Tag: India

India

  • Bangladesh crisis: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    Bangladesh crisis: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশান্তির আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh crisis)। চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। প্রত্যাশিতভাবেই পড়শি বন্ধু দেশের এই অশান্তিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত (Anti Terrorism Crusade)। ভারতের উদ্বেগের কারণ একাধিক।

    ভারতের উদ্বেগের কারণ (Bangladesh crisis)

    এর মধ্যে রয়েছে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা, উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি বজায় রাখা, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি, সে দেশের নয়া সরকারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলা। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই খানিকটা হলেও ধাক্কা খাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    হাসিনাকে বেশি গুরুত্ব ভারতের

    বরাবরই ভারত বিএনপির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগকে। এর কারণ হল, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের প্রতি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গী। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সন্ত্রসবাদী সংগঠনের হাত। ৭/১১-র মুম্বই ট্রেনে বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালের জয়পুর বোমা হামলা, ওই বছরই আমেদাবাদে বিস্ফোরণ, ২০১০ সালে জামে মসজিদে হামলা, বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ, ২০১১ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং আরও অনেক জঙ্গি কার্যকলাপের নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সংগঠনের হাত (Bangladesh crisis)। দেশজুড়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে।

    ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না লস্কর-ই-তৈবা। ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে তারাই। ২০০২ সালে মুম্বইয়ে ১১টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এসবেরই নেপথ্যে ছিল ওই দুই জঙ্গি সংগঠনের হাত। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, হাসিনা-হীন জমানায় এই জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে ডেরা বেঁধেছিল। সেখান থেকেই চক্রীরা ভারতে চালিয়ে গিয়েছিল একের পর এক অপারেশন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। জঙ্গিরা ভারতে অপরাধ করে দিব্যি ঢুকে যেত হাসিনা-হীন সরকারের ছাতার তলায়। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে তারা চলে যেত পাকিস্তানে।

    আরও পড়ুন: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জঙ্গি সংগঠনগুলির লাগাম ধরতে বিএনপি কিছুই করেনি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কোমর কষে নামেন হাসিনা। সেই প্রক্রিয়াই আপাতত ধাক্কা খাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা পাকিস্তানের আইএসআই এবং চিনের কাছে (Anti Terrorism Crusade) ‘পৌষ মাস’ হয়ে দাঁড়াল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Bangladesh crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: স্বস্তির প্রত্যাবর্তন! বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন ২০৫ ভারতীয়

    Bangladesh Crisis: স্বস্তির প্রত্যাবর্তন! বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে ফিরলেন ২০৫ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঢাকাগামী সমস্ত বিমান পরিষেবা বাতিল করেছে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থা। বাংলাদেশে গিয়ে সেখানে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। দেশে পরিবারের লোকজন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এই আবহের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) একটি বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন ২০৫ জন ভারতীয়। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে দিল্লি নামেন ওই যাত্রীরা। তাদের মধ্যে ছিল ছয় শিশুও। বিমান সংস্থার এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মধ্যরাত পেরিয়ে ঢাকায় পৌঁছয় বিমানটি। সেখান থেকে এদিন ভারতীয়দের নিয়ে দিল্লি ফেরে।

    দিল্লি-ঢাকা রুটে বিমান পরিষেবা চালু! (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে দিল্লি-ঢাকা (Bangladesh Crisis) রুটে ফের বিমান পরিষেবা চালু করল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না এখনই। ওই রুটে আপাতত প্রতিদিন মাত্র দু’টি উড়ান চালু থাকছে। আপাতত দিনে এবং সন্ধ্যায় একটি বিমান দুই দেশের মধ্যে চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া। পাশাপাশি, বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিষেবা চালুর পথে ভিস্তারা এবং ইন্ডিগোও। ভিস্তারার একটি বিমান প্রতিদিন মুম্বই থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। এছাড়া দিল্লি-ঢাকা সাপ্তাহিক তিনটি বিমান চলবে। সাধারণত, ইন্ডিগো বিমানসংস্থার দিল্লি, মুম্বই এবং চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী তিনটি দৈনিক উড়ান রয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য রয়েছে দৈনিক দু’টি বিমান। তবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে দৈনিক কতগুলি উড়ান চালু থাকবে (Air India), তা এখনই বলা যাচ্ছে না। শুধু বিমান নয়, বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী ট্রেন, বাসও। ফলে দু’দেশেই আটকে পড়েন বহু নাগরিক। তবে, আপাতত বিমান পরিষেবা চালু হওয়ায় খানিকটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন দুই দেশে আটকে থাকা যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) কী বলল?

    এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) থেকে ভারতে যাত্রীদের ফেরানোর জন্য মঙ্গলবার গভীর রাতে বিমানটি রওনা দেয়। অশান্ত পরিবেশে ঢাকা বিমানবন্দরে পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও খুব কম সময়ের নোটিশে দিল্লিতে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে পেরেছে বিমানটি।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে পেট্রাপোল, বেনাপোল, হিলিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের স্থলবন্দরের গেট। বুধবার চালু হল বিমান পরিষেবাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি মা’’, জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব

    Sheikh Hasina: ‘‘শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি মা’’, জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর শেষ মুহূর্তেও দেশ ছাড়তে চাননি শেখ হাসিনা। পরিবারের জোরাজুরিতেই নিতে হয় কঠিন সিদ্ধান্ত। হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পর এমনটাই জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সাজিব ওয়াজেদ জয়। 

    ঠিক কী জানিয়েছেন সাজিব ওয়াজেদ জয়? 

    বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) ও শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, “মা থাকতে চেয়েছিলেন। কোনওভাবেই দেশ ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু আমরাই জোর করি, বলি যে এই দেশ আর সুরক্ষিত নয় তোমার জন্য। মায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম আমরা। তাই সবাই তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলি।” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ”আমি আজ সকালেই মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অরাজক। মা (Sheikh Hasina) ভালো আছেন, তবে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট হতাশ। মায়ের কণ্ঠে স্পষ্ট হতাশা ছিল। মায়ের কাছে এটা অত্যন্ত দুঃখের কারণ গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে উন্নত করার জন্য তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন। বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্ন ছিল তাঁর। এতদিন ধরে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদীদের থেকে দেশকে সুরক্ষিত রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ বিরোধী ও সন্ত্রাসীরা ক্ষমতা দখল করে নিল।” 

    আরও পড়ুন: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে এর পরবর্তীতে তিনি কোথায় যাবেন, হাসিনার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সে কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি তাঁর ছেলে। তবে তিনি জানিয়েছেন, ”আশা করছি বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। কিন্তু যেভাবে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের নিশানা করা হচ্ছে, তা দেখে আমি জানি না কতটা মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব। আমার পরিবারের আর দায়িত্ব নয় এটা। আমরা দেখিয়েছি, দেশের জন্য আমরা কী কী করতে পারি, বাংলাদেশের উন্নয়নে কী কী করেছি। আওয়ামি লিগ এখনও দেশের সবথেকে জনপ্রিয় দল। বিএনপির ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা শেষবার দেখেছিলাম ওরা ক্ষমতায় আসার পর কী হয়েছিল। দেশকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদীদের খোলা হাতে ছুট দিয়েছিল। সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। যদি বাংলাদেশের মানুষ সঠিক মানুষের পাশে না দাঁড়ায় এবং ক্ষমতা দখল করে নিতে দেয়, তবে এই নেতৃত্বই তাদের প্রাপ্য।”  

    গণভবনে ঢুকে লুটপাট (Bangladesh Crisis) 

    অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পরেই গণভবনে ঢুকে লুটপাট চালায় আন্দোলনকারীরা। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সে সমস্ত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গোটা গণভবন মানুষের দখলে। অনেককে আবার কোলবালিশ, ঘটি-বাটি ও বালতি ভরে গণভবনের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। কারও হাতে চেয়ার, কারও হাতে বড় মাছ তো কারও হাতে খরগোশ, ছাগল এমনকী রাজহাঁসও দেখা গিয়েছে। এছাড়াও টিভি, ফ্রিজ, হাসিনার ব্যবহৃত শাড়ি সহ বিভিন্ন জিনিসের দখল নিয়েছেন। মোদ্দা কথা, যে যেভাবে যা পেয়েছে নিয়ে গিয়েছেন। এই গোটা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) ছেলে বলেন, ” একটা সময় এই দেশের স্বাধীনতার জন্য আমার পরিবার কঠোর সংগ্রাম করেছিল। তবে আজ দেশের এই পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক, কারণ এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চুপ করে আছে।”   

