Tag: India

India

  • Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে  যাবে ভারত! কী শর্ত দিল বিসিসিআই?

    Champions Trophy: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে ভারত! কী শর্ত দিল বিসিসিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) খেলতে পাকিস্তানে যেতে পারে ভারত। কেন্দ্র সরকারের অনুমতি মিললে লাহোরে ম্যাচ খেলতে যাবেন রোহিতরা বিসিসিআই -এর তরফে এমনই জানানো হয়েছে। 

    কী বলল বিসিসিআই

    ২০০৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারতীয় দল। ভারত-পাকিস্তান শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে ২০১২-২০১৩ মরসুমে। ভারতের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছিল পাকিস্তান। কয়েক মাস আগেই আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হয়েছে ভারতে। সেখানে অনেক শর্ত আরোপের পর খেলতে এসেছিল বাবররা। তার আগে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যায়নি ভারত। ভারতীয় দল না যাওয়ায় হাইব্রিড মডেলে হয় টুর্নামেন্ট। ফাইনাল সহ ভারতের সব ম্যাচই শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা পাকভূমে। 

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি রাজীব শুক্ল বলেছেন, একটা শর্তেই পাকিস্তানে খেলতে যাবে ভারত। বোর্ডের সহ সভাপতি পরিষ্কার বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে আমরা একটা কথাই বলতে পারি, সরকার যা বলবে আমরা তাই করব। সরকার অনুমতি দিলে অবশ্যই টিম পাঠানো হবে। সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে সরকারের অনুমতির উপরই।’

    আরও পড়ুন: জাতীয় দলে মোহনবাগানের ৮ ফুটবলার! স্টিমাচের শিবিরে ৪১ জন

    ভারত যদি না যায়

    ২০১৭ সালের পর আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) হয়নি। আগামী বছর পাকিস্তানকে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু পাকিস্তানে আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে কিনা, এ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। ভারতীয় দল যদি খেলতে না যায়, সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট হতে পারে হাইব্রিড মডেলেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চাইছে, ভারতীয় দল খেলতে যাক। আইসিসির কাছে খসরা সূচিও দিয়েছে পাকিস্তান। মোট তিনটি ভেনু বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ম্যাচ রাখা হয়েছে লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এই ভেনুতে ফাইনালও হওয়ার কথা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটামুটি নির্বিঘ্নেই শেষ হল তৃতীয় দফার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। আজ, ৭ মে নির্বাচন হয়েছে দেশের ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে। কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬০.১৯ শতাংশ। মতদানের হারের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি-শাসিত অসম। সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এই রাজ্যে। এখানে বিকেল ৫টি অবধি ভোট পড়েছে ৭৪.৮৬ শতাংশ।

    বাংলায় ভোটের হার (Lok Sabha Elections 2024)

    এদিন ভোট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসনেও (Lok Sabha Elections 2024)। কমিশন সূত্রে খবর, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৩.৩০ শতাংশ। এই সময়ের মধ্যে মালদহ দক্ষিণে পোলিং হয়েছে ৭৩.৬৮ শতাংশ। জঙ্গিপুরে ভোট দানের হার ৭২.১৩ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে ভোট পড়েছে ৭৬.৪৯ শতাংশ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। এদিন উপনির্বাচন হয়েছে ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রেও। সেখানে ভোটদানের হার ৭৩.৬৮ শতাংশ।

    অভিযোগের পাহাড়

    এই দফায় বাংলার চার কেন্দ্র মিলিয়ে কমিশনের কাছে সব মিলিয়ে জমা পড়ছে ৪৩৩টি অভিযোগ। এর মধ্যে দলগতভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ২৫৩টি। সব চেয়ে বেশি অভিযোগ করেছে সিপিএম। তারা অভিযোগ করেছে ১৬৩টি। কংগ্রেসের অভিযোগের সংখ্যা ২৯টি, বিজেপির ২৭টি এবং তৃণমূলের ১৮টি। এই দফায়ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া নাজিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫৯ নম্বর বুথে এক ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম রেজা বিশ্বাস।

