Tag: India

India

  • PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: নির্বাচনী প্রচার শেষে তিনদিনের জন্য কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মাস দুয়েক ধরে কার্যত চষে বেড়িয়েছেন গোটা দেশ। শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রচার। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। মাঝের এই সময়টাকেই কন্যাকুমারীতে ধ্যানের জন্য বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কেন কন্যাকুমারীকে বাছলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ৩০ মে থেকে তিনদিনের জন্য এখানে ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতে একটি পাথর রয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভগবান শিবকে পতি হিসেবে পাওয়ার জন্য এই পাথরের ওপর এক পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে তপস্যা করেছিলেন কুমারী পার্বতী। তাই এই এখানকার নাম কন্যাকুমারী। ১৮৯২ সালে এই প্রস্তরখণ্ডের ওপর বসে তিনদিন ধরে তপস্যা করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দও। মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তাল সমুদ্র সাঁতরে তিনি গিয়েছিলেন ওই পাথরে। পরবর্তীকালে এই প্রস্তরখণ্ডের নাম হয় বিবেকানন্দ রক। ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু এটি (PM Modi)। এবার সেই একই পাথরের ওপর বসে তিনদিন ধ্যান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

    প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করেছেন আগেও

    ২০১৪ সালের প্রচার শেষেও (এই বছরই কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার) প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন শিবাজির প্রতাপগড়ে। এখানেই শিবাজির সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছিল আফজল খাঁর। উনিশের নির্বাচনের প্রচারের শেষে তিনি গিয়েছিলেন কেদারনাথের এক গুহায় ধ্যান করতে। এবার যাবেন তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে।

    আর পড়ুন: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মূল ভূখণ্ড থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে এই বিশেষ পাথর। পাথরটির চারদিকে খেলা করছে ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের ঊর্মিমালারা। সেখানেই রয়েছে ‘ধ্যান মণ্ডপম’। এই মণ্ডপেই ধ্যানমগ্ন হবেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁকে দিয়ে কোনও বিশেষ কাজ করাতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পরমাত্মা। কীভাবে সেই কাজ তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছেন, তা তিনি জানেন না।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই পরমাত্মার সঙ্গে যোগসাধন করতেই ধ্যানমগ্ন হবেন ‘ঋষি’-প্রধানমন্ত্রী। কন্যাকুমারীতেই মিশেছে ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলও। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গায় ধ্যানমগ্ন হয়ে দেশবাসীকে ঐক্যের বার্তাও দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “শুধু তাজমহলই ভারত নয়, এদেশে আরও অনেক পর্যটনস্থল রয়েছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি তাজমহল। তবে এটাই দেশের একমাত্র পর্যটন গন্তব্য নয়। বিদেশিরা আকছার তাজমহল দেখতে আসেন। তবে ভারতে এছাড়াও আরও ছবির মতো সাজানো অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলি আবিষ্কারের প্রতীক্ষায় রয়েছে।” সোমবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পর্যটকদের তিনি অনুরোধ করেন, “এই সব জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, পূর্ণ করুন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার ঝুলি। দেশের ৩৬০ ডিগ্রিই ঘুরে দেখুন।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    ভারতের যে একটা নয়া ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জি২০ সামিটের সময় ভারত ও তার বৈচিত্রের প্রতি বিশ্বশক্তিকে কৌতুহলীও করে তোলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। বলেন, “আমরা জি২০ সামিটের আয়োজন করেছিলাম। এই সম্মেলন কেবল দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এর একটাই উদ্দেশ্য, বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেওয়া যে কেবল দিল্লিই ভারত নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলেই আবিষ্কার করা যাবে এই ভূমের বৈচিত্র।” তিনি বলেন, “শুধু তাজমহল দেখেই তামাম ভারতকে চেনা যায় না। এই দেশের অনেক শক্তি রয়েছে। আবিষ্কারের জন্য রয়েছে বিভিন্ন গন্তব্য।”

