Tag: Indian culture

Indian culture

  • PM Modi: ‘‘আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ’’, নাগপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘আরএসএস ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ’’, নাগপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগপুরে সংঘের সদর কার্যালয়ে গিয়ে আরএসএস-কে ভারতের অমর সংস্কৃতির বটবৃক্ষ বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এই প্রথমবার নাগপুরে আরএসএস (RSS) সদর দফতরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঘটনাচক্রে এদিনই চৈত্র নবরাত্রির সূচনা হল। প্রধানমন্ত্রী মোদির আগে ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়িও নাগপুরে আরএসএসের সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালে শেষবার নাগপুরের আরএসএস-এর সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন মোদি। তখন তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ৷

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট

    সংঘ পরিবারের একশো বছরের যাত্রা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘দাসত্বের শেষ দশকে ডাক্তারসাহেব ও গুরুজির মতো মহান ব্যক্তিরা আরএসএসকে নতুন শক্তি দিয়েছিলেন। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্রীয় চেতনার সংরক্ষণ ও প্রসারের জন্য একশো বছর আগে যে ভাবনার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা এখন বিশ্বের সামনে বটবৃক্ষের রূপ পেয়েছে। সিদ্ধান্ত ও আদর্শ এই বটবৃক্ষকে শ্রেষ্ঠত্বে উন্নীত করেছে। লক্ষ-কোটি স্বয়ংসেবক বটবৃক্ষের শাখা-প্রশাখা। এটা সাধারণ কোনও বটবৃক্ষ নয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ ভারতের অমর সংস্কৃতির আধুনিক অক্ষয় বট। এই মহীরুহ ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় চেতনাকে অবিরত শক্তিশালী করে চলেছে।’’

    গত একশো বছরে আরএসএসের সংগঠন ও সমর্পণের তপস্যার ফল দেশ আজ পেয়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, ‘‘গত একশো বছরে আরএসএসের সংগঠন ও সমর্পণের তপস্যার ফল দেশ আজ পেয়েছে। তাই দেশ ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ১৯২৫-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সময়কালে দেশ সঙ্কটে ছিল। সেই সময় দেশে স্বাধীনতা জন্য সংগ্রাম চলছিল। একশো বছর পরে আরএসএস একটা নতুন মাইলফলকে পা রাখতে চলেছে। ২০২৫ থেকে ২০৪৭ সাল-এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে অনেক বড় বড় লক্ষ্য রয়েছে। আগামী এক হাজার বছরের শক্তিশালী ও উন্নত ভারতের ভিত্তি প্রস্তর আমাদেরই স্থাপন করতে হবে। দেশে সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি চলছে। এদিকে আরএসএস (RSS) একশো বছর পূর্ণ করছে।’’

  • Puja Rituals: নিয়মিত পুজো করেন? জেনে নিন ঠাকুরের সামনে কতক্ষণ প্রসাদ রাখা যায়

    Puja Rituals: নিয়মিত পুজো করেন? জেনে নিন ঠাকুরের সামনে কতক্ষণ প্রসাদ রাখা যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মে (Hindu religion) পুজো-অর্চনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রীতি। বাড়িতে পুজো করলে একটা গঠনমূলক ভাবনা প্রবাহিত হয়। এছাড়া ভক্তি সহকারে ঠাকুরের আরাধনা করলে মনে শান্তি লাভ করা যায়। যে বাড়িতে নিয়মিত পুজো-অর্চনা (Puja Rituals) হয়, সেখানে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বজায় থাকে। ঠাকুরের দয়ায় জীবনের সব সমস্যা কেটে যায় ও সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়। এই কারণেই সনাতন ধর্মে সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যে, দু-বেলা পুজো করা উচিত। মন্ত্র জপের পাশাপাশি পুজোয় অন্নদানের গুরুত্ব রয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে নৈবেদ্য দিলেই ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। তবে কতক্ষণ ঠাকুরের সামনে প্রসাদ (Pujo Prasad Rules) রাখা উচিত, তা জানেন কি?

    ভোগ দেওয়ার সময় (Puja Rituals)

    ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পুজো (Puja Rituals) দেওয়ার পর অবিলম্বে ঠাকুরের কাছ থেকে প্রসাদ সরিয়ে নেবেন না, বা দীর্ঘ সময়ের জন্যও ঠাকুরের সামনে প্রসাদ রেখে দেবেন না। পুজোর পর ঠাকুরের সামনে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য ভোগ রাখা ভালো। এরপরে, ভোগ গ্রহণ করুন এবং প্রত্যেকে এটি প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করুন। তবে ভোগকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুরের সামনে ফেলে রাখবেন না। কারণ এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উল্লেখ্য ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করার পর এই প্রসাদ মাটিতে রাখবেন না। আবার ঠাকুরের ভোগ প্রসাদ হয়ে গেলে তা আর মূর্তির খুব বেশি কাছাকাছি রাখবেন না। এছাড়া ঠাকুরকে খাবার দেওয়ার সময় সঙ্গে জল নিবেদন করতে ভুলবেন না। ঠাকুরের ভোগ সব সময় পিতল, রূপো, সোনা বা মাটির বাসনে নিবেদন করবেন। একই ভাবে কলাপাতায় প্রসাদ (Prasad) বিতরণ করা শুভ বলে মনে করা হয়।

