Tag: India

India

  • PM Modi: ‘স্যুইফট’ থেকে বহিষ্কার করলেও পরোয়া করে না ভারত, আমেরিকাকে বোঝালেন মোদি

    PM Modi: ‘স্যুইফট’ থেকে বহিষ্কার করলেও পরোয়া করে না ভারত, আমেরিকাকে বোঝালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফরটা মাত্র দু’দিনের। তবে তার প্রভাব বিরাট। তামাম বিশ্বকে বার্তা দিয়ে ফিরলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রাশিয়া সফর সেরে ফিরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ভারতকে উপেক্ষা করার যুগ এখন অতীত। বরং মোদি জমানায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে রামচন্দ্র-বুদ্ধের দেশকে।

    রাশিয়া সফরে মোদি (PM Modi)

    দিন কয়েক আগে মার্কিন চোখরাঙানি উপেক্ষা করে দু’দিনের সরকারি সফরে রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের রাজধানী মস্কোয় পা রাখার পরে পরেই যে রাজকীয় অভ্যর্থনার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য, তা বিশ্বের যে কোনও রাষ্ট্রনেতার চোখে লাগার পক্ষে যথেষ্ট। কেবল তাই নয়, মোদির সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজ সেরে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে করে রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘুরে দেখিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন স্বয়ং। মোদি-পুতিনের এই বন্ধুত্বের ছবির জেরে গা রি রি করার কথা বিশ্বের বহু রাষ্ট্রনেতার। কারণ এই মুহূর্তে ভারতকে যে তাঁদের প্রত্যেকের পাশে চাই!

    যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই বার্তা

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মস্কোকে কার্যত একঘরে করে রেখেছিল আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। যে জীবাশ্ম জ্বালানি রুশ অর্থনীতির অন্যতম শক্ত বুনিয়াদ, সেই তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছিল আমেরিকার জো বাইডেন সরকার। তার জেরে খানিক টাল খায় রাশিয়ার অর্থনীতি। মস্কোর এই দুর্দিনেও পাশে থেকেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। বিশ্বনেতাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে লাগাতার জ্বালানি কিনে গিয়েছে ভারত। তার জেরে বিশ্বনেতাদের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত বুঝিবা মস্কোর পক্ষ নিয়েছে। বিষয়টি যে আদৌ তা নয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে মোদির বলা বাক্যবন্ধই তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। অর্থাৎ, ভারতের স্পষ্ট বার্তা, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। সমাধান হতে পারে কূটনৈতিক আলোচনায়ই।

    আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছেই

    রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সুতো কেবল পুরানোই নয়, মজবুতও। এবং সেই সম্পর্কের কথা জানে তামাম দুনিয়া। তাই তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই মোদি যখন প্রথমবার রাশিয়া সফরে গেলেন, তখনই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছিলেন বিশ্বের অনেক দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। রাশিয়ার মতো শক্তিশালী একটি দেশের সঙ্গে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াই করে যাওয়ার ক্ষমতা ইউক্রেনের নেই। তাহলে কী করে চলছে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা? আসলে সরাসরি না হলেও, রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তার (PM Modi) জেরেই এখনও ক্লান্ত হয়নি ইউক্রেন। স্বীকার করেনি হার। উল্টে এই যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাশিয়ার।

