Tag: India

India

  • PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেয়ে জনগণের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পেঙ্গুইন এন্টারপ্রাইজের প্রকাশনায় ‘৩৭০: আনডুয়িং দ্য আনজাস্ট, এ নিউ ফিউচার ফর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর’- বইটিতে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, বইটি এই মাসেই প্রকাশিত হতে চলেছে। 

    এই বইটির বিষয়বস্তু কী? (Article 370)  

    জানা গিয়েছে, বইটিতে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে মোদি নিজের লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রকাশকরা বলেছেন, ”ভারতের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ সাংবিধানিক কীর্তি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কীভাবে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন তার ভিতরের ইতিহাস বর্ণিত আছে এই বইতে।” অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব কিছুরই উল্লেখ আছে এই বইতে। 

    আরও পড়ুন: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    কাশ্মীরের ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি করেছিলেন শেখ আবদুল্লা। সেই সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন মহারাজা হরি সিং এবং জওহরলাল নেহরু। তবে অস্থায়ী ভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না আবদুল্লা। তিনি স্থায়ীভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তবে তাতে রাজি ছিল না কেন্দ্র।  

    অগ্রিম প্রশংসা বিদেশমন্ত্রীর 

    বইটির জন্য অগ্রিম প্রশংসা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিশিষ্ট বিবরণ যা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার পটভূমিকে সঠিক ভাবে প্রকাশ করেছে। এই বইটির মাধ্যমে কীভাবে পূর্ববর্তী যুগের রাজনৈতিক গণনা এবং ব্যক্তিগত প্ররোচনাগুলি শেষ পর্যন্ত জাতীয় অনুভূতি দ্বারা প্রতিহত হয়েছিল তা প্রকাশিত হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি (OBC) সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) হাইকোর্টের রায়ে তো কোনও স্থগিতাদেশ দেয়ইনি, উল্টে রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দিয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা চাওয়া হয়েছে।

    কী নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত? (Supreme Court)

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে সোমবার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরই এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল, তা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, সে কথাও জানাতে হবে হলফনামায়। রাজ্যের বক্তব্য জানার পর আগামী সপ্তাহের শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল!

    ২০১০ সালের পর যে ওবিসি (OBC) শংসাপত্রগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলি আইন না মেনেই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ২২ মে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের জন্য। ওই নির্দেশের ফলে রাজ্যে ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও চাকরির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকারের আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে গেলে স্থগিতাদেশ  মিলবে। সেখানেও ধাক্কা খেল মমতার সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এরই মধ্যে খবর,  বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। সোমবার সকালে হাসিনা ও রেহানা তাঁদের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে চলে যান। সেখান থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে উড়ে যান দুই বোন। 

    গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। আর এরই মধ্যে সোমবার বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন হাসিনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছেড়েছেন তিনি।  পরে, সেনাপ্রধান সেই খবরে সিলমোহর দেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আপনারা শান্তি-শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসুন।’’ 

    গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙছেন তাঁরা। ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গণভবনে লুট চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। কারও হাতে দামি জিনিসপত্র, কারও হাতে মুরগি। কেউ বা ছুটছেন চেয়ার হাতে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতায় যাচাই করেনি মাধ্যম। সব মিলিয়ে তুমুল অশান্ত গোটা বাংলাদেশ। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল পরিষেবা। পুলিশের পরিবর্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাস্তায় নেমে পড়েছে সাঁজোয়া গাড়ি। 

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ সেনাপ্রধানের

    হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের বিশিষ্টজন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়াকার উজ জামান। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনতাকে বলেছেন, হিংসা পরিহার করে সংযত হওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার।  

    আরও পড়ুন: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    সেনার অধীনে তদারকি সরকার গঠিত হতে পারে (Bangladesh) 

