Tag: India

India

  • Chhota Rajan: হোটেল মালিককে খুনের মামলায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত মাফিয়া ছোটা রাজন

    Chhota Rajan: হোটেল মালিককে খুনের মামলায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত মাফিয়া ছোটা রাজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০১ সালে মুম্বাইয়ে ব্যবসায়ী জয়া শেট্টি খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার গ্যাংস্টার ছোটা রাজন (Chhota Rajan) ওরফে রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজিকে ‘দোষী’ ঘোষণা করল আদালত। অর্থাৎ প্রায় আড়াই দশকের পুরনো খুনের মামলায় ছোটা রাজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে মুম্বইয়ের (Mumbai) আদালত। তবে এই মামলায় তার কী শাস্তি হতে চলেছে তা অবশ্য এখনও যায়নি। জানা গিয়েছে, আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলায় সাজা ঘোষণা করবে আদালত। 

    কে এই জয়া শেট্টি? 

    জয়া শেট্টি ছিলেন সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের (Mumbai) গোল্ডেন ক্রাউন হোটেলের মালিক। ২০০১ সালে ৪ মে নিজের হোটেলের মধ্যে ঢুকে তাঁকে গুলি করে খুন করে দুই দুষ্কৃতী। তদন্তে জানা যায়, ছোটা রাজনকে (Chhota Rajan) টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, মাফিয়াদের তরফে হুমকি মেলার পর পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল জয়াকে। তবে খুন হওয়ার ২ মাস আগে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে নেমে মুম্বই পুলিশ জানতে পারে এই হত্যা মামলায় সরাসরি যোগ রয়েছে রাজনের। 
    যদিও এর আগে এই মামলার শুনানিতে রাজনের (Chhota Rajan) এক সহযোগীকে বেকসুর খালাস করেছিল আদালত। তদন্তে জানা যায়, রাজনের নির্দেশে ৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে জয়া শেট্টিকে খুন করে সমীর অশোক মালিক। এই মামলায় অজয় মোহিতে, প্রমোদ ধোন্ডে এবং রাহুল পানসারেকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। আর এবার দোষী সাব্যস্ত হল ছোটা রাজন।

    আরও পড়ুন: জুনের শুরুতেই ভিজবে রাজ্য! উত্তরবঙ্গে জারি কমলা সতর্কতা, দক্ষিণে কী পূর্বাভাস?

    জেলে বন্দি রাজনকে আবারও খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল বিচারপতি 

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই নেটফ্লিক্সে একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছিল যার বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজন। হনসল মেহতা পরিচালিত ‘স্কুপ’ সিরিজ সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে খুনের ঘটনা নিয়ে তৈরি। সিরিজে তার ছবি এবং গলার স্বর ব্যবহারের বিরোধিতা করেছিল ছোটা রাজন। এই খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আরেক সাংবাদিক জিগনা ভোরা। ২০১৮ সালে তিনি বেকসুর খালাস পান তবে, ছোটা রাজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। আর এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলে বন্দি রাজনকে (Chhota Rajan) আবারও একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল বিচারপতি এ এম পাতিল।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “মোদির বিদেশনীতিই ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “মোদির বিদেশনীতিই ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) গলায়। তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বিদেশনীতি নিয়েছে ভারত, তা দেশকে খ্যাতি দিয়েছে। এই বিদেশনীতির কারণেই তামাম বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে নয়াদিল্লি। শিমলায় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি মোদির উচ্চকিত প্রশংসা করেন।

    মোদির বিদেশনীতি (S Jaishankar)

    বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে বিদেশনীতি ভারত গ্রহণ করেছে, তা আমাদের দেশকে সম্মান দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ভারত বিশ্বগুরুর ভূমিকা পালন করবে।” গত কয়েক বছর ধরে ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে যে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে তা মেনে নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তবে সীমান্তের নিরাপত্তার বেষ্টনী যে আগের চেয়ে অনেক আঁটসাঁট, অত্যাধুনিক পরিকাঠামোয় সুসজ্জিত, তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    তিনি বলেন, “মোদি সরকার চিন সীমান্তের পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ৩ হাজার কোটি টাকা থেকে এটা বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। চিন সীমান্তে থাকা সমস্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চওড়া এবং অল-ওয়েদার রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ বানিয়েছি। দ্রুত যাতে সীমান্তে পৌঁছানো যায়, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় যখন ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত জ্বালানি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন বিশ্বের নানা অংশের চাপ আমাদের ওপর ছিল। কিন্তু আমরা সেগুলোর তোয়াক্কা করিনি। আমরা যখন কোয়াড গোষ্ঠীতে যোগ দিলাম, তখনও একই চাপ আসছিল চিনের কাছ থেকে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমাদের দেশের স্বার্থের কথা ভেবে। তাতে আমরা সফলও হয়েছি।” এর পরেই তিনি বলেন, “এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।”

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তাই দেশবাসীর দায় একটা স্থায়ী সরকার নির্বাচন করার। এভাবে বিশ্ববাসীকে একটা বার্তা দিতে হবে।” দশ বছর আগের ভারতের সঙ্গে ‘বিকশিত ভারতে’র তুলনাও টেনেছেন বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “দশ বছর আগে আমার মতো যাঁরা বিদেশ যেতেন, তাঁদের অনেক কথা শুনতে হত। আর আজ, বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের একটা নয়া ইমেজ তৈরি হয়েছে। উন্নয়নের নিরিখেই এই ইমেজ তৈরি হয়েছে। ‘বিকশিত ভারতে’র জন্যই এই ইমেজ আমাদের তৈরি হয়েছে (S Jaishankar)।”

    আর পড়ুন: ‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কোটা গিলে খেয়েছে কংগ্রেস’, দাবি বিজেপির বিজ্ঞাপনী ভিডিওয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা! কড়া নিরাপত্তা নিউ ইয়র্কে

    T20 World Cup 2024: বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা! কড়া নিরাপত্তা নিউ ইয়র্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই টি-২০ বিশ্বকাপ। আগামী ৯ জুন মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচের (T20 World Cup 2024) আগেই এল জঙ্গি হানার হুমকি। নিউ ইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছে আইএসএস-কে জঙ্গি সংগঠন। ফলে দুই দেশের প্লেয়ারদের জীবনহানির (India vs Pakistan Security) প্রশ্ন উঠতেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্টেডিয়াম। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি ১০০ পুলিশকর্মী।

    হুমকির ভিডিও প্রকাশ্যে 

    সম্প্রতি জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে (T20 World Cup 2024) হামলা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লোন উলফ’। ভিডিয়োয় বলা হয়েছে, যে কেউ এই হামলা করতে পারে। এই ‘লোন উলফ অ্যাটাক’ হচ্ছে একটা গণহত্যা। যেটা প্রকাশ্যে কোনও এক ব্যক্তি করে। 

    সতর্ক নিউ ইয়র্ক প্রশাসন

    নাসাউ কাউন্টির পুলিশ কমিশনার প্যাট্রিক রাইডার এই হুমকির কথা জানিয়ে বলেছেন, গত এপ্রিল থেকেই জঙ্গি সংগঠন আইএস-খোরাসান এ রকম হামলার হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু এ বারের হুমকি একেবারে নির্দিষ্ট করে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের (T20 World Cup 2024) জন্য দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নাসাউ স্টেডিয়ামের উপর একটি ড্রোন দেখা গিয়েছে। তাতে ম্যাচের তারিখ ‘৯/৬/২০২৪’ লেখা। এর পরেই নড়চড়ে বসেছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।  তিনি বলেন, “একটি ভিডিয়ো বার্তায় জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘লোন উলফ’ হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। যেখানে এত বড় একটা ম্যাচ এবং প্রচুর দর্শক আসবেন, সেখানে কোনও কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সব রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।” 

