Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    Cyber Attack: ভারতের ১৫ লক্ষ ওয়েবসাইটে সাইবার হানার চেষ্টা পাকিস্তানি হ্যাকারদের! সফল মাত্র ১৫০টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটে ১৫ লক্ষ বার সাইবার হানার (Cyber Attack) চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি হ্যাকাররা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সাইবার বিভাগের পক্ষ থেকে এমন সাতটি অ্যাডভান্সড পার্সিসট্যান্ট থ্রেট শনাক্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাইবার সেলের একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকারদের সাফল্য যৎসামান্যই। লক্ষ লক্ষ বার ভারতের ওয়েবসাইটগুলিকে নিশানা করলেও মাত্র ১৫০টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তারা। ব্যর্থতার হার ৯৯.৯৯ শতাংশ।

    ভারতের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ!

    মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের (Cyber Attack) তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল পাকিস্তান থেকেই নয়, সাইবার হানা চালানো হয় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো এবং পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকেও। তদন্ত রিপোর্টটির নাম ‘রোড অফ সিঁদুর’। এই রিপোর্টে হ্যাকারদের বেশ কয়েকটি দাবিকেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টেই নোডাল সাইবার এজেন্সি জানিয়েছে যে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু হ্যাকিং গ্রুপ সাইবার যুদ্ধ চালাচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে। এই রিপোর্ট সমস্ত ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কাছে পাঠানো হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ এবং স্টেট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সাইবার সেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ যশস্বী যাদব এ কথা জানিয়েছেন।

    ব্যর্থতাই সম্বল পাকিস্তানের

    এমন ৭টি পাকিস্তানি হ্যাকার (Cyber Attack) গ্রুপকে শনাক্ত করেছে সাইবার বিভাগ। এপিটি ৩৬, পাকিস্তান সাইবার ফোর্স, টিম ইনসেন পিকে, মিস্টিরিয়াস বাংলাদেশ, ইন্দো হ্যাকস সেক, সাইবার গ্রুপ হোয়াক্স ১৩৩৭ এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রিউ। যে ১৫০টি ওয়েবসাইটে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা তাদের মধ্যে রয়েছে কুলগাঁও বদলাপুর মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইট, জলন্ধরের ডিফেন্স নার্সিং কলেজের ওয়েবসাইট। তবে, হ্যাকাররা দাবি করেছিলেন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্ভার থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করা হয়েছে। তাঁদের তরফে এ-ও দাবি করা হয় যে, ভারতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাইবার হানা হওয়ায় বহু জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছোচ্ছে না। এই সমস্ত দাবিকে মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

  • IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    IACCS: পাক হানা প্রতিরোধে ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, নেপথ্য নায়কদের ছবি প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পিছনে ছিল ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস)। সাংবাদিক বৈঠকে এসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বলতে গিয়ে বায়ুসেনার এয়ার মার্শাল একে ভারতী শেষ ভাবে উল্লেখ করেছিলেন আইএসিসিএস-এর (IACCS) কথা। বলেছিলেন এই অভিযানের নেপথ্যে থাকা নায়কদের কথা। শুনিয়েছিলেন পর্দার পিছনের কাহিনী। সোমবার তারই একটা ছবি প্রকাশ করে কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের তরফে ছবি প্রকাশ

    সেনা সূত্রে জানা যায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ওই সিস্টেম যে কক্ষ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, সোমবার কেন্দ্রের তরফে তারই একটি ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, পিছনে বৃহদাকার এলইডি স্ক্রিনে নানা ভৌগোলিক হিসেবনিকেশ করা রয়েছে। তার সামনে মুখে মাস্ক পরে দাঁড়িয়ে সেনার কয়েক জন আধিকারিক। তাঁদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না-চলে আসে, সেই জন্যই প্রত্যেকের মুখ মাস্কের আড়ালে।

    আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর

    সেনার একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সর্বদা সতর্ক এবং সজাগ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই আইএসিসিএস (IACCS)। বায়ুসেনার প্রতিটি কার্যকলাপে নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ চালায় এটি। এই আইএসিসিএস-এর তিনটি স্তর বা বিভাগ রয়েছে। একটি বিভাগ স্থল, জল এবং নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখে। আর একটি বিভাগ বিভিন্ন ধরনের রেডারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। তার পর সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় কমান্ড এবং কন্ট্রোল সেন্টারে।

    ভারতের তিন বাহিনীর যৌথ অংশ গ্রহণ

    এই জটিল ও স্তরভিত্তিক এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাটি ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার যৌথ অংশগ্রহণে গঠিত হয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক সেন্সর ও অস্ত্রব্যবস্থা, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘সফট-কিল’ ও ‘হার্ড-কিল’ কাউন্টার-ইউএভি ব্যবস্থা, এবং প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী। আইএসিসিএস (IACCS) ছিল এই প্রতিরক্ষা জালের কেন্দ্রবিন্দু, যা বিভিন্ন স্তরের অপারেশনকে সমন্বয় করেছে।

    আইএসিসিএস কী?

    আইএসিসিএস (IACCS) বা ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম হল একটি স্বয়ংক্রিয় এয়ার ডিফেন্স কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, যা ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান অভিযানের নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির জন্য তৈরি হয়েছে। আধুনিক নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক যুদ্ধের যুগে ‘রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার’ (RASP) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিশেষ সিস্টেমে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং সিভিল রেডার নেটওয়ার্কের মধ্যে বিশেষ সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় হয়। আইএসিসিএস (IACCS) বিভিন্ন ধরনের ২-ডি ও ৩-ডি রেডার, মোবাইল পর্যবেক্ষণ পোস্ট, এয়ার ফোর্স ঘাঁটি, সিভিল এজেন্সি, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে এবং একটি সমন্বিত রেকগনাইজড এয়ার সিচুয়েশন পিকচার তৈরি করে। এই পুরো সিস্টেমটি আইপি-ভিত্তিক ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের (WAN) মাধ্যমে সংযুক্ত।

