Tag: India

India

  • Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    Oldest Operational Dam: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ ইতিহাসের দেশ। এমন কত ঐতিহাসিক স্থাপত্য আজও জমা রয়েছে ভারতবর্ষের (India) বুকেই। তেমনি এক ঐতিহাসিক নিদর্শন হল কাল্লানাই বাঁধ। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত তামিলনাড়ু শুধুমাত্র তার প্রাচীন প্রকৌশল কিংবা প্রাচীন মন্দিরের জন্য বিখ্যাত নয় বরং এইখানে রয়েছে এমন এক স্থাপত্য যার জন্য সারা ভারত তথা বিশ্বের মধ্যে বিখ্যাত এ রাজ্য। তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলায় ১৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি বাঁধ রয়েছে। যা ভারতের প্রাচীনতম বাঁধ (Oldest Operational Dam) এবং বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম জল নিয়ন্ত্রক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হয়।  কাবেরী নদীর উপর নির্মিত এই কাল্লানাই বাঁধ চোল রাজবংশের রাজা কারিকালা চোলের রাজত্বকালে নির্মিত হয়। রাজা কারিকালা প্রাচীন তামিলনাড়ুতে শাসনকারী সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাটদের মধ্যে একজন ছিলেন। 

    কেন তৈরি হয়েছিল এই বাঁধ? (Oldest Operational Dam)

    জানা গিয়েছে, এই বাঁধ নির্মাণের পেছনে প্রধান কারণ ছিল নদীর জলকে  ধরে রেখে তা কৃষি কাজে ব্যবহার করা এবং পরোক্ষ ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা। কারিকালা চোল বুঝতে পেরেছিলেন যে কাবেরী ঘন ঘন প্লাবিত হয়। ফলে প্রতি বছর ওই এলাকার বাসিন্দাদের বন্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই প্রজাদের রক্ষা করতে তিনি কাবেরীর উপর এই বিশাল বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।     

    এই বাঁধের বিশেষত্ব 

    প্রতি সেকেন্ডে দুই লক্ষ ঘনফুট জল প্রবাহিত কাবেরীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি ২১০০ বছর ধরে একইরকম ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার প্রধান কারণ হল প্রাচীন তামিলদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান। সে সময় বাঁধ (Oldest Operational Dam) নির্মাণের জন্য প্রথমে নদীতে বড় বড় পাথর বসানো হয়েছিল। কিন্তু জলের স্রোতে ক্ষয়ের কারণে পাথরগুলো ভেঙে মাটিতে মিশে গিয়েছিল। এরপর ওই পাথরের স্তরগুলির উপর স্থাপন করা হয়েছিল এক ধরনের কাদামাটির মিশ্রণ যা জলে দ্রবণীয় ছিল না। বরং সেই মিশ্রণ একটি আঠালো পদার্থে পরিণত হয়েছিল যাতে পাথরগুলি একে অপরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।   

    আরও পড়ুন: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    আজও সমান সচল এই বাঁধ

    জানা গিয়েছে, এরপর ১৯ শতকে ব্রিটিশরা এই বাঁধটির সংস্কার করে। ১৮০৪ সালে, ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন ক্যাল্ডওয়েল, একজন সামরিক প্রকৌশলীকে কাবেরী নদী এবং ব-দ্বীপ অঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় সেচ ব্যবস্থার উন্নতি করার দায়িত্ব দেয়। সেই সময় ক্যাল্ডওয়েল বাঁধটিকে (Oldest Operational Dam) উঁচু করার পরামর্শ দেন এবং তিনি বাঁধের পাথর ৬৯ সেন্টিমিটার বাড়িয়ে দেন, যার ফলে বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই ২১০০ বছরের পুরনো বাঁধটি (Oldest Operational Dam) এখনও সফলভাবে কাবেরীর জল ধরে রেখে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে চলেছে। তাই সারা বিশ্ব থেকে বহু পর্যটক এই বাঁধ দেখতে হাজির হন তামিলনাড়ুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    PM Modi: “ইন্ডি জোটকে বড় থাপ্পড় কলকাতা হাইকোর্টের”, ওবিসি রায় প্রসঙ্গে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ‘ইন্ডি’ জোটকে একটা বড় থাপ্পড় মেরেছে কলকাতা হাইকোর্ট।” ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে বুধবার এক নির্বাচনী জনসভায় এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    মোদির নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “২০১০ সালের পর থেকে জারি হওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে আদালত। পশ্চিমবঙ্গের সরকার মুসলমানদের ভোটব্যাঙ্কের জন্য যাচাই না করেই তাঁদের ওবিসি সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। এই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আজ আদালত থাপ্পড় মেরেছে।” কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন (PM Modi), “এরাই বলে দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের। এরাই লাগাতার সরকারি জমি ওয়াকফ বোর্ডকে দিচ্ছে, পরিবর্তে ভোট চাইছে। এরা ধর্মের ভিত্তিতে সরকারি টেন্ডার দিতে চাইছে।”

