Tag: India

India

  • India Gold: ব্রিটেন থেকে ১ লক্ষ কেজি সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত, দেশের অর্থনীতি আরও মজবুতের দিকে

    India Gold: ব্রিটেন থেকে ১ লক্ষ কেজি সোনা ফিরিয়ে আনল ভারত, দেশের অর্থনীতি আরও মজবুতের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেন থেকে ১ লক্ষ কেজি সোনা (India Gold) ফিরিয়ে আনল ভারত (RBI)। ১৯৯১ সালের পর ভারতে এতটা বিশাল পরিমাণ সোনা হস্তান্তরের খবরে শোরগোল পড়েছে দেশে। ভারত সহ বিশ্বের বড় মাপের অর্থনীতিবিদরা বিশেষ অগ্রগতির চলনকে ইঙ্গিত করেছেন। এই সোনা ব্রিটেন থেকে ভারতের রিজার্ভ ব্যঙ্কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। মোদি সরকারের প্রশংসায় ওয়াকিবহাল মহল। ভারত দ্রুত পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি থেকে তৃতীয় অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।

    মোদির আমলে বিরাট সাফল্য (India Gold)

    ১৯৯১ সালে দেশের বেহাল আর্থিক দশার কারণে ১০০ টন সোনা বন্ধক রাখতে হয়েছিল আরবিআইকে (RBI)। ওই সময়ে ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত দুর্বল। এবার বর্তমান মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে। ফলে এই বিপুল পরিমাণ সোনা (India Gold) নিজের দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে ভারতের অর্থনীতিকে যে আরও গতি প্রদান করা সম্ভব হবে, একথা অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন। এই পদক্ষেপের সঙ্গে দেশে মজুত সোনা পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কৌশলগত পরিবর্তনের একটা বিশেষ ইঙ্গিতও নজরে পড়েছে। এই সোনা দেশে ফিরেছে বিভিন্ন দফতরের সুপরিকল্পনা, সমন্বয় এবং নেতৃত্বের কারণেই।

    অনেক খরচ কমবে

    আরবিআই-এর বেশিরভাগ সোনাই বিদেশের মাটিতে রাখা আছে। সেই জন্য বিদেশের ব্যাঙ্কগুলিতে স্টোরেজের খরচ দিতে হয়। ব্রিটেন থেকে এই সোনা ফিরিয়ে আনার ফলে এবার থেকে বেশ কিছু খরচও বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় এই কৌশল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুনঃ দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না, শপথ নেবেন ১১ নভেম্বর

    ২০২৩ সালে ২৭.৫ টনের বেশি সোনা কিনেছিল ভারত

    আরবিআই (RBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, “এখন মোট ৮২২.১ টন সোনা (India Gold) মজুত রয়েছে ভারতের। বিশ্বের আর্থিক মন্দার কারণে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সোনার ভাঁড়ার বাড়ানোর দিকে ঝুঁকেছে। ভারতের আরবিআই একই ভাবে কাজ করছে। আরবিআই তাই বেশি বেশি সোনা কিনছে। ২০২৩ সালে আগের বছর তুলনায় ২৭.৫ টন বেশি সোনা কিনেছিল। এই ভাঁড়ার বৃদ্ধির ফলে কোনও একক বৈদেশিক মুদ্রার উপর ভারতের নির্ভরতা কমেছে। মুদ্রার দর ওঠা-নামা আর্থিক অস্থিরতার সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলি কমেছে। ব্রিটেন থেকে সোনা ফিরিয়ে আনা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India China Relation) দুই দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল শুক্রবার। এদিন সকাল থেকে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করল ভারত ও চিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সৈন্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনের অবস্থানে সামরিক সরঞ্জামগুলি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে, চিনেরও সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    শুরু হল সেনা সরানোর প্রক্রিয়া

    পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন (India China Relation) সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন অংশে, গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছিল। দুই পক্ষেরই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রেখে দেওয়া হয়েছিল ওই সব এলাকায়। অবশেষে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটছে। গত সোমবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো গিয়েছে। বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বরফ গলার ইঙ্গিত দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, লিন জিয়ান-ও। এরপর বুধবার, রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সমান্তরালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর মধ্যে। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই পূর্ব লাদাখে প্রকৃ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারি এবং সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত-চিনের চুক্তিকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    আলোচনার মধ্য দিয়েই অগ্রগতি