    আরও পড়ুন: এবার থেকে ওয়েটিং লিস্টের ঝামেলা থেকে মুক্তি! ট্রেনের টিকিটে বড় বদল

    উল্লেখ্য, বিশ্বের যেই প্রান্তেই ভারত পাকিস্তান ম্যাচ (T20 World Cup 2024) হোক না কেন, সবসময় নিরাপত্তা (India vs Pakistan Security) নিয়ে প্রশ্ন থাকে। যেই দেশই আয়োজনক করুক তাদের বাড়তি সতর্ক হতে হয়। আর এবার নিউ ইয়র্কে দুই দল নামার আগে এই হুমকির হুঁশিয়ারিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সেই দেশের সাধারণ মানুষ। তবে নিউ ইয়র্কের গর্ভনর অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা এমন কোনও হুমকি পায়নি যাতে সাধারণ মানুষদের আশঙ্কা থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Chandan Yatra:  হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    Puri Chandan Yatra:  হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই রথযাত্রা। সেজে উঠছে পুরী। কিন্তু রথযাত্রার আগেই ঘটল বিপত্তি। জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় (Puri Chandan Yatra) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন বহু ভক্ত। বুধবার রাতে ওড়িশার (Odisha) পুরীতে চন্দন যাত্রা উপলক্ষে  জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। তখনই ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০ জনেরও বেশি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আতশবাজি থেকেই আগুন লেগেছিল। ঘটনার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশাসন। অ্যাম্বুল্যান্সে করে জখমদের নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিৎসা।   

    কী করে ঘটল এই দুর্ঘটনা? (Puri Chandan Yatra) 

    জগন্নাথদেবের চন্দন যাত্রা উপলক্ষে পুরীর নরেন্দ্র পুষ্করিণী এলাকায় কয়েক’শ পুণ্যার্থী জড়ো হয়েছিলেন। আসলে এই দিনে রথযাত্রা উৎসবের জন্য পুরীতে রথ নির্মাণ শুরু হয়ে থাকে। তাই এই উৎসবে অনেকে সেখানে বাজি পুড়িয়ে আনন্দ করছিলেন। সেই সমস্ত বাজি ওখানেই জড়ো রাখা ছিল। আর তার থেকেই বাধে বিপত্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজি পোড়ানোর সময় আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে লাগে বাজির স্তূপে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। একের পর এক বাজি ফাটতে শুরু করে। 

    যেখানে বাজি রাখা ছিল, তার আশেপাশে যারা ছিলেন, তারা অগ্নিদ্বগ্ধ হন। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে সরোবরে ঝাঁপ দেন। জানা গিয়েছে হটাৎ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন জখম হয়েছেন। সকলেই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।  

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 

    এই ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার খরচ ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মেটানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    অন্যদিকে এ ঘটনায় (Puri Chandan Yatra) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার কথা আমি শুনেছি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমার প্রার্থনা ভগবানের আশীর্বাদে যেন আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IndiGo Airlines: মহিলাদের সুরক্ষায় জোর! ফ্লাইটে সিট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা এনে দিল ইন্ডিগো

    IndiGo Airlines: মহিলাদের সুরক্ষায় জোর! ফ্লাইটে সিট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা এনে দিল ইন্ডিগো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করল ইন্ডিগো এয়ারলাইনস (IndiGo Airlines)। এবার থেকে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের বিমানের টিকিট বুকিং করার সময় মহিলাযাত্রীরা যদি চান, তা হলে অন্য মহিলার পাশের আসনটি নিজের জন্য বুক করতে পারেন। সম্প্রতি একটি বিবৃতি দিয়ে এমনই জানিয়েছে ইন্ডিগো। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (IndiGo Airlines)