    কী বললেন শাহ?

    কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য মুসলমানদের ওবিসি সংরক্ষণ দিতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি হাইকোর্টের রায় মানেন না। বাংলার মানুষের কাছে আমার প্রশ্ন, এমন কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি হতে পারেন, যিনি বলেন আদালতের নির্দেশ মানেন না? এতেই স্পষ্ট, বাংলায় গণতন্ত্র কী অবস্থায় রয়েছে!” এনিয়ে একটি ট্যুইটও করেন শাহ।

    আর পড়ুন: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    বিজেপি যে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চায় না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “হাইকোর্টের রায় যাতে কার্যকর হয়, তা আমরা সুনিশ্চিত করব। যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির, তাঁরা যাতে নিজেদের অধিকার পান, তা আমরা নিশ্চিত করব। যাঁরা ওবিসি নন, তুষ্টিকরণের নীতি ও ভোটব্যাঙ্কের নীতির জন্য তাঁদের ওবিসির সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না।”

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৩ অনুযায়ী নতুন করে তালিকা তৈরি করে বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    POJK: ভারতভুক্তির দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে, নেপথ্যে কোন কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর। পাক সেনার অত্যাচারে জেরবার এই এলাকার বাসিন্দারা চান মুক্তি। তবে স্বতন্ত্র কোনও দেশ কিংবা স্বায়ত্ত্ব শাসন তাঁরা চান না। তাঁরা চান এই অঞ্চলকে জুড়ে দেওয়া হোক ভারতের সঙ্গে। ভারতভুক্তিই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রধান দাবি। যে দাবিতে পাক অধিকৃত এই অঞ্চলে জ্বলছে অশান্তির আগুন। যে আগুন নেভানোর ছলে আন্দোলনকারীদের দমন করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে পাক সেনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখ খুলে দিয়েছে মোদি সরকারের জমানায় জম্মু-কাশ্মীরের চোখ ধাঁধানো উন্নয়ন। ভারতের অংশে যেখানে বয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের জোয়ার, সেখানে পাক অধিকৃত অংশের সর্বাঙ্গে স্পষ্ট অনুন্নয়নের ছাপ।

    ভারতভুক্তির দাবি (POJK)

    প্রত্যাশিতভাবেই তাঁরা দাবি তুলেছেন আজাদির, আরও স্পষ্ট করে বললে ভারতভুক্তির। ২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয় ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে আক্ষরিক অর্থেই নেমে এসেছে কাঙ্খিত শান্তি। বুক ভরে তাজা শ্বাস নিচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ। এর ঠিক উল্টো ছবি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। তাই ২০২৩ সাল থেকে ভারতভুক্তির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন পকেটে। এহেন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে নেই পাক সেনা। আন্দোলনকারীদের ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করতে মাঠে নেমে পড়েছে তারা। তাদের মারে জখম হয়েছেন গিলগিট-বাল্টিস্তানের পর্যটনমন্ত্রীও। তার পরেও ভারতভুক্তির দাবি থেকে একচুলও সরেননি এই এলাকার মানুষ। ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি ‘পাকিস্তানি সেনা মুর্দাবাদ’ স্লোগানও দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলন দমন করতে গুলিও ছুড়েছে পাক সেনা। বেশ কয়েকজন জখম হওয়ার পাশাপাশি নিহত হয়েছেন জাকির হুসেন, গাজি আনওয়ার এবং আশিক মির।

    আর পড়ুন: নদিয়ায় হরিনাম বন্ধে ফতোয়া বাংলাদেশের! বিএসএফের উদ্যোগে হচ্ছে নাম সংকীর্তন

