Tag: India

India

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    PM Modi in Croatia: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা, প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক ক্রোয়েশিয়া সফরে চার-চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপ হোক বা এশিয়া— সংঘর্ষের সমাধান যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমেই হওয়া উচিত। ক্রোয়েশিয়ায় (PM Modi in Croatia) ফের একবার শান্তির পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি ভারতের অবিচল অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাইপ্রাস, কানাডার পর ক্রোয়েশিয়া সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই গুরুত্বপূর্ণ দেশে মোদির সফর ছিল কর্মব্যস্ত ও তাৎপর্যপূর্ণ, যা ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

    মোদিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

    বুধবার ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই দেশে মোদি (PM Modi in Croatia) প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পা রাখলেন। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিমানবন্দরে মোদিকে স্বাগত জানান ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ (Andrej Plenkovic)। অপারেশন সিঁদুরের পর এই প্রথম ত্রিদেশীয় সফর করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ক্রোয়েশিয়া সফর তাঁর তালিকায় আগে থেকেই ছিল। এই সফরে দুই দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সই করেছে।

    ক্রোয়েশিয়ায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    ক্রোয়েশিয়ার প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia)। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে পৌঁছানোর পর, সেখানকার ভারতীয়রা “বন্দে মাতরম” এবং “ভারত মাতা কি জয়” ধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় নৃত্যও পরিবেশন করা হয়। এদিন সাদা পোশাক পরা ক্রোয়েশিয়ান নাগরিকদের একটি দল ‘গায়ত্রী মন্ত্র’ এবং অন্যান্য সংস্কৃত শ্লোক উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান। এই অনুষ্ঠান ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বন্ধন তুলে ধরে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “সংস্কৃতির বন্ধন দৃঢ় এবং প্রাণবন্ত! জাগরেবে স্বাগত জানানোর একটি অংশ এখানে দিলাম। ক্রোয়েশিয়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির এত শ্রদ্ধা দেখে খুশি হলাম।” আরেকটি পোস্টে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাগরেবে তাঁর উষ্ণ অভ্যর্থনার একটি সুন্দর দুই মিনিটের ভিডিও শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও রয়েছে। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “জাগরেবে স্মরণীয় স্বাগত, উষ্ণতা এবং স্নেহে পরিপূর্ণ!”

    প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচের সঙ্গে বৈঠক

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) জাগরেবে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে প্লেনকোভিচের সঙ্গে প্রতিনিধি-স্তরের বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ প্রেস বিবৃতিতে উভয় নেতা বিশ্ব শান্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালী করার পাশাপাশি, ওষুধ শিল্প, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিচ্ছন্ন ও ডিজিটাল প্রযুক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাহাজ নির্মাণ, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান মোদি। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে, যার আওতায় যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক বিনিময় এবং শিল্প পর্যায়ের অংশীদারিত্ব থাকবে।

    সফরকালে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে:

    কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতা

    ২০২৬-২০৩০ সালের সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি

    ২০২৫-২০২৯ সালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কর্মসূচি

    জাগরেব বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি চেয়ার স্থাপন

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ

    আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Croatia) ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোরান মিলানোভিচের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির কথা পুনরুল্লেখ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ায় যোগব্যায়ামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস যথাযোগ্য উৎসাহে পালিত হবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। তিনি এপ্রিল ২২ তারিখে ভারতের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ক্রোয়েশিয়ার জনগণ ও সরকারের সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

    ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা

    প্রধানমন্ত্রী প্লেনকোভিচ জাগরেবে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Croatia) সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। যা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রা দেয়। বিদায় বেলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্রোয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর কথায়, এই সফর ভারত-ক্রোয়েশিয়া সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে যা শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিন্ন লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে, বলে মনে করছে কৃটনৈতিক মহল।

  • Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    Assembly Bypolls: বৃষ্টি মাথায় নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণ দেশের আরও ৪ কেন্দ্রেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, গুজরাট এবং কেরলের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে উপনির্বাচন (Assembly Bypolls)। এদিন সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার ঢের আগে থেকেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা (NDA)। এদিন যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে, তার মধ্যে একটি আসন পশ্চিমবঙ্গের। এটি হল নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। রাজ্যে চলছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    ভোট চলছে কালীগঞ্জে (Assembly Bypolls)

