Tag: India

India

  • India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    India VS Pakistan: বিরাটের দুরন্ত পারফরম্যান্সে শেষ বলে জয় টিম ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেলবার্নে বিরাট দীপাবলী পালন করছে ভারতীয়রা। ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা সাক্ষী রইল মেলবোর্নের ৯০ হাজারের বেশি দর্শক। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। কোহলীর চওড়া ব্যাটে ভারত পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচটি জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল রোহিতরা।

    গত কয়েক বছর ধরেই বিরাটকে সইতে হয়েছে অবজ্ঞা, অপমান, উপেক্ষার জ্বালা। হাত থেকে গিয়েছে জাতীয় দলের নেতৃত্ব । এমনকি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কথাও শুনতে হয়েছে। ‘ফুরিয়ে গিয়েছেন,’ ‘বুড়ো হয়ে গিয়েছেন’ শব্দ বন্ধনী আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে তাঁকে। এর আগে এশিয়া কাপেই নিজের ফর্মের ঝলক দেখিয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ব্যাটে রান পেয়েছিলেন দুবাইয়ে।

    তবে এই তাঁর মহারাজকীয় প্রত্যাবর্তনের জন্য আরও বড় মঞ্চ তৈরি রেখেছিলেন। যে বিশ্বকাপ থেকে লজ্জার বিদায়ে ক্যাপ্টেন হিসাবে এক বছর আগে মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্বকাপ প্ল্যাটফর্মেই অতিমানবীয় ইনিংস খেললেন বিরাট। সম্মোহিতের মত এতে আত্মসমর্পণ করে ছাড়া যাতে উপায় ছিল না পাকিস্তানের।

    [tw]


    [/tw]

    কোহলি যে সময় ব্যাট করতে নেমেছিলেন ভারত তখন অথৈ জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। রবিবার ১৬০ স্কোরকেও এক সময় টিম ইন্ডিয়ার কাছে পাহাড়-প্রমাণ ঠেকাচ্ছিল। দ্রুত একের পর এক উইকেট খুঁইয়ে ইনিংসের শুরুতেই ভারতের হার প্রায় নিশ্চিত হতে চলেছিল।

    ভারতের টপ অর্ডার কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। যার চাপ পড়ে টিমের মিডল অর্ডারে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই দুমড়ে মুচড়ে একাকার হয়ে যায় ভারত টপ অর্ডার । কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব আউট হয়ে যাওয়ার পরে লোয়ার অর্ডারকে বাঁচাতে সাত-তাড়াতাড়ি নামানো হয় অক্ষর প্যাটেলকে। তিনিও দ্রুত রান আউট হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ৩১ রানে দাঁড়ায়। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে মাত্র ৪৫ জোটে। সেখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফেরানো অকল্পনীয় মনে হচ্ছিল।

    তবে লক্ষ্য কঠিন হলেও তবে অসম্ভব ছিল না। কেন না, ক্রিজে বিরাট-হার্দিক জুটি। ব্যাটে-বলে টাইম করতে গোটা ইনিংস জুড়েই হার্দিক সমস্যায় পড়লেও  ৩৭ বলে ৪০ রানের দাঁত কামড়ে থাকা হার্দিকের সঙ্গেই কোহলি পঞ্চম উইকেটের পার্টনারশিপে তুললেন ১১৩ রান। হঠাৎ যে ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, সেই ম্যাচেই পাল্টা লড়াই জমিয়ে দেন দুজনে।

    [tw]


    [/tw]

