Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    Dedicated Railway Test Track: বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা! রাজস্থানে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম “ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক (Dedicated Railway Test Track) তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক। আগামী নতুন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন হবে এই ট্র্যাকের কাজ। রেলের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে এই ট্র্যাকের ওপর। ফলে ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    টেস্ট ট্র্যাকে একাধিক বাঁক (Dedicated Railway Test Track)

    মূলত রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্যই এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করা হয়। ট্র্যাকের কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বাঁক। এসব বাঁক রাখার অর্থ, গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের ওপর দিয়ে ট্রেন কীভাবে যায়, তা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে তার ওপর ঘণ্টা প্রতি ২৩০ কিলোমিটার বেগে চলে এমন ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হবে। রেল সূত্রে খবর, ৬০ কিমি দীর্ঘ এই ট্র্যাক কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সব চেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে। ট্র্যাকটি তৈরির প্রকল্প ব্যয় ৮২০ কোটি টাকা। ট্র্যাকটি তৈরি হবে দুটি পর্যায়ে। থাকবে অত্যাধুনিক সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

    কী কী রয়েছে ট্র্যাকে

    ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকে রয়েছে সাতটি বড় সেতু, ১২৯টি ছোট সেতু এবং চারটি স্টেশন। এই স্টেশনগুলি হল, গুঢ়া, জবদিনগর, নাওয়ান এবং মিঠাদি। প্রকল্পের আওতায় ২৭ কিমি রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরো কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চগতির রোলিং স্টক এবং অন্যান্য সামগ্রীর ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধাগুলোও এই প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গতি পরীক্ষা, স্থিতিশীলতা, সুরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ক্ষমতা, রোলিং স্টকের গুণমান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নির্দিষ্ট পরীক্ষা ট্র্যাকের উপাদান, সেতু, টিআরডি সরঞ্জাম, সিগন্যালিং যন্ত্রপাতি এবং ভূ-প্রযুক্তিগত স্টাডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ট্র্যাকের (Dedicated Railway Test Track) ওপর বিভিন্ন কাঠামো যেমন সেতু, আন্ডার ব্রিজ এবং ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “প্রকাশিত ‘সঙ্কল্পপত্র’ মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন”, বললেন শাহ

    নাওয়া স্টেশনে একটি দ্রুত পরীক্ষা লুপ ৩ কিলোমিটার এবং মিঠাদিতে একটি ২০ কিলোমিটারের বাঁকানো পরীক্ষা লুপ তৈরি করা হয়েছে। এই লুপগুলো বিভিন্ন ডিগ্রির বাঁকে তৈরি করা হয়েছে। খারাপ ট্র্যাকে ট্রেন কাঁপতে ও ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। যদি ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে সেই অবস্থায় ট্রেনের গতি কী হওয়া উচিত এবং তার প্রভাব কী হবে তা পরীক্ষা করা হবে (Dedicated Railway Test Track)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ‘সুপার অ্যাপ’ আনছে রেল, এক অ্যাপেই সব মুশকিল আসান, কী কী সুবিধা মিলবে?

    Indian Railways: ‘সুপার অ্যাপ’ আনছে রেল, এক অ্যাপেই সব মুশকিল আসান, কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের আমলে রেলে সব চেয়ে বেশি যে দিকটায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটা হল যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য। যাত্রীরা যাতে ভারতের ‘লাইফ লাইনে’ চড়ে আরামদায়ক সফর করতে পারেন, সেদিকেই নজর দিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এই যাত্রীদেরই সুবিধার্থে এবার নয়া একটি মোবাইল অ্যাপ আনছে তারা। রেল সূত্রে খবর, এই ডিসেম্বরেই রেলের যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারবেন এই ‘সুপার অ্যাপ’ (Super App)। এই একটা অ্যাপেই মিলবে ট্রেনের টিকিট বুকিং, প্ল্যাটফর্ম টিকিট, খাবার অর্ডার, ট্রেনের শিডিউল মনিটর ইত্যাদি যাবতীয় সুবিধা।

    আসছে সুপার অ্যাপ (Indian Railways)