    অনেক সময়ই নিরাপত্তার দিক থেকে একজন মহিলা জন-পরিবহন মাধ্যমে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অপর মহিলার পাশে বসতেই নিরাপদ বোধ করেন। ট্রেন থেকে বাসে যাতায়াতের সময় বহু মহিলাই এদেশে মহিলা সহযাত্রীকেই পাশে চান। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার এই সুযোগ এনে দিল ইন্ডিগো। এবার থেকে চাইলে বিমানেও মহিলা সহযাত্রীর (Female Flyers) পাশে বসার মতো সিট বেছে নিতে পারবেন একজন মহিলা। 
    জানা গিয়েছে নতুন এই সুযোগে ইন্ডিগোর (IndiGo Airlines) মহিলা যাত্রীরা ওয়েব চেক-ইনের সময় অন্য মহিলা যাত্রীরা কোন আসনগুলি অগ্রিম বুক করেছেন তা দেখতে পারবেন এবং সুরক্ষা-স্বাচ্ছন্দ্য মত নিজের পছন্দ অনুযায়ী তাদের আসন নির্বাচন করতে পারবেন। 

    ইন্ডিগোর ‘গার্ল পাওয়ার’ 

    ইন্ডিগোর (IndiGo Airlines) তরফ থেকে এই নয়া উদ্যোগের বিষয়ে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থাটি বিশেষভাবে মহিলা ভ্রমণকারীদের পিএনআর (যাত্রী নাম রেকর্ড) অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। সেই মহিলা যাত্রী একা ভ্রমণ করুক কিংবা পরিবারের সঙ্গে, সর্বদাই তিনি এই সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা মহিলযাত্রীরা কবে থেকে পাবেন, সে বিষয় এখনও কোনও ঘোষণা করেনি ইন্ডিগো এয়ারলাইনস। বর্তমানে ইন্ডিগোর ‘গার্ল পাওয়ার’ নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই উদ্যোগটি পাইলট মোডে রয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? এগিয়ে কোন কেন্দ্র? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    উল্লেখ্য, বিমানে মহিলা যাত্রীদের (Female Flyers) সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দুর্ব্যবহারের খবর সংবাদ শিরোনামে আসে। ২০২৩ সালে দিল্লিগামী বিমানে যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে সহযাত্রী জনৈক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মহিলা। নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের সেই সহযাত্রী মত্ত অবস্থায় তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন ও তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে মহিলা অভিযোগ করেছিলেন। শুধু এই ঘটনাই নয়, গত বছর এই রকম একাধিক ঘটনা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। তাই অতীতের সমস্ত ঘটনার কথা মাথায় রেখে বিমানে মহিলাদের নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তুলতেই ইন্ডিগো এয়ারলাইনস (IndiGo Airlines) এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election 2024) প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। আর ভোটের এই আবহে বাকি পাঁচ দফার মত এবার ষষ্ঠ দফায় দেশ জুড়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যে বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওডিশার ৬টি, উত্তর প্রদেশের ১৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়েছে। 
    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে সারা দেশ জুড়ে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৮টি আসনে ভোট (Lok Sabha election 2024) দানের হার ৬৩.৩৭ শতাংশ। ষষ্ঠ দফায় ১১,১৩,১৬,৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৭,০৫,৪৪,৯৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ ভোটারদের হার ৬১.৯৫ শতাংশ, মহিলা ভোটারদের হার ৬৪.৯৫ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটের হার ১৮.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

    রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল? 

    তবে শুধু ভোট দানের হারই নয় একইসঙ্গে কোন কেন্দ্রে কত ভোট (Lok Sabha election 2024) পড়েছে, রবিবার সে তথ্যও প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের আট কেন্দ্রে ভোট পড়ার গড় হার ৮২.৭১ শতাংশ। এবার আট কেন্দ্রের মধ্যে শীর্ষে বিষ্ণুপুর। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৫.৯১ শতাংশ। বিষ্ণুপুরের পরেই আছে তমলুক। সেখানে ভোটের হার ৮৪.৭৯ শতাংশ। কাঁথির ভোটের হার ৮৪.৭৭ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে এবার ৮৩.৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.১৭ শতাংশ। মেদিনীপুরে ভোটের হার ৮১.৫৬ শতাংশ। বাঁকুড়ায় ভোটের হার ৮০.৭৫ শতাংশ। তবে পুরুলিয়ায় ভোটের হার সর্বনিম্ন। সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৭৮.৩৯ শতাংশ।   