    শেষ ওভার যেন কমেডি অফ এরর। রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ । বাঁ হাতি স্পিনার মহম্মদ নওয়াজকে আক্রমণে আনেন বাবর। হার্দিক পান্ডিয়া বরাবর স্ট্রাইক করতে সমস্যায় পড়ছিলেন। তিনি শেষ ওভারের প্ৰথম বলেই হাঁকাতে গিয়ে সোজা ক্যাচ তুলে বিদায় নিলেন। বিরাট ও হার্দিকের জুটি ভাঙ্গে। পরের দুই বলে উঠল মাত্র ৩ রান। তবে চতুর্থ বলেই নাটকীয় ঘটনা। হাই ফুলটসে কোহলি মাঠের বাইরে বল পাঠানোর পরে আম্পায়ার উচ্চতার জন্য নো দেন। ফ্রি-হিটে কোহলি বোল্ড হলেও দৌঁড়ে তিন রান নেন বিরাট। শেষ ২ বলে ২ রান। পঞ্চম বলে স্টাম্পড দীনেশ কার্তিক।শেষ বলে ২ রান। ক্রিজে অশ্বিন। অশ্বিন মিড অফের উপর দিয়ে খেলে সিঙ্গল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। এই মুহূর্তের আগে অবধি ভারতীয় সমর্থকদের যেন হৃদযন্ত্র খুলে বসতে হয়েছিল। জয় নিশ্চিত হতেই বিরাট নিজের আবেগকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন বিরাট । উইকেটের মধ্যে মারেন ঘুসি।হেলমেট খুলে বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। মাঝে মধ্যে হাঁফ ছাড়তে দেখা যাচ্ছিল। সত্যিই তো, মেলবোর্নের মাঠে ইনিংসের শুরুতে যে ভাবে তিনি দু’রান, তিন রান নিয়েছেন তাতে ক্লান্তি আশা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও অনেক বেশি স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল কোহলির মুখে।

    আজীবনের চেজ মাস্টার বিরাট পুনরায় ফর্ম ফেরায় ইনিংস জুড়ে আরও কিছু রেকর্ডের অপেক্ষা করছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে সিএএ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অনেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে। এ দেশে ঠাঁই হবে, নাকি স্বদেশে ফিরে যেতে হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় কাঁটা এরা। অসমে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানরা ‘মিয়া’ নামে পরিচিত।

    হিমন্তের শর্ত (Himanta Biswa Sarma)

    শনিবার তাদের অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার গুচ্ছ শর্ত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “মিয়া সম্প্রদায়কে অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে গেলে কিছু সাংস্কৃতিক অনুশীলন ও নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।” পরিবার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে দুই সন্তানের মধ্যে। বহুবিবাহ না করা, নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার শর্তও আরোপ করা হয়েছে।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? 

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “মিয়ারা অসমের আদি বাসিন্দা কিনা, সেটা ভিন্ন বিষয়। আমরা বলতে চাই, তারা যদি অসমের আদি বাসিন্দা হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এজন্য তাদের ত্যাগ করতে হবে বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহের অনুশীলন। উৎসাহ দিতে হবে নারী শিক্ষায়। আমি সব সময় বলি, মিয়াদের অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের দু’-তিনজন করে স্ত্রী থাকতে পারে না। এটা অহমিয়া সংস্কৃতি নয়। বৈষ্ণব মঠের জমি দখল করে কীভাবে কেউ অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার দাবি জানায়?”

    আরও পড়ুুন: “আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত”, সেনাদের সঙ্গে হোলি খেলে বললেন রাজনাথ

    মিয়াদের ছেলেমেয়েরা সচরাচর সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা না করে মাদ্রাসা বোর্ডে শিক্ষা গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মিয়াদের মাদ্রাসা বোর্ডে পড়াশোনা করার বদলে সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা করা উচিত। ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো প্রয়োজন। মিয়ারা মহিলাদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে জোর দিক।” পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারও মহিলাদের পাওয়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    প্রসঙ্গত, অসমের মুসলমানদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ অহমিয়াভাষী। বাকিরা সবাই মিয়া। রাজ্যের ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতেই নির্ণায়ক শক্তি মিয়ারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) এহেন মন্তব্যের প্রভাব বিজেপির ঝুলিতে পড়ে কিনা, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    Maldives: পর্যটকের পর শিক্ষক-সংকট মলদ্বীপে! তাই কি এখন মুইজ্জুর মুখে ভারত-স্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারকে সামনে রেখে, ভারত বিরোধী আবেগ তৈরি করে মলদ্বীপে (Maldives) ক্ষমতায় এসেছেন চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু। তাঁর ভারত বিদ্বেষের খেসারত প্রতিদিন দিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র। ধাক্কা খেয়েছে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যবসা। যা এই ছোট দ্বীপরাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এবার মুইজ্জুর ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে সেখানকার শিশু থেকে তরুণ প্রজন্ম। মলদ্বীপে (India Maldives Relation) এখন শিক্ষক-সংকট। মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে দলে দলে মলদ্বীপ ছাড়ছেন সেখানকার ভারতীয় শিক্ষকরা। বিষয়টি সেই দেশের সংসদেও তুলেছে মলদ্বীপের বিরোধী দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুইজ্জু সরকার।

