Tag: India

India

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    BRICS Summit: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাড়ি পরে রয়েছেন রুশ মহিলারা। পুরুষদের পরনে ধুতি-পাঞ্জাবী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Pm Modi) দেখে তাঁরা সমবেত কণ্ঠে ধরলেন কৃষ্ণ ভজন। রাশিয়ার কাজানে এভাবেই স্বাগত জানানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) যোগ দিতে মঙ্গলবার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানানো হয় সম্পূর্ণ ভারতীয় কায়দায়।

    কাজানে পা রাখলেন মোদি (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে এমন আনুষ্ঠানিকতার গুরুত্ব স্বীকার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও। এই দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কাজানে পৌঁছলাম। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন। উন্নত গ্রহের লক্ষ্যে এখানে আলোচনা হবে।” বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “রাশিয়ার হেরিটেজ শহর কাজানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে।” এবার ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সংঘাত ও পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এই সম্মলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উষ্ণ অভ্যর্থনা

    হোটেলে পৌঁছানোর পর (BRICS Summit) প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁদের হাতে ছিল ত্রিবর্ণ রঞ্জিত ভারতীয় পতাকা। সংস্কৃতে একটি গানও গান তাঁরা। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক পরে রুশ শিল্পীদের একটি দল রাশিয়ান নৃত্য প্রদর্শন করেন। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯০০ কিমি দূরে কাজান। এখানেই হচ্ছে ব্রিকস সম্মলেন। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই দু’দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া যাওয়ার আগে এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ব্রিকসের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে ভারত অত্যন্ত মূল্য দেয়, যা বৈশ্বিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও আলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে (Pm Modi) আবির্ভূত হয়েছে। ব্রিকসের (BRICS Summit) মঞ্চে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গত বছর। এতে আদতে বিশ্বেরেই ভালো হবে।”

     

    আরও পড়ুন: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই। ভারতের স্বপ্ন সফল করতে আমার সরকার কাজ করছে।” কথাগুলো বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে (NDTV World Summit) অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি তাঁর দিনরাত পরিশ্রমের কারণ ব্যাখ্যা করেন।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    তিনি বলেন, “আমি অনেক লোকের সঙ্গে মিশেছি, তাঁরা আমায় বলেছেন ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে। অনেক মাইলস্টোনও আমরা ছুঁয়েছি। সংস্কার সাধনও হয়েছে। তাহলে আপনি কেন এত পরিশ্রম করছেন?” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ বছরে ১২ কোটি টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে, ১৬ কোটি বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে… এটাই কি যথেষ্ট? আমার উত্তর হল, না। এটা যথেষ্ট নয়। আজ বিশ্বের তারুণ্যে ভরপুর দেশগুলির অন্যতম ভারত। এই যৌবন, এই তারুণ্য আমাদের আকাশে নিয়ে যেতে পারে।”

    ‘শিথিলতার কোনও জায়গা নেই’

    তিনি বলেন, “আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি, যে অঙ্গীকার করেছি, সেখানে বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই, শিথিলতার কোনও জায়গা নেই। ভারতের স্বপ্ন সফল করতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত এখন ‘লুক ফরওয়ার্ড’ অ্যাপ্রোচ নিয়ে এগিয়ে চলেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রচলিত প্রথা হল যে প্রতিটি সরকার তার কাজের তুলনা করে আগের সরকারের সঙ্গে। আমরাও এই পথেই হাঁটতাম। কিন্তু এখন আর আমরা অতীত ও বর্তমানের তুলনা করে সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। সাফল্যের মাপকাঠি এখন থেকে হবে ‘আমরা কী অর্জন করতে চাই’, তা।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন একটি সামনে তাকাও নীতি গ্রহণ করেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ভারতের স্বপ্নও এই মানসিকতার অংশ।”