    রেলের সুপার অ্যাপ তৈরি করেছে সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন। বর্তমানে নানা পরিষেবা দিতে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ রয়েছে রেলের। এক্সপ্রেস ট্রেনের বুকিং, ক্যান্সেল এবং মডিফিকেশনের কাজ হয় আরআরসিটিসি রেল কানেক্ট (Rail Connect) অ্যাপের মাধ্যমে। ট্রেনে সফর করার সময় খাবার অর্ডার দেওয়ার জন্য রয়েছে আইআরসিটিসি ই-কেটারিং ফুড অন ট্র্যাক অ্যাপ (IRCTC e-Catering Food on Track)। রেল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানাতে রয়েছে রেল মদত (Rail Madad) অ্যাপ। রেলের অসংরক্ষিত টিকিট মেলে ইউটিএস (UTS) অ্যাপের মাধ্যমে। ট্রেনের রানিং স্টেটাস জানা যায় ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়্যারি সিস্টেম অ্যাপের মাধ্যমে (Indian Railways)। এই সব পরিষেবাই এবার মিলবে একটি মাত্র অ্যাপে, রেল যার নাম দিয়েছে ‘সুপার অ্যাপ’।

    আরও পড়ুন: জয়ী হতে চলেছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস

    কী বলছে রেল

    রেলের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “সিআইআইএস এবং যাত্রীদের মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করবে আইআরসিটিসি। পরিকল্পিত সুপার অ্যাপ এবং আইআরসিটিসির মধ্যে ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে।” তিনি জানান, এই অ্যাপ চালু হলে রেলের বিভিন্ন পরিষেবা এক ছাতার তলায় চলে আসবে। বর্তমানে প্রচুর মানুষ রেলের অ্যাপগুলি ব্যবহার করেন। শুধু আইআরসিটিসি রেল কানেক্ট অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে ১০ কোটিরও বেশি। সুপার অ্যাপে যেহেতু আরও বেশি পরিষেবা মিলবে, তাই বাড়বে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। রেলের ওই কর্তা বলেন, “সুপার অ্যাপকে (Super App) নয়া রোজগারের রাস্তা হিসেবে দেখছে আইআরসিটিসি (Indian Railways)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: বড় ঘোষণা রেলের, দীপাবলি ও ছটপুজোর মরসুমে ছুটবে ৭ হাজার বিশেষ ট্রেন

    Indian Railways: বড় ঘোষণা রেলের, দীপাবলি ও ছটপুজোর মরসুমে ছুটবে ৭ হাজার বিশেষ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেল হল দেশের লাইফ লাইন (Indian Railways)। তীর্থস্থান ভ্রমণ, ঘুরতে যাওয়া কিংবা প্রতিদিনকার যাতায়াত-দেশের সবচেয়ে বড় অংশের মানুষ রেলের ওপরেই নির্ভরশীল। রেলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানও। বিশেষ উৎসবগুলিতে অতিরিক্ত ট্রেনও চালায় ভারতীয় রেল। দীপাবলি ও ছটপুজোর মরসুমে দেশবাসীর জন্য সুখবর দিল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই মরসুমে ৭ হাজার অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।

    গত বছরের তুলনায় ৪,৪২৯টি বেশি ট্রেন (Indian Railways) 

    প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী দীপাবলি ও ছট পুজো পালনের এই সময়ে বহু মানুষ কর্মক্ষেত্রে ছুটি পান। তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন। আবার উৎসব শেষ হয়ে গেলে তাঁদের কাজের স্থানে ফিরতে হয়। তাই অন্য সময়ের থেকে এই সময়ে ট্রেনের চাহিদাও ব্যাপক বাড়ে। সে কথা মাথায় রেখে, অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করল রেল (Special Train)। ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বৃহস্পতিবারই, এই বিশেষ ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, গত ১ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রেলের (Special Train) যাত্রী সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি। রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় ৪,৪২৯টি বেশি ট্রেন চালানো হবে এ বছরে। জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ষাট শতাংশ বেশি ট্রেন চলবে, যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে।

    দীপাবলির সময় প্রতিদিন ১৩৬টি করে অতিরিক্ত ট্রেন 

    প্রসঙ্গত, এই সময় মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার ভোটও রয়েছে। সেই ভোটের কথা মাথায় রেখেও বিশেষ ট্রেন (Indian Railways) চালানো হচ্ছে। রেলমন্ত্রী হিসেব দিয়ে জানিয়েছেন, দীপাবলির সময় প্রতিদিন ১৩৬টি করে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। আর এই অতিরিক্ত ট্রেনগুলি থামবে বেশ কিছু স্টেশনেও। এরজন্য থাকবে অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পানীয় জলের ব্যবস্থা। এছাড়া ছট পুজোর কারণে আগামী ২, ৩ ও ৪ নভেম্বর প্রতিদিন ১৪৫টি করে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Train Cancelled) জানিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। বুধবার শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা না হলেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কখন ছাড়বে শেষ ট্রেন