    এদিন ভাষণে বাংলাদেশের জনতার উদ্দেশে সেনাপ্রধানের আর্জি, ”আপনারা শান্তি বজায় রাখুন। ভাঙচুর করবেন না। আমি নির্দেশ দিয়েছি পুলিশ বা সেনাবাহিনী গুলি চালাবে না। আমরা এর আগে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব। আপনারা সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রাখুন। সশস্ত্র বাহিনীর উপর আস্থা রাখুন, আমরা সমস্ত দায় দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। আপনারা এখনই আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, তা আমরা পূরণ করব এবং দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশ। সব কিছু জেনে বুঝেও চোখের সামনে নিজের কন্যা সন্তানকে হারালেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ময়নপুরিতে কুরাভালি থানা এলাকার একটি হিন্দু পরিবার। মুসলিম যুবকের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার জন্য মুসলিম যুবকের ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে ওই হিন্দু যুবতী আত্মহত্যা করেছেন। ওই যুবতী বিএসসি পড়ছিলেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক মহম্মদ ওয়াসিফ আনসারির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বাড়ি ঘরনাজপুর এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ! (Love Jihad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে মা, ছোট ভাই থাকে। আর বাবা দিল্লিতে পুলকার চালান। ওই ছাত্রীর বাড়িতে ওই মুসলিম যুবক প্রায়ই আসত। কোনও এক সময় তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে আনসারি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। এরপর তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে মুলসিম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর সেটা না করলে অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে। এমনকী আর তার কথা মতো মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করলে তাঁকে অ্যাসিড মারার হুমকি দেয় আনসারি। নিহত ছাত্রীর মা বলেন, মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা কিছু করেননি। উল্টে আমাকে গালিগালাজ করেছিল। আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানিয়েছিলাম। এরমধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে আমার মেয়ে (Love Jihad) চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    নিহত ছাত্রীর বাবা কী বললেন?

    নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মেয়ের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ওই মুসলিম যুবক ব্ল্যাকমেল করত। বিয়ে করতে রাজি না হলে সে আমার ছোট ছেলেকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। আর বার বার মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দিচ্ছিল। ২৯ জুলাই ওই যুবক বিয়ের করার দিন ঠিক করেছিল, না হলে মেয়ের মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়েছিল। সেটা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আর কোনও হিন্দু মেয়ের (Love Jihad) সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য প্রশাসনকে বলব। আর অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ময়নপুরির (Uttar Pradesh) পুলিশ সুপার বিনোদ কুমার বলেন, “কুরভালি এলাকায় একটি মেয়ে তাঁর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ওয়াসিফ নামে এক যুবক উত্ত্যক্ত করে তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছি। মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সারোগেট’ বা ঘুরিয়ে মদের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবে ভারত (India)। এক মাসের মধ্যে নিয়ম চূড়ান্ত হতে পারে। মদের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের পথে মোদি সরকার। সম্প্রতি মদের ব্র্যান্ডগুলির সারোগেট বিজ্ঞাপনের (Liquor ad Rules) বিধি লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি উদাহরণ সামনে এসেছে। এর পরেই সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (CCPA) কোম্পানিগুলিকে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হিসাবে একই ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলির তালিকা চেয়েছে। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে বলেছে যে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে না। 

    বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য জরিমানা (India)

    নতুন নিয়ম অনুসারে, কার্লসবার্গ, পেরনোড রিকার্ড এবং ডিয়াজিওর মতো কোম্পানিগুলি ভারতে সারোগেট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মূল পণ্যের প্রচার চালিয়ে গেলে ৫০ লাখ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ঘটনাচক্রে, ভারতে অ্যালকোহল নির্মাতাদের সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মদের ব্র্যান্ডের প্রচার করা নিষিদ্ধ। তাই, কোম্পানিগুলি “সারোগেট বিজ্ঞাপন” পদ্ধতি বেছে নেয়। ফলে প্রায়শই এ ধরনের বিজ্ঞাপনে জল, মিউজিক সিডি, কাচের পাত্র ইত্যাদির পরিবর্তে কম আকাঙ্খিত জিনিস দেখিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। 