    আরও পড়ুুন: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মালদহের চাঁচলে আবার বোমা মারার হুমকি দিয়ে তুলে দেওয়া বিজেপির সহায়তা বুথ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। চাঁচল বিধানসভার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুমসাডাঙি ২২১ নম্বর বুথের ঘটনা। বিজেপি কর্মী শঙ্কর দাসের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু সরকার দলবল নিয়ে এসে বোমা মারার হুমকি দিয়ে তাঁদের ক্যাম্প তুলে দেয়। মালদহ দক্ষিণের শামসেরগঞ্জের জোতশালীর ১২৫ ও ১২৬ নম্বর বুথে অশান্তি বাঁধানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোট দিতে আসা কংগ্রেসের এক বৃদ্ধ সমর্থককে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শামসেরগঞ্জেরই ২১৯ নম্বর বুথেও। হামলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দিকে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal Bail: “জামিন হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না”, কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম নির্দেশ

    Arvind Kejriwal Bail: “জামিন হলেও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারবেন না”, কেজরিওয়ালকে সুপ্রিম নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে আপ প্রধান। আবগারি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) ধৃত অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিনের (Arvind Kejriwal Bail) আর্জি মঞ্জুর করল না দেশের শীর্ষ আদালত। নয় নয় করে টানা ৪৭ দিন ধরে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে শুনানি করলেও, মঙ্গলবার কোনও রায় দিল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ কেজরিওয়ালের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল না। 

    বিচারপতির মন্তব্য 

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গ্রেফতাররি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। ধৃত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সেই আবেদন মামলায় (Arvind Kejriwal Bail) ইডির কাছে এবার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আম আদমি পার্টির প্রধানের দায়ের করা মামলা কোনও সাধারণ মামলা নয়, মঙ্গলবার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ। একই সঙ্গে বেঞ্চ ইডিকে বলে, “কারও জীবনের অধিকার থেকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না।” শীর্ষ আদালত আরও বলে, কেজরিওয়াল এক জন মুখ্যমন্ত্রী। যদি কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তিকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়, তা হলেও তিনি কোনও সরকারি ফাইলে সই করতে পারবেন না।    

    কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা ইডির (Arvind Kejriwal Bail) 

    এর আগে, গত সপ্তাহে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার ইঙ্গিত দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার শুাননি শুরু হলে ইডির সঙ্গে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে আদালতে। কেজরিওয়ালের জামিনের তীব্র বিরোধিতা করে ইডি। শেষ পর্যন্ত আদালত জানায়, বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে, তাতে জামিন পেতেও পারেন কেজরিওয়াল, আবার নাও পেতে পারেন। জামিন পেলে কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে হবে, তিনি কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না বলেও জানায় শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: মালদা উত্তরে একী কাণ্ড! ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে দিনভর অবস্থানে ভোটাররা

    উল্লেখ্য আগামী ৯ মে এই মামলা (Arvind Kejriwal Bail) নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীনই আবার এদিন ২০ মে পর্যন্ত কেজরিওয়ালের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছে দিল্লির রাউস এভেনিউ কোর্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছে চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস। সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে সে দেশে। ক্ষমতায় আবারও এসেছে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একদা (India Maldives Relation) ‘পরমমিত্র’ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের নয়া সরকারের সম্পর্ক কী হবে? বিশেষত মুইজ্জুর চিন-প্রেমের পাশাপাশি ভারত-বিরোধিতা যেখানে জলের মতো স্পষ্ট।

    মলদ্বীপে নির্বাচন (India Maldives Relation)

    মুইজ্জুর সঙ্গে পিপলস মজলিশের দ্বন্দ্বের মধ্যেই মলদ্বীপে হয়েছে নির্বাচন। যার জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে তাঁর মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের নিয়োগ। তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে জিতে ফের মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। ধরাশায়ী হয়েছে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি। উনিশের সাধারণ নির্বাচনে যে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি, প্রায় সেরকমই জনসমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। মুইজ্জুর দল যেখানে চিনপন্থী, সেখানে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি তাদের ভারত-প্রেমের জন্য জনপ্রিয় সে দেশে। মুইজ্জুর সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। ঘনিষ্ঠ হতে থাকে ড্রাগনের দেশের সঙ্গে। ভারতের পরিবর্তে চিনের অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রত্যাশী হয় মুইজ্জু সরকার। তবুও মলদ্বীপ সরাসরি ভারতের বিরোধিতা করতে পারেনি। কারণ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের রয়েছে ভৌগোলিক নৈকট্য।

