Tag: India

India

  • DRDO: নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    DRDO: নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির পথে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। নতুন একটি ‘লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল’-এর পরীক্ষা করল ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্ট্রিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) থেকে মোবাইল আর্টিকুলেটেড লঞ্চারের মাধ্যমে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হল। বিভিন্ন রেঞ্জ সেন্সরের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রটির পারফরমেন্সের ওপর নজরদারি চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ওয়ে পয়েন্ট ন্যাভিগেশন’ ব্যবহার করে প্রত্যাশিত পথ অনুসরণ করে পরীক্ষায় সফল হয়। 

    সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ

    ডিআরডিও (DRDO) এবং বেঙ্গালুরুর অ্যারোনটিকাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট সম্মিলিতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি, নির্মাণ এবং যাবতীয় পরীক্ষা করেছে। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা। যার মধ্যে রয়েছে হায়দরাবাদের ভারত ডাইনামিকস লিমিটেড (বিডিএল) এবং বেঙ্গালুরুর ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বেল)। ডিআরডিও-র এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মিসাইলটির কর্মক্ষমতা মনিটর করার জন্য রেঞ্জ সেন্সর যেমন রাডার, ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম (EOTS) এবং টেলিমেট্রি ব্যবহৃত হয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন স্থান থেকে মিসাইলের উড়ান পথ সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করেছে। মিসাইলটি প্রয়োজনীয় পথে চলেছে। এটি বিভিন্ন উচ্চতা ও গতিতে বিভিন্ন কৌশল সম্পাদন করার ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন ডিআরডিওর (DRDO) পদস্থ আধিকারিকরা। পরীক্ষার সময় ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বায়ুসেনার আধিকারিকরাও। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও এবং সহযোগী সংস্থাগুলিকে সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পরীক্ষাটি ভবিষ্যতে দেশীয় ক্রুজ মিসাইল উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।” তিনি আরও বলেন, “এটি ভারতীয় মিসাইল প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।” এই সফল পরীক্ষার ফলে ভবিষ্যতে আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs South Africa: আন্তর্জাতিক স্তরে তিলকের প্রথম শতরান, প্রোটিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ভারত

    India vs South Africa: আন্তর্জাতিক স্তরে তিলকের প্রথম শতরান, প্রোটিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলকের শতরান ও অর্শদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিপক্ষে শুক্রবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নামবে ভারত। বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শতরান পেলেন তিলক ভার্মা (Tilak Verma)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন তরুণ হায়দরাবাদী। তাঁর ব্যাটে ভর করেই এদিন জয়ের তিলক পড়ল সূর্যদের ললাটে। ভারতীয় ক্রিকেটে হায়দরাবাদের ব্যাটারদের আলাদা কদর রয়েছে। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, ভিভিএস লক্ষ্ণণদের সেই ধারাই বয়ে নিয়ে চলেছেন তিলক।

    রেকর্ড-বুকে তিলক

    একটা সময় ক্রিকেট শিখতে যাওয়ার টাকাও ছিল না তিলক ভার্মার কাছে। বাবা নাম্বুরি নাগারাজু ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। মা গায়ত্রী দেবী গৃহবধূ। টানাটানির সংসারে কষ্ট করে ছেলেকে ক্রিকেটার তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের সেই কষ্টের প্রতিদান দিচ্ছে তিলকের ব্যাট। গত কয়েক বছর ধরে দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম সারিতে জায়গা করে নেওয়া তিলকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ২০২৩ সালের ৩ অগাস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শুরু। সেই ২০ ওভারের ক্রিকেটেই প্রথম শতরান পেলেন তিলক। বুধবার একটি রেকর্ডও গড়েছেন তিলক। সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসাবে টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকায় প্রথম ১০-এ থাকা কোনও দলের বিরুদ্ধে শতরান করেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২২ বছর ৫ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি করেছেন। আগে এই রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদের। ২০১৪ সালে ২২ বছর ১২৭ দিন বয়সে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ভাঙলেন তিলক।

