Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    Indian Railway: পারমাণবিক বিদ্যুতে চলবে ট্রেন! ২০৩০ সালের মধ্যেই বড় চুক্তি করতে চলেছে ভারতীয় রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচলিত জ্বালানির ব্যবহারের উপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। নেট জিরো ২০৩০ (Net Zero Goal by 2030) অধীনেই পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির উপরে ভরসা বাড়াতে চাইছে ভারতীয় রেল। সে কারণেই পারমাণবিক বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুতের উৎসগুলির দিকে ঝুঁকছে ভারতীয় রেল। রেলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন চালানোর জন্য ১০ গিগাওয়াট ট্র্যাকশন শক্তির প্রয়োজন হবে। ফলে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি এবং আরও ৩ গিগাওয়াট তাপ ও ​​পারমাণবিক শক্তি কেনার পরিকল্পনা করেছে রেল। ট্র্যাকশনের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট ৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে বলে পরিকল্পনা করেছে রেল।

    পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির জোগাড়

    ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যকে মাথায় রেখে এবং একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ছোট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে কেন্দ্রের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যাটমিক এনার্জি (DAE) এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শ শুরু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছে ২ গিগাওয়াট (Net Zero Goal by 2030) পারমাণবিক শক্তির আবেদন জানিয়েছে রেলওয়ে। রেলের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, ভারতীয় রেল জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ কিনবে। অন্যদিকে, ডিএই এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রক জ্বালানি সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে প্লান্ট স্থাপনে সহায়তা করবে।

    এছাড়াও, যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি থেকে আরও ২ গিগাওয়াট তাপবিদ্যুতের জোগাড় করা হবে। জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সাহায্যে জোগাড় করা হবে ১.৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। এই আর্থিক বছরেই ব্রডগেজ রুটে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়ন শেষ করবে বলে জানায় রেল দফতর। রেলের এক কর্তা বলেন, “২০২৫-২৬ সাল থেকে প্রায় ৯৫% ট্রেন বিদ্যুতে চলবে। রেল সরাসরি কার্বন নির্গমন প্রতি বছর ১.৩৭ মিলিয়ন টনে নেমে আসবে।” ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, শক্তি উৎপাদনের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে জমি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যুৎ খরচের নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যেখানে ডিএই এবং শক্তি মন্ত্রক শক্তি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি করবে। রেলওয়ে জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে, এবং জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এই উদ্যোগের জন্য অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলিও কাজ শুরু করেছে।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী

    অনুমান বর্তমানে ভারতে চলমান ৯০ শতাংশ ট্রেন এখন বিদ্যুত চালিত। বাকি ১০ শতাংশ চলে ডিজেলে। তিন বছর আগেও ৩৭ শতাংশ ট্রেন ছিল ডিজেল চালিত। বৈদ্যুতিক নির্ভরতা বাড়ায় ভারতীয় রেলের (Indian Railway) ট্রেন চালানোর জন্য খরচ আগের থেকে কমেছে। ট্র্যাকশনের জন্য ডিজেলের অধীনে রাজস্ব ব্যয় ২০২৫-২৬ সালে ৯,৫২৮.৫৩ কোটি টাকায় নেমে আসবে বলে আশা। যা গত এক দশকেরও বেশি সময়ে রেলওয়ের দ্বারা ডিজেলের জন্য ব্যয় করা সর্বনিম্ন খরচ বলে আশা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে, তাঁরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (NPCIL) এবং শক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে রেলওয়ের শক্তি চাহিদা মেটাতে নিউক্লিয়ার শক্তি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের শক্তি চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রেলওয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যমান এবং আসন্ন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টগুলির কাছ থেকে শক্তি সংগ্রহের বিকল্পগুলি খতিয়ে দেখছে।’’

  • Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railways: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচ রফতানি করা হচ্ছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়ায়,” বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতে তৈরি মেট্রো কোচগুলি রফতানি করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। বগি পাঠানো হচ্ছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং সৌদি আরবে। এই সব ঘটনা বিশ্বব্যাপী দেশের রেলওয়ের (Indian Railways) ক্রমবর্ধমান উন্নতির প্রতিফলন ঘটায়।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মন্ত্রীর দাবি (Indian Railways)

