Tag: India

India

  • Global Terrorism Index 2025: আবারও মুখ পুড়ল! সন্ত্রাসবাদের নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় পাকিস্তান, বাড়ছে টিটিপি-র দাপট

    Global Terrorism Index 2025: আবারও মুখ পুড়ল! সন্ত্রাসবাদের নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় পাকিস্তান, বাড়ছে টিটিপি-র দাপট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগোচ্ছে পাকিস্তান! তাদের চিরাচরিত গতিতে। বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ সূচকে পাকিস্তানের (Pakistan) স্থান দ্বিতীয়। গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স ২০২৫-এর (Global Terrorism Index 2025) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতের এই পড়শি রাষ্ট্র তালিকায় দু’ধাপ উপরে উঠেছে। ২০২৪ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী নানা ঘটনায় ১,০৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত তালিকা অনুসারে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে ৫১৭টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। যা ২০২৪ সালে ১,০৯৯টিতে পৌঁছেছে।

    দুনিয়াজুড়ে বাড়ছে সন্ত্রাস

    সিডনি ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস-এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালে পৃথিবীর ৪৫টি দেশে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। এছাড়াও, বিশ্বের চারটি মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ২০২৪ সালে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। যার ফলে সন্ত্রাসবাদী হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা দুনিয়াজুড়ে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক অনুসারে বিশ্বের প্রথম ১০ দেশের তালিকা-

    ১. বুরকিনা ফাসো
    ২. পাকিস্তান
    ৩. সিরিয়া
    ৪. মালি
    ৫. নাইজার
    ৬. নাইজেরিয়া
    ৭. সোমালিয়া
    ৮. ইসরায়েল
    ৯. আফগানিস্তান
    ১০. ক্যামেরুন

    ভারতের অবস্থানগত পার্থক্য হয়নি

    বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ সূচকে (Global Terrorism Index 2025) ভারতের অবস্থানগত কোনও পার্থক্য হয়নি। ২০২৩ সাল থেকেই ভারত এই তালিকায় আছে ১৪তম স্থানে রয়েছে। গাজা সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের কারণে মৃত্যুর হার বেড়েছে ইরানেও। এই তালিকায় সেকেন্ড বয় পাকিস্তান হলে ফার্স্ট বয় বুরকিনা ফাসো। সন্ত্রাসী হামলায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর এক পঞ্চমাংশ হয় এই দেশে। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির নামের অর্থ যদিও নৈতিক জাতির দেশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ সূচকে ৩৫তম স্থানে রয়েছে। আমেরিকা রয়েছে ৩৪তম স্থানে। তালিকায় সবচেয়ে নীচের দিকের (যেখানে সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে কম) দেশগুলি হল – ডেনমার্ক, আর্মেনিয়া, কসোভো, ইথিওপিয়া, আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, ইতালি, জাপান, ফিনল্যান্ড, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, তাজিকিস্তান, স্লোভাকিয়া, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    গত এক দশকে সবথেকে খারাপ অবস্থায় পাকিস্তান

    বিশ্বের সবথেকে খারাপ জিটিআই স্কোরের তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে এশিয়ার দুটি দেশ রয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) ও আফগানিস্তান। ২০২৫ সালের গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ সূচকে পাকিস্তান রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পাকিস্তানের স্কোর ৮.৩৭৪। আফগানিস্তান ৭.২৬২ স্কোর নিয়ে রয়েছে নবম স্থানে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮১ জনে। সম্প্রতি প্রকাশিত বার্ষিক গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স অনুসারে পাকিস্তান গত এক দশকে সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যের সংখ্যা বাড়ছে দিন প্রতিদিন। গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স (GTI) অনুযায়ী, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার কারণে মৃত্যু বেড়ে ৭৪৮ থেকে ১,০৮১ জনে পৌঁছেছে।

    সবথেকে সক্রিয় তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান

    পাকিস্তান (Pakistan) দিন দিন নিজেকে ক্ষয়িষ্ণু করে তুলছে। নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে দ্রুত উঠে আসছে। যার ফলে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে পাকিস্তানের ৫২ শতাংশ মৃত্যুর জন্য টিটিপি দায়ী ছিল। গত বছর টিটিপি ৪৮২টি হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে মারা গিয়েছিলেন ৫৫৮ জন। তথ্য বলছে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে অশান্তি বাড়ছে। বালুচিস্তান, খাইবার-পাখতুনখোয়ায় সন্ত্রাসী হামলার হার সবথেকে বেশি। রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বকে দুর্বল করতে টিটিপি ক্রমাগত তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাড়িয়ে চলছে। যার ফলে পাকিস্তান অপারেশন আজম-ই-ইস্তেহকামের মত সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০২৪ সালে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তানে সব থেকে ঘাতক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। বর্তমানে বিএলএ এবং বিএলএফ এর মত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছে। এই গোষ্ঠী গুলি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মত চিনা উদ্যোগকেও লক্ষবস্তু করছে।

    জঙ্গি প্রেমে ঘাটতি নেই পাকিস্তানের

    ২০২৪ সালে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেনকে টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় জঙ্গি হানার দেশের শিরোপা দখল করে নিলেও জঙ্গি প্রেমে ঘাটতি নেই পাকিস্তানের (Pakistan)। এখনও ভারত বিরোধী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বাড়বাড়ন্তের দৃশ্য ধরা পড়ল গোয়েন্দা উপগ্রহ চিত্রে। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে দ্য ইন্টেল ল্যাবের ভূ-গোয়েন্দা ড্যানিয়েল সাইমন জানাচ্ছেন, বাহাওয়ালপুরে দ্রুতগতিতে আস্তানা বাড়াচ্ছে জইশ। এখানকার জামিয়া মসজিদের আড়ালে পুলিশ, প্রশাসনের চোখের সামনেই প্রকাশ্যে জঙ্গিদের জন্য নতুন নতুন আস্তানা বাঙ্কার গড়ে তুলছে তারা। আয়তন প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮ একরেরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাকিস্তানের এই অধঃপতন অস্থির করে তুলতে পারে ইন্দো-পাক সীমান্তকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে। বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের রাশ আর সে দেশের প্রশাসনের হাতে নেই। কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে সেনা এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলি। যার ফলে আর্থ-সামাজিক দিক দিয়ে ক্রমশ ভেঙে পড়ছে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ।