    আইএসিসিএস-এর ভূয়সী প্রশংসা

    ভারত-পাক যুদ্ধ আবহে দেশের তিন বাহিনীর সাফল্য প্রসঙ্গে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটা শক্তিশালী দেওয়ালের মতো দেশকে বাঁচিয়েছে ৷ শত্রুরা এই দেওয়াল ভেদ করতে পারেনি ৷ পাকিস্তানের নিরন্তর প্রচেষ্টা, প্রতিরোধ করেছে ভারতের বহুস্তরীয় ও সংহত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ৷ ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌ-বাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিভিন্ন জায়গায় এই এডিএস স্থাপন করেছিল ৷” এই বিশাল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে বহু সংখ্যায় বিভিন্ন ধরনের এয়ার ডিফেন্স সেন্সর এবং অস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে৷ যেমন- লো লেভেল এয়ার ডিফেন্স গান, কাঁধে রেখে গোলা বর্ষণের অস্ত্র (শোলডার ফায়ার্ড ম্যান প্যাডস), স্বল্প পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল, এসএএমএস) ৷ এছাড়া এরিয়া ডিফেন্স ওয়েপন- যেমন এয়ার ডিফেন্স যুদ্ধবিমান, দূর পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ৷ পাকিস্তানের পাঠানো অসংখ্য ড্রোন, আনম্যান্ড ভেহিকলকে আকাশেই ধ্বংস করেছে ভারতের নিজস্ব সফ্ট ও হার্ড কিল কাউন্টার-ইউএএস সিস্টেম এবং ভারতীয় বায়ুসেনার দক্ষ আধিকারিকরা ৷ আর এই সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) ৷

    মোদি সরকারকে ধন্যবাদ

    আধুনিক যুগের এই যুদ্ধ-ব্যবস্থার ক্ষমতা ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে তৈরি ৷ নতুন এডি সিস্টেমের পাশাপাশি পুরনো এডি সিস্টেমও এই সংঘাতে কাজ করেছে ৷ সর্বোপরি সাম্প্রতিক যুদ্ধে ভারতের নিজস্ব আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পারফরমেন্স ছিল দুর্দান্ত ৷ বিগত কয়েক বছরে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দের জন্য এই অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম-এ ভারত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (IACCS) তৈরি সম্ভব হয়েছে বলে জানান এয়ার মার্শাল একে ভারতী ৷

  • AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    AkashTeer: স্তম্ভিত আমেরিকা-চিন! পাক হামলার মোকাবিলায় ভারতের বৈপ্লবিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতীর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইজরায়েলের আয়রন ডোমের দিকে নজর থাকলেও, গত কয়েক দিনে ভারত যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, তা এখন সারা বিশ্বে আলোচিত। ভারত চুপচাপ তার নিজস্ব আকাশসীমা প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে আকাশতীর (AkashTeer) প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ডিকেড অব ট্রান্সফরমেশন’ এবং ‘ইয়ার অব টেক অ্যাবজর্বশন’ উদ্যোগের অধীনে আকাশতীর তৈরি করা হয়েছে, যা আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। সাম্প্রতিক ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতের এই বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা কৌশল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, তুরস্ক সকলকেই চমকে দিয়েছে। আকাশতীর ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ গেম-চেঞ্জার হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ন্যাটো-বহির্ভূত কোনও দেশের হাতে এত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দেখেছে বিশ্ববাসী। সম্পূর্ণ দেশীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্বারা পরিচালিত, উপগ্রহ-সংযুক্ত স্বয়ংক্রিয় কমব্যাট সিস্টেম হিসেবে আকাশতীর বিশ্বের তামাম প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের চমকে দিয়েছে।

    কী এই আকাশতীর?

    “আকাশতীর” একটি বহুস্তরীয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ সমন্বয় ব্যবস্থা। বিশ্ব প্রতিরক্ষা কৌশলে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে ভারত। ডিআরডিও (DRDO), ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এবং ইসরো (ISRO)-এর যৌথ উদ্যোগে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত হয়েছে “আকাশতীর”। এটি হল একটি বাস্তব-সময়ে লক্ষ্য নির্ধারণ ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণ পরিচালন পদ্ধতি। এটি কোনও একক ডিভাইস নয়, বরং একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক, যা নিজে থেকে বিপদ আঁচ করে যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিপদকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। আকাশতীর হলো বহুস্তরীয় সমন্বিত প্রতিরক্ষা এবং প্রতি-আক্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি। যা এআই, স্যাটেলাইট নজরদারি, স্বয়ংক্রিয় সোয়ার্ম ড্রোন, রেডার এবং মোবাইল কমান্ড ইউনিট মিলিয়ে এক নতুন ধরনের “কমব্যাট ক্লাউড” গঠন করে।

    আকাশতীরের মূল বৈশিষ্ট্য

    সেনা সূত্রে খবর, ৭ তারিখ রাত থেকে ৮ তারিখ ভোরের মধ্যে ১৫টি সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাক সেনা। সেই আক্রমণ শুধু প্রতিহতই করেনি ভারত। উল্টে যোগ্য জবাবও দিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের পর একের পর এক ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। যা রুখে দেয় ভারত। ভারতের চার স্তরের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা ‘আয়রন ডোম’-এর অনুরূপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিস্টেমটি বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি এবং ‘আকাশতীর’ কমান্ড নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত। আকাশতীর সিস্টেম সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার সমস্ত রেডার এবং স্যাটেলাইট ডেটা একটি একক নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছিল। এই সমন্বিত চিত্রটি নির্ধারণ করেছিল যে কোন ব্যবস্থা কোন হুমকিকে ধ্বংস করবে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তানের একের পর এক হামলা প্রতিহত করে ভারত।

    চার স্তরের আকাশতীর সিস্টেম

    ইসরোর উপগ্রহ নজরদারি: কার্টোস্যাট ও রিস্যাট উপগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল-টাইম মানচিত্র এবং লক্ষ্য নির্ধারণ। বিদেশি স্যাটেলাইট ডেটার উপর নির্ভরতা ছাড়াই, নিজস্ব স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি যুদ্ধভূমির তথ্য সংগ্রহ ভারতকে কয়েক কদম এগিয়ে দিয়েছে।

