Tag: Indian Armed Force

  • Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি মিসাইল হামলায় ধ্বংস করেছে ভারত৷ বুধবার ভোররাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নামে এই অভিযানে ভারত শুধু জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করেনি, ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানের চিনা সরবরাহকৃত ‘অপ্রতিরোধ্য’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিথও। ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে উৎক্ষেপিত স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার স্মার্ট বম্ব ব্যবহার করা হয় এই অভিযানে। ব্যবহার করা হয় ইজরায়েলি লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)। ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার স্ক্যাল্প মিসাইল গুলি রেডার এড়িয়ে ভূমির খুব কাছ ঘেঁষে উড়তে পারে। এই অভিযানে ১০০ শতাংশ সফল এই মিসাইলগুলি। অপারেশন সিঁদুরে কোনও একটি মিসাইলও পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত হয়নি।

    চিনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ব্যর্থতা

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এইচকিউ-৯ ( HQ-9) ও এলওয়াই-৮০ (LY-80 বা HQ-16) চিন নির্মিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে এসেছে। এইচ কিউ-৯, যা রাশিয়ার এস-৩০০-এর অনুকরণে তৈরি, তার কাজ শত্রু মিসাইল শনাক্ত ও ধ্বংস করা। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এই দুটি ব্যবস্থাই কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল। এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার সকালে, লাহোর বিমানবন্দরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আক্রমণ করে ভারত। পাকিস্তানের রেডার সিস্টেমকেও ধ্বংস করা হয়। লাহেরে পাক এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের এইচকিউ-৯ সিস্টেম ভেঙে খানখান হয়েছে। রাওয়ালপিণ্ডির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকেও নষ্ট করে দিয়েছে ভারত। চিন থেকে আনা এইচকিউ-৯ সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। ভারতের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের নিখুঁত প্রয়োগ—জ্যামিং, ডিকয় এবং রেডার ব্লাইন্ডিং—পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অকেজো করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটায় ভারত। কোটি কোটি টাকার চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চুপ করিয়ে দেয় ভারত।

    পূর্বের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা

    এটাই প্রথম নয়। ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিল অভিযানে পাকিস্তান কিছুই বুঝতে পারেনি। ২০১৯-এর বালাকোট অভিযান ও ২০২২-এর ব্রহ্মোস দুর্ঘটনাও একইভাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দুর্বলতা প্রকট করেছে। এবার অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের চরম কৌশলগত ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বাস্তবে সংখ্যাটি ৯০ ছাড়াতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। এই অভিযান পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসও ভেঙে দিয়েছে। চিনা প্রযুক্তির উপর ভরসা করেছিল ইসলামাবাদ। এই প্রযুক্তি কোনও কাজেই লাগেনি পাকিস্তানের।

    চিনের কাছেও ধাক্কা

    চিনের পক্ষেও এটি বড় ধাক্কা। তাদের রফতানিকৃত সামরিক প্রযুক্তির ওপর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। আর ভারতের পক্ষে এটি এক ঐতিহাসিক বিজয়—যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি, কৌশল, এবং মানসিক শ্রেষ্ঠত্ব একত্রে মিশে এক নতুন যুদ্ধনীতি সৃষ্টি করেছে। এই অভিযান প্রমাণ করেছে, শুধুমাত্র বিদেশি অস্ত্র কেনা যথেষ্ট নয়—সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করাটাই আসল বিষয়। আর সেই পরীক্ষায় পাকিস্তান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। চিনের তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু ‘মেড ইন চায়না’ তকমা বহন করে না—তা এখন অনেকের চোখে অবিশ্বস্ত এবং অকার্যকরও। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালানোর পর, পাকিস্তানের রেডারের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তানের চিনা বিমান প্রতিরক্ষা রেডার আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে খবর। চিনা রেডার ভারতীয় আক্রমণের কোনও খবরও পায়নি।

    চরম কৌশলগত ব্যর্থতা

    পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭ সালে চিনে তৈরি এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে তার সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে। দাবি করা হয় যে এই ব্যবস্থা ১৫ মিটার থেকে ১৮ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় স্থাপিত রেডারটি ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানকে আটকাতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ভারতে সব ধরনের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধিক্য রয়েছে। যখন তারা বাতাসে থাকে, তখন তাদের রেডারগুলি তাদের দেখতে পায় না। তাদের গতি এত বেশি যে পাকিস্তানিরা কেবল তাদের মাটিতে পড়ে যাওয়া দেখতে পায়।

  • India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। ভারতের সফল সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে পাক মুলুকে। এই অভিযানে নিহত জঙ্গিদের মরদেহ মোড়া হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায়! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে সেনা ও আইএসআই কর্তাদের উপস্থিতিতে জঙ্গিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের সন্ত্রাস-যোগ।

    সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে ‘শোকপালন’ পাকিস্তানের

    সেনা  থেকে আইএসআই। পুলিশ থেকে আমলা। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে এবার ‘শোকপালন’ করতে দেখা গেল পাক সরকারের একাধিক ব্যক্তিকে। বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির অন্তত ৭০টি জঙ্গির মৃত্যু (কারও মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি) হয়েছে এই স্ট্রাইকে। এবার সেইসব সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে দেখা মিলল পাক সেনা থেকে আধিকারিকের। পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক, মুরিদকে-তে থাকা জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টারে এয়ার স্ট্রাইকের জেরে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাসির। নিহত হয়েছে বিলাল টেরর ক্যাম্পের প্রধান ইয়াকুব মুঘল। এই ক্যাম্প বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এদের শেষকৃত্যেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের। জঙ্গিদের শেষকৃত্যের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