    ভারতের কৌশলে কুপোকাত বিশ্ব

    এই যুদ্ধের কারণেই রাশিয়ার ওপর আরোপ করা হয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। রাশিয়াকে স্যুইফট (SWIFT) থেকে বেরও করে দেওয়া হয়েছে। (স্যুইফট হল আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম। এর থেকে বের করে দেওয়া হলে আর্থিক-সহ নানা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কোনও একটি দেশকে।) এতদসত্ত্বেও রাশিয়ার হাত ছাড়েনি ভারত। বরং রাশিয়া-সহ বিশ্বের ২০টি দেশের সঙ্গে রুপিতেই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির দেশ। এতে কমতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের আধিপত্য। এতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন মার্কিন রাজনীতিবিদদের একটা বড় অংশ। কারণ বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। ব্রিটেনকে সরিয়ে এই জায়গাটা দখল করেছে নয়াদিল্লি (PM Modi)। বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রকাশ, অচিরেই এই তালিকার চার নম্বরে উঠে আসবে ভারত। পিছিয়ে পড়বে জাপান। তাই আর যাই হোক ভারতকে উপেক্ষা করার দুঃসাহস এই মুহূর্তে নেই বিশ্বনেতাদের। তাই ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া সফর করে এলেও, উচ্চবাচ্য করছেন না তাঁরা। কারণ তাতে হিতে হতে পারে বিপরীত।

    নির্ভীক নয়াদিল্লি

    যেহেতু রাশিয়া-সহ বিশ্বের ২০টি দেশের সঙ্গে ভারত লেনদেন করছে রুপিতে, তাই স্যুইফট (SWIFT) থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ে এখন আর ভীত নয় নয়াদিল্লি। বরং এই রুপিতে বাণিজ্য করায় আদতে দু’দিক থেকে লাভ হচ্ছে ভারতের। একদিকে যেমন সস্তায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনছে ভারত (খদ্দের কমে যাওয়ায় দাম কমেছে), তেমনি অন্যদিকে রুপিতে ব্যবসা হওয়ায় খরচ করতে হচ্ছে না সঞ্চিত ডলার। ভারতের এই মজবুত অর্থনীতি এবং স্ট্যাটেজিতেই কুপোকাত বিশ্বের তাবড় নেতারা। রাশিয়া সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও একবার পুতিনকে শুনিয়েছেন শান্তির ললিত বাণী। প্রধানমন্ত্রী এই সফরেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। পুতিনকে দেওয়া মন্ত্র যে কেবল রুশ প্রেসিডেন্টকেই নয়, তামাম বিশ্বকেই বার্তা দেওয়া, তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও। ভারতের মজবুত অর্থনীতি, কৌশলী চাল এবং ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ গোছের বার্তায় মজেছে বিশ্ব। তাই মোদির রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে ‘মাখামাখি’র পরেও মুখে কুলুপ বিশ্বনেতাদের (PM Modi)।

    ভারতে যে এখন চলছে মোদি-রাজ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prosenjit Chatterjee: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে নয়, ফের বলিউড ছবির সুবাদে মুম্বইয়ে পাড়ি প্রসেনজিতের

    Prosenjit Chatterjee: অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে নয়, ফের বলিউড ছবির সুবাদে মুম্বইয়ে পাড়ি প্রসেনজিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে প্রায়শই মুম্বই পাড়ি দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। গত রবিবার সকালেও মুম্বইয়ে ছিলেন তিনি। সেখানে যশ দাশগুপ্ত, নুসরত জাহানের সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আর সেসব ছবি, ভিডিও দেখেই ভক্তদের প্রশ্ন, তিনি কি এখন বলিউডেই (Bollywood Film) বেশি মনোনিবেশ করতে চাইছেন? সেই উত্তরে জল্পনা থাকলেও এবার সূত্র মারফত খবর মিলেছে, আবারও বলিউড সিনেমায় দেখা যাবে টালিগঞ্জ স্টুডিওপাড়ার সুপারস্টারকে। জানা গিয়েছে, রবিবার নতুন ছবির নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বলতে মুম্বই উড়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ। 

    কী জানিয়েছেন অভিনেতা? (Prosenjit Chatterjee)

    প্রসঙ্গত, রবিবার অনন্ত অম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান ছিল মুম্বইতে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সকলের মনে প্রশ্ন জাগছে, আম্বানিদের বিয়েতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও আমন্ত্রিত ছিলেন কিনা। সেই উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের আমন্ত্রণ রক্ষার জন্য তিনি মায়ানগরীতে উড়ে যাননি। নতুন হিন্দি ছবির কাজের সুবাদেই তিনি মুম্বইতে পা রেখেছেন। সব ঠিক থাকলে আবারও হিন্দি ছবিতে তাঁর দেখা মিলবে। সেই ছবিরই আলোচনায় যোগ দিতেই শনিবার রাতে টিকিট কেটে রবিবার সকালে মুম্বইয়ের বিমান ধরেন টলিউডের বুম্বা দা।  