    আরও পড়ুন: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    এদিন বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) গত পাঁচ বছরে গোটা বিশ্ব কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তা তুলে ধরেন। তাঁর কথায় ঘুরে ফিরে এসেছে অতিমারির কথা, মূল্যবৃদ্ধির কথা এবং অবশ্যই বেকারত্বের কথা। উঠে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন পকেটে হওয়া যুদ্ধের কথাও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতে আমরা ভারতের সেঞ্চুরি নিয়ে আলোচনা করছি। গ্লোবাল ক্রাইসিসে ভারত আশার আলো। ভারতের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে (NDTV World Summit)। কিন্তু আমরা সেগুলিকে সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখি (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Semiconductor Mission: বড় ধাপ পেরল ‘ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন’, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    India Semiconductor Mission: বড় ধাপ পেরল ‘ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন’, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মোদি সরকারের উদ্যোগে শুরু হয় ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন (India Semiconductor Mission)। এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৭৬,০০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি তহবিল অনুমোদন করা হয়েছিল। সম্প্রতি, প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই কর্মসূচির কারণে তিন বছরেরও কম সময়ে ভারত পাঁচটি বড়মাপের সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্প পেয়েছে। জানা গিয়েছে, এই পাঁচ বড়মাপের সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের মধ্যে চারটি চিপ প্যাকেজিং প্ল্যান্ট এবং একটি চিপ ফ্যাব্রিকেশন ইউনিট। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যেই পাঁচ প্রকল্পেরই (Semiconductor Mission) কাজ শুরু হয়ে যাবে। সেমিকন্ডাক্টর কর্মসূচির প্রথম পর্যায় সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গোটা বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টর (India Semiconductor Mission) সংস্থাগুলির কাছে ভারতের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে 

    মার্কিন সংস্থা মাইক্রনকে ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলারের অ্যাসেম্বলি, টেস্টিং, মার্কিং এবং প্যাকেজিং ইউনিট স্থাপনের অনুমোদন দেয় মোদি সরকার। এরপরেই দেশের মধ্যে টাটা গোষ্ঠী, মুরুগাপ্পা গোষ্ঠী এবং কেনস সেমিকনের মতো সংস্থাগুলিও সেমিকন্টাক্টর (Semiconductor Mission) উৎপাদন এবং অ্যাসেম্বলি কারখানা গড়ার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এর ফলে, গোটা বিশ্বর সেমিকন্ডাক্টর (India Semiconductor Mission) সংস্থাগুলির ভারতের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এপ্রসঙ্গে ‘ভারত সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনে’র চেয়ারম্যান, পঙ্কজ মহেন্দ্রু বলছেন, “আমরা সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের জন্য ভিত স্থাপন করে ফেলেছি। দুর্দান্ত শুরু করেছি আমরা। তবে এটা একটি দীর্ঘ যাত্রার সূচনা মাত্র।”

    কী বলছেন ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর?

    ইনভেস্ট ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও, নিবৃত্তি রাই বলছেন, “এমইএমএস এবং সেন্সরগুলির মতো বিশেষ প্রযুক্তিগুলির জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে উদ্ভাবন আরও বাড়বে। ভারত শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে ব্যবসা বাড়াতে চাইছে না, সাশ্রয়ী এবং শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরির কথা ভাবছে।” রাসায়নিক ও গ্যাসের মতো কাঁচামালের যুক্ত স্থানীয় সরবরাহকারীদের বাকি বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার জন্য সক্ষম করতে পর্যাপ্ত মূলধন সহায়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন এলঅ্যান্ডটি সেমিকন্ডাক্টরের সিইও

    এলঅ্যান্ডটি সেমিকন্ডাক্টরের (India Semiconductor Mission) সিইও, সন্দীপ কুমারের মতে, শুধুমাত্র উচ্চ-মূল্যের সেমিকন্ডাক্টর পণ্য তৈরির দিকে না তাকিয়ে, ভারতের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সেমিকন্ডাক্টর সংস্থা, সেমি (SEMI)-র সভাপতি, অজিত মনোচা জানিয়েছেন, ভারতে প্রচুর ইংরেজিভাষী মানুষজন রয়েছেন। তাই সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং দক্ষতা অর্জন করাটা তাঁদের পক্ষে সহজ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • India Economy: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    India Economy: ২০৩০ সালেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ইঙ্গিত এস অ্যান্ড পি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালকের আসনে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তরতরিয়ে এগোচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির আগেই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা ‘বিকশিত ভারতে’র (Viksit Bharat)। তারও ঢের আগে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির (Worlds Third Largest Economy) দেশের তালিকায় ভারতকে (India Economy) জায়গা করে দেওয়াও তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে অটল ভারত সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং (S&P Global Rating)।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ (India Economy)