    দেশের কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল? (Lok Sabha election 2024)

    অন্যদিকে কমিশনের (Election Commission) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে রেকর্ড ভোট পড়েছে। সেখানে ভোটের হার ৫৮.৬৯ শতাংশ। হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬৪.৮০ শতাংশ৷ ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে যথাক্রমে ৭৪.৪৫ শতাংশ এবং ৬৫.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।  
    কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ষষ্ঠ দফায় পুরুষদের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমন বিহারে মহিলা ভোটারের হার ৬২.৯৫ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটারের হার ৫১.৯৫ শতাংশ। একইভাবে উত্তর প্রদেশে মহিলা ভোটারের হার ৫১.৩১ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৫৭.১২ শতাংশ। বিহার, উত্তর প্রদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের ছবিও এক। এ রাজ্যে মহিলা ভোটারের হার ৮৩.৮৩ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৮১.৬২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    তবে কমিশন তার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে যে, এই ভোটদানের হারের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্ভুক্ত নয়। চূড়ান্ত ভোটদানের ফলাফল ৪ জুন পোস্টাল ব্যালট গণনা এবং মোট ভোট (Lok Sabha election 2024) গণনার সাথে যুক্ত হওয়ার পরে জানা যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Slams Congress: আইয়ারের চিন-প্রীতি! কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP Slams Congress: আইয়ারের চিন-প্রীতি! কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “১৯৬২ সালে ভারতে আগ্রাসন চালিয়েছিল চিন।” ভারত-চিন যুদ্ধকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। মঙ্গলবার (BJP Slams Congress) কল্লোল ভট্টাচার্যের লেখা একটি বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আইয়ার। বইটির নাম ‘নেহরুজ ফার্স্ট রিক্রুটস: দ্য ডিপ্লোম্যাটস হু বিল্ট ইন্ডিপেনডেন্ট ইন্ডিয়াজ ফরেন পলিসি’। আইয়ার বলেন, “১৯৬২ সালের অক্টোবরে চিনারা ভারত আক্রমণ করেছিল।” ওই বছর অক্টোবর-নভেম্বরে হয়েছিল যুদ্ধ। ম্যাকমোহন লাইন পেরিয়ে এসে আক্রমণ করেছিল চিনাফৌজ। এই সময়ই তারা দখল করে নেয় আকসাই চিন। এই অঞ্চলটি আদতে ভারতেরই।

    আইয়ারের স্মৃতিচারণ (BJP Slams Congress)

    লালফৌজ যখন ভারত আক্রমণ(BJP Slams Congress) করে তখন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন আইয়ার। সেই সময়কার স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে হচ্ছিল ফরেন সার্ভিস পরীক্ষা। সেদিন তাওয়াং দখল করে নিল। যখন এটা শেষ হল…।” তিনি বলেন, “আমি রাজনীতিতে দক্ষ ছিলাম। খবরের কাগজগুলো আমাকে কমিউনিস্ট ভেবে রেফারেন্স দিচ্ছিল। ওই পরীক্ষায় আমি পাশ করেছিলাম। ভালো ফলও করেছিলাম। তার পরেও আমায় কমিউনিস্ট দেগে দিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি।”

    বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিখ্যাত

    মাঝেমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন আইয়ার। চলতি মাসের প্রথম দিকেই পাকিস্তানকে ‘শ্রদ্ধেয় দেশ’ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেছিলেন, “ওদের(পাকিস্তানের) হাতে অ্যাটম বম্ব রয়েছে, তাই ভারতের উচিত সমঝে চলা। তাদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করা প্রয়োজন।” পাকিস্তানের নাগরিকদের ‘ভারতের সব চেয়ে বড় সম্পদ’ বলেও বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন আইয়ার।