    দায়ী হবে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিরাও 

    উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ব্রুয়ার কার্লসবার্গ ভারতে (India) তার টিউবর্গ পানীয়ের প্রচার করে। এই বিজ্ঞাপনে ফিল্ম স্টারদের একটি ছাদের পার্টিতে দেখানো হয়। যেখানে এই বিজ্ঞাপনের স্লোগানই হল “টিল্ট ইয়োর ওয়ার্ল্ড”। অন্যদিকে, আর এক প্রতিযোগী ব্র্যান্ড ডিয়াজিওর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট জিঞ্জার এলের ইউটিউব বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই ৬০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে৷ ফলে, এবার থেকে নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন তৈরি না হলে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিদেরও দায়ী করা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    নতুন এই ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে শিশু এবং তরুণ প্রজন্ম সারোগেট বিজ্ঞাপন (Liquor ad Rules) দ্বারা প্রভাবিত না হয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, অ্যালকোহল বিজ্ঞাপনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে “সাশ্রয়ী পদক্ষেপ”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ‘লাভ জিহাদ’ রোধে কঠোর আইন আনার ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) মামলায় আরও কড়া অসম সরকার। দোষীকে দেওয়া হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। নয়া আইন আনছে অসমের বিজেপি সরকার। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ‘লাভ জিহাদ’-এর কথা বলেছিলাম। শীঘ্রই সেই আইন আনা হচ্ছে, যাতে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় দোষীর।” একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর সহজ হবে না।

    ঠিক কী জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা? (Himanta Biswa Sarma) 

    রবিবার গুয়াহাটিতে ছিল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। লাভ জিহাদ ছাড়াও অসম সরকার আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলেও এদিন জানান তিনি। এরমধ্যে অন্যতম হল হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রি। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনাবেচা করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। 

    হিমন্ত বলেন, ”সরকার এই ধরনের লেনদেনে বাধা দিতে পারে না। তবে সরকার ঠিক করেছে এই ধরনের লেনদেনের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে।” অর্থাৎ সরকার অনুমতি দিলে তবেই একজন হিন্দু তাঁর জমি একজন মুসলিমকে অথবা একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর জমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও অসমের সরকারি চাকরি কারা পাবেন তা নিয়েও সরকার একটি নতুন নীতি (Assam law) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে বলে জানান হিমন্ত।

    আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চার্চের পুরোহিতরা 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা  

    এদিন এই বক্তৃতার মাঝেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অসমের মানুষ সুসংবাদ পাচ্ছে। কংগ্রেসের কাছে ছাড়াইদেও মৈদামকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা তা করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ছাড়াইদেও মৈদাম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অসম নতুন ইতিহাস গড়তে সক্ষম হয়েছে।” এছাড়াও তিনি বলেন, ”বিজেপি রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি সবসময় অসমের উন্নতির চিন্তা করেন। সামনেই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করি যে আমরা ৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিতব। গত ৩ বছর ধরে আমরা অসমের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৬ সালে অসমে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসবেই, কেউ এটা আটকাতে পারবে না।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: ১০.৭২ সেকেন্ডে ১০০ মিটার! সোনা জিতে বিশ্বের ‘দ্রুততম মানবী’ জুলিয়েন

    Paris Olympics 2024: ১০.৭২ সেকেন্ডে ১০০ মিটার! সোনা জিতে বিশ্বের ‘দ্রুততম মানবী’ জুলিয়েন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন সেন্ট লুসিয়ার রানার জুলিয়েন আলফ্রেড। দেশকে এনে দিলেন প্রথম অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) পদক, তাও আবার এক্কেবারে সোনার পদক। ট্র্যাকে তাঁর দৌড় দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন দর্শকরা। দুরন্ত গতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পিছনে ফেলে মহিলাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতলেন আলফ্রেড (Julien Alfred)। মজা করে সকলেই তাঁকে দ্রুততম মানবী বলে ডাকছেন।

    বৃষ্টি ভেজা ট্র্যাকে দৌড়ে রেকর্ড (Paris Olympics 2024)