    সোমবার রাজ্যসভায় তিনি (Metro Coaches) জানান, ভারত ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও ইতালির মতো একাধিক ইউরোপীয় দেশকে প্রপালশন সিস্টেম এবং বগি বা আন্ডারফ্রেমের মতো অন্যান্য রেল সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। রেলওয়ে বাজেটের ওপর আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, “আজ, আমাদের দেশ থেকে মেট্রো কোচ অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। লোকোমোটিভ এবং কোচের নীচের যান্ত্রিক কাঠামো, যাকে বগি বা আন্ডারফ্রেম বলা হয়, ব্রিটেন, সৌদি আরব, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে পাওয়ার ইলেকট্রনিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, প্রোপালশন সিস্টেম এখন ফ্রান্স, মেক্সিকো, রোমানিয়া, স্পেন, জার্মানি এবং ইতালিতে রফতানি করা হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

    চাহিদা লোকোমোটিভেরও!

    তিনি বলেন, “ভারতে তৈরি লোকোমোটিভ এবং যাত্রিবাহী কোচগুলি মোজাম্বিক, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় রফতানি করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই বিহারের মারহাওড়া কারখানা ১০০টিরও বেশি লোকোমোটিভ রফতানি করবে। এছাড়াও, তামিলনাড়ু থেকে (Indian Railways) চাকা রফতানি করা হবে।” অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে যে কারখানার কথা ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটা গতি লাভ করে। তিনি বলেন, “ভারতীয় রেল কেবল সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পরিষেবা দিচ্ছে না, বরং বিশ্বব্যাপী একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ও তৈরি করছে।”

    ভারত রেল যাত্রীদের আরও বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, ট্রেনে প্রতি কিলোমিটার ভ্রমণের খরচ পড়ে ১.৩৮ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হয় মাত্র ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ ভর্তুকি দেওয়া হয় ৪৭ শতাংশ। তিনি জানান (Metro Coaches), ভারতীয় রেল ২০২০ সাল থেকে ন্যায্য মূল্য বৃদ্ধি করেনি (Indian Railways)।

  • Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    Hyperloop Test Track: ৩০ মিনিটেই বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই! প্রস্তুত ভারতের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। ৩০০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করা সম্ভব হবে মাত্র ৩০ মিনিটে! দিল্লি থেকে জয়পুর বা বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছতে লাগবে মাত্র আধ ঘণ্টা। ভারতের প্রথম ‘হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক’ (Hyperloop Test Track) পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সহায়তায় এই ট্র্যাক বানিয়েছে আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras)।

    দ্রুত হাইপারলুপ তৈরির চেষ্টা

    রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, যে ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে তা ৪২২ মিটার লম্বা। এই ট্র্যাক দিয়ে গেলে কমপক্ষে ৩৫০ কিলোমিটার পথ ৩০ মিনিট বা তার কমে অতিক্রম করা সম্ভব। এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও বেশি। সেই প্রেক্ষিতে বলা যায়, হাইপারলুপ দিয়ে দিল্লি থেকে জয়পুর (দুরত্ব মোটামুটি ৩০০ কিলোমিটার) যেতে মাত্র আধ ঘণ্টা সময় লাগবে। ইতিমধ্যে এই প্রজেক্টের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দু-দফায় ১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে আইআইটি মাদ্রাজকে। আরও এক দফায় এই টাকা দিতে ইচ্ছুক ভারতীয় রেল মন্ত্রক। আসলে খুব দ্রুত এই হাইপারলুপ প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করতে চাইছে তাঁরা।

    হাইপারলুপ ট্রেন কী

    হাইপারলুপ ট্রেন হল যাত্রী এবং মাল বহনের জন্য উচ্চগতির পরিবহন ব্যবস্থা। একটি হাইপারলুপ ট্রেন একটি ভ্যাকুয়াম ক্যাপসুল টিউবের মধ্যে দিয়ে চৌম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে একটি পডের উপর চলে। টিউব ঘর্ষণহীন হওয়ায় ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০০ কিমিতে পৌঁছতে সক্ষম। যদিও জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের হাইপারলুপ ব্যবস্থার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিমি। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে টিউবের মধ্যে কোনও বাতাস থাকে না। ফলে ট্রেনটির সামনের দিকে এগোতে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না। তাই অতি দ্রুত ট্রেন এগিয়ে যেতে পারে। তাই একে বলে হাইপারলুপ ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো হাইপারলুপ ট্রেনের একাধিক কামরা নেই, মাত্র একটি কামরা থাকে। মূলত বিদ্যুতেই চলে এই অত্য়াধুনিক অতিগতিসম্পন্ন এই ট্রেন।

  • Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    Indian railway: রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্বের উৎস এসি থ্রি-টিয়ার! এর কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা পরবর্তী সময়কাল থেকেই ভারতীয় যাত্রীদের (Indian railway) মধ্যে একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে তাঁরা বাতানুকূল তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতে পছন্দ করছেন। যে কারণে, রেলের এক তৃতীয়াংশ রাজস্ব আসছে তৃতীয় শ্রেণির এসি থেকেই। প্রসঙ্গত, ট্রেনকে এদেশের লাইফ লাইন বলা হয়। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাত্রা করেন এবং মধ্যবিত্তের সবচেয়ে সুবিধা জনক যাত্রা ট্রেনেই সম্ভব হয়। এই সময়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে এই রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, আগে সাধারণ স্লিপার শ্রেণিগুলোই সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করত এবং ভারতের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসত স্লিপার ক্লাসগুলো থেকে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান (Indian railway)

    ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে যে যাত্রীদের মধ্যে থেকে ১.৪ শতাংশ মাত্র পছন্দ করতেন থার্ড এসি (Indian railway)। সংখ্যার বিচারে যা ছিল ১১ কোটি। এরপরে ২০২০ তে এল করোনা অতিমারি। লকডাউনের আবহে থার্ড এসির চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়। ২০২৪-২৫ সালে ১৯ শতাংশ যাত্রী তাঁরা ভ্রমণ করার জন্য পছন্দ করেছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তৃতীয় শ্রেণি কামরা। এই সংখ্যা ২৬ কোটি। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে এসি থ্রি-টিয়ার থেকে ভারতীয় রেলের আয় হয়েছিল ১২,৩৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ২০২৪-২৫ সালে সেই আয় বেড়েছে ৩০ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।

    কেন এত চাহিদা বাড়ছে?

    কিন্তু কেন এসি তৃতীয় শ্রেণিতে (Indian railway) এত চাহিদা বাড়ছে? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু সম্ভাব্য কারণ সামনে এনেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এবং দূষণের পরিমাণ যেভাবে বাড়ছে সেখানে এসি বিহীন বা সাধারণ স্লিপার ক্লাসে যাত্রা করা একেবারেই আরামদায়ক হচ্ছে না। কারণ ভারতে গ্রীষ্মকাল খুব দীর্ঘ হয়। এই কারণেই জনগণ এসিকে বেছে নিচ্ছেন।

    অন্যদিকে, আরও বেশ কিছু কারণে আসছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্লিপার কোচের সঙ্গে থার্ড এসি কোচের ভাড়ার ফারাক খুব বেশি নয়। সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেট সাশ্রয়ী। এর ফলে আরামদায়ক জার্নির জন্য অনেকেই এসি থ্রি-টিয়ারকে বেছে নিচ্ছেন।

    একই সঙ্গে স্লিপার ক্লাসে (Railways) অনেক ঘটনার সামনে আসে। চুরি নিরাপত্তার অভাব- এমন অনেক কিছুই অভিযোগ দায়ের হয়। যেগুলি সাধারণত স্লিপার এবং জেনারেল ক্লাসেই হয়। কিন্তু এসিতে সে জাতীয় কিছু হয় না এবং তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাও থাকে। সেখানে কোনও অবাঞ্ছিত যাত্রীদের প্রবেশও হয় না।

  • Budget 2025: নজরে চিন! বাজেটে উত্তর-পূর্বের রেল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,৪৪০ কোটি টাকা

    Budget 2025: নজরে চিন! বাজেটে উত্তর-পূর্বের রেল প্রকল্পে বরাদ্দ ১০,৪৪০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের রেল বাজেটে (Budget 2025) উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০,৪৪০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিপুল বরাদ্দ দেখেই বোঝা যায় যে ঠিক কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতকে। প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতে চিন, বাংলাদেশ সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সীমানা রয়েছে ভারতের। তাই কূটনৈতিক দিক থেকেও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে যোগাযোগ বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত চিন সীমান্তে (Budget 2025) যোগাযোগ বাড়ানো বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক আবহে অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    রেলমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক (Budget 2025)

