Tag: India

India

  • Jharkhand minister arrested: আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির জালে আলমগির আলম

    Jharkhand minister arrested: আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির জালে আলমগির আলম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যেই এবার ইডির জালে ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রী (Jharkhand minister arrested) তথা কংগ্রেস নেতা আলমগির আলম (Alamgir Alam)৷ ইডি সূত্রে খবর, গ্রামোন্নয়ন দফতরে কিছু অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সোমবার সকাল থেকে ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। এরপর মঙ্গলবার, ইডি তাঁকে প্রায় নয় ঘণ্টা জেরা করে ৷ বুধবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মিলতেই গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের এই মন্ত্রীকে৷ 

    আগে কী ঘটেছিল? (Jharkhand minister arrested)

    সোমবার ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হতেই তদন্তকারী সংস্থার সাতটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এর মধ্যে রয়েছে আলমগিরের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব লাল ও তাঁর পরিচারক জাহাঙ্গির আলমের ঠিকানা। এদিন ইডির তল্লাশিতে জাহাঙ্গিরের রাঁচীর বাড়ি থেকেই সব মিলিয়ে ৩৫.২৩ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। ঘটনায় গ্রেফতার হয় মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক ও তাঁর পরিচারক। ফলে আর্থিক তছরূপের তদন্তে নেমে রাজ্য গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরে অনিয়ম এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে৷ এর পরেই বুধবার রাঁচির আঞ্চলিক অফিসে তলব করা হয় আলমগিরকে (Alamgir Alam)। তাঁর বয়ান সংগ্রহ করার জন্যই তাঁকে ডেকেছিল ইডি। কিন্তু তাঁর বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইডির বক্তব্য, এই মামলায় আরও কয়েক জন আমলা ও রাজনীতিকের নামও উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই সব কিছুর তদন্ত হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় দেশে বিপুল কর্মসংস্থান, সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    ইডি হেফাজতে আলমগির 

    বুধবার আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ (PMLA) আইনের অধীনে ৭০ বছর বয়সি এই মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি৷ গ্রেফতার হওয়ার পর আলমগির (Jharkhand minister arrested) বলেন, ‘‘ভোট চলছে। ইডি তদন্ত করছে। গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বলে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। আমি এখনই এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। মানুষ সব বুঝছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Rescue Operations: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    India Rescue Operations: প্রবাসেও বিপন্ন ভারতীয়দের পাশে সরকার, আক্ষরিক অর্থেই সঙ্কটমোচক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। নানা সময় তিনি জানিয়েছেন, দেশই তাঁর ঘরবাড়ি, দেশবাসীই তাঁর আত্মীয়-স্বজন। তাই কেবল স্বদেশের নাগরিকরা নন, কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা প্রবাসী ভারতীয়রাও তাঁর ‘আত্মার আত্মীয়’। সেই কারণেই যখনই প্রবাসে বিপদে পড়েছেন কোনও ভারতীয়, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ত্রাতা মোদি (India Rescue Operations)

    কেবল ভারত (India Rescue Operations) কেন, প্রতিবেশী দেশের লোকজনও যখন বিভুঁইয়ে বিপদে পড়েছেন, তখনই সঙ্কটমোচনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মোদিকে। প্রত্যাশিতভাবই যুদ্ধদীর্ণ ইউক্রেন থেকে স্বদেশে ফিরে মোদির জয়গান গেয়েছেন পাকিস্তানের কোনও অখ্যাত অঞ্চলের পড়ুয়াও। হয়ত তাঁর পরিবারও দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় কেবল ভারতীয় ছাত্রছাত্রীই নন, পড়শি কয়েকটি দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছিল মোদি সরকার।

    অপারেশন ‘গঙ্গা’

