Tag: India

India

  • India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটের বদলে পাটকেল! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Relation) কাঁটাতার বিতর্কের মধ্যেই রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। এবার পাল্টা চাল দিল ভারতও (India)। দিল্লিতে তলব করা হল বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে। সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা (India Bangladesh Relation)

    রবিবারই বাংলাদেশের বিদেশসচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন প্রণয়। পরে তিনি জানান, কাঁটাতারের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। প্রণয় বলেছিলেন, “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।” প্রণয় জানান, অপরাধমুক্ত (India Bangladesh Relation) সীমান্ত নিশ্চিত করতে ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশসচিবের সঙ্গে। চোরাচালান, অপরাধীদের আসা-যাওয়া এবং পাচারের চেষ্টা রোখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

    ঢাকার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ঢাকার অভিযোগ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত পাঁচ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ঢাকার অভিযোগ, এই কাজ করে ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভাঙছে এবং ওই এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এই বিষয়ে প্রণয় জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কথা চলছে। আমরা আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে। সীমান্তে অপরাধ কমানো নিয়ে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা যাবে।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ব্যবসা হবে ২ লাখ কোটি টাকার, বিরোধীদের জবাব যোগীর

    সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। মালদায় শুকদেবপুর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। সেই আবহেই (India) এবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব (India Bangladesh Relation) করল বিদেশমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে যে সমঝোতার বিষয়টা রয়েছে, সেটা মেনে চলতে হবে (Indian High Commissioner)। পড়শি দেশকে সাফ জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সীমান্তে অপরাধ কমাতে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক (India Bangladesh Relation)

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক হয় ৪৫ মিনিট ধরে। পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, “আমরা আশা করছি, পারস্পরিক বোঝাপড়া লাগু হবে। অপরাধ দমন করতে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে।” ভার্মা জানান, অপরাধমুক্ত সীমান্ত তৈরি করতে ভারত কতটা বদ্ধপরিকর, সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবকে। সীমান্তে চোরাচালান, পাচার, দুষ্কৃতীদের আনাগোনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া সীমান্তে

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা রয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবি এনিয়ে পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা করবে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশছাড়া হওয়ার পর সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিনের বৈঠকে (India Bangladesh Relation) সে প্রসঙ্গও উঠেছে।

    এদিকে, সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করায় বেজায় চটেছে বাংলাদেশ। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গটিও উত্থাপন করেছে ভারত। বিএসএফের কাজকর্মে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জসিমউদ্দিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার মতো অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ায় এমন বিষয় থেকে দূরে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জসিমউদ্দিনের দাবি, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো কাজ পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

    আরও পড়ুন: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও, বাধা দেয় বিজিবি। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাধা দেওয়া হবে। এহেন (Indian High Commissioner) আবহেই হল দুই দেশের বৈঠক (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    Maha Kumbh Mela: ৬ হাজার মাইল উজিয়ে ফ্রান্স থেকে মহাকুম্ভে এসেছেন প্রৌঢ়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি ফরাসি। ফ্রান্সই (French Woman) তাঁর মাতৃভূমি। তবে যিশুর ভক্ত নন। তাঁর আরাধ্য দেবতা শিব! সনাতন ধর্মের প্রতি তাঁর অদম্য আকর্ষণ। সেই টানেই ৬ হাজার মাইল উজিয়ে তিনি এসে পৌঁছেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, পূর্ণকুম্ভ (Maha Kumbh Mela) চাক্ষুষ করবেন বলে। ‘আত্মার শুদ্ধিকরণে’ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে স্নানও করবেন তিনি। বছর পঁয়ষট্টির এই ফরাসি মহিলার নাম পাসকাল। পূর্ণকুম্ভ শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    হিন্দুধর্মের প্রেমে পড়েছিলেন সেই কবে (Maha Kumbh Mela)