    ভোট-বৈতরণী পার মুইজ্জুর দলের

    মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের রিসার্চ ফেলো স্মূর্তি পট্টনায়েক বলেন, “যে নেতাই ক্ষমতায় আসুন না কেন, তাঁকে প্র্যাগমেটিক (বাস্তবপন্থী) হতেই হবে।” দক্ষিণ এশিয় এই বিশেষজ্ঞ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের বক্তৃতাগুলি ছিল আলাদা আলাদা।” গত নির্বাচনেই প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। ভারত-বিরোধিতাকেই হাতিয়ার করে তার দল পার হয়েছিল ভোট-বৈতরণী। প্রচার করতে গিয়ে তিনি জোর দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানে। ভারতের যে কয়েকজন সেনা জওয়ান মলদ্বীপে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদেরও দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তোলেন। ভারতীয় এই সেনার সংখ্যাটা একশোরও কম। ভারত-বিরোধী হাওয়া জোরালো করে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন মুইজ্জু। তার পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় সে দেশে থাকা ভারতীয় জওয়ানদের।

    ভারত-মলদ্বীপ মন কষাকষি

    গত ডিসেম্বরে ভারতের সঙ্গে জলভাগের মানচিত্র চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৮ জুন, মোদির মলদ্বীপ সফরের সময়। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বলার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে চিনা জলযানকে রিসার্চ ওয়ার্কের জন্য নিজেদের জলসীমায় প্রবেশ করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুইজ্জু সরকার। চিনের এই চর জাহাজ যাতে মলদ্বীপের জলসীমায় না ঢোকে সে জন্য নানাভাবে মুইজ্জু প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে ভারত। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যাতে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ (যাকে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত জাহাজ বলে দাবি করছে চিন) যাতে না নোঙর করে, সেজন্য নয়াদিল্লির তরফে অব্যাহত হতে থাকে মুইজ্জু প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। তা সত্ত্বেও ভারত মহাসাগরে মলদ্বীপের জলসীমানয় নোঙর করেছিল ওই চিনা চর জাহাজ।

    ভারতের নীতির পথে চিন কাঁটা

    ভারত-মলদ্বীপের এসব মন কষাকষির মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো প্রকাশ্যে চলে আসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য। পরে আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন সে দেশের মুইজ্জু সরকারের বরখাস্ত হওয়া এক মন্ত্রী। এসবের জেরেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা পরিণত হয়েছে গভীর ফাটলে। অথচ নয়াদিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’ অনুযায়ী ভারতের কাছে মলদ্বীপের গুরুত্ব কম নয়। কারণ ভারত মহাসাগরে এই দেশটির অবস্থান। ভারতের (India Maldives Relation) সঙ্গে মলদ্বীপের এথনিক, লিঙ্গুইসটিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক বিষয়-আশয় আদান-প্রদান হয়। সেই কারণেই ভারত বরাবর মলদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। মুইজ্জু প্রশাসনের ভারত-বিরোধিতার মাঝেও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চালিয়ে মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের এই প্রচেষ্টায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অত্যধিক চিন-প্রীতি।

