Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুবিধার্থে এবার এক দারুন উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে আর ট্রেনে নিজের সংরক্ষিত সিটে (Reservation Seat) বসা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। সম্প্রতি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে একেবারে টিটিই(TTE) এসে ওই সিট খালি করে দেবেন। কেবল আপনাকে একটি মেসেজ করতে হবে। মেসেজে কীভাবে করতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    কী জানিয়েছে রেল? (Indian Railways)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে (Reservation Seat) অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে মেসেজে ইংরেজি বড় অক্ষরে কেবল SEAT লিখুন। কিছুটা স্পেস দিয়ে PNR নম্বর, স্পেস কোচ নম্বর, সিট নম্বর এবং তারপর OCCUPIED BY UNKNPWN PASSENGER লিখে পাঠিয়ে দিন ১৩৯ নম্বরে। ১৩৯ নম্বরে মেসেজ পাঠানোর পরই টিই নিজে আসবেন এবং আপনার সিট খালি করে দেবেন। এরপর আপনি আপনার সিটে বসে স্বচ্ছন্দে যেতে পারবেন। এছাড়া ট্রেনে অন্য কোনও সমস্যা বা সাহায্যের প্রয়োজন হলেও এই নম্বরে মেসেজ করে জানাতে পারেন বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। 
    তবে কেবল মেসেজ নয়, ১৩৯ নম্বরে ফোনও করেও ট্রেন সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য, পিএনআর স্টেটাস এবং টিকিট মিলছে কি না, তাও জানা যাবে। এছাড়া ট্রেন কোন স্টেশনে রয়েছে, কখন কোন স্টেশনে ঢুকবে, পিএনআর নম্বর দিয়ে সেটাও জানা যাবে। এমনকি রিজার্ভেশন সম্পর্কিত তথ্যও পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    মাঝেমধ্যেই রেলের (Indian Railways) যাত্রীদের একাংশ অভিযোগ করেন যে তাঁদের রিজার্ভ করা সিটে অন্য কোনও ব্যক্তি জবরদখল করে বসে রয়েছেন। সেই যাত্রীকে সেখান থেকে তুলতে গিয়ে গন্ডগোল, হাতাহাতি-মারামারিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ার খবর মেলে। কনফার্ম টিকিট (Reservation Seat) থাকা সত্বেও প্রায়শই এই প্রকট সমস্যার সম্মুখীন হন একটি বড় অংশের যাত্রী। তাই এবার যাত্রী সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: রেলে প্রচুর নিয়োগ, অতিরিক্ত ১৩ হাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদের বিজ্ঞপ্তি

    Indian Railways: রেলে প্রচুর নিয়োগ, অতিরিক্ত ১৩ হাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদের বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই কর্মসংস্থানে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ হাজার অতিরিক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদে নিয়োগ করবে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেলের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। মঙ্গলবার ভারতীয় রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়, যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সহকারি ট্রেন চালক (রেলের পরিভাষায় লোকো পাইলট) নিয়োগের সংখ্যা তিনগুণ বাড়ানো হবে। রেলওয়ে বোর্ডের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে সহকারি ট্রেন চালক পদে নিয়োগ করা হবে ১৮ হাজার ৭৯৯ জনকে।

    বিপুল নিয়োগের সিদ্ধান্ত (Indian Railways)

    অবসর নেওয়ায় কমছিল ট্রেন (Indian Railways) চালক ও সহকারি ট্রেন চালকের সংখ্যা। তাই কর্মরত চালক ও সহকারি চালকদের ওপর বাড়ছিল কাজের চাপ। চালকদের ২১ শতাংশ ও সহকারি চালকদের ৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে বলে অভিযোগ রেলের বিভিন্ন সংগঠনের। তাই শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানাচ্ছিল তারা। চালক ও সহকারি চালকদের যাতে কাজের চাপ কমে, তাই প্রায় উনিশ হাজার পদে সহকারি চালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

    বাড়ানো হল তিনগুণ

    রেল সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক ছিল সহকারি চালক পদে নিয়োগ করা হবে ৫ হাজার ৬৯৬ জনকে। পরে যাত্রী সুরক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়টির কথা মাথায় রেখে ঠিক হয় নিয়োগ করা হবে ১৮ হাজার ৭৯৯ জনকে। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জোনকে শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, শূন্য পদ পূরণে অন্তত ছ’মাস সময় লাগবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর হবে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা, অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা। তার পরে হবে প্রশিক্ষণ পর্ব। প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে হবে লাগানো হবে কাজে।