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তনের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার অপসারণ এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এটি হল পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি ইঙ্গিত। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেটি হল, বাংলাদেশের নেতারা কি ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে যেতে চাইছেন? দীর্ঘদিন ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল বাংলাদেশ। হাসিনা-উত্তর জমানায় বদলাতে চলেছে সেই পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির জন্য নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও গভীর উদ্বেগের।

    শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা (Bangladesh)

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণের ওপর পাকিস্তানের নৃশংস সামরিক দমন-পীড়ন ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক জুন্টা, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামি লিগকে দেওয়া গণতান্ত্রিক রায় মেনে নিতে রাজি হয়নি। এর পরেই “অপারেশন সার্চলাইট” নামের একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযান চলাকালীন ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক গুম হয়। এই অভিযানে অকালে প্রাণ খোয়ান প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি। বাস্তুহারা হন লাখ লাখ মানুষ। পাক সামরিক বাহিনী, জামাত-ই-ইসলামির মতো স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায়, পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী, ছাত্র এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিশানা করেছিল অত্যাচারীরা। এই অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করা।

    বেদনাবিধুর গল্প

    এই সময়ের ক্ষত এখনও (Bangladesh) দগদগে বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে। ঢাকার গণকবর, ধর্ষণ, জীবিতদের সাক্ষ্য এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নৃশংসতায় বিচ্ছিন্ন হওয়া অসংখ্য পরিবারের বেদনাবিধুর গল্প কেবল ইতিহাসের পাতার ফুটনোট নয়, বরং মনে করিয়ে দেয় কেন বাংলাদেশ পাকিস্তানের (Pakistan) দমনমূলক শাসন থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করেছিল। প্রশ্ন হল, ঢাকার নয়া সরকার কি ১৯৭১ সালে লাখ লাখ বাংলাদেশির আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করবে? যে দেশ এক সময় বাংলাদেশের অস্তিত্বটাকেই মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের সঙ্গে ফের গড়বে সখ্যতা?

    ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে এই গণহত্যার পর পার হয়ে গিয়েছে অর্ধশতকেরও বেশি সময়। তার পরেও পাকিস্তান আজও তাদের নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চায়নি। ঐতিহাসিক অপরাধ স্বীকার করার কোনও সদিচ্ছাও তারা দেখায়নি। জার্মানি যেমন তাদের নাৎসি অতীতের মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পুনর্মিলনের চেষ্টা করেছিল, পাকিস্তান তার বদলে বেছে নিয়েছে অস্বীকারের পথ। একের পর এক পাকিস্তানি সরকার ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে একটি সাজানো গল্প হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে, যা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    বিদ্বেষের দৃষ্টি

    বাংলাদেশ অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে (Bangladesh) পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তবে তখনও পাকিস্তানের নেতারা দায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বরং তারা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সামরিক কর্মকর্তাদের গৌরবান্বিত করেছিল। অতীতের এই অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার করাটা শুধু ইতিহাসের প্রতি অবমাননাই নয়, বরং পাকিস্তানের অপরিবর্তিত মানসিকতার প্রতিফলন। এই (Pakistan) মানসিকতা থেকে এখনও পাকিস্তান বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে নয়, বরং বিদ্বেষের দৃষ্টিতে দেখে।

    পাকিস্তান-প্রীতির বিপদ

    এর পরেও ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ইসলামাবাদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান যদি কখনও তার অপরাধের জন্য অনুতাপ প্রকাশ না করে, তবে আজ বাংলাদেশ কীভাবে আশা করতে পারে যে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হবে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ (Bangladesh) একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলির একটি হিসাবে তার জায়গা সুসংহত করেছে। তার সরকারের ভারতের সঙ্গে কৌশলগত জোট বাংলাদেশকে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে। তবে নয়া প্রশাসনের পাকিস্তান-প্রীতির কারণে এসবই এবার ভেস্তে যেতে পারে।

    ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা

    পাকিস্তানের বাংলাদেশকে কাছে টানার প্রয়াস নিঃস্বার্থ নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা করে আসছে। এটা একমাত্র সম্ভব হতে পারে এই অঞ্চলের অসন্তোষকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে (Pakistan)। যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেকে একীভূত করে, তবে এটি নিজের নিরাপত্তা কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি নেবে। কারণ ইসলামাবাদ ঐতিহাসিকভাবে প্রক্সি গ্রুপ ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অশান্তি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে জামাত-এ-ইসলামির মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর পুনরুত্থান বিপদ সংকেত দেয়। এরাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পক্ষে ছিল। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের নয়া সম্পর্ক ভারতের পক্ষে বিপদ সংকেত বই কি!

    বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান (Bangladesh) বরাবর বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের সময় থেকেই তারা ঢাকার রাজনীতিতে মাথা গলানোর চেষ্টা করেছে। হাসিনা জমানায় পাত্তা না পেয়ে বাংলাদেশের কাছে তারা আদতে হয়েছিল ফেউ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও, পাকিস্তান সক্রিয়ভাবে ঢাকার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন স্বাধীনতার পরে তারা বাংলাদেশের ন্যায্য আর্থিক সম্পদের অংশ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এটি একটি সদ্যোজাত রাষ্ট্রের কাছে বড় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছিল (Pakistan)।

    পাকিস্তান কি আদৌ আন্তরিক

    পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি নেটওয়ার্কও সমানভাবে উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স সংস্থা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশেষ করে, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি নামক জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করেছে। এটি দেশে অশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, পাকিস্তান বারবার কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, বহুপাক্ষিক ফোরামে ঢাকার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে। এই প্রতারণার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ কেন বিশ্বাস করবে যে পাকিস্তানের “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের” নতুন আগ্রহটি আদতে আন্তরিক?

    ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) পাকিস্তানের সঙ্গে ফের সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বলে মনে হলেও, তারা তাদের ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ। তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার ভারত। বাংলাদেশ প্রশাসনের এই পাকিস্তান প্রেমের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভারতই প্রথম দেশ যে তাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে (Pakistan)। তার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই পোক্ত হয়েছিল। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে পরিকাঠামোগত নানা সাহায্য করেছিল। দিয়েছিল নিরাপত্তাও। সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা থেকে শুরু করে জ্বালানি বাণিজ্য পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই ‘মাখামাখি’ আদতে হয়ে দাঁড়াবে আরও একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ। আর যদি তা হয়, তবে তা দুর্বল করে দেবে বাংলাদেশের আঞ্চলিক অবস্থানকে।

    সাধু সাবধান!

    পাকিস্তান তার ইসলামপন্থী এজেন্ট ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সদ্য উষ্ণ সম্পর্ক হয়তো পাকিস্তানের জন্য সেই সুযোগ এনে দিতে পারে, যার মাধ্যমে তারা পূর্বের হারানো প্রভাব ফিরে পেতে পারে (Pakistan)। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে যে কয়েক দশকের অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা পড়তে পারে (Bangladesh) কুমিরের মুখে।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • India Vs New Zealand: ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দৌড়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড

    India Vs New Zealand: ছিটকে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দৌড়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড (India Vs New Zealand)। বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন মিচেল স্যান্টনাররা। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছে ভারত। এবার লড়াই ট্রফি জয়ের।

    লাল বলে হারের বদলা সাদা বলে

    গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) ফাইনালে হারের বদলা গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে নিয়েছেন রোহিতরা। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গত এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালের বদলাও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ বার ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ রোহিতদের সামনে। তা ছাড়া প্রথম টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তাই আগামী রবিবার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে একসঙ্গে জোড়া হারের বদলা নিতে পারবে ভারতীয় দল।

    নিউজিল্যান্ডের নজির

    বুধবার, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (ICC Champions Trophy 2025) ‘চোকার্স’ তকমা ঘুচল না দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৬২ রান করে নিউ জিল্যান্ড। সেমিফাইনালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দলগত সর্বোচ্চ রানের নজির গড়ল কিউইরা। জবাবে টেম্বা বাভুমাদের ইনিংস শেষ হয় ৩১২ রানে। নিউজিল্যান্ডের জয়ের কারিগর কেন উইলিয়ামসন এবং রাচিন রবীন্দ্র। দু’জনেই শতরান করেন লাহোরের ২২ গজে। তাঁদের দাপটের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কাজে এল না ডেভিড মিলারের শতরান।

    আগ্রাসী ভারত-লড়াকু নিউজিল্যান্ড

    ২৫ বছর পর ফের ভারত-নিউজিল্যান্ড (India Vs New Zealand) কোনও ওডিআই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি। ২০০০ সালের ফল ভারতের পক্ষে ছিল না। সেই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নাম ছিল আইসিসি নক-আউট প্রতিযোগিতা। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে হেরেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া। তবে ২৫ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। ভারত এখন অনেক বেশি আগ্রাসী। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে (India Vs New Zealand) হারিয়েছিল ভারত। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও রোহিত শর্মাদের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তবে, নিউ জিল্যান্ড লড়াকু দল। তাই ৯ মার্চ দুবাইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড মধ্যে ফাইনাল হবে আকর্ষণীয়।

  • Bofors Case: বোফোর্স মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত

    Bofors Case: বোফোর্স মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোফোর্স মামলায় (Bofors Case) গুরুত্বপূর্ণ নথির খোঁজে আমেরিকার দ্বারস্থ হল ভারত (India)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত এ ব্যাপারে একটি জুডিশিয়াল অনুরোধ পাঠিয়েছে। বোফোর্স কেলেঙ্কারি ৬৪ কোটি টাকার মামলা। সরকার আটের দশকের শেষের দিকে কংগ্রেস সরকারের আমলে সুইডেন থেকে ১৫৫ মিমি ফিল্ড আর্টিলারি গান কেনার সঙ্গে জড়িত এই কেলেঙ্কারির তদন্ত পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    ‘রোগেটরি লেটার’ (Bofors Case)

    সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে একটি বিশেষ আদালত থেকে জারি করা হয় ‘রোগেটরি লেটার’ (Letter Rogatory)। সেটি পাঠানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে। ভারতীয় সংস্থা সেই কেসের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে। এই তথ্য মার্কিন প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্সের প্রধান মাইকেল হার্শম্যানের কাছে ছিল। এই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছিল যে সুইডিশ অস্ত্র নির্মাতা এবি বোফোর্স ভারত থেকে ৪০০টি হাউইৎজার কামানের অর্ডার পাওয়ার জন্য ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ (Bofors Case)।

    হার্শম্যানের দাবি

    ২০১৭ সালে হার্শম্যান দাবি করেছিলেন, খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী “রেগে গিয়েছিলেন”। হার্শম্যানের দাবি, তিনি সুইস ব্যাঙ্কে মোঁ ব্লঁ (Mont Blanc) নামের একটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছিলেন। এই অ্যাকাউন্টেই বোফোর্সের দেওয়া ঘুষের অর্থ জমা রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। হার্শম্যান আরও দাবি করেছিলেন, তৎকালীন কংগ্রেস সরকার তাঁর তদন্তকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছিল (India)।