    পাসকাল হিন্দুধর্মের প্রেমে আজ পড়েননি, পড়েছিলেন সেই ১৯৮৪ সালে। সেবার প্রথম ভারতে এসে হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। হিন্দু ধর্মকে ভালোভাবে আত্তীকরণ করতে পুরাণ পড়েছেন, পড়েছেন ভগবদ গীতাও। তার পর থেকে যত দিন গিয়েছে হিন্দু ধর্মের প্রতি পাসকালের টান বেড়েছে। তাঁর হৃদয় মন্দিরে ততদিনে ঠাঁই নিয়েছেন দেবাদিদেব মহাদেব। ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি এখানে এসে খুব খুশি। আমি কুম্ভ মেলার গল্প জানি। এটি আত্মাকে শুদ্ধ করার জন্য একটি পবিত্র স্থান। এখানে এসে অনেক যোগী, সাধু এবং হিন্দু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি হিন্দুধর্মকে ভালোবাসি এবং ভগবান শিবের প্রতি বিশ্বাস রাখি।” তিনি বলেন, “কুম্ভে যে সমুদ্র মন্থন হয়েছিল, সে সম্পর্কেও আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে। আমার কাছে অমৃতের ফোঁটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    রুদ্রাক্ষ আমায় রক্ষা করে

    দিন ঘনিয়ে আসছে মহাকুম্ভের। প্রয়াগরাজে জমতে শুরু করেছে থিকথিকে ভিড়। সেই ভিড়ে রয়েছেন পাসকালও। হিন্দু ধর্মের প্রতি টানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ধর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এটি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আসা অনুভূতি।” কুম্ভে যে কারও থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই, তা ভালো লেগেছে এই ফরাসি মহিলার। বলেন, “এত বড় আয়োজন। এত মানুষের থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। সবই নিখরচায় আয়োজন করা হয়েছে।” পাসকাল (Maha Kumbh Mela) বলেন, “এখানে সাধু-সন্ন্যাসী ও হিন্দুদের সঙ্গে দেখা করতে পছন্দ করি।” পাসকালের গলায় ঝুলছে রুদ্রাক্ষ। সেটি দেখিয়ে ফরাসি এই প্রৌঢ়া বলেন, “আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছি, সেটি আমার এক বন্ধু আমায় উপহার দিয়েছিল। এটা গলায় থাকলে মনে হয়, এটি আমায় সর্বদা রক্ষা করছে (French Woman)।”

    মহাকুম্ভের এও এক প্রাপ্তি!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    India China Relation: চিনা মদতেই ইউটিএ-র হুমকি! উপেক্ষা করা উচিত নয়, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ তৃতীয় তথা শেষ কিস্তি…

     

                                                                                      অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিএ (UTA) যে হুমকি দিচ্ছে, তাকে উপেক্ষা করা (India China Relation) উচিত নয়। বলছেন দ্য অরুণাচল টাইমসের প্রবীণ সাংবাদিক তথা বিশ্লেষক বেঙ্গিয়া আজুম। তিনি বলেন, “ইউটিএ জনগণের মধ্যে সিএপিএফ এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুব্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করবে।” আজুম বলেন, “ইউটিএ গঠনের (Arunachal Pradesh) ঘোষণা হয়েছিল এমন একটা সময়ে যখন এনএইচপিসি (NHPC)-র কর্তাদের জন্য নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। এনএইচপিসি সিউম্প (SUMP)-এর জন্য প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করছে। ওপরের সিয়াং, সিয়াং এবং পূর্ব সিয়াং জেলাগুলির জনগণ, যারা এই প্রকল্প দ্বারা প্রভাবিত হবে, তারা অসন্তুষ্ট। ইউটিএ তাদের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দলে টানতে পারে। লাভ করতে পারে স্থানীয় সমর্থনও।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (India China Relation)

    ইউটিএ রাজ্যে মেগা ড্যাম নির্মাণের বিরোধিতা করার পাশাপাশি আর একটা আবেগজনিত ইস্যু সমর্থন করেছে, যা রাজ্যের অনেক মানুষকে উত্তেজিত করেছে। যেসব আদিবাসী মহিলা অ-আদিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছেন, তাঁদের সন্তানদের তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেইন বলেন, “যদিও এনএলসিটি (NLCT) কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি, তবুও এদের হুমকি উপেক্ষা করা ঠিক নয়।” তিনি বলেন, “এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ইউটিএ গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে সচেতন এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে (Arunachal Pradesh)।”

     এই সিরিজের প্রথম দুই কিস্তি…

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম কিস্তি)

    ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (দ্বিতীয় কিস্তি)