    প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী (Budget 2025) অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, রেল বাজেটে জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। রেলমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন উঠে আছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রসঙ্গ। তখনই রেলমন্ত্রী জানান যে, ভৌগোলিক দিক থেকে দুর্গম অঞ্চল হল উত্তর-পূর্ব ভারত। এই সমস্ত জায়গাগুলিতে প্রকল্প যত দ্রুত সম্ভব ততই আমরা শেষ করার প্রয়াস রেখেছি। অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যে ২০১৪ সালের পর থেকে ১,৮২৪ কিলোমিটার রেলপথ (Railway Project) সম্প্রসারণ হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে যতটা রেলপথ তাঁরা পেতেছেন সেটি শ্রীলঙ্কার মোট রেল নেটওয়ার্কের থেকে অনেকটাই বেশি। একই সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতে ২০১৪ সালের পর থেকে ৪৭৮টি নতুন ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ১,১৮৯ কিলোমিটার রেলপথে কবচ লাগানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এই সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব এবং উত্তর-পূর্ব রেলপথের (নির্মাণ) জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার চৌধুরী। এই সাংবাদিক সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে আসছে আরও ২০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন, ১০০টি অমৃত ভারত ট্রেন এবং ৫০টি নমোভারত ট্রেন।

    মোদি জমানায় বরাদ্দ বেড়েছে পাঁচগুণ

    ওই সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির থাকা দুইজন জেনারেল ম্যানেজার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানান যে, উত্তর-পূর্ব ভারতে ৯২টি স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলিকে অমৃত ভারত স্টেশনে (Budget 2025) রূপান্তরিত করা হবে। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন যে, মিজোরামে একাধিক রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের জুলাই মাসে সেগুলি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। জানা গিয়েছে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ জমানায় উত্তর-পূর্ব ভারতে রেলের উন্নয়নের (Budget 2025) জন্য বরাদ্দ করা হত ২,১০০ কোটি টাকা। কিন্তু মোদি জমানায় ২০২৫-২৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০,৪৪০ কোটি টাকা অর্থাৎ উত্তর-পূর্বের জন্য রেল বাজেট পাঁচ গুণ বেড়েছে।

  • Indian Railway: বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ছুটবে আরও ২০০ বন্দে ভারত, ১০০ অমৃত ভারত, ৫০ নমো ভারত

    Indian Railway: বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ছুটবে আরও ২০০ বন্দে ভারত, ১০০ অমৃত ভারত, ৫০ নমো ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে রেল খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, মোদি সরকার স্লিপার এবং চেয়ারকার এই উভয় ধরনের ২০০টি নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর পাশাপাশি ১০০টি অমৃত ভারত এবং ৫০টি নমো ভারত ট্রেন (Indian Railway) চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদি সরকার। একইসঙ্গে রেলের পরিকাঠামো বৃদ্ধির প্রকল্প তারা হাতে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক বছরে ১৭ হাজার ৫০০টি জেনারেল কোচ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য মোট ৪.৬৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘২০০টি নতুন বন্দে ভারত (Vande Bharat) ট্রেন, ১০০টি অমৃত ভারত ট্রেন, ৫০টি নমো ভারত এবং ১৭,৫০০ জেনারেল নন এসি কোচ আগামী দু তিন বছরের মধ্যে জনগণের পরিষেবায় চলে আসবে।’’

    নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হবে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা

    রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘ভারতীয় রেল (Indian Railway) আরও দ্রুত এবং নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত এবং সেই লক্ষ্যে পরিকাঠামো বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’’ কেন্দ্রীয় সরকার রেলমন্ত্রককে ২.৫২ লক্ষ কোটি টাকার মোট বাজেটে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি খুবই উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘‘রেলওয়ে নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্য ৪.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজেই ব্যবহার করা হবে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা।’’

