Tag: Indian Army

Indian Army

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়া জেলায় (Kathua district) জঙ্গিদমন অভিযানে (anti-terrorist action) তিন পাকিস্তানি জঙ্গি (Pakistani militant) নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিন পুলিশ কর্মীরও। এছাড়া পুলিশের একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার-সহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেয় স্থানীয় তরুণেরাও। তারা অস্ত্রসহ সংঘর্ষে রসদ সরবরাহ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করে।

    গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে আশ্রয়

    কাঠুয়ার ঘতি যুথানা এলাকার জাখোলা গ্রামে গত রবিবার থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর (Jammu Kashmir Encounter) লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর জঙ্গিরা গত শনিবার সেখানে ঢুকে পড়ে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নেয় তারা। জঙ্গলের ভিতরে থাকা গ্রামের মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীকে খবর দিলে বড় আকারে সংঘর্ষ শুরু হয়। তার আগে জঙ্গিরা গ্রামবাসীদের কাছে আশ্রয় চেয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠুয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গ্রাম সানিয়ালের কাছের এক জঙ্গলে জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় এক দম্পতি প্রথম সশস্ত্র জঙ্গিদের দেখতে পেয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ-ছয় জন জঙ্গির একটি দল ওই জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করছিল। তাদের দেখতে পেয়েই গ্রামবাসীরা খবর দিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে। তার পরি শুরু হয় অভিযান।

    পাঁচ দিন ধরে অভিযান

    গত পাঁচ দিন ধরে, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir Encounter) পুলিশের ডিআইজি নলিন প্রভাতের নেতৃত্বে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী হিরানগর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের এই দলটি একেবারে নতুন বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর। রবিবার হীরানগর সেক্টরে জঙ্গি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়েছিল। তাতে আহত হয়েছিল এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার ওই হীরানগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাজবাগের ঘতি যুথানার জাখোল গ্রামে নতুন করে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। তাতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে, রবিবার যাঁরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন, তাঁরাই বৃহস্পতিবার আবার হামলা চালিয়েছেন।

    পাক জঙ্গিদের খোঁজে শুক্রবারও অভিযান

     হীরানগর এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ, এনএসজি। শুক্রবার সকাল (Kathua Gunfight) থেকে ফের অভিযান শুরু হবে বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে জইশ-ই মহম্মদ পরিচালিত একটি সংগঠন সংঘর্ষে তাদের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর নিহত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজন সিলেকশন গ্রেড কনস্টেবল এবং বাকি দু’জন সীমান্তের এসডিপিও-র নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

  • Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    Alakran-L VMIMS: চিন-সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পাহাড়ে ভারত মোতায়েন করেছে এই ঘাতক কামান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-সীমান্তে (India China Border) প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারত। সীমান্ত লাগোয়া সিকিমের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আর্টিলারি বা কামান-শক্তি বাড়াতে এবার স্বদেশীয় অত্যাধুনিক ‘ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম’ (ভিএমআইএমএস), সংক্ষেপে ভিমিমস্-ও বলা হয়ে থাকে, মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেনা সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকে মোতায়েনের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগের আওতায় দেশে তৈরি ‘আলাক্রান-এল’ নামের এই অত্যাধুনিক মর্টার (Alakran-L VMIMS) সিস্টেমের সিকিমে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে বিরাট বড় একটা সুবিধা প্রদান করবে এবং একইসঙ্গে ‘ড্রাগনের দেশ’কে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    সিকিমে ‘ভিমিমস্’ মোতায়েন কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে ভিমিমস্। আবার, চিন-সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের দিক দিয়ে সিকিম অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকা। অতীতে, এই সিকিমেই একাধিকবার ভারত ও চিনা ফৌজের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছে। ফলে, এই সিমান্তাঞ্চলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার (Modi Government)। যার জেরে, এবার সিকিমের উঁচু, দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আলাক্রান-এল হাল্কা মর্টার সিস্টেমকে (Alakran-L VMIMS) মোতায়েন করেছে সেনা। এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, ‘‘ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) সিকিমে ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম (ভিএমআইএমএস) মোতায়েন করেছে। এই স্বনির্ভর ব্যবস্থা বাহিনীর গতিশীলতা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া বা জবাব দেওয়ার যোগ্যতা এবং গোলাবারুদের ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভারতের স্বনির্ভরতা এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির উন্নতি ঘটাবে।’’ সেনার মতে, এই সিস্টেম সমর পরিস্থিতিতে বাহিনীকে কঠিন ও দুর্গম ভূখণ্ডে দ্রুত পদক্ষেপ করার সুযোগ করে দেবে।

    ভেহিক্যেল মাউন্টেড ইনফ্যান্ট্রি মর্টার সিস্টেম কী?

    আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেমে (Alakran-L VMIMS) একটি ৮১ মিমি কামান রয়েছে যা আর্মার্ড লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিক্যেল (এএলএসভি) নামে পরিচিত একটি বিশেষ সামরিক গাড়িতে স্থাপন করা হয়। ভারতে এই গাড়িটিকে ‘আর্মাডো’ বলা হয়। এই গাড়ির দুদিকে থরে থরে সাজানো থাকে কামানের বিশেষ গোলা। এই গাড়িটির জন্য কামানটিকে অল্প সময়েই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। ফলে, দ্রুত জায়গা পাল্টে আক্রমণ করার সুযোগ পায় বাহিনী (Indian Army)। যার ফলে, সেনার সমক্ষতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

    আলাক্রান-এল ভিমিমস্-এর কার্যকারিতা ও গুরুত্ব

    দুর্গম অঞ্চলেও যাতে সহজে মর্টার সিস্টেমকে সহজে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যায়, তা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এই সিস্টেমটি। নেভিগেশন এমন ডিজাইন করা হয়েছে, যা অপারেশনাল রেসপন্সিভনেস বাড়ায়।

    এই সিস্টেমে দ্রুত কামান মোতায়েন ও গোলা নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে। দ্রুত সেটআপ এবং ফায়ারিংয়ে সহায়তা করার জন্য ‘আলাক্রান-এল’ মর্টার সিস্টেমটি (Alakran-L VMIMS) সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়।

    এই সিস্টেমটি শত্রুর অবস্থানগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ৮১ মিমি শক্তিশালী মর্টার ব্যবহার করে সেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম।

    ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Atmanirbhar Bharat) উদ্যোগকে সমর্থন করে মাহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেমস লিমিটেড এবং মিলানিয়ান এনটিজিএস যৌথভাবে এই সিস্টেমটি তৈরি করেছে।

    ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জায়গা করে নিয়েছিল আলাক্রান-এল মর্টার সিস্টেম (Alakran-L VMIMS)। এতেই পরিষ্কার, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) কাছে এর গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।

  • Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    Jammu and Kashmir: রাজৌরিতে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি! জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জম্মুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলওয়ামার মতো ফের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্রাকে হামলা চালাল জঙ্গিরা (Terror Attack)। বুধবার দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজৌরি জেলায় একটি সেনা ট্রাককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর মেলেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনার একটি ট্রাক জম্মুর রাজৌরি জেলায় সুন্দেরবানি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একদল দুষ্কৃতী গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    প্যাট্রলিং-এর সময় গুলি

    গত কয়েক মাস ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটছে। কখনও সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চলে, আবার কখনও গ্রামে প্রবেশ করে বাড়িতে বাড়িতে হামলা চালায়। জঙ্গিদের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)  বিভিন্ন জায়গায় মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান করে সেনা। সুন্দেরবানি মাল্লা রোড সংলগ্ন জঙ্গলে ঘেরা এলাকাগুলিতে প্রচুর জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে থাকে। বুধবার সেই এলাকাতেই টহল দিচ্ছিল সেনা। দুপুর একটা নাগাদ একটি জলাশয়ের ধারে পৌঁছয় টহলদারি বাহিনী। সেই সময়েই জঙ্গলের ভিতর থেকে গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, ৯ জেএকে ইউনিটের গাড়ি লক্ষ্য করে এক বা দুই রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালটা গুলি চালায় সেনাও।