    এজেন্সিটি প্রথমবার দিল্লির আদালতের সঙ্গে অক্টোবর মাসে যোগাযোগ করেছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা তাদের জানিয়েছিল। এই পদক্ষেপটি হার্শম্যানের কারণে নেওয়া হয়েছিল। তিনি ভারতীয় এজেন্সিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ‘লেটার রোগেটরি’ হল একটি আনুষ্ঠানিক, লিখিত অনুরোধ যা একটি দেশের আদালত অন্য দেশের আদালতের কাছে পাঠায় প্রমাণ সংগ্রহ বা ফৌজদারি মামলার তদন্ত এবং বিচারের সুবিধার্থে সহায়তার জন্য।

    ১৯৯০ সালে এই মামলা নথিভুক্ত (India) করেছিল সিবিআই। ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে চার্জশিট দাখিল করে। রাজীব গান্ধীকে নির্দোষ ঘোষণা করার পর একটি বিশেষ আদালত হিন্দুজা ভাইদের-সহ বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগও খারিজ করে দেয় (Bofors Case)।

  • Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

    Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় রকেটের গতিতে উত্থান হচ্ছিল বাংলাদেশের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় (India) বসেন মহম্মদ ইউনূস। তার পর থেকেই পতন হতে থাকে বাংলাদেশের (Bankrupt Bangladesh) উন্নয়নের পারা। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশেরও অবস্থা হবে পাকিস্তানের মতো। ভিক্ষাপাত্র হাতে বিশ্বের দোরে দোরে ঘুরলেও, সাহায্য মিলবে না। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে উদ্যোগের প্রয়োজন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনূসকে তা নিতে দেখা যায়নি। বরং গদি আঁকড়ে বসে থাকতে যা যা করণীয়, কৌশলে তিনি তা অহরহ করে চলেছেন বলে অভিযোগ।

    অবনতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ (Bankrupt Bangladesh) 

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার কারণে এমনিতেই সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এখন আবার দেখা দিয়েছে নয়া সঙ্কট। বন্ধ হওয়ার মুখে বাংলাদেশের চিংড়ি ব্যবসা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণের সিংহভাগ কারখানা। রফতানির পরিমাণ হ্রাস ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের মুখে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।

    কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ

    কথায় বলে, কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বাংলাদেশের কাছে যেটা সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই ভারতের কাছে হয়েছে পৌষ মাস। কারণ যে যে শিল্পগুলি বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেই সেই ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে ভারতের কাছে খুলে যাচ্ছে সুযোগের আবারিত দ্বার (Bankrupt Bangladesh)।

    ডেইলি স্টারের রিপোর্ট

    বাংলাদেশের পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, একসময় লাখ লাখ মার্কিন ডলার আয় করা চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এখন তীব্র মন্দার মুখে পড়েছে। রফতানি অর্ধেকে নেমে (India) আসার কারণে অধিকাংশ চিংড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্পে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হত। এটি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ডও ছিল। তবে, কাঁচামালের ঘাটতি, রফতানির পতন, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং সরকারের উত্থান-পতনের কারণে এই শিল্প এখন ডুবে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (BFFEA)-এর মতে, আগে দেশে ১০৯টি চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ছিল (Bankrupt Bangladesh)। তবে বর্তমানে চালু রয়েছে খুলনায় মাত্র ৩০টি এবং চট্টগ্রামে ১৮টি কারখানা। বাকি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এসব কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪,০০,০০০ টন হলেও তারা প্রয়োজনীয় চিংড়ি উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ পাচ্ছে। এই ঘাটতির কারণে অনেক কারখানা ইতিমধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজনীয় চিংড়ির মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ সংগ্রহ করতে পারছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি কারখানা উৎপাদন চলাকালীনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    আদতে লাভ হয়েছে ভারতের

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে বাংলাদেশের উন্নয়নের পারদ পতন হওয়ায় আদতে লাভ হয়েছে ভারতের। ভারত চিংড়ির একটি বৃহৎ রফতানিকারক দেশ। ভারতে উৎপাদিত চিংড়ি চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ১ লাখ ৭৮১ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি করেছে। এই পরিমাণ চিংড়ির মোট মূল্য ৬০,৫২৩.৮৯ কোটি টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করেছে ২৯৭,৫৭১ মেট্রিক টন ফ্রোজেন চিংড়ি। বাংলাদেশি চিংড়ি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়। বাংলাদেশ এই চিংড়ি বেশিরভাগ রফতানি করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি চিংড়ি রফতানি হয় ইইউ দেশগুলিতে। বাংলাদেশে এই শিল্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় এখন ভারত এই দেশগুলিতে রফতানি করতে পারবে। ফলে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে (Bankrupt Bangladesh)।

    ভ্যানামেই চিংড়ি চাষ

    ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চাষ হচ্ছে ভ্যানামেই চিংড়ি। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে চাষ শুরু হয় এই প্রজাতির চিংড়ির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে চাষের এলাকার পরিমাণও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে বাজার। কম লবণাক্ত জলে এই প্রজাতির চিংড়ি চাষ করে পথ দেখিয়েছে হরিয়ানা। সেখানে দুই মৎস্য বিজ্ঞানীর পরামর্শে ভ্যানামেই চাষ করে প্রথমবারই উৎপাদন হয়েছিল ১০ হাজার টন। সেখান থেকেই এই প্রজাতির চিংড়ি চলে যাচ্ছিল গুজরাট এবং দিল্লির বিভিন্ন বাজারে।

    আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যানামেইয়ের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এই প্রজাতির চিংড়ির স্বাদ বাগদার স্বাদের কাছাকাছি। তবে বাগদার মতো দেখনদারি এর নেই। এর নিজস্ব জৈব (India) গন্ধও তত চড়া নয়। তাই বিশ্বের বাজারে ক্রমেই বাড়ছে এই প্রজাতির চিংড়ির চাহিদা। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প মার খাওয়ায় এবার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের দুয়ারে (Bankrupt Bangladesh)।

