Tag: Indian Air Force

Indian Air Force

  • LCA Tejas Mk-1A: আরও ১০০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা! শীঘ্রই বরাত হ্যাল-কে

    LCA Tejas Mk-1A: আরও ১০০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা! শীঘ্রই বরাত হ্যাল-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান দ্বৈত সীমান্তের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই করে আসছে মোদি সরকার। সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস যুদ্ধবিমানের আরও ১০০টি নতুন ‘মার্ক ১এ’ (LCA Tejas Mk-1A) সংস্করণ কেনার বিষয়ে উদ্যোগী হলো বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে একটি প্রস্তাব বায়ুসেনার তরফে কেন্দ্রের কাছে পেশ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, হয়ত তা কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেত পেয়েও যাবে। সব ঠিকঠাক চললে, খুব শীঘ্রই এই বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে বরাত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    বায়ুসেনায় ৩০০টির ওপর তেজস

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ‘তেজস মার্ক ১এ’ (LCA Tejas Mk-1A) যুদ্ধবিমানের আধুনিক সংস্করণের ১০০টি ইউনিট কেনা হবে। খুব দ্রুত এর জন্য বরাত দেওয়া হবে হ্যাল-কে। জানা গিয়েছে, এই ১০০টি বিমান হাতে আসতে প্রায় ১৫ বছর লাগবে। সেটা হওয়ার পর বায়ুসেনার হাতে ৪০টি এলসিএ তেজস মার্ক-১, ১৮০টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ এবং অন্তত ১২০টি তেজস মার্ক-২ (বর্তমানে পরীক্ষার স্তরে) যুদ্ধবিমান থাকবে। 

    গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বায়ুসেনা প্রধান

    বুধবার, বায়ুসেনার (Indian Air Force) সদর দফতরে এলসিএ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরি। সেখানেই বায়ুসেনার উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, হ্যাল, ডিআরডিও এবং এডিএ-র শীর্ষ পদাধিকারীরা। সেখানেই এই ১০০টি যুদ্ধবিমান (LCA Tejas Mk-1A) কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। মৌখিকভাবে, হ্যালকে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আপাতত, অপেক্ষা সরকারি সিলমোহরের। 

    দেশের গর্ব এলসিএ তেজস

    চতুর্থ প্রজন্মের ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্‌ট’ গোত্রের তেজস সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এর ৬৫ শতাংশেরও বেশি যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জামও ভারতীয় সংস্থাগুলি তৈরি। ছ’দশকের পুরনো রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের পরিবর্ত হিসেবে তেজস ব্যবহার করতে শুরু করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনায় এলসিএ তেজস মার্ক-১ যুদ্ধিবিমানের অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রথম স্কোয়াড্রনটি ছিল বায়ুসেনার ৪৫ স্কোয়াড্রন, পোশাকী নাম ‘ফ্লাইং ড্যাগার্স’। তেজস ব্যবহারের আগে, এই স্কোয়াড্রন মিগ-২১ বাইসন ব্যবহার করতো। 

    চলছে আধুনিকীকরণ

    পরবর্তীকালে, ২০২১ সালের গোড়ায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৮৩টি হালকা যুদ্ধবিমান তেজসের উন্নত সংস্করণ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk-1A) কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। এখন সেগুলির উৎপাদন চলছে সংস্থার বেঙ্গালুরুর কারখানায়। হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৪ ফেব্রুয়ারি থেকেই ওই শুরু হবে এই বিমানগুলোর ডেলিভারি প্রক্রিয়া। তার আগেই, বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে আরও ১০০টি আধুনিক সংস্করণের যুদ্ধবিমানের বরাত পেতে চলেছে হ্যাল। উৎপাদনের পাশাপাশি, প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করার প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলছে। তেজসকে সম্প্রতি ‘অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যান্‌ড অ্যারো রেডার’ (এএসইএ), মিড এয়ার ফুয়েলিংয়ে সজ্জিত করার কাজও সম্পূর্ণ করে ফেলেছে হ্যাল। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya) থেকে সফল উড়ান এবং অবতরণ পরীক্ষা হয়েছে তেজসের। 