    আরও পড়ুনঃ প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক

    নৈবেদ্যর জন্য মন্ত্রপাঠ

    তবে যদি আপনি উপবাস রেখে পুজো (Puja Rituals) করেন, তাহলে ভগবানকে অন্ন নিবেদনের জন্য মন্ত্র (Mantra) পাঠ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে নৈবেদ্যর জন্য মন্ত্রপাঠ করলেই ঈশ্বর নিবেদন গ্রহণ করেন। তাই অন্নভোগ অর্পণ করার সময় মন্ত্রপাঠ করা উচিত। তবে পুজোর পর নিজের জন্য নিজে প্রসাদ নেবেন না। এই প্রসাদ আপনি প্রথমে সবার মধ্যে ভাগ করে দিন। এরপর নিজে প্রসাদ নিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: কারা করেছিলেন আরএসএস-এর নামকরণ? প্রথম শাখা শুরু হয়েছিল কবে? জানুন সেই ইতিহাস

    RSS: কারা করেছিলেন আরএসএস-এর নামকরণ? প্রথম শাখা শুরু হয়েছিল কবে? জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক মাধবরাও সদাশিব গোলওয়ালকারের জন্মদিন। তাঁর আমলেই সঙ্ঘ পরিবারের পত্তন হয়। দেশজুড়ে বিস্তার পায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আজ সারা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কাজ ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তে চলছে। সঙ্ঘের কাজের জন্য রয়েছে বিভিন্ন শাখা সংগঠন। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বত্রই বিস্তার লাভ করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আরএসএস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিজয়া দশমী তিথিতে। ১৯২৫ সালের দশেরার দিন মহারাষ্ট্রে ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার প্রতিষ্ঠা করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে বিজয়া দশমীর দিনটিকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল যে সেইদিন শুভ শক্তি, অশুভ শক্তির উপরে জয় লাভ করেছিল, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে। সেদিন ভগবান রামচন্দ্র, রাবণকে বধ করেছিলেন বলে মানা হয়। ১৯২৫ সাল থেকেই তাই রীতি রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর-সঙ্ঘচালক বিজয় দশমীর দিন স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে বার্তা দেন। গত বছরেও ডঃ মোহন ভাগবতের মুখ থেকে শোনা গিয়েছে বক্তব্য।

    মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন যুবক নিয়ে পথ চলা শুরু আরএসএস-এর

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) স্থাপিত হয় মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন যুবক এবং কিশোরকে নিয়ে। প্রতিষ্ঠার দিনে হাজির ছিলেন ভাউজি  কাওড়ে, আন্না সোহনি, বিশ্বনাথ রাও কেলকর, বালাজি হুড্ডর, বাপু রাও ভেদিরা। এঁরাই ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রথম দিকের একনিষ্ঠ কর্মী, যাঁরা সারা ভারত জুড়ে সংগঠন বিস্তারে ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৯২৫ সালে বিজয় দশমীর দিনে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বলেছিলেন যে, আমরা আজকে সঙ্ঘের কাজ শুরু করলাম। ওই দিনে সঙ্ঘের ভবিষ্যতের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি। নিজের বক্তব্যে হেডগেওয়ার বলেন, ‘‘আমাদেরকে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে বৌদ্ধিক ভাবে বিকশিত হতে হবে প্রতিটা ক্ষেত্রে যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যকে পেতে পারি।’’

    সঙ্ঘের প্রথম শাখা শুরু হয় ১৯২৬ সালের ২৮ মে

    গবেষকদের মতে, প্রথম দিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সেভাবে কোনও লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল না। শুধু শারীরিক এবং মানসিকভাবে যুবকদেরকে শক্তিশালী করা এবং তাদেরকে দেশের কাজে নিয়োগ করাই ছিল সঙ্ঘের কাজ। সঙ্ঘের প্রথম শাখা শুরু হয় ১৯২৬ সালের ২৮ মে থেকে। পরবর্তীকালে তা নিয়মিত চলতে থাকে। জানা যায় নাগপুরের মোহিতওয়াড়ার মাঠে শুরু হয় আরএসএস এর শাখা। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখ্য কার্যালয়। প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কমান্ড বা নির্দেশ সংস্কৃততে দেওয়া হত। কিছু কমান্ড ইংরেজিতেও দেওয়া হত। কিন্তু পরবর্তীকালে সেগুলিকে স্থানীয় বিভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃততেই দেওয়া হয়ে থাকে। সঙ্ঘের শাখাতে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয় যা ‘গৈরিক ধ্বজ’ নামে পরিচিত। গৈরিক ধ্বজকে প্রণাম করেই চলে শাখার কাজ।