    জি২০ সম্মেলন

    জি২০ সম্মেলনের পরে যে ভারতে পর্যটকদের আনাগোনা আগের চেয়ে বেড়েছে, এদিন সাক্ষাৎকারে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলন কীভাবে ভারতের পর্যটনের সম্ভাবনাকে উৎসাহিত করেছিল, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জি২০ সম্মেলনে ২০০-র বেশি বৈঠক হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক লাখের বেশি নীতিনির্ধারক এই সব বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন অংশে হয়েছিল এই সব বৈঠক। অভ্যাগতরা কেবল ভারতের ওই সব লোকেশন আবিষ্কার করেনি, তাঁরা তাঁদের পরিবার এবং স্বদেশবাসীকেও ভারতের অতুলনীয় সৌন্দর্যের গল্প শুনিয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    প্রসঙ্গত, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও উনিশটি দেশ মিলে গঠিত হয়েছে জি২০। ফি বছর এই জি২০-র সম্মেলন হয় এর সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে। গত বছর এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল ভারত। সরকার বা রাষ্ট্রের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী, সচিব এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা যোগ দেন এই সম্মেলনে। একেবারে শেষে হয় শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধান কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China War: সেনাপ্রধান পদে থাপারের নিয়োগ, নেহরুর সিদ্ধান্তে চিনের কাছে ভারত খুইয়েছে ভূখণ্ড!

    India China War: সেনাপ্রধান পদে থাপারের নিয়োগ, নেহরুর সিদ্ধান্তে চিনের কাছে ভারত খুইয়েছে ভূখণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৬১ সাল। দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। চিফ আর্মি স্টাফ পদে নিয়োগ করলেন প্রাণনাথ থাপারকে (India China War)। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত আজও ইতিহাসের আতশ কাচের তলায়। এখনও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারের কাকা এই প্রাণনাথ। তাঁর ছেলে করণ থাপার নাম করা জার্নালিস্ট। সেনা প্রধান পদে প্রাণনাথকে নিয়োগ করেছিলেন জওহরলাল। নেহরুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের খাতিরেও ওই পদে বসানো হয় তাঁকে।

    প্রাণনাথ থাপার (India China War)

    প্রাণনাথের জন্ম ঝিলামে। বর্তমানে এটি পাকিস্তানে। নাম করা ডালি কলেজের পাঠ চুকিয়ে প্রাণনাথ চলে যান ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি (India China War)। বর্মায়(অধুনা মায়ানমার) ফোর্থ ইন্ডিয়ান ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন তিনি। ভারতীয় সেনার পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তুলতে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। পুণের খাদাখাওসলায় তিনি স্থাপন করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি। এই প্রতিষ্ঠানে আজও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ভবিষ্যতের সেনানায়কদের।

    সেনা প্রধান পদে নিয়োগ

    এহেন প্রাণনাথের সেনা প্রধান পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ছিল। লেজেন্ডারি জেনারেল কেএম কেরিয়াপ্পা অবশ্য সেনাপ্রধান পদে চেয়েছিলেন জেনারেল থোরাটকে। তাঁর যুক্তি ছিল, চিন সীমান্ত নিয়ে থোরাটের অভিজ্ঞতা বিস্তর। সেনাবাহিনীকে ফরওয়ার্ড পজিশনে মোতায়েন করার কথা বলায় তখন তিনি প্রাণনাথের চেয়ে ঢের বেশি যোগ্য বলেই দাবি করেছিলেন কেরিয়াপ্পা। কিন্তু পারিবারিক যোগাযোগ থাকায় কেরিয়াপ্পার কথা কানে তোলেননি নেহরু। সেনা প্রধান পদে বসিয়ে দেন থাপারকে।

    আর পড়ুন: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    সাইনো-ইন্ডিয়ান যুদ্ধ