  • India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    India Vs Australia: বিরাট-ব্যাটে ফাইনালে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না রোহিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত। আমেদাবাদের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল এই জয়। ঘরের মাঠে অপরাজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পায়নি ভারত। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে (India Vs Australia) হারিয়েছে রোহিত-ব্রিগেড। ১১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ভারত। দলটা অস্ট্রেলিয়া, তাই যেন ম্যাচ না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই জয়ের কৃতিত্ব গোটা দলকে দিয়েছেন তিনি।

    দলগত সাফল্যেই জয়

    এদিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। জয়ের জন্য ভারতের কাছে লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রান। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “না জেতা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম না। ওদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল, জিততে গেলে আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে। আমরা সেটাই করেছি। সকলে ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। জেতা ছাড়া আমাদের মাথায় কিছুই ছিল না। সকলে মিলে আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি।”

    রো-‘হিটে’র নজির

    এদিন আইসিসি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার নজির গড়লেন রোহিত। মঙ্গলবার রোহিত আইসিসির প্রতিযোগিতায় নিজের ৬৫তম ছক্কা মারলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। ভেঙে দিলেন ক্রিস গেলের বিশ্বরেকর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ব্যাটার আইসিসির প্রতিযোগিতায় ৬৪টি ছক্কা মেরেছিলেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৪৯টি। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার। আইসিসির প্রতিযোগিতায় তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৪৫টি।

    চেজ মাস্টার কোহলি, ছাপিয়ে গেলেন সচিনকে!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সেমিফাইনালে ৮৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এল বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের জয় এনে দিল তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে আরও একটি কীর্তি গড়লেন কোহলি। রান তাড়া করতে নেমে এক দিনের ক্রিকেটে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় কোহলিকে। তা যে শুধু কথার কথা নয়, তার প্রমাণ কোহলির পরিসংখ্যান। সচিন তেন্ডুলকরের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রান পূর্ণ করলেন কোহলি। ১৭০টি ম্যাচে এই সাফল্য অর্জন করলেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে সচিন ২৪২টি ম্যাচে করেছেন ৮৭২০ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ৮৮.৪। কোহলি রান তাড়া করতে নেমে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ৯৩.৩ স্ট্রাইক রেটে। এ ক্ষেত্রে কোহলির গড় ৬৪.৭১। রান তাড়া করতে নেমে এখনও পর্যন্ত ২৪টি শতরান করেছেন কোহলি। সচিন করেছিলেন ১৪টি শতরান।

    কেন হাতছাড়া শতরান

    এদিন তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই এক দিনের আন্তর্জাতিকে ৫২তম শতরান হাতছাড়া করলেন কোহলি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বিরাট সে কথা মেনেও নিলেন। কোহলি বলেছেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান মতো বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি সেই রানটা করে নিয়ে আর দু’ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করে দিতে। মাঝেমাঝে সে ভাবেই খেলতে চাই। তবে কখনও-সখনও আপনি যেটা চান সেটা কাজে লাগে না।” আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরিরর নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। কেরিয়ারে সব মিলিয়ে একশোটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এদিন সচিনের সঙ্গে বিরাটের ব্যবধান আরও একটু কমবে, এমন সম্ভাবনাই ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৪ রানে ফেরেন চেজমাস্টার।

    মাত্র ৫টি বাউন্ডারি, কোনও ছয় নেই, সিঙ্গল ৫৬!

    বিরাট কোহলির ৮৪ রানের ইনিংসে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি। কোনও ছয় নেই। সিঙ্গল নিয়েছেন ৫৬টি! পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির ইনিংসেও ৭টি মাত্র বাউন্ডারি মেরেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলি বলেন, “আমার মতে আজকের ইনিংসটাও পাকিস্তান ম্যাচের মতোই। সেখানে সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ৭টি বাউন্ডারি মেরেছিলাম। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি। মরিয়া হয়ে রান তাড়া করার চেষ্টা করিনি। মাঠের এ দিক-ও দিক খুচরো রান নিতে পেরে ভাল লাগছিল। যখন আপনি ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে খুচরো রান নিতে পারবেন, তখন বুঝবেন ভাল খেলছেন। পাকিস্তান এবং আজকের ম্যাচে আমার কাছে সবচেয়ে তৃপ্তির জায়গা এই বিষয়টাই। আমার কাছে সবচেয়ে জরুরি পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করা। স্ট্রাইক রোটেট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, এই ধরনের পিচে পার্টনারশিপ খুবই জরুরি। আজও সেটাই চেষ্টা করেছি।”

    পরবর্তী বিশ্বকাপেও থাকবেন কোহলি!

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) আগে তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতেই একের পর এক বড় ইনিংস খেলে সমস্ত সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি আবার কি এক দিনের ক্রিকেটে সেরা ফর্মে? সহাস্য কোহলির উত্তর, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন। আমি ও সব নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। মাইলফলকের দিকে না তাকিয়ে দলের জয়ের কথা ভাবলে এ ধরনের জিনিস আপনা থেকেই হতে থাকবে। দল যা চায় সেটা করতে পারলে আমি গর্বিত হই। মাইলফলক আর আকৃষ্ট করে না।” তাহলে কী দলের জন্যই ফের একবার একদিনের বিশ্বকাপে খেলতে চান কোহলি? আপাতত লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল। আরও একটি আইসিসি খেতাব।