    নাবিক ব্যবস্থার ব্যবহার: ভারতের নিজস্ব জিপিএস ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা উপমহাদেশীয় ভূখণ্ডে অত্যন্ত কার্যকর। এই বিশেষ সিস্টেম পার্বত্য, মরুভূমি ও শহরাঞ্চলে অত্যন্ত কার্যকর।

    সোয়ার্ম ড্রোন: আকাশতীরের প্রতিটি সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম— ৫-১০ কেজি পেলোড বহনে সক্ষম। চিনা ও পাকিস্তানি রেডার এড়াতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত। উচ্চ গতিতে উড়তে সক্ষম। অনুপ্রবেশ করতে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুর ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সেলফ-নেভিগেশন রয়েছে। নিজেই লক্ষ্যকে স্থির করে নিতে সক্ষম। মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী, মাঝপথে নিজের প্রোগ্রামে বদল আনতে সক্ষম। এগুলি বাণিজ্যিক ড্রোন নয়। বরং কৌশলগত, বুদ্ধিমান কামিকাজে ইউনিট যা শত্রুর হাই-ভ্যালু টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে, শত্রুর আকাশসীমায় প্রবেশ করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।

    এআই কমব্যাট ক্লাউড: তাৎক্ষণিক তথ্য বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করে এই পদ্ধতি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শত্রুর রেডার সংকেত, ভূখণ্ড বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র সহ বিস্তৃত যুদ্ধের তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে আকাশতীর। এআই-এর দৌলতে আকাশতীর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন নতুন করে সাজাতে পারে, ড্রোন রিডিরেক্ট করতে পারে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে, যা মার্কিন বা চিনা সিস্টেমের চেয়ে অনেক উন্নত, কারণ সেখানে মানুষের প্রয়োজন হয়।

    আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

    অপারেশন সিঁদুরের পর, ভারতের বায়ু প্রতিরক্ষা মডেল এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। এই মডেলটি দেখায় যে নিরাপত্তা কেবল নতুন প্রযুক্তি কেনার মাধ্যমেই আসে না, বরং সেগুলিকে একীভূত করার মাধ্যমেও আসে। কীভাবে একইসঙ্গে শত্রুর হানা রুখছে, আবার শত্রুর ডেরায় গিয়ে আঘাত হানছে আকাশতীর,তা দেখে আমেরিকা থেকে শুরু করে চিন, তুরস্ক থেকে শুরু করে পাকিস্তান— সকলেই কার্যত থ বনে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখন ভারতের এই স্তরযুক্ত প্রতিরক্ষাকে বিশ্বের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্লেষক ভারতের এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আকাশতীরের অনুকরণে পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ কৌশল পুনর্বিবেচনার কথাও বলছেন। চিনের বেইডু স্যাটেলাইট ও ড্রোন বিশেষজ্ঞরা এখন আকাশতীরের অনুকরণে অ্যালগোরিদম পুনঃর্গঠনের চেষ্টা করছে। ভারতের অগ্রগতি দেখে অবিলম্বে বায়রাক্তার ড্রোনের প্রযুক্তি আপগ্রেডে ব্যস্ত তুরস্ক।

    কেন আকাশতীর অনন্য

    ভারত দীর্ঘদিন ধরে তার আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অত্যাধুনিক বিমান আক্রমণের হুমকি বৃদ্ধি পাওয়ায়। আয়রন ডোমের মতোই ভারতের আকাশতীর এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি শক্তিশালী সমাধান। এটি অত্যাধুনিক রেডার, ক্ষেপণাস্ত্র নির্দেশনা এবং কমান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি। আকাশতীর বিশেষভাবে উচ্চ-গতি, কম উচ্চতার এবং স্টেলথ লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আকাশতীরের রেডার সিস্টেম প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বিশাল অগ্রগতি। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তু বিভিন্ন উচ্চতায় শনাক্ত করতে সক্ষম, এবং অত্যাধুনিক সিগন্যাল প্রসেসিং অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে স্টেলথ বিমান, ড্রোন এবং সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী রেডার সিস্টেমের তুলনায়, আকাশতীরের রেডার প্রায় মাটি ঘেঁষে চলা লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে সক্ষম, যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা প্রদান করে। একশো শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পদ্ধতি কোনও বিদেশি চিপ বা সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি দেশের সরকারি সংস্থাগুলোর দুর্দান্ত সমন্বয়ে তৈরি এক প্রকল্প। ডিআরডিও, ইসরো ও ভারত ইলেক্ট্রনিক্সের যুগান্তকারী সমন্বয়ে তৈরি আকাশতীরের পূর্ণ কৌশলগত স্বাধীনতা রয়েছে। এটি একটি মোবাইল কমান্ড ইউনিট, যা জিপে রেখেও চালানো সম্ভব। আকাশতীর শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতীক। এটি ভারতকে আর অনুসরণকারী নয়, বরং নেতৃত্বকারী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠা করেছে।

  • India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    India-Pakistan War: আবারও মুখ পুড়ল, ভারতের মহিলা পাইলটকে আটকের খবর ভুয়ো, মেনে নিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (India-Pakistan War) কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) কোনও পাইলট আটক নেই। এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি একটি গুজব, যা সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। একথা স্পষ্ট করে জানালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এর আগে পাকিস্তানিরা দাবি করছিল, ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং (Shivani Singh) পাক সেনার হাতে বন্দি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, আগেই পিআইবি ফ্যাক্ট চেক করে জানায়, খবরটি ভুয়ো। রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনার কড়া বার্তার পর অবশেষে সত্যি স্বীকার করল পাকিস্তান।

    স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের

    পাকিস্তানের (India-Pakistan War) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (ISPR) আধিকারিক আহমেদ শরিফ চৌধুরি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি, আমাদের হেফাজতে কোনও ভারতীয় পাইলট নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়ো খবর এবং প্রোপাগান্ডা।” এর আগে, সামাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মহিলা পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবানি সিং পাকিস্তানে ধরা পড়েছেন। তবে ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দ্রুত এই গুজব খণ্ডন করে জানায়, “ভারতীয় মহিলা পাইলট আটক হয়নি। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। যে ছবিটি দেখানো হচ্ছে, সেটি আসলে ২০২১ সালে পাঞ্জাবের মোগায় একটি মিগ-২১ ভেঙে পড়ার সময়ের ছবি।”