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    Sheikh Hasina: ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত কি ভারতেই থাকবেন হাসিনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদিচ্যুত হয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সোমবার ভারতে আসেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। তবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী? কোথায় থাকবেন হাসিনা? শেখ হাসিনা কি ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন নাকি ব্রিটেনে যাবেন? এই নিয়ে চরম জল্পনা চলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্ডন থেকে বাংলাদেশি বায়ুসেনার বিমানটি আকাশে ওড়ার পর থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা এবং গোয়েন্দারা। এই পরিস্থিতিতে হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে, হাসিনার ছেলে ওয়াজেদ সজীব ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর মা আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। রাজনীতিতে যোগ দেবেন না। বিশেষ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ব্রিটেন রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়া পর্যন্ত আপাতত ভারতেই থাকবেন হাসিনা। ইতিমধ্যেই তাঁকে সাময়িকভাবে ভারতে থাকার অনুমোদন দিয়েছে নয়াদিল্লি।  

    যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাইছেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    গণ-আন্দোলনে জ্বলছে অশান্ত বাংলাদেশ। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লির কাছে হিন্ডন সামরিক বিমানঘাঁটিতে শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে অবতরণ করে একটি বাংলাদেশি বায়ুসেনার সিজে-১৩০ বিমান। শোনা যাচ্ছিল, জ্বালানি নিয়ে সেটি রওনা দেবে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে। কিন্তু তারপর শোনা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক নির্দেশ পাওয়া যায়নি। ফলে এরপর আর ভারত (India) ছাড়তে পারেননি হাসিনা। জানা গিয়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন তাঁরা। তবে উল্লেখ্য, “বাংলাদেশের জনক” শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে অর্থাৎ হাসিনার বোন রেহানা ব্রিটিশ নাগরিক। 

    আরও পড়ুন: ভারতে আশ্রয় পেলেন হাসিনা, অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তায় দিল্লি

    ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয়

    প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের পর অভিভাবকহীন দেশের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। অর্থাৎ প্রতিবেশি দেশটির ক্ষমতা এখন সেনাবাহিনীর হাতে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ” আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব।” এদিকে, এই অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে রাতের বেলা সেনার তরফ থেকে কমান্ডারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। হিন্দুদের ওপর হামলা হলে সেই সব নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। প্রতিবেশী দেশের এই পরিস্থিতিতে ঢাকার ভারতীয় (India) হাইকমিশন হাই অ্যালার্টে রয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা সেখানে ভারত-বাংলাদেশ সমন্বয় প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতীয় এজেন্সিগুলির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বর্তমানে বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছেন, যাঁরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম— সমস্ত এলাকায় উপস্থিত ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South Kashmir: শিশুদের মধ্যে মাদক ব্যবহার রোধে “সেরা পারফর্মিং” জেলা দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান

    South Kashmir: শিশুদের মধ্যে মাদক ব্যবহার রোধে “সেরা পারফর্মিং” জেলা দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকায় মাদকাসক্তির ব্যাপকতা একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে কম বয়সীদের মধ্যে মাদকাসক্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছিল। জেলা প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ কাশ্মীরের (South Kashmir) শোপিয়ান শিশুদের মধ্যে মাদক (Drug) ব্যবহার রোধে “সেরা পরফর্মিং” জেলা হয়ে উঠেছে।

    প্রহরী ক্লাবএবং সিসিটিভি ক্যামেরা মোতায়েন (South Kashmir)

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোপিয়ান (South Kashmir) জেলার অধিকাংশ ওষুধের দোকানে মাদক বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নজরদারির জন্য ওষুধের দোকানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সেই সিসিটিভিতে ক্রমাগত মনিটরিং করা হয়। মাদকে আসক্ত হলে কতটা ক্ষতি হতে পারে তা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে “প্রহরী ক্লাব” তৈরি করা হয়েছে। বাছাই করা ছাত্রছাত্রীরা সেখানে রয়েছে। তারা নিজেদের বন্ধুদের মধ্যে মাদকের খারাপ দিক তুলে ধরছে। এছাড়া স্কুল, কলেজের শিক্ষক, অধ্যাপকরা এই বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। “প্রহরী ক্লাবের” সদস্যরা নেশা মুক্তি নিয়ে ক্রমাগত প্রচার করে চলেছেন। আর তাঁদের এই কার্যকলাপ অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সমাজ কল্যাণ দফতরও এই বিষয়ে জেলাজুড়়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    ডেপুটি কমিশনার কী বললেন?