    আরও পড়ুুন: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    ভারত মহাসাগরের একটি দেশ হওয়ায় মলদ্বীপকে যতটা প্রয়োজন ভারতের, দ্বীপরাষ্ট্রেরও তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ভারতকে। সেই কারণেই তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নিতে পারছে না মুইজ্জু প্রশাসন। এর একটা কারণ যদি হয়, ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের ভৌগোলিক দূরত্ব, তবে অন্য কারণটি অবশ্যই পর্যটনগত। চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের যা দূরত্ব, তার চেয়ে ঢের কম ভারতের সঙ্গে দূরত্ব। তাছাড়া, পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশ মলদ্বীপ। প্রতি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপে বেড়াতে আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। তাই ভারতকে সমঝে চলাই দস্তুর বলে মনে করে মলদ্বীপ প্রশাসন। সর্বোপরি, মলদ্বীপ প্রশাসনের মাথার ওপর রয়েছে বিপুল দেনার বোঝা। ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতকে ৪০০.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ফেরানোর কথা ছিল মুইজ্জু সরকারের। বছর পেরিয়ে গিয়ে নতুন বছরের মাঝামাঝি হতে চলল, সে ঋণ শোধ করেনি মালে (মলদ্বীপের রাজধানী)। এসবের জেরেই মলদ্বীপ প্রশাসনের পক্ষে তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। তাই ভারতের মুখেপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই মুইজ্জু সরকারের সামনে (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Tata Electronics: বেঙ্গালুরু থেকে সেমিকন্ডাক্টর চিপের নমুনা রফতানি শুরু টাটা ইলেকট্রনিক্সের

    Tata Electronics: বেঙ্গালুরু থেকে সেমিকন্ডাক্টর চিপের নমুনা রফতানি শুরু টাটা ইলেকট্রনিক্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্বল্প বিনিয়োগে সেমিকন্ডাক্টর চিপ রফতানি শুরু হল ভারতেরই একটি শহর থেকে। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত টাটা ইলেকট্রনিক্স (Tata Electronics)-এর কারখানা থেকে বের হল এই সেমিকন্ডাক্টর চিপ। যা বিদেশে পাড়ি দিল। টাটা ইলেকট্রনিক্সের এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সেমিকন্ডাক্টর চিপ উপাদানের জন্য ভারতের ক্ষমতাকে উন্নত করছে। এই সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি (semiconductor chip) টাটা ইলেকট্রনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে অবস্থিত একটি পাইলট উৎপাদন লাইনে প্যাকেজ করা হচ্ছে।   

    কোন কোন দেশে রফতানি হচ্ছে? 

    এই চিপগুলি জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইউরোপের মত নানান দেশে রফতানি করা হচ্ছে। মূলত এই সব দেশের টাটা ইলেকট্রনিক্সের কিছু অংশীদারের কাছে সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলি পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে বাইরের দেশে চিপ গুলি পাঠিয়ে টাটা ইলেকট্রনিক্সের (Tata Electronics)  গ্রাহকদের বেস সমপ্রসারিত করছে। তবে এই পণ্যগুলির মধ্যে কিছু এখনও পাইলট পরীক্ষা চলছে।

    ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে শীর্ষে টাটা 

    টাটা বর্তমানে ভারতে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। এই বছরের শুরুর দিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্পোরেশন (PSMC)-এর সাথে অংশীদারিত্বে টাটা গ্রুপ (Tata Electronics) দ্বারা স্থাপন করা দেশের প্রথম সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাবকে অনুমোদন করেছে ৷ বর্তমানে কোম্পানিটি ২৮এনএম (ন্যানোমিটার), ৪০এনএম, ৫৫এনএম, এবং ৬৫এনএম সহ বিভিন্ন আকারের সেমিকন্ডাক্টর চিপগুলির (semiconductor chip) জন্য ডিজাইন প্রস্তুতের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একটি সফল টেপ-আউট অর্জন করার আগে, উন্নয়নের বিভিন্ন রাউন্ড আছে। অতএব, এই পণ্যগুলির মধ্যে কিছু গবেষণা এবং উন্নয়নের উন্নত পর্যায়ে থাকবে। পরীক্ষা এবং আরও বর্ধিতকরণের জন্য প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করতে তাদের নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে পাঠানো হবে। ফলে বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন ২০২৭ সালের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।  