    পাক সেনার সঙ্গেই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ

    শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাকে, বুকভরা ব্যাজ নিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিক এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন। তবে, শুধু পাক সেনা ও আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ। স্পষ্টতই খোলামেলাভাবে আয়োজন করা এই শেষকৃত্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের একটি প্রমাণ। পিটিআইয়ের রিপোর্ট মোতবেক, হাফিজ সইদের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়াও সদস্যরাও ছিলেন এই শেষকৃত্যে। এই সংগঠন দুটি রাষ্ট্রসংঘ-স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, যাদের নাম জড়িয়ে আছে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের নানা প্রান্তে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায়।

    জঙ্গিদের গায়ে পাকিস্তানের পতাকা

    সাধারণত ভারতে জাতীয় পতাকা মোড়ানো হয় সেই সব মানুষদের কফিনে, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—যেমন সেনা, পুলিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। সেই মর্যাদা পাওয়া মানেই জাতীয় বীরের স্বীকৃতি। কিন্তু এবার পাকিস্তানে একই সম্মান দেওয়া হল জঙ্গিদের? এই ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল ও সাধারণ মানুষ। সেনা অফিসারদের উপস্থিতি, জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন — কী বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান? মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে যে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এর ফলে জঙ্গিদের প্রতি পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) সরকারের সক্রিয় সমর্থনের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এই ভিডিও প্রকাশের পর ভারতীয় কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জোরদার করেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান তার মাটিতে জঙ্গি (militants) ঘাঁটি ধ্বংস করার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের সেনা ও পুলিশ জঙ্গিদের সমর্থন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কূটনীতিকদের মত, এই ভিডিও পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ। একদিকে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নেয় তাদের সেনা ও পুলিশ। প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জু শেঠ বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর জঙ্গিদের (militants) সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) এই আচরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে দুর্বল করছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব শক্তির কাছে উত্থাপন করা উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।” পহেলগাঁও হামলার (militants) প্রেক্ষাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের নির্ভুল হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এই ভিডিও দেখায় যে পাকিস্তান তার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আনছে না।”

    পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেহাদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। অ্যাবোটাবাদে যেখানে ওসামা বিন লাদেন সেনা নিরাপত্তায় আত্মগোপনে ছিলেন, বালাকোটে যেখানে জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালিত হত, কিংবা মুরিদকে, যেখানে লস্করের জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে কবর দেওয়া হয় — সবই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ। এখনও যদি আর্থিক সহায়তা বন্ধ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহল — বিশেষ করে এফএটিএফ, রাষ্ট্রসংঘ এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি — চোখ বুজে থাকলে তা হবে একপ্রকার সহযোগিতা। ভারত বহুদিন ধরেই এই সত্য জানত। এখন তার ভিডিও প্রমাণ সামনে এসেছে। এই ভিডিও প্রমাণ করে পাকিস্তান আসলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি জঙ্গি রাষ্ট্র।

  • Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    Operation Sindoor: জঙ্গি ডেরায় অভিযান সফল, ‘পাকিস্তান ফের কিছু করলে তারও জবাব পাবে’, বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার ১৫ দিন পর প্রত্যাঘাত ভারতের। পহেলগঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে সফল বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’। অপরেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ভারতীয় সেনা, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান। ভারতের উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো হয়, বলে জানান বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। এরপরই পরিকল্পিতভাবে মিডনাইট স্ট্রাইক ভারতের। তিনি যোগ করেন, এই ঘাঁটি থেকে আরও হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তাই এগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

    সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস

    বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও হামলার তদন্তে পাকিস্তানের যোগসূত্র সামনে এসেছে। ২২ এপ্রিলের হামলার উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট করা। এই হামলা ছিল অমানবিক এবং নির্মম। এর মাধ্যমে কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় আঘাত হানা হয়েছে। হামলার ধরন স্পষ্টভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত। এটি শুধুই একটি প্রাণঘাতী আক্রমণ নয়, বরং বেঁচে যাওয়া মানুষদের মাধ্যমে এক আতঙ্কের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা।’’ বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িতদের এবং পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করেছে। ভারত সন্ত্রাসবাদীদের পরিকাঠামো ধ্বংস করার জন্য তার অধিকার প্রয়োগ করেছে।’’

    কোথায় কোথায় হামলা

    পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের ২টি জায়গা, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি এবং ভীমবের। এছাড়াও গুলপুর ও চক আমরুতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি, সারজালে জইশ ঘাঁটি, শিয়ালকোটে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি, বারনালায় লস্করের ঘাঁটি, কোটলিতে জইশ ও হিজবুলের ঘাঁটি, মুজফ্ফরাবাদে লস্কর ও জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এই অভিযানের বিস্তারিত তথ্য দেন ভারতীয় স্থলসেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানের যে কোনও প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, বলে জানান সোফিয়া। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া বায়ুসেনার সমস্ত বিমানচালক নিরাপদে ফিরে এসেছেন। যে ক’টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলির প্রতিটির ছবি দেখানো হয় সাংবাদিক বৈঠকে। এরপর তাঁরা বলেন, “কোনও সাধারণ নাগরিকে ক্ষতি করা হয়নি। পাক সেনাঘাঁটিতে হামলা করা হয়নি। প্রযুক্তির সাহায্যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।

LinkedIn
Share