    দৌড়ের আগে বৃষ্টি হওয়ায় ইভেন্ট (Paris Olympics 2024) শুরু হতে খানিকটা দেরি হয়। কিন্তু দৌড় শুরু হওয়ার পরে জুলিয়েনকে দেখে মনে হল না, ভিজে ট্র্যাকে দৌড়াতে কোনও সমস্যা হচ্ছে তাঁর। উড়লেন জুলিয়েন। শুরুতেই এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর অবস্থান ধরে রাখেন। অনেক চেষ্টা করেও জিততে পারেননি শাকারি। ১০.৭২ সেকেন্ডে শেষ করে  রেকর্ডও গড়লেন জুলিয়েন। সোনা জেতার পরে জুলিয়েন উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাঁর এই জয় দেশবাসীর কাছে কতটা গুরুত্ব তাঁর উচ্ছ্বাসে বোঝা যাচ্ছিল। শাকারি প্রতিযোগিতা শেষ করেন ১০.৮৭ সেকেন্ডে। অর্থাৎ, জুলিয়েনের থেকে অনেকটাই পিছনে শেষ করেন তিনি। মেলিসা শেষ করেন ১০.৯২ সেকেন্ডে। অনেক বছর পরে অলিম্পিক্সে দৌড়ে পদক তালিকায় জামাইকার কোনও ক্রীড়াবিদ নেই। ফ্রেজ়ার-প্রাইস নাম তুলে নেওয়ায় একমাত্র টিয়া ক্লেটন ছিলেন ফাইনালে। তিনি শেষ করেন সপ্তম স্থানে।

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের হিন্দু মন্দিরে অশ্লীল ভিডিও তৈরি! গ্রেফতার দিলশাদ ও আজিম

    আলফ্রেড জয় উৎসর্গ করলেন বাবাকে

    রেকর্ড (Paris Olympics 2024) গড়ার পর আলফ্রেড জয়টি তাঁর বাবাকে উৎসর্গ করেন, যিনি ২০১৩ সালে মারা যান। তিনি বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ঈশ্বর, আমার প্রশিক্ষক এবং সবশেষে, আমার বাবা, যিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে আমি এটা করতে পারব। তিনি ২০১৩ সালে মারা গিয়েছেন। এখন তিনি আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মঞ্চে আমাকে দেখতে পাননি। তিনি’ তাঁর মেয়ে অলিম্পিয়ান হওয়ার জন্য সর্বদা গর্বিত হবেন।” অলিম্পিক্সে সেন্ট লুসিয়া এর আগে পর্যন্ত কোনও পদক জিততে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দ্বীপরাষ্ট্রের ট্রফি খরা কাটালেন জুলিয়েন। তা-ও রুপো বা ব্রোঞ্জ নয়, একেবারে সোনা জিতলেন তিনি।

    বোল্টের সঙ্গে তুলনা 

    সেমিফাইনালের (Paris Olympics 2024) আগে জামাইকার শেলি অ্যান ফ্রেজ়ার-প্রাইস নাম তুলে নেওয়ায় সকলে ভেবেছিলেন খুব সহজেই সোনা জিতবেন শাকারি রিচার্ডসন। বিশ্বের দ্রুততম মানবী হবেন তিনি। কিন্তু, ফলাফল হল একেবারে অন্যরকম। সকলকে পিছনে ফেলে অলিম্পিক্সে মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়ে সোনা জিতলেন জুলিয়েন আলফ্রেড (Julien Alfred)। ১০.৭২ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে রুপো জিতলেন শাকারি। ব্রোঞ্জ জিতলেন আমেরিকারই মেলিসা জেফারসন। অলিম্পিক্সে ৯.৫৮ সেকন্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রেকর্ড করা উসেইন বোল্টের সঙ্গেই এখন জুলিয়েন আলফ্রেডকে তুলনা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Income Tax: নয়া আয়কর কাঠামোতেই বাজিমাত, নতুন ব্যবস্থা পছন্দ সিংহভাগ করদাতার

    Income Tax: নয়া আয়কর কাঠামোতেই বাজিমাত, নতুন ব্যবস্থা পছন্দ সিংহভাগ করদাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এখন জরিমানা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করা যাচ্ছে। নতুন নিয়মে এবার আয়কর (Income Tax) রিটার্ন ফাইলিংয়ের শেষ দিনে সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৯১৭টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে। যা রেকর্ড বলে দফতর সূত্রে খবর।

    কত আয়কর রিটার্ন জমা পড়ল? (Income Tax)

