Tag: India

India

  • Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    Digital Payments: ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে মাইল ফলক স্পর্শ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমে আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করল ভারত। তথ্য বলছে, ২০২২ সালে ভারতে ৮৯.৫ মিলিয়ন ডিজিটাল ট্রানজাকশন (Digital Payments) হয়েছে। বিশ্বে যে সেরা ৫ টি দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে রিয়েল টাইম ডিজিটাল ট্রানজাকশন হয়েছে ২৯.২ মিলিয়ন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশে ডিজিটাল ট্রানজাকশনের পরিমাণ ১৭.৬ মিলিয়ন। চার নম্বরে রয়েছে, থাইল্যান্ড। পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া।

    ডিজিটাল ট্রানজাকশনে জোর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ডিজিটাল স্টার-এর উপর জোর দিয়েছেন। বছরের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, ডিজিটাল ট্রানজাকশনে ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। তার একটা বড় কারণ অবশ্যই মোবাইল ইন্টারনেট ডেটার মূল্য অনেকটাই সস্তা। যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত হচ্ছে। ডিজিটাল ট্রানজাকশনের ক্ষেত্রে ভ্যালু এবং ভলিউম দুটি ক্ষেত্রেই ভারত কিন্তু সমান্তরাল ভাবে উন্নতি করছে দ্রুতগতিতে। যা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট ভারতের পেমেন্ট সিস্টেম খুবই মজবুত এবং সহজ ভাবে ব্যবহারযোগ্য।

    ডিজিটাল পেমেন্টের অনুকূল পরিবেশ

    গত ৬ জুন গুগল, টিমাসেক এন্ড বেন এন্ড কোম্পানি ভারতীয় অর্থনীতির ওপর ইকোনমি ২০২৩ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরই ভারতের ইন্টারনেট ইকোনমি ১ ইউএসডি ট্রিলিয়নে পৌঁছে যাবে। সহজ এবং সুষ্ঠু ডিজিটাল পেমেন্টের (Digital Payments) সুবাদে কনজিউমার এবং মার্চেন্টের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় ও বোঝাপড়া গড়ে উঠছে। তার ফলে ভারতে ইন্টারনেট ইকোনোমি আরও দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোট করতেই হবে’’, নির্বাচন কমিশনারকে কড়া নির্দেশ রাজ্যপালের

    ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা

    দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) সিস্টেমকে আরও মজবুত করে তোলার জন্য গত বছর অক্টোবরে ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিএমও থেকে বলা হয়েছিল, এইসব ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে কোনও প্রান্ত থেকে সহজেই সেভিংস অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, পাসবুক প্রিন্ট করা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিক্স ডিপোজিটের মতো একাধিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, লোনের জন্য আবেদন, চেক পেমেন্ট বাতিল করার নির্দেশ, ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট সহজেই করা যাবে এই ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিটগুলির মাধ্যমে। এর ফলে উপভোক্তার সময় শুধু বাঁচবে না, আর্থিক দিক থেকেও অনেক সুবিধা মিলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    Bermuda Triangle: ভারতের বুকেও আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল, যাকে ঘিরে রহস্যের ঘনঘটা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারমুডা ট্রায়াঙ্গল-এর নাম শোনেননি, এরকম মানুষ হয়তো খুব কমই আছেন। বিভিন্ন সময় নানা চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)। এই জায়গা ঘিরে আছে অসংখ্য রহস্য এবং অলৌকিক ঘটনা। এই জায়গাকে ঘিরে বিভিন্ন ‘কন্সপিরেসি থিয়োরি’ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করে। আটলান্টিক মহাসাগরে ৩টি স্থানের কাল্পনিক বিন্দুকে যোগ করে এই ত্রিভুজাকৃতি জায়গাটি গড়ে উঠেছে। এখানে সময় যেন থমকে যায়। বিভিন্ন বড় বড় জাহাজ থেকে শুরু করে বিমান এই অঞ্চলে একবার এলেই নিমেষের মধ্যে হারিয়ে যায়, যার খোঁজ পাওয়া যায় না কোনও ভাবেই। একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হন পাইলট থেকে জাহাজের নাবিকরা। এখানে কাজ করে না কম্পাস, নিজের তালে ঘুরতে থাকে দিকনির্ণয় যন্ত্রগুলি! ফলে অনায়াসে দিক ভুল করে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিমান ও জাহাজ। এই জায়গাতে এমন কেন হয়, এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, যা আজও গবেষণার বিষয়। কিন্তু এই আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল ছাড়াও আমাদের বাংলারই প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশাতে আছে এমন এক ট্রায়াঙ্গল, যা বারমুডার থেকে ভিন্ন নয়। এখানেও ঘটে একের পর এক দুর্ঘটনা। কেন হয় এবং কীভাবে হয়, তা আজও রহস্য।