    স্মৃতির সরণি বেয়ে ফেরা যাক বছর দুয়েক আগে। হঠাৎই যুদ্ধ বাঁধল রাশিয়া-ইউক্রেনের। বিপাকে পড়লেন (India Rescue Operations) ইউক্রেনে থাকা কয়েক হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। প্রমাদ গুণলেন তাঁদের পরিবারের লোকজন। শরণাপন্ন হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যদিও তার ঢের আগেই ইউক্রেনে থাকা বিপদে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের কীভাবে উদ্ধার করা যায়, তা ছকে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গঙ্গা’। ইদানিং কালে এ পর্যন্ত ভারত সরকার যতগুলি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে, তার মধ্যে সব চেয়ে বড় অপারেশান এটি। সেই সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেছিলেন, “আমাদের ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেনে আটকে রয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি জনকে উদ্ধার করে দিল্লি কিংবা মুম্বইতে নিয়ে আসা হয়েছে। অনেককে সরানো হয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমের চারটি প্রতিবেশী দেশে।” সেই সময় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার এই সদস্য বলেছিলেন, “আমরা মনে করি যে আমাদের মানুষ যাঁরা ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন, তাঁদের কাছে পৌঁছানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের সমস্ত বন্ধুরা আমাদের লোকজনকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছে।”

    পড়শি দেশের বিপন্নদের পাশেও মোদি সরকার

    অপারেশন ‘গঙ্গা’য় কেবল ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দেরই উদ্ধার করা হয়নি, নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পড়শি দেশের বিপন্ন মানুষদেরও। এই যেমন আসমা শাফিকি। শত্রু দেশ পাকিস্তানের এই পড়ুয়াকেও উদ্ধার করেছে ভারত। ভারতকে ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই ছাত্রী। ভিডিও-বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা যখন সকলে আটকে পড়েছিলাম, সেই সময় আমাদের সাহায্যের জন্য আমি কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আশা করছি, ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে আমরা নিরাপদে দেশে ফিরতে পারব।”

    ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন নেপালি যুবক রোশন ঝা-ও। তিনিও আটকে পড়েছিলেন ইউক্রেনে। ভারতের এই অপারেশন ‘গঙ্গা’ই সে যাত্রায় বাঁচিয়েছিল বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি, নেপালি, বাংলাদেশি এবং তিউনিশিয়ার পড়ুয়াকে। যে কারণে মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ থাকায় রোমানিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছিল ইউক্রেনে আটকে পড়া বিপন্নদের। অপারেশন ‘গঙ্গা’র আগে ২০১৪ সালের জুন মাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাকে আইএস-এর খপ্পর থেকে মোদি সরকার উদ্ধার করেছিল ৪৬ জন ভারতীয় নার্সকে।

    অপারেশন ‘মৈত্রী’

    তার পরের বছরই ভয়াল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল নেপাল (India Rescue Operations)। ২০১৫ সালের সেই বিপর্যয়ের পর সে দেশে আটকে পড়া ৪৩ হাজার জনেরও বেশি ভারতীয়কে উদ্ধার করেছিল ভারত সরকার। অপারেশনের নাম ছিল ‘মৈত্রী’। ওই বছরই হয়েছিল অপারেশন ‘রাহাত’। সেবার ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ভারতীয় ও ৯৬০ জন বিদেশিকে ভারত সরকার উদ্ধার করেছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেন থেকে।

    অপারেশন ‘সঙ্কটমোচন’

    ২০১৬ সালে হয় অপারেশন ‘সঙ্কটমোচন’। এই অপারেশনে হিংসাদীর্ণ দক্ষিণ সুদান থেকে ৩০০ ভারতীয়কে উদ্ধার করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। কোভিড-পর্বে চালানো হয় অপারেশন ‘সমুদ্র সেতু’ এবং অপারেশন ‘বন্দে ভারত’। সেই সময় কেবল নৌবাহিনীই উদ্ধার করেছিল ৩ হাজার ৯৯২ জনকে। ২০২১ সালে হয় অপারেশন ‘দেবী শক্তি’। এই অপারেশনে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫০০-রও বেশি ভারতীয় নাগরিককে। এই সময় আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ১১০ জন আফগান শিখকে। ২০২২ সালে অপারেশন ‘গঙ্গা’র পরে ২০২৩ সালে মোদি সরকার হাতে নেয় অপারেশন ‘কাবেরি’। এই অপারেশনে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে ৩ হাজার ৯৬১ জন ভারতীয় ও ১৩৬ জন বিদেশিকে উদ্ধার করেছিল মোদি সরকার।

    অপারেশন ‘অজয়’