    ভারত ও চিনের (India China Relation) মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্তের যে জায়গাগুলি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ৷ বৃহস্পতিবার চাণক্য ডিফেন্স ডায়লগ অনুষ্ঠানে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)৷ তিনি জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কয়েকটি জায়গায় সেনার প্রহরা দেওয়া এবং গবাদি পশুদের বিচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ ৷ এই চুক্তি আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ৷ রাজনাথ সিং বলেন,“প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে মতভেদ ছিল৷ এই বিবাদ মেটাতে দুই দেশ সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করেছে৷ এই কথোপকথনের ফলেই বাস্তবের মাটিতে বৃহত্তর ক্ষেত্রে একমত হয়েছে দু’দেশ৷ সমানাধিকার এবং পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতিতে এই চুক্তি হয়েছে৷ এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সেনার প্রহরা এবং গবাদি পশুদের বিচরণের বিষয় দু’টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ এটাই নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শক্তি৷ কারণ আজ হোক বা কাল, সমাধান মিলবেই৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন তাঁরই দলের সাংসদরা! ঘোর বিপাকে ট্রুডো

    Justin Trudeau: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন তাঁরই দলের সাংসদরা! ঘোর বিপাকে ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন তাঁরই দলের এমপিরা! ট্রুডোকে পদত্যাগের জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন লিবারেল পার্টি অফ কানাডার এমপিরা। ট্রুডোর এই দলের সাংসদরা জানিয়ে দিয়েছেন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে।

    রুদ্ধদ্বার বৈঠক (Justin Trudeau)

    স্থানীয় সময় বুধবার কানাডার পার্লামেন্টে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁর দলের সাংসদরা। সেখানে ট্রুডোর কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই বৈঠকেই ট্রুডোকে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তবে এই সময়সীমার মধ্যে ট্রুডো পদত্যাগ না করলে কী হবে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ট্রুডো। ক্রমশ কমতে থাকে তাঁর জনপ্রিয়তা। আগামী বছরের অক্টোবরে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই নিজের দলেই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি উঠল। জানা গিয়েছে, ২৪ জন সাংসদ আল্টিমেটাম দিয়ে পদত্যাগ করতে বলেছেন ট্রুডোকে। যদিও বৈঠকে ট্রুডোর প্রথম পদত্যাগের দাবি তোলেন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার এমপি প্যাট্রিক ওয়েলার। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান একে একে ২৩ জন। যদিও এই ‘বিদ্রোহী’রা কেউই ট্রুডো (Justin Trudeau) মন্ত্রিসভার সদস্য নন।

    ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি

    কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডোর দলের সাংসদ রয়েছেন ১৫৩ জন। তাই ট্রুডো যে আল্টিমেটাম মেনে পদত্যাগ করবেনই, তার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। এ ব্যাপারে ট্রুডো স্বয়ংও কিছু বলেননি। তবে ট্রুডোর কোনও বিকল্প নেতাও এই মুহূর্তে তার দলে নেই। সিবিসি পোল ট্র্যাকারের সমীক্ষা বলছে, বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি ট্রুডোর দলের তুলনায় জনপ্রিয়তার নিরিখে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। যেহতু বছরখানেক পরেই নির্বাচন, তাই ট্রুডোর দলের নেতাদের একাংশ চাইছে না ট্রুডোকে সামনে রেখে নির্বাচনে যেতে। তাঁরাই ট্রুডোর পদত্যাগ দাবি করেছেন বলে খবর। ট্রুডোর দলের নেতাদের আশঙ্কা, ট্রুডো পদ না ছাড়লে নির্বাচনে তাঁদের দল তৃতীয় স্থানে চলে যাবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের কল্যাণকে বরখাস্ত করার সুপারিশ বিজেপির, স্পিকারকে চিঠি তিন সাংসদের

    খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তার জেরে অবনতি ঘটে ভারত-কানাডা সম্পর্কে। তা নিয়ে অসন্তোষের আগুন ধূমায়িত হচ্ছিল ট্রুডোর দলের অন্দরেই। এবার দলীয় সাংসদরা তাঁর (Canada) পদত্যাগ দাবি করায় সেই ক্ষোভই প্রকাশ্যে এল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারিস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতাই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নয়া দিশা দেখাবে।” চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (India China Relationship) শেষে একথাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি সপ্তাহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রহরা দেওয়া নিয়ে চুক্তি হয়েছে ভারত চিনের মধ্যে। তার পরেই রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) মুখোমুখি হয়েছেন মোদি ও জিনপিং।