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার (Cyclone Dana) আশঙ্কা রয়েছে। ডিআরএম দীপক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার সমস্ত গন্তব্যের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই শাখায় বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল।’’ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদার উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদা থেকে। 

    শিয়ালদার কোন শাখায় কত ট্রেন বাতিল 

    ১) শিয়ালদা-ক্যানিং শাখা: ২৪টি ট্রেন বাতিল

    ২) সোনারপুর-ক্যানিং শাখা: ৭টি ট্রেন বাতিল

    ৩) শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা: ২৫টি ট্রেন বাতিল

    ৪) শিয়ালদা-বজবজ শাখা: ২৯টি ট্রেন বাতিল

    ৫) শিয়ালদা-সোনারপুর শাখা: ১১টি ট্রেন বাতিল

    ৬) সোনারপুর-বারুইপুর শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৭) শিয়ালদা-বারুইপুর শাখা: ১৬টি ট্রেন বাতিল

    ৮) শিয়ালদা-নৈহাটি শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৯) লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর শাখা: ৩টি ট্রেন বাতিল

    ১০) শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখা: ৩০টি ট্রেন বাতিল

    ১১) লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখা: ১৯টি ট্রেন বাতিল

    ১২) শিয়ালদা/বারাসত-হাসনাবাদ শাখা: ২০টি ট্রেন বাতিল

    ১৩) চক্ররেল: ২টি ট্রেন বাতিল

    হাওড়ার হালচাল

    যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিয়ালদা বিভাগে লোকাল ট্রেন চলাচলের (Train Cancelled) ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, আরও ট্রেন বাতিল করা হবে কিনা, পরিস্থিতি বিচার করে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুক্রবার ছ’ঘণ্টা (ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা) একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছ’ঘণ্টার মধ্যে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেগুলি যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। অর্থাৎ গ্যালোপিং ট্রেনও সব স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    কোন কোন ট্রেন বাতিল

    লোকাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্‌ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে। ‘দানা’র কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেলও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাতিল করা হয়েছে ১৭২টি ট্রেন। এ ছাড়াও ১২০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫২টি লোকাল ও মেমু ট্রেন বাতিল থাকছে এই সময়ের মধ্যে।

    হেল্পলাইন নম্বর

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Train Cancelled) তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১৩৬৬০, ০৩৩ ২৬৪০২২৪১, ০৩৩ ২৬৪০২২৪২, ০৩৩ ২৬৪১২৩২৩। শিয়ালদা ডিভিশন হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৩৫১৬৯৬৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে বড়সড় পরিবর্তন আনল রেল। ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সময় কমিয়ে দেওয়া হল। আর চারমাস নয়। এবার দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট বুকিং করা যাবে দু-মাস আগে। বুধবারই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল (Indian Railways) বোর্ড ও রেল মন্ত্রক। নতুন নিয়মে ১২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন আগে টিকিট কাটার ব্যবস্থা হলে অনেকেরই সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রেল।

    নতুন নিয়মে কী রয়েছে? (Indian Railways)

    এখনও পর্যন্ত যে নিয়ম রয়েছে তাতে ট্রেন ছাড়ার দিনটি বাদ দিয়ে ১২০ দিন আগে কোনও ট্রেনের টিকিট (Ticket) সংরক্ষণ শুরু হয়। এর ফলে অনেক আগে থেকে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলতে হয়। এ বার সেই অগ্রিম পরিকল্পনার মেয়াদ কমানোর সুবিধা করে দিচ্ছে রেল। এখন যদি কেউ ফেব্রুয়ারি মাসের টিকিট বিক্রি শুরুর দিনেই কাটতে চান, তবে যে দিন ট্রেন ছাড়বে সে দিন থেকে ১২০ দিন আগে কেটে নিতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম বদলে যাবে ১ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার রেলের (Indian Railways) তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১২০ দিন আগে টিকিট বুকিংয়ের যে নিয়ম লাগু ছিল পয়লা নভেম্বর থেকে তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে বেড়াতে যাওয়ার দু-মাস আগে দূরযাত্রার জন্য টিকিট কাটা যাবে। তবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ ১২০ দিন আগেই সংরক্ষিত আসনের জন্য টিকিট কাটা যাবে। রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টিকিট ক্যানসেল করার ক্ষেত্রেও এই ৬০ দিনের সময়সীমাই মানতে হবে। তবে তাজ এক্সপ্রেস, গোমতী এক্সপ্রেস-এই দুটি ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য মানতে হবে ১২০ দিনের সময়সীমাই। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকেরা এখনকার মতো ৩৬৫ দিন আগেই কোনও ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ

    রেলের (Indian Railways) এমন সিদ্ধান্তে খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, অনেক সময়ই চারমাস আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যায় না। কিন্তু শুধুমাত্র টিকিট কাটার জন্য তা করতে বাধ্য হতেন। কারণ, চারমাস সময়ের মধ্যে ভালো-মন্দ অনেক কিছু হতে পারে। অনেক সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে। এখন টিকিট কাটার সময় কমে দু-মাস হওয়ায় এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চক্রান্ত! গুজরাটে ফিসপ্লেট খুলে রাখা হল লাইনের ওপর

    Gujarat: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চক্রান্ত! গুজরাটে ফিসপ্লেট খুলে রাখা হল লাইনের ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক বার ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা। ফিস প্লেট খুলে তা লাইনের (Train Accident Averted) ওপর রেখে দেওয়ার অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) সুরাটের কিম রেল স্টেশনের কাছে। যদিও রেলকর্মীদের তৎপরতায় কোনওরকম অঘটন ঘটার আগেই ফিসপ্লেট লাইনের ওপর থেকে সরানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, শনিবার গুজরাটের (Gujarat) সুরাটের কাছেই অল্পের জন্য বড়সড় রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মেলে। পশ্চিম রেলওয়ের ভাদোদরা ডিভিশনের কাছে আপ রেললাইন থেকে খুলে নেওয়া হয়েছিল ফিসপ্লেট। কিম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রেল আধিকারিকদের নজরে আসে বিষয়টি। তড়িঘড়ি রেললাইন থেকে এগুলি সরানো হয়। ট্রেন আসার আগেই ফের ফিসপ্লেট জুড়ে দেওয়া হয় রেললাইনে, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। এই ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল এই লাইনে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমেরেও রেললাইনে এক কিলোমিটারের ব্যবধানে দুটি সিমেন্ট ব্লক পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশের সহায়তায় ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড সিমেন্টের ব্লক সরিয়ে কোনওমতে দুর্ঘটনা এড়ায়। প্রতিবারই কি দুর্ঘটনা ঘটছে নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বড় ষড়যন্ত্র? ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে কলকাঠি নাড়ার তত্ত্বই জোরাল হল আরও। এবার রেললাইনের ওপরে মিলল সন্দেহজনক বস্তু। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফিসপ্লেটও। দ্রুতগতিতে আসা ট্রেন যাতে রেললাইন থেকে ছিটকে যায়, তার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    পশ্চিম রেলের বরোদা শাখা জানিয়েছে, কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী রেলের আপ লাইনের ফিসপ্লেট (Gujarat) খুলে সেটিকে লাইনের ওপর রেখে দিয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরই রেলকর্মীরা দ্রুত পদক্ষেপ করেন। লাইনের ওপর থেকে সেটি সরিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।

    অগাস্টে ১৫ বার লাইনচ্যুত করার চেষ্টা!

    কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে কালিন্দী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রেল লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল একটি গ্যাস সিলিন্ডার। কিছুটা দূরেই পাওয়া গিয়েছিল এক বোতল পেট্রল ও দেশলাই বাক্স। রেলের তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু অগাস্টেই ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনবার চেষ্টা করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে সব রাজ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানা। তবে, উত্তরপ্রদেশে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় ভারতীয় রেল। প্রায় ২০ হাজার ট্রেনে অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তথা “কবচ” বসানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। আনা হচ্ছে ‘কবচ ৪.০’। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার ট্রেনে ‘কবচ ৪.০’ বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণও করেছে রেলমন্ত্রক। বুধবার এই বিষয় নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কবচ ৪.০-তে রয়েছে ‘টেম্পোরারি স্পিড রেস্ট্রিকশন’, উন্নত ব্রেকিং কার্ভ এবং লোকেশন প্রিসিশনের মতো অতিরিক্ত ফিচার। 