    কেন এই শিক্ষক সংকট

    মূলত বেজিংকে খুশি করতেই ‘ইন্ডিয়া আউট’ নীতি অবলম্বন করেছে চীনপন্থী মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) সরকার। আর যার ফল এখন ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। মুইজ্জুর ঘৃণা সহ্য করতে না পেরে দেশ ছেড়েছেন একাধিক শিক্ষক। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষক সেই দেশে যান শিশুদের পড়াতে। বলা যেতে পারে ভারতীয় শিক্ষকরাই সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে চালান। কিন্তু, মুইজ্জু সরকার আসার পর থেকে, তাঁর ভারত বিরোধী প্রচারের কারণে, দলে দলে ভারতীয় শিক্ষকরা মলদ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে, গভীর শিক্ষা সংকট তৈরি হয়েছে মলদ্বীপে।

    আরও পড়ুন: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    দেশেই প্রশ্নের মুখে মুইজ্জু সরকার

    সংসদে ভারতীয় (India Maldives Relation) শিক্ষকদের মলদ্বীপ ছাড়ার প্রসঙ্গ তুলে মুইজ্জু সরকারের ব্যাখ্যা চেয়েছে সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল, মলদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ওই পার্টির (এমডিএম) সাংসদ মহম্মদ শহিদ প্রশ্ন করেন, “ইন্ডিয়া আউট প্রচারের কারণে বহু শিক্ষক দেশ ছেড়েছেন। এর ফলে দেশে শিক্ষকের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শিশুদের লেখাপড়ার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই গুরুতর সমস্যা মোকাবিলায় সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?” এই প্রশ্নের মুখে সংসদে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মুইজ্জু সরকার। শিক্ষকের ঘাতটি আছে বলে মেনে নিলেও, মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী ড. ইসমাইল শফিফু শিক্ষা সংকটের দাবি মানেননি। তিনি বলেন, “ভারতীয় শিক্ষকরা অনেক সময়ই মলদ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এতে কয়েক সপ্তাহের জন্য শিশুদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। এর আগেও আমাদের দেশে এমনটা ঘটেছে। গত ৩০ বছরের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ভারত থেকে এই ছোট্ট দ্বীপে অনেক সময় শিক্ষকরা এসে এক মাস থেকে আবার চলে যান। দেশে কোনো ধরনের শিক্ষা সংকট তৈরি হয়নি।” তবে মলদ্বীপের শিক্ষামন্ত্রী যতই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান না কেন সমস্যা রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। হয়তো সেই কারণেই চিনের হাত ধরলেও ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’বলতে বাধ্য হয়েছেন মলদ্বীপ প্রেসিডেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relation: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    India Maldives Relation: ‘ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ভারত’! সুরবদল মলদ্বীপের, ঋণ মকুবের আর্জি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ (India Maldives Relation)। নয়াদিল্লির কাছে ঋণ মকুবের আর্জি জানিয়ে এই কথা বলেন ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর। ক্রমশই বাড়ছিল ভারত-মলদ্বীপ কুটনৈতিক জটিলতা৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা বাড়িয়েছিল। কিন্তু ভারত কখনওই প্রতিবেশীর হাত ছাড়েনি। এবার তা মেনে নিল মলদ্বীপও।

    কী বললেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট

    গত বছরের শেষে ভারত থেকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছিল মলদ্বীপ (India Maldives Relation)। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৯০০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) জানান, মলদ্বীপকে সাহায্যের বিষয়ে ভারত অগ্রগণ্য। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছে। পূর্বসূরিদের আমল থেকে। সে কারণে আমরা আলোচনা করছি, যাতে ঋণ মেটানোর ক্ষেত্রে নরম পদক্ষেপ করা হয়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, এর প্রভাব যাতে কোনও ভাবেই কোনও প্রকল্পে না পড়ে। প্রেসিডেন্টের আশা, ভারত এই ঋণ মেটানোর বিষয়টি আরও সহজ করবে। এই নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারত মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থাকবে। এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। মুইজ্জু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে, আমি কোনও বর্তমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে চাই না। বরং সেগুলি আরও মজবুত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।’’