    পার্শ্ববৈঠক (India China Relationship)

    বুধবার পড়শি এই দুই রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের মানুষের জন্য। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বে শান্তি এবং স্থিরতা আনতে দু’দেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল আমাদের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথনির্দেশিকা স্থির করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত (India China Relationship) চার বছরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে ইস্যুগুলি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে একমত হতে পেরেছে দু’টি দেশ। এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিরতা বজায় রাখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।” 

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “চিন ও ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দু’দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি ও জিনপিং। এর আগে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে এই দুই রাষ্ট্রনেতার। উনিশে তামিলনাড়ুর মহাবলিপূরমে দেখা হয়েছিল মোদি-জিনপিংয়ের। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও দেখা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রনেতার। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল (BRICS Summit) এই প্রথম।

    এখন দেখার, ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relationship) বরফ গলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার দিয়ে বসে রয়েছেন ৩৬ জন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনি রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। ব্রিকসের (BRICS Summit) এই হাটেই হাঁড়িটা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে নিশানা করলেন চিনকে। বললেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদিচ্ছা নির্ধারণের কোনও দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না। দ্বিচারিতা চলতে পারে না।”

    চিনকে খোঁচা! (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবাণের নিশানায় যে চিন-ই, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ, গত গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকজন পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারত প্রস্তাব আনলেও, ভেটো প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্য চিন। তাই পাশ হয়নি সেই প্রস্তাব। সেই ‘শোধ’ তুলতেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বেছে নিলেন ব্রিকসের সম্মেলন মঞ্চ। যে মঞ্চে হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।

    প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা

    ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে রাশিয়ার কাজানে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাশিয়ায় পা রেখেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সোচ্চার হন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় আমাদের সংকল্প নিতে হবে। এক সঙ্গে ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এমন গুরুতর বিষয়ে দ্বিমুখী মানদণ্ডের কোনও জায়গা নেই।”

    আরও পড়ুন: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে চরমপন্থা প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন নিয়ে যে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, তা সমাধানের জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন (BRICS Summit), “ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।” মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং খাদ্য, শক্তি, জল এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়েও বিশ্বের সব দেশকে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার সাধন প্রয়োজন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি (BRICS Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSNL: ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে বিএসএনএল এখন ‘কানেক্টিং ভারত’, সঙ্গে নয়া ৭ প্ল্যানও

    BSNL: ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে বিএসএনএল এখন ‘কানেক্টিং ভারত’, সঙ্গে নয়া ৭ প্ল্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রূপ বদল বিএসএনএলের (BSNL)! ‘কানেক্টিং ইন্ডিয়া’ থেকে এবার ‘কানেক্টিং ভারত’ (Connecting Bharat)। ট্যাগ লাইন বদলের পাশাপাশি পরিবর্তন হয়েছে লোগোরও। ইতিমধ্যেই ৪জি পরিষেবা চালু করে সরকারি এই টেলিকম সংস্থা। এবার দেশবাসীকে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইতিমধ্যেই চালু করে দিয়েছেন নয়া লোগো। নতুন এই লোগোয় জাতীয় পতাকার তিনটি রং প্রতিফলিত হয়েছে। গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ। ‘কানেটিং ইন্ডিয়া’র বদলে ট্যাগ লাইন হয়েছে ‘কানেক্টিং ভারত’। বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে তাল মেলাতে ৭টি নতুন প্ল্যান লঞ্চও করতে চলেছে বিএসএনএল।

    নয়া প্ল্যান (BSNL)

    স্প্যাম কল: নাগরিকদের উন্নতমানের মোবাইল পরিষবা প্রদানের জন্য বিএসএনএল স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্যাম কলগুলিকে ব্লক করতে একটি প্রযুক্তি চালু করেছে। গ্রাহকরা এর সাহায্যে সহজেই অপ্রয়োজনীয় কল এড়াতে পারবেন।

    ফাইবার ভিত্তিক টিভি পরিষেবা: ফাইবার ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকরা ৫০০টিরও বেশি টিভি চ্যানেলে লাইভ দেখতে পারেন। এর মধ্যে সুপার অফার হল বিএসএনএল ফাইবার ব্রডব্যান্ড ডেটার খরচ ধরা হবে না।