    ২০৩০ সালের মধ্যেই দু’ধাপ ওপরে উঠে ভারত জায়গা করে নেবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকার তিন নম্বরে। জানা গিয়েছে, ভারতের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ছুঁয়েছে ৩.৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তির সময় তাকে ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য ভারতের (India Economy)। সেই লক্ষ্য পূরণে ভারতকে মোকাবিলা করতে হবে একাধিক চ্যালেঞ্জের। এই চ্যালেঞ্জগুলোর অন্যতম হল এ দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। জনসংখ্যার নিরিখে ২০৩৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের এক নম্বর দেশ হয়ে উঠবে ভারত। তখন সরকারের ঘাড়ে চাপবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক পরিষেবা দেওয়ার চাপ। অর্থনীতির বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে ভারতকে।

    আরও পড়ুন: “কাশ্মীর কখনওই পাকিস্তান হবে না”, সাফ জানিয়ে দিলেন ফারুক আবদুল্লা

    এস অ্যান্ড পি-র রিপোর্ট

    এস অ্যান্ড পি-র (S&P Global Rating) রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী তিন বছর দ্রুত গড়াবে ভারতীয় অর্থনীতির (India Economy) চাকা। ভারত হবে অন্যতম উদীয়মান বাজার। এই বাজারগুলিই পরবর্তী দশকে বড় ভূমিকা রাখবে বিশ্ব অর্থনীতিতে (Worlds Third Largest Economy)। ওই গ্লোবাল রেটিং সংস্থার (S&P Global Rating) অনুমান, ২০৩৫ সালের মধ্যে উদীয়মান বাজারগুলির গড় জিডিপি হবে ৪.০৬ শতাংশ। এই সময় উন্নত অর্থনীতির জিডিপি হবে ১.৫৯ শতাংশ। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিতে ৬৫ শতাংশ যোগদান থাকবে উদীয়মান অর্থনীতির। তার মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলবে ভারত (India Economy)। বর্তমানে ওই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। ৩৫ সালের মধ্যেই চলে আসবে তৃতীয় স্থানে। ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলেরও উন্নতি হবে। ওই তালিকায় তাদের জায়গা হবে যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমধান হয়ে গিয়েছে।” মাসখানেক আগেই এ কথা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, “২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে পুরো ইন্দো-চিন সম্পর্ক গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    মাসখানেক পরে সোমবার সেই জয়শঙ্করই জানিয়ে দিলেন, “২০২০ সালের সংঘর্ষের আগে যেসব এলাকায় প্রবেশ সম্ভব ছিল, সেখানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ফের টহল দিতে পারবে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিদেশ সচিব ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় ও চিনা নেগোসিয়েটররা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এদিন তা নিশ্চিত করেন বিদেশমন্ত্রী।

    ‘পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব’

    এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমরা ২০২০ সালের পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব।” এদিনই সকালে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেছিলেন, “ভারতীয় ও চিনা আলোচকরা শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে অবশিষ্ট বিষয়গুলি সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলে পেট্রলিং সংক্রান্ত চুক্তির দিকে এগোচ্ছে আলোচনা। এই ব্রেকথ্রুর ঘোষণা এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের একদিন আগেই এসেছে।”