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনটির রাশ ছিল তৃণমূলের হাতে। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের কন্যা আলিফা আহমেদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বামফ্রন্টের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন কাবিলউদ্দিন শেখ। আর পদ্মপ্রতীকে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির আশিস ঘোষ। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতিও। এই বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে ১৬২টি, বুথের সংখ্যা ৩০৯। ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৬৭০ জন। বৃষ্টি মাথায় করেই সকাল থেকে বুথে বুথে ভিড় করেছেন ভোটাররা।

    কড়া নিরাপত্তা বলয়

    কালীগঞ্জ কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন করা হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৭০০ পুলিশ। নজরদারিতে থাকছে ২০টি ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ৬টি টিম। কমিশন সূত্রে খবর, ১০০ শতাংশ বুথেই থাকছে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। নজরদারির জন্য জেলা ও বিধানসভা ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি স্তরে নজরদারিতে থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। ২০১১ এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কালীগঞ্জ আসনটি দখল করেছিল তৃণমূল। এই দু’বারই জয়ী হয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লাখ ১১ হাজার ৬৯৬টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পেয়েছিলেন ৬৪ হাজার ৭০৯টি ভোট। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে তাঁকে হারিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন (Assembly Bypolls)।

    কালীগঞ্জ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত

    কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের (NDA) অন্তর্গত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে কালীগঞ্জে বিজেপির চেয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জন্য যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন, সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৫ হাজার ৮৪০ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে ৩ হাজার ৪২৬ জন মৃত। কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ২ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের সিংহভাগই সংখ্যালঘু। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কালীগঞ্জের মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৬৩ জন। মহিলা ভোটার (NDA) ১ লাখ ২২ হাজার ৩০৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন (Assembly Bypolls)।

    ভোট চলছে পাঞ্জাবে

    পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উপনির্বাচন হচ্ছে আপ শাসিত পাঞ্জাবের লুধিয়ানা (পশ্চিম) কেন্দ্রেও। আপ বিধায়ক গুরপ্রীত সিং গোগীর মৃত্যুর জেরে হচ্ছে অকাল নির্বাচন। কেন্দ্রের রাশ ধরে রাখতে আপ প্রার্থী করেছে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জীব অরোরাকে। অরোরার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির জীবন গুপ্তা। এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ভারত ভূষণ আশু, শিরোমণি অকালি দলের তরফে লড়ছেন পরুপকার সিং ঘুম্মান।

    গুজরাটের দুই আসনেও ভোট

    উপনির্বাচন হচ্ছে গুজরাটের দুই আসনেও। একটি হল কাড়ি বিধানসভা এবং অন্যটি বিসাবদার। বিজেপি বিধায়ক কারসনভাই সোলাঙ্কির মৃত্যুতে খালি হয় কাড়ি আসনটি। গেরুয়া শিবির এখানে প্রার্থী করেছে রাজেন্দ্র চাভদাকে। আর কংগ্রেসের প্রতীকে লড়ছেন রমেশ চাভদা। আপ প্রার্থী করেছে জগদীশ চাভদাকে (Assembly Bypolls)। বিসাবদারে আগের বিধায়ক ভায়ানি ভূপেন্দ্রভাই আপ ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে (NDA)। এবার ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কিরিত প্যাটেলকে। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন নিতিন রানপরিয়া। আপের প্রতীকে লড়ছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা গোপাল ইটালিয়া।

    ভোট কেরলেও

    বিধানসভার উপনির্বাচন হচ্ছে কেরলের নীলাম্বুরেও। এ রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরও কম সময় আগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রটি খালি হয়েছিল পিভি আনওয়ারের কারণে। বাম সমর্থনে তিনি নির্বাচিত হয়েছে দু’বার। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক আর্যাদান মোহাম্মদের পুত্র আর্যাদান শাউকতকে। রাজ্যের শাসক দল এলডিএফ প্রার্থী করেছে এম স্বরাজকে। প্রসঙ্গত, নীলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রটি ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বর্তমানে এই কেন্দ্রের সাংসদ কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্র (Assembly Bypolls)।

  • Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    Asim Munir: ‘‘আপনি কাপুরুষ’’! আমেরিকায় ‘স্বদেশি’দের হাতেই বিক্ষোভের মুখে পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গিয়েও রক্ষে নেই পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের (Asim Munir)। পাঁচ দিনের আমেরিকা সফরে গিয়েছেন তিনি। উঠেছেন ওয়াশিংটনের একটি হোটেলে। সেখানে হাজির হন পাকিস্তানের নাগরিক এবং পাক-বংশোদ্ভূত প্রচুর মানুষ। তাঁরা পাকিস্তানে নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে সোচ্চার হন। ওয়াশিংটনের এই বিক্ষোভের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে শোনা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আসিম মুনির আপনি একজন কাপুরুষ। আপনি গণহত্যাকারী, ধিক্কার আপনাকে’। পরে ফের বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘ধিক্কার আপনাকে, একনায়ক এবং পাকিস্তানিদের হত্যাকারী’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে উপস্থিত সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। কারণ তাঁরা তাঁদের হোটেলের বিল্ডিংয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন।

    আসিম মুনির গণহত্যাকারী (Asim Munir)

    ভাইরাল হওয়া অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে একটি মোবাইল ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা গিয়েছে। বিল্ডিংয়ের সামনে পার্ক করে রাখা ওই বিলবোর্ডে লেখা, ‘আসিম মুনির (Asim Munir), গণহত্যাকারী’ এবং ‘যখন বন্দুক কথা বলে, তখন গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়’। জানা গিয়েছে, যাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন, তাঁরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থক। এঁরা বরাবরই বর্তমান পাক সরকারের বিরোধিতা করে আসছেন। মুনিরের সফর সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি দূতাবাসের বাইরে প্রতিবাদ জানিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

    ওয়াশিংটনে মুনির

    রবিবার ওয়াশিংটনে পৌঁছন মুনির। উদ্দেশ্য, আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করা। ‘প্রাথমিকভাবে দ্বিপাক্ষিক প্রকৃতি’র এই সফর ১৪ জুন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। কারণ ওই দিন মুনির ওয়াশিংটনে গেলেও যোগ দেননি মিলিটারি প্যারেডের অনুষ্ঠানে। অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল শনিবার ওয়াশিংটনে মিলিটারি প্যারেডে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শালকে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় হোয়াইট হাউস।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভারতের ওই অভিযানে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা হয় পাকিস্তানের। তা সত্ত্বেও সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে প্রমোশন দেয় শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)। তাঁকে উন্নীত করা হয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ ফিল্ড মার্শাল পদে (Asim Munir)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    Strait of Hormuz: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে বন্ধ হতে পারে হরমুজ প্রণালি! কেন ভারতের জন্য এই জলপথ গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। এই আবহে দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ হরমুজ প্রণালি নিয়ে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালি। এই হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।

    ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত হল হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz)

    হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়। হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত, তবে জাহাজের জন্য প্রকৃত নাব্য চ্যানেলটি মাত্র কয়েক কিলোমিটারই প্রশস্ত রয়েছে। এই কারণেই এই অঞ্চল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রয়েছে। এগুলি হল—ইরানের আব্বাস বন্দর, এই বন্দর মূলত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ কেন্দ্র। হরমুজ প্রণালির কাছাকাছি রয়েছে ওমানের সোহার বন্দর, এই বন্দর বাণিজ্য তথা জাহাজের রুট বদলের জন্য ব্যবহৃত হয়। হরমুজ প্রণালিতে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ফুজাইরা বন্দর, এই বন্দরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজ বন্দর হিসেবে পরিচিত।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে প্রতিদিন যায় বিশ্বের পাঁচ ভাগের একভাগ তেল

    হরমুজ প্রণালির (Strait of Hormuz) মাধ্যমেই আশেপাশের বেশিরভাগ উপসাগরীয় দেশ তেল ও গ্যাস রফতানি করে। এই কারণে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল প্রতিদিন (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি।

    ভারতের ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA) যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত। ভারতের (India) ৮৫ শতাংশের বেশি অপরিশোধিত তেল আসে এই হরমুজ প্রণালি দিয়েই। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে তা দেশের জন্য বেশ উদ্বেগের কারণ। বিপুলভাবে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের দাম। এই হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    হরমুজ প্রণালি দিয়ে ভারতের রফতানি (Strait of Hormuz)

    অন্যদিকে, এই পথ (Strait of Hormuz) দিয়ে ভারত রফতানিও করে অনেক কিছু। যেমন যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, গয়না, রাসায়নিক ইত্যাদি। যার ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয় এবং তার সঙ্গে তেলের দাম বাড়ে, তাহলে বিমান সংস্থা ও টায়ার শিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের টাকাও ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে তখন আর্থিক নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হতে হবে, বিশেষ করে বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    বিকল্প কী রয়েছে ভারতের কাছে?

    মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত, তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। পরিসংখ্যান বলছে, বিগত এপ্রিল মাসে ভারত আফ্রিকার দেশগুলি থেকে ১২ শতাংশ তেল আমদানি করেছিল, গত মে মাসে সেটা কমে দাঁড়ায় ৫ শতাংশে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘাত শুরু হয়েছে, তাতে পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যদি হরমুজ প্রণালি সত্যিই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দেশগুলি থেকে তেল কেনার কথা ভারত (India) ভাববে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এখান থেকে তেল নিয়ে তেলের ঘাটতি কতটা মেটানো যাবে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ৯.৫ দিনের তেল। তবে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তেল নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।

  • Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    Khalistanis: কানাডায় ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান খালিস্তানিদের, রেগে লাল এদেশের শিখরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের কানাডা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কানাডার কার্নি সরকারের আমন্ত্রণে এই সফরে তিনি গিয়েছেন অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী কানাডার মাটিতে পা রাখার পরেই আন্দোলনের নামে ‘নোংরামি’ করতে শুরু করেছে কানাডার জল-হাওয়ায় আশ্রয় ও প্রশ্রয় পাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী একাধিক খালিস্তানপন্থী (Khalistanis) শিখ সংগঠন।

    বিক্ষোভকারীদের আপত্তিকর স্লোগান (Khalistanis)

    কানাডার অ্যালবার্টায় বসেছে জি৭-এর শীর্ষ বৈঠক। সোমবার সেখানেই যোগ দিতে যান প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ক্যালগারি শহরে প্রতিবাদ র‍্যালি করে খালিস্তানপন্থী নেতারা। বিক্ষোভের সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা আপত্তিজনকভাবে ‘মোদিকে খুন করো’ স্লোগান দিচ্ছে। ভারতের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে। এদিন বিক্ষোভকারীরা ক্যালগেরি সিটি হলের বাইরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো হয়। তারা খালিস্তানপন্থীদের ঝান্ডা ওড়াচ্ছিল। পোস্টারগুলিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিন্দে করা হয়েছে। একটি পোস্টারে তাঁকে হাতকড়া পরা অবস্থায় এবং অন্যটিতে জেলের ভেতরে দেখানো হয়। পোস্টারের নীচে লেখা, আমি নিজ্জরকে হত্যা করেছি, যিনি একজন কানাডিয়ান নাগরিক। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন শিখস ফর জাস্টিসের একশোরও বেশি সদস্য। সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বকশিস সিং সান্ধু বলেন, “কানাডায় মোদির উপস্থিতি ছিল ভারতকে দায়ী করার একটি সুযোগ।” খালিস্তান গণভোটের বিষয়ে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনি জি৭ নেতাদের আহ্বানও জানান। তাঁর দাবি, এটি পাঞ্জাবের ওপর কথিত দখলদারিত্ব শেষ করার একটি পদক্ষেপ।

    শিশুদের লেলিয়ে দিল খালিস্তানপন্থীরা!

    অন্য একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে (Khalistanis), ভারতকে অপমান করতে খালিস্তানপন্থীরা এগিয়ে দিয়েছে শিশুদের। তারা ভারত বিরোধী প্রচার করছে। অবমাননা করছে ভারতের জাতীয় পতাকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজন নাবালককে। ভিডিওর ছবি থেকেই স্পষ্ট, খালিস্তানপন্থীরা ফ্রেমের বাইরে দাঁড়িয়ে শিশুদের উৎসাহিত করছে ভারতীয় পতাকা ও প্রধানমন্ত্রী মোদির ছবিকে অপমান করতে। সব মিলিয়ে মোট ৬ জন শিশু এই ঘটনায় জড়িত। অন্য একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী মঞ্জিন্দর সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করার শপথ নিচ্ছেন।