    ২০২৩ সালেই মোদি জমানায় হয়েছে আরও একটি অপারেশন। ২০২৩ সালের এই অপারেশনের নাম ছিল ‘অজয়’। ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হামাস নৃশংসভাবে হত্যা করে ১২০০-রও বেশি ইজরায়েলি শিশু-নারী-পুরুষ এবং সৈন্যকে। এই সময় ইজরায়েলে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে ভারত সরকার চালায় অপারেশন ‘অজয়’। উদ্ধার করা হয় ১৩০০-রও বেশি ভারতীয়কে। এই অপারেশনেও মোদি সরকার উদ্ধার করেছিল বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসে মোদি সরকার। তার পর থেকেই দেশের পাশাপাশি প্রবাসে থাকা ভারতীয়দের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। বিপন্ন ভারতীয়দের সম্ভাব্য সব রকমের সাহায্য দিচ্ছে, পাশে দাঁড়াচ্ছে।

    আর পড়ুন: আইএমএফ-এর কাছে ঋণ চায় পাকিস্তান, দুবাইয়ে বিপুল সম্পত্তি দেশের মন্ত্রী-আমলাদের

    ভারত ক্রমেই একটি বিশ্ব শক্তি হয়ে উঠছে। গত দশ বছরে মোদির আমলে হাল ফিরেছে দেশের অর্থনীতির। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় এক সময় যে দেশের জায়গা ছিল ১০ নম্বরে, সেই দেশই এখন ব্রিটেনকে সরিয়ে জায়গা করে নিয়েছে পাঁচে। অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যেই জাপানকে সরিয়ে ভারত জায়গা করে নেবে চার নম্বরে। এহেন উদীয়মান শক্তি ভারত তাঁর প্রতিটি নাগরিকের প্রতিই দায়বদ্ধ – সে তিনি স্বদেশেই থাকুন কিংবা বিদেশে (India Rescue Operations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pepsico India: পাম অয়েল ছেড়ে এবার সূর্যমুখীর তেল! লে’স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পেপসিকোর

    Pepsico India: পাম অয়েল ছেড়ে এবার সূর্যমুখীর তেল! লে’স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পেপসিকোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিপস মানেই লোভনীয় চটপটা খাবার। যে খাবার কেউ অফার করলে চোট করে না বলা যায় না। একেবারে ৮ থেকে ৮০ সকলেরই প্রিয় চিপস। আর সেই চিপসের প্রথম শাড়িতেই রয়েছে লে’স। তবে যে খাবার আমরা সকলেই এত ভালোবেসে খাই সেই খাবারটি কি আদেও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর? বর্তমানে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে কোন খাবারের প্রভাব স্বাস্থ্যের উপর কেমন পড়তে পারে তা নিয়ে। আর সেই খাবারের তালিকাতেই প্রথমের শাড়িতে রয়েছে লে’স। যা নিয়ে গভীর দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবার এরই মধ্যে লে’স নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কোম্পানি। এবার থেকে লেইস প্রস্তুতকারক সংস্থা পেপসিকো (Pepsico India) লে’স তৈরি করতে পাম তেলের পরিবর্তে সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করতে শুরু করেছে। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Pepsico India) 

    আসল বিষয় হল, পাম তেলের দাম কম থাকার কারণে এই তেল খাবার প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে পাম অয়েল দামে সস্তা হলেও তা স্বাস্থ্যের দিক থেকে কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে উদ্বিগ্ন অনেকেই। আর সেই কারণেই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান। জানা গিয়েছে, এবার সানফ্লাওয়ার তেল দিয়ে চিপস তৈরির প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে পেপসিকো। 

    আরও পড়ুন: কলা গাছের ছালের সুতোয় তৈরি চট, গামছাসহ আস্ত জ্যাকেট, বালুরঘাটের শিল্পীর কামাল

    শুধুমাত্র ভারতের ক্ষেত্রেই পাম তেলের ব্যবহার 

    আমেরিকায় যেখানে পেপসিকোর (Pepsico India) হেডকোয়ার্টার রয়েছে, সেখানে এই চিপসের সবচেয়ে বড় বাজার। আর সেখানে এই চিপস ‘হার্ট সুরক্ষিত রাখে’ এমন তেল দিয়ে তৈরি হয়। এই তেলের তালিকায় সানফ্লাওয়ার অয়েল, কর্ন, ক্যানোলা রয়েছে। কিন্তু পেপসিকো ভারতে তাদের জিনিসগুলোতে পামোলিন এবং পাম তেলের মিশ্রণ ব্যবহার করত। তবে এখন থেকে কোম্পানিটি পামোলিনের সঙ্গে সানফ্লাওয়ার অয়েলের ব্যবহার শুরু করবে। এ প্রসঙ্গে পেপসিকো ইন্ডিয়ার (Pepsico India) মুখপাত্র জানান, সানফ্লাওয়ার অয়েল বা সূর্যমুখীর তেল দিয়ে চিপস তৈরির ট্রায়াল গত বছরই শুরু হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ মে, সোমবার ভারত স্বাক্ষর করেছে ঐতিহাসিক চাবাহার বন্দর চুক্তিতে (Chabahar Port Agreement)। ইরানে গিয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের এই চুক্তিতে মধ্য এশিয়ায় ভারতের জন্য খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (Chabahar Port Agreement)

    সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চাবাহার বন্দর চুক্তি নিয়ে আজ আমার কথা হয়েছে সতীর্থ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে। চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি গিয়েছেন ইরানে। এটা আশা করা হচ্ছে যে ভারত ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি (দশ বছরের জন্য) এই চুক্তি আজই স্বাক্ষরিত হবে। অ্যাড হক অ্যারেঞ্জমেন্টসের ভিত্তিতে এই চুক্তি হচ্ছে। এতে ভারতের দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। যদিও ইরানের তরফে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে (এর আগেই অবশ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে)।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যখন (Chabahar Port Agreement) এই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে, তখন এই বন্দরে বৃহত্তর বিনিয়োগের দ্বার খুলে যাবে। বন্দরটির এখনও সেভাবে নামডাক হয়নি। কারণ দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি না হলে বন্দরে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করা খুব কঠিন। এখন যখন দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি হচ্ছে, তখন অবশ্যই ওই বন্দরে আমরা মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করব।”

    ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর

    বিদেশমন্ত্রী এদিন ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন। গত বছর জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। সেখানেই এই চুক্তি হয়। জয়শঙ্কর জনান, চাবাহার বন্দর ভারতকে জুড়ে দেবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই বন্দরের মাধ্যমে অনেকগুলি কানেকটিভিটি লিঙ্কেজ তৈরি হবে। আজ আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশের কানেকটিভিটি একটা বড় ইস্যু। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর, যেটা করা হয়েছিল ইরান-রাশিয়ার সঙ্গে, এর সঙ্গে আমাদের যুক্ত করবে চাবাহার। মধ্য এশিয়াকেও যুক্ত করবে এই বন্দর।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমাদের একটা আলাদা করিডর আছে, আইএমইইসি করিডর সৌদি আরবের মধ্যে দিয়ে। তাই আমি মনে করি, চুক্তি (চাবাহার চুক্তি) নিয়ে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত আমায় অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা জানেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।” প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এদিনই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে ইরানে উড়ে গিয়েছিলেন জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

    চাবাহার বন্দর

    ইরানের এই চাবাহার বন্দর রয়েছে ওমান উপসাগরের মুখে। এর আগে প্রতি বছরের জন্য চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হলেও, এবার টানা দশ বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছে এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। পাকিস্তানের করাচির পাশাপাশি গদর বন্দরকে বাইপাশ করেই ইরানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্য করতে পারবে ভারত। ব্যবসায়িক যোগাযোগের একটি নয়া রাস্তাও খুলে দেবে এই বন্দর। সংবেদনশীল এবং ব্যস্ত পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীর বিকল্প ব্যবসায়িক রুট হিসেবেও কাজ করবে এই বন্দর (Chabahar Port Agreement)। বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ার খেলায় মেতেছে চিন। এভাবে বিভিন্ন দেশে মাতব্বরি করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না বেজিং। চিনকে টেক্কা দিতে কোমর কষে নেমে পড়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সিট্টে বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। গত বছর মে মাসে মায়ানমারের ওই বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই বন্দরের উদ্বোধনও করেছিলেন সোনোয়াল। এবার ভারত নিল চাবাহার বন্দরের রশিও।

    আরও পড়ুুন: শ্রীনগরে পড়ল রেকর্ড ভোট, কী প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব

    ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বন্দর-চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারতের সঙ্গে ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার যোগাযোগের রুট হল সংক্ষিপ্ততর। চাবাহার বন্দরকে ট্রানজিট হাব বানাতে চাইছে ভারত। এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের মাধ্যমে কমনওয়েল্থ অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটসের দেশগুলিতে অনায়াসে পৌঁছতে পারবে ভারত। ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার কার্গো যোগাযোগের জেরে মজবুত হবে ভারতের অর্থনীতির ভিত। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে চাবাহার বন্দর পরিণত হবে এই অঞ্চলের কমার্সিয়াল ট্রানজিট সেন্টারে। আইএনএসটিসি একটি মাল্টি টান্সপোর্টেশন রুট। এটি কাস্পিয়ান সাগরের মধ্যে দিয়ে ভারত মহাসাগর ও পারস্য উপসাগরে সংযোগকারী পরিবহণ রুট হিসেবে কাজ করে। ইরান এবং ভায়া রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হয়ে ইউরোপের উত্তরাংশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ করে সুগম। মুম্বই থেকে সমুদ্র পথে শাহিদ বেহেস্তি বন্দর-চাবাহার, চাবাহার থেকে স্থলপথে কাস্পিয়ান সাগরে থাকা ইরানের আর এক বন্দর বন্দের-ই-আনজালি এবং সেখান থেকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগও অনায়াস হবে চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে (Chabahar Port Agreement)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relation: সংঘাতের মধ্যেই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য ভারতের

    India Maldives Relation: সংঘাতের মধ্যেই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের সম্পর্কের এখনও সেভাবে উন্নতি হয়নি। তবে দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাহায্য করেছে ভারত (India Maldives Relation)। সেই কারণে সোমবার মলদ্বীপের তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ভারতকে। মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে শাখা রয়েছে, তার মাধ্যমেই ওই টাকা রোলওভার করার জন্য দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। তার জেরেই ধন্যবাদ প্রাপ্তি নয়াদিল্লির।

    ভারতের সাহায্য (India Maldives Relation)

    মলদ্বীপ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত (India Maldives Relation) সরকার আজ মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট করেছে। ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্রেজারি বিল রোলওভার করতেই দেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। আরও এক বছরের জন্য ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। মালেতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যে শাখা রয়েছে, তার মাধ্যমেই দেওয়া হয়েছে টাকাটা।’ নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করার পরেই ভারত ট্রেজারি বিল আরও একবছর রোলওভার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুশা জামির।

    কী বলছে মলদ্বীপ

    গত সপ্তাহেই তিনি এসেছিলেন নয়াদিল্লি সফরে। সেই সময়ই তিনি সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। সূত্রের খবর, অনুরোধ জানানোর পর্বটা সারা হয় সেখানেই। জামির বলেন, “ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ভারত সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই মলদ্বীপকে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটারি সাহায্য আরও একবছর বাড়ানোর জন্য। এটা শুভইচ্ছাশক্তির প্রকাশ। এ থেকে প্রমাণ হয় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের দেওয়া এয়ারক্র্যাফ্ট চালাতে ব্যর্থ মলদ্বীপের সেনা, বিপাকে মুইজ্জু প্রশাসন

    মলদ্বীপের অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার টি-বিল রোলওভারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদেশমন্ত্রী মুশা জামিরের অনুরোধে। তিনি এই অনুরোধ করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে। ৮-১০ মে মুশা যখন ভারত সফরে গিয়েছিলেন, তখনই দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাৎ হয়।’

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মলদ্বীপ সরকারকে ভারত সরকার যে এই বাজেটারি সাপোর্ট করছে, ‘সেজন্য ভারতের এই উদার সাহায্যের প্রশংসা করছে মালে। ভারত সরকারের এই সাহায্যে পরিকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়ন এবং হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টাল প্রজেক্ট রূপায়ণ করা হবে। মলদ্বীপ সরকার দেশবাসীর সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতামূলক এই অংশীদারিত্বের দিকে তাকিয়ে থাকে (India Maldives Relation)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার থেকে চতুর্থ দফায় সামান্য এগিয়ে ভোটের হার, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার থেকে চতুর্থ দফায় সামান্য এগিয়ে ভোটের হার, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম তিন দফার পর চতুর্থ দফাতেও  নির্বিঘ্নে ভোট (Lok Sabha Election 2024) হল। আর ভোট দানের হারে প্রথম তিন দফার থেকে এগিয়ে রইল চতুর্থ দফা। সোমবার চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গের আট লোকসভা কেন্দ্র-সহ দেশের মোট ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ ছিল। ভোট হয়েছে দেশের ৯টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। অন্ধ্রপ্রদেশ (২৫) এবং‌ তেলঙ্গানা (১৭)-র সব আসনেই ভোট হয়েছে সোমবার। তাছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ১৩টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, মধ্যপ্রদেশের ৮টি, ওড়িশার ৪টি, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের ৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে চতুর্থ দফায়। 