    প্রশ্ন তুলল ভারতের ব্যাটিং

    বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরের দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ভারতীয় দলের ইনিংস যত দূর পৌঁছবে বলে মনে হচ্ছিল, তার বেশ কিছুটা আগেই থেমে গেল। শেষ ওভারে উঠল মাত্র ৪ রান। এদিন তিলক ভার্মার শতরান ও অভিষেক শর্মার অর্ধশতরান ছাড়া বড়ই বেহাল ভারতের ব্যাটিং। তিলক ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেললেন। এ ছাড়া অভিষেকের ২৫ বলে ৫০ রান এবং অতিরিক্ত হিসাবে পাওয়া ১৯ রান বাদ দিলে বাকি ভারতীয় ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদান ৪৩। সূর্যকুমারের দলের ব্যাটিং দুর্বলতা ঢেকে দিচ্ছেন বোলারেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা স্পিন বলের বিরুদ্ধে কোনও দিনই তেমন দক্ষ নন। সেটাই কাজে লাগাচ্ছেন সূর্যকুমাররা। এদিন অর্শদীপের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং রবি বিষ্ণোই ও বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন আক্রমণই শেষ পর্যন্ত ভারতকে টান টান উত্তেজনার ম্যাচে ১১ রানে জয় এনে দেয়। ভারতীয় দলের ইনিংস শেষ হওয়ার পর তিলক বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তটার জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করেছি। চোট সারিয়ে ফেরার পর শতরান করতে পেরে দারুণ লাগছে। শুরুতে পিচ একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। পিচে দু’রকম গতি ছিল। পরে অবশ্য কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছে। বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করিনি। লক্ষ্যে স্থির থাকার চেষ্টা করেছি। আমি এবং অভিষেক শর্মা দু’জনেই চাপে ছিলাম একটা সময় পর্যন্ত। অভিষেকও খুব ভাল ব্যাট করেছে। আমার চাপ কমিয়ে দিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rajnath Singh: বিশ্বের ‘ড্রোন হাব’ হওয়াই লক্ষ্য ভারতের, জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: বিশ্বের ‘ড্রোন হাব’ হওয়াই লক্ষ্য ভারতের, জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর হতে হবে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে অত্যাধুনিক মানের ড্রোন তৈরি করছে ভারত৷ ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্যই বিশেষ ধরনের দেশীয় ড্রোন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। চেষ্টা করা হচ্ছে ড্রোন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে ড্রোন রফতানিও বাড়ানোর। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) মঙ্গলবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত “অ্যাডাপটিভ ডিফেন্স: নেভিগেটিং দ্য চেঞ্জিং ল্যান্ডস্কেপ অফ মডার্ন ওয়ারফেয়ার” শীর্ষক প্রতিরক্ষা সংলাপে বলেন, ভারত বিশ্বে একটি ‘ড্রোন হাব’ হতে চায়। এটি শুধুমাত্র ভারতের অর্থনীতির জন্যই সহায়ক হবে না, বরং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচি আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    সরকারের পদক্ষেপ

    এদিনের আলোচনা সভায় রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “সরকার ড্রোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্বকে দৃঢ় করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা গবেষণা ও উন্নয়নকে শক্তিশালী করছি। নির্ভরযোগ্য সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা এবং ভারতীয় মেধানির্ভর সম্পদ তৈরি করতে কাজ করছি। এছাড়াও, উদ্ভাবনকে পুরস্কৃত করতে আইডিইএক্স স্কিম চালু করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ড্রোন এবং সোয়ার্ম প্রযুক্তি যুদ্ধের ধরনকে মৌলিকভাবে পাল্টে দিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যুদ্ধের যে ধারণা ছিল, তা এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। ভূমি, আকাশ এবং জলপরিধির প্রতিরক্ষা ধারণাগুলি এখন একে অপরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে ড্রোন এবং সোয়ার্ম প্রযুক্তির কারণে।”

    প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির দিকে নজর

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh) বলেন, “আমরা ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। বর্তমানে ভারত ১০০টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করছে। ২০২৯ সালের মধ্যে ৫০,০০০ কোটি মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্য রয়েছে ভারতের। ভারত সাইবারস্পেস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তাঁর কথায়, “তথ্য যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার অ্যাডাপটিভ ডিফেন্স কৌশল গ্রহণ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে হবে মেলা। যেহেতু মহাকুম্ভের এই যোগ আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেলও (Indian Railways)। 

    মহাকুম্ভ স্নান শুরু (Mahakumbh 2025)

    প্রয়াগরাজ-সহ মোট ১০টি রেল স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছে রেল। রেলের আশা, এবার প্রায় ১০ কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে প্রয়াগরাজে পৌঁছবেন। প্রয়াগরাজ স্টেশনটি উত্তর-মধ্য রেলওয়ে অঞ্চলের আওতায়। মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) স্নান শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং আপগ্রেড করতে ৯৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল (Indian Railways)।