    লজ্জিত ভারতীয় শিখরা

    কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের এহেন আচরণে যারপরনাই লজ্জিত ভারতে বসবাসকারী শিখরা। বিজেপির শিখ নেতা মঞ্জিন্দর সিং সিরসা বলেন, “কানাডায় যা ঘটছে, যেখানে শিখ শিশুদের ঘৃণা ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা দেখে প্রতিটি শিখ গভীরভাবে ব্যথিত ও লজ্জিত।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত অবাক করার মতো ঘটনা। কীভাবে কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে ছোট ছোট শিশুদের ব্যবহার করছে। তাদের এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যা তালিবানি প্রোপাগান্ডার মতো মনে হচ্ছে।” সিরসা বলেন, “বিশ্ববাসীর কাছে এটি শিখ শিশুদের ভুলভাবে উপস্থাপন করছে এবং তাদের মনে ঘৃণা ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ফলে গোটা বিশ্বের চোখে শিখদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের চরমপন্থী হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণভাবে গুরু গ্রন্থ সাহিব জি-র শিক্ষার ও শিখ ধর্মের মূলনীতির বিরোধী। এই ধর্ম আলাপ আলোচনা ও মানবসেবার ওপর জোর দেয় (Khalistanis)।”

    মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টার বক্তব্য

    অল ইন্ডিয়া অ্যান্টি-টেররিস্ট ফ্রন্টের সভাপতি মনিন্দরজিৎ সিং বিট্টা বলেন, “যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করা হয়, তখন কীভাবে ভারতের শিখ সম্প্রদায় নীরব থাকে?” আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ হরভজন সিং বলেন, “আমি মনে করি আজকাল যা কিছু ঘটছে বিশেষ করে বাচ্চারা যা করছে, তার অনেক কিছুই তারা নিজেরাই বুঝতে পারে না। তাই এটা আমাদের, মানে বড়দের এবং পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় যে তাদের বুঝিয়ে বলা আসলে কী ঘটছে। যা ঘটেছে, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।” তক্ত শ্রী হরমন্দির সাহিবের সেক্রেটারি, হরবংশ সিং বলেন, “এটি দেখে এবং শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। যা ঘটেছে, আমরা তা সমর্থন করি না (PM Modi)। আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি যা করছেন, তিনি তাঁর নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন (Khalistanis)।”

    শিশুদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে

    সর্দার ত্রিলোচন সিং বলেন, “এরা অন্য একটি দেশের শিশু, যাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে, এবং তারা ভারতের মানুষের অনুভূতিকে উসকে দিচ্ছে। তাদের ‘ব্রেনওয়াশ’ করা হয়েছে, যা কোনও অ্যাঙ্গেল থেকেই গ্রহণযোগ্য নয়। কানাডা সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে এভাবে অপমান করা একেবারেই ঠিক হয়নি। তিনি শিখ সম্প্রদায়, দেশ এবং বিশ্বের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।”

    কানাডায় লালিত হচ্ছে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন

    দেশ এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর অপমানে যখন ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় শিখরা, তখন কানাডায় দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় একাধিক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এদের মধ্যে সব চেয়ে পুরানো হল ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন। ১৯৮১ সাল থেকে এই সংগঠনটি কানাডা থেকেই পরিচালিত হচ্ছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এই সংগঠনে অর্থায়ন করে। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কনিষ্ক’ বিমানে বোমা হামলার নেপথ্যে ছিল এই সংগঠনই। এই সংগঠনটিই হত্যা করেছিল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বেন্ট সিংকে। এর প্রধান নেতা ওধওয়া সিং বাব্বর বর্তমানে পাকিস্তানে বসবাস করছে (Khalistanis)।

    ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ একাধিক সংগঠন

    ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন’ও। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং কানাডায় এদের শাখা রয়েছে। সেই সব দেশ থেকেই পরিচালিত হয় এই সংগঠনের কাজকর্ম। এদের মূল লক্ষ্য হল ‘খালিস্তান’ গঠন করা। এই সংগঠনকে টাকা জোগায় কানাডার বাসিন্দা জঙ্গি মানবীর সিং দুহদা। খালিস্তানপন্থী আর একটি গোষ্ঠী হল ‘শিখ লিবারেশন ফ্রন্ট’। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এর কার্যকলাপের ওপর সবসময় নজর রাখে। বর্তমানে এর কাজকর্ম পরিচালনা করে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা মনিন্দর সিং বুয়াল। ভারতীয় ইউএপিএ আইনে নিষিদ্ধ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্স’ও। এরা মূলত অনলাইনের মাধ্যমে শিখ যুবকদের খেপিয়ে দেয় এবং তাদের দিয়ে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে (PM Modi)।সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে চলেছে ‘শিখস ফর জাস্টিস’। এর প্রতিষ্ঠাতা গুরুপতওন্ত সিং পান্নু। এর কাজকর্ম পরিচালিত হয় আমেরিকা থেকে। ইউএপিএ আইনে মোদি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এই সংগঠনকেও। এরা প্রায়ই ভারতের মানচিত্র বিকৃত করে এবং ভারতীয় নেতাদের হত্যার হুমকি দেয়।

    জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন

    হিংসার মাধ্যমে খালিস্তান গঠনের লক্ষ্যে জন্ম হয়েছিল ‘খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সে’র। এর নেতা ছিল পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই সংগঠনের (Khalistanis)। কানাডায় মাথা তুলেছে ভারতে নিষিদ্ধ আরও একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন। এরা হল ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’। এর প্রতিষ্ঠাতা জগতার সিং তাড়া। এক সময় সে ছিল বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্য। পরে গড়ে নিজস্ব সংগঠন। ১৯৯৫ সালের ৩১শে অগাস্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল জগতার সিং তাড়া। ২০১৫ সালে তাইল্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে (PM Modi)।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডার এই ঘটনার (ভারত ও প্রধানমন্ত্রীকে অপমান) পর জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করা উচিত কানাডার কার্নি সরকারের। কারণ বর্তমানে যে বিষবৃক্ষের চারা তারা লালন করছে, সেই গাছে ফল ধরলে কিন্তু কানাডার হাল হবে পাকিস্তানের মতোই (Khalistanis)।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

  • Rare Earth Metals: বিরল ধাতু রফতানিতে নিষধাজ্ঞা চিনের, দেশে প্রভাব পড়তে পারে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদনে

    Rare Earth Metals: বিরল ধাতু রফতানিতে নিষধাজ্ঞা চিনের, দেশে প্রভাব পড়তে পারে বৈদ্যুতিক যানবাহনের উৎপাদনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বৈদ্যুতিক যানবাহনের (Rare Earth Metals) চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভারতবর্ষেও সড়কে এখন বৈদ্যুতিক যানবাহন দেখা যায়। পরিবেশবান্ধব এই যানবাহন কিনতেই গ্রাহকদের আগ্রহ বেশি থাকে, কারণ এই ধরনের যানবাহনগুলি খরচ-সাশ্রয়ীও হয়। কিন্তু বর্তমানে ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ চিন বিরল ধাতু রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই ধাতুগুলির মধ্যে অন্যতম হল নিওডিয়ামিয়াম। এই ধাতু অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বক তৈরি করতে সক্ষম। এই ধাতু থেকে তৈরি চুম্বকগুলি বৈদ্যুতিক যেকোনও যানবাহনের জন্যই অপরিহার্য। বিশেষত ওই যানবাহনগুলির মোটর তৈরি করতে কাজে লাগে এই চুম্বক। যা বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলিকে টেকসই করতেও অনেকটাই কাজে লাগে।

    বিরল ধাতু (Rare Earth Metals)

    বর্তমানে পৃথিবীর এই বিরল ধাতুগুলি সম্পর্কে আমাদের প্রথমেই জানা উচিত, এগুলি আসলে খুব বেশি বিরল নয়। যতটা পরিমাণ তামা পৃথিবীতে পাওয়া যায়, তার চেয়েও বেশি এই ধাতুগুলি পাওয়া যায়। তবে ১৭টি ধাতব উপাদানকে বিরল ধাতুর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে এই ধাতুগুলিকে তামা বা লোহার মতো ঘনীভূত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এ কারণেই এগুলোকে বিরল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধাতুগুলিকে নিষ্কাশন এবং পরিশোধন করতে হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং পরিবেশের দিক থেকে ক্ষতিকারকও বটে। ঠিক সেই কারণেই এগুলোকে বিরল (Rare Earth Metals) বলা হয়।

    চিন পরিবেশের নিয়ম মানেনা (Rare Earth Metals)