    শক্তিশালী ‘অস্ত্র’-এ সজ্জিত তেজস

    শুধু তাই নয়, তেজস-এর (LCA Tejas Mk-1A) মারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরীক্ষাও চলছে ক্রমাগত। বুধবারই ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় তেজস যুদ্ধবিমান থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয় স্বদেশীয় ‘অস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্রের। গোয়ায় ডিআরডিও-র তত্ত্বাবধানে এই পরীক্ষা চলে। ‘অস্ত্র’  হলো ১০০ কিলোমিটার পাল্লার মাক ৪.৫ (শব্দের চেয়ে সাড়ে চার গুণ বেশি গতি) বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ বা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম আকাশ-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র। এক কথায়, বিমান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এই ক্ষেপণাস্ত্র মূলত আকাশপথে হামলাকারী শত্রু বিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে ইতিমধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে এই মিসাইল। বুধবারের পরীক্ষা সফল হওয়ায়, শীঘ্রই তেজসেও এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হবে। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরও উন্নত ও অধিক ১৬০ কিমি পাল্লার সংস্করণ নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনায় বড় নিয়োগ-পর্ব শুরু হচ্ছে ব্যারাকপুরে, কীভাবে আবেদন করবেন?

    Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনায় বড় নিয়োগ-পর্ব শুরু হচ্ছে ব্যারাকপুরে, কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ারম্যান রিক্রুটমেন্ট র‍্যালির (Recruitment Rally) আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। র‍্যালি হবে সেপ্টেম্বরের ১২ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। নিয়োগ হবে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড পদে। আবেদন করতে পারবেন জেনারেল ও ফার্মাসিস্টরা। আগ্রহী প্রার্থীদের অসম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হতে হবে।

    বায়ুসেনার বিজ্ঞপ্তি

    বায়ুসেনার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে ন্যূনতম দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংরেজিতে। অথবা দু বছরের বৃত্তিমূলক কোর্স সহ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংরেজিতে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে দ্বাদশ শ্রেণি। ফার্মেসিতে যাঁরা ডিপ্লোমা বা বিএসসি পাশ করেছেন, তাঁরাও এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    পরীক্ষা পদ্ধতি

    নিয়োগের জন্য প্রথমে হবে (Recruitment Rally) শারীরিক পরীক্ষা। এতে পাশ করলে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। সেখানে অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে (Indian Air Force)। উত্তর দিতে হবে ওএমআর শিটে। পরীক্ষা হবে ৪৫ মিনিটের। প্রশ্ন হবে ইংরেজি ও হিন্দিতে। সেপ্টেম্বরের ১২ ও ১৫ তারিখে হবে প্রথম দু দফার পরীক্ষ। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন এই র‍্যালিতে। পরের দফার পরীক্ষা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।

    আরও পড়ুুন: ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে দিচ্ছে আমেরিকা!

    এই দফায় আবেদন করবেন তাঁরাই, যাঁরা ১৯৯৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেছেন। যাঁরা ১৮ তারিখের পরীক্ষায় অংশ নেবেন, উপরিউক্ত যোগ্যতা ছাড়াও তাঁদের থাকতে হবে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মেসির ওপর ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা। পশ্চিমবঙ্গের পলতা রেলস্টেশনের কাছে ব্যারাকপুর এয়ারফোর্স স্টেশনে হবে র‍্যালি। শুরু হবে সকাল ছ’টা থেকে।

    আবেদন করার আগে ভাল করে পড়ে নিতে হবে বায়ুসেনার (Recruitment Rally) তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি। এ জন্য ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে- Indian Air Force Recruitment 2023। Indian Air Force Recruitment এ ক্লিক করেও জেনে নেওয়া যাবে বিশদে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Upgraded MiG-29 Fighters: নজরে চিন-পাক সীমান্ত! শ্রীনগরে মোতায়েন ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

    Upgraded MiG-29 Fighters: নজরে চিন-পাক সীমান্ত! শ্রীনগরে মোতায়েন ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুম উড়লো চিন-পাকিস্তানের। কারণ, স্বাধীনতা দিবসের আগেই কাশ্মীরে ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (Upgraded MiG-29 Fighters) মোতায়েন করলো ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। শ্রীনগর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রন। সেখান থেকেই চিন ও পাকিস্তান — দুদিকই সামলানো সম্ভব হবে। জানা যাচ্ছে, এই ঘাঁটি এমন জায়গায় অবস্থিত, যেখান থেকে একসঙ্গে পাকিস্তান লাগোয়া কাশ্মীর এবং উল্টোদিকে চিন লাগোয়া লাদাখ সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। 

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে নৌসেনার স্টেলথ গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন কলকাতায়

