Tag: Indian Constitution

Indian Constitution

  • Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    Dr Ambedkar: ভারতকে ‘কমিউনিস্ট রাষ্ট্র’ বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলেন আম্বেদকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি কার্যকর হয় ভারতের সংবিধান। দেশের সংবিধান পা দিয়েছে ৭৫ বছরে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। এদেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পরম্পরা, কৃষ্টি সভ্যতা এবং গৌরবময় ইতিহাসের ওপর দাঁড়িয়ে শুর হয় সংবিধানিক ভারত তৈরির কাজ। ভারতীয় মূল্যবোধ, ভারতীয় পরম্পরার প্রতিফলন দেখা যায় সংবিধানজুড়ে। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যরা অত্যন্ত সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে থাকেন, যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক যুগের মেলবন্ধন থাকে। এর প্রভাব দেখা গিয়েছে সংবিধানে।

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন

    সংবিধান কমিটির বেশ কিছু সদস্য ছিলেন। যাঁরা সংবিধান রচনায় ভারতীয় মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন কেবি কামাত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গোবিন্দ দাস, ঘনশ্যাম গুপ্তা, কাললুরু সুব্বারাও, রাম সহায় প্রমুখ। এনারাই জোর দেন যে সংবিধানকে দাঁড় করাতে হবে ভারতের ঐতিহাসিক মূল্যবোধ এবং তার সাংস্কৃতিক ভিতের ওপর। এই সময়ে তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্র বেদ, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত- এই সমস্ত কিছুকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    ঔপনিবেশিক প্রভাব রাখতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস ও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সদস্যরা

    জানা যায়, সেসময় সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতিনিধি ছিলেন মুসলিম লিগের এবং কংগ্রেসের। তাঁরা প্রাচীন ভারতীয় মূল্যবোধের ওপর সংবিধান তৈরির ভাবনার বিরোধিতা করেন। ঔপনিবেশিক প্রভাবকেই রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে ভারতবর্ষের নিজস্ব সংস্কৃতিকে দূরে সরিয়ে রেখে সংবিধান তৈরির এমন ভাবনাকে রুখে দেন ডঃ বিআর আম্বেদকর। তিনি ভারতের নিজস্ব সংস্কৃতিকে কোনওভাবেই বাদ দিতে চাননি সংবিধান থেকে। এ সময় আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) বিবৃতিও আসে। তিনি বলেন, ‘‘সংবিধান সভা এর কাজ শুরু করার আগে থেকেই, সেই সমস্ত কিছুকে প্রত্যাখ্যান করেছে যেগুলি ব্রিটিশ সংসদ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একজনও সদস্য এবং এমনকি আমিও এমন কিছু কাজ করতে পারি না, যেখানে আমরা ব্রিটিশদের নির্দেশকে সংবিধানে ঠাঁই দিতে পারি।’’

    আম্বেদকরের কারণেই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র হয়নি ভারত

    এছাড়াও বিআর আম্বেদকরের (Dr Ambedkar) শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণেই ভারতবর্ষের সংবিধান কমিউনিস্ট মডেলে (Communist State) দাঁড়ায়নি। সংবিধান মুক্ত থেকেছে কমিউনিস্ট প্রভাব। ১৯৪৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংশোধন করার প্রস্তাব আনা হয়। এমন প্রস্তাব আনেন আসরাফ আলি। তাঁকে সমর্থন করেন আশরাফ মহানি। এঁরা দুজনেই প্রথমে ছিলেন কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে মুসলিম লিগে যোগদান করেন। তাঁরা দাবি করেন যে সংবিধানে সংশোধন আনতে হবে এবং ভারতকে একটি ‘ইউনিয়ন অফ সোশালিস্ট রিপাবলিক’ বলে ঘোষণা করতে হবে। প্রসঙ্গত, কমিউনিস্ট রাশিয়া এই নামেই পরিচিত ছিল। তবে আম্বেদকর (Dr Ambedkar) এটিও রুখে দেন। প্রসঙ্গত, সংবিধানে ভারতে ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস’-র মর্যাদা কেন দেওয়া হল? এমন প্রশ্নও তোলেন ওই দুই নেতা। এর পরিবর্তে তাঁরা ভারতকে ‘ফেডারেশন অফ রিপাবলিক’ করতে বলেন। তাঁরা এমন দাবিও তেলেন সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরা উচিত ভারতের।