    আরও পড়ুন: ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ড্রাক গ্যালপো’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ভারত-মলদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    দিনকয়েক আগে সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) জানিয়ে দেন, কোনও পোশাকেই ভারতীয় সেনা সেদেশে থাকতে পারবে না ৷ ফলে আরও কঠিন হয়েছিল ভারত-মলদ্বীপ (India Maldives Relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক৷ তারপরেই আচমকা সুরবদল৷ একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে মুইজ্জু জানিয়ে দিলেন, ভারতই মলদ্বীপের ‘ঘনিষ্ঠ’ সঙ্গী৷ ভারতীয় সেনাদের একটি দল ইতিমধ্যে মলদ্বীপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। তার পরেই মুইজ্জুর মুখে প্রশস্তি। গত কয়েক বছর ধরে মলদ্বীপে রয়েছে ভারতের দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান। অসুস্থদের এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে নিয়ে যায় সেগুলি। জরুরিকালীন পরিষেবার কাজে ব্যবহৃত হয়। সেগুলি চালনার জন্য মলদ্বীপে মোতায়েন ছিল ভারতীয় সেনা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পেও সাহায্য করেছে ভারত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in Bhutan: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi in Bhutan: থিম্পুতে মোদি, ভুটানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ভুটান সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bhutan)। শুক্রবার সকালেই ভুটানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পারো বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরেই দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার।  

    মোদিকে উষ্ণ আলিঙ্গন (PM Modi in Bhutan)

    লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই ফের সরকার গঠিত হবে বলে ধরে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইতিমধ্যেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শান্তির দূত হিসেবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। এহেন (PM Modi in Bhutan) আবহে এদিন পড়শি দেশ ভুটান রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবারই দেশে ফিরবেন তিনি। এদিন পারো বিমানবন্দরে পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপো’য় সম্মানিত করা হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে।

    মোদির সম্মানে বন্ধ ভুটানের স্কুল

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে এদিন বন্ধ রাখা হয়েছে ভুটানের সমস্ত স্কুল। রাজধানী থিম্পুতে তাঁকে স্বাগত জানান স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা। সেওয়াং দোরজি নামে ভুটানের এক বাসিন্দা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে আমরা অত্যন্ত উৎসাহিত। আজ ভুটানের সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছে ভুটানের পড়ুয়ারা।” চলতি বছরই সাধারণ নির্বাচন হয়েছে ভুটানে। সেই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শেরিং। তার পরেই ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। সেই সময় পরিকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, শক্তি ও জ্বালানি, জলবিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছিল ভারত ও ভুটানের মধ্যে।

    সম্প্রতি ভুটান সীমানায় তৎপরতা বাড়িয়েছে চিনা সেনা। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এহেন আবহে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পড়শি দেশ ভুটানও যাতে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মতো চিনা ঋণের ফাঁদে না পড়ে, বেজিং যাতে ভুটানভূমকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে চোখ রাঙাতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতেই ভুটান সরকারের ডাকে লোকসভা নির্বাচনের মুখে সে দেশে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “থিম্পুতে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi in Bhutan) সফরে ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার চেষ্টা হবে।”

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Afghanistan: নির্বিষ আক্রমণ, আফগানদের বিরুদ্ধে ড্র করে পয়েন্ট হাতছাড়া ভারতের

    India vs Afghanistan: নির্বিষ আক্রমণ, আফগানদের বিরুদ্ধে ড্র করে পয়েন্ট হাতছাড়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুযোগ ছিল। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় নিট ফল শূন্য। হাতে পেনসিল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতকে । আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে (India vs Afghanistan) বিশ্বকাপের যোগ্যতা (World Cup Qualifier) অর্জন পর্বের ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়েই খুশি হতে হল সুনীল ছেত্রীদের। এই প্রথম পয়েন্ট পেল আফগানিস্তান। আর তিনটি ম্যাচ খেলে চার পয়েন্ট নিয়ে দুয়ে উঠে এল ভারত।

    যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ (India vs Afghanistan)

    বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ (World Cup Qualifier) তথা এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭-এর যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে সৌদি আরবের আভায় ভারত মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তানের (India vs Afghanistan)। ম্যাচ হয়েছে গোলশূন্য ড্র। ফলত, তুলনায় দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হাতছাড়া করল সুনীল ছেত্রীর দল। অথচ নির্বিষ এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। সেই সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন নিখিল পুজারি, মনবীর সিংরা। ম্যাচে উল্লেখযোগ্য ছাপ রাখতে পারেননি সুনীল। একাধিকবার ক্রস ভেসে এলেও, গোল হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ

    এদিন গোল খেয়েই মাঠ ছাড়তে হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ভারতের (India vs Afghanistan)। খেলার ৬২ মিনিটের মাথায় সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন আফগানিস্তানের আকবরি। তিনি স্কোয়ার পাস বাড়িয়ে দেন পোপালজেকে। রাহুল বেকের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জেরে গোলে ঢোকেনি বল। এদিন লিস্টন কোলাসো ডান দিকের উইং থেকে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ইগর স্টিমাচের ছেলেরা।

    ম্যাচ শুরুর ৭৯ মিনিটের মাথায় শুভাশিস বসুর একটা হেডের পরে গোল হওয়ার একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল। তবে বল অনেকটা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় গোল হয়নি। এই ম্যাচ (World Cup Qualifier) থেকে শিক্ষা নিয়ে ভুলভ্রান্তি শুধরে টিম ইন্ডিয়া হোম লেগে মাঠে নামবে বলে আশা করা যায়। ফিরতি লেগের ম্যাচ (India vs Afghanistan) রয়েছে ২৬ মার্চ গুয়াহাটিতে। এই ম্যাচে সুনীল ছেত্রীর দল কামব্যাক করতে পারে কিনা, তা-ই দেখার। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে টানা পাঁচটি ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি সুনীল ছেত্রীর ফুটবল দল। প্রত্যাশিতভাবেই পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সুনীলের দলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    PM Modi: নয়া ভারতের রূপকার, ‘শান্তির দূত’ মোদিকে আগাম আমন্ত্রণ রাশিয়া, ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের ব্যাপারে তিনি এক প্রকাশ নিশ্চিত। মন্ত্রিসভার সদস্যদের একশো দিনের কাজের পরিকল্পনা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলে তিনিই হবেন টানা তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, ভারত-ভাগ্য-বিধাতা। সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (PM Modi) এবার আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখল রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।

    যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ (PM Modi)

    বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ফোনে ফের যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের তরফে আমন্ত্রণ জানানো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    পুতিনকে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী?

    বুধবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দূরভাষে কথা হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছিলেন, “ভারত ও রাশিয়ার স্পেশাল ও প্রিভিলেজড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ গভীর ও আরও বাড়াতে কাজ করব বলে আমরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সম্মত হয়েছি।” মোদি-পুতিনের আলোচনায় অনিবার্যভাবেই এসে পড়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। পুতিনকে ফের যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদি। উজবেকিস্তানে এসসিও সম্মলনের ফাঁকে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময়ও প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়”। বুধবারও পুতিনের সঙ্গে আলোচনার সময় মোদি তাঁকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটাতে বলেছেন বলে সূত্রের খবর।

    এদিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারত-ইউক্রেন অংশীদারিত্ব আরও পোক্ত করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে। শান্তি ফেরাতে ভারতের নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং অবিলম্বে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে যুদ্ধ থামাতে ভারত মানবিক সাহায্য করে যাবে।” প্রেস বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত চায় যে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা, কূটনীতি, ক্রমাগত সংলাপ হওয়া উচিত যাতে উভয় পক্ষই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই রাশিয়া ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করেনি। সে খবর মাধ্যম জানিয়েছিল পাঠককে। আবারও রাশিয়া-ইউক্রেনকে শান্তির ললিত বাণী শোনাচ্ছে রাইজিং ইন্ডিয়া। যে ভারতের রূপকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পুতিনকে ফের ফোন মোদির, কী পরামর্শ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে?