    শোপিয়ানের (South Kashmir) ডেপুটি কমিশনার ফজলুল হাসিব বলেন, গত দুবছর ধরে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আর মাদকের গুণাগুণ রয়েছে এমন ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৪২০টি ওষুধের দোকানে  সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আর ওষুধ বিক্রির তথ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রমাগত তাতে নজরদারি চালানো হয়।

    মাদক বাজেয়াপ্ত!

    পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৪৪টি এনডিপিএস মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০২৩ সালে সেটা বেড়ে ৯০টি হয়েছে। আর চলতি বছরে জুলাই মাস পর্যন্ত ৩৯টি মামলা রুজু হয়েছে। আর ২০২২ সালে ১৮৪ কেজি চরস (Drug) বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। ২০২৩ সালে ২২১ কেজি চরস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সাত মাসে ৪৯৩ কেজি পোস্তর দানা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    PM Modi: চাপিয়ে দেওয়া নয়, ৩৭০ ধারা নিয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের সম্মতিতে, জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৭০ ধারা (Article 370) নিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেয়ে জনগণের সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পেঙ্গুইন এন্টারপ্রাইজের প্রকাশনায় ‘৩৭০: আনডুয়িং দ্য আনজাস্ট, এ নিউ ফিউচার ফর জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর’- বইটিতে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, বইটি এই মাসেই প্রকাশিত হতে চলেছে। 

    এই বইটির বিষয়বস্তু কী? (Article 370)  

    জানা গিয়েছে, বইটিতে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কীভাবে মোদি নিজের লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রকাশকরা বলেছেন, ”ভারতের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ সাংবিধানিক কীর্তি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) কীভাবে আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন তার ভিতরের ইতিহাস বর্ণিত আছে এই বইতে।” অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব কিছুরই উল্লেখ আছে এই বইতে। 

    আরও পড়ুন: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    কাশ্মীরের ইতিহাস

    ১৯৪৭ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদের খসড়া তৈরি করেছিলেন শেখ আবদুল্লা। সেই সময় তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন মহারাজা হরি সিং এবং জওহরলাল নেহরু। তবে অস্থায়ী ভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না আবদুল্লা। তিনি স্থায়ীভাবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। তবে তাতে রাজি ছিল না কেন্দ্র।  

    অগ্রিম প্রশংসা বিদেশমন্ত্রীর 

    বইটির জন্য অগ্রিম প্রশংসা করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিশিষ্ট বিবরণ যা জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার পটভূমিকে সঠিক ভাবে প্রকাশ করেছে। এই বইটির মাধ্যমে কীভাবে পূর্ববর্তী যুগের রাজনৈতিক গণনা এবং ব্যক্তিগত প্ররোচনাগুলি শেষ পর্যন্ত জাতীয় অনুভূতি দ্বারা প্রতিহত হয়েছিল তা প্রকাশিত হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় ধাক্কা, রাজ্যকে হলফনামা দিতে সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওবিসি (OBC) সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) হাইকোর্টের রায়ে তো কোনও স্থগিতাদেশ দেয়ইনি, উল্টে রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্ট যায় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ না দিয়ে রাজ্যের থেকে হলফনামা চাওয়া হয়েছে।

    কী নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত? (Supreme Court)

    প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে সোমবার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে। রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরই এই মামলায় পরবর্তী নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। তবে তার আগে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওবিসি তালিকাভুক্ত ৭৭টি সম্প্রদায় নিয়ে কী ধরনের সমীক্ষা করা হয়েছিল, তা শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না, সে কথাও জানাতে হবে হলফনামায়। রাজ্যের বক্তব্য জানার পর আগামী সপ্তাহের শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল!

