Tag: India

India

  • India  Maldives: মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য! সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিল মলদ্বীপের বিরোধী দল

    India  Maldives: মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য! সংবাদমাধ্যমের দাবি উড়িয়ে দিল মলদ্বীপের বিরোধী দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট পদ থেকে মহম্মদ মুইজ্জুকে সরাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল (India  Maldives Relation)। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এই দাবি উড়িয়ে দিলেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মলদ্বীপের সরকার ফেলতে ভারতের কাছে ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দাবি করেছিল সেখানকার বিরোধী দল ‘মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি’ (MDP)। যদিও ভারত সেই ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। 

    মুইজ্জুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

    ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরুর দিকে এই ষড়যন্ত্র হয়। মুইজ্জুকে ‘ইমপিচ’ (পদ থেকে সরানো) করার জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছিল মলদ্বীপের বিরোধী দল মলদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। নয়াদিল্লির কাছ থেকে নাকি ৬ বিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকারও বেশি) চাওয়া হয়। মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পনা ছিল পার্লামেন্টের ৪০ জন সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার। এই তালিকায় ছিলেন মুইজ্জুর নিজের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্যও। যদিও শেষ পর্যন্ত মুইজ্জুর বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ ভোট জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় বিরোধী শিবির। 

    ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দফায় দফায় ভারতের ‘র’ (RAW) এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক হয় মলদ্বীপের বিরোধী দলের নেতাদের। মাসখানেক এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। কারণ পার্লামেন্টে যথেষ্ট পরিমাণ সংখ্যা জোগাড় করতে পারেনি বিরোধী শিবির। তবে এই ষড়যন্ত্রে ভারত সরকারের মদত ছিল কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, দুই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মলদ্বীপের (India  Maldives Relation) কর্মকর্তা তাদের কাছে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। যদিও এই বিষয়ে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি।

    ভিত্তিহীন দাবি

    যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মলদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ। তিনি বলেন, “মুইজ্জুর বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। এই ধরনের পরিকল্পনার কথা আমার জানা নেই। ভারত কখনও এই ধরনের পদক্ষেপকে সমর্থন করবে না। কারণ তারা মলদ্বীপের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই সমর্থন করে।’’

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মলদ্বীপের (India  Maldives Relation) ক্ষমতায় আসেন চিন-প্রেমী মইজ্জু। তারপর থেকে তিনি ভারতের ওপর মলদ্বীপের নির্ভরতা কমিয়ে ফেলার বিষয়ে সচেষ্ট হন। মলদ্বীপের বুক থেকে তিনি ৮৫ জন ভারতীয় সৈনিককে সরিয়ে নিতে দিল্লিকে বার্তা দেন। এই বিষয়টিও দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। যৌথ হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষার জন্য ভারতের সঙ্গে ২০১৯ সালের একটি চুক্তি বাতিল করে মলদ্বীপ। চিনপন্থী মুইজ্জুকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় দু-দেশের মধ্যে। এরপর গত বছর লাক্ষাদ্বীপে ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের আপত্তিকর মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে নিয়ে যায় তলানিতে। যদিও গত বছরের শেষ দিকে ভারতের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন মুইজ্জু। দিল্লি সফরেও আসেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই ফের ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Global Remittance Chart: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    Global Remittance Chart: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) গ্রহণকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। ব্যতিক্রম হল না এবারও। প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ অর্থ প্রবাহের জন্য আবারও প্রথম স্থান দখল করল নরেন্দ্র মোদির ভারত। এর পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    রেমিট্যান্স কী? (Global Remittance Chart)

    প্রশ্ন হল, রেমিট্যান্স কী? বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের দ্বারা স্বদেশে ফেরত পাঠানো অর্থকে রেমিট্যান্স বলা হয়। এটি উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিবারের জন্য একটি লাইফলাইনের মতো কাজ করে। এই অর্থপ্রবাহ শুধু পরিবারের আয় বৃদ্ধি করে না, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে। ভারত থেকে কর্মসূত্রে যাঁরা বিদেশে যান এবং সেখানে অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন, তাঁরাই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের হাত ধরে দেশে আসে বিদেশি মুদ্রা। তার জেরে উন্নত হয় দেশের অর্থনীতি। ভারতে বসবাসকারী আত্মীয়স্বজন, নিকটজনেদের জন্য বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়ে থাকেন সেখানে কর্মরতরা। নিজেরা যখন দেশে ফেরেন, সঙ্গে নিয়ে আসেন বিদেশে অর্জিত অর্থ। তাতেই ভরে ওঠে দেশের মুদ্রা ভান্ডারের একটা অংশ।