    ধ্বংস করছে পাকিস্তান

    সেই ১৯৯০ সাল থেকে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা মনে করেন তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক, পাকিস্তান তাঁদের শোষণ করছে। তাই জীবন বাজি রেখেই তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিনা-পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে (POJK)। এর খেসারতও দিয়ে হয়েছে তাঁদের কাউকে কাউকে। নওয়াজ নাজি, বাবা জান, আবদুল হামিদ খান এবং আরও অনেককে জেলে পচিয়ে মারছে পাক সরকার। এঁদের দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তার পরেও পুরোপুরি নেভানো যায়নি স্থানীয়দের বুকে জমে থাকা ক্ষোভের আগুন। পাক রাজনীতির টালমাটাল দশা আর তার সঙ্গে দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের কারণেই তাঁরা আরও বেশি করে ঝুঁকছেন ভারতের দিকে। তাই জোরালো হচ্ছে ভারতভুক্তি দাবি।

    দখলদারির রাজত্ব

    ১৯৪৭ সালে রাজন্য-শাসিত রাজ্যগুলিকে হয় পাকিস্তান নয় ভারতের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়। তখন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেন। এরই একটা অংশ আগেই দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তান, উপজাতির ছদ্মবেশে। সেই অংশই পাক অধিকৃত কাশ্মীর।

    আরএসএসের ভূমিকা

    হরি সিং যখন ভারত না পাকিস্তান কোন দিকে যাবেন তা নিয়ে দোটানায়, তখনই আরএসএসের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক গুরুজি সাক্ষাৎ করেন কাশ্মীরের মহারাজের সঙ্গে। এর পরেই ভারতের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হরি সিং। সে খবর (POJK) পেয়েই কাশ্মীরে উড়ে যান ভিপি মেনন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মহারাজা। এর ঠিক দু’মাসের মাথায়ই মঙ্গলা, আলিবেগ, মিরপুর, ভীমবের, দেবা এবং বাটালা অঞ্চল, রাজৌরি ও নৌসেরা, ঝাঁগার এবং কোটলির পুরো অঞ্চলটা দখল করে নেয় পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় ভারতের এই অংশগুলোও। গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশও হরি সিং ভারতের হাতে তুলে দেন। যদিও সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে তখনও ছিলেন গিলগিট স্কাউটরা। এঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর ডব্লিউ ব্রাউন। তিনি মুসলমান কিছু অফিসার ও জম্মু-কাশ্মীরের সৈন্যদের নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন। এর পরেই তাঁরা পৌঁছে যান গিলগিটে, আশ্রয় নেন রাজ্যপাল ঘনসারা সিংয়ের বাসভবনে। পরে তাঁকে বাধ্য করেন সারেন্ডার করতে। সৈন্যদের মধ্যে যাঁরা শিখ এবং হিন্দু ছিলেন, তাঁদের হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের নির্দেশে যুদ্ধ বিরতি হয় ১৯৪৮ সালে। ততক্ষণে গিলগিট-বাল্টিস্তানের রাশ জোর করে দখল করে নিয়েছে পাকিস্তান (POJK)।

    জনসংখ্যার বদল

    বস্তুত তার পর থেকেই ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে দমন পীড়ন। পাক প্রশাসনের মূল লক্ষ্যই হল, এই অঞ্চলের জনসংখ্যা ধ্বংস করা, লুটে নেওয়া মাটির নীচে সঞ্চিত প্রাকৃতিক সম্পদ। এলাকার জনসংখ্যার হার বদল করতে পাঞ্জাব এবং নর্থ-ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্স থেকে সুন্নি মুসলমানদের এনে এখানে বসতি স্থাপন করতে দেওয়া হয়। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের বাসিন্দারা কলোনি জীবন যাপন করেন। পণ্ডিতরা যাকে ‘বিশ্বের শেষ কলোনি’ আখ্যা দিয়েছেন। মিরপুর মুজফ্ফরাবাদ কিংবা গিলগিট-বাল্টিস্তানের লোকজনের প্রতিবাদের অধিকারেও লাগাম পরানো হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় অপহরণ, খুন-জখম-রাহাজানি। পাক সেনা জোর করে জমি দখল করে নিলেও টুঁ শব্দটি করার জো নেই এই এলাকার বাসিন্দাদের। পাক শাসকরা কৌশলে ধ্বংস করছে এই এলাকার ভাষা, লিপি, জঙ্গল, উৎসব। বাসিন্দাদের তাঁদের মূল থেকেও উপড়ে ফেলার নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে পাক সেনা। অথচ এই এলাকাটি যেন পাকিস্তানের সোনার ডিম দেওয়া সেই হাঁস। বিদেশ থেকে যাঁরা পাকিস্তানে বেড়াতে আসেন, তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশই আসেন গিলগিট-বাল্টিস্তানে। তাই রোজগার হয় কাঁড়ি কাঁড়ি বিদেশি মুদ্রা। মিরপুর-মুজফফরাবাদ অঞ্চলে মাটির নীচে রয়েছে দামী ধাতু-পাথর। আর গিলগিট-বাল্টিস্তানের পেটে লুকানো রয়েছে ১ হাজার ৪৮০টি সোনার খনি। এসব থেকে রোজগার হলেও, এলাকায় উন্নয়ন থেকে যায় অধরা।