    আইয়ার এবং কংগ্রেসের চিন-প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির ন্যাশনাল ইনফর্মেশান অ্যান্ড টেকনোলজি দফতরের ইনচার্জ তথা পশ্চিমবঙ্গের কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য। আইয়ারকে আক্রমণ শানিয়েছেন নেটিজেন ঋষি বাগরিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “১৯৬২ সালে চিন যখন ভারত আক্রমণ করে, তখন আইয়ার ইংল্যান্ডে চিনাফৌজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। ইতিহাসের এই অংশটি আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে (BJP Slams Congress)।”

    আর পড়ুন: লাহোর চুক্তি ভঙ্গ হয়েছিল, ‘দোষ’ কবুল পাকিস্তানের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Major Radhika Sen: নারীশক্তির জয়! ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    Major Radhika Sen: নারীশক্তির জয়! ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিদেশের মাটিতে সম্মানিত হবেন ভারতীয় নারী। ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে (Major Radhika Sen) বিশেষ সম্মান দিতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাঁদের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভারতীয় এই সদস্যকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত করতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ২৯ মে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী দিবস (International Day of UN Peacekeepers)। আর তার ঠিক আগের দিনই এই পুরস্কার ঘোষণা রাষ্ট্রসঙ্ঘের। আগামী ৩০ মে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রাধিকার হাতে ‘মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেবেন। এমনটাই জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র।   

    কে এই মেজর রাধিকা সেন? (Major Radhika Sen) 

    হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা রাধিকা বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর আইআইটি বম্বে থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্গানাইজেশন স্টেবিলাইজেশন ইন দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর (মোনুস্কো) সদস্য হন তিনি। এরপর মোনুস্কোর ইন্ডিয়ান র‌্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট ব্যাটালিয়নের এনগেজমেন্ট প্লাটুনের কমান্ডারের দায়িত্ব সামলেছেন রাধিকা। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই দায়িত্বেই ছিলেন তিনি।  

    কেন দেওয়া হয় এই পুরস্কার? 

    মেজর সুমন গাওয়ানির পর দ্বিতীয় ভারতীয় শান্তিরক্ষী হিসেবে এই সম্মানজনক পুরস্কার পেতে চলেছেন রাধিকা সেন। এর আগে দক্ষিণ সুদানে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মিশনে (UNMIS) দায়িত্ব পালন করেছিলেন মেজর সুমন গাওয়ানি। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। মহিলা ও বালিকাদের যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা থেকে রক্ষা করে তাঁদের নিরাপত্তা দানের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এই পুরস্কার দিয়ে থাকে।

    রাধিকার ভূয়সী প্রশংসা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের

    এদিন রাধিকার (Major Radhika Sen) ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাঁকে সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও জানান, এই সম্মান সমস্ত শান্তিরক্ষীদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বজায় রেখে শান্তিরক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব শুধুমাত্র নারীদের একার দায় নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nawaz Sharif: লাহোর চুক্তি ভঙ্গ হয়েছিল, ‘দোষ’ কবুল পাকিস্তানের

    Nawaz Sharif: লাহোর চুক্তি ভঙ্গ হয়েছিল, ‘দোষ’ কবুল পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ‘দোষ’ কবুল করল পাকিস্তান। তারা স্বীকার করল, ১৯৯৯ সালে স্বাক্ষরিত লাহোর চুক্তি ভঙ্গ করেছে তারা। চুক্তি ভঙ্গের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। প্রসঙ্গত, লাহোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিজেপির অটলবিহারী বাজপেয়ী। কার্গিলে পাক অনু্প্রবেশ যে ভুল ছিল, তা-ও কবুল করেন শরিফ। বলেন, “এটা আমাদের ভুল ছিল।”

    কী বললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? (Nawaz Sharif)