    সরে গেল মিগ-২১, এলো মিগ-২৯

    রুশ-নির্মিত মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণের কাজ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। সম্প্রতি, তা শেষ হয়েছে। এবার সেই ‘উন্নীত’ মিগ-২৯ বিমানগুলোকে (Upgraded MiG-29 Fighters) চিন-পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হলো। ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এতদিন শ্রীনগরের বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন থাকতো মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান। ২০১৯ সালে বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার সময় এই বিমানে করেই অভিযান চালিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। সেই সময় পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ডগফাইট (মাঝ-আকাশে দুই যুদ্ধবিমানের লড়াই) হয়েছিল অভিনন্দনের মিগ-২১ বিমানের। তাতে মিগ-২১ বিমানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অভিনন্দনকে আটক করা হয়েছিল। এর পর থেকেই, মিগ-২১ যুদ্ধবিমানগুলোকে সরিয়ে তার জায়গায় অন্য আরও শক্তিশালী বিমান মোতায়েন করার ভাবনাচিন্তা চলছিল। এবার তা রূপায়িত করা হলো। 

    শ্রীনগর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক

    জানা যাচ্ছে, শ্রীনগরে মোতায়েন বায়ুসেনার ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’-এর হাতে এতদিন ছিল বায়ুসেনার (Indian Air Force) বহু যুগের সঙ্গী মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমানের দায়িত্বভার। এবার তারাই এই উন্নীত ও আধুনিকীকরণ হওয়া মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের দায়িত্ব নেবে। ইতিমধ্যেই, ওই স্কোয়াড্রনের হাতে চলে এসেছে নতুন বিমানগুলো। এই যুদ্ধবিমানের পাইলট তথা ‘ট্রাইডেন্ট স্কোয়াড্রন’ (যার অর্থ ত্রিশূল)-এর স্কোয়াড্রন লিডার বিপুল শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে,  শ্রীনগর কাশ্মীর উপত্যকার কেন্দ্রে অবস্থিত। এর উচ্চতা সমতল ভূমি থেকে অনেক বেশি। মিগ-২৯ (Upgraded MiG-29 Fighters)  হাতে চলে আসার ফলে এখান থেকে পাকিস্তান ও চিন দুই সীমান্ত এলাকায় সহজে মোকাবিলা সম্ভব। আগে, এই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন ছিল জলন্ধর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। এবার তাদের মোতায়েন করা হলো শ্রীনগরে। যা, কৌশলগতভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক।

    আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মিগ-২৯

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আধুনিকীকরণের পর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান (Upgraded MiG-29 Fighters) এখন আগের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধবিমানটি এখন আরও বেশি ও বৈচিত্র্যপূর্ণ অস্ত্রবহনে সক্ষম। এটি এখন দূরপাল্লার এয়ার টু এয়ার (আকাশ থেকে আকাশ) এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড (আকাশ থেকে ভূমি) ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত। এখন এতে রয়েছে বিভিআর মিসাইল, যা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এতে যুক্ত করা হয়েছে জ্যমার, যা শত্রু বিমানের যাবতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো করে দিতে পারে। আধুনিকীকরণের পর একই সঙ্গে বিভিন্ন দিকে আক্রমণ শানাতে দক্ষ মিগ-২৯। রাতের অন্ধকারেও দুর্দান্তভাবে কাজ করতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানগুলো। পাশাপাশি, আধুনিকীকরণের পর যুদ্ধবিমানে মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরতে পারে। যার ফলে, এর কার্যকারিতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    Tejas Fighter Jet: কাশ্মীর-লাদাখ সীমান্তে তেজস মোতায়েন ভারতের, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে শুরু মহড়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্তে আকাশসীমাকে সুরক্ষা করতে আরও জোরদার প্রস্তুতি নিল ভারত। সম্প্রতি, পাক-সীমান্ত লাগোয়া জম্মু কাশ্মীরের আকাশে দেখা গিয়েছে দেশীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) মহড়া। 

    বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীর ও লাদাখের পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে যুদ্ধবিমানগুলিকে অবগত করাতেই নাকি এই বিশেষ মহড়া চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা কর্তারা বলেছেন, উপত্যকায় উড়ানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে এলসিএ-র একটি ফ্লিটকে ফরোয়ার্ড বেসে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পর্বতাঞ্চলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এই বিশেষ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, সেনার উদ্দেশ্য তেজসকে এই অঞ্চলে যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা।

    মিগ-২১ বাইসন আউট, তেজস ইন!

    বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাক সীমান্তের সুরক্ষার দায়িত্ব ছিল মিগ-২১ বাইসনের হাতে। এখন, ধীরে ধীরে রুশ নির্মিত এই যুদ্ধবিমানকে পাকাপাকিভাবে অবসরে পাঠাতে তৎপর কেন্দ্র। তার জায়গায় তেজস যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করাই লক্ষ্য। অর্থাৎ, নিকট ভবিষ্যতে, পাক সীমান্তের আকাশসীমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তেজস ও রাফাল। রাফালের একটি স্কোয়াড্রন আম্বালায় রয়েছে। মূলত, ভারত-পাক সীমান্তের কথা বিবেচনা করেই তাদের এই জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে। এবার তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব ভাগ করে নেবে তেজস (Tejas Fighter Jet)।

    তেজসের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোই লক্ষ্য

    দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) ওপর ধীরে ধীরে আস্থা ও নির্ভরতা বাড়াতে উদ্যোগী মোদি সরকার। প্রতিনিয়ত এই যুদ্ধবিমানগুলিকে আরও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করার কাজ চলছে। বাড়ানো হচ্ছে তেজস-এর ধার-ভার ও অস্ত্রবহনের ক্ষমতা। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে পুরনো, ধুঁকতে থাকা মিগ যুদ্ধবিমানকে একেবারে সরিয়ে নতুন প্রযুক্তির তেজসকে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে, জম্মু কাশ্মীরের মতো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কী ভাবে লড়াই করতে হয়, সময় থাকতে থাকতে সেই কৌশল শিখে নেওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। 

    চিন-পাকিস্তানের জেএফ-১৭ বনাম ভারতের তেজস

    ইতিমধ্যে তেজস-এর (Tejas Fighter Jet) দুটি স্কোয়াড্রনকে বায়ুসেনায় (Indian Air Force) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা ইনিশিয়াল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স ও ফাইনাল অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স পেয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, এই দুটি স্কোয়াড্রন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলি মার্ক-১ শ্রেণিভুক্ত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের তৈরি বিমানগুলি চিন ও পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি সমর্থ ও কার্যকরী। পাকিস্তান ও চিনের তৈরী জেএফ-১৭ বিমানের থেকে অনেকটাই ভালো মানের। আগামী দিনে এই লাইট ওয়েট যুদ্ধবিমানে আরও উন্নত প্রযুক্তি যোগ করা যেতে পারে। সেই নিয়ে ডিআরডিও বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করছেন বলেই সূত্রের খবর। এছাড়া, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৮৩টি মার্ক-১এ শ্রেণির বিমান বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। এগুলি আরও অন্নত। মার্ক-২ শ্রেণির তেজস নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। একইসঙ্গে গবেষণা চলছে অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (অ্যামকা) নিয়েও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পরশু অর্থাৎ, ১৩ তারিখ ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৪ জুলাই, ফরাসি জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল দিবস’-এর (Bastille Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রঁর পাশে বসে কুচকাওয়াজ দেখবেন তিনি, যাতে অংশ নিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা। 

    মোদির সফরেই রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি?

    ঠিক তার তিনদিন আগে, বড় খবর এল কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে। সোমবারই জানা গিয়েছিল, এবারের সফরে বড় সামরিক মউ হতে চলেছে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে। ওই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও দুটি ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, মোদির এই সফরে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন তৈরির (Safran Jet Engine) করার বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হতে পারে। আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    তেজস মার্ক-২ এর জন্য এফ-৪১৪ ইঞ্জিন চুক্তি সম্পন্ন

