Tag: India

India

  • S Jaishankar: পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নেহরুকেই কাঠগড়ায় তুললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে নেহরুকেই কাঠগড়ায় তুললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতভূমের যে সব অংশ চিন দখল করে রেখেছে, সেজন্যও নেহরুই দায়ী বলে দাবি তাঁর।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “দীর্ঘদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল ভারত। কিন্তু তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন যে ভারতের আগে চিনকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া উচিত।” নেহরুর চিন ফার্স্ট নীতির কারণে এখনও রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য না হলেও, অচিরেই ভারত সেই মর্যাদা পাবে বলেও প্রত্যয়ী বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

    প্যাটেল সতর্ক করেছিলেন নেহরুকে!

    মঙ্গলবার আমেদাবাদে গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর বলেন, “১৯৫০ সালে চিন নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে সতর্ক করেছিলেন সর্দার প্যাটেল (তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল)। নেহরুকে প্যাটেল বলেছিলেন, আগে এই প্রথমবার আমাদের দুদিকেই (পাকিস্তান ও চিন) একটি পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে। যা আগে কখনও হয়নি। সেই সঙ্গে নেহরুকে প্যাটেল বলেছিলেন যে চিনারা যা বলছেন, তাতে তাঁর ভরসা নেই। কারণ ওঁদের উদ্দেশ্যটা অন্য কিছু ছিল এবং আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”

    আরও পড়ুুন: “থানায় চা-টোস্ট আনতেন শাহজাহান”, দাবি করলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর

    জয়শঙ্কর বলেন, “সেই সময় নেহরু প্যাটেলকে বলেছিলেন যে আপনি অহেতুক চিনাদের নিয়ে সন্দেহ করছেন। তাছাড়া হিমালয়ের ওপার থেকে আমাদের ওপর হামলা চালানো অসম্ভব।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “কয়েক বছর পরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময় নেহরু বলেছিলেন, আমরা স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু চিন যাতে আগে স্থায়ী সদস্যপদ পায়, সেটা প্রথমে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “আজ আমরা ইন্ডিয়া ফার্স্ট বলছি। একটা সময় ছিল, যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী চিন ফার্স্ট বলতেন।”

    তিনি বলেন, “আজও যখন সীমান্ত নিয়ে কথা হয়, কেউ কেউ বলেন সীমানা পুনর্বিন্যাস হোক। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের সীমানা আমাদেরই রয়েছে। এনিয়ে আমাদের সন্দেহ কোনওকালেই ছিল না (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ যদি আমি আপনার বাড়ির নাম বদলে দিই, তাহলেই কী বাড়িটা আমার হয়ে যায়?” দক্ষিণ গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রশ্নটি ছুড়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ মাঝে মধ্যেই ভারতের এই অঙ্গরাজ্যটির বিভিন্ন অংশের নাম বদলে দিচ্ছে চিন।

    অরুণাচলের নাম বদলাচ্ছে চিন (S Jaishankar)

    ফি বছর মানচিত্র প্রকাশের আগে অরুণাচলের এক একটি এলাকার নাম বদলে দিচ্ছে চিন। সম্প্রতি ফের অরুণাচলের ৩০টি এলাকার নাম বদলে দিয়েছে বেজিং। চিন যে ৩০টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ১২টি পর্বত, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি পর্বত গিরিপথ, ১১টি আবাসিক এলাকা এবং একটি জমি। চিনা ভাষায় জায়গাগুলির নামও লিখে ফেলেছে ড্রাগনের দেশ। এদিনের অনুষ্ঠানে সেই কারণেই চিনকে নিশানা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    তিনি বলেন, “আজ যদি আমি আপনার বাড়ির নাম বদলে দিই, তাহলেই কী বাড়িটা আমার হয়ে যায়? অরুণাচল প্রদেশ চিরকাল ভারতের ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই নাম পরিবর্তনের কোনও প্রভাব পড়বে না। আমাদের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সেখানে (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়)।” ১৯১৭ সালে চিন অরুণাচলের ছ’টি জায়গার জন্য ‘প্রমিত’ নামের একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছিল। ২০২১ সালে ১৫টি জায়গার নাম সম্বলিত দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে বেজিং। এতে নাম ছিল ১১টি জায়গার।