    আগেই বলেছিল ভারত

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর ইসলামাবাদ (Islamabad) এই ধরনের ভুয়ো প্রচারের আশ্রয় নেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ার মার্শাল একে ভারতী রবিবার জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের সব লক্ষ্যে পৌঁছেছি এবং সব ভারতীয় পাইলট নিরাপদে ফিরে এসেছেন।” তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তানের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেগুলিকে প্রতিহত করা হয়েছে। কয়েকটি শত্রু বিমান ভূপাতিত হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো আগেই জানিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তান-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে অন্তত ৪০টি ভুয়ে খবর ছড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ভারতীয়দের (India-Pakistan War) বারবার যাচাই না করে গুজব বা ভুয়ো তথ্য শেয়ার করতে নিষেধ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়, তবে পাকিস্তানের সেনা মুখপাত্রের এই স্বীকারোক্তি নিশ্চিত করেছে যে, ভারতীয় পাইলট আটক করার খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল।

  • India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    India-Pakistan War: “চাইলে গুঁড়িয়ে দেওয়া যেত, ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে”, পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা সেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) পাক জঙ্গি দমনে করা হলেও, তার পাল্টা বারবার জবাব দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। ভারত (India-Pakistan War) তাদের সেনা বা নাগরিকের কোনও ক্ষতি করতে চায়নি। চেয়েছে সীমান্তে বসে থাকা জঙ্গিদের শেষ করতে। যা করেছেও। কিন্তু তার পাল্টা ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। যার প্রত্যাঘাত হিসেবে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট করে দিল ভারত। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই, বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী এবং নৌসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ নেভাল অপারেশন্‌স’ ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ গত কয়েক দিনের সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন। এদিন বৈঠক শুরু হয় শিব তাণ্ডব স্তোত্র দিয়ে।

    বেয়াদপি করলে বরদাস্ত নয়

    সংঘর্ষ বিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণার পর বিশ্বাসঘাতকতা করে বারবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। রবিবার সেনার সাংবাদিক বৈঠকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়ে জানানো হল পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আর কোনওরকম ভারত-পাক সমঝোতা ভঙ্গ হলে ভারতও চুপ থাকবে না। ভারতের লড়াই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানি সেনা বা সীমান্তের ও পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ভারতের কোনও লড়াই নেই। অপারেশন সিঁদুর তা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে। ভারত আর সন্ত্রাসবাদকে কোনও ভাবে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের মদত দেয় সেটা জলের মতো পরিষ্কার। এর পর পাকিস্তান কোনও রকমের বেয়াদপি করলে ভারত কোনও রকমে রেয়াত করবে না। তিন বাহিনীর কর্তারা জানান, এই সংঘাতের আবহে পাক সেনার ৩৫-৪০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের কাছে চাকলালা ঘাঁটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করাচিতেও যে কোনও মুহূর্তে আঘাত করার মতো কৌশলগত অবস্থানে ছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির জন্য আপাতত চুপ রয়েছে ভারত।

    ১০০-র বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা (India-Pakistan War) লঙ্ঘন করে বেশ কিছু জনবহুল গ্রাম এবং মন্দির, গুরুদ্বারের মতো ধর্মীয় স্থানে আঘাত করার চেষ্টা করে। ভারতের জম্মু, উধমপুর, ভাটিন্ডা, বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার কড়া প্রত্যাঘাত করেছে ভারতও। পাকিস্তান ও পিওকের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাকলালা, রফিকি-সহ বেশ কিছু অঞ্চল রয়েছে। ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজহার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে। ৩৫-৪০ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গি দমনের সাফল্য এসেছে কী ভাবে তার ব্যাখ্যা দেয় ভারতীয় সেনা।

    পাক হামলার প্রত্যাঘাত করা হয়েছে মাত্র

    তিন বাহিনীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়, ৮-৯ মে’র রাতে পাকিস্তান বেশ কিছু ড্রোন এবং বিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সেগুলির লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি। তার মধ্যে বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীনগর থেকে নালিয়া পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ড্রোন, পাইলটহীন বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সেগুলি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। এ ছাড়া পাকিস্তানি কিছু যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেগুলি ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করার আগেই সেগুলিকে আটকে দেওয়া গিয়েছে। ভারত স্পষ্ট করে দেয়, পাকিস্তানের এই হামলার কারণেই প্রত্যাঘাত করতে হয়েছে ভারতীয় সেনাকে।

    সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল

    পাক হামলার (India-Pakistan War) পরে ভারতও পাকিস্তানের বেশ কিছু বায়ুসেনা ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং অন্য সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করে। প্রত্যাঘাত করা হয় পাকিস্তানের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাতেও। পাকিস্তানের যে সামরিক ঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তার মধ্যে ইসলামাবাদ সংলগ্ন এলাকাও রয়েছে। এয়ার মার্শাল ভারতী বলেন, “আমরা যে ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছিলাম তার মধ্যে ছিল চাকলালা, রফিকি। উল্লেখ্য, চাকলালা ইসলামাবাদে অবস্থিত।” এ ছাড়া পাকিস্তানের রহিম ইয়ার খান, সরগোদা, জাকোকাবাদ এবং ভুলারির মতো এলাকাতেও সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। এয়ার মার্শাল জানান, এই ঘাঁটিগুলিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং পরিমিত জবাব দিয়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থান

    গত কয়েক দিন ধরে পাক নৌসেনাকে কৌশলগত ভাবে চাপে রেখেছিল ভারতীয় নৌসেনাও। ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ জানান, পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে নৌসেনার ডুবোজাহাজ, বিমান-সহ সমস্ত বিভাগকে সংঘাতের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে সমুদ্রে মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদী হামলার ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নৌসেনা আরব সাগরে বেশ কিছু কৌশলগত অবস্থান নেয়। উত্তর আরব সাগরে এমন জায়গায় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল যেখান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সময়ে করাচি-সহ বিভিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা ছিল নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনার কৌশলগত অবস্থানের জন্য পাকিস্তানি নৌসেনাকে রক্ষণমূলক অবস্থান নিতে হয়েছিল এবং সেগুলি বেশির ভাগই নিজেদের বন্দর বা উপকূলের কাছাকাছিই রয়ে গিয়েছিল।