    দীর্ঘদিন ধরেই, ভবিষ্যতের দেশীয় যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নতমানের বিদেশি জেট ইঞ্জিন জোগাড় করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারত। সম্প্রতি, সদ্য মার্কিন সফরের মধ্যেই এরকমই একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কর্তারা। চুক্তি মোতাবেক, মার্কিন জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এদেশেই তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তৈরি হতে চলা তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    অ্যমকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    তবে, তেজস-এর পাশাপাশি, পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে ভারতে। এই যুদ্ধবিমান হল অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে অ্যামকা। একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে, নৌসেনার জন্য আরেকটি অধিক-শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান যার নাম রাখা হয়েছে টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার বা সংক্ষেপে টিইডিবিএফ (Jet Engine For AMCA)। ভারত চাইছে এই দুই যুদ্ধবিমানে জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিনের চেয়েও আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করতে। সেই তালিকায় দুটি ইঞ্জিন বাছাই করা হয়েছিল। একটি ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন ও দ্বিতীয়টি ইংল্যান্ডের রোলস-রয়েস। এখন কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, রোলস-রয়েসকে টপকে ফরাসি সাফরানকেই (Safran Jet Engine) হয়ত বাছতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা সাফরান-এর তৈরি ইঞ্জিনটি (Jet Engine For AMCA) ১১০ কেএন (কিলো নিউটন) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা ভারী যুদ্ধবিমানকে অতি সহজেই প্রয়োজনীয় গতি ও ক্ষমতা দিতে পারবে। তবে, এই ইঞ্জিনকে বাছার এটাই একমাত্র কারণ নয়। জানা যাচ্ছে, ফরাসি সংস্থাটি ভারতকে কোনও গোপনীয়তা ছাড়া ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ইঞ্জিন দিতে রাজি। সম্প্রতি, সাফরানকে এই মর্মে অনুমতি দিয়েছে মাক্রঁ সরকার। যার পরই, সাফরানের তরফে, ভারতকে এই নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

    ভারতে তৈরি হবে সাফরানের নতুন ইঞ্জিন

    সূত্রের খবর, ফরাসি সংস্থার থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা অস্বীকার করা অত্যন্ত কঠিন। জানা যাচ্ছে, ভারতের জন্য একেবারে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ইঞ্জিন (Safran Jet Engine) ছাড়াও তৈরি করার যাবতীয় নতুন উপাদান, নতুন পরিকাঠামো দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে যন্ত্রপাতির পূর্ণ ভান্ডার। সর্বোপরি, গোটাটাই তৈরি হবে ভারতে। যা নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য। এক কথায়, এই নতুন ইঞ্জিনটি শুধুমাত্র ভারতেই তৈরি হবে। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ট্যাগ নিয়ে বাজারে আসবে। 

    ভারতে বড় বিনিয়োগে রাজি সাফরান

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অ্যামকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন (Jet Engine For AMCA) ব্যবহার করতে উৎসাহী ভারত। এর পাশাপাশি, সাফরান বর্তমানে ১২৫ কেএন ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে, সেই ইঞ্জিনও ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। ইতিমধ্যেই, হায়দরাবাদে সাফরানের একটি কারখানা গড়ে উঠছে। সেখানে এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবিমানে ব্যবহৃত লিপ ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হবে। এছাড়াও, ভারতে গ্যাস টার্বাইন তৈরির একটি কারখানা গড়ছে সাফরান। 

    যদিও এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ডিআরডিও প্রধান সমীর ভি কামাত সম্প্রতি প্যারিসের সাফরানের কারখানায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া প্যারিস এয়ার শো-তেও হাজির ছিলেন তিনি। এই প্রস্তাবটি বিষয়টি এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আলোচনার অধীনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, চুক্তি হওয়ার পর, এই ইঞ্জিনকে হাতে পেতে অন্তত ১০ বছর লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Operation Kaveri: ভাঙা রানওয়ে, নেই আলো! সুদান থেকে ১২১ ভারতীয়কে উদ্ধারে ‘দুর্ধর্ষ’ অভিযান বায়ুসেনার

    Operation Kaveri: ভাঙা রানওয়ে, নেই আলো! সুদান থেকে ১২১ ভারতীয়কে উদ্ধারে ‘দুর্ধর্ষ’ অভিযান বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত একটা দেশ। ভেঙে পড়া বিমানবন্দর ও তার খানাখন্দে ভরা রানওয়ে। নেই কোনও নেভিগেশন ব্যবস্থা। এমনকী, নেই রানওয়ের ল্যান্ডিং-লাইটও। ভরসা বলতে একমাত্র পাইলটদের নাইট-ভিশন গগলস্। তাই দিয়েই নিরাপদে ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করল ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) দৈত্যকায় বিমান। কিছুক্ষণ পর আবার একই কায়দায় ১২১ জনকে নিয়ে আকাশে উড়ল সে। ঠিক এইভাবে একেবারে হলিউড ফিল্মি কায়দায় গতকাল যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সুদানে (Sudan) আটকে পড়া ১২১ ভারতীয়কে নিয়ে বিমান উড়িয়ে সাহসী উদ্ধারকার্য চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা। এমন উদ্ধারকার্য যা দুর্ধর্ষ সামরিক অভিযানের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    সুদানে গৃহযুদ্ধ থামার নাম নেই। সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক মানুষ। সেই দেশে আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। তাদের উদ্ধার করতেই “অপারেশন কাবেরী” (Operation Kaveri) শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার (Indian Navy) তরফে যৌথ উদ্যোগে সুদানে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: কলাইকুন্ডায় শেষ হল ভারত ও মার্কিন বায়ুসেনার যৌথ সামরিক মহড়া, কতটা প্রাপ্তি হল?