    ১৯৬২ সালে হয় সাইনো-ইন্ডিয়ান যুদ্ধ। এই সময় সেনা প্রধান পদে ছিলেন থাপার। তখনই ধরা পড়ে যুদ্ধের জন্য আগাম কোনও প্রস্তুতিই ছিল না ভারতীয় সেনার। ভারতীয় সেনার দুর্বলতাও প্রকাশ্যে চলে আসে। চিন সীমান্ত সম্পর্কে থাপারের জ্ঞান ছিল খুবই কম। সেই কারণেই ওই যুদ্ধের মোকাবিলা করতে গিয়ে সমলোচনার তিরে বিদ্ধ হন তিনি। থাপারের নির্দেশের জেরেই চিনের কাছে ভারতকে খোয়াতে হয় ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা। হাজার হাজার ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ভারতীয় সেনার ইতিহাসে আজও লেগে রয়েছে যে রক্তের দাগ। দেশ হারতেই থাপার সেনা প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চান। অনেকের মতে, এটা ছিল লোক দেখানো। জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এই সময় নেহরু তাঁকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করেন। ভিন দেশে সেই পদেই অবসর নেন তিনি (India China War)।

    আগুনে ঘি পড়ে

    তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে যেন আগুনে ঘি পড়ে। সেনাপ্রধান পদে ব্যর্থতার কারণে যাঁর মূল্য চোকানোর প্রয়োজন ছিল, তাঁকেই কিনা রাষ্ট্রদূতের পদ উপহার! যদিও চিনের কাছে দেশ যে ভূখণ্ড খুইয়েছে, সংসদে সে দাবি অস্বীকার করেছিলেন নেহরু। তার জেরে আরও খেপে যান বিরোধীরা। অনেকের মতে, থাপারের বদলে ওই সময় জেনারেল থোরাটকে সেনা প্রধান পদে নিয়োগ করা হলে চিনের কাছে হারতে হত না ভারতকে, খোয়াতে হত না ভূখণ্ডও। থোরাটকে টপকে থাপারকে সেনা প্রধান পদে বসানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, ভারতীয় সেনার ইতিহাসে আজও তা একটি বিতর্কিত অধ্যায়। সেনা প্রধান পদে রাজনৈতিক প্রভাবের পরিণাম কী হতে পারে, তা নিয়ে আজও আলোচনা হয় সেনার অন্দরে।

    সেনাবাহিনীর ইতিহাসে থাপারের অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি তাঁকে নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্কও। এখনও তাঁর নিয়োগ নিয়ে চর্চা হলে তুফান ওঠে চায়ের কাপে। থাপারের নিয়োগ প্রমাণ করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এক, আর মিলিটারি স্ট্র্যাটেজি আর এক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যেমন খুশি হলে তার খেসারত দিতে হয় দেশকে। আর সেনার ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিই শেষ কথা। যে দেশের যুদ্ধ কৌশল যত প্রাসঙ্গিক হবে, সেই দেশের জয় ততই নিশ্চিত হবে। রক্তও ঝরবে কম। প্রাণবলির আশঙ্কাও থাকে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিন সীমান্ত সম্পর্কে খুব কম ধারণা থাকায় থাপার ঠিক মতো ঘুঁটি সাজাতে পারেননি। যার জেরে ভারতের একটি বিরাট অংশ দখল করে ফেলেছিল চিন। সেদিন থাপারকে ওই পদে বসানোর সিদ্ধান্ত যদি নেহরু না নিতেন, তাহলে ভারতকে জমি খুইয়ে চোকাতে হত না মূল্য (India China War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    Nirmala Sitharaman: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দশ বছরে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। এতদিন বাজেট বলতে ছিল কেবল খরচের খতিয়ান। মোদি সরকার তাকে পরিণত করেছে সমবণ্টনের ব্লপ্রিন্টে। ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে করা হয়েছে এই সংস্কারের পদক্ষেপ।” সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ (Nirmala Sitharaman)। তিনি জানান, মোদি সরকার করদাতাদের কষ্টার্জিত প্রতিটি পাই পয়সার মূল্য যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগানো যায়, নিরন্তর সেই চেষ্টাই করে চলেছে। সরকারের সেই কাজের সুফলও যাতে সকলের কাছে পৌঁছায়, সেই ব্যবস্থাও করছে। বাজেটে স্বচ্ছতাই যে মোদি সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, তা-ও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