    আর পড়ুন: হরিয়ানা কংগ্রেসে ‘রাম’ধাক্কা, বিজেপিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ, নাতনি

    সহকারি চালক পদে নিয়োগের খবরে খুশির হাওয়া লোকো পাইলট মহলে। অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভি বালাচন্দ্রন বলেন, “রেলওয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের কাজের চাপ কমবে (Indian Railways)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Indian Railway: পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? বিরাট উদ্যোগ রেলের, টিকিট কাটার আগে অবশ্যই জানুন

    Indian Railway: পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? বিরাট উদ্যোগ রেলের, টিকিট কাটার আগে অবশ্যই জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের কথা মাথায় রেখে এবার নয়া উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দুর্গা পুজোর লম্বা ছুটি। আর এই লম্বা ছুটিতে বেড়াতে বেড়োয় না এমন বাঙালি খুব কমই আছে। তাই পুজোর মাসে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আগাম ট্রেনের টিকিট কাটতে লাইন পরে যায় জুন জুলাই থেকেই। তাই পুজোর মাসের টিকিট বুকিং (Ticket Booking For Puja) শুরু হতে না হতেই হট কেকের মতো বিকিয়ে যায় টিকিট। প্রায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কাউন্টারে। অনলাইন বুকিংয়েও থাকে প্রচণ্ড চাপ। তাই যাত্রী সুবিধার্থে এবার বিশেষ ব্যবস্থা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।  

    ঠিক কী জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ? (Indian Railway)

    এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পুজোর জন্য এবার থেকে রবিবারেও খোলা থাকবে সংরক্ষিত টিকিটের কাউন্টার। শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনে রবিবার সকালের শিফটে খোলা থাকবে রিজার্ভেশন অফিস। ফলে যাঁরা সপ্তাহে কাজের দিনগুলিতে টিকিট বুক (Ticket Booking For Puja) করতে যেতে পারেন না, তাঁরা ছুটির দিনে নিজেদের সময় সুযোগ মত ভিড় এড়িয়ে কাটতে পারবেন অগ্রিম টিকিট। 
    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা ডিভিশনের কোন কোন স্টেশনে রিজার্ভেশন অফিস খোলা থাকবে সেই তালিকাও দেওয়া হয়েছে রেলের (Indian Railway) তরফে। সেই তালিকায় আছে, শিয়ালদহ, কলকাতা, বিধাননগর রোড, দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট। এছাড়াও রয়েছে দক্ষিনেশ্বর, বেলঘড়িয়া, সোদপুর, টিটাগড়, ব্যারাকপুর, শ্যামনগর, কাঁকিনাড়া , নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, কল্যাণী, রানাঘাট, মাজদিয়া, বগুলা, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সিটি, বেথুয়াডহরি, দেবগ্রাম, পলাশি, বেলডাঙা, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ। অন্যদিকে  লালগোলা, লক্ষ্মীকান্তপুর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, বারাসাত, হাবরা, ঠাকুরনগর, বনগাঁ, বসিরহাট, হাসনাবাদ, যাদবপুর, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ , সোনারপুর, বজবজ , মাঝেরহাট এবং ক্যানিং ও রয়েছে সেই তালিকায়।

    আরও পড়ুন: টানা তিনবার অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ বিজেপির পেমা খান্ডুর, উপমুখ্যমন্ত্রী কে?

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    আসলে পুজো যত এগিয়ে আসে ততই ভিড় বাড়তে থাকে টিকিটের লাইনে। তাই সেই চাপ সামাল দিতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন রেল কর্তারা। তাই পুজোর অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে রবিবারও বিশ্রাম নেবেন না রেলওয়ের (Indian Railway) কাউন্টারে বসা কর্মীরা। জানা গিয়েছে, পুজোর অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে ১৬ জুন, ২৩ জুন, ৩০ জুন, ৭ জুলাই ও ১৪ জুলাই  শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগের রিজার্ভেশন অফিসগুলি (পিআরএস এবং এসআরও উভয়ই) খোলা থাকছে রবিবারও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amrit Bharat Express: ৭০০টি অমৃত ভারত রেল ইঞ্জিনের মধ্যে ১০০টি তৈরি হবে চিত্তরঞ্জনে