    আরও পড়ুন:রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    উল্লেখ্য টাটা (Tata Electronics) সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলির কারখানায় দৈনিক ৪.৮ কোটি চিপ তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে নতুন ব্যবসায় টাটা সন্স বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের নজরে সেমিকন্ডাক্টর, প্রতিরক্ষা, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং এয়ার ইন্ডিয়া, অর্থাৎ বিমান পরিষেবাও রয়েছে। আগামী বছরগুলিতে এই চার ক্ষেত্রে সংস্থাটির মোট বিনিয়োগের অঙ্ক ১২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাপিয়ে যাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আর ২০২৭ সালের মধ্যে নতুন ব্যবসার বিস্তারে প্রায় ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলেই প্রাথমিক অনুমান। এর সিংহভাগ সেমিকন্ডাক্টর এবং এয়ার ইন্ডিয়ার মতো যে ক্ষেত্রগুলিতে প্রচুর মূলধনের প্রয়োজন সেই খাতে ব্যয় করা হবে। যা এখন পর্যন্ত ঘরোয়া বাজারে সংস্থাটির সব থেকে বেশি বিনিয়োগ হতে চলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relation: ‘মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন’, ভারতীয়দের কাতর আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রীর

    India Maldives Relation: ‘মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন’, ভারতীয়দের কাতর আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে টান পড়েছে পর্যটনের পেটে। যেহেতু দেশটির বাসিন্দাদের রোজগারের প্রধান উৎস পর্যটন, তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করলেন দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী (India Maldives Relation)। সোমবার মলদ্বীপের তরফে ভারতীয়দের কাছে এই অনুরোধ করেন সে দেশের মন্ত্রী।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে অবনতি (India Maldives Relation)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সরকারের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মুইজ্জ প্রশাসন। তাতেও গলেনি সম্পর্কের বরফ। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রীর একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েও একপ্রস্ত দূরত্ব তৈরি হয় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের। এসবের জেরে মলদ্বীপের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যান দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন (India Maldives Relation)।

    মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প

    কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ ঘুরতে যান, তাঁর আশি শতাংশই ভারতীয়। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক মলদ্বীপে না যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে সে দেশের পর্যটন শিল্প। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল বলেন, “ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নয়া সরকার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করতে চায়। আমরা সর্বদা শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রোমোট করি। আমাদের সরকার এবং নাগরিকরা ভারতীয় পর্যটকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে আমি ভারতীয়দের বলতে চাই, দয়া করে মলদ্বীপে আসুন, মলদ্বীপ পর্যটনের অংশীদার হোন।” কাতর কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।”

    আরও পড়ুুন: “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    পর্যটনমন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর ৪ মে পর্যন্ত মলদ্বীপে বেড়াতে এসেছেন ৪৩ হাজার ৯৯১ জন পর্যটক। অথচ গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এই চার মাসে মলদ্বীপে ঘুরতে এসেছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন পর্যটক। চলতি বছর এই চার মাসে দ্বীপরাষ্ট্রে এসেছিলেন ৪২ হাজার ৬৩৮ জন (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে পাড়ি (Sunita Williams third space mission) দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মত সিট বেল্ট বেঁধে ‘স্পেস ট্যাক্সি’র মধ্যে বসে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। কিন্তু কিন্তু মহাকাশে ওড়ার আগেই স্থগিত হয়ে গেল সুনীতার যাত্রা। সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে এই অভিযান। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Sunita Williams)

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবী ছেড়ে ওড়ার কথা ছিল সুনীতা এবং আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশচারী ব্যারি উইলমোরের। অত্যাধুনিক সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু উড়ানের লিফ্ট-অফের ঠিক ৯০ মিনিট আগে আগে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়, তার জেরেই অভিযান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। 

    ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান স্থগিদ 

    এরপর শুরু হয় মেরামতির কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই যানের মেরামতি সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় নাসা। তার পরই স্পেস ট্যাক্সি থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতারা (Sunita Williams)। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি ভাল্‌‌ভ খারাপ হয়ে গেছে। সেই সমস্যা মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযান বাতিল করতে হল। মঙ্গলবার রাতে ফের অভিযান শুরু হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নয়া দিন ক্ষণের ঘোষণা হয়নি এখনও।   