    কী বললেন সীতারামণ? (Nirmala Sitharaman)

    তিনি বলেন, “দেশে যে স্বচ্ছ বাজেট পেশ করা হচ্ছে গত দশ বছর ধরে, তার প্রশংসা শোনা গিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের কণ্ঠে। এর ফলে দেশ তামাম বিশ্বের বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে।” এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, “ইন্ডিয়ান জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বারংবার বাজেট পরবর্তীকালে ধার করে বাজেটের ঘাটতি লুকিয়ে রাখত। তারা ওয়েল বন্ড ইস্যু করত। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে চাপত ঋণের বোঝা। আমাদের আমলে এসব হয় না। বাজেট কীভাবে ফেভারেবল হয় ইউপিএ সরকার সর্বদাই তার চেষ্টা করত’।

    বাজেটের বিশ্বাসযোগ্যতা

    তিনি বলেন, “গত দশক দেখেছে কেন্দ্রীয় বাজেটের পবিত্রতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। অতীতের ধারা বদলে এই নয়া ট্রেন্ড শুরু করেছে মোদি সরকার।” এর পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকার বাজেটের পুনঃসংস্কার করেছে। বাজেটে বজায় রাখা হচ্ছে স্বচ্ছতা। বাজেটে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে বাজেটারি প্রসেসেও।” তিনি জানান, ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষ থেকে বাজেট পেশ হয়ে আসছে পয়লা ফেব্রুয়ারি। তার আগে বাজেট পেশ হত ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে। এতে ব্যয়-চক্র (এক্সপেন্ডিচার সাইকেল) দু’মাস এগিয়ে এসেছে। ট্রেজারি সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট (টিএসএ) নিয়ে এসে সরকার ব্যয়ে সংস্কার সাধন করেছে বলেও জানান সীতারামণ। তিনি (Nirmala Sitharaman) জানান, টিএসএ চালু হওয়ায় আজ পর্যন্ত বেঁচেছে ১৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা।

    আর পড়ুন: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Eric Garcetti: ভারতে ৩৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আইডিএফসি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    Eric Garcetti: ভারতে ৩৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আইডিএফসি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ৩৮০ কোটি মার্কিন ডালার বিনিয়োগ করবে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন (আইডিএফসি)। জানালেন ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি (Eric Garcetti)। ভারতে পরিকাঠামো এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির প্রয়োজন মেটাতে ওই বিনিয়োগ করা হবে। মুম্বইয়ের ইন্দো-মার্কিন স্পেশ কর্পোরেশনের একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন গারসেট্টি।

    কী বললেন গারসেট্টি? (Eric Garcetti)

    তিনি বলেন, “পরিকাঠামোগত প্রয়োজন এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির পাশাপাশি আমেরিকা ভারতকে কৃষি, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক সার্ভিস ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।” মার্কিন-ভারত অ্যালায়েন্স ফর উইমেন ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্টের ক্ষেত্রে ভারতের অংশীদারিত্ব নিয়েও উৎসাহ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “মার্কিন-ভারত অ্যালায়েন্স ফর উইমেন ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্টের বিষয়টি শেয়ার করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এটা (মার্কিন-ভারত অ্যালায়েন্স ফর উইমেন ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্ট) দুই বিশাল দেশের মধ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে গড়ে তুলেছে। ভারতে মহিলাদের আগাম নিরাপত্তা দিতেই এই ব্যবস্থা।” তিনি (Eric Garcetti) আরও বলেন, “দুই দেশ (ভারত ও আমেরিকা) কেবল যে উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে, তা নয়, প্রযুক্তির দিক থেকেও এগোচ্ছে।”

    একযোগে কাজের অঙ্গীকার!