    রেলের বিশেষ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে রেলমন্ত্রক এবার ৯৯২টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। এই ট্রেনগুলি প্রয়াগরাজ জংশন, সুবেদারগঞ্জ, নৈনি, চেয়োকি, প্রয়াগরাজ রামবাগ, ঝাঁসি, প্রয়াগরাজ সঙ্গম, প্রয়াগ এবং ফাফামাউ স্টেশন থেকে চলাচল করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির পাশাপাশি ফেস রিকগনিশন (এফআর) ক্যামেরা বসাচ্ছে রেল (Indian Railways)। এই এফআর ক্যামেরাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজের রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে প্রায় ৬৫০টি সিসিটিভি এবং ১০০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসানো হবে (Mahakumbh 2025)।

    আঞ্চলিক রেলওয়ে (Indian Railways) স্টেশনগুলিতে বহু ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ তাঁদের নিজস্ব ভাষায় ট্রেন সংক্রান্ত তথ্যবলী সহজেই পেতে পারবেন। হিন্দি এবং ইংরেজির পাশাপাশি ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা করা হবে। এই ভাষাগুলি হল— গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম, কন্নড়, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া এবং পঞ্জাবি।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    যেহেতু এবার ব্যাপক ভিড় হবে মহাকুম্ভ মেলায়, তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ১৬০০-এরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন। এজন্য রেলওয়ে বোর্ড (Indian Railways) অন্য অঞ্চলগুলিকে বুকিং ক্লার্ক, বাণিজ্যিক-কাম-টিকিট ক্লার্ক, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক এবং সহকারী বাণিজ্যিক ম্যানেজার-সহ অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে। মহাকুম্ভ মেলার সময় অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মীদের চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর একবার করে হয় কুম্ভ। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এই কুম্ভ এবং মহাকুম্ভ হয় প্রয়াগরাজে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    Hindu Sabha Temple: মন্দিরে হামলা, ট্রুডোর বিরুদ্ধে কানাডার কোর্টে আবেদন ভারতীয় আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও গাড্ডায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দল কানাডার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। পিটিশনে ব্রাম্পটনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হিন্দু মন্দিরে আক্রমণের (Hindu Sabha Temple) সঙ্গে জড়িত সকলের, বিশেষ করে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।

    কানাডায় পিটিশন দায়ের (Hindu Sabha Temple)

    জিন্দল কানাডার প্রধান বিচারপতি রিচার্ড ওয়াগনারের কাছে ডিজিটালি এই পিটিশন জমা দেন। পিটিশনে হিন্দু ভক্ত ও হিন্দু সভা মন্দিরে আক্রমণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পিটিশনে জিন্দল কানাডিয়ান সুপ্রিম কোর্টকে এই ঘটনার তদন্তের তত্ত্বাবধান করার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পিল পুলিশের কর্মকর্তাদের আচরণ এবং ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র মতো খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করতে, যারা হিংসায় ইন্ধন জোগানোয় দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পিটিশনে এমন পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয় যাতে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা হয়। কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলিতে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে পিটিশনে। জিন্দল এও উল্লেখ করেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনাস্থলগুলির (Hindu Sabha Temple) ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।

    কী বলছেন আইনজীবী

    সংবাদ মাধ্যমে (Justin Trudeau) সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী বলেন, “বর্তমান জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে, তাও এখন সুপরিচিত। ৩ নভেম্বর, খালিস্তানপন্থীরা হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায়। ভক্তদের মারধরও করা হয়। এই ঘটনার সময় পিল পুলিশের (এই অঞ্চলেই ঘটনাটি ঘটেছিল) কর্মকর্তারাও হিন্দু ভক্তদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল (এ সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। এরপর থেকে কানাডায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্র-সহ সব দিক থেকেই হিন্দুরা হামলার শিকার হচ্ছে। এই মুহূর্তে কানাডায় আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।’’

    ট্রুডো সরকারের মদত!

    তিনি বলেন, “খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের মতো খালিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠনগুলি ট্রুডো সরকারের মদত পাচ্ছে বলে অভিযোগ। তার জেরে হিন্দু যুবকদের মিথ্যে হিংসা ও ঘৃণার মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে খালিস্তানপন্থী ওই সংগঠনের সদস্যরা।” জিন্দল বলেন, “আমি এই পদক্ষেপটি নিচ্ছি যাতে কানাডার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে একটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং সেখানে বসবাসকারী প্রতিটি হিন্দুর জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানানো যায়।” জিন্দলের আশা, কানাডার বিচার ব্যবস্থা সঠিক বিচার করবে। তাঁর পিটিশনটিও গৃহীত হবে। কানাডায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