  • India: ভারত সফলভাবে চরম দারিদ্র্য দূর করতে পেরেছে, বলছে নয়া গবেষণা

    India: ভারত সফলভাবে চরম দারিদ্র্য দূর করতে পেরেছে, বলছে নয়া গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) সফলভাবে চরম দারিদ্র্য দূর করতে পেরেছে। গত দশকে দারিদ্র্যের স্তরে সবচেয়ে তীব্র পতনও প্রত্যক্ষ করেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির ওপর “ভারতে অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির চারটি সত্য” শীর্ষক একটি গবেষণায় অর্থনীতিবিদ সুরজিত এস ভল্লা এবং করণ ভাসিন ভারতের দারিদ্র্য প্রবণতার একটি যুগান্তকারী বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছেন। গবেষণা করা হয়েছে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালের জন্য গৃহস্থালী ভোগব্যয় সমীক্ষার ভিত্তিতে। সেখানেই জানা গিয়েছে, ভারত সফলভাবে দূর করতে পেরেছে চরম দারিদ্র্য (Poverty)।

    চরম দারিদ্র্য নির্মূল (India)

    সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে ভারতের চরম দারিদ্র্যের হার ১ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। ২০১১-১২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১২.২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের ১.৯ ডলার পিপিপি এবং ২.১৫ ডলার পিপিপি দারিদ্র্যসীমা এই ড্রামাটিক হ্রাসের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এটি ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

    বৈষম্য হ্রাস

    এই গবেষণায়ই দেখা গিয়েছে, গত বারো বছরে ভারতে বৈষম্য কমেছে। আয়ের বৈষম্য মাপার সূচক গিনি সহগ ২০১১-১২ সালে ছিল ৩৭.৫। ২০২৩-২৪ সালে এটাই কমে ২৯.১-এ পৌঁছেছে। উচ্চ-উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে ভারতের (India) এই বৈষম্য হ্রাস একটি বিরল ঘটনা। বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারত এখন এমন একটি দেশ যেখানে বৈষম্য বাড়ছে না, বরং কমছে। ভুটান এবং ডোমিনিকান রিপাবলিক এই ক্ষেত্রে বড় ধরনের হ্রাস দেখিয়েছে। তবে এই দুই দেশেই জনসংখ্যা অনেক কম। সাধারণত, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে বৈষম্য বৃদ্ধি পায়, যেখানে ধনীরা আরও ধনী হন এবং দরিদ্ররা দরিদ্রই থেকে যান। তবে ভারত এ ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রমী হিসেবেই প্রমাণিত হচ্ছে, যেখানে অর্থনৈতিক ফারাক বাড়ছে না, কমছে।

    গরিবদের মধ্যে বাড়তি ভোগব্যয়

    ভারতের জনসংখ্যার নীচের তিনটি (Poverty) দশমাংশে ভোগব্যয় বৃদ্ধির এক অভূতপূর্ব প্রবণতা দেখা গিয়েছে। গবেষণাটি দেখায়, খাদ্য, গৃহস্থালী পণ্য এবং আসবাবপত্রের মতো টেকসই সামগ্রীর ক্ষেত্রে মাসিক মাথাপিছু ভোগব্যয়ের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে। ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যে ব্যয় বেড়েছে ১০.৭ শতাংশ। আর যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রের মতো ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ২৪.২ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে, জনসংখ্যার নীচের ৩০ শতাংশের মাসিক মাথাপিছু ভোগব্যয় ১১.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবণতা নির্দেশ করে যে সরকারি কল্যাণমূলক কর্মসূচি, আয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ভারতের দরিদ্রতম পরিবারের আর্থিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

    একটি নতুন দারিদ্র্যসীমার প্রয়োজন

    গবেষকদের দাবি, ভারত প্রায় সম্পূর্ণভাবে চরম দারিদ্র্য দূর করতে সক্ষম হয়েছে, যা খুব কম উন্নয়নশীল দেশ করতে পেরেছে। গবেষকদের যুক্তি, ভারতের বর্তমান দারিদ্র্যসীমা পুরনো এবং এটি বঞ্চনার বৃহত্তর মাত্রাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁরা ইউরোপীয় মান অনুসারে একটি আপেক্ষিক (India) দারিদ্র্যসীমা গ্রহণের প্রস্তাব দেন। এখানে মধ্যম আয়ের ৬০ শতাংশকে দারিদ্র্যের সীমা ধরা হয়।

    ডেটার ভ্যালিডিটি

    নয়া এইচসিইএস ২০২২-২৩ সমীক্ষায় যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা এইচসিইএস ২০১১-১২-র সমীক্ষার সঙ্গে তুলনীয় নাও হতে পারে – এমন একটা উদ্বেগ গবেষকদের ছিল। তাই ডেটার ভ্যালিডিটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাঁরা জাতীয় অর্থনৈতিক নথির সঙ্গে সমীক্ষার তথ্যের তুলনা করেছেন সার্ভে টু ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস অনুপাত ব্যবহার করে। তাই ফল সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল — ২০১১-১২ সালে ৫২.৪ শতাংশ, ২০২২-২৩ সালে ৪৬.৯ শতাংশ এবং ২০২৩-২৪ সালে ৪৭.৯ শতাংশ। এটি প্রমাণ করে যে দারিদ্র্যের হ্রাস সমীক্ষার পদ্ধতির পরিবর্তনের কারণে নয়, বরং এটি মানুষের জীবনযাত্রার প্রকৃত উন্নতির প্রতিফলন (Poverty)।

    “আপেক্ষিক দারিদ্র্যসীমা”

    গবেষকরা “আপেক্ষিক দারিদ্র্যসীমা” ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন। এটি ইউরোপের অনুরূপ। এখানে দারিদ্র্য সংজ্ঞায়িত হয় মধ্যম আয়ের ৬০ শতাংশ হিসাবে। এই পদ্ধতি ভারতে প্রয়োগ করা হলে জনসংখ্যার ১৬.৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত হতেন। অন্য একটি পদ্ধতিতে, গড় আয়ের ৫০ শতাংশ ব্যবহার করলে, ২৪.৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র বলে বিবেচিত হতেন। এটি ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন, আরও প্রাসঙ্গিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