    টিক টিক টাইম বোমা

    এদিকে, নামচা বারওয়ায় চিনের প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ভারতের জন্য একটি টিক টিক টাইম বোমার মতো। মানোহর পার্রিকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চিন যে ইয়ারলুং সাংপো নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করছে, সেগুলি এত বড় যে স্টোরেজ ড্যাম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। চিন এই বাঁধগুলি সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এতে বিপাকে পড়বে ভারত। গরমের সময় জলের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হবে। আর বর্ষায় বানের জলে ভেসে যাবে অরুণাচল প্রদেশ এবং অসম।

    বড় স্টোরেজ ড্যাম

    সিউম্প-এর পরিকল্পনায় সিয়াং নদীর ওপর একটি বড় স্টোরেজ ড্যাম নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি চিনের (India China Relation) পক্ষ থেকে ইয়ারলুং সাংপো নদীর জল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে ভারতের বীমা হিসেবে কাজ করবে। যদি চীন ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহ কমিয়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার থেকে জল ছেড়ে সিয়াং এবং ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহ বজায় রাখা সম্ভব হবে। একইভাবে, চিন যদি অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেয়, তবে সিউম্প জলাধার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে পারবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও নামনি অসমে বন্যা প্রতিরোধ করতে পারবে (Arunachal Pradesh)। নামচা বারওয়ার প্রস্তাবিত মেগা ড্যাম ছাড়াও, চিন ইতিমধ্যে ইয়ারলুং সাংপোর উঁচু জায়গায় ২০১০ সালে ঝাংমু ড্যাম নির্মাণ করেছে। জিয়েক্সু, জিয়াচা এবং দাগু নামে আরও তিনটি বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও চিনের দাবি, এগুলি সবই ‘রান অফ দ্য রিভার’ প্রকল্প এবং এগুলি ইয়ারলুং সাংপো নদীর জলের প্রবাহে কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে বেজিংয়ের দাবিকে অবিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

    জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্কতা নিতে হবে

    প্রবীণ রাজনীতিবিদ নিনং এরিং, যিনি ইউপিএ -২ সরকারের সময় সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, বলেন, চিনকে কখনওই বিশ্বাস করা যায় না। আপনি কখনওই জানবেন না তারা (চিন) ভারতের ক্ষতি করার জন্য কী করবে। আমাদের অবশ্যই চিনের সম্ভাব্য জলযুদ্ধের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সতর্কতা নিতে হবে। এটা ঠিক যে এই সুরক্ষাগুলোকেই, যেমন সিউম্প, চিন বিপথে চালিত করতে চায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিশ্বাস, চিন ইউটিএ সৃষ্টি করেছে যাতে সিউম্প এবং অন্যান্য বড় বাঁধের বিরুদ্ধে বিরোধিতা উসকে দেওয়া যায়। এই বাঁধগুলি সেই রাজ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে, যে রাজ্য চিন অধিকৃত তিব্বত এবং মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে (Arunachal Pradesh)।

    বিরোধিতার জিগির 

    চিন গোপনে অরুণাচলপ্রদেশ ও অসমের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অরুণাচলপ্রদেশে বড় বাঁধগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতার জিগির জাগিয়ে রেখেছে। যেসব পরিবেশবিদ ও নাগরিক গোষ্ঠী যারা অরুণাচলপ্রদেশে (India China Relation) এই বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করছে, তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমর্থন মায় আর্থিক সহায়তা পেয়েছে বলেও অনুমান।

    ড্রাগনের লক্ষ্য

    চিনের উদ্দেশ্য হল, তিব্বতি মালভূমি থেকে ভারতের দিকে প্রবাহিত হওয়া ইয়ারলুং ত্সাংপো নদীকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা। কিন্তু অরুণাচলপ্রদেশে প্রস্তাবিত বৃহৎ বাঁধগুলো সেই অস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করে বেজিংয়ের কুটিল উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তাই চিন নাগরিক গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অরুণাচল প্রদেশে বৃহৎ বাঁধগুলির বিরুদ্ধে (Arunachal Pradesh) বিরোধিতা উসকে দিচ্ছে (India China Relation)।

    শেষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    PM Modi: “আসুন, এক সঙ্গে উদযাপন করি ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি”, প্রবাসীদের বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উৎসবের সময় ভারতের মাটিতে প্রবাসীদের উপস্থিতি তাঁদেরকে দেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়।” বৃহস্পতিবার অষ্টাদশতম ‘প্রবাসী ভারতীয় দিবসে’ (Pravasi Bharatiya Divas 2025) বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রবাসীদের মূল্যবোধেরও প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “এই মূল্যবোধের কারণেই তাঁরা বিশ্বে সহজেই মিশে যান, এগিয়ে নিয়ে যান ভারতীয় সংস্কৃতিকে।”