    সংগঠনের নামকরণ করতে বৈঠক করেন ২৬ জন স্বয়ংসেবক

    প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখাগুলিতে মারাঠি এবং হিন্দি শ্লোক গাওয়া হত। পরবর্তীকালে সংস্কৃততে চলতে থাকে প্রার্থনা। প্রতিটি প্রার্থনাই যুব সমাজের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগানোর উদ্দেশে রচনা করা হত। সঙ্ঘের প্রথম প্রার্থনা অনুবাদ করলে দেখা যায় যে সেখানে বলা হচ্ছে— আমরা প্রণাম জানাই সেই জন্মভূমিকে যেখানে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। এটা জানা যায় যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তার প্রথম নামকরণ পায় প্রতিষ্ঠার ৬ মাস পরে। ১৯২৬ সালের ১৭ এপ্রিল ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার একটি বৈঠক করেন তাঁর নিজের বাড়িতে। যেখানে ২৬ জন স্বয়ংসেবক অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই বিস্তৃত আলোচনা হয় সংগঠনের নামকরণ নিয়ে এবং প্রত্যেকেই ভাববিনিময় করেন এবিষয়ে। উপস্থিত ২৬ জন কেউই এই আন্দাজ করতে পারেননি যে তাঁরা আগামীদিনের সব থেকে বড় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামকরণ করতে চলেছেন। সেই দিন অনেক নামই উঠে এসেছিল যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS), জরিপটকা মণ্ডল, ভেদ্রতোদ্ধরক মণ্ডল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Venkaiah Naidu: ভারতীয় সংস্কৃতি কোনও ধর্মকেই অপমান করে না, সাফ জানালেন উপরাষ্ট্রপতি 

    Venkaiah Naidu: ভারতীয় সংস্কৃতি কোনও ধর্মকেই অপমান করে না, সাফ জানালেন উপরাষ্ট্রপতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সংস্কৃতি (Indian Culture) কোনও ধর্মকেই (Religion) অপমান করে না। শুক্রবার বিজয়ওয়াড়ায় একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) বেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu)। ওই অনুষ্ঠানে দেশের শান্তি এবং ঐক্যের ওপর আঘাত হানতে পারে, এমন শক্তি সম্পর্কে জনগণকে সতর্কও করে দেন তিনি। যে সব শক্তি ভারতের সংহতি বিনষ্ট করতে চাইছে, তাদের সম্পর্কে জণগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাকও দেন উপরাষ্ট্রপতি।

    সম্প্রতি হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। তার আগেই অবশ্য নূপুরকে সাসপেন্ড করে পদ্ম শিবির। তার পরেও অশান্তি ছড়ায় একদল মানুষ। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। কোথাও আগুন লাগানো হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিসে। ঘটনার ঢের আগেই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নূপুরের মন্তব্য নিছকই ব্যক্তিগত, সরকারের বক্তব্য নয়। তার পরেও তাণ্ডব চলেছে দেশজুড়ে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এদিন এমন মন্তব্য করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, অন্যের সংস্কৃতি, ধর্ম কিংবা ভাষাকে অপমান করা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। বেঙ্কাইয়া বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধ সমস্ত সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহবত পোষণ শেখায়। বিশ্বের দরবারে ভারতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চলছে বলেও মনে করিয়ে দেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের মূল্যবোধ গোটা বিশ্বের সামনেই একটা মডেল।

    আরও পড়ুন : কে হবেন উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী? শনিবার বৈঠকে বিজেপি

    এদিনের অনুষ্ঠানে বেঙ্কাইয়া বলেন, এখন দেশজুড়ে চলছে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব। এই মহোৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতা পেতে গিয়ে বলিদান দিতে হয়েছে কত প্রাণ! তরুণ প্রজন্মের সামনে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান তুলে ধরার আহ্বানও জানান তিনি। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে লড়াই করতে হবে দারিদ্র, নিরক্ষরতা, সামাজিক বৈষম্য এবং মহিলাদের ওপর অত্যাচারে বিরুদ্ধে। এটা করতে পারলেই দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি যথাযোগ্য শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। গ্রামের সঙ্গে শহরের বিভাজন, সমাজে শ্রেণি বিভাজন এবং লিঙ্গ বৈষম্য দেশকে দুর্বল করে দেয় বলেও মনে করিয়ে দেন উপরাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন : প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

     

LinkedIn
Share