    অবহেলায় শারদা পীঠ

    প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১৭ মাইল দূরে রয়েছে শারদা পীঠ। জ্ঞানের দেবী শারদার মন্দির রয়েছে এখানেই। সনাতনীদের কাছে এক সময় যে জায়গা ছিল তীর্থক্ষেত্র, যে মন্দিরে নিত্য বাজত ঘণ্টা, নৈসর্গিক পরিবেশে অবস্থিত মন্দিরের ধূপ-দীপের গন্ধে যেখানে তৈরি হত স্বর্গীয় পরিবেশ, সেখানে আজ শুধুই শ্মশানের স্তব্ধতা। দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নপ্রায় এক মন্দিরের কাঠামো। বিগ্রহ? কে জানে কোথায়!

    ভারত বরাবর দাবি করে আসছে অখণ্ড জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বহুবার বলেছেন এই অঞ্চলের দখল পেতে আমরা জীবন বলি দিতেও প্রস্তুত (POJK)।

    ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমাদের ভূস্বর্গ…পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাতাসে ভাসছে এমনই আর্তি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: লজ্জা! ফের রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিককে সরাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: লজ্জা! ফের রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিককে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহে আবারও কমিশনের কোপে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের দুই পদস্থ আধিকারিক। সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসককে (বসিরহাট) পদ থেকে সরানো হয়েছে। একই সঙ্গে পদ থেকে সরানো হয়েছে কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী আধিকারিককেও।  তবে, ঠিক কী কারণে এই দুজন আইএএস আধিকারিককে পদ থেকে সরানো হল তা স্পষ্ট নয়। জানা গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় অতিরিক্ত জেলাশাসকের (বসিরহাট) পদে ছিলেন আইএএস অফিসার দিব্যা লোঙ্গানাথন। আর দক্ষিণ কলকাতায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে ছিলেন আইএএস অফিসার রশ্মি কামাল। এই দুই আইএএসকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। 

    কমিশনের নির্দেশ 

    কমিশন জানিয়েছে এই দুই আধিকারিককে নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) সংক্রান্ত কোনও কাজে রাখা যাবে না। ২২ মে, বুধবার দুপুর ৩টের মধ্যে ওই দুই পদের জন্য উপযুক্ত তিন জন করে আইএএস অফিসারের নাম প্রস্তাব করতে হবে। তার মধ্যে থেকে এক জনকে বেছে নেওয়া হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    কমিশন (Election Commission) সূত্রের খবর, কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক রশ্মী কমলের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কমিশনে জমা পড়েছিল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। একই অভিযোগ উঠেছিল বসিরহাটের অতিরিক্ত জেলাশাসক দিব্যা লঙ্গানাথনের বিরুদ্ধেও। সূত্রের খবর, সেকারণেই ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ওই দুই আধিকারিককে। 

    আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সব স্টেশনেই চালু ইউপিআই পেমেন্ট পরিষেবা

    যদিও এমন অপসারণের ঘটনা প্রথমবার নয়। ভোটের আবহে এর আগে একাধিকবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিভিন্ন জেলার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। আর এবার ষষ্ঠ দফার আগেও এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission:  বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা! ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে মোতায়েন ৯১৯ কোম্পানি