    আরও পড়ুন: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    প্রসঙ্গত, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও (S Jaishankar) কোনও ঘোষণা হয়নি, তবুও ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনয় বলেন, “আমরা চিনা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সামরিকস্তরেও বিভিন্ন স্তরের কমান্ডারদের বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। অতীতে এই আলোচনা বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের অবসানে ফলপ্রসূ হয়েছে। আপনারা জানেন, কিছু জায়গায় এখনও অবসান হয়নি দ্বন্দ্বের (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    Sikhs For Justice: দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা! কীভাবে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada)। বর্তমানে দেশটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য। কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জমানায় যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দুষ্কৃতীদের এই স্বর্গরাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs For Justice)। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী এই জঙ্গি সংগঠনের চাঁই গুরুপন্ত সিং পান্নুন। তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই পান্নুনের সংগঠনের ট্রুডোর অফিসের ওঠাবসা চলছে বছর তিনেক ধরে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা কবুলও করেছেন পান্নুন। ট্রুডো মন্ত্রিসভা সংখ্যালঘু। সেই সরকার টিকে আছে জোড়াতালি দিয়ে, শিখদের সমর্থন নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই সুড়ঙ্গ দিয়েই ট্রুডোর অফিসের লোকজনের সঙ্গে দহরম মহরম করছেন শিখস ফর জাস্টিসের লোকজন।

    খুলল ট্রুডো সরকারের মুখোশ (Sikhs For Justice)

    এই সংগঠনেরই নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয় গত জুনে, কানাডা-ভূমে। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। তবে ট্রুডো সরকারের এই দোষারোপের পর ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ‘বিকশিত ভারত’ পাশ থেকে সরে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে ট্রুডো সরকার। ভারত-কানাডার ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক মেরামত করতে উদ্যোগী হন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো স্বয়ং। সম্প্রতি ট্রুডো প্রকাশ্যে কবুল করেন, নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষারোপ করার সময় তাঁর কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না। তার পরেই খুলে যায় ট্রুডো সরকারের মুখোশ।

    খালিস্তান-প্রীতি

    ট্রুডো সরকারের খালিস্তান-প্রীতি (Sikhs For Justice) নিয়ে সরব হয়েছেন সে দেশের বিরোধীরাও। তাঁদের দাবি, খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নিজ্জর খুনে অনাবশ্যক উত্তেজনা তৈরি করে ট্রুডো সরকার অন্যান্য বিষয়ে তাদের অকর্মণ্যতাকে আড়াল করতে চাইছে। কানাডার পিপলস পার্টির নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বলেন, “নিজ্জর একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। তার পরেও তাঁকে ২০০৭ সালে জোর করে কানাডার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, ট্রুডো সরকারের উচিত প্রশাসনিক ভ্রান্তি দূর করে মরণোত্তরভাবে নিজ্জরের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। বার্নিয়ার বলেন, “কানাডা সরকারের উচিত একজন জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে এত জটিলতা তৈরি না করে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে মতভেদ মিটিয়ে ফেলা। কারণ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি কানাডার পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ।”

    নাৎসি-যোগ

    ২০১৮ সালে ট্রুডো সরকার চারজন রাশিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। রাশিয়া তৎকালীন কানাডিয়ান বিদেশমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের নাৎসি-যোগ প্রকাশ করার পরে আরও তিনজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ‘গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ ও অন্যান্য কানাডিয়ান মিডিয়ার দাবি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড প্রায় দু’দশক ধরে জানতেন, তাঁর মামাবাড়ির দাদুর সঙ্গে নাৎসি যোগ ছিল। সেই সময় ফ্রিল্যান্ড রাশিয়াকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ও কানাডিয়ান গণতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন।ফ্রিল্যান্ডের অফিসের (Canada) দাবি ছিল, ফ্রিল্যান্ডের দাদুর সঙ্গে নাৎসিদের যোগ কোনওকালেই ছিল না। তবে লিবারেল পার্টি লিডারের দাদুর সঙ্গে যে নাৎসিদের সত্যিই যোগ রয়েছে, এটা রাশিয়া সরকারের মিথ্যে প্রচার নয়, তার স্বপক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ ছিল। তার পরেও ফ্রিল্যান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছে ট্রুডো সরকার, শাস্তি দিয়েছে রাশিয়ান কূটনীতিকদের।