    প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে

    ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই জানান, প্রাথমিকভাবে ৩৬ ঘণ্টার জন্য সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে এপার থেকেও উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে পাক সেনাকে। এক বিন্দু জমিও ছাড়বে না ভারত। প্রতিটি হামলার পাল্টার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসলামাবাদকে।

  • Operation Brahma: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন মাঝ আকাশে সাইবার হামলা, মোকাবিলা বায়ুসেনার

    Operation Brahma: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন মাঝ আকাশে সাইবার হামলা, মোকাবিলা বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma) চলাকালীন ‘জিপিএস-স্পুফিং’ সাইবার হামলার (Cyber Attack) শিকার ভারতীয় বায়ুসেনার C-130J এয়ারক্রাফট। স্পুফিংয়ের ফলে বদলে যায় রিয়েল-টাইম কোয়ার্ডিনেটস। বদলের ফলে মাঝ আকাশে উড়ানের সময় বিমানের নেভিগেশন সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়। তবে হার মানেনি বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে বিপদ বুঝতেই সঙ্গে সঙ্গে ইন্টার্নাল নেভিগেশন সিস্টেমে (আইএনএস) সুইচ করে ফেলে এয়ার ফোর্স পাইলটরা। নিরাপদ ভাবে নেভিগেট করতেই পাইলটদের এই পদক্ষেপ সফল হয়।

    কীভাবে ঘটে সাইবার হামলা

    গত ২৮ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের জেরে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় মায়ানমারের একাধিক শহর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ানমারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তার পরেই ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারফ্রাফ্ট (IAF Aircraft Faces Cyberattack) ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যায় মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে। সি-১৩০ জে এবং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার এয়ারক্রাফ্টের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় ত্রাণ। মোট ৬টি মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট মায়ানমারে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফ্টেই সাইবার হানা হয়েছিল। ওই এয়ারক্রাফ্ট মায়ানমারের আকাশসীমায় ঢোকার পরেই জিপিএস সিগন্যাল নষ্ট করার চেষ্টা করে সাইবার ক্রিমিনালরা। সে সময়ে ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেমসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল এবং বাকি এয়ারক্রাফ্টগুলিকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল।

    জিপিএস-স্পুফিং কাকে বলে?

    এটি এক ধরনের সাইবার হামলা যেখানে আসল স্যাটেলাইট ডেটাকে মুছে দেয় ভুয়ো সিগনাল। একই ধাঁচের স্পুফিংয়ের ঘটনা আগে কয়েকবার ঘটেছে ভারত-পাকিস্তান বর্ডারে। নভেম্বর ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত অমৃতসর এবং জম্মুর কাছে প্রায় ৪৬৫ টি স্পুফিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটল মায়ানমারে। এই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘জিপিএস স্পুফিংয়ের মাধ্যমে লোকেশনের ব্যাপারে পাইলটদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। অন্য দেশের আকাশসীমায় ঘটা এই ধরনের ঘটনার তদন্তও যথেষ্ট সমস্যার। জিপিএস স্পুফিংয়ের জেরে ফ্লাইট দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়।’

     

     

     

     

  • Tejas Fighter Jet: ‘মার্ক-১এ’ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল! বায়ুসেনায় তেজসের নয়া সংস্করণের অন্তর্ভুক্তি শীঘ্রই?

    Tejas Fighter Jet: ‘মার্ক-১এ’ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল! বায়ুসেনায় তেজসের নয়া সংস্করণের অন্তর্ভুক্তি শীঘ্রই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ভারতের দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজস (Tejas Fighter Jet) থেকে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ‘অস্ত্র’-র সফল পরীক্ষা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিআরডিও ডিজাইন করেছে। এটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অ্যাডভান্সড গাইডেন্স ও নেভিগেশন সিস্টেম দিয়ে তৈরি, যা এটিকে আরও নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকেও ধ্বংস করতে পারে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry) জানিয়েছে যে, পরীক্ষায় অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি আকাশে উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। সমস্ত সিস্টেম চমৎকারভাবে কাজ করেছে এবং সমস্ত মিশনের প্যারামিটার পূরণ করেছে। এর ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের বিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

    ক্ষেপণাস্ত্র নয়, পরীক্ষায় সবার নজর ছিল বিমানের ওপর! (Tejas Fighter Jet) 

    তবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ডিআরডিও বা বায়ুসেনা মুখ কুলুপ আঁটলেও, সূত্রের খবর, এই পরীক্ষায় ‘অস্ত্র’-র ওপর থেকে বেশি নজর ছিল বিমানটির ওপর। কেন? কারণ, এদিন যে বিমান থেকে মিসাইলটি নিক্ষেপ করা হয়েছে, তা এলএসিএ তেজস-এর নয়া সংস্করণ। অর্থাৎ, মার্ক-১এ ‘প্রোটোটাইপ’ বিমান (Tejas Fighter Jet) । যা বায়ুসেনা এখনও হাতে পায়নি। যে বিমানটির এখনও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এদিনের সফল পরীক্ষার মাধ্যমে অস্ত্র মিসাইলের সক্ষমতার পাশাপাশি বিমানের সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। ফলে, বলা যেতে পারে, ভারতীয় বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১এ (Tejas Fighter Jet)  সংস্করণের অন্তর্ভুক্তির জন্য আরও এক ধাপ এগনো গেল। খুব শীঘ্রই হয়ত, ভারতীয় বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১ সংস্করণের পাশাপাশি দেখা যাবে মার্ক-১এ সংস্করণটিও। প্রসঙ্গত, ২০৩২ সালের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ সংস্করণ বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা দেশীয় যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল-এর।