    Election Commission: বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা! ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে মোতায়েন ৯১৯ কোম্পানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভোট থেকেই রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। ষষ্ঠ দফায় (Lok sabha vote Phase 6) গিয়ে রাজ্যে সেটাই দাঁড়াচ্ছে ৯১৯ কোম্পানিতে। আগামী শনিবার ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ রয়েছে রাজ্যে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ রয়েছে এদিন। জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে এই দফাতেই হবে ভোটগ্রহন। ফলে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই দফার ভোট শাসক এবং বিরোধী উভয় দলের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিক থেকে কমিশনের (Election Commission) এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    কোথায় কত কোম্পানি মোতায়েন? (Election Commission) 

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট নির্বিঘ্নে করাতে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে তারা। ঝাড়গ্রামের জন্য ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে, এবং প্রতি বুথে ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ান থাকবে। অন্যদিকে পুরুলিয়ায় থাকবে ১৩৭ কোম্পানি এবং ৫৪৬৪ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য মোতায়েন থাকবে ২৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৭১৪ জন রাজ্য পুলিশ।

    ভোটের দফার সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাড়ছে বাহিনীর সংখ্যা 

    উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ভোটে রাজ্যে মাত্র ৪৪১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে তা ছিল ৭১০ কোম্পানি। আর এবারের নির্বাচনে ষষ্ঠ দফায় (Lok sabha vote Phase 6) থাকবে ৯১৯ কোম্পানি। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোটের দফা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমানুপাতিক হারে বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে যেহেতু দেশের একাধিক রাজ্যের ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে তাই শেষ দফায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণের মতো নজরকাড়া ৯টি আসনে ভোট। কমিশন (Election Commission) সূত্রের খবর, স্বভাবতই, শেষ দফার ভোটেও বাহিনীর সংখ্যা প্রয়োজনে বাড়বে বই কমবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Driving License New Rules: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    Driving License New Rules: লাইসেন্সের জন্য আরটিওতে দিতে হবেনা ড্রাইভিং টেস্ট! চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বদলে যাচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License New Rules) পাওয়ার নিয়ম। সম্প্রতি ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক (Ministry of Road Transport and Highways)। জানা নিয়েছে এবার থেকে লাইসেন্স পেতে আর ছুটতে হবে না রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (RTO) । ১ জুন থেকে এমনই নিয়ম চালু হচ্ছে দেশে। 

    ঠিক কী ঘোষণা করেছে সরকার? (Driving License New Rules) 

    নতুন নিয়মে (Driving License Rules 2024) বলা হয়েছে, এবার থেকে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আঞ্চলিক পরিবহন অফিস বা আরটিও-তে গিয়ে ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে না। বরং আগামী ১ জুন থেকে, সরকারি আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের পরিবর্তে, বেসরকারি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ড্রাইভিং পরীক্ষা দেওয়া যাবে। লাইসেন্সের যোগ্যতার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা এবং সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সরকারি অনুমোদন দেওয়া হবে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে। 
    তবে এই অনুমোদন পাওয়ার জন্য বেসরকারি ড্রাইভিং স্কুলগুলির জন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করেছে মন্ত্রক –
    ১) ড্রাইভিং স্কুলগুলিতে ন্যূনতম ১ একর জমি থাকতে হবে। চার চাকার গাড়ির প্রশিক্ষণের জন্য ন্যূনতম ২ একর জমি থাকা বাধ্যতামূলক। 
    ২)প্রশিক্ষকদের অবশ্যই কোনও হাইস্কুলের ডিপ্লোমা বা তার সমতুল্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে, তার কমপক্ষে ৫ বছরের ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়া, বায়োমেট্রিক্স এবং আইটি সিস্টেমের পরিচয় থাকা আবশ্যক।
    ৩)স্কুলগুলিকে অবশ্যই উপযুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
    ৪)হালকা মোটরগাড়ির জন্য ৪ সপ্তাহে ২৯ ঘন্টার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘন্টা থাকবে তত্ত্বের জন্য এবং বাকি ২১ ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য। অন্যদিকে ভারী মোটরগাড়ির জন্য ৬ সপ্তাহে অন্তত ৩৮ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘণ্টা থাকবে তত্ত্বের জন্য, এবং ৩০ ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের জন্য।