    গারসেট্টি বলেন, “প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। আমাদের পূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তির অর্থই হল আমাদের নিজেদের দেশগুলোর ভালো হবে। এবং ভারত ও মার্কিন জোট তামাম বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে, আমেরিকা ও ভারত কী না করতে পারে!” ভারত এবং আমেরিকা যে খনিজ, সেমিকন্ডাক্টর, প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশের ক্ষেত্রেও একযোগে কাজ করছে, সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “জেট ইঞ্জিন এবং আন-আর্মড ভেহিক্যালস এবং পৃথিবীতে এই জাতীয় গ্রাউন্ড ব্রেকিং ওয়ার্ক এটা জানিয়ে দেয় যে অদূর ভবিষ্যতে আমরা এক সঙ্গে মহাকাশেও যেতে পারি।”

    আর পড়ুন: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “এ বছর মহাকাশে দুই দেশই গিয়েছিল, দুই দেশই আমাদের কোম্পানিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে, আমাদের দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির, আমাদের বিনিয়োগকারীদের এবং আমাদের স্টার্টআপের ক্ষেত্রেও সম্পর্ক গড়ে উঠছে। নতুন কিছু পেতেই একযোগে কাজ করছি আমরা। মহাকাশই যে দুই দেশের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ জায়গা, সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছি আমরা (Eric Garcetti)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Next Generation Nuclear Fuel: “নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে ভারত”, বললেন রুশ কর্তা

    Next Generation Nuclear Fuel: “নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে ভারত”, বললেন রুশ কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত এক প্রধান অংশীদার এবং এই দেশ চলতি গ্রীষ্মেই নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাশিয়ার (Next Generation Nuclear Fuel) স্টেট নিউক্লিয়ার কর্পোরেশন রোশাটম প্রধান অ্যালেক্সি লিখাচেভ। সিবেরিয়ার তোমস্ক অঞ্চলে তাঁকে স্বাগত জানান ‘দ্য রাশিয়ান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনে’র চেয়ারম্যান অজিত কুমার মোহান্তি। আরটি ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহান্তিকে ফোর্থ জেনারেশন সাইট দেখানো হয়। এটাই ইতিহাসে নিরাপদতম অ্যাটমিক রিয়েক্টর হোস্ট করবে।

    রুশ কর্তার মুখে সহযোগিতার প্রশংসা (Next Generation Nuclear Fuel)

    লিখাচেভ এদিন দুই দেশের সহযোগিতার প্রশংসাও করেন। তার পরেই তিনি ভারতকে পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার বলে সম্বোধন করেন তিনি। এদিন তোমস্ক অঞ্চলের সেভের্সে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোহান্তি ও রোসাটমের প্রধান। সেভের্সকে (Next Generation Nuclear Fuel) পাইলট ডেমস্ট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্স চত্বর ঘুরে দেখেন রাশিয়ান ও ভারতের নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। রোসাটমের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্ট্র্যাটেজিক ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্টের ব্রেকথ্রুর অংশ হিসেবেই তাঁরা এই সাইট দর্শন করেছেন। যৌথ পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও রাশিয়া দুই দেশের নেতাদের মধ্যে।’

    কী বললেন রুশ কর্তা?

    লিখাচেভ বলেন, “শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়তে আমরা প্রস্তুত। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের কোনও নতুন সাইটে রাশিয়ার ডিজাইন করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ধারাবাহিক পারমাণবিক পাওয়ার ইউনিট নির্মাণও। পারমাণবিক ফুয়েল সাইকেল এরিয়া বাড়াতে ভারতকে সহযোগিতাও করব। পারমাণবিক প্রযুক্তির নন-পাওয়ার অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োগ করতেও সহযোগিতার হাত বাড়াব।” অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহান্তির সঙ্গে রাশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমারও তোমস্কে সাইট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এদিন তাঁরা তোমস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করেন। স্থানীয় গভর্নর ভ্লাদিমির মাজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