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়! জানালেন কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি

    এর আগেও বলিউডে একাধিক কাজ করেছেন (Bollywood Film) 

    শেষবার বছর খানেক আগে বলিউড সিনেমা ট্রাফিক-এ দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। সেই ছবিতে প্রসেনজিতের (Prosenjit Chatterjee) পাশাপাশি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। তারপর অবশ্য, ২০২৩ সালে ‘স্কুপ’ এবং ‘জুবিলি’ ওয়েব সিরিজের সুবাদে নতুন করে বলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কোথাও বলিউডের ডাকসাইটে প্রযোজকের ভূমিকায় আবার কোথাও তদন্তকারী সাংবাদিকের ভূমিকায় নজর কেড়েছেন টলিউডের সুপারস্টার। এছাড়াও নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন টলিউড সুপারস্টার। যে সিরিজের শুটিং খানিকটা কলকাতায় সেরেও ফেলেছেন তিনি।
    জানা গিয়েছে, এই নতুন হিন্দি ছবিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (Prosenjit Chatterjee)। শোনা যাচ্ছে ছবির প্রযোজক এবং পরিচালকও প্রথম সারির। সব ঠিক থাকলে শুটিং শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা প্রজেক্ট (Teesta Project) করুক ভারত। চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই প্রকল্পটি করতে চেয়েছিল চিনও। এগিয়েছিল ভারতও। এহেন আবহে দিন কয়েক আগে চিন সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই ভারত সফর সেরে গিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? (Sheikh Hasina)

    কমিউনিস্ট শাসিত শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি চান তিস্তা প্রকল্পটি করুক ভারত। কী জন্য এই প্রকল্প রূপায়ণে তিনি ভারতকে চান, তাও ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামি লিগের সর্বময় কর্ত্রী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, “ভারতের পাশাপাশি এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন-ও। তবে সব দিক বিবেচনা করে আমি চাই তিস্তা প্রকল্পটি রূপায়ণ করুক ভারত।” তিনি বলেন, “তিস্তার জল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাই তারা এই প্রজেক্ট করুক। তারা যদি এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে চায়, তাহলে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।”

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তিকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে নদীটি গিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে। তাই তিস্তার জলের ন্যায্য দাবিদার বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ জল নেই বলে তিস্তা চুক্তিতে সায় দেননি পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন (Sheikh Hasina) তিনি। বলেছিলেন, “ওরা কীভাবে তিস্তার জল দিতে পারে? সিকিম ১৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। সিকিমের প্রজেক্ট তৈরির সময় খেয়াল রাখা উচিত ছিল কেন্দ্রের। সব জল সিকিম নিয়ে যাচ্ছে…।” মমতার দাবি, বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিলে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, তিস্তার অববাহিকায় বিরাট জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পই রূপায়ণ করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। আগ্রহী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। টানটান করা (Teesta Project) স্নায়ুর লড়াইয়ে যে শেষ হাসি হাসল ভারতই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Nepal Relation: নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি, কোন খাতে বইবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের জল?

    India Nepal Relation: নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি, কোন খাতে বইবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের জল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma  Oli)। ১৫ জুলাই, সোমবার সে দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন ‘শীতল নিবাসে’ গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন ওলি। নয়া (India Nepal Relation) প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল। এ নিয়ে চতুর্থবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন বছর বাহাত্তরের ওলি। তাঁর নয়া মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে বাইশজনের।

    প্রচণ্ডের পরাজয় (India Nepal Relation)