    আরও পড়ুন:গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক দিক থেকে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স-কে পাল্লা দিতে নয়া এই স্পেস ক্যাপসুলটিতে করে সুনীতা (Sunita Williams) এবং ব্যারিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল নাসার। দুবছর আগে বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলটির পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন হয়। সেবার যদিও মানুষ পাঠানো হয়নি। তবে এবার তাতে মহাকাশচারীদের চাপিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • International Passenger Carriage: ৩-৪ বছরেই ভারতে মোট বিমানযাত্রীর ৫০ শতাংশই হবে আন্তর্জাতিক

    International Passenger Carriage: ৩-৪ বছরেই ভারতে মোট বিমানযাত্রীর ৫০ শতাংশই হবে আন্তর্জাতিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির অংশীদারি নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করল মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল রেটিং। বর্তমানে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক ট্রাফিকের (International Passenger Carriage) একটি বড় অংশ দখল করতে চাইছে। কারণ সাধারণত এটি উচ্চ মার্জিনের হওয়ার কারণে বেশি লাভজনক এবং অভ্যন্তরীণ রুটের তুলনায় কম প্রতিযোগিতা রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক ট্রাফিকের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ক্যারিয়ারগুলির ব্যবসায়িক প্রোফাইলগুলি শক্তিশালী হবে, যা দেশীয় বিভাগের তুলনায় বেশি লাভজনক। ক্রিসিল রেটিং অনুসারে, আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির অংশীদারি ২০২৪ সালের ৪৩ শতাংশ থেকে ২০২৮ অর্থবছরের (FY 2028) মধ্যে ৫০ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। 

    ভারতীয় এয়ারলাইন্সের শেয়ার বৃদ্ধি (International passenger carriage) 

    করোনা-মহামারী কালের পর থেকে ভারতের আন্তর্জাতিক যাত্রী ট্রাফিক (International Passenger Carriage) ২০২৪ অর্থবছরে প্রায় ৭০ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২১ সালের মহামারী-আক্রান্ত অর্থবছরে ১০ মিলিয়নের কম ছিল। ভারতীয় এয়ারলাইন্সের শেয়ার, যা মহামারী কালের আগে  ক্ষীণ ভাবে বাড়ত, মহামারী কালের পর থেকে সেই শেয়ারের বৃদ্ধি গতি পেয়েছিল।     

    মণীশ গুপ্তর মন্তব্য 

    এ প্রসঙ্গে ক্রিসিল রেটিং-এর সিনিয়র ডিরেক্টর এবং ডেপুটি চিফ রেটিং অফিসার মণীশ গুপ্ত বলেন, “মহামারীর পরে ব্যয়ের ধরণে একটি লক্ষণীয় পরিবর্তন এসেছে, যা আন্তর্জাতিক অবসর ভ্রমণের প্রতি ভারতীয়দের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার মধ্যে স্পষ্ট। নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বৃদ্ধি, ভিসার প্রয়োজনীয়তা সহজ করা, বিমানবন্দরের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং বর্ধিত বিমান ভ্রমণ সংযোগ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে বাড়িয়ে তুলছে।” এ প্রসঙ্গে রেটিং এজেন্সি জোর দিয়ে বলেছে যে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি (International Passenger Carriage) অতিরিক্ত বিমান মোতায়েন এবং আন্তর্জাতিক বিভাগে নতুন রুট যোগ করার মাধ্যমে উন্নতি হবে। এছাড়াও ভারতের ভৌগোলিক অবস্থানও বিমান সংযোগের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    ক্রিসিল রেটিং-এর ডিরেক্টর অঙ্কিত কেদিয়া বলেছেন, “আন্তর্জাতিক ভ্রমণের বৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে পুঁজি বাড়াতে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি (International Passenger Carriage) নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ওয়াইডবডি এবং লং-রেঞ্জ ন্যারোবডি বিমানে বিনিয়োগ করছে। এছাড়াও নতুন আন্তর্জাতিক রুট তৈরি করছে এবং দীর্ঘ দূরত্বের নন-স্টপ ফ্লাইট চালু করছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) শুরু হতে আর একমাসও বাকি নেই। আর এরই মধ্যে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) একটি জঙ্গি সংগঠন। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ১ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে ২০ ওভারের (T20 World Cup 2024) বিশ্ব যুদ্ধ। আর এই বিশ্বকাপের লড়াইয়ের আগে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালীন হতে পারে জঙ্গি হামলা। 

    জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি (T20 World Cup 2024) 

    ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকবাজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী,উত্তর পাকিস্তানের প্রো-ইসলামিক স্টেট (IS) এবার লক্ষ্য করছে খেলাধুলোর অনুষ্ঠানগুলিকে। আইএস-র পাকিস্তান-আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান থেকে ভিডিওর মাধ্যমে নাশকতার বার্তা ছড়াচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন দেশের জঙ্গিকাণ্ডের খবর তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সমর্থকদের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের মূল লক্ষ্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের স্টেডিয়ামগুলি।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্তা

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাদের। সেই কাজ তারা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সিইও জনি গ্রেভস বলেন, “আমরা আইসিসির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। যে কয়েকটি মাঠে বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) হবে সেই স্টেডিয়ামগুলি সহ স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিভিন্ন হোটেলে যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। আমি সব দেশকে জানিয়ে দিতে চাই, যে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

    আরও পড়ুন: ভোটের আগে আবাসের টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের, কমিশনে যাবে বিজেপি

     
    উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) ২০টি দেশ খেলবে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ম্যাচগুলি হবে অ্যান্টিগা ও বারবুডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাসে শহরেও হবে টি-টোয়েন্টির মহাযুদ্ধ। ৫ জুন নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রথম ম্যাচ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। আর ৯ জুন নিউ ইয়র্কে রয়েছে ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) হাই টেনশনের ম্যাচ। তবে এই ম্যাচের দর্শকদের উন্মাদনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকেও নজরে থাকবে আয়োজকদের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত জেনোফোবিক (যারা বিদেশিদের ভয় পায়)। কারণ তারা অভিবাসীদের স্বাগত জানায় না।” দিন কয়েক আগে একথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্যই খোলা রয়েছে ভারতের দ্বার।”

    জয়শঙ্করের জবাব (S Jaishankar)

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট এও বলেছিলেন, “ভারতের অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে। খুব ভালো করছে না। যদিও মার্কিন অর্থনীতির নিত্য শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে।” এরও উত্তর দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “প্রথমত, আমাদের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে না। ভারত সব সময়ই একটি অনন্য দেশ। তার আতিথেয়তার জন্য পরিচিত। বিশ্বের ইতিহাসে ভারতই এমন একটি দেশ, যা সর্বদা অভিবাসীদের সাহায্য করেছে। বিভিন্ন সমাজের মানুষ ভারতে আসেন।” ভারত যে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম প্রধান দেশ, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের ঠাঁই হয়েছে পঞ্চম স্থানে। এই দশকের শেষের মধ্যেই ভারত উঠে আসবে এই তালিকার তিন নম্বরে।”

    কী বলেছিলেন বাইডেন?

    ২ মে এক নির্বাচনী জনসভায় আমেরিকার অর্থনৈতিক বিকাশ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাইডেন বলেছিলেন, “আমাদের অর্থনীতির বিকাশের অন্যতম কারণ হলেন আপনারা এবং আরও অনেকে। কেন? কারণ আমরা বিদেশিদের স্বাগত জানাই। আমরা এটা নিয়ে ভাবি। কিন্ত চিনের অর্থনীতি কেন এভাবে থমকে গেল? কেন জাপান সমস্যার মুখে পড়ছে? কেন রাশিয়া? কেন ভারত? কারণ তারা জেনোফোবিক। তারা বিদেশিদের চায় না।”

    আরও পড়ুুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কোথায়, কখন জানেন?

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সপাটে এরই উত্তর দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “তামাম বিশ্বে ভারতীয় সমাজ এমন একটি সমাজ, যেটা ভীষণ মুক্তমনা। ভিন্ন ভিন্ন সমাজ থেকে মানুষ ভারতে আসেন।” সিএএ-র প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।” বিদেশিদের এ দেশে স্বাগত জানাতেই যে এহেন বড় পদক্ষেপ, তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share