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে অর্জিত অর্থের নিরিখে অন্য অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মোদির ভারত। ২০২২ সালেও ওই তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারত। এর অর্থ হল, ওই বছর বিদেশ থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে দেশে যত টাকা এসেছে, তা অন্য কোনও দেশের ভান্ডারে যায়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ২০২২ সালের বিশ্ব মাইগ্রেশন রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিদেশে কর্মরত ভারতীয়রা ২০২২ সালে ভারতে (India) যে অর্থ পাঠিয়েছেন, তার পরিমাণ ১১ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। এটাই বিশ্বে সর্বোচ্চ। রেমিট্যান্স প্রাপকের তালিকায় ওই বছর শীর্ষে ছিল ভারত। তার ঠিক পরেই রয়েছে মেক্সিকো, চিন, ফিলিপিন্স এবং ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কে কী লিখলেন?

    শীর্ষে ভারত

    রেমিট্যান্সের (Global Remittance Chart) অঙ্ক ১০ হাজার কোটির গণ্ডি প্রথম ছুঁয়েছে ভারতই। বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। গত ১২ বছরে প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকে পাওয়া রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২২ সালের মতো ২০২৪-এও ভারত রয়েছে রেমিট্যান্স প্রাপকের তালিকার শীর্ষে। প্রবাসী ভারতীয়দের রেকর্ড ভাঙা রেমিট্যান্সের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে মেক্সিকো ও চিন। গত বছর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল ফিলিপিন্স, ফ্রান্স, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, গুয়াতেমালা এবং জার্মানি। চিনের রেমিট্যান্স প্রবণতা একটি চমকপ্রদ দৃষ্টিভঙ্গী দেয়। ২০০০-এর দশকের শেষভাগে চিন ও ভারতের রেমিট্যান্স ছিল সমান সমান। ২০২৪ সালে ড্রাগনের দেশের শেয়ার কমে গিয়ে ৫.৩ শতাংশে নেমে এসেছে — যা দু’দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।

    চিনের পতনের কারণ

    বিশ্বব্যাঙ্কের মতে, চিনের এই পতনের জন্য দায়ী সে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা। এর জেরেই কম দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসনের গতি ধীর হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই কমেছে রেমিট্যান্স বাবদ রোজগার। অন্যদিকে, ভারতের রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) শেয়ার ২০০০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। অতিমারীর পরবর্তী বছরগুলিতে এই শেয়ার বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতের রেমিটেন্সের পরিমাণ ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি পাকিস্তান (৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও বাংলাদেশের (৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সম্মিলিত বার্ষিক বাজেটের প্রায় সমান। এটি দ্বিতীয় স্থানাধিকারী মেক্সিকোর রেমিটেন্সের প্রায় দ্বিগুণ। তার রোজগার ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। তার আয় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফিলিপিন্স। পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। তার রোজগার ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পাঁচ বছর ধরে সবার ওপরে 

    ২০২০ সাল বাদ দিলে গত পাঁচ বছর ধরে ভারত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) পেয়ে আসছে। ২০২০ সালে করোনার কারণে ভারতে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশ বলে মনে করা হচ্ছে, যা ২০২৩ সালে ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ। ভারত এত বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে যে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এটা সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। রেমিট্যান্স ভারতের ২০২৪ সালের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা বাজেটকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর পরিমাণ ছিল ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।

    গত ১০ বছরে ভারতের মোট রেমিট্যান্স ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স (Global Remittance Chart) পেয়েছে। বছর বছর এর পরিমাণ বাড়ছে। তাই শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত ভারত’, মোদির নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বনেতারা

    PM Modi: ‘বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত ভারত’, মোদির নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বনেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (PM Modi) জমানায় ভারত (India) একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তামাম বিশ্বের। বৈশ্বিক নেতারা, অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়িক টাইকুনরা সবাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

    মোদি স্তুতি (PM Modi)