    সর্বাধুনিক রেডার আসছে বায়ুসেনায়

    অন্যদিকে, দেশের আকাশসীমাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (BEL) এর সঙ্গে ২,৯০৬ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশে তৈরি সর্বাধুনিক পরিবহণযোগ্য ‘অশ্বিনী’ রেডার কেনা হবে। আকাশে ভাসমান যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ট্র্যাক করতে সক্ষম অশ্বিনী। উচ্চ গতির যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে মানবহীন ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মতো ধীর গতির লক্ষ্যবস্তুও শনাক্ত করতে পারে এই রেডার। এর ফলে শক্তিশালী হবে ভারতীয় বিমানবাহিনী। আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত হবে ভারতের আকাশসীমা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা  হয়েছে, এটি নেওয়ার ফলে বায়ুসেনার সামরিক প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে বিইএল-এর চুক্তি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সরকারের দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিইএল-এর সঙ্গে ২,৯০৬ কোটি টাকার একটি চুক্তি সই করেছে। যার মাধ্যমে কম-উচ্চতার পরিবহণযোগ্য রেডার (এলএলটিআর) আশ্বিনী সংগ্রহ করা হবে।” ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) অধীনস্থ বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড রেডার ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট দেশীয়ভাবে এই রেডার তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যিনি সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি কমিটি গঠনের আবেদন করেছিলেন। মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডার প্রোগ্রামটি বিদেশি সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। স্থানীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে এটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

     

  • ASTRA MK-III: চিন-আমেরিকাকে টেক্কা! ভারত তৈরি করছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ‘গাণ্ডীব’

    ASTRA MK-III: চিন-আমেরিকাকে টেক্কা! ভারত তৈরি করছে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ‘গাণ্ডীব’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র আনছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। ভারতের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, অস্ত্র মার্ক-থ্রি-র (ASTRA MK-III) নতুন নামকরণ করা হল ‘গাণ্ডীব’। মহাভারতের অর্জুনের ধনুকের নাম ছিল গাণ্ডীব। শত্রুকে নিশানা এর লক্ষ্য ছিল নির্ভুল। ঠিক সেই রকম ভাবেই অস্ত্র মার্ক-থ্রি আধুনিক আকাশ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে আশা ডিআরডিও-র। এই মিসাইলটি আকাশ-যুদ্ধের দৃশ্যপটকে নতুন সংজ্ঞা দিতে সক্ষম হবে, বিশেষত “বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ” (BVR) যুদ্ধে নতুন দিশা দেখাবে। ডিআরডিও-র নজরদারিতে এখনও এই ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণ চলছে।

    ভারতের জন্য গেম-চেঞ্জার

    বর্তমানে, ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি ফরাসি এমবিডিএ নির্মিত মিটিওর বিভিআর মিসাইল দ্বারা সজ্জিত। যার বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ পরিসীমা ২০০ কিলোমিটার। তবে, গাণ্ডীব মিসাইলটি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে আরও দীর্ঘ পরিসীমা প্রদান করবে। এর সর্বোচ্চ পরিসীমা ৩৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। মিসাইলটি ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় ৩৪০ কিলোমিটার এবং ৮ কিলোমিটার উচ্চতায় ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রু বিমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যা এই মিসাইলটিকে ভারতের সামরিক শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনকারী এক বিপ্লবী অস্ত্র হিসেবে গড়ে তুলবে।

    চিন-আমেরিকাকে টেক্কা

    বলে রাখা ভালো, বর্তমানে বিশ্বে আর কোনও বিভিআর এয়ার টু এয়ার মিসাইলের পাল্লা এত বেশি নয়। গাণ্ডীব ক্ষেপণাস্ত্রের (Gandiva Missile) চূড়ান্ত অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, ভারত বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ-পরিসীমার বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের অধিকারী হবে। এর ফলে, ভারত চিনের পিএল-১৫ (PL-15) ক্ষেপণাস্ত্রকে অতিক্রম করবে, যার পরিসীমা ৩০০ কিলোমিটার। যুক্তরাষ্ট্রের এআইএম-১৭৪ ও বিভিআরএএএম (AIM-174 BVRAAM) মিসাইলকেও টেক্কা দেবে যার পরিসীমা ২৪০ কিলোমিটার। গাণ্ডীব ভারতীয় বিমান বাহিনীর (IAF) সুখোই-৩০এমকেআই (Su-30MKI) এবং লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট তেজস যুদ্ধবিমানে স্থাপন করা হবে। গাণ্ডীব একটি ডুয়াল-ফুয়েল ডাকটেড র‌্যামজেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। এটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অথবা ২০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে উৎক্ষেপণ করা যাবে। এটি বিভিন্ন ধরনের শত্রু বিমান যেমন ফাইটার, বম্বার, সামরিক পরিবহণ বিমান, রিফুয়েলিং প্লেন, এবং এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম বিমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

  • F-35 vs Su-57: রেডারকে ফাঁকি দিতে ওস্তাদ এফ-৩৫, গতি-অস্ত্রসম্ভারে তুখোড় সু-৫৭, ভারতের মন জিতবে কে?

    F-35 vs Su-57: রেডারকে ফাঁকি দিতে ওস্তাদ এফ-৩৫, গতি-অস্ত্রসম্ভারে তুখোড় সু-৫৭, ভারতের মন জিতবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, এখন একটাই প্রশ্ন চারদিকে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। তা হল- মার্কিন এফ-৩৫ নাকি রুশ সু-৫৭, (F-35 vs Su-57) কোন যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত? কিন্তু কেন উঠছে এই প্রশ্ন, তা বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে। বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এরো ইন্ডিয়া শো-তে দুই যুদ্ধবিমানই উপস্থিত ছিল। এক কথায় এই দুই বিমানই ছিল এবারের সংস্করণের ‘শো-স্টপার’। পঞ্চম প্রজন্মের এই দুই স্টেলথ যুদ্ধবিমানই তাদের কলা-কৌশল যথাসম্ভবভাবে তুলে ধরেছে। অবশ্যই ভারতকে আকৃষ্ট করার জন্য। এর সঙ্গেই ওয়াশিংটন ও মস্কোর থেকে বিবৃতির পর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    এদিকে হোয়াইট হাউস, ওদিকে ক্রেমলিন!

    একদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাশে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাঁরা ভারতকে এই বিমান দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। ভারত এই বিমানই নেবে, সেই ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। হোয়াইট হাউস যখন এগিয়েছে, তাহলে ক্রেমলিন পিছিয়ে থাকে কী করে! পুতিনের তরফে আরও এক কদম বাড়িয়ে ঘোষণা করা হয়, ভারত সু-৫৭ নিলে তারা প্রযুক্তি হস্তান্তরেও রাজি। এর পর থেকেই সমাজ মাধ্যমের পাতায় জমে উঠেছে মার্কিন এফ-৩৫ বনাম রুশ সু-৫৭ যুদ্ধবিমানের ‘লড়াই’। এখন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে দেশপ্রেমী নেটাগরিক— সকলেই যে যার মতো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছে।

    রুশ সু-৫৭ বনাম মার্কিন এফ-৩৫ (F-35 vs Su-57)

    এখন প্রশ্ন হল, ভারত যেখানে দেশে নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাহলে সারা কেন হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কিনবে? এর উত্তর অবশ্য অনেকেরই জানা। তা হল, ভারতের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যার নাম অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল এয়ারক্র্যাফট বা অ্যামকা— তার এখনও দিনের আলোই দেখেনি। ফলে, বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত হতে এখনও অন্তত এক দশক দেরি। অন্যদিকে, চিন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে। ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনাকে এখনই একটা বিকল্প উপায় বেছে নিতে হবে। তা হল, বিদেশ থেকে অল্প সংখ্যক যুদ্ধবিমান কিনে পরিস্থিতি আপাতত সামাল দেওয়া। আর সেখানেই বিকল্প হিসেবে নাম উঠে এসেছে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর— এফ-৩৫ ও সু-৫৭ (F-35 vs Su-57)।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই দুই অত্যাধুনিক স্টেলথ যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রযুক্তিগত তফাত কোথায়—

    প্রযুক্তিগত তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ

    উৎপাদন ও উন্নয়ন— সু-৫৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে রাশিয়ার সুখোই সংস্থা, যাদের ব্যবহৃত সু-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা। এখ ভারতেই নির্মিত হয় সু-৩০এমকেআই। সু-৫৭ বিমানে আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে। অন্যদিকে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে মার্কিন সংস্থা লকহিড-মার্টিন। এটি মাল্টি-রোল স্টেলথ ফাইটার জেট।

    স্টেলথ সক্ষমতা— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানের স্টেলথ-সক্ষমতা মার্কিন পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ বা এফ-২২ যুদ্ধবিমানের তুলনায় কম উন্নত। অন্যদিকে, এফ-৩৫ বিমানের ‘স্টেলদিনেস’ উচ্চমানের। শত্রুর রেডারে প্রায় ধরা পড়ে না এই যুদ্ধবিমান।

    ইঞ্জিন ও গতি— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানকে শক্তি জোগায় স্যাটার্ন এএল-৪১এফ১ ইঞ্জিন। এর সর্বোচ্চ গতি ২২৭৮ কিমি প্রতি ঘণ্টা, যা আনুমানিক শব্দের গতির ২.২৫ গুণ। অন্যদিকে, এফ-৩৫ জেটে রয়েছে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি এফ১৩৫ ইঞ্জিন। এর সর্বোচ্চ গতি ১৪৩২ কিমি প্রতি ঘণ্টা, যা শব্দের গতির প্রায় ১.১৫ গুণ। ফলে, গতিতে মার্কিন জেটকে টেক্কা দেবে রুশ যুদ্ধবিমান (F-35 vs Su-57)।

    অস্ত্রবহনের ক্ষমতা— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানে রয়েছে ১২টি ‘হার্ডপয়েন্ট’, যাতে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল মোতায়েন করা যেতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে ন্যূনতম ৫ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল। অন্যদিকে, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানে কেবলমাত্র ৬টি অস্ত্রবহণ করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র।

    লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিতকরণ— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানে রয়েছে এন০৩৬ বেলকা এইসা রেডার সিস্টেম, যা একসঙ্গে একাধিক লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে সক্ষম। অন্যদিকে, এফ-৩৫ জেটে রয়েছে এএন/এপিজি-৮১ এইসা রেডার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম, যা আরও নিখুঁতভাবে শত্রুর সঠিক জায়গা চিহ্নিত করতে সক্ষম।

    লড়াইয়ের সক্ষমতা— সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি দ্রুত) গতিতে সুপারক্রুজ করতে সক্ষম সু-৫৭। অর্থাৎ এটি আফটারবার্নার ব্যবহার না করেই সুপারসনিক গতিতে উড়তে পারে। এর সরাসরি অর্থ হল, এটি অতিরিক্ত জ্বালানি না পুড়িয়েও দীর্ঘ দূরত্বে অভিযান সম্পন্ন করতে পারে। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের সুপারক্রুজ ক্ষমতা নেই, অর্থাৎ সুপারসনিক গতিতে উড়তে একে অতিরিক্ত জ্বালানি পোড়াতে হয় (F-35 vs Su-57)।

    মাল্টিরোল ক্ষমতা— সু-৫৭ আকাশ থেকে আকাশে এবং ভূমিতে আক্রমণ চালানোর জন্য তৈরি, তবে এটি মূলত ‘ডগফাইট’-এর (মাঝ-আকাশে দুই বিমানের লড়াই) ক্ষেত্রে আরও ভালো। অন্যদিকে, এফ-৩৫ হল একটি সত্যিকারের বহুমুখী যুদ্ধবিমান। এটি একইধারে আকাশে যুদ্ধ, নজরদারি, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং স্থল আক্রমণে সক্ষম।

    ম্যানুভারাবিলিটি বা দ্রুত দিশা পরিবর্তন— সু-৫৭ যুদ্ধবিমানে থ্রাস্ট-ভেক্টরিং প্রযুক্তি রয়েছে, যা এটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক করে তোলে। বিশেষ করে, ডগফাইটের সময় এটি ভীষণ কাজে লাগে। তুলনায়, এতটা উন্নত নয় এফ-৩৫। এটি বহুমুখী উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