    কোন কোন অঞ্চলকে নিয়ে গড়ে উঠেছে ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle)?

    আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের (Bermuda Triangle) মতো ভারতেও ওড়িশার আমারদা রোড বিমানঘাঁটি, ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ও পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার পিয়ারডোবার কাছে তিনটি অঞ্চলকে নিয়ে একটি কাল্পনিক বিন্দু দিয়ে ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চল তৈরি করা হয়েছে। এই এলাকার মধ্যে ঘটে গেছে অনেক বিমান দুর্ঘটনা। কিন্তু কেন শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই এমন হয়, সেই যুক্তি হুবহু বারমুডার সাথে মিলে যায়। সেই দিকভ্রষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা, সব যেন এক।  এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ টি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে এই অঞ্চলেই। এই অঞ্চলের কিছু বিমান দুর্ঘটনা মানুষকে, বিজ্ঞানকে বার বার ভাবিয়েছে।
    এখানে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪৪ সালের ৪ মে, মার্কিন লিবারেট যুদ্ধবিমান এবং হার্ভার্ড দ্য হাভিল্যান্ড-এই বিমান দুটি যখন আমারদা রোড বিমানঘাঁটির কাছে এসে পৌঁছায়, তখন মুখোমুখি মারাত্মক সংঘর্ষ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান দুই বিমানে উপস্থিত মোট চারজন অফিসার। আবার এর ঠিক তিনদিন পরেই অর্থাৎ ১৭ই মে একই জায়গাতে আবার একটি দুর্ঘটনা ঘটে। আরেকটি লিবারেটর যুদ্ধবিমান সেখান থেকে টেক অফ করে এবং কুড়ি মিনিটের মধ্যে সেখানে ভেঙে পড়ে। আরও অবাক হতে হয় ওই একই সপ্তাহের মধ্যে ১৩ই মে আমারদা রোড থেকে আরেকটি বিমান টেক অফ করার পরে সেখানে ভেঙে পড়ে। সেটি ছিল একটি হাভিল্যান্ড বিমান। কিন্তু এই দুর্ঘটনাতে কেউ মারা যায়নি।
    এখানেই শেষ নয়, আবার ১৯৪৫ সালের ২৬ শে জুলাই এই অঞ্চলে সব থেকে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। চার ইঞ্জিনের দুটি বোমারু বিমান ব্রিটিশ রয়াল যুদ্ধবিমান B-24  লিবারেটর ওই একই স্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জন অফিসারের। সম্প্রতি ২০১৮ সালে আবার ওই অঞ্চলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আরেকটি বিমান। সব থেকে অবাক করা বিষয়, তখন আবহাওয়া ছিল পরিষ্কার। বিমানের কোনও যান্ত্রিক গণ্ডগোলও ছিল না। কিন্তু এই দুর্ঘটনায় কোনও মৃত্যু হয়নি।

    কেন এমন হয় শুধুমাত্র এই অঞ্চলে (Bermuda Triangle)? 