    ২০২৪ সালে, ভারতের বৈশ্বিক মঞ্চে উত্থান দেশের অসাধারণ উন্নয়নকে তুলে ধরেছিল। বিশ্ব ক্রমশই ভারতকে একটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবক, এবং স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। বছরের পর বছর ধরে, বৈশ্বিক নেতাদের বিবৃতি এই প্রশংসার ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ফার্স্ট সোলারের সিইও মার্ক উইডমার ২০২১ সালে বলেছিলেন,  ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের উচিত ভারত যা করছে, তা অনুসরণ করা।’’

    জেপি মর্গানের সিইও জেমি ডিমন ২০১৭ সালে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সব সময় খুব গ্রহণযোগ্য। তিনি উন্মুক্তমনা এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমান। ২০২৩ সালে হাসান আল্লাম হোল্ডিংসের সিইও হাসান আল্লাম প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারতের বেসরকারি খাত অত্যন্ত দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে, বিশেষত পরিকাঠামো, প্রযুক্তি এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে।”

    কী বললেন বিশ্ব নেতারা?

    সুজুকি মোটর্সের প্রেসিডেন্ট তোশিহিরো সুজুকি প্রধানমন্ত্রী মোদির শক্তিশালী নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদির শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং অবিচল সমর্থনের জন্য উৎপাদন শিল্পে ভারতের গাড়ি বাজার ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। এর ফলে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজারে পরিণত হয়েছে।”

    গিটহাবের সিইও থমাস ডোহমকে বলেন, “যখন (PM Modi) আমি তখনকার ভারত এবং আজকের ভারতের তুলনা করি, একটি অবিশ্বাস্য উদ্দীপনা দেখতে পাই, জিনিসপত্র এগোচ্ছে এবং পরিবর্তিত হচ্ছে। তখন মেট্রো ছিল না, আর এখন আমাদের কাছে একাধিক লাইন রয়েছে। বিমানবন্দর অসাধারণ, আধুনিক এবং পরিচ্ছন্ন। আমি মনে করি, এটি সফটওয়্যার শিল্পে ঘটে চলা পরিবর্তনের প্রতিফলনও। ভারতে ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক সফটওয়্যার ডেভেলপার রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পাক-আফগান সম্পর্ক তলানিতে, লাভবান হবে ভারত?

    এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াং বলেন, “ভারত বিশ্বের সেরা কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের আবাসস্থল। এটি একটি বিশাল সুযোগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি নতুন শিল্প, একটি নতুন উৎপাদন শিল্প যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাই আমি ভারতে (India) গভীরভাবে অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহী, যাতে এটি সম্ভব করা যায় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    Indian Economy: ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির লেখচিত্র, কী বলছে ডেলয়েট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় ঊর্ধ্বমুখী ভারতীয় অর্থনীতির (Indian Economy) লেখচিত্র। ভারতীয় অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৬.৫-৬.৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এটি সামান্য বেশি অর্থাৎ ৬.৭-৭.৩ শতাংশ হতে পারে। রবিবার এমনই জানিয়েছে ডেলয়েট (Deloitte)।

    কী বলছেন অর্থনীতিবিদ? (Indian Economy)

    ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। কারণ নির্বাচনের অনিশ্চয়তা, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাঘাত এবং ভূরাজনৈতিক ঘটনাগুলি দেশীয় চাহিদা এবং রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ভারত নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ভোক্তা প্রবণতা, পরিষেবা খাতে প্রবৃদ্ধি, উচ্চ-মূল্যের উৎপাদন রফতানির ক্রমবর্ধমান অংশ এবং মূলধন বাজারের উন্নতি।”