    টহলদারির খবর পেয়েই গুলি

    প্রাথমিকভাবে সেনার অনুমান, টহলদারির খবর ছিল জঙ্গিদের কাছে। সেই কথা জেনেই তারা গুলি চালিয়েছে সেনার গাড়িতে। তবে হামলার পরে আরও বেশি সতর্ক হয়েছে সেনা। সূত্রের খবর, পালটা গুলি চালানো হয়েছে সেনার তরফে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী এবং অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে আরও জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে হামলার পর। দিন কয়েক আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলেছিল। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল। তবে বুধবারের হামলাও এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। কারা হামলা চালিয়েছে, সেই তথ্যও অজানা। গুলি চালানোর দায়ও কেউ স্বীকার করেনি এখনও। এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনাবাহিনীর কনভয়ে হামলা করে জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

  • BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    BSF: শৌচালয় না বাঙ্কার! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে কী বানাচ্ছে পাক সেনা? সতর্ক বিএসএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে শৌচালয়ের নাম করে বাঙ্কার বানাচ্ছিল পাকিস্তান (Indo-Pak Border)! আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫০ গজের মধ্যে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ অবৈধ নির্মাণে লিপ্ত পাক সরকার। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বারমেরে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বাঙ্কার তৈরি করছিল পাকিস্তান। এই বেআইনি নির্মাণকাজ ধরে ফেলে বিএসএফ (BSF)। এরপরই পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় এই ভবনটি শৌচালয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে। যদিও বিএসএফ এই দাবি মানতে নারাজ। তারা অবিলম্বে ওই ভবন ভেঙে ফেলতে জানিয়েছে পাকিস্তানকে।

    সীমান্তে বেআইনি নির্মাণ

    আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কিছু তৈরি করা আইনত নিষিদ্ধ, এটি ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ হিসেবে গণ্য করা হয়। বারমের জেলায় (Indo-Pak Border) গাদরায় নো-ম্যানস ল্যান্ডে রবিবার রাতে অবৈধ নির্মাণ কাজ করে পাকিস্তান। দাবি ভারতীয় সেনার। বিএসএফ (BSF) জানায়, সীমান্তের সততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কমান্ডার কর্তৃক এই নির্মাণ নিয়ে পাকিস্তানকে প্রতিবাদ নোট পাঠানো হয়েছে। এরপরই জুনিয়র অফিসারদের একটি ফ্ল্যাগ মিটিং সম্পন্ন হয়। যেখানে ওই নির্মাণটি যে ১৫০ গজের মধ্যে ছিল এই বিষয়টি পাকিস্তান (India-Pakistan) অস্বীকার করে। এদিকে, পাকিস্তান আরও দাবি করেছিল যে, তারা সৈন্যদের জন্য একটি অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করছে এবং এটি কোনও বাঙ্কার বা পর্যবেক্ষণ পোস্ট নয়। যদিও, এই বিষয়টি আদৌ কতটা সত্যি এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    বিএসএফ-এর হুঁশিয়ারি

    বিএসএফ-এর (BSF) এক অফিসার এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্মাণ কাজ এখন স্থগিত করা হয়েছে এবং মাঠে কর্তব্যরত ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা নির্মাণস্থলের মাপ পরিমাপ করার দাবি জানিয়েছেন। পাকিস্তান রাতে এটি তৈরি করেছে, এর মানে তারা জানত যে এটি অবৈধ। সদর দফতরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। সিনিয়র কর্মকর্তারা সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক চেয়েছেন। পাকিস্তান রেঞ্জার্স এখনও সাড়া দেয়নি। যদি তারা নির্মাণ অব্যাহত রাখে, তাহলে বিএসএফও তাদের সামনে একটি অনুরূপ বাঙ্কার তৈরি করবে।” এই অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্ত রাজস্থান প্রশাসনের আওতাধীন, সীমান্ত এলাকা বিএসএফের গুজরাট ফ্রন্টিয়ারের দায়িত্বে। বিএসএফ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ২,২৯৬.৬৬ কিলোমিটার এবং কন্ট্রোল লাইন (LoC) এর ৪৩৫ কিলোমিটার পাহারা দেয়। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

  • Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    Sniper Rifle: নিখুঁত নিশানা! দেড় কিমি দূর থেকেই লক্ষ্যভেদ, ভারতীয় সাবর হারাল মার্কিন ব্যারেট-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের হাত ধরে অস্ত্রের জগতে ভারত ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া পুলিশ কমান্ডো প্রতিযোগিতায় (All India Police Commando) কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং রাজ্যগুলির কমান্ডো শাখাকে পরাজিত করে স্নাইপার (Sniper Rifle) বিভাগে জিতেছে। দেশে তৈরি স্নাইপার রাইফেল এবার টেক্কা দিয়েছে তার বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের।

    রাইফেলের নিখুঁত নিশানা

    সর্বভারতীয় পুলিশ কম্যান্ডো প্রতিযোগিতার স্নাইপার (Sniper Rifle) ক্যাটেগরিতে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড’ (এনএসজি) বাহিনী ‘সাবার’ ব্যবহার করেই ছিনিয়ে এনেছে সেরার সম্মান। এর পোশাকি নাম .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম। এই অস্ত্র প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁত নিশানায় আঘাত করতে পারে শত্রুকে! শুধু নিখুঁত লক্ষ্যভেদই নয়, প্রাণঘাতী আঘাত-সহ সমস্ত মাপকাঠিতেই ‘নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী’ আমেরিকায় তৈরি ৫০ ক্যালিবারের ‘ব্যারেট’কে পিছনে ফেলেছে ‘সাবার’। ওই স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করে দ্বিতীয় হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন কম্যান্ডো বাহিনী ‘ফোর্স ওয়ান’।

    চাহিদা বাড়বে

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ইছাপুর রাইফেল (Sniper Rifle) ফ্যাক্টরিতে প্রায় দেড় দশক আগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছিল প্রথম স্নাইপার রাইফেল ‘ঘাতক’। বিভিন্ন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা ব্যবহার করে। রাইফেল সাবার সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি। এর ডিজাইনও শুধুমাত্র ভারতে করা হয়েছে। এই রাইফেল দিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত নির্ভুল নিশানা করা যায়। বেঙ্গালুরুর ছোট আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুতকারক এসএসএস ডিফেন্সের তৈরি .৩৮৮ লাপুয়া ম্যাগনাম ইতিমধ্যেই বিদেশের কয়েকটি কম্যান্ডো বাহিনী ব্যবহার করে। উৎকর্ষের নতুন মাত্রায় পৌঁছোনোর ফলে তার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশীয় প্রযুক্তির গর্ব

    ‘সাবার’ ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি একটি স্নাইপার রাইফেল (Sniper Rifle) । এর সাফল্য দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে যে ভারত এখন আন্তর্জাতিক মানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম। সাবার’-এর সাফল্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি দেশের সামরিক সক্ষমতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান

    সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর।  পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”

    ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”

    ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)

    এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”

  • Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    Rahul Gandhi: ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য! রাহুল গান্ধীকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় বছর আগে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে তলব করল লখনউয়ের একটি আদালত। মার্চের শেষ সপ্তাহে লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে রাহুলকে হাজির হতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।

    কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় সেনাবাহিনী নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সময়ে তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন’ (বিআরও)-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব। ওই মামলাতেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তলব করেছে আদালত। ঘটনাচক্রে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনার ‘বিজয় দিবস’। এ প্রসঙ্গে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলোক ভার্মা ২৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করে বলেন, রাহুল গান্ধীকে ওই দিন লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরা দিতে হবে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতাকে নোটিশ পাঠিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

    কী বলছে আদালত

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়শঙ্কর শ্রীবাস্তব যে মামলা দায়ের করেন তাতে অভিযোগ করা হয় যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সেনার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, সেখানে রাহুল জানিয়েছিলেন যে সাংবাদিকরা তাঁকে চিন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবে না বলে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন। রাহুলের দাবি ছিল, চিন ভারতের মাটিতে ঢুকে ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে এবং অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারতের প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তারপরেও সেনা কিছু করেনি। তিনি এ নিয়ে ঠিক ছিলেন এবং দেশ তা দেখেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। রাহুলের ওই মন্তব্যর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বে রাহুল ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের সমালোচনা করায় তাঁর বিরুদ্ধে ‘সেনার অবমাননা’র অভিযোগ তুলেছিল বিজেপিও।

LinkedIn
Share