    PM Modi: পুতিনকে ফের ফোন মোদির, কী পরামর্শ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্টকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা জয়ের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারের পর ফের বুধবার প্রধানমন্ত্রী ফোন করেন পুতিনকে। ২০২৪ সালে ব্রিকসের সভাপতিত্ব করবে রাশিয়া। তাই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে ফোন মোদির (PM Modi)

    চলতি বছর অক্টোবরে হবে ব্রিকস সম্মেলন। এই সম্মেলনে সভাপতিত্বের জন্য রাশিয়াকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক একাধিক সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্র প্রধানের। পরে এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। লিখেছেন, “রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ফের নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আগামী দিনে ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও প্রশস্ত করার বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।” 

    ফোন জেলেনস্কিকেও 

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মোদি-পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বে আরও জোর দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সম্মতিও জানিয়েছেন মোদি-পুতিন। কেবল পুতিন নন, এদিন প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকেও।

    আরও পড়ুুন: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার, কী বললেন তিনি?

    প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশই দুই দেশকে অগ্রাধিকার দেয়। আগামী বছরগুলিতে এই অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রাজি হয়েছেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিতে কতটা অগ্রগতি ঘটেছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে মোদি ও পুতিনের। এদিন আরও একবার যুদ্ধের পথ থেকে সরে এসে আলোচনা ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করার পরামর্শও পুতিনকে দেন মোদি। রুশ জনগণের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধিও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই প্রধানমন্ত্রী পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তার পরেও বন্ধ হয়নি যুদ্ধ।

    এজন্য অবশ্য ফাটল ধরেনি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে। যুদ্ধের আবহে যখন আমেরিকা ও ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ রেখেছে, তখনও জাতীয় স্বার্থে পুতিনের দেশ থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে মোদির (PM Modi) ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Economy: পরের অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ, বলছে ‘এস অ্যান্ড পি’

    India Economy: পরের অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ, বলছে ‘এস অ্যান্ড পি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী অর্থবর্ষে ভারতের (India Economy) আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৬.৮ শতাংশ। অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স। এর আগে এই সংস্থাই জানিয়েছিল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৬ শতাংশ। এখন তারাই জানাল, বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৮ শতাংশ।

    অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার (India Economy)

    এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, এই সময় বিশ্বব্যাপী আর্থিক বৃদ্ধির গড় হার হতে পারে ২.৩ শতাংশ থেকে ২.৬ শতাংশ। সংস্থার (India Economy) তরফে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৪ অর্থবর্ষের পূর্বাভাস আমরা পুনর্মূল্যায়ন করছি। বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যা আশা করা হয়েছিল, ভারতের বৃদ্ধি তার চেয়েও বেশি হবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিবেশের উন্নতি এবং গৃহস্থের অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে চলবে অর্থনৈতিক কাজকর্ম।’’

    ‘মুডি’জ-এর ইঙ্গিত

    ঠিক একদিন আগেই ভারতের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল মুডি’জ নামে আরও একটি সংস্থা। ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস করতে গিয়ে তারা জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতে বৃদ্ধির পরিমাণ ৬.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৮ শতাংশ। মুডি’জ বলেছিল, জি২০-র প্রধান দেশগুলির মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধি হবে ভারতের। এ দেশের প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে প্রায় ৮ শতাংশ। মার্চে যে অর্থবর্ষ শেষ হবে, সেখানেই বৃদ্ধির পরিমাণ হবে ৮ শতাংশ। গত অর্থবর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৭ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    সরকারি মূলধন ব্যয় ও উচ্চ অভ্যন্তরীণ চাহিদা ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে জোরালো করবে। অধিকন্তু, বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির কারণেই পোক্ত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। অক্টোবর-ডিসেম্বরে দেশ রেজিস্টার্ড করেছিল ৮.৪ শতাংশ জিডিপি। ম্যানুফ্যাকচারিং, ইলেকট্রিসিটি এবং নির্মাণ শিল্পে জিডিপির বৃদ্ধি এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, বৈশ্বিক বৃদ্ধি ২.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২.৬ শতাংশ হবে। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ভারতের জিডিপির হার বাড়বে বলেই জানিয়েছে এই সংস্থা (India Economy)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share