    তার পর এবার ফের বদলে ফেলল অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নাম। তিনি বলেন, “এটা (অরুণাচলের জায়গার নাম বদল) নতুন কোনও ইস্যু নয়। এটা চিনের দাবির বর্ধিত অংশ। তাদের এই দাবি আগেও হাস্যকর ছিল, এখনও হাস্যকরই রয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    দিন কয়েক আগে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও বলেছিলেন, “অরুণাচল ইস্যুতে আমাদের অবস্থান বরাবর স্পষ্ট। তাই চিন যতবার ইচ্ছা, তার ভিত্তিহীন দাবির পুনরাবৃত্তি করতে পারে। তবে কী জানেন, অরুণচল প্রদেশ ভারতের ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Guyana Relation: প্রতিরক্ষা সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! ভারত থেকে পণ্যবাহী বিমান কিনছে গায়ানা

    India Guyana Relation: প্রতিরক্ষা সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! ভারত থেকে পণ্যবাহী বিমান কিনছে গায়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ানাকে হিন্দুস্থান অ্যারোনোটিক্স লিমিটেড বা হ্যালের তৈরি দুটি ডর্নিয়ার-২২৮ সামরিক পণ্যবাহী বিমান সরবরাহ করেছে ভারত (India Guyana Relation)। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার একটি দল গায়ানায় রয়েছে। ওই দলই বিমান দুটি গায়ানার হাতে তুলে দেবে। ভারতের তরফে বার্তা, ডর্নিয়ার বিমান হস্তান্তর ভারত ও গায়ানার মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

    ভারতকে ধন্যবাদ

    ভারত থেকে বিমান নিয়ে গায়ানায় যাওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার (India Guyana Relation) দলকে সেই দেশে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের হাইকমিশন জানায়, “এই চুক্তির ফলে ভারত-গায়ানা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।” এই বিমানগুলি গায়ানায় নানা কাজে ব্যবহার করা হবে। দূরবর্তী অঞ্চলে সংযোগ স্থাপন, চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য দানে ব্যবহার করা হবে ডর্নিয়ার বিমানগুলি।

    গায়ানার প্রেসিডেন্টের বার্তা

    গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি জানান এই বিমানগুলি রবিবারই পৌঁছে গিয়েছে। তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড গায়ানা প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দুটি ডর্নিয়ার-২২৮ প্লেন সরবরাহ করেছে। বিমান দুটি বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার সামরিক পরিবহণ বিমানে চড়ে গত সন্ধ্যায় চেড্ডি জগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।”

    প্রসঙ্গত, গায়ানার (India Guyana Relation) প্রেসিডেন্ট ইরফান আলির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক রয়েছে। ইন্দো-গুয়ানিজ মুসলিম পরিবারে জন্ম ইরফান আলির। ব্রিটিশ জমানায় তাঁর পূর্বপুরুষরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে গায়ানা যান। তাঁর কথায়, ভৌগোলিকভাবে দুটি দেশ আলাদা হলেও দুই দেশের ঔপনিবেশিক অতীত, প্রধানত কৃষি এবং গ্রামীণ-ভিত্তিক অর্থনীতি এবং বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ উভয়কে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Onion Export: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    Onion Export: ইদের আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের প্রথম চালান বাংলাদেশে পৌঁছল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত থেকে পেঁয়াজের (Onion Export) প্রথম চালান বাংলাদেশে (Bangladesh) পৌঁছল রবিবার। এদিন বিকেলে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ পাঠানো হয়। রবিবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজের চালান দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে পৌঁছয়। রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। দর্শনা পৌর মেয়র ও রেলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু জানান, রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইদের আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে খুশি ঢাকা। 

    রফতানির অনুমতি

    বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ (Onion Export) রফতানির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় ভোক্তাবিষয়ক অধিদফতরের সচিব রোহিত কুমার সিং আগেই বলেছিলেন, ভারত বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ, মরিশাসে ১ হাজার ২০০ টন, বাহরাইনে ৩ হাজার টন এবং ভুটানে ৫৬০ টন পেঁয়াজ রফতানি করবে। ব্যবসায়ীদের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই পরিমাণ পেঁয়াজ রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এরই অঙ্গ হিসেবে রবিবারই ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ইদের আগে আরও পেঁয়াজ পাঠানো হবে। রমজানের সময় বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে প্রায় দ্বিগুন।  

    আরও পড়ুন: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের

    রেলপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে

    বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ (Onion Export) রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখন দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত থাকায় রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এর প্রভাব দেশীয় বাজারে পড়বে না বলেই মনে করে কেন্দ্র। ভারতের গেদে সীমান্ত হয়ে রেলপথে পেঁয়াজের প্রথম চালান ইতিমধ্যেই চুয়াডাঙার দর্শনা বন্দরে পৌঁছেছে। এমনটাই জানিয়েছেন দর্শনার স্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুল হুদা।

    কী বলল ঢাকা প্রশাসন?