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু

    ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের দাদু মাইখাইলো চমিয়াক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান মিলিটারি গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি একটি প্রমিনেন্ট ইউক্রেনিয়ান পাবলিকেশনের এডিটর ছিলেন। এই পাবলিকেশন হিটলারকে নিয়ে হইচই করেছিল, প্রচার করেছিল তীব্র ইহুদি বিদ্বেষ। এই সংবাদপত্রের মাধ্যমেই নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা চলত, ছড়ানো হত নাৎসিদের মতাদর্শ, হোয়াইটওয়াশ করা হত হলোকাস্টকে। যুদ্ধ শেষে চমিয়াক সপরিবারে ঢুকে পড়েন কানাডায়। সেই থেকে তাঁরা রয়েছেন ট্রুডোর দেশে, যোগাযোগও রয়েছে নাৎসিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    নাৎসি-প্রীতি

    ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতিও প্রকাশ্যে আসে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় কানাডিয়ান হাউস অফ কমন্স দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রবীণ ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কাকে সংবর্ধনা দেয় (Sikhs For Justice)। যদিও জানানো হয়নি হুঙ্কা নাৎসিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি এসএস ইউনিটের সদস্য ছিলেন ১৯৪৩ সালে। ট্রুডোর নাৎসি-প্রীতির পর ইদানিং প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর শিখস ফর জাস্টিস-প্রেমের কথা। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার অশান্তির সূত্রপাত। যা নিয়ে ভারত-কানাডার বন্ধুত্বের সম্পর্কে ইতি।

    কানাডায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত 

    পান্নুনের নেতৃত্বাধীন শিখস ফর জাস্টিস (Sikhs For Justice) ছাড়াও আরও অন্তত তিনটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন লালিত-পালিত হচ্ছে ট্রুডো সরকারের জল-হাওয়ায়। এদের মধ্যে রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল। খালিস্তান আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ এই সংগঠন একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। খালিস্তানপন্থীদের এই সংগঠনই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান কনিষ্কয় বম্বিং করেছিল। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের।

    ১৯৮৪ সালে (Canada) ব্রিটেনে জন্ম হয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশনের। এই সংগঠনেরও শাখা রয়েছে কানাডায়। কানাডার মাটিতে লালিত হয়েছে প্রয়াত নিজ্জরের সংগঠন খালিস্তান টাইগার ফোর্স। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কার্জকর্মে লিপ্ত তারাও। এদেরই প্রধান মুখ ছিল নিজ্জর। কখনও হিন্দু মন্দিরে (Sikhs For Justice) হামলা, কখনও ভারত-বিরোধী স্লোগান দেওয়া, কখনও আবার হিন্দুদের কানাডা ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তুলেছে এই সংগঠন। তার পরেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন ট্রুডো। আসলে শিখ সমর্থন না থাকলে যে পড়ে যাবে (Canada) তাঁর সরকার!

    অতএব…।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    India-Canada Relation: ভারতের সঙ্গে সু-সম্পর্কের দাবি, কানাডার অভ্যন্তরে চড়ছে ট্রুডো-বিরোধী সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে (India-Canada Relation) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সঙ্গে কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। এই আবহে ট্রুডোর বিপক্ষে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়ের পোয়ালিয়েভ্রে। তাঁর দাবি, চিনের সহায়তায় দুটি নির্বাচন জিতেছেন ট্রুডো। ভারত সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিভ্রান্তিকর প্রচার করছেন কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    চিনের সঙ্গে ট্রুডোর সম্পর্ক

    সম্প্রতি ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন যে, কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। এই অভিযোগের জবাবে পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম, কোন কোন এমপি বিদেশি শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, প্রকাশ করতে। কিন্তু উনি তাঁদের নাম বলতে পারেননি। মিথ্যা প্রচার করাই ওনার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তবে লিবারেল পার্টি তথা ট্রুডোর দল সর্বদা চিনের সহায়তা নিয়ে চলে। তাঁরা চিনের সাহায্যেই দুটো নির্বাচন জিতেছে। এইবিষয়টি সামনে আসতেই নানা রকম মিথ্যা দাবি করছেন ট্রুডো।”

    ভারতের বিরুদ্ধে প্রমাণ কই?