    ১,৪০০ কোচ ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে নতুন প্রকল্পের জন্য ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা (Indian Railway) অনুমোদন করা হয়েছে, যার মধ্যে নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত যেমন রয়েছে, তেমনি ট্র্যাক নির্মাণ, ট্র্যাক সম্প্রসারণ, স্টেশন পুনর্নির্মাণ, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস এবং আরও অনেক কিছু আছে।’’ জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবছের যে ২,০০০ জেনারেল কোচের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তারমধ্যে ১,৪০০ কোচ ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছে।’’

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    Indian Railway: দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ জম্মু-কাশ্মীরের আঞ্জি খাদ সেতুতে রেলের সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে দেশের প্রথম কেবল ব্রিজ আঞ্জি খাদ (Anji Khad Bridge) সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। প্রথম ট্রায়াল রানের ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘জম্মু কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন ডানার সংযোগ করা হল। ট্রায়াল রান সম্পন্ন হল ভারতের প্রথম কেবল ব্রিজে।’’ প্রসঙ্গত, আঞ্জি খাদ সেতুর দৈর্ঘ্য হল ৪৭৩.২৫ মিটার। এই সেতুটি নদী থেকে ৩৩১ মিটার উচ্চে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে। ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেল সেতু হল আঞ্জি খাদ।

    ছুটতে পারে বন্দে ভারত (Indian Railway)

    প্রসঙ্গত, উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি হল এই আঞ্জি খাদ রেল সেতু। মনে করা হচ্ছে, এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটতে পারে। এনিয়ে আগেই আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যদি এমনটা হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দে ভারতে করে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে।

    মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়

    জানা গিয়েছে, একটি মাত্র স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এই আঞ্জি খাদ সেতু। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন (Indian Railway)। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসেই একটি ট্যুইট বার্তায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, আঞ্জি খাদ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, মাত্র ১১ মাসে দেশের প্রথম কেবল রেল সেতু তৈরি হয়। এই সেতুর ৯৬টি কেবলের সবকটি জোড়া হেয়েছে। এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: কংগ্রেস আমলের থেকে মোদি জমানায় রেল দুর্ঘটনা অনেক কমেছে, তথ্য দিয়ে দাবি রেল মন্ত্রকের

    Indian Railways: কংগ্রেস আমলের থেকে মোদি জমানায় রেল দুর্ঘটনা অনেক কমেছে, তথ্য দিয়ে দাবি রেল মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আমলে রেল (Indian Railways) দুর্ঘটনা ৬০ শতাংশ কমেছে। রাজ্যসভায় এই মর্মে বিশেষ রিপোর্ট জমা পড়েছে। সংসদের উচ্চকক্ষে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্ঘটনা (Accident) রুখতে গত ১০ বছরে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার। গত কয়েক দশকের কংগ্রেস শাসিত সরকারের তুলনায় নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত সরকার রেলের যে অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটিয়েছে, তা রাজনীতির অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন।

    ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত ৩৬২ জন(Indian Railways)

    রাজ্যসভায় রেল দুর্ঘটনার (Accident) বিস্তৃত জবাব দিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক (Indian Railways)। সেখানে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সারা ভারতে মোট ১৫২টি গুরুতর রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সব দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৬২ জনের এবং মোট আহতদের সংখ্যা ৯৫৮ জন। নিহতদের মধ্যে রেল বিভাগের মোট কর্মচারী রয়েছেন ১১ জন। এই সব দুর্ঘটনাকে মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে আগের থেকে রেল দুর্ঘটনা অনেক পরিমাণে কমে গিয়েছে।

    ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪০টি

    একই সঙ্গে তথ্য দিয়ে রেল মন্ত্রক (Indian Railways) জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে সারা দেশে রেল বিপত্তির ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে ১৩৫টি। অপর দিকে ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে মোট রেল দুর্ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে মাত্র ৪০টি। একই ভাবে রেলের ব্যবস্থা যে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সেই বিষয়ও জানানো হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে, রেললাইন, রেলের কামরায় নানা সমস্যার কথা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।

    আরও পড়ুনঃ সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    নিরাপদ যাত্রায় রেল বদ্ধপরিকর