    নিয়ম না মানলে কঠোর শাস্তি

    নিয়মের (Driving License New Rules) বাইরে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালালে জরিমানা বাবদ  ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা জরিমানা হবে। আর যদি একজন নাবালক ড্রাইভিং সিটে ধরা পড়ে তবে তাকে ২৫০০০ টাকার মোটা জরিমানা করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, গাড়ির মালিকের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে ওই নাবালক ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত লাইসেন্সের জন্য অযোগ্য হবে।

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    আসলে বর্তমান সময়ে ভারতে ক্রমশ বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। বিশেষ করে কোভিড লকডাউনের সময়, অনেকেই মোটরবাইক বা গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু প্রত্যেকেই যে দায়িত্ব নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন, তা নয়। হামেশাই রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে, ১ জুন থেকে ড্রাইভিং লাইন্সের নতুন নিয়ম (Driving License New Rules) কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    প্রসঙ্গত, লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া আগের মতোই আছে। বিশেষ পরিবর্তন করা হয়নি। https://parivahan.gov.in-এই লিঙ্কে গিয়ে অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করা যাবে। তবে, নতুন লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পদ্ধতি আগের তুলনায় সরল করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    Amit Shah: প্রথম ৫ দফাতেই ৩১০ আসন পার বিজেপির, দাবি শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি আরও দু দফা। আর এরই মধ্যে নাকি বিজেপি ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। বাকি দু দফা শেষে  ৪০০ পার করবে মোদি (PM Modi) সরকার। মঙ্গলবার ওড়িশায় এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    অমিত শাহের দাবি (Amit Shah)

    এখনও পর্যন্ত পাঁচ দফায় ৪২৮টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে দেশ জুড়ে। শাহ দাবি করলেন এর মধ্যেই নাকি বিজেপি একাই ৩১০টি আসনে জিতে গিয়েছে। 

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ৪২৮টি আসনের মধ্যে থেকে ২৫০-র গণ্ডিও পার করতে পারেনি এনডিএ। তবে এবার ওড়িশা থেকে অমিত শাহ (Amit Shah) নিজে জানালেন ফের তৃতীয় বারের মত দেশে নিজের সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি সরকার। 

    আরও পড়ুন: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রাম লালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের 

    এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বিজেপির লক্ষ্য ৪০০-র বেশি আসনে জয়। অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, পুরো দেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তৃতীয়বারের জন্য মোদিকে তারা প্রধানমন্ত্রী করবে ৷

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওড়িশায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর নীতি ও শাসনের কারণে রাজ্যটি ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি নবীনকে আক্রমণ করে আরও বলেন, ‘এই বছরটি নবীন পট্টনায়কের ক্ষমতা হারানোর বছর হতে চলেছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “খেতে যেতে পারেন, শুধু রামলালার দর্শনে আপত্তি”, লালু-রাহুলকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে আবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আরজেডি সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার চম্পারনের এক প্রচার সভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এদিন সেই সভা থেকেই রাহুল (Rahul Gandhi) ও লালুকে মটন পার্টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। প্রসঙ্গে উঠল সেই পুরনো লালু-রাহুলের মটন পার্টির ভাইরাল ভিডিও।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (PM Modi)

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের একে অপরের বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়ার সময় আছে কিন্তু রাম লালাকে দর্শন করার মত সময় তাদের কাছে নেই।” উল্লেখ্য, যখন জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রাম লালার মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় তখন সকলের মত রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও লালু প্রসাদ যাদবকেও আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেই আমন্ত্রন উপেক্ষা করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “রাম মন্দির বিজেপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠান।” এবার সেই ঘটনাকে প্রসঙ্গে এনেই রাহুল-লালুকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী(PM Modi)।  

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই চালু হবে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোরুট! সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু অরেঞ্জ লাইনে

    অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। যেখানে দুই নেতাকে একসাথে “চম্পারন মাটন” প্রস্তুত করতে দেখা গেছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। 
    উল্লেখ্য, কদিন আগেই নবরাত্রির সময় তেজস্বী যাদবের মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছিল। সেই বিতর্কেই তেজস্বী সহ তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সকলকে খোঁচা মেরে মোদির (PM Modi) দাবি, কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। একইসঙ্গে দুই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতা লালু প্রসাদ ও রাহুল গান্ধীকে মোঘলদের মতো `বিধর্মী`দের সঙ্গেও তুলনা করেন মোদি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Iran Relation:`‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    India Iran Relation:`‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রয়াণ, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ‘বন্ধুদেশ’ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। তাঁর সম্মানে মঙ্গলবার ভারতে পালন করা হবে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক (India Iran Relation)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, “প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ২১ মে, মঙ্গলবার সারা ভারতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শোকের দিন দেশের সব ভবনে যেখানে যেখানে নিয়মিত জাতীয় পতাকা ওড়ে, সেখানে জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সেদিন কোনও বিনোদন থাকবে না।”