    আমাদের প্রতিবেশী দেশ চিন এসবের কিছু অবশ্য তোয়াক্কা করে না। তারা পরিবেশগত কোনও নিয়ম-কানুন মানে না। এজন্যই চীনের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে, যেখানে জনসংখ্যা কম, সেখানেই এই ধরনের ধাতুগুলির নিষ্কাশনের কাজ করা হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষে (India) সেরিয়াম, ইট্রিয়াম, ল্যান্থানাম-এর মতো ধাতুগুলি রয়েছে এবং তা আধুনিক প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ধাতব বাজারে বর্তমানে চিনের আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে। যেমন, বিশ্বব্যাপী চাহিদাসম্পন্ন টারবিয়াম এবং লুটেটিয়াম এই দুই ধাতুর ৯৮ শতাংশ সরবরাহ করে বেজিং। এলইডি তৈরির জন্য এই দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    বন্ধ হতে চলেছে নিওডিয়ামিয়ামের আমদানি

    অন্যদিকে, বৈদ্যুতিক যানবাহন বা বায়ু টারবাইনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো নিওডিয়ামিয়াম। এই নিওডিয়ামিয়াম থেকে তৈরি চুম্বকগুলি যে গাড়িতে ব্যবহার করা হয়, সেই মোটরগুলি ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই কারণেই অনেকেই এই ধাতব উপাদান ব্যবহার করতে চান। জানা গিয়েছে, ভারত (India) বর্তমানে চিন থেকে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য প্রায় বারোশো কোটি টাকার নিওডিয়ামিয়াম চুম্বক আমদানি করত এতদিন। এবার সেটিই বন্ধ হতে চলেছে।

  • Plane Crash: ২৭ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ১১এ-র যাত্রী

    Plane Crash: ২৭ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ১১এ-র যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী অদ্ভূত সমাপতন! দু’জনেই পড়ে গিয়েছিলেন বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) কবলে। বরাত জোরে বেঁচেও গিয়েছেন দু’জনে। অবাক করার বিষয় হল দু’জনের সিট নম্বরও এক – ১১এ। দু’টি দুর্ঘটনার সময়ের ব্যবধান অবশ্য ২৮ বছরের। ফেরা যাক খবরে, গত ১২ জুলাই আমেদাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। সব মিলিয়ে বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। তাঁর মধ্যে বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজন। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্বাস কুমার রমেশ। তিনি বসেছিলেন বিমানটির ১১এ আসনে।

    ১১এ আসনের যাত্রী (Plane Crash)

    তাইল্যান্ডে বসে রমেশের বেঁচে যাওয়ার খবর জানতে পারেন ঠিক ২৭ বছর আগে এমনই এক বিমান দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে ফেরা অভিনেতা-গায়ক জেমস রুয়াংসাক লইচুসাক। ১৯৯৮ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান। টিজি২৬১ নম্বর বিমানটি দক্ষিণ তাইল্যান্ডের সুরাত থানি শহরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে ছিলেন ১৪৬ জন। দুর্ঘটনায় মারা যান ১০১ জন। যাঁরা সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন লইচুসাকও। রমেশের মতো তিনিও বসেছিলেন ১১এ নম্বর সিটে। বছর সাতচল্লিশের অভিনেতা-গায়ক ফেসবুকে লিখেছেন, “ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় জীবিত ব্যক্তি। তিনি আমার মতো একই সিটে বসেছিলেন – ১১এ।”

    ভয়ঙ্কর স্মৃতি

    ঘটনাটি (Plane Crash) নিছকই কাকতালীয়। তবে ভারতের এই বিমান দুর্ঘটনায় অবিশ্বাস্যভাবে একজনের বেঁচে যাওয়ার খবর উসকে দিয়েছে তাইল্যান্ডের লইচুসাকের ভয়ঙ্কর স্মৃতি। যদিও ২৭ বছর আগের সেই দুর্ঘটনা এবং ভারতের এদিনের বিমান দুর্ঘটনার প্রেক্ষিত এবং বিমানও আলাদা আলাদা, তবুও ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে বসে লইচুসাকের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে সেদিনের ভয়ঙ্কর সব স্মৃতি। বরাত জোরে যেদিন আরও ৪৪ জনের মতোই বেঁচে গিয়েছিলেন তিনিও। তাঁরও সিট নম্বর ছিল ১১এ। তবে দু’টি বিমানের গঠন এবং জাত – দুটোই আলাদা (Plane Crash)।

    তা হোক না, তবে সিট নম্বর তো দু’জনেরই এক!

LinkedIn
Share