    কোথায় কত ভোটদানের হার? (Lok Sabha Election 2024) 

    কমিশন তরফে জানা গেছে চতুর্থ দফায় ভোটদানের হার ৬৭.৭১ শতাংশ। যা তৃতীয় দফার থেকে একটু এগিয়ে। কারণ তৃতীয় দফায় ভোটের হার ছিল ৬৫.৬৮%। চতুর্থ  দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৭৮.৩৭ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট (Lok Sabha Election 2024) পড়েছে জম্মু এবং কাশ্মীরে। সেখানে ভোট পড়েছে ৩৭.৯৮ শতাংশ। এ ছাড়াও, অন্ধ্রপ্রদেশে ৭৮.৩৬ শতাংশ, ওড়িশায় ৭৩.৯৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৭০.৯৮ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৬৫.২ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৬৪.৭৪ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৯.৬৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৮.০৫ শতাংশ, বিহারে ৫৭.০৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

    ভোটদানের হারে এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা

    ভোটদানের (Lok Sabha Election 2024) হারে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা। লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর চতুর্থ দফা ছাড়াও, দুটি রাজ্য-অন্ধ্র প্রদেশ এবং ওড়িশা-তে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট সোমবার শেষ হয়েছে। অন্ধ্র ও ওড়িশায় (Andhra Pradesh-Odisha) সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে। 

    আরও পড়ুন: ধুলো ঝড়ে বিপর্যস্ত মুম্বই! মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ-জানালেন শিন্ডে 

    এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ভোট (Lok Sabha Election 2024) হয়েছে চার দফায়। গত ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে ছিল প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট। এরপর আগামী ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন রয়েছে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট। যদিও চতুর্থ দফাতে সব থেকে বড় চিন্তা ছিল কাশ্মীরকে নিয়ে। কিন্তু সেখানেও নির্বিঘ্নেই সমস্ত কিছু মিটে গিয়েছে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গেও দু-একটি ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নেই মিটেছে ভোটপর্ব (Lok Sabha Election 2024)। পাশাপাশি দেশের অন্য কোনও প্রান্ত থেকেও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা তাদের পরাব।” সোমবার এই ভাষায়ই ইন্ডিয়া ব্লকের নেতা ফারুক আবদুল্লা ও মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘পাকিস্তান-স্তুতি’র জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, “পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমরা ফিরিয়ে আনবই।”

    কী বলেছিলেন ফারুক?

    দিন কয়েক আগে তারই জবাব দিয়েছিলেন ইন্ডি জোটের শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিবেশি দেশ(পাকিস্তান) হাতে চুড়ি পরে বসে নেই।” এদিন বিহারের মুজফফরপুরের জনসভায় ফারুকের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফারুকের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা তাদের পরাব। তাদের কাছে ময়দা নেই, বিদ্যুৎ নেই। এখন আমি জেনেছি যে, তাদের চুড়িরও অভাব রয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লকে বোধহয় এমন কিছু নেতা রয়েছেন যাঁরা পাকিস্তানের ভয়ে ভীত। পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন দুঃস্বপ্নও দেখেন তাঁরা।” ফারুকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় যে ইন্ডি জোটের আরও এক শরিক কংগ্রেসের মণিশঙ্কর আইয়ারও, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। দিন কয়েক আগে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, “পারমাণবিক বোমা থাকায় ভারতের উচিত পাকিস্তানকে সমঝে চলা।” কংগ্রেসের এই নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কংগ্রেস জনগণের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। কংগ্রেসের এই ভীরু মনোভাবই আগে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করেছিল।” নিম্নমানের হওয়ায় পাকিস্তানের পরমাণু বোমা যে কেউ কিনছে না, সেকথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।   

    আরও পড়ুুন: চতুর্থ দফায় ভোট পড়ল প্রায় ৬৩ শতাংশ, বাংলায় ছাপ্পা রুখল এআই

    এই সভার আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন হাজিপুরে। সেখানেও তাঁর চাঁদমারি ছিলেন বিরোধী নেতারা। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা দেশের গরিব মানুষের টাকা। আমি আপনাদের বলব, ইডির মতো সংস্থা ব্যবস্থা নিতেই কেন তাঁরা কান্নাকাটি শুরু করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় ইডি উদ্ধার করেছিল মাত্র ৩৫ লাখ টাকা। এই পরিমাণ টাকা স্কুল ব্যাগেই রাখা যায়। আর আমাদের জমানায় সংস্থা উদ্ধার করেছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ৭০টি ছোট ট্রাকের (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mumbai hoarding collapse: ঝড়ে বিশালাকায় হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি মুম্বইয়ে, মৃত ১৪, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা শিন্ডের

