Tag: Indian Language

  • India: ভারত-জাপান মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত, দক্ষ পেশাদাররা কাজের সুযোগ পাবেন সূর্যোদয়ের দেশে

    India: ভারত-জাপান মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত, দক্ষ পেশাদাররা কাজের সুযোগ পাবেন সূর্যোদয়ের দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) ও জাপান (Japan) দুই দেশের মধ্যে দিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ লাখেরও বেশি মানুষের বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত ভারত-জাপান শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ পেশাদার জাপানে কাজের সুযোগ পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়বে। পাশাপাশি, যৌথ উদ্ভাবনী প্রকল্প ও গবেষণামূলক কাজ আরও গতিশীল হবে। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক ও শিক্ষাবিদদের জাপানে যাওয়ার সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি জাপানি কর্পোরেট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও ভারত সফরে আসবেন। এছাড়া ভারতীয় শিক্ষকরা জাপানের জনপ্রিয় জেট (Japan Exchange and Teaching) প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগও পাবেন।

    প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও ভাষা শিক্ষার প্রসারে জোর

    এই যৌথ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হল ভারত ও জাপানের মধ্যে ছাত্র ও গবেষকদের আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাগত সম্পর্ক জোরদার করা। ভারতের (India) জন্য জাপানের (Japan) টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম (TITP) এবং স্কিলড ওয়ার্কার ভিসা প্রোগ্রাম দুটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের দ্বার খুলে দিচ্ছে। এর জন্য সারা ভারত জুড়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যাতে আরও বেশি দক্ষ কর্মী এই প্রক্রায় অংশ নিতে পারেন। ভারত (India) “ইন্ডিয়া-নিপ্পন প্রোগ্রাম ফর অ্যাপ্লাইড কম্পিটেন্সি ট্রেনিং” চালু করবে, যেখানে ভারত ও জাপানের যৌথ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে জাপানি শিল্পদক্ষতা কাজে লাগিয়ে আয়ুর্বেদ, যোগা এবং অন্যান্য সুস্থতা-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান জাপানে স্থাপন করা হবে।

    দুই দেশের বিদেশমন্ত্রক যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন তদারকি করবে

    এই চুক্তির আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো ভাষা শিক্ষার প্রসার। জাপান ফাউন্ডেশন ভারতজুড়ে (India) আরও বেশি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং ভাষা কেন্দ্র চালু করবে। পাশাপাশি, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ও জাপানের বিদেশ মন্ত্রক যৌথভাবে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং প্রতিবছর একটি অগ্রগতি রিপোর্ট প্রকাশ করবে। সব মিলিয়ে, শিক্ষা, দক্ষতা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারত-জাপানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাচ্ছে।

  • RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    RSS: ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) শতবর্ষের পথচলা — এই শীর্ষক বক্তৃতা সিরিজে বৃহস্পতিবার সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ভারতে ভাষা সম্প্রীতির কথা বলেন। ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ভারতের বিভিন্ন ভাষার গুরুত্ব এবং তিনি জানান যে ভারতের প্রত্যেকটা ভাষাই হল জাতীয় ভাষা। তাঁর নিজের ভাষায়, “ভারতের প্রত্যেক কথ্য ভাষাই হল এ দেশের জাতীয় ভাষা।”

    ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয়

    তিনি এদিন আরও বলেন যে ভাষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভাগ হওয়া উচিত নয় এবং প্রত্যেকটা ভারতীয় ভাষার মধ্যেই প্রতিধ্বনিত হয় দেশপ্রেম, যখন একজন মানুষ অপরজনের সঙ্গে কথা বলেন। এদিনের বক্তব্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত আরও বলেন, ভাষার বিবিধতা এবং বৈচিত্র্যতাই এ দেশের বড় শক্তি। এদিন আরএসএস প্রধান যে কোনও দুটি ভারতীয় ভাষার (RSS) মধ্যে বিভেদ আনার প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হন এবং তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে নষ্ট করবে। ভাষাগত বিভেদ নিজেদের মধ্যে আনা উচিত নয়।

    কথোপথন ভারতীয় ভাষাতেই হওয়া উচিত (RSS)

    এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ভাষাই হল জাতীয় ভাষা এবং আমরা যখন নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতা বা কথোপকথন করব, তখন যেন অবশ্যই যে কোনও ভারতীয় ভাষাতে কথা বলি — কোনও বিদেশি ভাষায় নয়।’’ সব মিলিয়ে ডঃ মোহন ভাগবত এদিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য় রাখলেন। বিশেষত ভারতীয় ভাষা নিয়ে যখন দেশে বিতর্ক চলছে। আঞ্চলিক ভাষা এবং হিন্দি প্রসঙ্গে। মোহন ভাগবতের এই ভাষা-সম্পর্কিত মন্তব্য জাতীয় ঐক্য এবং সংহতিকে জোরদার করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না

    এদিনের বক্তব্যে ডঃ মোহন ভাগবত বলেন, ১৯৪৮ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণ ‘জ্বলন্ত মশাল’ হাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কার্যালয় পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই সংঘের একটি শিবিরে উপস্থিত হয়ে বলেন, “পরিবর্তন একমাত্র সংঘের মাধ্যমেই আশা করা যায়।” মোহন ভাগবতের মতে, আরএসএস কখনও কাউকে বিদেশি মনে করে না — গোটা সমাজই আমাদের আপন। তিনি আরও বলেন, “অখণ্ড ভারতের ধারণা কখনও রাজনৈতিক নয়, এটি সাংস্কৃতিক।” এদিনের বক্তৃতায় উঠে আসে জনবিন্যাস পরিবর্তনের প্রসঙ্গও। ডঃ ভাগবত বলেন, “যখন জনবিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে, তখনই দেশভাগের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।” হিন্দু-মুসলিম ঐক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান ভিন্ন নয়, তারা এক। তাই তাদের মধ্যে আলাদা করে কোনও ‘ঐক্য’ গঠনের প্রয়োজনই নেই।” এদিনের বক্তব্যে মোহন ভাগবত আরও বলেন, ব্যক্তি নির্মাণের মাধ্যমেই সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব। প্রথমে সমাজকে বদলাতে হয়, তারপরই রাষ্ট্রের ব্যবস্থা বা কাঠামো পরিবর্তিত হয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ কোনও হিংসাত্মক সংগঠন নয়। যদি সংঘ সত্যিই হিংসা ছড়াত, তাহলে দেশের ৭৫ হাজার স্থানে তার শাখা গড়ে উঠত না।

LinkedIn
Share