    হামলার ভিডিও ফুটেজ

    গত ৩ নভেম্বর কানাডার ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরের (Hindu Sabha Temple) বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কয়েকজন খালিস্তানপন্থী। প্রত্যক্ষদর্শী ও হিন্দু-কানাডিয়ান ফাউন্ডেশনের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা খালিস্তানের ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে মন্দির উপস্থিত হিন্দু ভক্তদের মারধর করে। খালিস্তানপন্থীদের এই ভিড়ে কানাডা পুলিশের এক কর্মীকেও দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থী ঝান্ডা হাতে (যদিও কানাডা পুলিশের দাবি, ওই কর্মী তখন ডিউটিতে ছিলেন না)। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভক্তরা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। আচমকাই তাঁদের ওপর হামলা করে খালিস্তানপন্থীরা। তাদের মারের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলা, শিশু এবং প্রবীণরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কীভাবে উগ্রপন্থীরা অনুষ্ঠানটি বিঘ্নিত করছে। কীভাবেই তারা উপস্থিত ভক্তদের মারধর করছে।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    তীব্র নিন্দা ভারতের

    কানাডার ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারত। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে সে দেশে ভারতীয় নাগরিক ও ধর্মীয় কাঠামোগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানিয়েছিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা হিন্দু সভা মন্দিরে চরমপন্থী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের করা উস্কানিমূলক হিংসার নিন্দা করছি। আমরা কানাডা সরকারকে অনুরোধ করছি এমন আক্রমণ থেকে যেন (Justin Trudeau) সে দেশের সব উপাসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয় (Hindu Sabha Temple)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

       

  • Elon Musk: শীঘ্রই ভারতে আসছে স্টারলিঙ্ক! কেন্দ্রের ডেটা স্থানীয়করণ শর্তে রাজি মাস্কের স্পেসএক্স

    Elon Musk: শীঘ্রই ভারতে আসছে স্টারলিঙ্ক! কেন্দ্রের ডেটা স্থানীয়করণ শর্তে রাজি মাস্কের স্পেসএক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের (Elon Musk) স্পেসএক্স, যা বেশ কয়েকটি দেশে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে থাকে, এবার ভারতেও চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্কের (SpaceX Starlink) কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই সংস্থাটি ডেটা বা তথ্যের বিষয়ে স্থানীয়করণ এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভারত সরকারের শর্তে সম্মতি দিয়েছে।

    ভারতে স্টারলিঙ্ক লঞ্চের ইঙ্গিত (Elon Musk)

    মানি কন্ট্রোলের একটি খবরে জানা গিয়েছে, স্টারলিঙ্কের লাইসেন্সের আবেদন আবার ট্র্যাকে ফিরে এসেছে। কারণ মাস্ক তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি ভারত সরকারের দেওয়া শর্তে সম্মত হয়েছে। স্টারলিঙ্ক (SpaceX Starlink) বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারতে স্টারলিঙ্ক নেটওয়ার্ক সূচনার ইঙ্গিত দিতে পারে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে স্টারলিঙ্ক (SpaceX Starlink) নীতিগতভাবে সরকারের প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে সম্মতি দিয়েছে। ইলন মাস্ক (Elon Musk) হলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়ের পর তিনি অনেক বেশি প্রভাবশালী হতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মাস্ক প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন এবং প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনও করেছিলেন। মার্কিন মুলুকে নতুন ট্রাম্প সরকারেও তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করতে চলেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ রাশিয়ায় তৈরি প্রথম স্টেল্থ ফ্রিগেট ‘তুশিল’ ডিসেম্বরেই আসছে ভারতের হাতে

    কে এই ইলন মাস্ক (Elon Musk)?

    ইলন মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের সিইও ও প্রধান প্রযুক্তি আধিকারিক। তিনি একই ভাবে আবার বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের-ও প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক। তিনি পণ্য প্রস্তুতকারক সোলারসিটির চেয়ারম্যান। সেই সঙ্গে তিনি দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতাও। একই ভাবে নিউরালিঙ্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান। তিনি পেপালেরও (PayPal) একজন সহযোগী-প্রতিষ্ঠাতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    Maharashtra Assembly Elections 2024: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরব সাগরের তীরেও মাথাব্যথার কারণ সেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। প্রতিনিয়ত যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ঝাড়খণ্ড, ধামাচাপা দিয়ে কেন্দ্রের আইওয়াশ করছে পশ্চিমবঙ্গ (অন্তত এমনই অভিযোগ বিরোধীদের), সেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরাই ‘এক্স ফ্যাক্টর’ মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।