    Amrit Bharat Express: ৭০০টি অমৃত ভারত রেল ইঞ্জিনের মধ্যে ১০০টি তৈরি হবে চিত্তরঞ্জনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ভারতের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতীয় রেলেরও নবজাগরণ হয়েছে। রেল ব্যবস্থায় অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের থেকে পিছিয়ে নেই ভারত। ইতিমধ্যে বন্দে ভারত, অমৃত ভারত-এর মতো বহু ট্রেন পেয়েছে দেশ। এর সঙ্গেই চলছে আগামী দিনের প্রস্তুতি, কীভাবে এই রেল ব্যবস্থাকে আরও বিশ্বমানের করা যায়, তারই চিন্তাভাবনা এবং পরিকল্পনা। তার জন্য বর্তমানে আমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করেছে ভারতের বহু রেল স্টেশন। তাছাড়াও জোর দেওয়া হয়েছে ভারতে ভবিষ্যতে কীভাবে আরও হাই স্পিড ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে, তার ওপর। আর এই উদ্দেশ্যেই এবার বেছে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাক। এবার এখান থেকেই তৈরি হবে অমৃত ভারত ট্রেনের হাই স্পিড ইঞ্জিন (Amrit Bharat Express)। আর তারই বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে এই রেল ইঞ্জিন কারখানাকে। জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষেই বরাত পাওয়া ইঞ্জিনগুলি তৈরি করে রেল মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শ্রমিক সংগঠনগুলি এই বরাত পাওয়াতে খুবই গর্ববোধ করেছেন। আর এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নতুন শ্রমিক নিয়োগের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    কতগুলি অমৃত ভারত ইঞ্জিন তৈরি হবে? (Amrit Bharat Express)

    অনেকদিন ধরেই মানুষের দাবি ছিল, বন্দে ভারতের মতো আরও এক ট্রেনের, যাতে সমস্ত শ্রেণির মানুষ উঠতে পারবে, আবার বন্দে ভারতের মতো উচ্চ গতিও উপভোগ করবে। সেই লক্ষ্যেই রেল মন্ত্রকের সহায়তায় অমৃত ভারত ট্রেন চালু করা হয়, যা বন্দে ভারতের থেকে কম স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত, কিন্তু বন্দে ভারতের মতোই উচ্চগতি সম্পন্ন। বর্তমানে এই অমৃত ভারতের মতো ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ইঞ্জিন তৈরির বরাত (Amrit Bharat Express) ভারতের অন্যতম বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন কারখানা চিত্তরঞ্জনকে দেওয়া হয়েছে। এই কারখানার সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার প্রমোদ ক্ষেত্রী বলেন, “আমরা এই ধরনের ইঞ্জিন মোট ১০০টির বরাত পেয়েছি। ইতিমধ্যেই এই ইঞ্জিন তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ইঞ্জিন তৈরিতে যে ধরনের কারিগরি কৌশল ব্যবহার করা হয়, ঠিক সেই অনুযায়ী তৈরি হবে।

    অন্যান্য ইঞ্জিনের থেকে অনেকাংশেই আলাদা (Amrit Bharat Express) 

    অন্যান্য সাধারণ ইঞ্জিনের থেকে অনেকাংশেই আলাদা এই অমৃত ভারত ইঞ্জিন। রেল ইঞ্জিন কারখানার ইঞ্জিনিয়ারদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে এই ইঞ্জিন প্রায় দশ হাজার অশ্বশক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন। ট্রেনের সামনে এবং পিছনে দুই দিকেই এই ইঞ্জিন থাকবে। এই দুটি ইঞ্জিনকে (Amrit Bharat Express) একজন চালকই এক সঙ্গে একই সময়ে পরিচালনা করতে পারবেন। এই ইঞ্জিনগুলি যেমন দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে, ঠিক তেমনভাবে দ্রুত থামতেও সক্ষম। রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৭০০টি অমৃত ভারত রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হবে। তার মধ্যে ১০০ টি তৈরি করবে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IST Story: গোটা দেশে সময় একটাই! আইএসটি নির্ধারণে রেল ও সর্দার প্যাটেলের ভূমিকা জানেন?