    গত এক সপ্তাহ ধরে একাধিক অভিযানে প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয়কে সেদেশ থেকে উদ্ধার করে এনেছে ভারতীয় নৌ ও বায়ুসেনা। তেমনই একটি উদ্ধারাভিযান বায়ুসেনা চালায় শুক্রবার রাতে। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, সি-১৩০জে হারকিউলিস ট্রান্সপোর্ট (C-130J Hercules Transport) পণ্যবাহী বিমানে উদ্ধারকাজ চালানো হয় সুদানের রাজধানী খারতুম থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ওয়াদি সাইদনা বিমানবন্দরে। 

    বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সুদানের দুই বাহিনীর সংঘর্ষের জেরে বহু ভারতীয়ের পক্ষেই পোর্ট সুদানে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। শুক্রবার আটকে পড়া ওই ভারতীয়দের উদ্ধারের জন্যই ওই ছোট্ট এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্স ইউনিটের আটজন গড়ুড় কমান্ডো। 

    বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এয়ারস্ট্রিপে বিমান অবতরণ করা ও ভারতীয়দের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার গোটা প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, ওই এয়ারস্ট্রিপটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। কোনও নেভিগেশনের ব্যবস্থা যেমন নেই। তেমনই জ্বালানি ভরা বা ল্যান্ডিং লাইটটুকুও নেই। রাতের অন্ধকারে বিনা আলোয় রানওয়েতে সুরক্ষিতভাবে অবতরণের জন্য বায়ুসেনার পাইলটরা নাইট-ভিশন গগলস্ ব্যবহার করেন। বিমানে উপস্থিত ক্রু-রাও ইলেকট্রো-অপটিক্যাল বা ইনফ্রা-রেড সেন্সর ব্যবহার করেন। 

    বায়ুসেনার তরফে এই অপারেশনের বিষয়ে আরও জানানো হয়, অবতরণের পর বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই আটকে পড়া ১২১ জন ভারতীয়কে সুরক্ষিতভাবে বিমানে তোলেন কমান্ডোরা। তাদের সামগ্রীও বিমানে তুলে দেন। আবার নাইট-ভিশন গগলস্ ব্যবহার করেই বিমানকে টেক-অফ করিয়ে সেখান থেকে উড়ে সৌদি আরবের জেড্ডার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি। এই গোটা অপারেশনের জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।

    উদ্ধারের এই খবর ও ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বায়ুসেনা পাইলটদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সব মহল। যে অদম্য সাহস এবং দক্ষতার পরিচয় দেখিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা, তাকে কুর্নিশ।

  • Droupadi Murmu: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Droupadi Murmu: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানে চেপে ‘সর্টি’তে গেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu)। পরনে জলপাই রঙের ‘ফ্লাইট স্যুট’। মাথায় ব্যালিস্টিক হেলমেট। শনিবার এই অচেনা সাজেই দেখা গেল রাষ্ট্রপতিকে। ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে সুখোই ওড়ালেন তিনি। এর আগে এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাতিল রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন এই কাজ করেছিলেন। 

    ৩০ মিনিট সুখোই সফর

    রাষ্ট্রপতির পদাধিকার বলে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক দ্রৌপদী (President Droupadi Murmu) শনিবার অসমের তেজপুরে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানেই সুখোই-৩০ এমকেআই-এর দু’আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমান ওড়ান তিনি। জলপাই রঙের পোশাক এবং সঙ্গে ব্যালিস্টিক হেলমেট পরে ৩০ মিনিট ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ওপর সুখোইতে চেপেয় ওড়েন রাষ্ট্রপতি। বিমান থেকে সুদূর হিমালয়ের শৃঙ্গমালাও দর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। সহকারী পাইলটের আসনে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চালক। তেজপুর ঘাঁটির পরিদর্শক খাতায় রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘এমন উড়ানের ব্যবস্থা করার জন্য আমি তেজপুরের বিমান ঘাঁটির সমস্ত সেনাদের অভিনন্দন জানাই।’’