    কী বলছে গবেষণাপত্র (Maharashtra Assembly Elections 2024)

    সম্প্রতি টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের (টিস) একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত মুসলমানদের সংখ্যা মুম্বইতে বাড়ছে হুহু করে। কিছু রাজনৈতিক দল তাদের ব্যবহার করছে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে। এই গবেষণায় এও বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা শহরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে প্রভাবিত করছে। তারা অদক্ষ শ্রমিকের কাজ করছে। শ্রমিক সহজলভ্য হওযায় মজুরি কমছে স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত, গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল ‘মুম্বইতে অবৈধ অভিবাসী: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিণতি বিশ্লেষণ’।

    মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার

    যুগের পর যুগ ধরে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির একটা অংশ মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই ব্যবহার করে আসছে। এই দলগুলিই অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করছে নানা কাজে। কখনও জাল নথি বানিয়ে, কখনও আবার অন্য কোনওভাবে ওই রাজনৈতিক দলগুলি অনুপ্রবেশকারীদের মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এ দেশের মূলস্রোতে। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসের গবেষণাপত্রেও প্রায় একই কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কিছু রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ব্যবহার করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। ভোটার নিবন্ধন কারসাজির অভিযোগও উঠেছে। অনথিভুক্ত অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভোটার আইডি সংগ্রহ করে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনে। ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অখণ্ডতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।’

    ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন

    গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, কিছু রাজনীতিবিদ ভোটের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আইডি বা রেশন কার্ড তৈরি করে দেওয়ার পক্ষে। তবে এতে সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ রাজনীতি-চালিত অনুপ্রবেশের জেরে বাড়ছে মেরুকরণ। এটি প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনী ফলে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক ইস্যুগুলি থেকে মনোযোগ সরে যেতে পারে।গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবাহ ধর্মীয় জনসংখ্যার ভারসাম্যেও পরিবর্তন এনেছে। যার জেরে বিশেষ করে মুম্বইয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে শহরে অপরাধ বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে ওই গবেষণাপত্রে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    প্রভাব পড়ছে জনবিন্যাসেও

    মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) কিছু এনজিও এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিও এই অনুপ্রবেশকারীদের নিরন্তর সাহায্য করে চলেছে। তার জেরে ঘটছে এলাকার জনসংখ্যাগত পরিবর্তন। যার প্রভাব পড়ছে আরবসাগরের তীরের রাজ্যটির অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কঠোর নিয়মের কারণে রেজিস্টার্ড এনজিওগুলি প্রায়ই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করা থেকে বিরত থাকে। সেই ফাঁক পূরণ করে অবৈধ এনজিওগুলি। তার জেরেই দ্রুত বদলে যাচ্ছে শহরের জনবিন্যাস। গবেষকরা প্রায় ৩০০০ জন অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৩০০ জনের সঙ্গে কথা বলে প্রকাশ করেছেন রিপোর্টটি (Maharashtra Assembly Elections 2024)। এই তিনশোজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ধারাভি, গোভান্ডি, মানখুর্দ, মাহিম পশ্চিম এবং আম্বেদকর নগরে।

    লোকসভা নির্বাচনে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব

    চলতি বছর মে-জুন মাসে হয় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, মুসলমানরা মহারাষ্ট্রে বিশেষত বিজেপিকে পরাজিত করতে সংঘটিত হয়েছিল। এ রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফল খুবই চমকপ্রদ। এখানে বিজেপি ছাড়া অন্য দলগুলোকে সমর্থন করেছিল মুসলমানরা। ওই নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা জেতে ৭টি আসনে। পদ্ম ফোটে ৯টি কেন্দ্রে। অন্যদিকে, এনসিপি (শরদ পাওয়ার), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এবং শিবসেনা (ইউবিটি), যারা মুসলমান এবং কমিউনিস্টদের সমর্থন পেয়েছিল, তারা যথাক্রমে জয়লাভ করে ৮, ১৩ এবং ৯টি আসনে। এ থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, মহারাষ্ট্রের মুসলমানরা বিজেপি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থাকা রাজনৈতিক দলগুলিকেই ভোট দিয়েছিল (Maharashtra Assembly Elections 2024)। শিবসেনা নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দীপক কেসারকার, যিনি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ, পরে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে মুসলিমদের ‘ফতোয়া’ জারি হওয়ার কারণেই শিবসেনা (ইউবিটি), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস, এবং এনসিপি (শরদ পাওয়ার) মুম্বই ও রাজ্যের আরও বেশ কিছু অঞ্চলে বেশিরভাগ আসন জিততে পেরেছে।

    বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি

    জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রেরই পুণে অঞ্চলে ইসলামপন্থীরা বিজেপির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছিল। মুসলমান ভোটারদের পুণে, শিরুর, বারামতি এবং মাওয়াল কেন্দ্রের জন্য যথাক্রমে কংগ্রেস, এনসিপি (শরদ পওয়ার) এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ইসলামি নেতারা এই ঘোষণা করেছিল ২ মে, কন্ডওয়া অঞ্চলে কুল জামাতি তানজিম পুণে কর্তৃক আয়োজিত ‘তাকরির বাই হযরত মাওলানা সাজ্জাদ নোমানি’ অনুষ্ঠানে। বক্তৃতা দিতে গিয়ে, নোমানি বলেছিলেন যে আজকের প্রত্যেক মুসলিম ভোটারের উচিত তার সম্প্রদায়ের স্বার্থে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। তিনি মুসলমানদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে গিয়ে বলেন, “যদি মোদি ক্ষমতায় আসেন, তবে সমস্ত মাজার ও মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেওয়া হবে।” শিবসেনা (ইউবিটি) দ্বারা মুম্বইয়ে আয়োজিত ওই সমাবেশে ইসলামিক পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছিল।

    মুসলমানদের মধ্যে প্রচার

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন হবে ২০ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে ১৮০টির মতো এনজিও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিল্ডে কাজ করছে ‘সচেতনতা’ বাড়াতে। মুসলমানরা যাতে বেশি করে ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, সেই প্রচারও চালাচ্ছে। এই কৌশলটি লোকসভা নির্বাচনের সময় মহা বিকাশ আগাড়িকে সাহায্য করেছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিবাজিনগর, মুম্বাদেবী, বাইকুল্লা এবং মালেগাঁও সেন্ট্রালের মতো মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায়, লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটারদের উপস্থিতি পার্শ্ববর্তী বিধানসভা অঞ্চলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল। এই বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা মুসলিম ভোটারদের উদ্বেগ এবং গত এক বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা (Maharashtra Assembly Elections 2024) বৃদ্ধির প্রচেষ্টার উল্লেখ করেছে।

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ

    মহারাষ্ট্র মুসলিম সেবা সঙ্ঘ ১৮০টিরও বেশি এনজিওর সঙ্গে সহযোগিতা করেছে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ভোটার নিবন্ধন ও সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছে। সংগঠনটি রাজ্যজুড়ে মুসলিম ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক ও তথ্য জানানো সেশনের আয়োজন করেছে। সংগঠনের নেতা ফকির মাহমুদ ঠাকুর বলেন, “এর ফলে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা আগের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। আমরা মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তাঁরা ধর্মনিরপেক্ষ প্রার্থীদের সমর্থন করেন এবং সংবিধানের প্রতি সম্মান রেখে ভোট দেন। অন্যান্য সংগঠন ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার ফলে একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া এসেছে। রাজ্যজুড়ে (Maharashtra) ২০০টিরও বেশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে (Maharashtra Assembly Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Apple iPhone: উৎপাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইফোনের নকশাও হবে ভারতে! নয়া সংস্থা গড়ল অ্যাপল

    Apple iPhone: উৎপাদনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে আইফোনের নকশাও হবে ভারতে! নয়া সংস্থা গড়ল অ্যাপল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপল (Apple iPhone) এখন ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে স্থানীয় ডিজাইন এবং পরিকাঠামোকে বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত এই কোম্পানির কোনও বিশেষ ডিজাইন কাঠামো ভারতে ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং ইজরায়েলের মতো দেশেই এই ধরনের কাজ বেশি হত। এবার থেকে ভারতেও হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভারত এখন গত ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে এই স্মার্টফোন উৎপাদনে (Manufacturing) বিশেষ গুরুত্ব রাখছে। ইতিমধ্যে দেশীয় বাজার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় উৎপাদন বিশেষ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। দেশে কেন্দ্রের মোদি সরকারও স্থানীয় পরিকাঠামো দিয়ে কোম্পানিগুলিকে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। 

    মূল লক্ষ্য কী (Apple iPhone)?