    নিখরচায় ওয়াই-ফাই রোমিং পরিষেবা: বিএসএনএল ফাইবার ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা দেশের যেখানেই যান না কেন, তাঁরা সর্বত্র বিনামূল্যে বিএসএনএল হটস্পট পাবেন। তাই সব সময় মোবাইল ডেটা খরচ না করলেও চলবে।

    ডিরেক্ট টু ডিভাইস

    ডিরেক্ট টু ডিভাইস: দেশের মধ্যে প্রথম ডিরেক্ট টু ডিভাইস সংযোগও (BSNL) চালু করেছে বিএসএনএল। স্যাটেলাইট ও মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করবে এটি। যেসব এলাকায় আন্তঃসংযোগ পরিষেবা নেই, সেখানেও তা চালু হবে। ফলে গ্রাহকরা পাবেন জরুরি কল, ডিজিটাল পরিষেবা।

    স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক: স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক স্থাপন করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে বিএসএনএলের তরফে। দেশবাসী যাতে নিজের পছন্দ মতো বিএসএনএল সিম কার্ড কিনতে পারেন এবং সেটা রিচার্জ করতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

    ৫জি নেটওয়ার্ক:  বিএসএনএলও ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করতে চলেছে। সি-ডিএসি নামে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছে। মাটির নীচেও যাতে নেটওয়ার্ক থাকে, তাই।

    আরও পড়ুন: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    পছন্দ মতো মোবাইল নম্বর: গ্রাহকরা তাঁদের পছন্দ মতো মোবাইল নম্বরও পেতে পারবেন। ৯৪৪৪১৩৩২৩৩ এর মতো বিশেষ নম্বরও কিনতে পারবেন। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা চালু (Connecting Bharat) হয়ে গিয়েছে চেন্নাই, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানায় (BSNL)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    Shivraj Singh Chouhan: দেশের ৯৫ শতাংশ জমি ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে, জানালেন শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর স্বপ্ন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র। তাঁর স্বপ্নের ভারতকে ডিজিটাল করতে একাধিক পদক্ষেপও করেছেন তিনি। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ইউপিআই দেশ তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন যাতে আরও বেশি আয়েশি করা যায়, দিনরাত তারই চেষ্টা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ‘৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড’ (Shivraj Singh Chouhan)

    প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্নের ডিজিটাইজেশনের (Bhu AADHAAR) প্রভাব কতদূর পৌঁছেছে, তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “দেশের ৯৫ শতাংশ গ্রামের জমিই ডিজিটাইজড করা হয়েছে।” এতদিন ছিল কাগুজে নথি। এবার থেকে জমি সংক্রান্ত হিসেব নিকেশের তথ্য মিলবে ডিজিটাল মাধ্যমেও। তাই জমি সংক্রান্ত নথি পেতে আর অযথা ঝক্কি পোহাতে হবে না জমির মালিকদের। শিবরাজ জানান, দেশের মোট ৬ লাখ ২৬ হাজারটি গ্রামের জমি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে এই প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, “দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ গ্রামে সরকারি খরচে সব তথ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। কমপক্ষে ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসে এই জমির রেকর্ড থাকছে।”

    আরও পড়ুন: নাসরাল্লার পর সপ্তাহ তিনেক আগেই নিকেশ হাসেম সফিদ্দিন, দাবি ইজরায়েলের

    ভূ-আধার

    জানা গিয়েছে, ২২.৩ মিলিয়ন ম্যাপের ডিজিটাইজেশন হয়েছে। তৈরি হয়েছে ১৪০ মিলিয়ন ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ভূ-আধার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা অ্যাকিউরেসি ইমপ্রুভ করতে পারি, পারি স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, দেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ল্যান্ড রেকর্ডও রাখতে পারি অনায়াসেই।”  মন্ত্রী (Shivraj Singh Chouhan) জানান, দেশের প্রায় সব গ্রামের নথিগুলো ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি সরকার প্রায় ৫ হাজার সাব রেজিস্ট্রার অফিসকে কম্পিউটারাইজড করেছে। এতে জমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১৪০ কোটি অনন্য জমি পার্সেল শনাক্তকরণ নম্বর, যা ভূ-আধার (Bhu AADHAAR) নামে পরিচিত, জারি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থায় উপকৃত হবেন জমির মালিক, ক্রেতা এবং অন্যান্য অংশীদাররা (Shivraj Singh Chouhan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    Kartarpur Sahib Corridor: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব করিডর, চুক্তি বাড়ল আরও ৫ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের জন্য বন্ধ হবে না কার্তারপুর সাহিব দরজা (Kartarpur Sahib Corridor)। শিখদের অন্যতম প্রধান পবিত্র ধর্মস্থল হল এই কার্তারপুর। শিখ ধর্ম মতে এই স্থানের গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত জায়গা শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যস্থান। দেশ ভাগের পর এই স্থান পশ্চিম পাঞ্জাব তথা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এবার ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি পুনরায় স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    শত্রুতার খানিকটা অবসান (Kartarpur Sahib Corridor)