    আরও পড়ুন: এমবিবিএস পাশের পর বেতন ছিল ৯ হাজার টাকা! ভাইরাল চিকিৎসকের পোস্ট

    অসাধারণ অভিজ্ঞতা

    সুখোই সফরের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি (President Droupadi Murmu) ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিশালী সুখোই-৩০-এমকেআই যুদ্ধবিমানে ওড়া আমার কাছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এটা গর্বের বিষয় যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষমতা আজ জল, স্থল এবং অন্তরীক্ষে সুদৃঢ় ভাবে প্রসারিত।’’

    জানা গিয়েছে, সুখোই-৩০ এমকেআই-এর দু’আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ বিমানে চেপেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu)। এর আগে ২০০৯ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল মহারাষ্ট্রের পুণে বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই যুদ্ধবিমানে চেপেছিলেন। তাঁরপর দেশের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ সুখোইতে চাপলেন দ্রৌপদী মুর্মু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল-এম যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত! ফরাসি সংবাদপত্র ‘লা ত্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম বিমানই যে ভারতীয় নৌসেনা কিনবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।  ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমাতে ভারত বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। তাঁর মধ্যে সর্বাধুনিক সংযোজন যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত। কিন্তু বিক্রান্তের জন্য নৌ সেনার দরকার আধুনিক যুদ্ধবিমান। এক্ষেত্রে লড়াই চলছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেট ও ফ্রান্সের রাফালের মধ্যে। নৌসেনা সূত্রে খবর, রাফাল এম কেই বেছে নিতে চলেছে ভারত।

    কবে চুক্তি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার পর এবার রাফাল ফাইটার জেট পেতে চলেছে দেশের নৌসেনাও। আগামী মার্চ মাসেই ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর। ফরাসী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই সময়ই সম্ভবত নৌসেনার জন্য রাফাল কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে অন্তত ২৬টি রাফাল জেট কিনবে ভারত।

    কেন রাফাল

    নৌসেনার তরফে ইতিমধ্যেই রাফাল-এম এর পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা হয়েছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেটও।  গোয়ায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে আইএনএস হংস রণতরী থেকে পরীক্ষা করা হয়েছিল যুদ্ধবিমান দুটির। গত ডিসেম্বর মাসে এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে বিশদ রিপোর্ট পেশ করেছিল নৌবাহিনী। এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান প্রত্যাখ্যান করে রাফালই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য একেবারে উপযুক্ত হবে রাফাল এম যুদ্ধবিমান, এমনটাই দাবি ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের।

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তের পরিচয়, কে সেই ব্যক্তি?

    নৌসেনার তরফে জানানো হয়, যুদ্ধজাহাজে ডানা মুড়ে ছোট করার ব্যাপারে কিছুটা সুবিধা ছিল এফ ১৮ বিমানের, বেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়েছিল। কিন্তু গতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রাফাল। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষ অঞ্চলে হামলা চালাবার ক্ষেত্রে রাফালকে ধরতে পারা প্রায় দুঃসাধ্য। এর মূল কারণ ফরাসি বিমানের নীচে উড়তে পারার ক্ষমতা এবং নতুন সেন্সর টেকনোলজি। এফ ১৮ একসঙ্গে ১২ টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে, সেখানে রাফাল বহন করতে পারে দশটি। কিন্তু এক জায়গা থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে রাফাল থেকে ছোড়া মিসাইল বেশি কিলোমিটার ভেতরে যেতে সক্ষম। মার্কিন বিমান যেখানে একসঙ্গে আটটি টার্গেট ঠিক করতে পারে,রাফাল সেখানে বারোটি টার্গেটে একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Woman Fighter Pilot: যোগীরাজ্যে দৃষ্টান্ত! দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

    Woman Fighter Pilot: যোগীরাজ্যে দৃষ্টান্ত! দেশের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন যোগীরাজ্যের মুসলিম তরুণী! উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এই তরুণীই এবার বসবেন যুদ্ধ বিমানের চালকের (Woman Fighter Pilot) আসনে। নিজের অজান্তেই একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza) নামের ওই তরুণী। তিনি দেশের প্রথম মুসলিম (Muslim) মহিলা যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। অন্য একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন তিনি। সেটি হল, তিনিই রাজ্যের প্রথম মহিলা যিনি নিযুক্ত হয়েছেন ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের (IAF) পাইলট হিসেবে।