    শেষবার যে দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে, সেই বিমান চালক প্রাণে বেঁচে যান এবং তাঁর দেওয়া বর্ণনা শুনে আঁতকে ওঠেন সবাই। বিমান চালকের বর্ণনা অনুযায়ী, তাঁর বিমানটি যখন আমারদা বিমানঘাঁটির (Bermuda Triangle) ওপর এসে পৌঁছায়, তখন হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ক্রমশ নিচের দিকে নামতে থাকে প্লেনটি, যেন কোনও অদৃশ্য শক্তি টেনে নামিয়ে আনছে বিমানটিকে। অথচ তাঁর বিমানে কোনও সমস্যা ছিল না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি দেখলেন, বিমানটি একদম মাটির কাছাকাছি নেমে এসেছে। তিনি তৎক্ষণাৎ বিমান থেকে লাফ দেন এবং নিচে পড়ে যান। তাঁর কোনও রকম ক্ষতি না হলেও বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন কেন হয়, এই নিয়ে সবার মধ্যে অনেক বিতর্ক আছে। 
    বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, যত দুর্ঘটনা এই আমারদা বিমানঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই। এই বিমানঘাঁটির কাছাকাছি একটি জায়গা আছে ঝাড়খণ্ডের জাদুগোরা ইউরেনিয়াম খনি। সেখানে ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবেই হয়তো বিমান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়। বিমানের  র‌্যাডার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আবার কেউ কেউ বলেন, আমারদা বিমানঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় আছে বিশাল এক চৌম্বক ক্ষেত্র, যা বিমানকে টেনে নিচে নামিয়ে আনে এবং দুর্ঘটনা ঘটে।
    কিন্তু এসব যুক্তি এখনও প্রমাণিত নয়, কোনও গবেষণা এখনও এসব প্রমাণ করতে পারেনি। কেউ কেউ মনে করেন, সরকারি গবেষণায় হয়তো এর কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটি সরকার থেকে গোপন রাখা হয়েছে। কেননা কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই বিষয়ে গবেষণা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। যাই হোক, এই অঞ্চল আজও রহস্যে ঘেরা। অনেক অজানা বিষয় আছে এই অঞ্চলকে ঘিরে। হয়তো ভবিষ্যতে রহস্য উদঘাটন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    Coal Mines In India: কয়লাখনিতে ব্রিটিশদের আধিপত্য কীভাবে ভেঙেছিলেন ভারতীয়রা? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা এমন এক বস্তু, যা না থাকলে হয়তো জনজীবন থমকে যেত। বাড়ির রান্নার জ্বালানি থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর আগের বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন-সব কিছুতেই কয়লা অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হিসাবেই পরিচিত। গ্লোবাল চেঞ্জ ডেটা ল্যাব (যুক্তরাজ্য)-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যবহারের নিরিখে কয়লা জীবাশ্ম জ্বালানি হিসাবে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়লা একপ্রকার পাললিক শিলা। কয়েক কোটি বছর আগে বিভিন্ন গাছপালা মাটির তলায় চাপা পড়ে সেগুলি আস্তে আস্তে জীবাশ্মতে পরিণত হয়। আর সেই জীবাশ্মগুলি কালো রং ধারণ করে কয়লায় পরিণত হয়। কিন্তু কখনও কি মাথায় এসেছে, এই কয়লার উত্তোলন ভারতে কোথায় এবং কীভাবে শুরু হয়েছিল? কয়লা উত্তোলন ও কয়লাখনির (Coal Mines In India) ইতিহাস কী?

    ভারতবর্ষের বুকে কয়লাখনির ইতিহাস

    ভারতবর্ষে সবথেকে বেশি কয়লা মজুত (Coal Mines In India) আছে দামোদর নদীর তীরে রানিগঞ্জ অঞ্চলে। এখানেই প্রথম কয়লা খনন শুরু হয় ১৭৭৪ সালে জন সুমনার এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সিটনিয়াস গ্রান্ট হিটলির উদ্যোগে। প্রথমে কয়লার চাহিদা কম থাকায় এর উত্তোলন তেমন কিছু বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পরে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের উদ্ভব হওয়ায় ১৮৫৩ সালে কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তখন বার্ষিক গড়ে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হত। এরপর ১৯২০ সালে উত্তোলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কয়লার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। ১৯৪৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টনে গিয়ে পৌঁছায়।