    আনন্দিত প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হবে। মকর সংক্রান্তি, মাঘ বিহুর উৎসবও আসন্ন। সর্বত্র একটি আনন্দময় পরিবেশ রয়েছে। আমাদের জন্য এটি সেই দিন ছিল ১৯১৫ সালে, যখন মহাত্মা গান্ধী বহু বছর বিদেশে থাকার পর ভারতে ফিরে এসেছিলেন। এমন একটি সুন্দর সময়ে আপনারা ভারতে উপস্থিত থাকায় উৎসবের আনন্দ আরও বাড়ছে।” সঙ্কটের সময় প্রবাসীদের সাহায্য করাও যে সরকারের দায়িত্ব, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আপনারা যেন সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য পান, তা আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। আপনাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। সঙ্কটের সময় পৃথিবীর যেখানেই থাকুন না কেন, আপনাদের সাহায্য করা আমরা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এটি আজকের ভারতের বিদেশনীতির অন্যতম প্রধান নীতি। গত এক দশকে আমাদের দূতাবাস ও অফিসগুলি বিশ্বজুড়ে সংবেদনশীল ও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে অনেক দেশে মানুষকে কনস্যুলার পরিষেবার জন্য অনেক দূর ছুটতে হত, সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে হত। এখন এই সমস্যাগুলি সমাধান করা হচ্ছে। গত দু’বছরে ১৪টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট খোলা হয়েছে। ওসিআই কার্ডের পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। এটি এখন মরিশাসের সপ্তম প্রজন্মের পিআইওদের জন্যও প্রযোজ্য।”

    আরও পড়ুন: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “এ বছরের প্রবাসী ভারতীয় দিবস একটি অতিরিক্ত কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মশতবার্ষিকীর পরে একত্রিত হয়েছি। এই অনুষ্ঠানের পেছনে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এটি ভারত ও তার প্রবাসীদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করার একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এক সঙ্গে আমরা উদযাপন করি—ভারত, ভারতীয়ত্ব, আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের অগ্রগতি, এবং আমাদের শিকড়ের (Pravasi Bharatiya Divas 2025) সঙ্গে সংযোগ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। এই সুযোগটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বুধবার দুবাইয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারত ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা (India Taliban Officials Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রিম মিস্রির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক।

    আলোচনার টেবিলে ভারত-আফগানিস্তান (India Taliban Officials Meet)

    ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। এই বৈঠকের ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। এই হামলার দু’সপ্তাহের মাথায় কাছাকাছি এল ভারত ও আফগানিস্তান। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে (India Taliban Officials Meet) আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ ও ক্রিকেট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ট্র্যাক-টু কূটনীতি

    প্রসঙ্গত, গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও, এখনও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত-সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মোদি সরকারও (Modi Government) তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি (India Taliban Officials Meet)। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি-কাবুল কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এহেন আবহে মোদি সরকার ট্র্যাক-টু কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে। বিপদের সময় পাশে থাকায় ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের মন্ত্রী। দুই দেশই ভারত ও আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-আফগানিস্তান কাছাকাছি চলে আসায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারত ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে (India Taliban Officials Meet) পাকিস্তানকে আরও একবার মাত দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। এর আগে আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ‘মানবিক সাহায্য’ পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনের বৈঠকে সেজন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবারই ওই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসে গেল নয়াদিল্লি ও কাবুল (India Taliban Officials Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: উন্নতি হচ্ছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস রাজনাথের

    India Maldives Relation: উন্নতি হচ্ছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহম্মদ ঘাসান মৌমুনকে এই মর্মে আশ্বস্ত (India Maldives Relation) করলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় রাজনাথের সঙ্গে মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। সেখানে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা তাঁদের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