    IST Story: গোটা দেশে সময় একটাই! আইএসটি নির্ধারণে রেল ও সর্দার প্যাটেলের ভূমিকা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা ভারতে এখন ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম (IST Story) মেনে সময় নির্ধারণ করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে ভারতে আইএসটি চালু করা হয়েছিল। এতে ঠিক হয়েছিল যে ভারত যে আইএসটি (Indian Standard Time) বলে টাইম জোন মেনে চলবে তা গ্রিনিচ মিন টাইম-এর থেকে ৫.৩০ঘণ্টা এগিয়ে থাকবে। মানে গ্রিনিচ মিন টাইম-এ কোথাও সকাল ৬টা বাজলে ভারতে তখন সময় হবে ১১.৩০টা। ভারতের সমস্ত প্রদেশকে এ বিষয়ে এক ছাতার তলায় এনেছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। এক্ষেত্রে ভারতীয় রেলওয়েরও একটা ভূমিকা ছিল।

    প্রাচীন ভারতে সময় নির্ধারণ

    কমন এরার চার শতকে অবশ্য ভারতে সময় গোনার পদ্ধতি একটু অন্যরকম ছিল। সূর্য সিদ্ধান্তে বর্ণিত স্ট্যানডার্ড টাইম (IST Story) মেনে এই সময় গোনা হত। অবন্তি তথা উজ্জয়ন-এর উপর দিয়ে আদ্য দ্রাঘিমা গিয়েছে বলে সূর্য সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল। ২৩ডিগ্রি ১১ ইঞ্চি উত্তর ও ৭৫ডিগ্রি ৪৫ ইঞ্চি পূর্ব দিয়ে উজ্জয়নের উপর দিয়ে এই আদ্য দ্রাঘিমা গিয়েছে বলে বর্ণিত করা হয়েছিল এই গ্রন্থে। আবার রোহিতাকা, যার আধুনা নাম রোহতক-এও ২৮ ডিগ্রি ৫৪ ইঞ্চি উত্তর, ৭৬ডিগ্রি ৩৮ ইঞ্চি পূর্ব দিয়ে আদ্য দ্রাঘিমা যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল সূর্য সিদ্ধান্তে। এমনকী এই গ্রন্থে এটাও উল্লেখ করা হয় যে রোহিতাকা ও অবন্তি বিষুবরেখা ও উত্তর মেরুর লাইন বরাবর স্থাপিত।প্রাচীন ভারতে এই সূর্য সিদ্ধান্ত মতে উজ্জয়নের আদ্য দ্রাঘিমা রেখায় সূর্যোদয় দেখে প্রাথমিকভাবে সময় গোনা হত। এরপর এই সময়কে গণিতিক আকারে ভেঙে ছোট ছোট সময়-এ ভাগ করা হত। তবে, সময় গণনাকে তখনকার দিনে শুধুমাত্র জ্যোতিষশাস্ত্রেই ব্যবহার করা হত।  সে সময় বিভিন্ন রাজ্য়গুলি হিন্দু ক্যালেন্ডার মেনে নিজস্ব স্থানীয় সময় নির্ধারণ করত। 

    আধুনিক ভারতে সময় নির্ধারণ

    ১৭৩৩ সালে জয়পুরে যন্তর-মন্তর তৈরি করেছিলেন মহারাজা সোয়াই জয় সিং। যিনি সময় গণনার জন্য যন্তর-মন্তরে বড় ডায়ালের ঘড়িও লাগিয়েছিলেন। ১৭৯২ সালে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি চেন্নাই-এ মাদ্রাজ অবজারভেটরি তৈরি করে। এরপর ১৮০২ সালে জ্যোতিষবিদ জন গোল্ডিনংহাম চেন্নাই লংঙ্গিটুড গঠন করেন। যা গ্রিনিচ মিন টাইমের থেকে ৫ ঘণ্টা এগিয়ে ছিল।

    সময় নির্ধারণে ভারতীয় রেলের ভূমিকা

    ১৮৫০ সালে ভারতীয় রেলের জন্মের আগে পর্যন্ত দেশের ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন টাইম জোন কাজ চালিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু রেলের জন্ম হতেই দেশজুড়ে একই সময় গণনার দাবি উঠল। এক দেশ এক টাইমের দাবিতে সওয়াল হতে শুরু করেছিল। সমস্যা সমাধানে রেল এক অভূতপূর্ব ব্যবস্থার আমদানি করল। ১৯ শতকে রেল টাইম সিগন্যালের মাধ্য়মে বিভিন্ন রেলস্টেশনকে সূচনা দিতে থাকল সেখানকার স্থানীয় সময় অনুসারে কখন ট্রেন পৌঁছবে।