    পরিকাঠামো উন্নয়ন

    সরকারের লাগাতার মনোযোগ পরিকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটালাইজেশন, এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ওপর কেন্দ্রীভূত, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিকারক হিসেবে কাজ করবে। রুমকি বলেন, “আমরা সতর্কভাবে আশাবাদী রয়েছি এবং আশা করছি এই আর্থিক বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬.৫ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে থাকবে এবং ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে এটি সামান্য বেশি, অর্থাৎ ৬.৭ থেকে ৭.৩ শতাংশ হতে পারে।” সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বর্তমান অর্থবর্ষের (Indian Economy) জন্য তাদের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে ৬.৬ শতাংশ করেছে। এটি জুন মাসে প্রদত্ত ৭.২ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ডেলয়েটের মতে, ভারতের বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে, যার প্রমাণ উচ্চ-মূল্যের খাতে যেমন ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর এবং রাসায়নিক দ্রব্যের উৎপাদন রফতানি প্রবৃদ্ধি। এদিকে, গত দেড়-দু’মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগকারীর অর্থপ্রবাহ হ্রাস সত্ত্বেও পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, যা খুচরো ও দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে সম্ভব হয়েছে। রুমকির পূর্বাভাস, “এই প্রবণতাগুলির অনেকটাই ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যেখানে গ্রামীণ ও শহর উভয় চাহিদা দ্বারা চালিত অভ্যন্তরীণ ভোগ ভারতের অর্থনৈতিক (Deloitte) প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (Indian Economy)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Beats China: তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে এবার বিশ্ববাজারে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত

    India Beats China: তেলের চাহিদা বৃদ্ধিতে এবার বিশ্ববাজারে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদার নিরিখে এতদিন চিন বিশ্ববাজারে সব থেকে এগিয়ে ছিল। ২০২৪ সাল শেষে তেলের চাহিদার ভিত্তিতে চিনকে ছাড়়িয়ে গেল ভারত (India Beats China)। S&P গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস অনুসারে, এই প্রবণতাটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর এটা জ্বালানি বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

    তেলের চাহিদার নিরিখে নেতৃত্ব দেবে ভারত (India Beats China)

    এসএন্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের ম্যাক্রো এবং তেল (Oil) চাহিদা গবেষণার গ্লোবাল হেড কাং উ বলেন, “এই অঞ্চলে ভবিষ্যতের তেলের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অংশকে তেলের চাহিদার নিরিখে নেতৃত্ব দেবে ভারত।” এসএন্ডপি গ্লোবাল ডেটা প্রকাশ করেছে। সেই ডেটা অনুযায়ী, ভারতে (India Beats China) তেলের চাহিদা ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে প্রতিদিন ১৮০,০০০ ব্যারেল (বছরের ৩.২ শতাংশ) বেড়েছে। চিনের প্রতিদিন ১৪৮,০০০ ব্যারেলের বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে (বছরে ০.৯ শতাংশ)। ২০২৫ এর দিকে তাকিয়ে, ভারতের তেলের চাহিদা বৃদ্ধি ৩.২ শতাংশে অনুমান করা হয়েছে, যা চিনের ১.৭ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সালে ভারতে পরিশোধন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    দক্ষিণ এশিয়ার তেল গবেষণার প্রধান কী বললেন?

    নীতিনির্ধারক এবং শোধনাকারীরা অপরিশোধিত আমদানির উত্স সম্প্রসারিত করে কয়েকটি তেল সরবরাহকারীর (India Beats China) ওপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা বাড়িয়ে তুলছে। S&P গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের দক্ষিণ এশিয়ার তেল গবেষণার প্রধান অভিষেক রঞ্জন বলেন, “সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকা থেকে অপরিশোধিত তেল আনতে সাহায্য করবে। কিন্তু, বেশি ভলিউমের বৃদ্ধি সামগ্রিক অপরিশোধিত বাজারের ওপর নির্ভর করবে”। ভারত বর্তমানে তার অপরিশোধিত তেলের ৪০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে, যা মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শেল অয়েল, শেল গ্যাস এবং কয়লা বেড মিথেন পর্যন্ত অনুসন্ধানের সুযোগ আরও প্রসারিত করা। এই মাসের শুরুতে, রাজ্যসভা ১৯৪৮ সালের অয়েল ফিল্ডস (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন সংশোধন করে একটি বিল পাস করেছে, তেল এবং গ্যাস ছাড়াও শেল তেল, শেল গ্যাস এবং কয়লা বেড মিথেন অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ প্রসারিত করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    India vs Australia: নীতীশের শতরানে ম্যাচে ফিরল ভারত! এবার বুমরা-সিরাজদের লড়াই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবোর্নে ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) বক্সিং ডে টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ। ভারত এখনও পিছিয়ে ১১৬ রানে। হাতে রয়েছে আর এক উইকেট। খেলার বাকি আর দু’‌দিন। ম্যাচে ফলাফলের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। তবে বৃষ্টি শনিবার মেলবোর্নে খেলায় দু’‌বার ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। চায়ের বিরতির আগে একবার বৃষ্টি হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। আবার তার পর খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ফের বৃষ্টি ও মন্দ আলোর জন্য খেলা বন্ধ হয়। তৃতীয় দিন আর খেলা হয়নি। মেলবোর্নে শনিবার নীতীশ রেড্ডি ও ওয়াশিংটন সুন্দরের লড়াই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। ম্যাচ ড্রয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছে নীতীশের লড়াকু শতরান।  অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান। 