    স্মার্টফোন নির্মাতা অ্যাপল (Apple iPhone) ভারতে তার উৎপাদন প্রসারিত করার জন্য কাজ শুরু করেছে। ভারতের দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা স্থানীয় চাহিদা এবং মূল্য সংযোজন করার লক্ষ্যই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য। একই ভাবে অ্যাপল দেশের অভ্যন্তরে গবেষণা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নত ডিজাইন পরিচালনার জন্য ভিত্তি তৈরির ভাবনা রেখেছে। অ্যাপেল ভারতে স্থায়ী বাজার নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করতে অত্যন্ত আগ্রহী। তবে উৎপাদনের জন্য অ্যাসেম্বলি অপারেশন এবং গ্রাহকদের জন্য অফিসিয়াল স্টোর একান্ত আবশ্যক। এই দুই ব্যবস্থা স্মার্টফোনের বাজারকে আরও গতি দেবে। আইফোন উৎপাদনের জন্য সরকারের পিএলআই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধাভোগী হবেন গ্রাহকরা। চিন, আমেরিকা, ইজারেয়েলের মতো উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হবে ভারতও।

    অ্যাপেল অপারেটিং ইন্ডিয়া স্থাপন হয়েছে

    অ্যাপল অপারেটিং ইন্ডিয়া (Apple Operations India) নামে একটি সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি সংস্থা ভারতে স্থাপন করেছে অ্যাপল। প্রকিওরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ডেভেলপিং, ম্যানুফ্যাকচারিং সাপোর্ট এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজ এখানে হবে। সেই সঙ্গে প্রক্রিয়াকরণ, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, প্রযুক্তি এবং ডিজাইন সম্পর্কিত ভাবনাগুলি ব্যবসায় জড়িত থাকবে কীভাবে তাও ঠিক করা হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, আর অ্যান্ড ডি (গবেষণা ও  উৎপাদন) এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা, পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে ভারত সরকার অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলিকে উপযুক্ত কাজের পরিবেশ গড়ে দিয়েছে।

    একই ভাবে গবেষণা, উন্নয়ন এবং ডিজাইন অপারেশন্স পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় উপকরণ ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর স্পেসগুলির জন্য ভারত একটি প্রধান ডিজাইন হাব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এখন থেকে বেশিরভাগ স্মার্টফোন (Apple iPhone) কোম্পানি এখনও ভারতেই ডিজাইন করে প্রস্তুত করতে পারবে। একই ভাবে দেশের মধ্যে যেমন উৎপাদন কারখানা হবে, তেমনি দেশে-বিদেশে রফতানি করতেও পারবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্মার্টফোনের বাজারে ভারতের গুরুত্ব বিশেষ ভাবে বৃদ্ধি পাবে।  

    গবেষণা ইকোসিস্টেমে একটি বৃহত্তর স্থান হবে

    কেন্দ্রীয় সরকার ইলেকট্রনিক্স সেক্টরে স্থানীয় মূল্য নির্ধারণে উৎপাদনের নকশা, গুণমান দেখে বিচার করে থাকে। অবশ্য কোম্পানিগুলি তাদের অ্যাসেম্বলি অপারেশনগুলিকে স্থানীয় কারখানা নিয়ে গিয়ে একটি পরিকাঠামো ইউনিট স্থাপন করে থাকে। একই ভাবে অ্যাপলও ভারতে উৎপাদন পরিকাঠামো স্থাপন এবং গবেষণা ইকোসিস্টেমের মধ্যে একটি বৃহত্তর স্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন সঞ্জীব খান্না, জেনে নিন তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড

    বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ১৪ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে ভারত

    এক সিনিয়র সরকারি কর্তা বলেছেন, “আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বড় জোগান রয়েছে। যার কারণে সমস্ত বড় কোম্পানি এখানে গবেষণা ও  উৎপাদন কাজ করতে আগ্রহী হয়। এখন আমরা স্মার্টফোন (Apple iPhone) সেক্টরের ক্ষেত্রেও অনুরূপ উন্নয়ন আশা প্রকাশ করতেই পারি।” এটি আইফোনের জন্য ভারতে একটি উল্লেখযোগ্য উৎপাদন ভিত্তি তৈরি করেছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪ অনুসারে, ২০২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আইফোন (iPhones) অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করেছিল। অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী ডিভাইসের উৎপাদনের ১৪ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। এখন ভারতে অ্যাপলের প্রোডাক্টের প্রস্তুতকারক সংস্থা ফক্সকন যে ফোনগুলি তৈরি করছে তা দেশেও বিক্রি হচ্ছে এবং রফতানিও হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মুডিজ রেটিংয়ের মতে, এর ফলে মার্কিন-চিন উত্তেজনা বাড়বে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতার কারণে ভারত (India) ও অন্য এশীয় দেশগুলির লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