    রানিগঞ্জ অঞ্চলে প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু

    গোটা ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, তখন বাংলা, বিহার, ওড়িশা-ভারতের এই প্রধান কয়লা উত্তোলক অঞ্চলগুলিকে (Coal Mines In India) ১৮৯৪ সাল থেকে ভারতের যৌথ পরিচালনাধীনে থাকার আবেদন জানান ভারতীয়রা। কিন্তু ব্রিটিশ এবং অন্যান্য ইউরোপীয়দের দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের একচেটিয়া প্রভাব ছিল খুবই বেশি। ফলে ভারতীয়দের সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপর নানা আন্দোলন ও চেষ্টার ফলে সিনুগ্রার শেঠ খোড়া রামজি চাওদা প্রথম ভারতীয় হিসাবে ভারতের ঝরিয়া কয়লাখনি থেকে ব্রিটিশদের একচেটিয়া আধিপত্য ভেঙেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৬ সালে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধি এবং কয়লাখনি সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যাশনাল কোল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (NCDC)।

    ১৮১৫-১৮১৬ সালে রানিগঞ্জ অঞ্চলে রুপার্ট জোনস্ প্রথম কয়লা অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেন। এই কাজের জন্য তাঁকে সরকারের তরফ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। জোনস্ রানিগঞ্জে পূর্বের খনন করা হিটলির পরিত্যক্ত কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India) খুঁজে পান। তিনি ১৮২০ সাল পর্যন্ত এখান থেকে দামোদরের জলপথের মাধ্যমে কয়লা কলকাতাতে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার তেমন মুনাফা লাভ করতে পারেননি। পরে জোনস্ এর খনিগুলির মালিকানা লাভ করে আলেকজান্ডার অ্যান্ড কোম্পানি। আর এই কোম্পানিকে ১৮৩৫ সালে সত্তর হাজার টাকায় ক্রয় করে ‘কার টেগোর কোম্পানি’, যার অংশীদার ছিলেন ঠাকুর বংশের প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। 

    সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি 

    দামোদর জলপথের মাধ্যমে কলকাতায় এই কয়লা রফতানির কাজে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় দ্বারকানাথ ঠাকুরের কোম্পানি সবথেকে বেশি সফল হয়েছিল। কিন্তু অপরদিকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সাফল্যে একদমই সন্তুষ্ট ছিল না। দ্বারকানাথের কোম্পানিকে ভেঙে ফেলার জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাতে থাকলেও পরে তা ব্যর্থ হয়। আবার কিছু ব্রিটিশ কোম্পানি যেমন গিলমোর, আর্কসাইন, হামফ্রে অ্যান্ড কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তাছাড়াও আরও নানা বিবাদের মুখে পড়ে এখানকার কয়লাখনিগুলি (Coal Mines In India)। সেই সময় সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে সব কোম্পানিগুলিকে একত্রিত করে ১৮৪৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বেঙ্গল কোল কোম্পানি’। এর প্রথম অধিকর্তা হিসাবে নিয়োজিত হন দ্বারকানাথ নিজে। ভারতের কয়লাশিল্পের প্রথম প্রশাসনিক ভবন এটাই। ১৯৭২ সালে কয়লাখনির জাতীয়করণের আগে পর্যন্ত রানিগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ কয়লাখনি এই বেঙ্গল কোল কোম্পানির অধীনে ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    Sudan Crisis: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে শুরু ভারতীয়দের উদ্ধার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদান (Sudan Crisis) থেকে ভারতীয়দের (India) উদ্ধার কাজ শুরু হল। সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সুদানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রবীন্দ্রপ্রসাদ জয়সওয়াল, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী, নৌ সেনাপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং বিদেশ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা। তার পরেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ১২টি দেশের ৬৬ জন নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয়ও রয়েছেন।

    দ্বন্দ্বদীর্ণ সুদানে (Sudan Crisis) উদ্ধার কাজ…

    সৌদি আরব মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ জন সৌদি নাগরিক নিরাপদে পৌঁছেছেন। কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, টিউনিশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বুলগেরিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, কানাডা এবং বুরকিনার ৬৬ জন নাগরিককেও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুদানে (Sudan Crisis) যেভাবে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয়দের আকস্মিকভাবে সরিয়ে আনার জন্য পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, আফ্রিকার এই দেশটিতে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক। সেনাবাহিনী ও আধাসেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। দু পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৬০০ জন। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটি এর চেয়ে ঢের বেশি।

    আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ

    ২০২১ সালে সেনা অভ্যুত্থানের জেরেই সুদানে (Sudan Crisis) শাসন ক্ষমতা হাত বদল হয়েছিল। সেবার অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দেশের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি মহম্মদ হামদান ডাগলো। ডাগলো ছিলেন সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর আরএসএফের অন্যতম শীর্ষ নেতা। আবদেল ফতাহ ও ডাগলো কার হাতে থাকবে ক্ষমতার রশি, তা নিয়েই শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। জানা গিয়েছে, সুদানে বিপন্ন ৩ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক। তাঁদের যাতে নিরাপদে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে তৎপর প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে সুদানে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছেন এক ভারতীয়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Minority Rights: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত  

    Minority Rights: ‘পাকিস্তানের নীতির কারণেই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে’, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নীতির কারণেই গোটা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে একথা বলেন রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতে (India) প্রতিনিধি সীমা পূজানি। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তোলে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ প্রতিমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের দাবি, নয়াদিল্লির কারণেই তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই ইস্যুতে জবাবের অধিকার প্রয়োগ করে এদিন কড়া জবাব দেন সীমা পূজানি। তিনি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানে কোনও সংখ্যালঘু (Minority Rights) মানুষ মুক্তভাবে তাঁর ধর্মাচরণ করতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, পাকিস্তানের নীতির জন্যই তামাম বিশ্বে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সীমা বলেন, গত এক দশকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে ৮ হাজারের বেশি অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    সংখ্যালঘুর অধিকার (Minority Rights)…

    সীমা বলেন, বর্তমান সময়ে পাক নাগরিকরা মারাত্মক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেদিকে আদৌ নজর নেই পাক সরকারের। উল্টে সব সময় ভারতকে নিয়েই পড়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ভারতকে নিয়ে কতটা আবিষ্ট হয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, আসলে বর্তমান সময়ে নিজেদের অগ্রাধিকার বোঝার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে ইসলামাবাদ। তিনি বলেন, পাক নেতৃত্বকে আমার উপদেশ, এই সব ভিত্তিহীন প্রচার বাদ দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের সুখ-দুঃখ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করুন।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    কিছু দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রতিনিধি (Minority Rights)। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন। এদিন এ প্রসঙ্গে সীমা বলেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের অযাচিত মন্তব্য আমরা অগ্রাহ্য করছি। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং চিরকালই থাকবে। তিনি বলেন, পাকিস্তান বেআইনিভাবে ভারতের এলাকা দখল করে রেখেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় নাম না করে ভারতকে আক্রমণ করেন হিনা। আমাদের প্রতিবেশী (Minority Rights) দেশে বিপুল পরিমাণে প্রথা বহির্ভূত অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এর জেরই গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়ছে। শুধু তাই নয়, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পরমাণু অস্ত্রের দিকে বারবার ঝুঁকেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দেশটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • China Plus One: চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা পাচ্ছে ভারত! জানেন কী এই নীতি?

    China Plus One: চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা পাচ্ছে ভারত! জানেন কী এই নীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে চিন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে বহু সংস্থা। এসব কোম্পানির বিনিয়োগ টানতে সমর্থ হচ্ছে ভারত। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভারত এবং ভিয়েতনামকে বেছে নিচ্ছে প্রায় ৩৩ শতাংশ কোম্পানি। রফতানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে দেশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুবিধা ভোগ করছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিশ্ব বাজারে চায়না প্লাস ওয়ান হওয়ার দৌড়ে ক্রমাগত এগিয়েও চলেছে  ভারত। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সুফল পাচ্ছে দেশ।