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৭.২৮ কোটির বেশি আয়কর (Income Tax) রিটার্ন (২০২৪-২৫) ফাইল করা হয়েছে। যা গত বছরের থেকে ৭.৫ শতাংশ বেশি। গত বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৬.৭৭ কোটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছিল। আগের তিন বছর সেই সংখ্যাটা ৫.৭ কোটি থেকে ৫.৮ কোটির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল।  শুধুমাত্র ৩১ জুলাই জমা পড়েছে ৬৯.৯২ লাখের বেশি আয়কর রিটার্ন। ঘণ্টার নিরিখে সবথেকে আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যে। সেই সময় ৫.০৭ লাখ ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা পড়েছে। উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই ছিল আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। এদিন ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের পোর্টালে ৩.২ কোটির বেশি লগইন হয়েছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ দিনে প্রতি সেকেন্ডেও হু হু করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে। সেকেন্ডের নিরিখে সর্বোচ্চ আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে সকাল ৮ টা ১৩ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। সংখ্যাটা হল ৯১৭। মিনিটের নিরিখে সর্বোচ্চ ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা পড়েছে রাত ৮ টা ৮ মিনিটে। সংখ্যাটা হল ৯,৩৬৭।  

    আরও পড়ুন: ৫০০ টাকা থেকে ৫ কোটির সাম্রাজ্য! কৃষ্ণার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই অনুপ্ররণা শত শত নারীর

    নয়া আয়কর কাঠামোয়ই বাজিমাত

    কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পুরনো আয়কর (Income Tax) কাঠামোকে ‘গোল’ দিয়েছে নয়া কাঠামো। এবার মোট যে পরিমাণ আয়কর রিটার্ন (IT Return) দাখিল করা হয়েছে, তার ৭২ শতাংশই জমা পড়েছে নয়া আয়কর কাঠামোয়। নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় ৫.২৭ কোটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে। পুরনো আয়কর কাঠামোয় দাখিল করা আয়কর রিটার্নের সংখ্যা ২.০১। তবে, জরিমানা ছাড়াই আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। কেন্দ্রের তরফে জনানো হয়েছে যে, ৩১ জুলাই পর্যন্ত এবার প্রথমবারের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ৫৮.৫৭ লাখের বেশি মানুষ। আর সার্বিকভাবে আয়কর রিটার্নের (IT Return) মধ্যে আইটিআর-১ ফর্মে সব থেকে বেশি রিটার্ন জমা পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: নিউজিল্যান্ড-ফিজি-তিমুর সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর

    Draupadi Murmu: নিউজিল্যান্ড-ফিজি-তিমুর সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) ৫ থেকে ১০’ই অগাস্ট পর্যন্ত ফিজি, নিউজিল্যান্ড এবং তিমোর লেস্তে সফর করবেন। নতুন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব বিষয়ক সচিব জয়দীপ মজুমদার একথা জানান। তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতির (President Of India) এটিই প্রথম ফিজি ও তিমোর সফর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি কার্যকর করেছে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির ওপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।

    ফিজিতে রাষ্ট্রপতির কী কর্মসূচি? (Draupadi Murmu)

    বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) আগামী সপ্তাহে তিন দেশের সফরে যাচ্ছেন। তাঁর প্রথম সফর ফিজি থেকে শুরু হবে। সেই দেশের সংসদে তিনি ভাষণ দেবেন। তাঁর ফিজি সফর ৫ অগাস্ট থেকে শুরু হবে। ৭ তারিখ পর্যন্ত তিনি সেখানেই থাকবেন। ফিজিতে রাষ্ট্রপতি মুর্মু সেই দেশের রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম কাটোনিভের এবং  প্রধানমন্ত্রী সিটিভেনি রাবুকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন। বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব বিষয়ক সচিব জয়দীপ মজুমদার বলেন, “ফিজির সঙ্গে আমাদের জনগণের মধ্যে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। ফিজির জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং তাঁরা ভারতের ভাষা, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেছে। এই সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হবে। আমাদের দুই দেশের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারত ও ফিজির সম্পর্ককে আরও সুনিশ্চিত করবে। ভারত-ফিজির একটি শক্তিশালী উন্নয়ন অংশীদার হয়েছে। অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কয়েক বছর আগে ঘোষণা মতো আমরা সুভাতে একটি ১০০-শয্যার তৃতীয় হাসপাতাল তৈরি করব।”

    আরও পড়ুন: ৫০০ টাকা থেকে ৫ কোটির সাম্রাজ্য! কৃষ্ণার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই অনুপ্ররণা শত শত নারীর

    তিন দেশের সফর নিয়ে কী বললেন বিদেশ সচিব?