    শোক প্রকাশ মোদির (India Iran Relation)

    ইরানের (India Iran Relation) রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির মর্মান্তিক প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার ও ইরানের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে, ইরানের পাশে রয়েছে ভারত।”

    শোক প্রকাশ জয়শঙ্করের

    শোক প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের রাষ্ট্রপতি ড. ইব্রাহিম রাইসি ও বিদেশমন্ত্রী এইচ আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। তাঁদের সঙ্গে আমার বহু বৈঠকের কথা মনে পড়ছে। অতি সম্প্রতি, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও আমরা বৈঠক করেছি। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই শোকের সময়ে আমরা ইরানের মানুষের পাশে আছি।”

    আর পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসি, সর্বোচ্চ পদে এবার কে?

    প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে পূর্ব আজহারবাইজানে একটি পাহাড়ে গোত্তা খেয়ে ভেঙে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির (Ebrahim Raisi) কপ্টার। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কপ্টারটিতে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনেরই। সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় কপ্টারের ধ্বংসাবশেষ। পরে নিশ্চিত করা হয় প্রেসিডেন্ট ও ইরানের বিদেশমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর (India Iran Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sundar Pichai: ছোলে বাটুরে থেকে দোসা! কী কী রয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের পছন্দের খাবারের তালিকায়?

    Sundar Pichai: ছোলে বাটুরে থেকে দোসা! কী কী রয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের পছন্দের খাবারের তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের প্রধান কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের (Sundar Pichai) পছন্দের ভারতীয় খাবারের তালিকায় রয়েছে দেশের বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ কিছু খাবার। সম্প্রতি ইউটিউবার বরুণ মায়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, সুন্দর পিচাই তার পছন্দের ভারতীয় কিছু খাবারের নাম জানান। তিনি জানিয়েছেন তার পছন্দের খাবারের তালিকায় এক দুটি নয়, বরং বিভিন্ন শহরের তিনটি ভিন্ন খাবার রয়েছে। যে খাবারগুলিকে তিনি তাঁর প্রিয় ভারতীয় খাবারের তালিকায় স্থান দিয়েছেন।    

    কী কী রয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের পছন্দের খাবারের তালিকায়? 

    ৫১ বছর বয়সি সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) জানিয়েছেন যে, বেঙ্গালুরুতে থাকলে দোসা, দিল্লিতে ছোলে বাটুরে এবং মুম্বইতে থাকলে পাও ভাজি। এই তিন ভারতীয় খাবারই খেতে সব থেকে পছন্দ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) বলেন, “আমি যখন ব্যাঙ্গালোরে ছিলাম তখন আমার পছন্দ ছিল দোসা, যখন দিল্লিতে ছিলাম তখন ভালো লেগেছিল ছোলে বাটুরে। আর মুম্বাইতে থাকলে খেতাম পাও ভাজি।” 

    আরও পড়ুন: জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি কোথায়? নবীনকে নিশানা মোদির

    ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর রেফারেন্স    

    প্রায় ১০ মিনিটের ভিডিওতে, সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ভারতীয় প্রকৌশলীদের কীভাবে শিল্পে প্রাসঙ্গিক থাকতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আমির খানের সুপারহিট মুভি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর রেফারেন্স নিয়ে তাঁর ধারণাগুলিকে আরও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ছবির আইকনিক মোটর দৃশ্যের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। পুরো সাক্ষাৎকারটি এখনও প্রকাশিত না হলেও, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি স্নিপেট ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

    উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে জন্মগ্রহণ করেন সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। এরপর ২০১৫ সালে তিনি আইআইটি খড়গপুর থেকে স্নাতক হন এবং পরবর্তীকালে গুগলের সিইও হিসেবে নির্বাচিত করা হয় সুন্দর পিচাইকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share