    আর পড়ুন: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    মাজুরের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা করেন ফার্মাসিউটিক্যালস, উচ্চ প্রযুক্তি, শিক্ষা ও রিসার্চ নিয়েও। এদিন কুমার তোমস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণও দেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল, ‘ইন্ডিয়া-রাশিয়া রিলেশনস ইন কারেন্ট সিনারিও’। তোমস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি (Next Generation Nuclear Fuel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভোট কুশলী তথা ‘জন সুরাজ পার্টি’র প্রধান প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। কেবল তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশে যে কোনও ক্ষোভ নেই, তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন পিকে।

    কী বলছেন পিকে? (Lok Sabha Election 2024)

    দিন দুই আগেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও একই কথা বলেছিলেন পিকে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিজেপি যে জিতবে, তা আমি গত পাঁচ মাস ধরে বলে আসছি।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভোট কুশলী বলেন, “রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় এলে সোনা ফলবে, এমন কথা আমরা শুনিনি। তাঁর সমর্থকরা তা বলতে পারেন, কিন্তু আমি বলছি বৃহত্তর পরিসর সম্পর্কে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই, নেই তাঁর প্রতিস্পর্ধীকে নিয়ে বিরাট কিছু মাতামাতিও।” প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারায় বিজেপি-বিরোধী দলের জোটের সমালোচনাও করেন পিকে।

    বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে?

    প্রসঙ্গত, ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’ যে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে ব্যর্থ, সেকথা নানা জনসভায় বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। শাসক দলের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ইস্যু কিংবা বিশ্বস্ত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারাটা বিরোধীদের দুর্বলতা বলেও মনে করেন ‘জন সুরাজ পার্টি’ সুপ্রিমো। তিনি বলেন (Lok Sabha Election 2024), “ভোটারদের একটা অংশের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি মোদি সরকার। তাই তাঁদের মধ্যে হতাশা ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বিরোধীরা। নানা সময় আসা সুযোগগুলো কাজে লাগালে অতীতে দুর্বল করে দেওয়া যেত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে, নড়বড়ে করে দেওয়া যেত বিজেপির অবস্থানকে।”

    আর পড়ুন: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    পিকে বলেন, “গত জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময়ই কার্যত বিরোধীরা হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তারা গা ঝাড়া দিয়ে উঠল, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তার আগেই বিজেপি তার হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Srilanka Relation: “বন্ধু ভারতের ক্ষতি কাউকে করতে দেব না”, পরোক্ষে চিনকে হুঁশিয়ারি শ্রীলঙ্কার?

    India Srilanka Relation: “বন্ধু ভারতের ক্ষতি কাউকে করতে দেব না”, পরোক্ষে চিনকে হুঁশিয়ারি শ্রীলঙ্কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা কাউকে ভারতের ক্ষতি করতে দেব না।” এই মন্তব্য দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরির (India Srilanka Relation)। তিনি বলেন, “ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শ্রীলঙ্কা। দায়িত্বশীল প্রতিবেশী হিসেবে কেউ যাতে ভারতের নিরাপত্তার ক্ষতি করতে না পারে তাও নিশ্চিত করব আমরা।”

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    সাবরি বলেন, “শ্রীলঙ্কা যে কোনও দেশের সঙ্গে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে চায়। তবে সেজন্য অন্য কারও ক্ষতি যাতে না হয়, সেদিকেও নজর থাকবে আমাদের।” সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী (India Srilanka Relation) বলেন, “আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা সমস্ত দেশের সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবে ভারতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনও যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগকে বিবেচনা করে দেখা হবে। আমরা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষতি করতে দেব না।” তিনি বলেন, “দায়িত্বশীল প্রতিবেশী ও সভ্যতার অংশীদার হিসেবে আমরা এমন কিছু করব না যা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষতি করবে।”