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবির) ভারত থেকে এই পেঁয়াজ আমদানি করে। ঢাকার তরফে জানানো হয়, রেলে মোট ৪২ ওয়াগনে প্রায় ১ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ওয়াগন দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর পেঁয়াজ খালাস করে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘‘৫০ হাজার টনের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে ১,৬৫০ টন পেঁয়াজ এসেছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে তা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ডিলারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন কোনায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “এটা পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ”, ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা বিজেপির

    BJP: “এটা পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ”, ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা গণতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশ নয়, পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ।” রবিবার এই ভাষায়ই বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’কে নিশানা করল বিজেপি (BJP)। এদিন বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী ইন্ডি জোটের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির প্রসঙ্গ টানেন।

    ত্রিবেদীর নিশানায় ইন্ডি জোট (BJP)

    কংগ্রেসের যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের প্রসঙ্গও টানেন। ডিএমকে এবং আরজেডিও নিশানা করেন সুধাংশু। এক সময় অন্না হাজারের নেতৃত্বে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত’ শব্দবন্ধে গর্জে উঠেছিল রামলীলা ময়দান। ত্রিবেদী (BJP) বলেন, “এদিন সেই ময়দানের সমাবেশের মূল বক্তব্যই হল, প্রত্যেকেই দুর্নীতির সঙ্গে।” তিনি বলেন, “যিনি অনেক নেতাকে এক সময় চোর বলেছিলেন, তিনিও তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটা একটা অদ্ভুত দৃশ্য।” দিল্লির এই ময়দানের সমাবেশে এদিন বিজেপি বিরোধী অন্যান্য কয়েকটি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আপ নেতারাও। সুধাংশুর কটাক্ষ-বাণের অভিমুখ যে সেদিকেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    দুর্নীতি মামলা

    তিনি বলেন, “একাধিক দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ যাদবও এখন তাঁদের নেতা। এঁরা সব এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন তাঁদের পুরানো পাপ লুকোতে। এবং মনে রাখতে হবে, এঁরা প্রত্যেকেই রাম মন্দির নির্মাণের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার হিন্দুত্ববাদের মূলোৎপাটন করতে চেয়েছিলেন।” বিজেপির এই মুখপাত্র বলেন, “এই রাজনৈতিক দলগুলি ভারতের রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এমন একটা সময় তারা এটা করছে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজনীতিতে একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হচ্ছে। এবং এই সরকার যখন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে চলেছে।” তিনি বলেন, “ওরা হল এমন সব রাজনৈতিক দল, যারা কখনও দেশের উন্নতি চায়নি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তাদের মুখের মতো জবাব দেবে।”

    আরও পড়ুুন: দাবদাহে পুড়ছে অযোধ্যা, স্বস্তি দিতে রামলালাকে পরানো হচ্ছে সূতির পোশাক

    প্রসঙ্গত, শনিবারই রামলীলা ময়দানে সমাবেশ করেছিলেন ইন্ডি জোটের নেতারা। দিন কয়েক আগে দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। তার প্রেক্ষিতেই ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন বিরোধীরা (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    PM Modi: “শ্রীলঙ্কাকে কচ্ছতিভু দ্বীপ দিয়েছিল কংগ্রেস, ওদের বিশ্বাস নেই”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেসকে বিশ্বাস করবেন না। ওরা শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল কচ্ছতিভু দ্বীপ।” রবিবার বোমা ফাটালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “চোখ খুলে দেওয়া ও চমকে ওঠার মতো বিষয়। নয়া তথ্য উঠে এসেছে। তাতে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কচ্ছতিভু দান করে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রত্যেক ভারতীয় ক্ষুব্ধ। মানুষ বুঝে গিয়েছে, আমরা কখনও কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারব না।”

    আরটিআইয়ে কী জানা গেল? (PM Modi)

    তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান কে আন্নামালাই তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে শ্রীলঙ্কার হাতে ‘মা ভারতীর’ অংশ কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করার পর তিনি জানতে পারেন, ১৯৭৪ সালে ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার হাতে ১৬৩ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপ তুলে দিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার। সেই সময় ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তথ্য জানার অধিকার আইনে দ্বীপ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কচ্ছতিভু দ্বীপ

    তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে ভারতের তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল এসম সি সেতালবাদ জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপের বিষয়টি (PM Modi) নিয়ে দিনের আলোর মতো স্বচ্ছতা না থাকলেও, ওই দ্বীপের ওপর ভারতের বেশি অধিকার আছে। ভারতের হাতেই কচ্ছতিভু দ্বীপ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সেতালবাদ। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তৎকালীন যুগ্ম সচিব কে কৃষ্ণ রাও জানিয়েছিলেন, কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে শ্রীলঙ্কা যে দাবি করছে, সেটার মজবুত ভিত্তি আছে। তবে কচ্ছতিভু দ্বীপে মাছ ধরার অধিকার পওয়ার জন্য ভারতের হাতে আইনি সুযোগ আছে বলেও সওয়াল করেছিলেন কে কৃষ্ণ রাও। যদিও এখনও কচ্ছতিভু দ্বীপ অঞ্চলে মাছ ধরতে গেলে তামিল মৎস্যজীবীদের ধরপাকড় করে (PM Modi) শ্রীলঙ্কা। অথচ ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে নির্বিঘ্নে মাছ ধরতে পারতেন তামিল মৎস্যজীবীরা। 

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতের গড়ে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর, প্রধান ইস্যু ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “চিন-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে যদি…”, কী শর্ত দিলেন জয়শঙ্কর?

    S Jaishankar: “চিন-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে যদি…”, কী শর্ত দিলেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত। একথা বারংবার জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। চিন-ভারত সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক হবে, তাও জানিয়ে দিলেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী বললেন, “চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে তখনই, যখন চিন সীমান্তে কী পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন করছে তার ওপর। অদূর ভবিষ্যতে বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের পূর্বশর্তও হবে এটাই।” তিনি বলেন, “ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি আমার প্রথম কর্তব্য হল সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা। এই বিষয়ে আমি কোনও কম্প্রোমাইজ করব না।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishanka)

    সম্প্রতি সিঙ্গাপুর, ফিলিপিন্স এবং মালয়েশিয়া সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সব শেষে তিনি গিয়েছেন কুয়ালালামপুরে। সেখানেই প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে এক আলোচনায় যোগ দেন তিনি। প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে চিন প্রসঙ্গ। তখনই কীভাবে পড়শি দেশ চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে, তা জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি দেশ চায় তার প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে। কে চায় না? কিন্তু প্রতিটি সম্পর্কের একটা ভিত্তি থাকে। আমরা এখনও চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”

    ‘আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি’

    তিনি বলেন, “আমি চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সময়ে সময়ে সাক্ষাৎ করি। আমাদের সৈন্যরাও ও দেশের সৈন্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রায়ই। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমরা খুব পরিষ্কার, সেটা হল আমাদের একটা চুক্তি রয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা রয়েছে। আমাদের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। তাই আমরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করি না। আমাদের উভয়পক্ষেরই এই দূরত্বটা বজায় রাখা উচিত। আমাদের যেখানে সেনা মোতায়েন করার কথা, আমরা সেখানেই সেনা মোতায়েন করি। চিনেরও তাই করা উচিত। আমরা চাই দুই দেশের সম্পর্কে ফিরে আসুক স্বাভাবিকতা।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগে পাঞ্জাবে ‘রামধাক্কা’, আপ ছেড়ে বিজেপিতে সাংসদ, বিধায়ক

    বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই স্বাভাবিকতা ফিরতে গেলে সেনা মোতায়েনের যে শর্ত আমাদের রয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। একমাত্র তাহলেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে।” জয়শঙ্কর বলেন, “এ বিষয়ে (সেনা মোতায়েনের বিষয়ে) আমরা খুব, খুব সৎ। চিনের ক্ষেত্রে সীমান্ত সমস্যা থাকায় দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে না বলেই মনে করেন বিদেশমন্ত্রী। যদিও ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে খুবই আন্তরিক বলেও জানান তিনি (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Arvind Kejriwal Arrest: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য, আমেরিকাকে ‘সমঝে’ দিল ভারত