    শুক্রবারই আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড। নেপালের সংসদে তাঁর পক্ষে পড়ে মাত্র ৬৩ জন সাংসদের ভোট। যদিও সরকার বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৮ জনের সমর্থন। নেপালি সংসদের আসন সংখ্যা ২৭৫। আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন প্রচণ্ড। এক সময় ভারত-বিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন ওলি। তারপর থেকেই ভাঁটা পড়ে ভারত-নেপাল সম্পর্কে। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে হাত মেলান কমিউনিস্ট ওলি। তার জেরেই ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পে বেজিংয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নেপাল।

    ভারত-নেপাল সম্পর্ক কোন পথে

    ২০১৫ সালের ভারত-বিরোধী (India Nepal Relation) অবস্থান নিয়েছিলেন ওলি। গত ন’বছরে পৃথিবীর ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সময়ের স্রোত। নয়া ওলি সরকার চাইছে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে। ওলির দলের তরফে বলা হয়েছে, নেপাল এবার তার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তুলবে। সে দেশের মাটিতে আর ভারত-বিরোধী কোনও শক্তিকে মাথা তুলতে দেবে না। ওলির দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “ওলি জানিয়েছেন তাঁর এই দফার মেয়াদে ভারত-নেপাল সম্পর্ককে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান তিনি।”

    আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ করা হবে ইমরানের দলকে, ঘোষণা পাক সরকারের, অথঃ কিম?

    এদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর ওলিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি যে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছেন, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-নেপালের মধ্যে যে দীর্ঘ দিন ধরে সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে, সেই সম্পর্ক যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারেও তাঁর আগ্রহের কথা ওলিকে (KP Sharma  Oli) জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (India Nepal Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Aadhaar And Biometric Verification: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার আধারে বায়োমেট্রিক যোগ!

    Aadhaar And Biometric Verification: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার আধারে বায়োমেট্রিক যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। আসলে গৃহস্থের গ্যাস অনেক সময়ই বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হয়। একাধিকবার নানান ক্ষেত্রে উঠেছে এমন অভিযোগ। এবার সেই অভিযোগের সুরাহা করতেই গ্রাহকদের আধার কার্ড নম্বর ও বায়োমেট্রিক যুক্ত (Aadhaar And Biometric Verification) করার কাজ শুরু করেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। 

    ঠিক কী জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক? 

    হোটেল-রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে ফুটপাতের রোল-চাইমিনের দোকান। দীর্ঘদিন ধরেই যত্রতত্র আম-জনতার রান্না ঘরের এলপিজি সিলিন্ডার (Domestic Lpg Cylinder) দেদার ব্যবহারের রয়েছে অভিযোগ। তাই এবার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গৃহস্থের এলপিজি রান্নার গ্যাসের ব্যবহার আটকাতে এই বিশেষ পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে ভর্তুকি প্রাপ্ত উপভোক্তাদের এলপিজি সংযোগের সঙ্গে আধার নম্বর সংযুক্ত (Aadhaar And Biometric Verification) রয়েছে। সেই রান্নার গ্যাস কোথায়, কী ভাবে ব্যবহার হচ্ছে, এবার তা জানতে বায়োমেট্রিক যুক্ত করা হচ্ছে। সব তথ্য হাতে এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।  

    এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরদের মন্তব্য (Domestic Lpg Cylinder) 

    এই ধরনের অভিযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতার কারণ হিসাবে নজরদারির অভাবকেই দায়ী করছেন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরেরা। তাঁদের বক্তব্য, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ডিজেল, পেট্রল বা এলপিজি বরাদ্দ করে ঠিকই। কিন্তু সেই বরাদ্দ কোন রাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার উপরে কোনও নজরদারি নেই। ফলে গৃহস্থালির জন্য বরাদ্দ এলপিজি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যত্রতত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এবার এসমস্ত অভিযোগের কারণেই গ্রাহকদের আধার কার্ড নম্বর-সহ বায়োমেট্রিক যুক্ত (Aadhaar And Biometric Verification) করার কাজ শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    বেয়াইনি গ্যাস ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা 