    পোয়ালিয়েভ্রে আরও জানান নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ভারতের যুক্ত থাকার যে দাবি ট্রুডো এনেছিলেন তারও কোনও প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত, বুধবার তদন্ত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া বিবৃতিতে ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই জানিয়েছিলেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার সময়ে তাঁর কাছে শুধুমাত্র গোয়েন্দাসূত্রে পাওয়া খবর ছিল, হাতে-কলমে কোনও তথ্যপ্রমাণ ছিল না। পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “আমি ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এবং ইন্টেলিজেন্স উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার ডেপুটি মন্ত্রী ডেভিড মরিসন, এবং সিএসআইএস পরিচালক ড্যানিয়েল রজার্সের কাছ থেকে ব্রিফিং পেয়েছিলাম ভারতের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে। কিন্তু ট্রুডোর দল তখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেনি।” পোয়ালিয়েভ্রে বলেন, “যদি ট্রুডোর কাছে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকে, তবে তিনি তা জনসমক্ষে প্রকাশ করুন। কিন্তু তিনি তা করবেন না, কারণ তিনি এগুলো তৈরি করছেন।”

    ট্রুডো সরকারের অপপ্রচার

    পোয়ালিয়েভ্রে ছাড়াও পিপলস পার্টি অব কানাডার নেতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ার বৃহস্পতিবার বলেছেন, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (RCMP) এবং লিবারেল সরকার ভারতের (India-Canada Relation) বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। কিন্তু ভারতীয় কূটনীতিকদের বিপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ট্রুডোর সরকার। আসলে ট্রুডো এবং লিবারেল পার্টি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরাতেই এই সব মিথ্যা দাবি তুলছেন। বার্নিয়ার আরও দাবি করেন যে, গত বছর নিহত খলিস্তানি সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডিয়ান ছিলেন না। বার্নিয়ার বলেন, “একটি ভুল ধারণা ভেঙে দেওয়া উচিত। সত্য হল, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর আসলে একজন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী। যিনি ১৯৯৭ সাল থেকে একাধিকবার ভুয়া নথি ব্যবহার করে কানাডায় আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তাঁর আবেদনগুলি প্রত্যাখ্যাত হলেও, তাকে এই দেশে থাকতে দেওয়া হয়েছিল এবং ২০০৭ সালে তাঁকে কোনওভাবে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।”

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কাম্য

    বার্নিয়ার বলেন, এই পরিস্থিতি কানাডার দীর্ঘদিনের ভুলের ফল, যেখানে বিদেশিদের এবং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি ভারতের (India-Canada Relation) সঙ্গে ফের সু-সম্পর্ক স্থাপন করার আহ্বান জানান। বার্নিয়ার দাবি করেন, গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা উচিত নয়। এই পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে ভারতের সরকারের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলা উচিত। বিশ্বের একটি ক্রমবর্ধমান শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা কখনওই কাম্য নয়।

    আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস ইজরায়েলে, হামাস প্রধান সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত ডিএনএ পরীক্ষায়

    দিল্লির দাবি

    ইতিমধ্যেই নিজ্জর হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে ট্রুডো সরকারের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতকে অপমান করার একটি ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার’ বলে জানিয়েছে সাউথ ব্লক। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, কানাডার আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য ট্রুডো সরকার নতুন করে নিজ্জর বিতর্ক সামনে নিয়ে আসছে। খলিস্তানি নেতা নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো।  তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পাকিস্তানে দাঁড়িয়েই সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাণিজ্য আর যোগাযোগের পথে বড় অন্তরায় হল সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ।” পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (সংক্ষেপে এসসিও)-এর (SCO Summit) মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “যদি বিশ্বাসের অভাব থাকে বা সহযোগিতা অপর্যাপ্ত হয়, যদি বন্ধুত্ব যথাযথ না হয় ও ভালো প্রতিবেশী সুলভ আচরণ কোথাও অনুপস্থিত থাকে, তাহলে অবশ্যই আত্ম-বিশ্লেষণের কারণ রয়েছে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান দরকার।” এদিন অবশ্য পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করেননি জয়শঙ্কর। তবে নিশানা করেন সীমান্তপারের সন্ত্রাসে মদতদাতা পাকিস্তানকে। বলেন (S Jaishankar), “যদি সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যমে কার্যকলাপ পরিচালিত হয়, তাহলে তারা বাণিজ্য, জ্বালানি প্রবাহ, সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে বিনিময়কে এক সঙ্গে উৎসাহিত করার সম্ভাবনা খুবই কম।”

