Tag: India

India

  • Andhra Pradesh: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    Andhra Pradesh: জুনের শুরুতেই তীব্র প্রশাসনিক সংকট অন্ধ্রপ্রদেশে! ভারতের একমাত্র রাজ্য, যার রাজধানী নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতি রাজ্যে রাজধানী শহর থাকবে, এ অতি পরিচিত বিষয়। তবে ভারতেই রয়েছে এমন এক রাজ্য (State Without Capital), এই মুহূর্তে যার কোনও রাজধানীই নেই। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এই মুহূর্তে কোনও রাজধানী নেই। আর রাজধানীহীন রাজ্য হওয়ায় বিভিন্ন প্রশাসনিক সংকটের মধ্যে পড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তবে অমরাবতী এবং বিশাখাপত্তনমকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী করা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। 

    কেন এমন পরিস্থিতি? (State Without Capital)

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে আলাদা হয়ে পৃথক এবং নতুন রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল তেলেঙ্গানা। সেই সময়, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যের যৌথ রাজধানী ছিল হায়দ্রাবাদ। ঠিক হয়েছিল ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৪ পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। তারপর, ২০২৪-এর ২ জুন থেকে হায়দ্রাবাদ হয়ে যাবে শুধুমাত্র তেলেঙ্গানার রাজধানী। সেই হিসেব অনুযায়ী ২ জুন, ২০২৪-এ পেরিয়ে গিয়েছে ১০ বছরের সমসয়সীমা। সেদিন থেকিই রাজধানীহীন রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হবে কোন শহর? (Andhra Pradesh) 

    এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী কোন শহর হবে, তা সিদ্ধান্ত না হওয়ায়, সে রাজ্যের রাজধানীই নেই। যদিও ২০১৫ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হিসেবে অমরাবতীর নামের পাশে সিলমোহর দেওয়ার কথা বলেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। অমরাবতীতে স্মার্ট এবং বিশ্বমানের রাজধানী বানানোর জন্য ৫১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কৃষকদের থেকে জমি অধিগ্রহণসহ একগুচ্ছ পদক্ষেপও গ্রহণ করেন। তবে ২০১৯ সালে নির্বাচনে হেরে যান চন্দ্রবাবু। তেলেগু দশম পার্টির পরিবর্তে সে রাজ্যের মসনদে বসে জগমোহন রেড্ডির দল। ক্ষমতায় এসেই তারা নাইডুর পরিকল্পনা স্থগিত করে, কমিয়ে দেয় বাজেটও। ফলে অমরাবতীকে আর রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি।

    কী জানালেন চন্দ্রবাবু নাইডু? 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে হেরে গেলেও এবছর লোকসভা নির্বাচনে ফের অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) ক্ষমতায় ফিরেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দশম পার্টি। তাই শপথ গ্রহণের দিনেই নাইডু জানিয়েছেন, অমরাবতীই হবে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী। এর সঙ্গেই জানিয়েছেন অমরাবতীর পাশাপাশি বিশাখাপত্তনমকে সে রাজ্যের ‘ইকোনমিক ক্যাপিটাল’ এবং উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের জনসংখ্যা (India’s Population) পেরোবে ১৫০ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি। তারপর ধীরে ধীরে ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation)। তখন চিন থাকবে ভারতের থেকে অনেক পিছনে, এমনই বলছে সমীক্ষা। এদেশের জনসংখ্যা থাকবে চিনের প্রায় আড়াই গুণ। 

    কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (India’s Population) 

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা (India’s Population) হতে পারে ১৪৫ কোটি। চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারে। জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। শতাব্দী শেষে ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চিনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দেশে এখন জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ।

    আরও পড়ুন: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    সারা বিশ্বে কী প্রভাব (United Nation)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে। শতাব্দী শেষ হতেই সব মিলিয়ে ১০ কোটি জনসংখ্যা হ্রাস পাবে গোটা পৃথিবী মিলিয়ে। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু হয়েছে। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Setu Secrets: রাম সেতুর রহস্য ফাঁস! সমুদ্রের নীচের মানচিত্র প্রকাশ্যে আনলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