    দারিদ্র্য বিতর্কে পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণাটি দারিদ্র্যের স্তর নিয়ে বিতর্ক থেকে সরে এসে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখা নীতিগুলোর বোঝাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। গবেষণার ফলগুলি ভল্লা প্রভৃতি (২০২২) এবং রয় ও ভ্যান ডার ওয়াইড (২০২৫)-এর পূর্ববর্তী গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা গত দশকে ভারতের দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি করে।

    এছাড়াও, চরম দারিদ্র্যের নির্মূলের পরে, এখন মনোযোগ দিতে হবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংহতকরণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির (Poverty) জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে। গবেষণাটি দেখায় যে ভারতের লক্ষ্যভিত্তিক কল্যাণমূলক অর্থনৈতিক কৌশলগুলি (India) এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

  • Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফিসফিস করে কথাগুলি বলছিলেন বছর ঊনত্রিশের শাহজাদি খান (Shahzadi Khan)। উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা শাহজাদি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ফোনে কথাগুলি বলছিলেন আবুধাবির (Abu Dhabi) একটি জেল থেকে। এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় শাহজাদির।

    মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক (Shahzadi Khan)

    ছোট থেকে শাহজাদির মুখে পোড়া দাগ ছিল। সেই দাগগুলি তাঁকে পীড়া দিত। বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও কটু কথা শুনতে হত তাঁকে। তিনি চেয়েছিলেন মুখের দাগ মুছে ফেলতে। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহজাদির সঙ্গে পরিচয় হয় আগ্রার উজাইরের। সে তাকে প্লাস্টিক সার্জারি করার আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আবুধাবিতে পৌঁছান শাহজাদি। অস্ত্রোপচার না করিয়ে উজাইর তাঁকে তার আত্মীয় ফয়েজের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানে শাহজাদিকে গেরস্থালির কাজ করতে হত। পরের বছর অগাস্টে ফয়েজের স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহজাদিকে। ৭ ডিসেম্বর শিশুটিকে টিকা দেওয়া হয়। রাতে মৃত্যু হয় তার। এর পরেই শাহজাদির বিরুদ্ধে শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৩১ জুলাই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় শাহজাদিকে। তার পরেই তাঁকে (Shahzadi Khan) পাঠিয়ে দেওয়া হয় আল ওয়াথবা জেলে।

    শাহজাদির শেষ ইচ্ছে

    গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার আগে জেল কর্তৃপক্ষ শাহজাদির কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর শেষ ইচ্ছের কথা। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে থাকা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো একবার কথা বলতে চান। ১৪ তারিখ রাতেই প্রস্তুত করা হয় ফাঁসির মঞ্চ। তার পরেই শুরু হয় তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ-পর্ব। ফোনে শাহজাদি তাঁর বাবা সাব্বির খানকে জানিয়েছিলেন, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। তার পরেই তিনি বলেন, “বাবা, এখন আর কিছুই করা সম্ভব নয়।” মৃত্যুর আগে উজাইরকে ক্ষমা করে দিতে বলেন শাহজাদি।

    তিনি বলেন, “উজাইরকে দয়া করে ক্ষমা করে দিও বাবা। ওর বিরুদ্ধে করা মামলাটা তুলে নাও। এখন আর এই মামলার মানে কী? আমিই যখন থাকব না, তখন আমি আর কোনও শত্রুতা চাই না।” এরপর আর শাহজাদির সঙ্গে (Abu Dhabi) কোনও কথা হয়নি তাঁর পরিবারের। শাহজাদির পরিবার জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে তারা একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিল। তারাই সোমবার শাহজাদির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করে (Shahzadi Khan)।

  • PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে ভারত। রফতানির দিক থেকেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে নিজের জায়গা অনেকটাই মজবুত করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, অ্যাপল ফোনে ব্যবহৃত একাধিক সরঞ্জামের রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজের জায়গা মজবুত করেছে ভারত। বিশ্বের বাজারে ভালো ব্যবসা শুরু করেছে ভারতে নির্মিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম। এই সমস্ত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরবরাহ করছে চিন এবং ভিয়েতনামে। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে ভারতে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম (Global Electronics Supply Chain)। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির মানচিত্রে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে ভারত। অনেকে মনে করছেন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের এমন সরবরাহ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক যা আগে কখনও দেখা যায়নি এবং বিশ্বব্যাপী এই ভাবেই বাণিজ্যে ভারতের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অবশ্য একটাই কারণ তা হল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচি।

    মোদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে ভারতের বাণিজ্য নীতির

    ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই ধরনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন বিশ্ব বাণিজ্য নীতির আমূল পরিবর্তনের ফলে। যে ধরনের উদ্যোগ মোদি সরকার (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিয়েছে তার যথেষ্ট প্রশংসা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন উদ্যোগের ফলে ভারতবর্ষে ব্যবসার এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেখানে অ্যাপেল ফোনের সরবরাহ সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলি যেমন মাদার সন গ্রুপ, জাবিল গ্রুপ এবং টাটা ইলেকট্রনিক্স এক অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে। এই পরিবেশ নির্মাণ পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের নীতির কারণে। যার ফলে সহজ হয়েছে উৎপাদন বাণিজ্য। এর ফলেই ভারতবর্ষে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক শিল্পের এক বড়সড় ইকোসিস্টেম। ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে এমন ইকোসিস্টেম আগে কখনও দেখা যায়নি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতেই তা সম্ভব হয়েছে। অনুকূল বাণিজ্যের পরিবেশ পেয়ে এই সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে উৎপাদন করতে পারছে। সেই উৎপাদিত সরঞ্জাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। রফতানিকারক দেশ হিসেবে এভাবেই এগিয়ে চলেছে ভারত।