    এ প্রসঙ্গে গত ৯ জুলাই নিজের এক্স হ্যান্ডলে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী বলেছেন, ‘‘তেল বিপণন সংস্থাগুলি এলপিজি গ্রাহকদের জন্য ই-কেওয়াইসি আধার যাচাইকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে। যাতে ভুয়ো গ্রাহকদের ছাঁটাই করা যায়। এমন এলপিজি সিলিন্ডার সংযোগ সাধারণ গ্রাহকদের নামে নেওয়া আছে, যে সিলিন্ডারগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে কোনও বাণিজ্যিক কাজে।’’ গত আট মাস ধরে এই কাজ (Aadhaar And Biometric Verification) চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে ব্যক্তিগত এলপিজি গ্যাস বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। 
    উল্লেখ্য, আম জনতার হেঁসেলের রান্নার গ্যাসের অপব্যবহার রুখতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সতর্কতা অবলম্বন করছেন ডিস্ট্রিবিউটাররাও। এবার নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে উপভোক্তাদের ডেকে পাঠাচ্ছেন তাঁরা। ডিস্ট্রিবিউটারদের মাধ্যমেই হচ্ছে বায়োমেট্রিকের সংযুক্তিকরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raghunandan Srinivas Kamath: ভারতের ‘আইসক্রিম ম্যান’কে চেনেন? তাঁর কাহিনি হার মানায় রূপকথাকেও

    Raghunandan Srinivas Kamath: ভারতের ‘আইসক্রিম ম্যান’কে চেনেন? তাঁর কাহিনি হার মানায় রূপকথাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা বিক্রি করতেন আম। আর ছেলে? আইসক্রিম। আজ্ঞে হ্যাঁ, এই আইসক্রিম বিক্রি করেই চারশো কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছিলেন তিনি। তিনি রঘুনন্দন শ্রীনিবাস কামাথ (Raghunandan Srinivas Kamath)। তামাম বিশ্ব যাঁকে চেনে ‘আইসক্রিম ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ (Ice Cream Man) হিসেবে।

    শ্রীনিবাসের উত্থান (Raghunandan Srinivas Kamath)

    ম্যাঙ্গালোরের এক গ্রামে জন্ম শ্রীনিবাসের। অল্প বয়স থেকেই ফল বিক্রেতা বাবাকে সাহায্য করত ছোট্ট শ্রীনিবাস। চোদ্দ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে সে কাজে লেগে যায় ভাইয়ের রেস্তরাঁয়। স্বপ্ন ছিল, সত্যিকারের ফলের মণ্ড দিয়ে আইসক্রিম বানাবেন। সেই উদ্দেশ্যেই ভাইয়ের দোকানে কাজে ঢোকা। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে বম্বে (অধুনা মুম্বই) পাড়ি দেন শ্রীনিবাস। সেখানেই জুহু এলাকায় প্রথম খোলেন আইসক্রিম পার্লার। শুরুতে তাঁর পার্লারে কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ছজন।

    পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পার্লারের সংখ্যা

    ১২টি ফ্লেভারের আইসক্রিম মিলত তাঁর (Raghunandan Srinivas Kamath) পার্লারে। সেই আইসক্রিমের প্রেমে মজেছিলেন জুহু তো বটেই, মুম্বইয়ের দূর-দুরান্তের বহু ক্রেতাও। লোকমুখে শ্রীনিবাসের পার্লার তখন হয়ে গিয়েছে ‘আইসক্রিম অফ জুহু স্কিম’। দিন দিন চাহিদা বাড়তে থাকে শ্রীনিবাসের আইসক্রিমের। তার জেরে ১৯৯৪ সালে তিনি আরও পাঁচটি আউটলেট খোলেন। বর্তমানে সেই আউটলেটের সংখ্যা পেরিয়েছে ১৬৫-র ঘর। দেশের ১৫টি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে শ্রীনিবাসের আইসক্রিম পার্লারের আউটলেট। মাত্র ৭৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় শ্রীনিবাসের। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ন্যাচারালসের পক্ষ থেকে কর্ণধারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