    Ram Setu Secrets: রাম সেতুর রহস্য ফাঁস! সমুদ্রের নীচের মানচিত্র প্রকাশ্যে আনলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্য। অ্যাডামস ব্রিজকেই ভারতীয়রা রাম সেতু হিসেবে চিহ্নিত করেন। এটি চুনাপাথরের তৈরি একটি সেতু যা শ্রীলঙ্কার মান্নার এবং তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম বা পামবান দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত। এবার সেই রাম সেতুরই রহস্য (Ram Setu Secrets) ফাঁস করলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। নাসার (NASA) আইসিইস্যাট-২ (ICESat-2) স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইসরো (ISRO Scientists) রাম সেতুর একটি মানচিত্র তৈরি করেছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ওই স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে রাম সেতুর নিমজ্জিত অংশের ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে।

    কী জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা? (ISRO Scientists) 

    এ প্রসঙ্গে ইসরোর যোধপুর এবং হায়দরাবাদ ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের গবেষকরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের নীচে ডুবে থাকা সেতুটি প্রাকৃতিকভাবেই তৈরি। রাম সেতু (Ram Setu Secrets) আসলে, ভারতের ধনুশকোডি থেকে শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের নীচে স্থলভাগের ‘ধারাবাহিকতা’ বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সায়েন্টিফিক রিপোর্টে ইসরোর এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, “ধনুশকোডি এবং তালাইমান্নার দ্বীপের একটি নিমজ্জিত স্থলভাগের ধারাবাহিকতা হল রাম সেতু, আমাদের গবেষণার ফলাফলগুলি এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। রাম সেতুর দুই পাশে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা অত্যন্ত ঢেউ খেলানো। অতি-অগভীর জলের মধ্যে আকস্মিক গভীর খাদ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়াতেও মোদি ম্যাজিক! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার

    রাম সেতুর রহস্য উন্মোচন

    বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, রাম সেতুর (Ram Setu Secrets) কাঠামো বরাবর ১১টি সংকীর্ণ জলের চ্যানেল রয়েছে। এই চ্যানেলগুলি থেকেই মান্নার উপসাগর এবং পক প্রণালীর মধ্যে জল প্রবাহিত হয়। এই চ্যানেলগুলি থাকার জন্যই সমুদ্রের ঢেউয়ের থেকে রক্ষা পেয়েছে রাম সেতুর কাঠামো। এর আগে, স্যাটেলাইট থেকে রাম সেতুর সমুদ্রের উপরে উন্মুক্ত অংশগুলির মানচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। এই এলাকার সমুদ্র অত্যন্ত অগভীর। কোথাও এক মিটার, কোথাও দশ মিটার গভীরতা। ফলে এই এলাকায় জাহাজে করে মানচিত্র তৈরি করা কঠিন। তাই নাসার স্যাটেলাইট থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠে লেজার রশ্মি বাউন্স করিয়ে এই নয়া মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্রের জলে প্রায় ৪০ মিটার গভীর পর্যন্ত সমুদ্রতলের হদিশ দিতে পারে নাসার উপগ্রহের এই লেজার।

    রামসেতুর ইতিহাস

    রামায়নেও এই রামসেতুর (Ram Setu Secrets) উল্লেখ রয়েছে। রামায়ণের কাহিনি অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার জন্য বানরসেনার সাহায্যে সমুদ্রের উপর এই সেতু তৈরি করেছিলেন রাম। এছাড়াও বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে এই আন্ডারওয়াটার অংশটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুক্ত একটি স্থল সেতু ছিল। খ্রীস্ট পূর্বাব্দ ৯ম শতাব্দীতে পারস্য নাবিকরা এটিকে ‘সেতু বান্ধাই’ নামে উল্লেখ করেন। যার অর্থ সমুদ্রের উপর একটি সেতু। তবে রামেশ্বরমের মন্দিরগুলির নথি থেকে জানা যায় সেতুটি ১৪৮০ সাল পর্যন্ত সমুদ্রের উপর ছিল, পরে একটি ঘূর্ণিঝড়ে এটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: অস্ট্রিয়াতেও মোদি ম্যাজিক! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার

    PM Modi: অস্ট্রিয়াতেও মোদি ম্যাজিক! প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দুদিনের রাশিয়া সফরের পরই মঙ্গলবার রাতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার সারাদিন ঠাসা কর্মসূচি ছিল তাঁর। কিন্তু তার মাঝেই নোবেলজয়ী এবং কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গারের (Anton Zeilinger) সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় তাদের মধ্যে কোয়ান্টাম ফিজিক্স এবং আধ্যাত্মিকতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। আর তখনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ হন নোবেলজয়ী বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী অ্যান্টন জেলিঙ্গার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে তিনি বলেন, “আমার মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি। বর্তমান সময়ে অনেক রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এই গুণ প্রয়োজন।” 