    Mumbai hoarding collapse: ঝড়ে বিশালাকায় হোর্ডিং ভেঙে বিপত্তি মুম্বইয়ে, মৃত ১৪, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা শিন্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ঝড়ে বিধ্বস্ত মুম্বই। সাংঘাতিক ধুলো ঝড়ে বিলবোর্ড উপড়ে (Mumbai hoarding collapse) পড়ে মৃত্যু হয় অনেকের। মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকার এই ঝড়ে এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ জখম অন্তত ৭০।  

    কী ঘটেছিল? (Mumbai hoarding collapse) 

    সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো করে তীব্র ঝড় ওঠে মুম্বইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধুলো ঝড়। সেই ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় ছেদ্দানগর জংশনে একটি পেট্রল পাম্পে উপড়ে যায় প্রায় ১০০ ফুট উঁচু বিলবোর্ড। এর জেরে বেশি কিছু গাড়ি ওই পেট্রল পাম্পের মধ্যেই আটকে পড়ে। অনেকেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটতে শুরু করে। ফলে ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের (Mumbai hoarding collapse) নীচে চাপা পড়েন অনেকেই। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফকে। বিলবোর্ড সরিয়ে একে একে বের করা হয় মৃতদেহ।

    কোম্পানির বিরুদ্ধে এফআইআর  

    এই ঘটনায় পুলিশ বিলবোর্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা মেসার্স ইগো মিডিয়া এবং এর মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। হোর্ডিং মালিক ভাবেশ ভিন্ডে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আইপিসির(Indian Penal Code-IPC) ৩০৪, ৩৩৮, ৩৩৭ ধারার অধীনে পন্ত নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গোটা ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করা হচ্ছে। 

    শিন্ডের বার্তা 

    অন্যদিকে বিধ্বংসী এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি (Mumbai hoarding collapse) পরিদর্শন করতে ঘাটকোপর এলাকায় পৌঁছেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সেখানে গিয়ে তিনি আধিকারিকদের বেশ কিছু নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “মানুষের প্রাণ বাঁচানোই আমাদের অগ্রাধিকার। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আমি মুম্বইতে এই ধরনের সমস্ত হোর্ডিং অডিট করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি।”  

    আরও পড়ুন: ‘মা গঙ্গা ডেকেছেন, বারাণসীর সঙ্গে আত্মিক-যোগ’, মনোনয়নের সকালে আবেগঘন পোস্ট মোদির

    দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ রাষ্ট্রপতির (Draupadi Murmu)

    একই সঙ্গে ঘাটকোপরের এই দুর্ঘটনায় (Mumbai hoarding collapse) শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি (Draupadi Murmu) লিখেছেন, শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করছি। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জগদীপ ধনখড়ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং উদ্ধারকার্যের সাফল্য কামনা করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • POJK Violence: গণবিদ্রোহে উত্তাল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর, ভারতভুক্তির দাবি, উড়ল তেরঙ্গাও

    POJK Violence: গণবিদ্রোহে উত্তাল পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর, ভারতভুক্তির দাবি, উড়ল তেরঙ্গাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহের জেরে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (POJK Violence)। অন্তত একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৯০ জন। রবিবারও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। পালিত হয়েছে হরতালও। সামাহিনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, খুরিট্টা, তত্তপানি হাট্টিয়ান বালা – পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই সব অঞ্চলেই হয়েছে প্রবল প্রতিবাদ।

    পাকিস্তানে উড়ল তেরঙ্গা (POJK Violence)

    রাওয়ালকোটে ভারতের তেরঙ্গা ঝান্ডা উড়িয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। মিরপুরের পুলিশ সুপার কামরন আলি আডনান কুরেশি ডিউটি করছিলেন ইসলামগড়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এদিন কোটলি এবং পুঞ্চ জেলায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ব্যানারে। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (POJK Violence) মুজফফরবাদে উত্তেজিত জনতা বেধড়ক পেটায় পাক রেঞ্জার্সের জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের। তাঁদের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেয়। আজাদির স্লোগানও দেন আন্দোলনকারীরা। ভারতভুক্তির দাবির পাশাপাশি তাঁরা ওড়ান ভারতের তিরঙ্গা পতাকাও।