    কী বলছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক? (India Maldives Relation)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, রাজনাথ মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির সক্ষমতা বাড়াতে ভারতের প্রস্তুতি ফের নিশ্চিত করেছেন, যা জাতীয় অগ্রাধিকার এবং ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং  ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ ফর অল ইন দ্য রিজিয়ন’ (সংক্ষেপে ‘সাগর’) দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিরক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও সম্পদের ব্যবস্থা করে। প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে প্রায় আট মাস পরে, যখন ভারতের সামরিক কর্মীদের মলদ্বীপ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জুর অনুরোধে প্রত্যাহার করা হয়েছিল সামরিক কর্মীদের। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারত ও মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

    মুইজ্জুর চিন-প্রেম

    মুইজ্জু প্রশাসন মলদ্বীপে অবস্থানরত ৮৫ জনেরও বেশি ভারতীয় সামরিক কর্মীকে অপসারণের দাবি জানায়। এই সামরিক কর্মীরা সে দেশে একটি বিমান এবং দুটি হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য মোতায়েন ছিলেন। এই পদক্ষেপের পরে পরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চিনের দিকে বেশি করে ঝুঁকতে শুরু করেন। মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেই সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রথমে ভারত সফরে আসেন। সেই রীতি ভেঙে মুইজ্জু চিন সফরে চলে যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটূক্তি করায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক (India Maldives Relation) আরও তলানিতে ঠেকে। পরে অবশ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেয় মলদ্বীপ প্রশাসন। তার পর এই হল দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক। জানা গিয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা তাঁদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-মলদ্বীপ বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার অংশীদারিত্বে তাঁদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতিও ফের নিশ্চিত করেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    রাজনাথের এহেন প্রতিশ্রুতির পর ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মৌমুন। ভারতকে তিনি মলদ্বীপের “প্রথম সাড়া প্রদানকারী” রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন। মলদ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মীদের (Rajnath Singh) প্রশিক্ষণে সাহায্য করতে ভারতের ভূমিকার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাড়া ভাতে ছাই দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ দ্বিতীয় কিস্তি…

     

    অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোক যখন রেস্তোরাঁ চালিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার চেষ্টা করছেন এবং পুলিশও যথন তাঁর ওপর নজরদারি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে, তখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নাগা গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দিল চিন (India China Relation)। ঠিক এক বছর আগে এনএসসিএন-এর দুজন প্রবীণ কর্তা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনুমান (Arunachal Pradesh)। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) দক্ষিণ-পূর্ব অরুণাচলপ্রদেশের তিরাপ, চাংলাং এবং লংডিং জেলাগুলোতে সক্রিয়। এই জেলাগুলি নাগাল্যান্ড লাগোয়া। আইবির এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ডোকের সঙ্গে যোগাযোগকারী এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর দুই কর্তা ছিলেন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের দূত। তাঁদের দায়িত্ব ছিল ডোক নতুন একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে আগ্রহী কিনা তা জেনে নেওয়া।

    চিনের জঙ্গি-যোগ! (India China Relation)

    এনএসসিএন-এর দুটি গোষ্ঠী— এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এবং এনএসসিএন (ইসাক-মুইভাহ)। দুই গোষ্ঠীই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে চিনের সঙ্গে। অতীতে চিন নাগা গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ এবং এমনকি অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর প্রায় পুরো নেতৃত্ব এবং বেশিরভাগ সদস্য মায়ানমারের উত্তরের সাগাইং এবং পশ্চিমের কাচিন রাজ্যের শিবিরগুলোয় রয়েছে (India China Relation)। এসব এলাকা এখন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও)-এর নিয়ন্ত্রণে, যার সশস্ত্র শাখা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মায়ানমারের শাসক সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কাচিনের বড় অংশ দখল করেছে। কেআইও-এর সঙ্গে চিনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিন তাদের অর্থায়ন করছে এবং কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। কেআইও চেয়ারম্যান জেনারেল এন’বান লা গত (Arunachal Pradesh) ডিসেম্বরের শুরুতে চিনে গিয়ে মায়ানমারের জাতিগত সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও খবর।

    নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী

    আইবির ধারণা, বেজিংয়ের ইঙ্গিতেই কেআইও এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বকে ডোকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি নয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী গঠন করতে বলা হয়েছিল। ডোক প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ তাঁর আগের গোষ্ঠী এনএলসিটিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তিনি জানতেন যে পর্যাপ্ত সম্পদ, অস্ত্র, এবং বাহ্যিক সহায়তা ছাড়া একটি গোষ্ঠী টিকিয়ে রাখা শুধু মুশকিলই নয়, তাকে কার্যকর করাও অসম্ভব।