    চিনা চর জাহাজ

    গত বছর শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করেছিল চিনা চর জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫। তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। ওই বছরেরই অগাস্ট মাসে শ্রীলঙ্কায় নোঙর করেছিল হাই ইয়াং ২৪ হাও নামের আরও একটি গুপ্তচর জাহাজ। এবারও উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। যদিও চিনের দাবি, গবেষাণার উদ্দেশে ওই বন্দরে ভিড়েছিল তাদের জাহাজ। অবশ্য ভারত দাবি করেছিল, দু’টিই চিনের গুপ্তচর জাহাজ। ভারতের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নজরদারি করতে বারংবার শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়ছে চিনা চর জাহাজ। এই বিষয়ে শ্রীলঙ্কাকে সাবধান করেছিল আমেরিকাও।

    আর পড়ুন: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    পরে অবশ্য হাম্বানটোটা থেকে চর জাহাজ সরিয়ে নিয়েছিল বেজিং। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, সেকথা মাথায় রেখেই শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রীর মুখে ভারতের ক্ষতি করতে না দেওয়ার অঙ্গীকার। ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সে প্রসঙ্গে এই দ্বীপরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারতে গণতন্ত্রের উদযাপন হচ্ছে। ফল যাই হোক না কেন, ভারতের সঙ্গে কাজ করবে শ্রীলঙ্কা।” তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। ভারতীয় জনগণ শিক্ষিত। ভারতীয় জনগণ জানবেন, তাঁদের জন্য কী ভালো। জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে (India Srilanka Relation)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    Lok Sabha Elections 2024: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক।” উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তীর এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Elections 2024)। এদিনের জনসভায় আগাগোড়াই তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি বিরোধী জোটকে। বলেন, “তারা (ইন্ডি) যদি ছড়িয়ে পড়ে, তবে গোটা ভারতকে ধ্বংস করে দেবে। ক্যান্সারের চেয়েও তিনটি রোগ দেশের পক্ষে মারাত্মক। এই রোগগুলি হল, এই লোকগুলো দারুণভাবে সাম্প্রদায়িক, এরা ভীষণভাবে বর্ণবাদী, এরা ভয়ঙ্করভাবে পরিবারবাদী।”

    বন্ধ করে দেবে জনধন অ্যাকাউন্ট! (Lok Sabha Elections 2024)

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হবে ২৫ মে, শনিবার। দেশের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ৪৩০টি আসনে (Lok Sabha Elections 2024)। শ্রাবস্তীর ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “শ্রাবস্তীর একটি সমৃদ্ধশালী এবং পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। সারা বিশ্বের পর্যটকরা এই জায়গা দর্শন করতে আসেন। তা সত্ত্বেও পূর্বতন সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস কখনও এখানকার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়নি।” জনধন প্রকল্পে দেশে ৫০ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও দাবি প্রধানমন্ত্রীর। বলেন, “মোদি ৫০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে খুলে দিয়েছে জনধন অ্যাকাউন্ট। তারা (বিরোধীরা) আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে। আপনার টাকা ছিনিয়ে নেবে।”

