIMSTEC Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের পর এটি হবে প্রথমবারের মতো বিমস্টেক নেতাদের মুখোমুখি বৈঠক। পঞ্চম (PM Modi) বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২২ মার্চ, শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা বিমস্টেক সহযোগিতাকে আরও গতিশীল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নেতারা বিমস্টেক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সক্ষমতা নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত বিমস্টেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজীকরণ, স্থল, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, খাদ্য, শক্তি, জলবায়ু ও মানব নিরাপত্তায় সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।” বিমস্টেক (BIMSTEC Summit) ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ এপ্রিল তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটোংটান শিনাওয়াত্রার সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের জন্য রূপরেখা তৈরি করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফর করবেন

    তাইল্যান্ড সফর শেষ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ২০২৫ সালের ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার দিসানায়ক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এই দুই নেতা “একটি সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা” যৌথ দর্শনের অধীনে সম্মত সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এটি গৃহীত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের সময়। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি এবং শ্রীলঙ্কা সার্কে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি।

    বাণিজ্য বিভাগের খবর

    বাণিজ্য বিভাগের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পণ্য বাণিজ্য ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভারতের রফতানির পরিমাণ ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর শ্রীলঙ্কার রফতানির পরিমাণ ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিভিন্ন ঋণ লাইন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য একটি ঋণ সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত ছিল। এফটিএ-র পরিধি (PM Modi) আরও বিস্তৃত করার জন্য এবং উৎপত্তির নিয়মগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য, পণ্য এবং পরিষেবা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তির (ইটিসিএ) প্রস্তাব করা হয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত

    ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সফরের পরে ফের আলোচনা (BIMSTEC Summit) শুরু হয়েছে দুই দেশের। এখানে ইটিসিএ নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ১৪ দফা আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বশেষ আলোচনাটি হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, কলম্বোয়। শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি, ভারত শ্রীলঙ্কায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম অবদানকারীদের মধ্যে একটি, যার মোট পরিমাণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রধান বিনিয়োগগুলি হল জ্বালানি, আতিথেয়তা, রিয়েল এস্টেট, উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে (PM Modi)।

LinkedIn
Share