    কী বলছে মুডিজ (Donald Trump)

    গ্লোবাল রেটিং সংস্থা মুডিজের আশা, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত খাতে মার্কিন বিনিয়োগ কঠোর হওয়ার ফলে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রবাহ আরও বেশি করে চিন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে আদতে উপকৃত হবে ভারত। এটি ইতিবাচক হতে পারে ভারতের অর্থনীতি ও আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গোষ্ঠীভুক্ত) দেশগুলির পক্ষে। এই পরিবর্তন চিনের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্দা ডেকে আনবে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিতে। আমেরিকার এই পদক্ষেপের ফলে লাভবান হতে পারে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলি। মুডিজ জানিয়েছে, ট্রাম্পের আইন প্রণয়ন ও এক্সিকিউটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের একাধিক বিকল্প থাকবে।

    ট্রাম্পের কর সংস্কার প্রস্তাব

    মুডিজের আশা, ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন বাজেট, বাণিজ্য, জলবায়ু এবং অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। এগুলির সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির বিস্তর ফারাক হবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প কর সংস্কার প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, সতেরো সালের ট্যাক্স কাটস অ্যান্ড জবস অ্যাক্ট স্থায়ী করা, কর্পোরেট ট্যাক্সের হার কমানো এবং আয়ের ওপর কর ছাড় দেওয়া। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পরিকল্পনাগুলি, নির্দিষ্ট ট্যারিফের সঙ্গে মিলিয়ে, বিশেষ করে চিনা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে ট্যারিফ প্রয়োগ করলে, আমেরিকার ফেডারেল ঘাটতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস-জেএমএমের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন”, বার্তা মোদির

    মুডিজের দাবি, ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সুরক্ষামূলক বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করতে পারে। ট্রাম্পের এই নীতি আমদানির ওপর নির্ভরশীল খাতগুলির (উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং খুচরা) জন্য ঝুঁকিবহুল হতে পারে। সংস্থার দাবি, সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলি বৈশ্বিক সরবরাহ (India) শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং আমদানি করা উপকরণ ও পণ্যের ওপর নির্ভরশীল খাতগুলির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত আরও এক খালিস্তানপন্থী (Khalistan) দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ব্রাম্পটনের গোর রোডের মন্দিরে ভক্তদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গি সংগঠন খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি ওই জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ক।

    আক্রমণ, হামলা ও বিক্ষোভের উদ্যোক্তা গোসাল (Canada)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোসাল। ৩৫ বছরের এই যুবক ব্রাম্পটনের বাসিন্দা। তিনি খালিস্তানপন্থী (Khalistan) শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সমন্বয়ক। কানাডা (Canada) পুলিশের তদন্তকারী দল (সিট) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। এখান থেকেই শনাক্ত করা গিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর তাকে ওই দিনই আদালতে তোলা হয়। ওই দেশের একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, ধৃত ব্যক্তি শিখ ফর জাস্টিসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ চালাত। ৩ নভেম্বর মন্দিরের ভক্তদের উপর আক্রমণ এবং বাইরে বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই অভিযুক্ত ছিল। একই ভাবে ধৃত দাবি করে, খালিস্তানপন্থী হওয়ার জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছিল আগেও এবং বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে হামলা করা হয়েছিল।

    ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    মন্দিরে হামালাকাণ্ডে ধৃত গোসাল কানাডার (Canada) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়াছে, “আমাদের লক্ষ্য কোনও হিন্দু নয়। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এটা কোনও ভাবেই হিন্দু এবং শিখদের যুদ্ধ নয়।” উল্লেখ্য কানাডা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে হামলার অভিযোগে রণেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রণেন্দ্রলালের বয়স ছিল ৫৭। হিংসা এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ব্রাম্পটনে (Canada) হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। উল্লেখ্য সেই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ (Khalistan) বিরোধী দাঙ্গার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ছিল খালিস্থানপন্থী বেশ কিছু সমর্থক। হাতে ছিল খালিস্তান জঙ্গির পতাকা এবং লাঠি। ভক্তরা মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় ওই খালিস্তানপন্থীরা। এরপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ভক্তদের উপর। এতে আহত হন বেশ কিছু মহিলা-শিশু ভক্ত সহ পুরুষরাও। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ছিল ভারতীয় দূতাবাসের উপকেন্দ্র। অভিযোগ সেখানেও চলে হামলা। ঘটনার নিন্দা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জার্স্টিন ট্রুডো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share