    কী জানালেন নোবেলজয়ী? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী (Anton Zeilinger) বলেন, “খুব ভালো আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। আমরা আধ্যাত্মিক বিষয়, কোয়ান্টম টেকনোলজি, কোয়ান্টম ফিজিক্স নিয়ে আলোচনা করেছি। আমার মনে হয়েছে, উনি একজন আধ্যাত্মিক রাষ্ট্রনেতা। বর্তমান সময়ে অনেক রাষ্ট্রনেতার মধ্যে এই গুণ থাকা প্রয়োজন।”

    এক্স হ্যান্ডস পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর  

    অন্যদিকে, এই সাক্ষাৎকারের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে নোবেলজয়ীর সঙ্গে আলাপের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “নোবেলজয়ী অ্যান্টন জেলিঙ্গারের (Anton Zeilinger) সঙ্গে অসাধারণ বৈঠক হয়েছে। কোয়ান্টম মেকানিক্সে তাঁর কাজ আগামী প্রজন্মের গবেষক ও উদ্ভাবকদের পথ প্রদর্শন করবে। জ্ঞান ও নতুন কিছু শেখার জন্য ওনার আগ্রহ স্পষ্ট দেখা যায়। আমি ন্যাশনাল কোয়ান্টম মিশন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। ওনার লেখা বই পেয়ে খুব খুশি আমি।”

    আরও পড়ুন: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    উল্লেখ্য, পদার্থবিজ্ঞানীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগের দিন, প্রধানমন্ত্রী মোদি অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। নেহামারকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মোদি (PM Modi) বলেন, “উনিশ শতকে এখানেই ঐতিহাসিক ভিয়েনা কংগ্রেস হয়। ইউরোপে শান্তি ফেরাতে যা দিশা নির্দেশ করেছিল। আজ আমি ও চ্যান্সেলর নেহামার ইউক্রেনের হিংসা, পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি— সব নিয়েই কথা বলেছি।” এরপর মোদি বলেন, “আগেও বলেছি, এই সময় যুদ্ধের নয়। কোনও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানিকে মেনে নেওয়া যায় না, তা সে যেখানেই হোক। ভারত ও অস্ট্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শান্তি ফেরানোর জন্য কূটনীতিতে জোর দিতে চাইছে। সবার সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে রাজি।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    Defence Production: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেকর্ড গড়ল ভারতে (India) বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন (Defence Production)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই উৎপাদন গড়েছে রেকর্ড। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফেই জানানো হয়েছে একথা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারতের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১.২৭ লাখ কোটি টাকা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামেই উৎপাদন ছুঁয়েছে এই মাইলস্টোন।” ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। একলপ্তে সেটাই বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য (Defence Production)

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রাম বছরের পর বছর নতুন নতুন মাইলফলক অতিক্রম করছে। আমাদের শিল্পকে অনেক অভিনন্দন যার মধ্যে রয়েছে ডিপিএসইউ, অন্যান্য পিএসইউএস যারা প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরি করে এবং ব্যক্তিগত শিল্প। ভারতকে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার আরও সহায়ক ব্যবস্থা তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রতিরক্ষা (Defence Production) খাতে ভারতের এই বিকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “এই যাত্রায় যাঁরা শামিল হয়েছেন, তাঁদের অবদান অস্বীকার করা যায় না। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে এবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে আমরা পুরোপুরি দায়বদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতকে আমরা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের নেতৃত্বস্থানীয় হাবে পরিণত করব।”

    আর পড়ুন: পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছেই মিলল মধ্যযুগের ইতিহাস, জনতার ভিড়

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে অসাধারণ অবদান রেখেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি ছুঁয়েছে ২১ হাজার ৮৩ কোটি টাকার রেকর্ড। যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৫ শতাংশ বেশি। গত বছর টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।’ বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছে, ‘গত পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা উৎপাদনের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শতাংশের বিচারে (India) এই বৃদ্ধির হার ৬০ (Defence Production)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। প্রতিবছরই ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিনের পর দিন ধরে চলছে কিডনি পাচার চক্র (Organ Transplant Racket)। এবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।   

    বাংলাদেশ থেকে চলত এই চক্র পরিচালনা (Organ Transplant Racket)

    এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার মধ্যে আবার একজন ডাক্তারও রয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই ডাক্তার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি হাসপাতালে ১৬টিরও বেশি অপারেশন করেছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে এই চক্র পরিচালনা করা হত বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই র‍্যাকেটের সঙ্গে জড়িতদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তারা ২৫-৩০ লক্ষ টাকা নিত। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে চলত এই পাচার চক্র?  

    ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তারকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে কাজ চালাত। এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে, দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি ট্রান্সপ্লান্ট (Organ Transplant Racket) করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নথিগুলো সঠিকভাবে যাচাই করেছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের হাসপাতাল থেকে জাল লেটারহেড তৈরি করে শুধুমাত্র ইমেল পরিবর্তন করত। এই অভিযুক্তরা ভালো করেই জানে যে তাদের ইমেল আইডি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাই নতুন ইমেল আইডি তৈরি করা হত, যাতে কোনোভাবেই ইমেল আইডি হ্যাক হয়ে তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    অপরাধ দমন শাখার ডিসিপির মন্তব্য (Delhi Police)

    এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অমিত গোয়েল বলেছেন, “ গত ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের (Organ Transplant Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই র‍্যাকেটের মূল মাস্টারমাইন্ড একজন বাংলাদেশি। দাতা এবং গ্রহণকারী উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি, যে রোগী ও দাতাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিত। এছাড়াও ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • President Murmu: অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টনে মাতলেন রাষ্ট্রপতি! ভাইরাল তাঁর নয়া অবতারের ভিডিও

    President Murmu: অলিম্পিক্সে পদকজয়ী সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টনে মাতলেন রাষ্ট্রপতি! ভাইরাল তাঁর নয়া অবতারের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এক অন্য অবতারে ধরা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। শাড়ি ছেড়ে সালোয়ার কামিজ পরে, কোমরে ওড়না বেঁধে নেমে পড়লেন ব্যাডমিন্টন কোর্টে। তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি। গোটা দেশের অভিভাবকও তিনি। তবে ব্যাডমিন্টন হাতেও যে এভাবে চমক দেখাবেন কে জানত? বুধবার অলিম্পিক পদকজয়ী সাইনা নেহওয়ালের (Saina Nehwal) সঙ্গে ব্যাডমিন্টন কোর্টে মুখোমুখি হলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও 

    বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। সেখানে দেখা যায়, হাতে ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট এবং পায়ে সাদা স্পোর্টস শ্যু পড়ে একেবারে ম্যাচের মুডে রাষ্ট্রপতি। অধিকাংশ সময়ই সম্বলপুরী শাড়িতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Murmu)। কিন্তু, বুধবার সন্ধ্যায় একেবারে অন্য মুডে ছিলেন তিনি। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাডমিন্টন কোর্টে একেবারে দক্ষ খেলোয়াড়ের মেজাজে নেমে পড়লেন দ্রৌপদী মুর্মু (President Murmu)। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ২০১২ অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী সাইনার বিরুদ্ধে ৬৬ বছর বয়সি দ্রৌপদী জিতে নেন একটি পয়েন্টও। সেই দেখে হাততালিতে ফেটে পড়ে ব্যাডমিন্টন কোর্টের দর্শকাসন।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by President of India (@presidentofindia)

    এই ভিডিও পোস্ট করে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়, খেলাধুলার প্রতি খুব স্বাভাবিক ঝোঁক রয়েছে রাষ্ট্রপতির (President Murmu)। তিনি মনে করেন নিয়মিত খেলাধূলা করলে শরীর ও মন তাজা থাকে। সম্প্রতি বিভিন্ন স্পোর্টসে মহিলাদের অংশগ্রহণের পরিসংখ্যানে তিনি খুশি। আর সাইনার সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলতে পেরেও তিনি খুব খুশি। 

    আরও পড়ুন: ‘কোনও প্রশ্নপত্র হারায়নি, ফাঁসও হয়নি’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল কেন্দ্র

    রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন সাইনা

    সাইনা নেহওয়াল, শুধু একজন তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নন বরং পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্তও। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন সাইনা। জানা গিয়েছে, ‘হার স্টোরি-মাই স্টোরি’ নামের ওই অনুষ্ঠানে পদ্ম সম্মান পাওয়া মহিলাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে, সেখানে সাইনা (Saina Nehwal) তাঁর জীবনের কাহিনি নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Population Day: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    World Population Day: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, জানেন এর ইতিহাস ও গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১১ জুলাই ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ডে বা বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)। সারা পৃথিবীতে প্রায় প্রতিনিয়তই দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা। এর ফলে একদিকে যেমন স্থিতাবস্থা নষ্ট হচ্ছে তেমনই বাড়ছে উদ্বেগ। এর ভালো মন্দ দু’রকমের প্রভাবই পড়ছে। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পালিত হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

    বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের ইতিহাস (World Population Day)

    এই দিনটি পালন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন ড. কিসী। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৪০ কোটি এবং ১৮০৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ বিলিয়নে। এরপর ১৯৬০ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৩ বিলিয়ন এবং ১৯৮৭ সালে এই সংখ্যাটি পৌঁছায় ৫ বিলিয়নে। বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়নেরও বেশি। ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)।

    কেন পালন করা হয় (World Population Day)

    এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব পরছে পরিবেশের ওপর। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কারণে দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে এবং যার ফলে প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ওপর। এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়।

    আরও পড়ুন: মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্য! প্রথম বার স্নাইপার রাইফেল রফতানির বরাত পেল ভারত

    ভারতে এর গুরুত্ব (World Population Day)

    বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যার দিকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত (India), জনসংখ্যা প্রায় ১৪১.৭২ কোটি। সব থেকে কম জনসংখ্যা রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির, জনসংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। তবে প্রতিবছর দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। এর ভালো মন্দ দুইই রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, ২০৫০ সালে চিনের সম্ভাব্য জনসংখ্যা হবে ১৩১ কোটিরও বেশি। ওই সময়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত সম্ভাব্য জনসংখ্যা ১৬৬ কোটিরও বেশি। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের মনে। এক্ষেত্রে দেশে পরিবার পরিকল্পনা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রকল্প আবশ্যিক ভাবে কার্যকর করা উচিত বলে অভিমত অনেকের। খাদ্য, বাসস্থান এবং কর্মসংস্থান নিয়ে এমনিতেই রয়েছে নানা সমস্যা। দেশে কমছে চাষযোগ্য জমির পরিমাণও। জন বিস্ফোরণ হলে, সেক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মোহন ভাগবতের মত

    এ বিষয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসংখ্যার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার পক্ষে কথা বলেন। তিনি জানান, জনসংখ্যার ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশের সকলের জন্য জনসংখ্যা নীতি প্রযোজ্য হওয়া উচিত, বলে মনে করেন তিনি। জনসংখ্যা (India) ভারসাম্য হারালে ভৌগলিক সীমারেখার ওপর প্রভাব পড়বে। ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার ভারসাম্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। এই বিষয়টি আর অগ্রাহ্য করা উচিত হবে না বলেও তাঁর মত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Smartphone Addicted Countries: বিশ্বের স্মার্টফোন আসক্ত দেশগুলির শীর্ষে কে? ভারতের স্থান কত?

    Smartphone Addicted Countries: বিশ্বের স্মার্টফোন আসক্ত দেশগুলির শীর্ষে কে? ভারতের স্থান কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মজার ছলে অনেকেই বলেন, আগে ছিল জলের আরেক নাম জীবন, বর্তমানে তা হয়েছে ফোনের আর এক নাম জীবন। ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারেন না বর্তমান প্রজন্ম। তবে শুধুমাত্র ইয়ং জেনারেশন নয় বার্ধক্যের একাকিত্বও অনেকটাই মেটায় ফোন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এসবই এখন সময় কাটানোর সঙ্গী বলা যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে এমন স্মার্টফোনের আসক্তি আজকে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এনিয়ে গবেষণা সামনে এসেছে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই গবেষণাতে দেখা যাচ্ছে শুধু ভারতই নয় আরও একাধিক দেশ রয়েছে যেগুলি স্মার্টফোনে আসক্ত (Smartphone Addicted Countries)।

    তালিকা অনুযায়ী সবথেকে স্মার্টফোন আসক্ত (Smartphone Addicted Countries) এই ২৪ দেশ

        চিন
        সৌদি আরব
        মালয়েশিয়া
        ব্রাজিল
        দক্ষিণ কোরিয়া
        ইরান
        কানাডা
        তুর্কি
        ইজিপ্ট
        নেপাল
        ইতালি
        অস্ট্রেলিয়া
        ইজরায়েল
        সার্বিয়া
        জাপান
        ব্রিটেন
        ভারত
        মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
        রোমানিয়া
        নাইজেরিয়া
        বেলজিয়াম
        সুইজারল্যান্ড
        ফ্রান্স
        জার্মানি 