    ডোককে আশ্বাস চিনের

    ডোককে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে এবার অর্থ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব হবে না। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর কর্তারা তাঁকে এও বলেছিলেন যে, তাঁর কাজ হবে কেবল লোকজন নিয়োগ করা। অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং নিরাপদ আশ্রয় সরবরাহ করবে তারা (India China Relation)। ডোককে সাহায্য করার জন্য এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর আরও দুই সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন! (প্রথম পর্ব)

    চিনের লোভনীয় প্রস্তাবে সাড়া

    চিনের এই লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে আর না করতে পারেননি ডোক। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে উদ্যোগী হন তিনি। এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) তাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করে। ডোক কীভাবে সম্ভাব্য নিয়োগপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করা, গোপনে যোগাযোগ করা এবং তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে নিয়োগ করতে হয়, তা শিখে নেন।

    হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে ফান্ডিং!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, নাগা গোষ্ঠীর সদস্যরা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ ডোকের কাছে পাঠায়। চার মাস পর ডোক ইটানগর ও আশপাশ এলাকার প্রায় আটজন যুবককে সংগঠনে নিয়োগ করতে সক্ষম হন। দরিদ্র পরিবারের এই আধা-শিক্ষিত বা স্কুলছুট যুবকদের ইটানগরের (Arunachal Pradesh) শহরতলির দুটি বাড়িতে রাখা হয় এবং তাদের মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

    ডোকের নয়া দল

    ওই বছরেরই অক্টোবরের গোড়ার দিকে, ডোক ২০ জন সদস্যের একটি দল গড়ে তোলেন। তাঁরা সকলেই লংডিং জেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা ভারত-মায়ানমারের অরক্ষিত সীমানা পেরিয়ে কাচিনে ঢোকে। কাচিনের একটি শিবিরে ডোক দেখা করেন এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর নেতৃত্বের সঙ্গে। কাচিনের এই শিবিরটি, যা চাংরাং হি এলাকায় অবস্থিত বলে মনে করা হচ্ছে, ইউটিএর অস্থায়ী সদর দফতর হয়ে উঠেছে। এই গোষ্ঠী ডোককে নেতা করে আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে (India China Relation)।

    চলছে প্রশিক্ষণ

    এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর সদস্যরা বর্তমানে ইউটিএ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। চিন কেআইএ এবং এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ)-এর মাধ্যমে ইউটিএ-কে অ্যাসল্ট রাইফেল, গ্রেনেড লঞ্চার এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কয়েকদিন আগে ইউটিএ প্রধান ডোক একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেছিলেন, যে এটি একটি ইউটিএ ক্যাম্প। ভিডিওতে একটি মাঝারি আকারের মিলিট্যান্ট ক্যাম্প দেখা যাচ্ছে, যা একটি পাতলা জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রায় দু’ডজন রাইফেল, যেগুলো সবই চিনে তৈরি। ক্যাম্পে কিছু কর্মীকে ছদ্মবেশী পোশাক পরে থাকতেও দেখা গিয়েছে। রয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী কাঠামোও। তবে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা কর্তারা, যাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন, তাঁরা জানান, ভিডিওতে দেখানো ক্যাম্পটি (Arunachal Pradesh) আসলে এনএসসিএন (কে-ওয়াইএ) এর, যেখানে ইউটিএ-র কর্মীরা সাময়িকভাবে থাকতে পারে (India China Relation)।

    কী বলছে সেনাবাহিনী?

    সেনাবাহিনীর ২ মাউন্টেন ডিভিশনের এক প্রবীণ কর্তা বলেন, “সর্বোচ্চ, ক্যাম্পের একটি-দুটি অস্থায়ী কাঠামো ইউটিএ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যাম্প, যা অন্তত কয়েক বছর আগে নির্মিত। ভিডিওয় যেসব উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র দেখা যাচ্ছে, ইউটিএর কাছে তা নেই।” তাঁর মতে, ক্যাম্পটি অসমের ডিব্রুগড়ে অবস্থিত। আইবির এক কর্তা বলেন, “ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ইউটিএ-কে প্রচারের আলোয় আনতে এবং নিজেদের একটি শক্তিশালী ও উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র দল হিসেবে তুলে (Arunachal Pradesh) ধরতে। এর উদ্দেশ্য নতুন সদস্যদের আকর্ষণ করা এবং চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    HMPV in Kolkata: কলকাতায়ও এইচএমপি ভাইরাস! পাঁচ মাসের শিশুর শরীরে মিলল হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক, গুজরাটের পর এবার কলকাতায় (HMPV in Kolkata) পাঁচ মাসের এক শিশুর দেহে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর হদিশ মিলল। ওই শিশুকে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে আপাতত সুস্থ রয়েছে।