    কূটনৈতিক দিক থেকে কেন গুরুত্বপূর্ণ

    প্রসঙ্গত এই ধরনের রফতানিকারক দেশ হওয়াতে ভারতবর্ষের কূটনৈতিক দিক থেকেও একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এসেছে। তা হল বাণিজ্যে চিনের যে একাধিপত্য, সেটাও এবার কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে শুধু বিশ্বের অন্যান্য দেশেই যে ভারতের বাণিজ্য বিস্তৃত হবে তা নয়, অ্যাপলের সরঞ্জাম তৈরির মাধ্যমে এদেশেও অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের কর্মসংস্থানেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে এবং তা বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    ২০৩০ সালের মধ্যে রফতানি ব্যবসা হবে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

    প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে ভারতের এমন প্রবেশ এটাই প্রমাণ করে যে দেশ অর্থনীতিতে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। আপেলের সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি ভারত নজর দিয়েছে অন্যান্য ইলেকট্রনিক উৎপাদন সংস্থাগুলিতেও। এই সেক্টরগুলিতে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগও ব্যাপক পরিমাণে আসছে বলেই খবর। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ভারতবর্ষের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে রফতানিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ঢুকে পড়বে ভারত। আপাতত এই লক্ষ্যমাত্রা এগিয়ে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।

    বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ভারতবর্ষের এমন উন্নতি বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভারতবর্ষের এমন উদ্যোগ আসলে সামনে আনছে যে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন সংস্থাকারী দেশ হিসেবে ভারত ক্রমেই অন্যান্য যেকোনও দেশকে পিছনে ফেলতে চলেছে খুব শীঘ্রই। এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতি এক মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রতিবেদনের প্রথমেই বলা হয়েছে যে ভারত বর্তমানে রফতানি করছে অ্যাপল কোম্পানির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, দুটি দেশে এক, চিন এবং অপরটি হল ভিয়েতনাম। এই দুই দেশই আপেলের বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ভারতের এমন উদ্যোগ যথেষ্ঠ প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলবে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান- এই সব দেশকেও। এই দেশগুলিই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে ইলেকট্রনিক্সের বাজারকে কব্জা করে রয়েছে।

  • Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে (Kashmir-Manipur Remark) ভিত্তিহীন মন্তব্যের অভিযোগে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে তুর্কের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানান রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দায়সারা মন্তব্য করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগে সরব হন তিনি। ভারত সুস্থ ও বৈচিত্র্যময় গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদেই বিশ্বাসী বলে জানান অরিন্দম। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ভারতকে নিয়ে এসব ভিত্তিহীন ও সারবত্তাহীন দাবির থেকে বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    ভারতের কড়া জবাব

    রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন (ইউনাইটেড নেশন্‌স হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইট্‌স)-এর প্রধান ভল্কার তুর্কের কাশ্মীর ও মণিপুর প্রসঙ্গে মন্তব্য অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। সোমবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তুর্ক। ওই সময়ে ভারতের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তুর্ক জানান, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে আরও উদ্যোগী হওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন অরিন্দম।

    ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

    রাষ্ট্রপুঞ্জে অরিন্দম বাগচী বলেন, “যেহেতু ভারতকে নাম করে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমি প্রথমেই বলতে চাই, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতে একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা রয়েছে। অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্যগুলি বাস্তব পরিস্থিতির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।” অরিন্দমের মতে, এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগকে (Kashmir-Manipur Remark) বার বার ভুল প্রমাণ করেছেন ভারতবাসীরা। ভারতের বৈচিত্র এবং ভারতীয় সমাজের মুক্তচিন্তাকে আরও ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। তুর্কের উদ্বেগ উড়িয়ে দিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি রয়েছে এবং উন্নয়নও হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন, সেখানে ভোটদানের হার এবং পর্যটনের বিকাশের কথাও তুলে ধরে ভারত। এই ঘটনাগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত উন্নয়নের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় জানান অরিন্দম।

    ভারতের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হোক

    বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দিল্লি। জেনেভায় ওই সভায় তুর্ককে পাল্টা জবাব দিয়ে বাগচী বলেন, “এধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে বারবার ভারত ভুল প্রমাণিত করেছে। ভারত সম্পর্কে বলতে গেলে আরও পড়াশোনা করে আসার অনুরোধ রইল। ভারতের বৈচিত্র্য ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে সঠিক জ্ঞানটুকু থাকা প্রয়োজন।” রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সোমবার বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি তুলে ধরার সময়ে ইউক্রেন, গাজা, আমেরিকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে সেখানে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের সাফ বার্তা, যাঁরা বলছেন এসব কথা, তাঁদের উদ্দেশে একটাই পরামর্শ— আয়নায় নিজেকে ভালো করে দেখুন।

    মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

    উল্লেখ্য, অশান্তি কবলিত মণিপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি সংঘর্ষ। সেই থেকেই জাতিহিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যটি। এই মুহূর্তে মণিপুরের কী পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করণীয়, সবটাই আধিকারিকদের থেকে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দ্রুত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে আগামী দিনে বড়সড় পদক্ষেপ করা হতে পারে, বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কাশ্মীরে উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, এমন একটি যুগ ছিল যখন দেশের অন্যান্য অংশে আইন প্রয়োগ করা জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর করা যায়নি। সারা দেশে দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ৩৭০ ধারার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এখন সময় বদলেছে। ৩৭০ ধারা রদের পর সারা দেশ যে সুবিধা পায়, সেই সুবিধাই পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। এখানে সম্প্রতি পর্যটন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপত্যকায় নয়া রেল প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে যা সাহায্য করবে। উন্নয়নের শক্তি, পর্যটন সম্ভাবনা, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের নেতৃত্বই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশ, এমনই আশা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উন্নত ভারত গঠনের জন্য উন্নত-আধুনিক কাশ্মীরও চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

LinkedIn
Share