    পাকিস্তানের শত্রু মনোভাব এবং ভারতের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজের জন্য উভয় দেশের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। সংখ্যালঘু হিন্দু-শিখের ওপর অত্যাচারে পাকিস্তানের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এবার এই শত্রুতাকে ভুলে, দুই দেশের মধ্যে শিখ ধর্মাবলম্বীদের কথা মাথায় রেখে কার্তারপুর (Kartarpur Sahib Corridor) ধর্মস্থলে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিতে স্বাক্ষর হয়েছে। এই কার্তারপুর করিডর চুক্তির মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। দুই দেশই এই চুক্তির মাধ্যমে শত্রুতার খানিকটা অবসান ঘটাতে পেরেছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেজ্ঞরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চুক্তির কথা তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন।

    পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়

    মাত্র কয়েকদিন আগেই জয়শঙ্কর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানিজেশনের একটি বৈঠকে যোগদান করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবনহ উপ-প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে কার্তারপুর করিডর নিয়ে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ইসলামাবাদের জোর করে অতরিক্ত ফি বাড়ানো নিয়ে দুইদেশের মধ্যে আলোচনা করা চলছে।

    আরও পড়ুনঃ কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকে ভারতের বাইরে চলে যায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। এরপর থেকে শিখ ধর্মের পুণ্যার্থীরা দাবি করেন, কার্তারপুরের (Kartarpur Sahib Corridor) গুরুদোয়ারায় যেন দর্শন করতে যেতে পারা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হোক। এরপর কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাকিস্তান সরকার একটি করিডরের মধ্যে দিয়ে কার্তারপুর দর্শনের সুযোগ করে দেয়। এই চুক্তির মেয়াদ মঙ্গলবার থেকে ৫ বছর আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ধর্মস্থলে যেতে পাকিস্তান সরকার ২০ ডলার ফি নেয়। এবার থেকে এই ফি মুকুব করার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আগামী ৫ বছরের জন্য শ্রীকর্তারপুর সাহিব করিডরের চুক্তির মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান। শিখদের পবিত্র ধর্মীয়স্থানে যাতায়াতের সুযোগ তৈরির লক্ষ্য়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাজ করে চলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাড়ি পরে রয়েছেন রুশ মহিলারা। পুরুষদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) দেখে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে ধরলেন কৃষ্ণ ভজন। রাশিয়ার কাজানে এভাবেই স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে মঙ্গলবার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয় সম্পূর্ণ ভারতীয় কায়দায়।

    কাজানে পা রাখলেন মোদি (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এমন আনুষ্ঠানিকতার গুরুত্ব স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। এই দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কাজানে পৌঁছলাম। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। উন্নত গ্রহের লক্ষ্যে এখানে আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “রাশিয়ার হেরিটেজ শহর কাজানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।” এবার ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সংঘাত ও পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এই সম্মলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উষ্ণ অভ্যর্থনা

    হোটেলে পৌঁছানোর পর (BRICS Summit) প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের হাতে ছিল ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতীয় পতাকা। সংস্কৃতে একটি গানও গান তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরে রুশ শিল্পীদের একটি দল রাশিয়ান নৃত্য প্রদর্শন করেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯০০ কিমি দূরে কাজান। এখানেই হচ্ছে ব্রিকস সম্মলেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই দু’দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া যাওয়ার আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে ভারত অত্যন্ত মূল্য দেয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও আলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে (Pm Modi) আবির্ভূত হয়েছে। ব্রিকসের (BRICS Summit) মঞ্চে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গত বছর। এতে আদতে বিশ্বেরেই ভালো হবে।”

     

    আরও পড়ুন: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share