    Arvind Kejriwal Arrest: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য, আমেরিকাকে ‘সমঝে’ দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal Arrest)। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছে আমেরিকা। তার জেরে ভারতের মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে সাউথ ব্লক। ভারত সরকার বুধবার দেশে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অফ মিশনের সঙ্গে ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেছে। তার আগে তাঁকে সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে তলব করা হয়েছিল।

    মার্কিন কূটনীতিককে তলব (Arvind Kejriwal Arrest)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিবৃতি দিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছেন (Arvind Kejriwal Arrest)। এই ঘটনায় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপও আশা করছেন তাঁরা। এর পরেই মার্কিন ওই কূটনীতিককে ডেকে পাঠায় নয়াদিল্লি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে কেন তিনি মন্তব্য করেছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। নয়াদিল্লির তরফে তাঁকে এই বার্তাও দেওয়া হয় যে, অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। কূটনীতিকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন। নাহলে বিরূপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়।

    দিল্লির বার্তা 

    ওয়াশিংটনের প্রতি বার্তায় দিল্লি সাফ জানিয়ে (Arvind Kejriwal Arrest) দিয়েছে, “কূটনীতিতে রাষ্ট্রগুলি অন্যের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে, এমনটাই আশা করা যায়। এই দায়িত্ব গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও বেশি, নয়তো অস্বাস্থ্যকর নজির স্থাপন করতে পারে।” মার্কিন এই কূটনীতিকের আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন জার্মানির দূতাবাসের ডেপুটি চিফ জর্জ এনজুয়েলার। তাঁকেও তলব করা হয়েছিল ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। নয়াদিল্লির তরফে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, জার্মানির মন্তব্য ভারতের বিচারব্যবস্থায় নাক গলানোর শামিল। তাই সেই জায়গা থেকে জার্মানি যেন বিরত থাকে।

    আরও পড়ুুন: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন মামলায় দিল্লিতে তলব তৃণমূলের মহুয়াকে

    ভারতের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, জার্মানির মন্তব্য আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা এবং আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করার শামিল। দিল্লি এও জানিয়েছিল, এই প্রেক্ষাপটে করা পক্ষপাতমূলক অনুমানগুলি একেবারেই অযৌক্তিক (Arvind Kejriwal Arrest)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukrane war: “আমায় বাঁচান”, আর্তি চাকরির খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে ‘ফেঁসে’ যাওয়া বঙ্গবাসীর

    Russia Ukrane war: “আমায় বাঁচান”, আর্তি চাকরির খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে ‘ফেঁসে’ যাওয়া বঙ্গবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাশিয়ায়। সেখানে তাঁদের জুতে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধে (Russia Ukrane war)। তার জেরে না জেনে অনেকেই শরিক হয়ে যাচ্ছেন বছর দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এ খবর আপনাদের অনেক আগেই জানিয়েছে মাধ্যম

    উদ্ধারের করুণ আর্তি (Russia Ukrane war)

    সম্প্রতি ফের প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের আরও এক বাসিন্দার উদ্ধারের করুণ আর্তি। উর্জেন তামাং কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। সেই ভিডিও দিয়ে তাঁর স্ত্রী অম্বিকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছেন। ওই ভিডিওয়ও একই আবেদন করতে দেখা গিয়েছে উর্জেনকে (Russia Ukrane war)। দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত বিদেশমন্ত্রক ও রুশ দূতাবাসে কথা বলে উর্জেনকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

    গহীন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ

    উর্জেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। তাঁর দাবি, চাকরির জন্য জানুয়ারি মাসে একটি সংস্থার মাধ্যমে ভায়া দিল্লি হয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন তিনি। ১৭-১৮ দিন ধরে তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বন্ড পেপারে সই করিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলের মধ্যের এক প্রশিক্ষণ শিবিরে। সেখানে ফের একপ্রস্ত প্রশিক্ষণ চলে। ১০-১২ দিন ধরে বন্দুক চালানো শেখানো হয়। তার পরেই তাঁকে জানানো হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে লড়তে তাঁকে যেতে হবে রণাঙ্গনে। ভিডিও-বার্তায় উর্জেনকে বলতে শোনা যায়, ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি, দয়া করে আমায় বাঁচান। এজেন্টদের কথায় ভরসা করে ফেঁসে গিয়েছি।