    ৩৭০ ধারারও বিরোধী ছিলেন আম্বেদকর (Dr Ambedkar)

    তবে এই সংশোধন প্রস্তাবগুলিকে বিআর আম্বেদকর প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি জোর দেন ভারতের মূল্যবোধের ওপর। আম্বেদকর বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত কিছুকে অনুমোদন দেব না যেগুলি আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে আঘাত করে। যেমন উগ্র সমাজতন্ত্রের কোনওকিছুকেই সংবিধানে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ডঃ বিআর আম্বেদকরের ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করার জন্য ৩৭০ ধারার বিরোধ করেছিলেন। তিনি মনে করতেন, এই ধারা ভারতের ঐক্যের পক্ষে বিপজ্জনক। যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছিল। স্বাভাবিকভাবে সংবিধান সভার এই ধরনের বিতর্ক আজও একটি উল্লেখযোগ্য দলিল, ভারতবর্ষকে কীভাবে একটি কমিউনিস্ট রাষ্ট্রের পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল! যার নেপথ্যে ছিলেন কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের বামপন্থী মনোভাবাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা। আম্বেদকর নিজেই তা রুখে দিয়েছিলেন। ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপরেই দেশের সংবিধানকে দাঁড় করিয়েছিলেন বি আর আম্বেদকর। স্বাধীন ভারতের সংবিধানে তাই আজও প্রতিফলিত হচ্ছে ভারতীয় মূল্যবোধ, দেশের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্রতা।

  • Rajnath Singh: ‘‘বিজেপি সংবিধানকে বাঁচায়, কংগ্রেস তা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে’’, সংসদে রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘বিজেপি সংবিধানকে বাঁচায়, কংগ্রেস তা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে’’, সংসদে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সংবিধান গঠনকারীদের ভূমিকা অন্ধকারে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশে কংগ্রেস সংবিধানের মূল মূল্যবোধকে ক্ষুন্ন করেছে। লোকসভায় শুক্রবার এমনই মত প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। লোকসভায় দু’দিনের ‘ভারতের সংবিধানের ৭৫ বছরের গৌরবময় যাত্রা’ নিয়ে আলোচনার সময় বিতর্কের সূচনা করে রাজনাথ বলেন, ‘‘সংবিধান তৈরিতে বেশ কয়েকজন নেতার অবদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।’’

    কী বললেন রাজনাথ

    রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মতো আমরা কখনওই সংবিধানকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করিনি। আমরা সংবিধানকে বাঁচিয়ে চলেছি। আমরা এমন অনেক ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছি, যা সংবিধানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, এবং আমরা সংবিধান রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম ও কষ্ট সহ্য করেছি।’’ সংবিধানের নির্মাতাদের মধ্যে বীর সাভারকারের অবদানের কথা উল্লেখ করার সময় রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিরোধীরা। রাজনাথ তাঁর বক্তব্যে বিচারপতি এইচআর খান্নার অবদানও তুলে ধরেন। বিচারপতি খান্না ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় বিরোধী রায় দিয়েছিলেন, যা তাঁকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে বঞ্চিত করেছিল। তিনি বলেন, ‘‘১৯৭৩ সালে, সংবিধানের মূল্যবোধ উপেক্ষা করে কংগ্রেস সরকার বিচারপতি জেএম শেলাট, কেএস হেগড়ে এবং এএন গ্রোভারের মতো সিনিয়র বিচারপতিদের পদোন্নতি উপেক্ষা করে চতুর্থ সর্বাধিক সিনিয়র বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিল।’’

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ

    কংগ্রেস নেতৃত্বকেও একহাত নেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, ‘‘আজকাল দেখছি বহু বিরোধী নেতাই সংবিধানের কপি পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাস্তবতা হল যে তাঁরা তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এই অনুশীলনটি শিখেছেন, যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সংবিধানকে তাঁদের পকেটে রেখেছেন।’’ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পরোক্ষ আক্রমণ করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সংবিধানকে মাথার ওপরে রাখে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madras HC: ‘‘মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হিন্দু কর্মী নিয়োগ হতে পারে’’, বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras HC: ‘‘মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র হিন্দু কর্মী নিয়োগ হতে পারে’’, বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে মন্দির নিয়ন্ত্রিত কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী হিসেবে হিন্দুই নিয়োগ করা যেতে পারে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই রায়। মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras HC) বিচারপতি বিবেক কুমার সিং এমন রায় দিয়েছেন। সংবিধানের মৌলিক অধিকারের কথাও এদিন উল্লেখ করেন বিচারপতি।