    রাষ্ট্রপতি মুর্মুর (Draupadi Murmu) তিন দেশ সফরের আরও বিশদ বিবরণ দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের পূর্ব বিষয়ক সচিব জয়দীপ  মজুমদার বলেন, “প্রেসিডেন্ট (President Of India) প্রথমে ফিজি এবং পরে নিউজিল্যান্ড এবং তারপরে তিমুর-লেস্তে যাবেন। ভারতের রাষ্ট্রপতির এই সফরের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কারণ, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি ঘোষণা করেছিলেন। এই তিনটি অঞ্চলই আমাদের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির মধ্যে পড়ে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের একটি খুব পুরানো এবং শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা আমরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ভারত খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ; বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার সমাধানে কাজ করছি, বার্তা মোদির 

    Narendra Modi: ভারত খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ; বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার সমাধানে কাজ করছি, বার্তা মোদির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ; বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার (Global food security) সমাধান দিতে কাজ করছি আমরা। আজ দেশ খাদ্যশস্য, ফল, শাকসবজি, তুলা, চিনি এবং চায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্পাদনকারী দেশ হয়ে উঠেছে। নতুন দিল্লিতে কৃষি অর্থনীতিবিদদের ৩২ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই ভাবেই বক্তব্য রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

    কী বললেন মোদি (Narendra Modi)?

    প্রায় ৬৫ বছর পর ভারতে আয়োজিত কৃষি অর্থনীতিবিদদের (ICAE) ৩২ তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করার পরে একটি বিশেষ ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, “কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৪-২৫ সালে দেশের জন্য একটি মজবুত এবং টেকসই কৃষিনীতির উপর জোর দিয়েছি। শেষবার যখন নতুনদিল্লিতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই সময় ভারত সবেমাত্র স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তখন ভারতের মতো দেশের কাছে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির পর্ব ছিল। বর্তমানে আমাদের দেশ একটি খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। ভারত এখন বিশ্বের এক নম্বর দুধ, ডাল এবং মশলা উৎপাদনে। সেই সঙ্গে খাদ্যশস্য, ফল, শাকসবজি, তুলা, চিনি এবং চায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।”

    আরও পড়ুন: এসি ছাড়াই ঠাণ্ডা হয় ব্যাঙ্গালুরুর এই অফিস! কীভাবে সম্ভব?

    ডিজিটাল কৃষি পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি করা (Narendra Modi)

    এই সম্মেলনে প্রায় ৭০টি দেশের প্রায় ১০০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। এবারের এই সম্মেলনের থিম হল “সুরক্ষিত কৃষি-খাদ্য (Global food security) ব্যবস্থার দিকে রূপান্তর”। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) আরও বলেছেন, “একটা সময় ছিল যখন ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক ছিল। এখন, ভারত বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক পুষ্টি নিরাপত্তার সমাধান দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে। ভারত গত ১০ বছরে ১৯০০টি নতুন জলবায়ু-সহনশীল ফসলের প্রজনন করার কাজ করেছি আমরা। ভারত রাসায়নিক মুক্ত প্রাকৃতিক চাষের প্রচার করছে। দেশ বর্তমানে পেট্রোলের বদলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে কৃষি সমস্যার বিষয়ে ভারতের সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে কৃষি গবেষণা ও নীতিতে দেশের অগ্রগতি প্রদর্শন করবে কীভাবে, সেই দিকগুলির কথা তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে। তরুণ গবেষক এবং নেতৃস্থানীয় পেশাদারদের জন্য তাদের কাজ একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে বলে আশা রাখছি। এর লক্ষ্য হল গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অংশগ্রহণকে জোরদার করা। দেশব্যাপী এবং বৈশ্বিক উভয় স্তরে নীতিনির্ধারণকে প্রভাবিত করা। একই সঙ্গে ডিজিটাল কৃষি এবং টেকসই কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার অগ্রগতি সহ ভারতের কৃষি অগ্রগতি প্রদর্শন করা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share