    আরও পড়ুুন: হোলির রঙিন শুভেচ্ছা বাইডেনের, টাইমস স্কোয়্যারও মাতল রঙের উৎসবে

    রাশিয়ায় গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন কর্নাটকের কালবুর্গির বাসিন্দা সুফিয়ানও। ভিডিও-বার্তায় সুফিয়ান তাঁকে নিয়ে মোট চারজনের দুর্দশার কাহিনি শুনিয়েছিলেন। এই চারজনকেও অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে। সুফিয়ান বলেছিলেন, “দয়া করে আমাদের বাঁচান। আমরা হাইটেক জালিয়াতির শিকার।” সুফিয়ানের ভিডিও-বার্তা প্রকাশ্যে চলে আসার দিন কয়েক পরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হায়দরাবাদের মহম্মদ আসফান নামে বছর ত্রিশের এক যুবকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। কেন্দ্রের তরফে চলতি মাসেই এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল, রাশিয়ায় এভাবে আটকে রয়েছেন আনুমানিক ২৪ জন। তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে (Russia Ukrane war)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Living Wage: ন্যূনতম মজুরির বদলে ‘লিভিং ওয়েজ’ চালু করার ভাবনা কেন্দ্রের, বিষয়টা কী?

    Living Wage: ন্যূনতম মজুরির বদলে ‘লিভিং ওয়েজ’ চালু করার ভাবনা কেন্দ্রের, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পাঁচ বছরের রোডম্যাপ তৈরি হয়ে রয়েছে বলে দিন কয়েক আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার জানা গেল, ২০২৫ সালের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি তুলে দিয়ে লিভিং ওয়েজ (Living Wage) চালু করতে চলেছে মোদি সরকার। এজন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের সাহায্যও চেয়েছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে এমনই দাবি করা হয়েছে। তবে ঠিক কবে থেকে লিভিং ওয়েজ চালু করা হবে, তা জানা যায়নি ওই প্রতিবেদনটি থেকে।

    লিভিং ওয়েজ (Living Wage)

    প্রশ্ন হল, কী এই লিভিং ওয়েজ? মানুষের মৌলিক চাহিদা – অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো বিষয়গুলির ক্রয়ক্ষমতা যাতে মানুষের তৈরি হয়, সেই পরিমাণ বেতন দেওয়াকেই লিভিং ওয়েজ (Living Wage) বলে। ন্যূনতম মজুরির পরিবর্তে লিভিং ওয়েজের ভাবনাকে সমর্থন করে আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনও। ন্যূনতম মজুরি হল যে পরিমাণ মাইনে দিতেই হয়। আর লিভিং মজুরি হল, মৌলিক চাহিদার জিনিসগুলি কিনতে যত টাকা লাগে, ততটা বেতন দেওয়া। প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্ন উঠবে, ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কি লিভিং ওয়েজ বেশি হবে? প্রতিবেদনটি থেকে জানা গিয়েছে, ন্যূনতম মজুরিতে ভারতে এখন যত টাকা বেতন দেওয়া হয়, তার চেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যাবে লিভিং ওয়েজ চালু হলে।

    কী বলছে সরকার?

    সরকারের তরফে এক আধিকারিক বলেন, “এক বছরের মধ্যেই ন্যূনতম মজুরি ছাপিয়ে গিয়ে মাইনে দেওয়ার নীতি চালু হতে পারে।” লিভিং ওয়েজের ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরতেও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সাহায্য চাইছে কেন্দ্র। সম্প্রতি জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডিতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতে ৫০ কোটিরও বেশি কর্মী, সংখ্যায় যাঁরা ৯০ শতাংশ, তাঁরা কাজ করেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে। তাঁরা দৈনিক মজুরি পান ১৭৬ টাকা কিংবা তার কিছু বেশি। এই পরিমাণের ফারাক ঘটে রাজ্য থেকে রাজ্যান্তরে।

    আরও পড়ুুন: হোলির রঙিন শুভেচ্ছা বাইডেনের, টাইমস স্কোয়্যারও মাতল রঙের উৎসবে

    আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ভারত। ২০৩০ সালের মধ্যে লিভিং ওয়েজ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও তা কার্যকরী হবে আগামী বছরের মধ্যেই। জানা গিয়েছে, মোদি সরকার ন্যূনতম মজুরি থেকে লিভিং ওয়েজ (Living Wage) চালু করতে চাইছে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share