    আর পড়ুন: কলকাতার বুকে তৈরি হল ইতিহাস, জানুন কাঠি রোলের জন্মবৃত্তান্ত

    বর্তমানে ন্যাচারালসের আউটলেটে মেলে ২০ রকম ফ্লেভারের আইসক্রিম। তবে তার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে নারকেলের গন্ধে ম ম করা টেন্ডার কোকোনাট ফ্লেভার আইসক্রিম। প্রতিবছর বিশ্বের সমস্ত সেরা আইসক্রিমের তালিকা তৈরি করে ‘টেস্ট অ্যাটলাস’ নামের একটি সংস্থা। সেই সংস্থার তথ্যই বলছে, বিশ্বের প্রথম ১০০টি সব চেয়ে বেশি আইকনিক আইসক্রিমের মধ্যে একটি হল ন্যাচারালসের ‘টেন্ডার কোকোনাট ফ্লেভার’ আইসক্রিম।

    ২০১৮ সালে ভারতের ১০টি সেরা বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের একটি তালিকা তৈরি করেছিল কেপিএমজি নামের একটি সংস্থা। তাদেরই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ওই তালিকায় রয়েছে ন্যাচারালসের নামও।শ্রীনিবাস প্রয়াত হয়েছেন মাস দুয়েক আগে। তবে ন্যাচারালস চলছে নিজস্ব ছন্দে (Ice Cream Man)। বড় হচ্ছে ব্যবসা। ফ্লেভারড আইসক্রিমের তালিকা হচ্ছে দীর্ঘতর (Raghunandan Srinivas Kamath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • RBI: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল দেশের বিদেশি অর্থ ভাণ্ডার, জানেন এর প্রভাব

    RBI: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছল দেশের বিদেশি অর্থ ভাণ্ডার, জানেন এর প্রভাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেটের গতিতে ছুটছে ভারতের অর্থনীতি। যত সময় গড়াচ্ছে ততই ফুলে ফেঁপে উঠছে কোষাগার। বাড়তে বাড়তে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে দেশের বিদেশি অর্থ ভাণ্ডার (India’s Foreign Exchange), যা বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের গুরুত্ব কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। শুক্রবার আরবিআই (RBI) জানিয়েছে, দেশে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পশ্চিম সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, গত অর্থবর্ষে হু হু করে কমেছে চিনের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। 

    আরবিআই-এর রিপোর্ট (RBI)

    শুক্রবারই দেশের বিদেশি অর্থ ভাণ্ডারের (India’s Foreign Exchange) তথ্য প্রকাশ্যে আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আরবিআই-এর (RBI) রিপোর্ট অনুযায়ী ৫ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে, ৫.১৫৮ বিলিয়ান মার্কিন ডলার বেড়ে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫৭.১৫৫ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬০ লক্ষ কোটি টাকা। আরবিআই জানিয়েছে, শুধু তাই নয়, পরপর টানা ৫ সপ্তাহ বেড়েছে ডলারের পরিমাণ। চলতি বছরে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার স্থির বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। 

    সোনার সঞ্চয়ের পরিমাণ (RBI)

    বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সোনার সঞ্চয়ের পরিমাণও বেড়েছে লক্ষ্যনীয়ভাবে। গত এক সপ্তাহে সোনা রিজার্ভের (RBI) পরিমাণ বেড়েছে ৯০৪ মিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহে দেশে সোনার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫৭.৪৩২ বিলিয়ান ডলার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জানিয়েছেন, “প্রতিকূল আর্থিক পরিবেশে খরচ করার জন্য এখন বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার (India’s Foreign Exchange) শক্তিশালী করা দরকারি।” 

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকাই প্রথম নয়! আর যারা রাজকীয় বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন

    বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার-এর প্রভাব (India’s Foreign Exchange)