    রেলমন্ত্রীর ঘোষণা

    ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মধ্য রেলের ১ হাজার ৪৬৫টি রুটের ১৪৪টি রেকে এই ‘কবচ’ চালু করা হয়েছে। দিল্লি-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই সেকশনে অটোমেটিক সিগন্যাল সেকশনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, আপাতত দু’টি ব্যস্ততম রুটে এই ‘কবচ’ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি- দিল্লি-মুম্বই এবং অন্যটি দিল্লি-হাওড়া। এই প্রক্রিয়া এই অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।নতুন এই কবচের নাম রাখা হয়েছে ‘কবচ ৪.০’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ধীরে ধীরে প্রতিটি সেকশনেই কবচ ৪.০ আনা হবে। ভারতের প্রাণ রেলওয়ে তাই মরুভূমি থেকে জঙ্গল প্রতিটি রেললাইনেই এই অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা আনতে চলেছে ভারতীয় রেল।

    কী ভাবনা রেলের

    দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে কবচ বসানোর কাজ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে, বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার কবচের কাজ চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল বা সোনালী চতুর্ভুজে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ হয়। ১০ হাজার ইঞ্জিনে কবচ বসানো ছাড়াও সারা দেশে ৮,০০০ রেল স্টেশন লিডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, একটি রিমোট সেন্সিং পদ্ধতি যা পৃথিবীতে রেঞ্জ পরিমাপ করতে স্পন্দিত লেজারের আকারে আলো ব্যবহার করে) এবং ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ করা হবে। এর পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একযোগে সমস্ত স্টেশনে কবচ ডেটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার যে কোনও আপোস করবে না, বুধবার সংসদে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানালেন, দেশে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার রুটে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম (Automatic Train Protection System) কবচ (Kavach) বসানো হয়েছে। এই কবচ বসানো হয়েছে ১৪৪টি লোকোমোটিভেও।

    ‘কবচ’ বসাতে ব্যয় (Kavach)

    সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়েতে বসানো হয়েছে এই কবচ। মন্ত্রী জানান, কবচ সিস্টেম বসাতে গিয়ে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২১৬.৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ১১২.৫৭ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানান, ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ক্যাপিটেল এক্সপেনডিচার হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে। সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কবচ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে। কবচ ৪.০-এর উন্নত সংস্করণ অনুমোদন পেয়েছে। দ্রুত তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

    ‘কবচ’ কী?

    প্রশ্ন হল, কবচ কী? কবচ হল একাধিক ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানোর উচ্চ প্রযুক্তি। ট্রেনের গতি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার সময় বিপদ বুঝলে এই প্রযুক্তি লোকোপাইলটকে সতর্ক করে দেবে। লোকোপাইলট যদি ব্রেক কষতে ব্যর্থ হন, তবে কবচই করে দেবে সেই কাজ। যার জেরে ট্রেন যাবে দাঁড়িয়ে। এড়ানো যাবে সংঘর্ষ। প্রাণ বাঁচবে যাত্রীদের। যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কবচই এখনও পর্যন্ত উচ্চস্তরীয় নিরাপত্তা দেয় বলে শংসাপত্র দিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট সেফটি অ্যাসেসর।

    আরও পড়ুন: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মন্ত্রী জানান, দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া করিডরে চলছে কবচ (Kavach) সম্পর্কিত কাজ। এই দুই রুটে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজও চলছে। ইতিমধ্যেই এই ফাইবার বসানো হয়েছে ৪ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার রেলপথে। ইনস্টল করা হয়েছে ৩৬৪টি টেলিকম রওয়ার। ২৮৫ ইউনিট কবচ যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্টেশনে (Automatic Train Protection System)। কবচ ট্র্যাকসাইড ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টল করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৪ কিলোমিটার রুটে (Kavach)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dibrugarh Express: দুর্ঘটনার আগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের চালক! তদন্তে রেল

    Dibrugarh Express: দুর্ঘটনার আগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের চালক! তদন্তে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের (Dibrugarh Express) একজন চালক দাবি করেছেন যে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার আগে তিনি জোরালো বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রেল। গোটা ঘটনায় অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল। উত্তরপ্রদেশের গোন্ডাতে বৃহস্পতিবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পরে এমন দাবি করেন রেলের এক চালক। রেলের (Indian Railway) তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালকের এই বিবৃতি স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে।

    ২ জন চালকই সুরক্ষিত (Dibrugarh Express)