    নীতীশের রেকর্ড

    বক্সিং ডে টেস্টে শতরান হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিরাট কোহলির সঙ্গে একই তালিকায় নাম লেখালেন নীতীশ রেড্ডি (Nitish Reddy)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শনিবার দুরন্ত অপরাজিত শতরান হাঁকান অন্ধ্রপ্রদেশের তরুণ অলরাউন্ডার। ২১ বছর ২১৪ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন নীতীশ। কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। বক্সিং ডে টেস্টে খেলতে নেমে শুধুমাত্র মেলবোর্নেই শতরান হাঁকানো পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হয়ে গেলেন তরুণ অলরাউন্ডার। এর আগে বীরেন্দ্র সেওয়াগ, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে বক্সিং ডে টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

    আবেগতাড়িত নীতীশের বাবা বাবা 

    ছেলের সেঞ্চুরি হাঁকানোর মুহূর্তে গ্যালারিতে ছিলেন নীতীশের (Nitish Reddy) বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি।  নীতীশের বাবা মুতিয়ালা রেড্ডি বলেন, ”আমাদের পরিবারের জন্য ভীষণ স্পেশাল একট দিন। সারাজীবন এই দিনটা আমরা মনে রাখব। ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ও রান করে এসেছে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বড় রান পেল। দুর্দান্ত অনুভূতি। আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই মহম্মদ সিরাজকে। ও যখন ৯৯ রানে ব্যাটিং করছে, তখন সিরাজ স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিল। ও সুন্দরভাবে ওভারটা কাটিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ওকে।”

    আপাতত প্রথম ইনিংসে ভারত এখনও ১১৬ রানে পিছিয়ে। ফলো অন বাঁচালেও ম্য়াচ বাঁচানোর সম্ভাবনা কিন্তু এখনও ক্ষীণ বলা যায়। কারণ প্রথম ইনিংসে হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দিনের সকালে আর কত রান যোগ করতে পারেন নীতীশ বোর্ডে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরা, সিরাজ, আকাশ দীপরা কত দ্রুত উইকেট তুলতে পারেন, তারই অপেক্ষায় ভারতীয় সমর্থকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী (India) স্লোগানে মুখর হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশের হাল ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারই ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকছে পাকিস্তানের দিকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশকে। 

    পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশ যে ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, তার অন্যতম বড় প্রমাণ বাংলাদেশ সম্প্রতি করাচি বন্দর থেকে আসা দুটি জাহাজকে স্বাগত জানিয়েছে। চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর একটি কন্টেনারবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এই পরিবর্তনের মাঝেও, ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে চলেছে। জানা গিয়েছে, ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামের একটি জাহাজ ২৬ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম বন্দরে ভিড়তে চলেছে। জাহাজটি ২৪,৬৯০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে যাচ্ছে। উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হয়েছে। এই চালানটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কেবল এই সাহায্যই নয়, বৈরিতা সত্ত্বেও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্কটকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Bangladesh Crisis)। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অর্থনৈতিক সঙ্কট অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তার পরেও বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন।

    হিন্দুর ঘরে আগুন

    বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হচ্ছে ব্যাপক অত্যাচার। কখনও কোনও হিন্দুর ঘরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন, কখনও বা হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে মুসলমানরা। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বহু হিন্দু তরুণী। ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে হিন্দুদের দোকানদানিতে। সে দেশের মুসলমানদের অত্যাচারে পূর্ব পুরুষদের (India) ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সেই ভিটে দখল করে নিচ্ছে অত্যাচারীরা। অভিযোগ, এই সব ঘটনার পেছনেও রয়েছে জমি হাঙরদের হাত (Bangladesh Crisis)। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ভারত বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