    আর পড়ুন: স্বাতীর পাশে নির্ভয়ার মা, আপকে নিশানা ‘নির্যাতিতা’ সাংসদের

    দুই ছেলের জুটি

    তিনি যে সামান্য একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “মোদি কোনও রাজ পরিবার থেকে আসেনি। আমি এই মায়েদের মতো এক গরিব মায়ের সন্তান। আমি কারও জন্য কিছু অর্জন করতে চাই না। তবে আমি দেশকে এমন শক্তিশালী করতে চাই যে বংশবাদী দলগুলি যেন আর দেশকে ধ্বংস করতে না পারে। এজন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।” কংগ্রেস-সমাজবাদী দলের জোটকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউপিতে ফের চালু হয়েছে দুই ছেলের (রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব) জুটি। একই পুরানো ফ্লপ ছবি, একই পুরানো চরিত্র, একই পুরানো সংলাপ। পুরো নির্বাচন শেষ হতে চলেছে, কিন্তু আপনি কী এই লোকদের কাছ থেকে একটিও নতুন কথা শুনেছেন (Lok Sabha Elections 2024)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ ইতিহাসের দেশ। এমন কত ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও জমা রয়েছে ভারতবর্ষের (India) বুকেই। তেমনি এক ঐতিহাসিক নিদর্শন হল কাল্লানাই বাঁধ। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত তামিলনাড়ু শুধুমাত্র তার প্রাচীন প্রকৌশল কিংবা প্রাচীন মন্দিরের জন্য বিখ্যাত নয় বরং এইখানে রয়েছে এমন এক স্থাপত্য যার জন্য সারা ভারত তথা বিশ্বের মধ্যে বিখ্যাত এ রাজ্য। তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায় ১৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি বাঁধ রয়েছে। যা ভারতের প্রাচীনতম বাঁধ (Oldest Operational Dam) এবং বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম জল নিয়ন্ত্রক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়।  কাবেরী নদীর উপর নির্মিত এই কাল্লানাই বাঁধ চোল রাজবংশের রাজা কারিকালা চোলের রাজত্বকালে নির্মিত হয়। রাজা কারিকালা প্রাচীন তামিলনাড়ুতে শাসনকারী সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাটদের মধ্যে একজন ছিলেন। 

    কেন তৈরি হয়েছিল এই বাঁধ? (Oldest Operational Dam)

    জানা গিয়েছে, এই বাঁধ নির্মাণের পেছনে প্রধান কারণ ছিল নদীর জলকে  ধরে রেখে তা কৃষি কাজে ব্যবহার করা এবং পরোক্ষ ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা। কারিকালা চোল বুঝতে পেরেছিলেন যে কাবেরী ঘন ঘন প্লাবিত হয়। ফলে প্রতি বছর ওই এলাকার বাসিন্দাদের বন্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই প্রজাদের রক্ষা করতে তিনি কাবেরীর উপর এই বিশাল বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।     

    এই বাঁধের বিশেষত্ব 

    প্রতি সেকেন্ডে দুই লক্ষ ঘনফুট জল প্রবাহিত কাবেরীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি ২১০০ বছর ধরে একইরকম ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার প্রধান কারণ হল প্রাচীন তামিলদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান। সে সময় বাঁধ (Oldest Operational Dam) নির্মাণের জন্য প্রথমে নদীতে বড় বড় পাথর বসানো হয়েছিল। কিন্তু জলের স্রোতে ক্ষয়ের কারণে পাথরগুলো ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছিল। এরপর ওই পাথরের স্তরগুলির উপর স্থাপন করা হয়েছিল এক ধরনের কাদামাটির মিশ্রণ যা জলে দ্রবণীয় ছিল না। বরং সেই মিশ্রণ একটি আঠালো পদার্থে পরিণত হয়েছিল যাতে পাথরগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।   

    আরও পড়ুন: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    আজও সমান সচল এই বাঁধ

    জানা গিয়েছে, এরপর ১৯ শতকে ব্রিটিশরা এই বাঁধটির সংস্কার করে। ১৮০৪ সালে, ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন ক্যাল্ডওয়েল, একজন সামরিক প্রকৌশলীকে কাবেরী নদী এবং ব-দ্বীপ অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করার দায়িত্ব দেয়। সেই সময় ক্যাল্ডওয়েল বাঁধটিকে (Oldest Operational Dam) উঁচু করার পরামর্শ দেন এবং তিনি বাঁধের পাথর ৬৯ সেন্টিমিটার বাড়িয়ে দেন, যার ফলে বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই ২১০০ বছরের পুরনো বাঁধটি (Oldest Operational Dam) এখনও সফলভাবে কাবেরীর জল ধরে রেখে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে চলেছে। তাই সারা বিশ্ব থেকে বহু পর্যটক এই বাঁধ দেখতে হাজির হন তামিলনাড়ুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share