    বিকল্প ভারত

     সম্প্রতি ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে চিনকে অতিক্রম করেছে।  “ভারত বিশাল পরিবর্তনের সামনে” তা বলেছেন ইনফোসিস কর্তা নন্দন নিলেকানি। তাঁর দাবি, ভারত দ্রুত হাজার হাজার স্টার্টআপ, কয়েক বিলিয়ন স্মার্টফোন এবং ডেটা রেটকে তুলে ধরতে পারে। সাপ্লাই-চেইন বিশ্লেষকরা বলছেন, “চিন-প্লাস-ওয়ান” নীতির জন্য বিভিন্ন সংস্থা চিনের পরিবর্তে ভারতে বিনিয়োগ করতে চাইছে। অনেক দেশ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথাও বলেছেন। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে খুব শীঘ্রই বড় বাজি ধরবে ভারত, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মর্গ্যান স্ট্যানলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ভারত এই দশকে বিশ্ব সম্প্রসারণের পঞ্চমাংশ চালাবে। ভারত বার্ষিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে $400 বিলিয়নেরও বেশি উপার্জন করতে পারে। দেখা গিয়েছে, ভারতের সেনসেক্স সূচক গত ত্রৈমাসিকে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    আরও পড়ুুন: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    শুরুটা করেছিল আমেরিকা। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি ৩৪০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্কারোপ করে ওয়াশিংটন। এরপর থেকেই বাড়তি শুল্কবোঝা এড়াতে চিন থেকে কারখানা সরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে ভিয়েতনামে। তারপর রয়েছে ভারত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মেক্সিকো। ভারতের উন্নয়নের প্রচেষ্টায় আস্থা রেখে এর আগে ২০১৮ সালেই দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কারখানা খোলে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। এখন ভারতে আইফোন-১৪ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে অ্যাপল ইনকর্পোরেশন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Amit Shah: ‘কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণা ঠিক নয়’, বললেন শাহ

    Amit Shah: ‘কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণা ঠিক নয়’, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন (Armed Struggle) ভারতে (India) অহিংস আন্দোলনের সাফল্যের ভিত্তি ভূমি রচনা করেছিল। বুধবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অহিংস আন্দোলনের ভূমিকা অস্বীকার করার নয়। আমি বলছি না যে স্বাধীনতার লড়াইয়ে অহিংস আন্দোলনের কোনও ভূমিকা নেই। অবশ্যই এই আন্দোলনের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

    অমিত বচন…

    তিনি বলেন, কংগ্রেস ছাড়া আর কারও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা নেই, এই ধারণাটা ঠিক নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী নিজেদের মতো করে লড়াই করেছেন, আলাদা আলাদা আদর্শে বিশ্বাসীরা নিজেদের মতো করে লড়াই করেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আসলে সকলের মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। অমিত শাহ বলেন, দেশ প্রেমের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। সশস্ত্র আন্দোলন এবং বিপ্লবীরা কখনও ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ গুরুত্ব পাননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের একটা নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে তার একটা অবদান রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সশস্ত্র আন্দোলন গুরুত্বহীন ছিল।

    আরও পড়ুুন: ১৯ কোটি টাকা নিয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা! বিস্ফোরক মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল

    অমিত শাহের (Amit Shah) মতে, স্বাধীনতার যুদ্ধে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন অবশ্যই বড় ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে অন্য বিপ্লবীরা গুরুত্বহীন। তাঁর অভিযোগ, আমাদের এমনভাবে ইতিহাস পড়ানো হয়েছে, বোঝানো হয়েছে, যাতে অনেকের অবদান উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেস নিজেদের অবদানকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাতে চেয়েছে বলে মনে করেন শাহ। তাই এই যুদ্ধে আরও যাঁরা অংশ গ্রহণ করেছেন, তাঁরা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে নানা মহলে। এদিন শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলন সম্পর্কে যাঁদের বলার কথা ছিল, তাঁরা পুরো গল্প বলেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁরা বলেননি যে ভগৎ সিংকে যেদিন ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেদিন লাহোর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত মানুষ এতই আঘাত পেয়েছিলেন যে তাঁরা সেদিন বাড়িতে রান্না পর্যন্ত করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • T20 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    T20 World Cup: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল পাকিস্তান। অপরদিকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। বুধবার ৯ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে জয়ী দলই পৌঁছাতে পারবে ফাইনালে।

     ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম থেকেই ধুকছিল। নিউজিল্যান্ড প্রথম দল যে সেমিফাইনালে সবার আগেই পৌঁছাতে পেরেছিল। নেট রানরেটের নিরিখে গ্রুপেরও টপার হয়েছেন নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে উঠে গিয়েছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো পাঁচ ম্যাচে সাত পয়েন্ট থাকলেও নেট রানরেটের নিরিখে পিছিয়ে থাকায় এবার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।২০১৬ সালে সেমিফাইনালে আটকে গেলেও নিউজিল্যান্ড ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলেছিল যদিও ম্যাচে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। 