    কী কী উপসর্গ ছিল শিশুর শরীরে? (HMPV in Kolkata)

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শেষে মুম্বই থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কলকাতায় (HMPV in Kolkata) এসেছিল শিশুটি। এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। সেখানে কয়েক দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। সোমবারই কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ওই ভাইরাসের হদিশ পাওয়ার খবর জানা গিয়েছে। গুজরাটের আহমেদাবাদের এক শিশুও সংক্রমিত হয়েছে বলে খবর মিলেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর এবং কাশির মতো সাধারণ কিছু উপসর্গ ছিল ওই শিশুর। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে সে এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও শারীরিক পরিস্থিতি ওই শিশুটির ছিল না। তবে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করেই চিকিৎসা করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি-র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তার পর থেকেই উদ্বেগ দানা বেঁধেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে,পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    বিশেষজ্ঞরা (HMPV in Kolkata) বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কোভিডের মতো ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এই ভাইরাসের সংক্রমণও একইভাবে ঘটে। কাশি বা হাঁচির জীবাণু থেকে হোক কিংবা, রোগীর কাছাকাছি আসা, হাত মেলানো, সংক্রমিত জায়গা ছোঁয়া ইত্যাদি। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, HMPV-র অস্তিত্ব আগে থেকেই রয়েছে। এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। তাই অকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে এবং প্রবলভাবে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করতে পারে। বাচ্চা এবং বয়স্ক তো বটেই, যে কোনও বয়সের মানুষকে অল্প সময়ের মধ্যেই কাবু করার ক্ষমতা রয়েছে এর। বিশেষ করে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই ভাইরাস মারাত্মক হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    India China Relation: ভারতের বাঁধ নির্মাণে বাধা দিতে অরুণাচলপ্রদেশে উগ্রপন্থীদের মদত দিচ্ছে চিন!

    মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে জিইয়ে রাখতে চাইছে অশান্তি। এভাবেই তারা ক্রমশ কবজা করতে চাইছে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচলপ্রদেশকে। আজ  প্রথম কিস্তি…

                                                                                             অরুণাচলপ্রদেশে ড্রাগনের থাবা ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখে মিষ্টতা। আর আস্তিনে লুকনো বাঘনখ! এভাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইছে চিন (India China Relation)! অন্তত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা তেমনই। দুই দেশে শীর্ষ নেতৃত্ব যখন একের পর এক বৈঠক করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh) থাবা বসাচ্ছে ড্রাগনের দেশ! এক সময় চিন তাদের দেশের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছু গ্রামকে।

    অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে চিন! (India China Relation)

    এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থায়ী অশান্তি জিইয়ে রাখতে নয়া উগ্রপন্থী সংগঠন সৃষ্টি করেছে বেজিং। নাম দেওয়া হয়েছে, ইউনাইটেড টানি আর্মি, সংক্ষেপে ইউটিএ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল হিমালয়ের কোলের রাজ্যে বিশেষত সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দেওয়া। এই সিয়াং নদী উৎপন্ন হয়েছে চিনের অধিকৃত তিব্বত  থেকে। বেজিংয়ের অভিপ্রায় শুধু ভারতের পরিকল্পিত ৫৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি পরিচ্ছন্ন শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ ব্যাহত করা নয়, বরং ভারতের সেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলিকেও নস্যাৎ করা যা চিনের সম্ভাব্য ‘জল যুদ্ধের’ বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য নেওয়া হচ্ছে।

    ইউটিএর জন্ম

    প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে সংগঠন গড়েছে ইউটিএ। ২০২৪ সালের বড়দিনের প্রাক্কালে বিবৃতি জারি করে নিজেদের উপস্থিতি ঘোষণা করে এই জঙ্গি সংগঠন। ওই বিবৃতিতে সিয়াং আপার মাল্টিপারপাস প্রকল্প (এসইউএমপি)-সহ বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে। এসইউএমপি প্রকল্পটি ভারতের (India China Relation) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি চিনের যারলুং জ্যাংবো নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ জলবিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণ প্রকল্পগুলির বিপদ রোধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ব্রহ্মপুত্র