    ৫০ হাজার টন চাল 

    এই আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য বরাদ্দ করা হয়। যার জেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা থাকে অব্যাহত। ২৩ ডিসেম্বর ইউনূস অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি সাহায্যের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানান। সঙ্গে সঙ্গে ভারত ৫০ হাজার টন চাল পাঠিয়ে দেয়। যার জেরে কঠিন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশকে ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্বল্পসুদী ঋণ অনুমোদন করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলাকালীন ভারত অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। ৯ মার্চ, ২০২২ তারিখে ভারত সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া নজন বাংলাদেশি নাগরিককে সফলভাবে উদ্ধার করে।

    মুক্তিযুদ্ধ

    করোনা অতিমারীর সময় ভারত বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য করে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আইএনএস সাবিত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সরবরাহ করে। মহামারির সংকটময় পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ভারত বাংলাদেশে পাঠায় ১.২ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ডোজ। ওই দিনই ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়। কেবল এখনই নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারত মুক্তি বাহিনীকে সিদ্ধান্তমূলক সামরিক সহায়তা প্রদান করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের এই হস্তক্ষেপের ফলে ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে (Bangladesh Crisis)। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বিধ্বংসী ঘূর্ণঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সময়ও ভারত ১ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ দেয়। এর মধ্যে ছিল খাবার, ওষুধ, তাঁবু এবং কম্বল-সহ জরুরি জিনিসপত্র।

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    এহেন সাহায্যের পরেও ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে চলেছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। চলছে নিরন্তর হিন্দু নির্যাতন (India)। ২০২৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার (Bangladesh Crisis) কাশাডাঁপুর শ্মশানঘাটের পাশে ৫৫ বছর বয়সী এক মন্দিরের পুরোহিত তরু কুমার দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুরোহিতকে হত্যা করার আগে হামলাকারীরা মন্দিরের দানবাক্সগুলি লুট করে। তারই আগের দিন ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় তিনটি হিন্দু মন্দিরকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করে চারটি মূর্তি। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে কুষ্টিয়া জেলায় একটি হিন্দু পরিবার প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ সুনামগঞ্জে জনৈক আকাশ দাসের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কনের দুটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর এত অত্যাচার সত্ত্বেও পড়শির প্রতি দায়িত্ব পালনে অটল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: মেলবোর্নও মাতাতে পারল না ভারতীয় ব্যাটাররা, ব্যাতিক্রম যশস্বী

    India vs Australia: মেলবোর্নও মাতাতে পারল না ভারতীয় ব্যাটাররা, ব্যাতিক্রম যশস্বী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পথ ক্রমশ কঠিন করে তুলছে ভারত। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেনের পর মেলবোর্নেও (Melbourne Test) সেভাবে পারফর্ম করতে পারল না ভারতীয় দলের টপ অর্ডার। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার ৪৭৪ রানের জবাবে ভারতের স্কোর ১৬৪ রানে ৫ উইকেট। এখনও ভারত (India vs Australia) পিছিয়ে ৩১০ রানে। তৃতীয় দিনে ভারতের প্রথম টার্গেট হলো ফলোঅন সেভ করা।

    অনবদ্য অস্ট্রেলিয়া

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা পাকা করতে শেষ দুটি টেস্টে জিততেই হবে ভারতীয় দলকে। কিন্তু, বক্সিং ডে টেস্টে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৩১১ রানে ৬ উইকেট। সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া ৪৭৪ রানে পৌছে যায়। সৌজন্যে স্টিভ স্মিথের অনবদ্য শতরান ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের লড়াকু ৪৯ রানের ইনিংস। বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা ৩টি, আকাশ দীপ ২টি ও ওয়াশিংটন সুন্দর একটি উইকেট শিকার করেন।