     

    এবারের বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ও ২.১১৩ নেট রানরেট ছিল কিউইদের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে টেবিলের তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নেট রানরেট ছিল -০.৩০৪। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ান দল প্রথম ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে হারায় প্রথম থেকে টুর্নামেন্ট থেকে পিছিয়ে পড়ছিল। পরবর্তীতেও বিরাট সুযোগ হারিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়ান দল।কারণ গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচে নেট রানরেট বাড়ানোর দুর্দান্ত সুযোগ ছিল অজিদের সামনে। ২৪ রানে পাঁচ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও আয়ারল্যান্ডকে ১৩৭ রান তুলতে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৪২ রানে হারানোয় নেট রানরেট তেমন বাড়েনি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে   বিরাট ব্যবধানে জিতলে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা থাকত কিন্তু মাত্র ৪ রানে আফগানিস্তানকে হারানোয় সেমিফাইনালে পৌঁছানোর রাস্তা বন্ধ করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে রানরেট নিয়ে +০.৫৪৭ সহজেই সেমিফাইনালে পৌছে গিয়েছে।

    অপরদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজ সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এই নিয়ে ষষ্ঠবার সেমিফাইনালে উঠল পাকিস্তান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর পর মাত্র ২ বার সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। এবার গ্রুপ থেকে ছিটকে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের অবিশ্বাস্য জয়ের ফলে পাকিস্তানের সামনে দুর্দান্ত সুযোগ আসে। আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে সুযোগে সদ্ব্যবহার করেছেন বাবররা।

    নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে যে দল জিতত, সেই দলই সেমিফাইনালের টিকিট পেত। সেই পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিতে উঠে গিয়েছে পাকিস্তান। 

     

    আজ প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে মাত্র ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের খারাপ ফিল্ডিংয়ের সুবাদে সহজেই সেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোতে পাকিস্তান। শেষপর্যন্ত ১১ বল বাকি থাকতেই জিতে যান বাবররা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আফ্রিদি। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন সাকিবের আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আম্পায়ার তাঁকে লেগ বিফোর দেন।সাকিব রিভিউও নেন। রিপ্লে-তে ধরা পড়ে ব্যাট ক্রিজে লাগার আগে ব্যাটে বল লেগেছে। তৃতীয় আম্পায়ারও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। প্রথম বলেই সাকিব ফিরে যায়। বাংলাদেশের টিমে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে আর তেমন উল্লেখযোগ্য রান নেই।
    শুধু ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত ৪৮ বলে ৫৪ রান করেন। তবে পাকিস্তানেরও কোনো ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। অধিনায়ক বাবর আজম ৩৩ বলে ২৫ রান করেন। তবে সকলের সৌজন্যে ১৮.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান। ফাইনালে পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিয়ার হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের অপেক্ষায় রইল ক্রিকেট প্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Maruti Suzuki:যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাজার কয়েক হাজার গাড়ি থেকে তুলে নিল জনপ্রিয় এই কোম্পানি

    Maruti Suzuki:যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাজার কয়েক হাজার গাড়ি থেকে তুলে নিল জনপ্রিয় এই কোম্পানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সবচেয়ে বড়ো গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি মারুতি সুজুকি(Maruti Suzuki) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় ৯ হাজারের বেশি গাড়ি বাজার থেকে তুলে নিয়েছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই এই গাড়িগুলি  বাজারে ছেড়েছিল মারুতি।
    সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই গাড়িগুলির পিছনের ব্রেক অ্যাসেম্বলি পিনের সম্ভাব্য ত্রুটি সংশোধন করতে এই গাড়িগুলিকে রিকল করা হয়েছে।