    অশান্তির সূত্রপাত

    মে মাসের ৮-৯ তারিখে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির প্রায় ৭০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে তল্লাশি চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার। এর পরেই ১০ মে চাক্কা জ্যাম ও হরতালের ডাক দেয় কমিটি। রবিবার মুজফফরবাদের দিকে মিছিলও করেন প্রতিবাদীরা। ১০ তারিখের এই হরতালের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। মুজফফরবাদের বিভিন্ন পকেটে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষের আগুন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। প্রতিবাদীদের দমন করতে এবং নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ ইন্টিরিয়র ডিভিশনের সেক্রেটারিকে কয়েক প্লেটুন সিভিল আর্মড ফোর্স পাঠানোর অনুরোধ জানায়।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা বলেন, “পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না ভারত। অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক।” জারি করা বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের লোকজন লড়াই করছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীরা তামাম পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হরতাল পালন করছেন। পাকিস্তানি পুলিশ, পাঞ্জাব পুলিশ, এফসি এবং আজাদ কাশ্মীর পুলিশ তাদের পেটাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না করে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও গিলগিট বাল্টিস্তানকে পাকিস্তানের খপ্পর থেকে মুক্ত করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে (POJK Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chabahar Port: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই ভারত-ইরানের, জানুন বিশদে

    Chabahar Port: চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি সই ভারত-ইরানের, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর চাবাহার (Chabahar Port) পরিচালনার জন্য আজ, সোমবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হল ভারত ও ইরানের মধ্যে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ইরানে গিয়েছিলেন জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। চুক্তি হল দশ বছরের জন্য। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া ও ইউরেশিয়ান সীমান্তের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সুগম হল। 

    নয়া চুক্তি কীভাবে আলাদা? (Chabahar Port)

    ২০১৬ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে কেবল চাবাহার বন্দরের শাহিদ বেহেসিট টার্মিনালের অপারেশন করতে পারত ভারত। চুক্তি পুনর্নবীকরণ করতে হত ফি বছর। নয়া চুক্তি হল আপাতত ১০ বছরের জন্য। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারত এবার পুরো বন্দরের দায়িত্ব পেল। কারণ বন্দর বাড়াতেও অর্থ সাহায্য করেছে ভারত।

    বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    ভারতের জাহাজমন্ত্রীর ইরান সফর এবং এই চুক্তির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ চুক্তিটি সম্পাদিত হল এমন একটা সময়, যখন ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই প্রথম ওভারসিজ একটি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিল ভারত (Chabahar Port)।

    ভারত কীভাবে উপকৃত হবে?

    চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারত বন্দরটি পরিচালনা করতে পারবে। শুধু তাই নয়, এই বন্দরটিকে ভারত যুক্ত করতে পারবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। যার জেরে পাকিস্তানকে এড়িয়েই আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার সঙ্গে অনায়াস হবে ভারতের যোগাযোগ। যেহেতু স্থলপথে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের পথে প্রধান অন্তরায় পাকিস্তান, তাই এই চুক্তি ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    কেন চাবাহার বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?

    ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারত এই বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ায় একদিকে যেমন পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ব্যবসা করতে পারবে ইরান, তেমনি অন্যদিকে পাকিস্তানকে এড়িয়ে একটা বাইপাস রুটও তৈরি হল। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর এবং চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাউন্টার ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে চাবাহার বন্দর (Chabahar Port)।

    চাবাহার বন্দরের তাৎপর্য

    চাবাহার ইরানের প্রথম ডিপওয়াটার বন্দর। ওমান উপসাগরের মুখেই রয়েছে বন্দরটি। এর অবস্থান সিস্টান-বালুচিস্তান প্রভিন্সে। পাকিস্তানের গ্বদর বন্দরের উন্নয়ন করছে চিন। তারই অদূরে চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন করছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    চাবাহার বন্দরের সঙ্গে ভারতের ইনভলভমেন্ট

    ২০০২ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ খাতামির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনা হয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রের। পরে খাতামি ভারত সফরে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজয়েপীর সঙ্গে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের রোডম্যাপে স্বাক্ষর করেন (Chabahar Port)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share