    প্রসঙ্গত, আটটি বগি চন্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের (Dibrugarh Express) লাইনচ্যুত হয় মতিগঞ্জ ঝিলাই রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায় এই দুর্ঘটনায় চারজন মানুষ মারা গেছেন এবং কুড়ি জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে দুজন চালকই সুরক্ষিত রয়েছেন আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। একজন চালক যাঁর নাম হল ত্রিভুবন তিনি দাবি করেছেন যে লাইনচ্যুত হওয়ার আগে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনেছেন তিনি। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। রেলমন্ত্রী (Indian Railway) ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা এবং গুরুতর জখমদের আড়াই লাখ টাকা, কম জখমদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও ঘোষণা করেছে রেল গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য।

    দুর্ঘটনার পরেই ৪০ জন সদস্যের চিকিৎসকের একটি দল হাজির হন ঘটনাস্থলে

    প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পরেই ৪০ জন সদস্যের (Dibrugarh Express) চিকিৎসকের একটি দল এবং ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স তৎক্ষণাৎ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সেখানে হাজির হন রেলের (Indian Railway) উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। দুর্ঘটনার স্থলটি লক্ষ্ণৌ থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনা সকাল থেকেই নজরে রেখেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন বলেও খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ (Balurghat) সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জুলাই মাসের মধ্যেই রেল দফতরের হাতে এক-তৃতীয়াংশ জমি হস্তান্তর করার প্রশাসনিক দাবি থাকলেও, বাস্তবে কিন্তু ঘটেছে অন্যরকম। ৭০ শতাংশ জমিদাতাই এখনও টাকা পাননি। শুধু তাই নয়, কত টাকা পাওয়া যাবে, ওই টাকা কবে ঢুকবে বা কবে জমি তাঁদের ছাড়তে হবে ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন জমিদাতারা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এই কাজে গতি আনার দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সুকান্তবাবু বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসনের। জমিদাতাদের বিঘা প্রতি কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বা কত টাকা তাঁরা পাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তাঁদের জানানো উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে, তাই জেলা প্রশাসনকে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) কাজে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

    সমস্যায় ১০০টি পরিবার (Balurghat)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বালুরঘাট পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফায় বালুরঘাট ব্লকের যে সমস্ত এলাকার জমি রেল দফতরকে জুলাই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে প্রশাসনের, সেই সব এলাকার জমিদাতাদের অধিকাংশই এখনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইন আত্রেয়ী নদী পেরিয়ে বালুরঘাট শহরে ঢুকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ঢুকবে হিলি ব্লকে।

    বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রামাঞ্চলের যে দিকে রেল লাইন যাবে, সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই এখনও তাঁদের জমির প্রাপ্য টাকা পাননি। অথচ জেলা প্রশাসন দাবি করছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ জমি তুলে দেওয়া হবে রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এবং দুর্গাপুজোর মধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমিদাতারা। তাঁদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে। এই সুযোগে এলাকায় জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা যে হিসেবে টাকা দেওয়া হবে, সেই টাকা দিয়ে আদৌ জমি কিনে বাড়ি করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান জমিদাতারা। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, জমি দান করতে সম্মতি জানালেও কত দাম দেওয়া হবে জমির জন্য, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। বারবার জেলা প্রশাসনিক দফতরে গিয়েও তাঁরা জানতে পারেননি, কত টাকা পেতে পারেন বা কবে ঢুকবে টাকা। সেই কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ১০০টি পরিবার।

    কী বলছেন জমিদাতারা?

    জমিদাতা লোকনাথ হালদার বলেন, বছরখানেক আগেই কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে জমা করে দিয়েছি। এখন আমাদের অন্যত্র জমি কিনে নেওয়ার কথা। কিন্তু কত টাকা পাব বা কবে টাকা পাব, এই ব্যাপারে কিছুই জানতে পারছি না। এদিকে জমিও (Balurghat) কিনতে পারছি না, জমির দামও বেড়ে যাচ্ছে।

    কী জানাল জেলা প্রশাসন?

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমিদাতাদের (Balurghat) টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। পুজোর আগে এই প্রকল্পের জন্য সমস্ত জমিই রেলকে হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    সক্রিয় হওয়ার আর্জি সুকান্তর (Balurghat)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের কাজ হল জমি অধিগ্রহণ করা। তাদের উচিত, জমিদাতাদের সঠিক তথ্য জানানো, তাঁরা প্রতি বিঘার উপর কত করে দাম পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণের জন্য। জেলা প্রশাসনের সক্রিয় হওয়া উচিত (Land Acquisition)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share