    এই গাড়িগুলোর পিছনের চাকায় ব্রেকে ত্রুটি রয়েছে। পিছনের ব্রেকের অ্যাসেম্বলি পিনটি সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ায় গাড়ি চালানোর সময় আওয়াজ হচ্ছে। এটি এই এসেম্বলিতে ত্রুটির কারণেই হয়েছে। এটি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে ব্রেকের কার্যক্ষমতা খুব দ্রুত কমে যেতে পারে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গিয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোম্পানি বিনামূল্যে  সন্দেহভাজন যানবাহনগুলিকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেই মডেলগুলি ফেরত যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানির জনপ্রিয় মডেল  ওয়াগনার (WagonR), সেলেরিও (Celerio) এবং ইগনিস (Ignis) রয়েছে। কোম্পানির তরফ থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছে যে, সেই অনুযায়ী ৯৯২৫ ইউনিট গাড়ি ফেরত নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে টাটা এয়ারবাস C-295 বিমান নির্মান কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মারুতি সুজুকির এমডি হিসাশি তাকুচি উপস্থিত ছিলেন। তিনি সংবাদমাধ্যমের তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, ভারতে ভবিষ্যতে বিশাল ব্যবসায়িক সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশের যে কোন কোম্পানি ভারতে প্রবেশ করলে বিপুল মুনাফা লাভ করবে। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারতের ডাক ভারতকে নতুন দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবে। দু মাস আগেই গুজরাটে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের ৪০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হল। ভারত জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে সুজুকির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 

    [tw]


    [/tw]

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • World Polio Day: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, জেনে নিন পোলিও রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    World Polio Day: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, জেনে নিন পোলিও রোগ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বিশ্ব পোলিও দিবস, এই দিবসটি প্রথম পালিত হয় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা জোনাস এডওয়ার্ড সল্কের জন্মবার্ষিকী স্মরণে।  জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক( ২৮ অক্টোবর ১৯১৪ -২৩ জুন ১৯৯৫) ছিলেন একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল গবেষক এবং ভাইরাসবিদ। যিনি পোলিও বা পোলিওমাইলাইটিসের বিরুদ্ধে একটি প্রথম  প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছিলেন।
    পোলিও এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। এটি একব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এই ভাইরাস  শিশুসহ কিশোরদের বেশি সংক্রমিত করে। 

    [tw]


    [/tw] 

    পোলিও রোগের লক্ষণ-

    রোগীর প্রথম দিন সামান্য সর্দি, কাশি এবং জ্বর হলেও, দিন দুই পরে থেকে মাথা ব্যাথার সাথে সাথে  ঘাড় শক্ত হতে শুরু করে। এমনকি রোগীর হাত অথবা পা অবশ হয়ে যায়।রোগী দাঁড়াতে পারে না, দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরে যায়।রোগীর  আক্রান্ত অঙ্গ ক্রমশ দুর্বল হয় এবং পরে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
    ধীরে ধীরে এক বা একাধিক অঙ্গ অবশ হয়ে  যেতে শুরু করে আক্রান্ত অঙ্গের মাংসপেশী শিথিল হয়ে যায়, অনেক সময় চর্মসার হয়ে পরে । শ্বাস প্রশ্বাসের পেশী অবশ হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে রোগী মারাও যেতে পারে।
    তবে সবচেয়ে মারাত্মক এই যে শতকরা ৯৫ ভাগ পোলিও আক্রান্ত রোগীর শরীরে তেমন কোন উপসর্গ দেখা যায় না।

    পোলিও ভ্যাকসিন ভারতে চালু করা হয়েছিল সম্প্রসারিত প্রোগ্রাম (ইপিআই, 1978) এবং ইউনিভার্সাল ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম (ইউআইপি, 1985) এর সহায়তায় 1995 সালের অনেক আগে।
    কিন্তু জাতীয় টিকা দিবস, যা সাধারণত পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত,তা শ্রীমতী ইন্দিরা  এবং রাজীব গান্ধীর  আমলে ভারতে 1995 সালে চালু হয়েছিল। 

    [tw]


    [/tw] 

    সবচেয়ে সাফল্যের খবর হল  জানুয়ারি ২০১১ থেকে ভারতে আর কোনো পোলিও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি; ফলশ্রুতিতে ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে ভারতকে WHO এর পোলিও আক্রান্ত দেশের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। ২০১৪ সালের মার্চে ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালের পর মাত্র তিনটি দেশে পোলিও মহামারী দেখা গেছে: নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ভারতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত না হলেই স্বার্থক হবে আজকের বিশ্ব পোলিও দিবস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
LinkedIn
Share