    এই নদী মাউন্ট কৈলাসের কাছে চিন অধিকৃত তিব্বত থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বতী মালভূমি জুড়ে হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে। পরে নামচা বারোয়ার কাছে একটি গভীর বাঁক নিয়ে অরুণাচলপ্রদেশে (Arunachal Pradesh)  প্রবেশ করেছে। সেখানে এর নাম হয়েছে সিয়াং। সিয়াং নদী তারপর দিবাং এবং লোহিত নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে অসমে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়েছে। চিন যারলুং জ্যাংবো নদীতে যে বৃহৎ বাঁধ নির্মাণ করছে, (বিশেষত নদীর ঘুরন্ত অংশ নামচা বারোয়ার ঘোড়ার নালের বাঁক-এ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সাম্প্রতিক ঘোষণা), তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বিঘ্নিত করবে।

    চিনের ব্যয়

    চিনের এই মেগা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শুখা মরসুমে ভারতে জল সরবরাহ বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে চিন। আর ঠিক উল্টোটা হবে বর্ষাকালে। বিশাল পরিমাণে জল ছেড়ে বন্যা সৃষ্টি করতে পারে ভারতে। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে এসইউএমপি, যা চিনের (India China Relation) সঙ্গে এমন ‘জল যুদ্ধ’ প্রতিরোধ করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার পাশাপাশি সিয়াং নদীতে নির্মীয়মান বৃহৎ বাঁধ প্রকল্পগুলিকে বাধা দিতেই চিন জন্ম দিয়েছে ইউটিএর। অরুণাচল প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মামা নাটুং বলেন, “ইউটিএ (UTA) হল ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল অব তানিল্যান্ড (NLCT)-এর নয়া রূপ। ২০১০ সালের শেষের দিকে অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ নিষ্ক্রিয় করেছিল এনএলসিটিকে।”

    এনএলসিটি

    এনএলসিটি একটি (Arunachal Pradesh) ছোটো উগ্রপন্থী দল, যার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল খাপলাং-ইউং আউং গোষ্ঠীভুক্ত ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (NSCN-KYA)-এর। তাদের অস্ত্রাগারে ছিল কিছু দেশীয় রাইফেল এবং কয়েকটি (India China Relation) পুরানো পিস্তল। ২০০৫ সালে গঠিত এনএলসিটিতে, এক ডজনের কিছু বেশি সদস্য ছিল। তানি জনগণের জন্য একটি পৃথক জাতি গড়ে তোলার যে দাবি তুলেছিল, তাকে সমর্থন করেনি স্থানীয় জনগণই। তানি জনগণ হলেন আদি, নিয়িশি, গালো, আপাতানি এবং তাগিন সম্প্রদায়ের মানুষ, যাঁরা অরুণাচল প্রদেশের কেন্দ্রীয় ও উত্তরাঞ্চলে বসবাস করেন। রাজ্যের জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশই হলেন এঁরা।

    আরও পড়ুন: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    তোলা আদায়

    এই এনএলসিটি সাধারণত ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে তোলা আদায় করত। কয়েকটি অপহরণের ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল এদের। তবে লাগাতার পুলিশি অভিযানের জেরে ২০১০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দুরমুশ হয়ে যায় সংগঠনের কোমর। এনএলসিটি-র চেয়ারম্যান, অ্যান্থনি ডোক এবং বেশিরভাগ সদস্য হয় গ্রেফতার হয়েছিলেন, নয়তো নিজেরাই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। জেল খেটে বেরিয়ে ডোক অরুণাচলপ্রদেশের (Arunachal Pradesh) রাজধানী ইটানগরে একটি রেস্তোরাঁ খোলেন। পুলিশ কয়েক মাস ধরে তাঁর ওপর নজরদারি করেছিল। পরে যখন দেখা গেল ডোক সাধারণ জীবনযাপন করতে শুরু করেছেন, এবং সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন তাঁর ওপর নজরদারি বন্ধ করে দেয় পুলিশ (India China Relation)।

    চলবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share