    লোকসভা ভোটের প্রচারে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে মোদি সরকারকে বার বার আক্রমণ করছে বিরোধীরা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে সর্বকালের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছল ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার। যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার যত বড় হয়, তার অর্থনৈতিক স্থিরতা তত বেশি বলে মনে করা হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরের অর্থনৈতিক ওঠা-পড়ার প্রভাবও সেই দেশের ওপর তত কম পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Andhra Pradesh: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    Andhra Pradesh: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতি রাজ্যে রাজধানী শহর থাকবে, এ অতি পরিচিত বিষয়। তবে ভারতেই রয়েছে এমন এক রাজ্য (State Without Capital), এই মুহূর্তে যার কোনও রাজধানীই নেই। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এই মুহূর্তে কোনও রাজধানী নেই। আর রাজধানীহীন রাজ্য হওয়ায় বিভিন্ন প্রশাসনিক সংকটের মধ্যে পড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে অমরাবতী এবং বিশাখাপত্তনমকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী করা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। 

    কেন এমন পরিস্থিতি? (State Without Capital)

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে আলাদা হয়ে পৃথক এবং নতুন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল তেলেঙ্গানা। সেই সময়, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যের যৌথ রাজধানী ছিল হায়দ্রাবাদ। ঠিক হয়েছিল ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৪ পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। তারপর, ২০২৪-এর ২ জুন থেকে হায়দ্রাবাদ হয়ে যাবে শুধুমাত্র তেলেঙ্গানার রাজধানী। সেই হিসেব অনুযায়ী ২ জুন, ২০২৪-এ পেরিয়ে গিয়েছে ১০ বছরের সমসয়সীমা। সেদিন থেকিই রাজধানীহীন রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হবে কোন শহর? (Andhra Pradesh) 

    এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী কোন শহর হবে, তা সিদ্ধান্ত না হওয়ায়, সে রাজ্যের রাজধানীই নেই। যদিও ২০১৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হিসেবে অমরাবতীর নামের পাশে সিলমোহর দেওয়ার কথা বলেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। অমরাবতীতে স্মার্ট এবং বিশ্বমানের রাজধানী বানানোর জন্য ৫১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কৃষকদের থেকে জমি অধিগ্রহণসহ একগুচ্ছ পদক্ষেপও গ্রহণ করেন। তবে ২০১৯ সালে নির্বাচনে হেরে যান চন্দ্রবাবু। তেলেগু দশম পার্টির পরিবর্তে সে রাজ্যের মসনদে বসে জগমোহন রেড্ডির দল। ক্ষমতায় এসেই তারা নাইডুর পরিকল্পনা স্থগিত করে, কমিয়ে দেয় বাজেটও। ফলে অমরাবতীকে আর রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি।

    কী জানালেন চন্দ্রবাবু নাইডু? 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হেরে গেলেও এবছর লোকসভা নির্বাচনে ফের অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ক্ষমতায় ফিরেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দশম পার্টি। তাই শপথ গ্রহণের দিনেই নাইডু জানিয়েছেন, অমরাবতীই হবে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী। এর সঙ্গেই জানিয়েছেন অমরাবতীর পাশাপাশি বিশাখাপত্তনমকে সে রাজ্যের ‘ইকোনমিক ক্যাপিটাল’ এবং উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের জনসংখ্যা (India’s Population) পেরোবে ১৫০ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি। তারপর ধীরে ধীরে ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation)। তখন চিন থাকবে ভারতের থেকে অনেক পিছনে, এমনই বলছে সমীক্ষা। এদেশের জনসংখ্যা থাকবে চিনের প্রায় আড়াই গুণ। 

    কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (India’s Population) 

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা (India’s Population) হতে পারে ১৪৫ কোটি। চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারে। জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। শতাব্দী শেষে ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চিনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দেশে এখন জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ।

    আরও পড়ুন: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    সারা বিশ্বে কী প্রভাব (United Nation)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে। শতাব্দী শেষ হতেই সব মিলিয়ে ১০ কোটি জনসংখ্যা হ্রাস পাবে গোটা পৃথিবী মিলিয়ে। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু হয়েছে। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Setu Secrets: রাম সেতুর রহস্য ফাঁস! সমুদ্রের নীচের মানচিত্র প্রকাশ্যে আনলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