    ২০১০ সালের পর যে ওবিসি (OBC) শংসাপত্রগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলি আইন না মেনেই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। গত ২২ মে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের জন্য। ওই নির্দেশের ফলে রাজ্যে ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও চাকরির সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্য সরকারের আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে গেলে স্থগিতাদেশ  মিলবে। সেখানেও ধাক্কা খেল মমতার সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    Sheikh Hasina: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এরই মধ্যে খবর,  বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সূত্রের খবর, দেশ ছাড়ার আগে হাসিনা একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। সোমবার সকালে হাসিনা ও রেহানা তাঁদের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনে চলে যান। সেখান থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে উড়ে যান দুই বোন। 

    গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের একটাই দাবি ছিল— হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের পদত্যাগ। রবিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হচ্ছিল। আর এরই মধ্যে সোমবার বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন হাসিনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দেশ ছেড়েছেন তিনি।  পরে, সেনাপ্রধান সেই খবরে সিলমোহর দেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আপনারা শান্তি-শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসুন।’’ 

    গণভবন এখন আন্দোলনকারীদের দখলে

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তার দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙছেন তাঁরা। ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গণভবনে লুট চালাচ্ছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। কারও হাতে দামি জিনিসপত্র, কারও হাতে মুরগি। কেউ বা ছুটছেন চেয়ার হাতে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতায় যাচাই করেনি মাধ্যম। সব মিলিয়ে তুমুল অশান্ত গোটা বাংলাদেশ। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আবার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল পরিষেবা। পুলিশের পরিবর্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। রাস্তায় নেমে পড়েছে সাঁজোয়া গাড়ি। 

    জাতির উদ্দেশে ভাষণ সেনাপ্রধানের

    হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সেনাবাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের বিশিষ্টজন এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়াকার উজ জামান। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনতাকে বলেছেন, হিংসা পরিহার করে সংযত হওয়ার এবং শান্তি বজায় রাখার।  

    আরও পড়ুন: ‘জামাতের হাতে রাশ, নেপথ্যে পাকিস্তান’! হিংসা নিয়ে দিল্লিকে কী জানাল ঢাকা?

    সেনার অধীনে তদারকি সরকার গঠিত হতে পারে (Bangladesh) 

    এদিন ভাষণে বাংলাদেশের জনতার উদ্দেশে সেনাপ্রধানের আর্জি, ”আপনারা শান্তি বজায় রাখুন। ভাঙচুর করবেন না। আমি নির্দেশ দিয়েছি পুলিশ বা সেনাবাহিনী গুলি চালাবে না। আমরা এর আগে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিশিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করব। আপনারা সেনাবাহিনীর উপর আস্থা রাখুন। সশস্ত্র বাহিনীর উপর আস্থা রাখুন, আমরা সমস্ত দায় দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। আপনারা এখনই আশাহত হবেন না। আপনাদের যত দাবি আছে, তা আমরা পূরণ করব এবং দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    Love Jihad: ফের লাভ জিহাদ! মুসলিমে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ, আত্মহত্যা হিন্দু কলেজ ছাত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশ। সব কিছু জেনে বুঝেও চোখের সামনে নিজের কন্যা সন্তানকে হারালেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ময়নপুরিতে কুরাভালি থানা এলাকার একটি হিন্দু পরিবার। মুসলিম যুবকের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার জন্য মুসলিম যুবকের ক্রমাগত চাপ সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে ওই হিন্দু যুবতী আত্মহত্যা করেছেন। ওই যুবতী বিএসসি পড়ছিলেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক মহম্মদ ওয়াসিফ আনসারির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার বাড়ি ঘরনাজপুর এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের চাপ! (Love Jihad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে মা, ছোট ভাই থাকে। আর বাবা দিল্লিতে পুলকার চালান। ওই ছাত্রীর বাড়িতে ওই মুসলিম যুবক প্রায়ই আসত। কোনও এক সময় তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে আনসারি তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। এরপর তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাঁকে মুলসিম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আর সেটা না করলে অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে। এমনকী আর তার কথা মতো মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করলে তাঁকে অ্যাসিড মারার হুমকি দেয় আনসারি। নিহত ছাত্রীর মা বলেন, মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল। আমি ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা কিছু করেননি। উল্টে আমাকে গালিগালাজ করেছিল। আমি বিষয়টি আমার স্বামীকে জানিয়েছিলাম। এরমধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল। এভাবে আমার মেয়ে (Love Jihad) চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: পরপর মন্দিরে হামলা, নেতাকে হত্যা! বাংলাদেশে ফের টার্গেট হিন্দুরা

    নিহত ছাত্রীর বাবা কী বললেন?

    নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মেয়ের অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ওই মুসলিম যুবক ব্ল্যাকমেল করত। বিয়ে করতে রাজি না হলে সে আমার ছোট ছেলেকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল। আর বার বার মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দিচ্ছিল। ২৯ জুলাই ওই যুবক বিয়ের করার দিন ঠিক করেছিল, না হলে মেয়ের মুখে অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়েছিল। সেটা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আর কোনও হিন্দু মেয়ের (Love Jihad) সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তা দেখার জন্য প্রশাসনকে বলব। আর অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ময়নপুরির (Uttar Pradesh) পুলিশ সুপার বিনোদ কুমার বলেন, “কুরভালি এলাকায় একটি মেয়ে তাঁর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। ওয়াসিফ নামে এক যুবক উত্ত্যক্ত করে তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ পেয়েছি। মৃত্যুর কারণ শনাক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    India: মদের ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পথে মোদি সরকার, পার পাবেন না সেলিব্রিটিরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সারোগেট’ বা ঘুরিয়ে মদের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করবে ভারত (India)। এক মাসের মধ্যে নিয়ম চূড়ান্ত হতে পারে। মদের বিজ্ঞাপন নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের পথে মোদি সরকার। সম্প্রতি মদের ব্র্যান্ডগুলির সারোগেট বিজ্ঞাপনের (Liquor ad Rules) বিধি লঙ্ঘনের বেশ কয়েকটি উদাহরণ সামনে এসেছে। এর পরেই সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (CCPA) কোম্পানিগুলিকে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় হিসাবে একই ব্র্যান্ডের অধীনে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলির তালিকা চেয়েছে। অন্যদিকে, কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে বলেছে যে কোনও নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে না। 

    বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য জরিমানা (India)

    নতুন নিয়ম অনুসারে, কার্লসবার্গ, পেরনোড রিকার্ড এবং ডিয়াজিওর মতো কোম্পানিগুলি ভারতে সারোগেট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মূল পণ্যের প্রচার চালিয়ে গেলে ৫০ লাখ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ঘটনাচক্রে, ভারতে অ্যালকোহল নির্মাতাদের সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের মদের ব্র্যান্ডের প্রচার করা নিষিদ্ধ। তাই, কোম্পানিগুলি “সারোগেট বিজ্ঞাপন” পদ্ধতি বেছে নেয়। ফলে প্রায়শই এ ধরনের বিজ্ঞাপনে জল, মিউজিক সিডি, কাচের পাত্র ইত্যাদির পরিবর্তে কম আকাঙ্খিত জিনিস দেখিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। 

    দায়ী হবে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিরাও 

    উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ব্রুয়ার কার্লসবার্গ ভারতে (India) তার টিউবর্গ পানীয়ের প্রচার করে। এই বিজ্ঞাপনে ফিল্ম স্টারদের একটি ছাদের পার্টিতে দেখানো হয়। যেখানে এই বিজ্ঞাপনের স্লোগানই হল “টিল্ট ইয়োর ওয়ার্ল্ড”। অন্যদিকে, আর এক প্রতিযোগী ব্র্যান্ড ডিয়াজিওর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট জিঞ্জার এলের ইউটিউব বিজ্ঞাপন ইতিমধ্যেই ৬০ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে৷ ফলে, এবার থেকে নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন তৈরি না হলে এই ধরনের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত সেলেব্রিটিদেরও দায়ী করা হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    নতুন এই ব্যবস্থাটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে শিশু এবং তরুণ প্রজন্ম সারোগেট বিজ্ঞাপন (Liquor ad Rules) দ্বারা প্রভাবিত না হয়। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, অ্যালকোহল বিজ্ঞাপনের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে “সাশ্রয়ী পদক্ষেপ”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share