    সানিয়া মির্জা…

    উত্তর প্রদেশের দেহাত কোতোয়ালি থানার যশোভার গ্রামের বাসিন্দা সানিয়া মির্জা। বাবা পেশায় টিভি মেকানিক। এনডিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তিনি।  তাঁর এই সম্মানে গর্বিত গোটা মির্জাপুর। দেশকেও গর্বিত করেছেন তিনি। সানিয়া মির্জার পড়াশোনা হিন্দি মিডিয়াম স্কুলে। তিনি বলেন, হিন্দি মিডিয়ামের পড়ুয়ারাও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন, যদি তাঁরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। জানা গিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর পুনেতে এনডিএ খাদাকওয়াসলায় কাজে যোগ দেবেন তিনি। সানিয়ার সাফল্যে খুশি তাঁর মহল্লা। গর্বিত তাঁর স্কুলের শিক্ষকরাও। অভিভাবকদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও তাঁকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করছেন।

    আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র, কলকাতায় জনসভা বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সানিয়ার (Woman Fighter Pilot) বাবা সাঈদ আলি বলেন, সানিয়া মির্জা দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে তার রোল মডেল মনে করে। ছোট থেকেই সানিয়া তাঁর মতো হতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সানিয়া দেশের দ্বিতীয় মহিলা যিনি ফাইটার পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ের সাফল্যে গর্বের শেষ নেই সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জারও। তিনি বলেন, আমাদের মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। সে প্রথম ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

    জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির ২০২২ সালের পরীক্ষায় পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে মোট ৪০০টি আসন ছিল। মহিলাদের জন্য ছিল ১৯টি আসন। ফাইটার পাইলটদের জন্য সংরক্ষিত ছিল দুটি আসন। এই দুটি আসনের একটি ছিনিয়ে নিয়েছেন সানিয়া। তিনি বলেন, আমি প্রথম চেষ্টায় একটি আসন দখল করতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করে আমি একটি জায়গা পেয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Air Force: আদালতে জয় মেয়েদের! বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসার পাবেন পুরো পেনশন

    Indian Air Force: আদালতে জয় মেয়েদের! বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসার পাবেন পুরো পেনশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে জয় ভারতীয় বায়ুসেনার ৩২ জন প্রাক্তন মহিলা অফিসারের। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলার পরে মহিলাদের জন্য সমান হারে পেনশনের ব্যবস্থা করতে বায়ুসেনাকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বাহিনী থেকে অবসরের পর একজন কর্মী যে পেনশন পেয়ে থাকেন, ওই ৩২জন মহিলা অফিসারকে সেই হারে পেনশন দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  একই সঙ্গে আগ্রহী মহিলাদের ফের চাকরিতে পুনর্বহাল করার পক্ষেও রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মামলা কী নিয়ে

    ৩২ জন প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসারকে শর্ট সার্ভিস কমিশনের অধীনে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগের পর থেকে তারা চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। যদিও বাহিনী তাদের দাবি মানতে অস্বীকার করে। পাঁচ বছর বাদে এই ৩২জন অবসর নিতে বাধ্য হন। যেহেতু শর্ট সার্ভিস কমিশনের অধীনে নিয়োগ, তাই নিয়ম অনুসারে তারা পেনশনের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী নন। এরপর ওই ৩২ জন মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিক এই মামলা দায়ের করেছিলেন। বায়ুসেনার নিয়ম অনুযায়ী, মহিলারা সারাজীবন সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের অবসর নিতে হবে। আদালতে মামলাকারী এই ৩২ জন মহিলা আধিকারিক জানিয়েছিলেন, মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বায়ুসেনাতে কাজ করতে ইচ্ছুক ছিলেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতের রায়

    বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,আগ্রহী ও সক্ষম থাকলে মহিলা আধিকারিকরাও সারাজীবন বায়ুসেনাতে কাজ করতে পারবেন। তাঁদের পুরোপেনশন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্তত কুড়ি বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পরে আধিকারিকরা যে হারে পেনশন পান, সেই হারেই মামলাকারীদের পেনশন দিতে হবে। আদালতের রায়ে খুশি ওই মহিলা অফিসারেরা। তাঁদের আশা, আগামী দিনে বায়ুসেনাতে যোগ দিয়ে সারাজীবন কাজ করতে পারবেন মেয়েরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share