    প্রসঙ্গত, রেলের (Indian Railways) গত কয়েক মাসে রেল দুর্ঘটনার (Accident) পিছনে যে রেল জেহাদিদের একটা ষড়যন্ত্রের কৌশল রয়েছে, তা উপেক্ষার নয়। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লি, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপূর্ব ভারতে নানা সময় পাথর, ইট, লোহা, গ্যাসের সিলিন্ডার, লাইনের তার-সহ একাধিক উপাদান দিয়ে বড়সড় নাশকতার ছক বাঞ্চালের তথ্য উঠে এসেছে। ঠিক এই পরিস্থিতিকে কাটিয়ে বন্দে ভারত, বন্দে ভারত স্লিপার, কবচ ৫.০, হাই স্পিড ট্রেন, বুলেট, হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন-সহ আধুনিক ট্রেনের খবর প্রতিনিয়ত আসছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে সময় ও দূরত্বকে কমিয়ে রেলকে আরও অত্যাধুনিক এবং নিরাপদ যাত্রার পরিষেবা দিতে ভারত সরকার যে বদ্ধপরিকর, সেই বিষয়েও জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    Mahakumbh 2025: আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ, পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর এবার হচ্ছে মহাকুম্ভ। আগামী বছর প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে হবে মেলা। যেহেতু মহাকুম্ভের এই যোগ আসবে ফের ১৪৪ বছর পরে, তাই এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা করছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, তাই উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেলও (Indian Railways)। 

    মহাকুম্ভ স্নান শুরু (Mahakumbh 2025)

    প্রয়াগরাজ-সহ মোট ১০টি রেল স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছে রেল। রেলের আশা, এবার প্রায় ১০ কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে প্রয়াগরাজে পৌঁছবেন। প্রয়াগরাজ স্টেশনটি উত্তর-মধ্য রেলওয়ে অঞ্চলের আওতায়। মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) স্নান শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে এবং আপগ্রেড করতে ৯৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল (Indian Railways)।

    রেলের বিশেষ ব্যবস্থা

    জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ মেলা (Mahakumbh 2025) উপলক্ষে রেলমন্ত্রক এবার ৯৯২টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। এই ট্রেনগুলি প্রয়াগরাজ জংশন, সুবেদারগঞ্জ, নৈনি, চেয়োকি, প্রয়াগরাজ রামবাগ, ঝাঁসি, প্রয়াগরাজ সঙ্গম, প্রয়াগ এবং ফাফামাউ স্টেশন থেকে চলাচল করবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির পাশাপাশি ফেস রিকগনিশন (এফআর) ক্যামেরা বসাচ্ছে রেল (Indian Railways)। এই এফআর ক্যামেরাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সূত্রের খবর, প্রয়াগরাজের রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে প্রায় ৬৫০টি সিসিটিভি এবং ১০০টি ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসানো হবে (Mahakumbh 2025)।

    আঞ্চলিক রেলওয়ে (Indian Railways) স্টেশনগুলিতে বহু ভাষায় ঘোষণার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ তাঁদের নিজস্ব ভাষায় ট্রেন সংক্রান্ত তথ্যবলী সহজেই পেতে পারবেন। হিন্দি এবং ইংরেজির পাশাপাশি ১০টি আঞ্চলিক ভাষায় ঘোষণা করা হবে। এই ভাষাগুলি হল— গুজরাটি, মারাঠি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালাম, কন্নড়, বাংলা, অসমিয়া, ওড়িয়া এবং পঞ্জাবি।

    আরও পড়ুন: কুর্সি যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, জিতছে বিজেপি, ইঙ্গিত জনমত সমীক্ষায়

    যেহেতু এবার ব্যাপক ভিড় হবে মহাকুম্ভ মেলায়, তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য অতিরিক্ত ১৬০০-এরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন। এজন্য রেলওয়ে বোর্ড (Indian Railways) অন্য অঞ্চলগুলিকে বুকিং ক্লার্ক, বাণিজ্যিক-কাম-টিকিট ক্লার্ক, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শক এবং সহকারী বাণিজ্যিক ম্যানেজার-সহ অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছে। মহাকুম্ভ মেলার সময় অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই এই কর্মীদের চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি ১২ বছর অন্তর একবার করে হয় কুম্ভ। ১২টি কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এই কুম্ভ এবং মহাকুম্ভ হয় প্রয়াগরাজে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share