    গঠনমূলক অবদান ভারতের

    জয়শঙ্কর বলেন, “ইসলামাবাদের অনুষ্ঠিত এসসিও কাউন্সিল অফ হেডস অফ গভর্নমেন্টের বৈঠকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক অবদান রেখেছে ভারত। ফলপ্রসূ ৮টি নথিতে স্বাক্ষরও করেছে।” গত বছর এসসিও সম্মেলনে আয়োজক দেশ ছিল ভারত।এবার আয়োজন করেছে পাকিস্তান। আগামী বছর এসসিও সম্মেলন হবে রাশিয়ায়। সেজন্য ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। সম্মেলন হচ্ছে ইসলামাবাদের জিন্না কনভেনশন সেন্টারে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্তব্যের সমালোচনাও করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “সিপিইসি-র একাংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: হরিয়ানা বিজেপির পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত সাইনি, বৃহস্পতিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ

    উন্নয়নশীল দেশগুলোর (গ্লোবাল সাউথ) সঙ্কট ও অগ্রাধিকারকেও এসসিও-র মঞ্চে তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। খাদ্য, জ্বালানি ও সারের নিরাপত্তা নিয়েও সরব হন তিনি। জয়শঙ্কর বলেন, “এসসিওতে সহযোগিতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সার্বভৌমত্ব হওয়া উচিত সমতার ভিত্তিতে। আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যা অবশ্যই প্রকৃত অংশীদারিত্বের ওপর নির্মিত হতে হবে, এক তরফা (SCO Summit) এজেন্ডায় নয় (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: পান্নুন খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তদন্ত কমিটি

    India Canada Row: পান্নুন খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্তে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় তদন্ত কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে (Gupatwant Singh Pannun) হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেল ভারতীয় তদন্ত কমিটি (India Canada Row)। আজ, মঙ্গলবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ওই তদন্ত কমিটি। ভারত ও কানাডার মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় তদন্ত কমিটির আমেরিকা সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    কী বলছেন মার্কিন কর্তারা (India Canada Row)

    মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় তদন্ত কমিটি, যা নির্দিষ্ট কিছু সংঘবদ্ধ অপরাধীর কার্যকলাপ তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছিল, তারা সক্রিয়ভাবে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। ওই ব্যক্তি গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অভিযোগপত্রে ভারতীয় সরকারি কর্মী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। সেই ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক সিটিতে একজন মার্কিন নাগরিককে হত্যার পরিকল্পনা পরিচালনা করেছিলেন। এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছিল। বিবৃতিতে (India Canada Row) বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি ১৫ অক্টোবর ওয়াশিংটন, ডিসিতে যাবে। তদন্তের অংশ হিসেবে মামলাটি নিয়ে আলোচনা করতেই তারা সেখানে যাবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সে দেশে মামলার অগ্রগতির আপডেট পেতেও তারা সেখানে যাবে। ভারত আমেরিকাকে জানিয়েছে, তারা অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর অন্যান্য সংযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা-ও নেবে।

    অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য

    এদিকে, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ কমিশনার মাইক ডুহেমের দাবি, তাদের কাছে ভারত সরকারের এজেন্টদের দ্বারা পরিচালিত নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে ও সাম্প্রতিক কালে কানাডায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সফলভাবে তদন্ত করেছে। এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিকে হত্যা, তোলাবাজি-সহ অন্যান্য অপরাধমূলক কাজে সরাসরি জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করেছে। পান্নুনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানে পৌঁছলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, মার্কিন নাগরিক তথা খালিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্রে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিখিলকে। প্রায় এক বছর পরে চেক পুলিশ তাঁকে তুলে দেয় মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে। পান্নুন হত্যার চেষ্টার মামলায় নিখিলকে আদালতে পেশ করা হয়। সেই মামলায় (Gupatwant Singh Pannun) নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন নিখিল (India Canada Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share