    Ram Setu Secrets: রাম সেতুর রহস্য ফাঁস! সমুদ্রের নীচের মানচিত্র প্রকাশ্যে আনলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্য। অ্যাডামস ব্রিজকেই ভারতীয়রা রাম সেতু হিসেবে চিহ্নিত করেন। এটি চুনাপাথরের তৈরি একটি সেতু যা শ্রীলঙ্কার মান্নার এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম বা পামবান দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। এবার সেই রাম সেতুরই রহস্য (Ram Setu Secrets) ফাঁস করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। নাসার (NASA) আইসিইস্যাট-২ (ICESat-2) স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইসরো (ISRO Scientists) রাম সেতুর একটি মানচিত্র তৈরি করেছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওই স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে রাম সেতুর নিমজ্জিত অংশের ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

    কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? (ISRO Scientists) 

    এ প্রসঙ্গে ইসরোর যোধপুর এবং হায়দরাবাদ ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের গবেষকরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের নীচে ডুবে থাকা সেতুটি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি। রাম সেতু (Ram Setu Secrets) আসলে, ভারতের ধনুশকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের নীচে স্থলভাগের ‘ধারাবাহিকতা’ বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে ইসরোর এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, “ধনুশকোডি এবং তালাইমান্নার দ্বীপের একটি নিমজ্জিত স্থলভাগের ধারাবাহিকতা হল রাম সেতু, আমাদের গবেষণার ফলাফলগুলি এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। রাম সেতুর দুই পাশে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা অত্যন্ত ঢেউ খেলানো। অতি-অগভীর জলের মধ্যে আকস্মিক গভীর খাদ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়াতেও মোদি ম্যাজিক! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার

    রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন

    বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, রাম সেতুর (Ram Setu Secrets) কাঠামো বরাবর ১১টি সংকীর্ণ জলের চ্যানেল রয়েছে। এই চ্যানেলগুলি থেকেই মান্নার উপসাগর এবং পক প্রণালীর মধ্যে জল প্রবাহিত হয়। এই চ্যানেলগুলি থাকার জন্যই সমুদ্রের ঢেউয়ের থেকে রক্ষা পেয়েছে রাম সেতুর কাঠামো। এর আগে, স্যাটেলাইট থেকে রাম সেতুর সমুদ্রের উপরে উন্মুক্ত অংশগুলির মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। এই এলাকার সমুদ্র অত্যন্ত অগভীর। কোথাও এক মিটার, কোথাও দশ মিটার গভীরতা। ফলে এই এলাকায় জাহাজে করে মানচিত্র তৈরি করা কঠিন। তাই নাসার স্যাটেলাইট থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠে লেজার রশ্মি বাউন্স করিয়ে এই নয়া মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্রের জলে প্রায় ৪০ মিটার গভীর পর্যন্ত সমুদ্রতলের হদিশ দিতে পারে নাসার উপগ্রহের এই লেজার।

    রামসেতুর ইতিহাস

    রামায়নেও এই রামসেতুর (Ram Setu Secrets) উল্লেখ রয়েছে। রামায়ণের কাহিনি অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার জন্য বানরসেনার সাহায্যে সমুদ্রের উপর এই সেতু তৈরি করেছিলেন রাম। এছাড়াও বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে এই আন্ডারওয়াটার অংশটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুক্ত একটি স্থল সেতু ছিল। খ্রীস্ট পূর্বাব্দ ৯ম শতাব্দীতে পারস্য নাবিকরা এটিকে ‘সেতু বান্ধাই’ নামে উল্লেখ করেন। যার অর্থ সমুদ্রের উপর একটি সেতু। তবে রামেশ্বরমের মন্দিরগুলির নথি থেকে জানা যায় সেতুটি ১৪৮০ সাল পর্যন্ত সমুদ্রের উপর ছিল, পরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share