    ব্যার্থ ভারতীয় ব্যাটাররা

    রান তাড়া করতে নেমে ধাক্কা খায় ভারত। মেলবোর্নে মিডল অর্ডার থেকে উঠে ওপেনিংয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি ফের ব্যর্থ হন। ৩ রান করে আউট হন ভারত অধিনায়ক। এরপর যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল দলকে টানার চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ পারেননি। ২৪ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। এরপর বিরাট কোহলি ও যশস্বী জয়সওয়ালের পার্টনারশিপ ভারতীয় দলকে ম্যাচে ফেরায়। যশস্বী অর্ধশতরান পূরণ করেন। অন্যদিকে বিরাটও ক্রমশ জমাট হয়ে রান করতে থাকেন। দুই জনে ১০০ রানের পার্টনারশিপও তৈরি করেন। যশস্বী ক্রমেই শতরানের দিকে এগিয়ে চলছিলেন, ঠিক তখনই ঘটল বিরাট ছন্দ পতন। বিরাট কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলেন যশস্বী। যশস্বীর আউকে বিরাট ভুল বললেও কম বলা হবে। ভারতীয় ওপেনার শট মেরে রান নিতে দৌড়ান। কিন্ত কোহলি দৌড় শুরু করে থেমে যান। কিন্ত দ্রুতবেগে তখন উইকেটের অন্য প্রান্ত চলে গিয়েছেন। কামিন্স বল নিয়ে উইকেটরক্ষককে থ্রো করলেই সহজেই যশস্বীকে আউট করে দেন ক্যারি। ফলে ১১৮ বলে ৮২ রানে আউট হলেন তরুণ ওপেনার। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার এবং একটি ছক্কা।

    যশস্বী আউট হতে নামানো হয় নাইট ওয়াচম্যান আকাশ দীপকে। তাঁর দায়িত্ব ছিল দিনের বাকি সময় টুকু ক্রিজে টিকে থাকা। কিন্তু আকাশের আগেই আউট হলেন কোহলি। ৩৬ রান করে বোল্যান্ডের বলে আউট হলেন কোহলি। সেই বাইরের বলেই আউট হলেন কোহলি। এরপরই ভারতীয় শিবিরে শুরু হয়ে যায় উদ্বেগ। গাব্বায় ব্যাট হাতে ফলো-অন বাঁচালেও মেলবোর্নে ব্যর্থ হলেন আকাশ। ১৩ বলে ০ রান করে বোল্যান্ডের বলেই আউট হলেন আকাশ। ২য় দিনের শেষে ক্রিজে আছেন জাদেজা(৪) এবং পন্থ(৬)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Boxing Day Test: কোহলি-কনস্টাস বিতর্ক, মেলবোর্নে প্রথম দিনে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

    Boxing Day Test: কোহলি-কনস্টাস বিতর্ক, মেলবোর্নে প্রথম দিনে চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্সিং ডে টেস্টে লাল বলের ক্রিকেট দেখতে ঐতিহাসিক মেলবোর্নে ভিড় জমাল ৯০ হাজার দর্শক। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টানটান লড়াইয়ে অন্য মাত্রা দিল কোহলি-কনস্টাসের ‘ধাক্কা’ বিতর্ক। তবে বর্ডার গাওস্কর সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে আগ্রাসী ব্যাটিং করে অ্য়াডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনের শেষে অজিদের স্কোর ৩১১ রানে ৬ উইকেট। দিনের শেষে ক্রিজে আছেন স্টিভ স্মিথ (৬৮) ও প্যাট কামিন্স (৮)।

    আগ্রাসী ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার

    মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। পিচে ঘাস থাকায় অস্ট্রেলিয়া তার ফায়দা নিতে চেয়েছিল। সেই লক্ষ্যে সফলও হয় তাঁরা। ওপেনিং জুটিতে দুরন্ত শুরু করেন উসমান খোয়াজা ও অভিষেককারী স্যাম কনস্টাস। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করেন কনস্টাস। জসপ্রীত বুমরাকে এক ওভারে ৩টি স্কুপ মেরে নজরও কাড়েন। অভিষেক টেস্টে অর্ধশতরান করেন কনস্টাস। এরপর দলের হয়ে ভালো ব্যাট করেন উসমান খোয়াজা ও মার্নাস লাবুশেন। প্রথম উইকেটে ৮৯ রান তোলার পর দ্বিতীয় উইকেটে ওঠে ৬৫ রান। এই সময় যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ভারত (India)। সেই সময়েই ভারতকে অক্সিজেন দেন জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। তিনিই ৫৭ রানে আউট করেন খোয়াজাকে। এরপর লাবুশেনকে আউট করে ওয়াশিংটন সুন্দর। ৭২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর ভারতকে স্বস্তি দিয়ে বিপজ্জনক ট্রাভিস হেডকে ফেরান বুমরা। ৭ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। আকাশদীপের বলে ৩১ রানে আউট হন অ্যালেক্স ক্যারি। পরপর বেশকিছু উইকেট পড়ে যাওয়ায় ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। আগামীকাল বড় রান করতে স্মিথের ব্যাটের উপর ভরসা করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ভারতীয় দলের সফল বোলার বুমরা। তিনি ৩ টি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছে রবীন্দ্র জাদেজা, আকাশ দীপ ও ওয়াশিংটন সুন্দর।