    সমীক্ষার বিশ্লেষণ

    ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী চিন রয়েছে সবার ওপরে। এই দেশে মোবাইল ডিভাইস ও তার ব্যবহারকারীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। বিশ্বব্যাপী সবথেকে বেশি জনসংখ্যা হল চিনে এবং সেখানকার ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারও ব্যাপক বিস্তৃত। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলির মধ্যে একটি। এখানেও স্মার্টফোন ব্যবহারের সংখ্যা বাকি দেশের থেকে অনেক বেশি। সবথেকে আশ্চর্যের তথ্য হল, প্রথম তিনে থাকা তিনটি দেশই এশিয়ার। অর্থাৎ চিন, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া। এর থেকেই বোঝা যায় ইউরোপ এবং আমেরিকার থেকে বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় এশিয়াতে।

    ভারতের (India) অবস্থান ১৭ নম্বরে

    উক্ত গবেষণা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, স্মার্টফোনের আসক্তির (Smartphone Addicted Countries) দিক থেকে ভারতের (India) অবস্থান ১৭ নম্বরে। ভারতের আগে রয়েছে ব্রিটেন এবং পরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সবথেকে বেশি জনবহুল দেশ হিসেবে চিনের পরেই ভারতের স্থান। তারপরেও ভারত অনেকটাই পিছনে রয়েছে স্মার্টফোনের আসক্তির (Smartphone Addicted Countries) দিক থেকে। আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় ৯৭ শতাংশ নাগরিক আছেন যাঁদের কাছে মোবাইল রয়েছে। অন্য একটি গবেষণা অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ৪৮ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী চিন্তায় পড়ে যান যখন তাঁদের ফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশ বা তার নিচে নেমে যায়। এর নাম দেওয়া হয়েছে মনোফোবিয়া। ইন্টারনেট বা মোবাইল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার যে ভয় তাকেই বলা হয় মনোফোবিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In Austria: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi In Austria: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়।” বুধবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Austria)। এদিন ভিয়েনায় (India Austria Relation) প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারত বিশ্ব সেরা হওয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উজ্জ্বলতম হতে চাইছে। সব চেয়ে বড় হওয়ার চেষ্টা করছে। পৌঁছতে চাইছে উচ্চতম মাইলস্টোনে।”

    শান্তির ললিত বাণী (PM Modi In Austria)

    তামাম বিশ্বকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছেন বুদ্ধের দেশের প্রতিনিধি নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়”। অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েও তিনি বার্তা দিয়েছেন এই বলে যে, “এটা যুদ্ধের সময় নয়”। ভিয়েনায় প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎকালেও তিনি ফের শোনালেন ‘বুদ্ধ’-বাণী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাজার হাজার বছর ধরে আমরা আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে শেয়ার করে চলেছি। আমরা বিশ্বকে যুদ্ধ দিইনি, দিয়েছি বুদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারত সবসময় বিশ্বকে শান্তি এবং সমৃদ্ধি দিয়েছে। তাই একবিংশ শতাব্দীতে ভারত তার ভূমিকাকে মজবুত করতে চলেছে।”

    প্রতীক্ষার অবসান

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে দু’দিনের রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে উড়ে যান অস্ট্রিয়ায়। ইন্দিরা গান্ধীর অস্ট্রিয়া সফরের পর তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি পা রেখেছেন ভিয়েনায়। তাঁর অস্ট্রিয়া সফরকে অর্থপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “৪১ বছর পর ভারতের এক প্রধানমন্ত্রী এই দেশ সফরে এলেন। এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে। সেটি হল, এ বছর ভারত ও অস্ট্রিয়ার বন্ধুত্বের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি।”

    আর পড়ুন: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi In Austria) বলেন, “ভারত ও অস্ট্রিয়া ভৌগোলিকভাবে দুই প্রান্তে অবস্থিত। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে। গণতন্ত্রই দুই দেশকে এক সূত্রে বেঁধেছে। আমাদের মধ্যে বিনিময় হয়েছে মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, সাম্য, বহুত্ববাদ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাও রয়েছে দুই দেশে। আমাদের সমাজ বহুসংস্কৃতির। দুই দেশই জয়গান গায় বৈচিত্রের। এই সব মূল্যবোধ প্রতিফলিত হয় নির্বাচনে।” প্রধানমন্ত্রী যখন বিশ্বকে (India Austria Relation) আরও একবার ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ বার্তা দিচ্ছেন, তখন সভাস্থল বারংবার মুখরিত হচ্ছে ‘মোদি’, ‘মোদি’ ধ্বনিতে (PM Modi In Austria)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share