    ব্যবহার এবং মূল্য— সু-৫৭ শুধুমাত্র রাশিয়ায় ব্যবহৃত হয়, তাও সীমিত সংখ্যায়। এর এক-একটির দাম ৩.৫ থেকে ৫ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত। সেখানে, বিশ্বের অনেক দেশ ব্যবহার করে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, এবং এর এক-একটির দাম ৮ থেকে ১১ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত। অর্থাৎ, রুশ যুদ্ধবিমানের দ্বিগুণ (F-35 vs Su-57)।

    রয়েছে আরও অনেক হিসেব-নিকেশ

    এতো গেল প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ। যা পরখ করে দেখা হবে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু, এর বাইরেও রয়েছে অনেক হিসেব-নিকেশ। যার মধ্যে কূটনৈতিক ও কৌশলগত লাভ-ক্ষতির বিষয় জড়িয়ে। তার পর বিচার্য হবে প্রয়োজনীয়তা, দাম, সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়গুলি। এত ধাপ পেরিয়ে তবে চূড়ান্ত হবে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ঘরে কোন বিমানটি আসবে।

  • Air Defence System: দেশের আকাশসীমাকে নিশ্ছিদ্র করাই লক্ষ্য, একযোগে কাজ করবে স্থল এবং বায়ুসেনা

    Air Defence System: দেশের আকাশসীমাকে নিশ্ছিদ্র করাই লক্ষ্য, একযোগে কাজ করবে স্থল এবং বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সশস্ত্র বাহিনীর দুই শাখা, স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার সমন্বয় নিবিড় করার চেষ্টা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চিন, পাকিস্তান এবং সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সঙ্গেও মতানৈক্য, তাই সীমান্তে সদা সতর্ক ভারত। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতকে বিপাকে ফেলতে শত্রুসেনার বিমান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র এমনই গুরুত্বপূর্ণ নিশানা বেছে নিতে পারে। আর তা মাথায় রেখেই এ বার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Air Defence System) ঢেলে সাজাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই দুই বাহিনীর সমস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলিকে আনা হচ্ছে, ‘ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (আইএসিসিএস) নামে পরিচালন ব্যবস্থার অধীনে। ইতিমধ্যেই সেই একত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, বলে খবর।

    সেনার পাশে বায়ুসেনা

    ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পদাতিক বাহিনী। শক্তির দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার যুবক দেশের সবাই নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। কারণ পেশা হিসেবে তাঁরা বেছে নেন সেনার চাকরিকেই।‌ কর্তব্য নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং শৌর্য। ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হন তাঁরা। দুর্গম কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহ থেকে অরুণাচলের চিন সীমান্ত। আবার অন্যদিকে, রাজস্থানের থর মরুভূমির বুকেও সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর মতো বিরাজমান ভারতীয় সেনা। ‌শুধু যুদ্ধ‌ কিংবা সীমান্ত সুরক্ষায় নয়। বিভিন্ন বিপর্যয় দুর্যোগে আক্রান্ত দেশবাসীর ত্রাতা হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনা।‌ এই অবস্থায় আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের যুগে সেনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে দেশের বায়ুসেনা।

    তিন শাখার যৌথ পদক্ষেপ

    সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার একত্রীকরণের (থিয়েটারাইজেশন) কথা ঘোষণা করেন। তাঁর মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নয়া ব্যবস্থায় রুশ এস-৪০০ থেকে ভারতীয় ‘আকাশ’ (ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র) পর্যন্ত সবই চলে আসবে আইএসিসিএস-এর নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যেই স্থলসেনার ‘আকাশতীর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-এর (Air Defence System) ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী আকাশতীর-প্রসঙ্গের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‘চলতি বছরের শেষেই একত্রীকরণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।’’

    একই থিয়েটার কমান্ড গঠন 

    বর্তমানে ভারতীয় স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার দেশজুড়ে পৃথক পৃথক কমান্ড রয়েছে। ‘থিয়েটারাইজেশন’ পদ্ধতির চূড়ান্ত লক্ষ্য হল তিন বাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন কমান্ডের পরিবর্তে, একই থিয়েটার কমান্ড গঠন করা। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের মতো দেশে ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার। বাড়বে মারণক্ষমতাও। আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপের ফলে ‘জয়েন্ট এয়ার ডিফেন্স সেন্টার’ (জেএডিসি)-র মাধ্যমে আকাশতীর-সহ সশস্ত্র বাহিনীর রাডারকে একীভূত করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ত্রিশক্তি’! প্রথমবার একসঙ্গে কুচকাওয়াজ করবে সেনার তিন বাহু

    আকাশতীর প্রকল্পে ভরসা

    আকাশতীর প্রকল্পের (Air Defence System) অধীনে ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনী একটি নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড কেন্দ্রে পরিণত হবে। এর ফলে আকাশতীর প্রকল্পের ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলতে পারবে। এ কারণেই এটিকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সমন্বিত ভবিষ্যৎ বলে মনে করা হয়। এর বিশেষ বিষয় হল তিনটি বাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে এবং একসঙ্গে শত্রুকে আক্রমণ করতে পারবে। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে কথা বললে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর রাডারগুলিকে মাটিতে মোতায়েন করা হবে এবং আকাশতীর প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলিকে তাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তথ্য অনুযায়ী, বিমান বাহিনী তার ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (আইএসিসিএস) ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রকল্প আকাশতীরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে। এটি আকাশ থেকে ভূমিতে এবং স্থল থেকে আকাশে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে। তখন বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট শত্রুর দিকে দ্রুত আক্রমণ করবে এবং শত্রুকে আকাশেই ধ্বংস করবে।

    এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চলমান প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনী তাদের বিমান প্রতিরক্ষা একীভূত করার প্রক্রিয়া (Air Defence System) শুরু করেছিল ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে। ২০২০ সালে, তৎকালীন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াত বিমান প্রতিরক্ষা একত্রীকরণকে “লো হ্যাঙ্গিং ফল” হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তখন আলাদা একটি আকাশসীমা প্রতিরক্ষা কমান্ড (Air Defence Command) গঠনের কথা উঠেছিল, তবে এখনও পর্যন্ত কিছু চূড়ান্ত হয়নি, কারণ থিয়েটার কমান্ড কনসেপ্ট এখনও কাজের মধ্যে রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশা, ২০২৫ সালেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share