    কোহলি-কনস্টাস ধাক্কা বিতর্ক

    ম্যাচের দশম ওভার শেষে দিক পরিবর্তনের সময় স্যাম কনস্টাস ও বিরাট কোহলির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লাগার পরই কনস্টাস গিয়ে কোহলিকে কিছু উত্তপ্ত কথা বলেন। পাল্টা দিতে দেরি করেননি বিরাট কোহলি। সেই সয়ম অস্ট্রেলিয়ার অপর ওপেনার উসমান খোয়াজা ও আম্পায়ার এসে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে। তবে কোহলি-কনস্টাসের মধ্যে বেশ কিছু উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এই ঘটনার জন্য দিনের খেলা শেষ হতে না হতেই শাস্তিও পান ভারতীয় তারকা। কোহলির ম্যাচ থেকে প্রাপ্ত বেতনের ২০ শতাংশ কাটা যায়, পাশাপাশি তাঁকে এক ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি, এমনটাই একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    Nepals PM Oli: ভারতে আসতে মুখিয়ে ওলি, ‘পাত্তা’ই দিচ্ছে না দিল্লি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভারতে আসার জন্য মুখিয়ে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (Nepals PM Oli)। প্রথাগতভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীরা প্রথম ভারত সফর করেন (India)। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের বিষয়ে ওলি আগ্রহী ছিলেন। তাঁর অফিস ও নেপালের বিদেশ মন্ত্রক নয়াদিল্লির কাছে আমন্ত্রণ চেয়ে যোগাযোগও করেছিল। তবে নিউ দিল্লি ওলিকে গ্রহণে তেমন আগ্রহ দেখায়নি।

    ওলিকে এড়াচ্ছে ভারত! (Nepals PM Oli) 

    বেশ কয়েকবার অনুরোধের কোনও উত্তর না পাওয়ায়, ওলি বেজিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই মাসের শুরুর দিকে চিন সফর করেন। আশ্চর্যজনকভাবে, ওলির প্রথম সরকারি বিদেশ সফর চিনে নয়, বরং নিউ ইয়র্কে ৭৯তম রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ছিল। ওলির চিন সফরের জেরে নেপালে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ওলির ভারত সফরের আমন্ত্রণ পেতে আর একটি চেষ্টা করেছিল নেপাল। ওলি যাতে ভারতের আমন্ত্রণ পান, তাই নেপালের বিদেশমন্ত্রী আর্জু রানা দেবুবার গত সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে চিকিৎসা করাতে আসেন। সেই সময় তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সময় চান (Nepals PM Oli)। জয়শঙ্করের ব্যস্ততার কারণে সেই সাক্ষাৎও হয়নি। তিনি অন্য কোনও প্রবীণ মন্ত্রী বা বিদেশমন্ত্রকের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি।

    প্রশ্ন

    প্রশ্ন হল, কেন ওলিকে স্বাগত জানাচ্ছে না ভারত? জানা গিয়েছে, ওলি কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছিলেন, যা পূরণ করা অসম্ভব বলে মনে করেছিল ভারত। ওলির অফিস জানিয়েছিল, তাঁর সফরের সময় ভারতকে লিম্পিয়াধুরা-কালাপানি-লিপুলেখ ত্রিজংশের বিষয়ে ‘বিবাদ’ সমাধানের প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে হবে। নয়াদিল্লির মনে হয়েছিল, ওলি এই বিতর্কটি উত্থাপন করেছিলেন তার নিজের দলের মধ্যেই বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ বিরোধের মোকাবিলা করতে। তারপর থেকে, ভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে ওলির প্রতি গভীর বিরক্তি এবং সন্দেহ জন্মেছে। ভারতের ধারণা, ওলি বারবার ভারতকে চিনের বিপরীতে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। ওলি বেজিংয়ের প্রতি অনুগত। তিনি সব সময় চিনের পক্ষে কাজ করবেন। সেই কারণেই ওলির ডাকে (Nepals PM Oli) ভারত সাড়া দেয়নি বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (India)।

    আরও পড়ুন: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share