    রিট পিটিশন জমা পড়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras HC) 

    প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত একটি রিট পিটিশন জমা পড়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras HC)। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন মন্দির নিয়ন্ত্রিত স্কুলে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে! এই রিট পিটিশন বাতিল করেন বিচারপতি বিবেক কুমার সিং। তিনি জানান যে, মন্দির নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু ধর্মে (Hindus) যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁদেরই নিয়োগ করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন সুহেল নামের একজন মুসলিম। চেন্নাইয়ের কোলাথুরের মন্দির (Madras HC) নিয়ন্ত্রিত একটি কলেজে পড়ানোর জন্য আবেদন করেন সুহেল। কিন্তু সুহেলের আবেদন বাতিল করা হয় এবং জানানো হয় যে শুধুমাত্র হিন্দুরাই সেখানে পড়ানোর সুযোগ পাবেন।

    সংবিধানের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ করেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, সুহেলের রিট পিটিশনে (Madras HC) ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৬(১) এবং ১৬(২) ধারাকে উল্লেখ করা হয় এবং সেখানে জানানো হয় যে নিয়োগের ক্ষেত্রে সকলের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু আদালত এক্ষেত্রে সংবিধানের ১৬(৫) ধারাকে উল্লেখ করে জানায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অধিকার রয়েছে তাদের নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসের কর্মী নিয়োগের। প্রসঙ্গত ওই কলেজ হচ্ছে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরিচালনা করে মন্দির কমিটি। কোনও রকমের সাহায্য রাজ্যের কাছ থেকে তারা নেয় না। পড়ুয়াদের কাছ থেকে আসা ফি থেকেই শিক্ষকদের বেতন হয়। এক্ষেত্রে আদালত উল্লেখ করে যে সংবিধানের ১৬(১) এবং ১৬(২) ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কারণ ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার শুধুমাত্র সরকারে কোনও পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই অধিকার দেয়, কোনও বেসরকারি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Amit Shah: ৩০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমী, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: ৩০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমী, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছিল। এরপর থেকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে উপত্যকায়। শনিবারে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ৩০ বছর পরে জন্মাষ্টমী পালন হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের লাল চৌকে। পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভূস্বর্গ ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে। প্রসঙ্গত ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।

    ভোপালে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ

    রবিবারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজির ছিলেন ভোপালে ‘প্রবুদ্ধ জনসম্মেলন’ নামের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যখন আমি একজন পার্টির সাধারণ কর্মী ছিলাম প্রথম দিকে, তখন আশ্চর্য হতাম ৩৭০ ধারা সরানোর কথা ভাবলে। কিন্তু ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দিতে পেরেছে। একই দেশে দুটো সংবিধান চলতে পারে না, দুজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না এবং দুটি পতাকাও থাকতে পারে না। ৭০ বছর ধরে কংগ্রেসের তোষণনীতির কারণে ৩৭০ ধারা টিকে ছিল। ধারা ওঠার পরেই, ৩০ বছর পরে লাল চৌকে ফের জন্মাষ্টমী পালন হয়।’’

    আক্রমণ ‘ইন্ডি’ জোটকে

    এর পাশাপাশি অমিত শাহ (Amit Shah) আরও জানিয়েছেন যে জাতপাতের রাজনীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণ নীতি এবং দুর্নীতির ফাঁদে পড়েছিল দেশ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমস্ত অপশক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে সেই খাত থেকে দেশকে টেনে এনেছেন। এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘আমরা মহাভারতে দেখেছিলাম, সেখানে পাণ্ডব পক্ষ ছিল একদিকে, অপরদিকে ছিল কৌরব পক্ষ। বর্তমানেও দেশে একদল গ্রুপ আছে যেটি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে চলছে এবং অপরদিকে একটি জোট আছে যেটা চালাচ্ছে সাতটা পরিবার একসঙ্গে।’’ এদিন ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা শানিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘তারা কখনও চায় না একজন গরিব পরিবার থেকে কেউ উঠে এসে প্রধানমন্ত্রী হোক। এ বিষয়ে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সোনিয়া গান্ধী চান তাঁর ছেলে রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোক। শরদ পাওয়ার চান তাঁর মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান তাঁর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হোক। লালু যাদব চান তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হোক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Article 370: জমি কেনা থেকে শুরু করে চাকরি, বিয়ে…জেনে নিন কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩৭০ ধারায়?