    দলীয় এক সভায় পাকিস্তানের প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৮ সালের ২৮ মে পাকিস্তান পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছিল। এরপর বাজপেয়ী সাহেব এখানে এসে আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু আমরা সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছি।…এটা আমাদের ভুল ছিল।” তিনি বলেন, “এই চুক্তির পরে পরেই পাকিস্তান কার্গিলে অনুপ্রবেশ করে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পাক সেনার অনুপ্রবেশের কারণেই হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ।” উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশারফ তার বাহিনীকে জম্মু-কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় অনুপ্রবেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শরিফ (Nawaz Sharif)। কার্গিল যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল ভারত। 

    বিল ক্লিন্টনের প্রস্তাব

    প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষার ২৬তম বার্ষিকী উদযাপনের দিন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো থেকে আমাদের বিরত রাখতে পাকিস্তানকে পাঁচশো মার্কিন বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।” তিনি বলেন, “যদি আমার আসনে ইমরানের (প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান) মতো লোক থাকত, তাহলে তারা ক্লিন্টনের প্রস্তাব মেনে নিত।”

    আর পড়ুন: নির্বাচনী প্রচার শেষ, তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান শান্তি-নিরাপত্তা ও মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের স্বার্থে স্বাক্ষর করেছিল লাহোর চুক্তি। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন নওয়াজ শরিফ। এই চুক্তির কিছুদিনের পরেই কার্গিলে অনুপ্রবেশ করে পাক সেনা।

    পড়শি দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চেষ্টার কম কসুর করেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী। লাহোর বাসযাত্রার সূচনা করেছিলেন তিনিই। সেই বাস লাহোরে পৌঁছলে বাজপেয়ী আলিঙ্গন করেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। বাজপেয়ীর এই বন্ধুত্বের বার্তাকে সেদিন মর্যাদা দেয়নি পাকিস্তান। সেই ভুলের ‘রজত জয়ন্তী’তেই ভুল কবুল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর (Nawaz Sharif)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মাস দুয়েক ধরে কার্যত চষে বেড়িয়েছেন গোটা দেশ। শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রচার। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। মাঝের এই সময়টাকেই কন্যাকুমারীতে ধ্যানের জন্য বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কেন কন্যাকুমারীকে বাছলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৩০ মে থেকে তিনদিনের জন্য এখানে ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতে একটি পাথর রয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভগবান শিবকে পতি হিসেবে পাওয়ার জন্য এই পাথরের ওপর এক পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে তপস্যা করেছিলেন কুমারী পার্বতী। তাই এই এখানকার নাম কন্যাকুমারী। ১৮৯২ সালে এই প্রস্তরখণ্ডের ওপর বসে তিনদিন ধরে তপস্যা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও। মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তাল সমুদ্র সাঁতরে তিনি গিয়েছিলেন ওই পাথরে। পরবর্তীকালে এই প্রস্তরখণ্ডের নাম হয় বিবেকানন্দ রক। ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু এটি (PM Modi)। এবার সেই একই পাথরের ওপর বসে তিনদিন ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

    প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করেছেন আগেও

    ২০১৪ সালের প্রচার শেষেও (এই বছরই কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার) প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন শিবাজির প্রতাপগড়ে। এখানেই শিবাজির সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল আফজল খাঁর। উনিশের নির্বাচনের প্রচারের শেষে তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথের এক গুহায় ধ্যান করতে। এবার যাবেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে।

    আর পড়ুন: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মূল ভূখণ্ড থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে এই বিশেষ পাথর। পাথরটির চারদিকে খেলা করছে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ঊর্মিমালারা। সেখানেই রয়েছে ‘ধ্যান মণ্ডপম’। এই মণ্ডপেই ধ্যানমগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁকে দিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করাতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পরমাত্মা। কীভাবে সেই কাজ তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন, তা তিনি জানেন না।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই পরমাত্মার সঙ্গে যোগসাধন করতেই ধ্যানমগ্ন হবেন ‘ঋষি’-প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতেই মিশেছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলও। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গায় ধ্যানমগ্ন হয়ে দেশবাসীকে ঐক্যের বার্তাও দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share