    Article 370: জমি কেনা থেকে শুরু করে চাকরি, বিয়ে…জেনে নিন কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল ৩৭০ ধারায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদি সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে উপত্যকার মানুষজনকে কিছু বিশেষ এবং বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এই ধারার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের ছিল আলাদা পতাকাও। এমনকী সেখানকার জমি পর্যন্ত কিনতে পারেতেন না অন্য রাজ্যের মানুষজন। এক কথায়, ভারতের অভ্যন্তরে জম্মু ও কাশ্মীর হয়ে উঠেছিল আলাদা একটি রাষ্ট্র। তবে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সেসব আর কিছু থাকল না। আসুন দেখে নিই, কী কী নিষেধাজ্ঞা ছিল এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর পরিস্থিতি কী দাঁড়াল।

    ৩৭০ ধারা বাতিলের আগে ও পরে…

    ১) উপত্যকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র

    সংবিধানে ৩৭০ নম্বর ধারা (Article 370) অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসের আগে পর্যন্ত প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ এবং যোগাযোগ ছাড়া জম্মু-কাশ্মীরের অন্য কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার ছিল না ভারত সরকারের। কিন্তু বর্তমানে উপত্যকার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করাতে আর কোনও বাধাই রইল না।

    ২) জম্মু ও কাশ্মীরের ছিল আলাদা পতাকা, এখন আর তা রইল না

    ৩৭০ ধারা (Article 370) যখন লাগু ছিল, তখন জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কোনও আইন প্রণয়ন করতে পারত না ভারতের সংসদ। আইন প্রণয়ন করতে হলে সে রাজ্যের সম্মতির প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া আলাদা পতাকাও ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের। ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালের পর কোনও আলাদা পতাকা নেই উপত্যকায়। ভারতের সংসদ এখন জম্মু ও কাশ্মীরে আইন প্রণয়নের ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী।

    ৩) উপত্য়কায় জমি কিনতে পারতেন না ভারতের অন্য রাজ্যের লোকজন, এখন তা বাতিল

    ভারতবর্ষের অন্যান্য অংশের লোক জম্মু-কাশ্মীরের জমিও কিনতে পারতেন না। তার কারণ, স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কেউ কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন না, এমন নিয়ম সেখানে জারি করা ছিল। ধারা ৩৫-এ অনুযায়ী বলা হয়, যে সে রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা কে, তা স্থির করতে পারবে একমাত্র জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা। বর্তমানে দেশের যে কোনও নাগরিক জমি কিনতে পারেন উপত্যকায়।

    ৪) জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরির আবেদনও করতে পারতেন না অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা, এখন তা কার্যকর নয়

    জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও চাকরির ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারতেন না অন্য রাজ্যের মানুষ। সে রাজ্যের কোনও মহিলা স্থায়ী বাসিন্দা ভারতের অন্য অংশের মানুষকে বিয়ে করলে তিনি সম্পত্তির অধিকার থেকেও বঞ্চিত হতেন। বর্তমানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতোই জম্মু ও কাশ্মীরে চাকরির আবেদন করতে পারেন সবাই।

    প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে ৩৭০ ধারার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল ভারতের সংবিধান সভা। কিন্তু ১৯৫৭ সালে সংবিধান সভাকেই ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় ৩৭০ ধারার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হলেও সেখানে লেখা ছিল অস্থায়ী সংস্থান অর্থাৎ তা সামরিক হিসেবেই গণ্য করা হয়। ৩৭০ ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয় যে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে ওই বিশেষ মর্যাদা যে কোনও সময় তুলে নিতে পারেন। রাষ্ট্রপতির সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই এই বিশেষ মর্যাদাকে প্রত্যাহার করে মোদি সরকার। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৩৭০ ধারা বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেন। সরকারের তরফে তখন জানানো হয় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অস্থায়ী একটি ব্যবস্থা। এরপর মামলা এবং যার চূড়ান্ত পরিণতি এদিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share