    টাইম জোনের সূচনা

    টাইম-জোন-এর গণনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ১৮৮৪ সালে। এর ফলে ভারতে টাইম জোনের আবির্ভাব ঘটেছিল, একটি কলকাতা ও অন্যটি মুম্বই। কলকাতার টাইমজোন গ্রিনিচ মিন টাইমের থেকে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ও ২১ সেকেন্ড এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে মুম্বই টাইম জোন গ্রিনিচ মিন টাইমের থেকে ৪ ঘণ্টা ৫১ মিনিট এগিয়ে ছিল। ১৮৮৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসি-তে আন্তর্জাতিক মেরিডিয়ান কনফারেন্সে ইউনিফর্ম টাইম জোনস গঠনের দাবি ওঠে। ১৯০৫ সালে ভারতের ব্রিটিশ সরকার স্ট্যান্ডাডাইজড টাইম জোনের নীতি গ্রহণ করে। এর জেরে এলাহাবাদকে এই নীতির আওতায় আনা হয়। কারণ, দেশের অন্যান্য জায়গার থেকে দ্রাঘিমার রেখার কাছে এর সর্বনিকট অবস্থান। ১৯০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এলাহাবাদে কাজ শুরু করে।

    ভারতীয় মান সময় নির্ধারণ

    শেষমেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদের সময় গণনাকে আইএসটির (Indian Standard Time) মর্যাদা দেওয়া হয়। এবং তখন থেকে ভারত জুড়ে এই আইএসটি (IST Story) প্রয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। চেন্নাই থেকে সেন্ট্রাল অবজারভেটরি সেন্টারকে এলাহাবাদের মিরজাপুরে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। আইএসটি মূলত নির্ধারণ হয় এলাহাবাদের মীরজাপুরের ক্লক টাওয়ার থেকে ৮২.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ভিত্তিতে। এই মীরজাপুর ভারতে দ্রাঘিমা রেখার সবচেয়ে কাছাকাছি এলাকা। সেই কারণে ক্লক টাওয়ারকে এখানেই প্রতিস্থাপন করা হয়। 

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা 

    কিন্তু স্বাধীনতার পরও প্রথমে কলকাতা এবং বোম্বে প্রেসিডেন্সিগুলি তাদের নিজস্ব সময় ধরে রেখেছিল। তারা ভারতীয় মান সময় মানতে চায়নি। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ ও বোম্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সময়ের সাপেক্ষে জাতীয় মান অনুসরণ করার জন্য বল্লভভাই প্যাটেলের জোরাজুরির প্রয়োজন ছিল। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলই তখন রাজ্যগুলিকে বোঝায়। তাঁর বুদ্ধি ও যুক্তি গ্রহণ করে কলকাতা ও মুম্বই। তাই শুধু রাজ্যগুলিকে ভারতীয় ইউনিয়নে একীভূত করার জন্য নয়, বাংলা ও বোম্বের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ভারতীয় প্রমাণ সময় মেনে নেওয়ার জন্যও প্যাটেলের কৃতিত্ব রয়েছে।

    আরও পড়ুন: গুজরাটই ছিল তাঁর আদি বাড়ি, জানেন বিশ্বের একমাত্র হিন্দু শেখ কনকসি খিমজির গল্প?

    দেবাশীষ দাস তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন , ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইমের (IST Story) ভূমিকা : একটি ঐতিহাসিক সমীক্ষা , “১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে, স্বাধীনতার ঠিক আগে, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে বাংলার সময়কে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি অনুরোধ করা হয়েছিল: যখন একটি কঠোর পরিবর্তন সারা ভারতে, বিশেষ করে বাংলায় তৈরি করা হচ্ছে, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা উপেক্ষা করা হচ্ছে, অর্থাৎ, বেঙ্গল টাইম যা ভারতীয় মান সময়ের থেকে এক ঘন্টা এগিয়ে এবং শুধুমাত্র বাংলায় অনুসরণ করা হয় যা দেশের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর। নাগরিকেরা… আমরা বাঙালিরা এক সময় দাঁড়াতে চাই, অর্থাৎ ভারতীয় মান সময় অন্য সব প্রদেশে অনুসরণ করে।” বোম্বে সম্পর্কেও অনুরূপ অনুরোধ করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র দফতর পরামর্শ দিয়েছিল যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি বিবেচনা করতে পারে। এরপরই কলকাতা তথা বাংলায় ৩১ অগাস্ট বা ১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালের মধ্যরাত থেকে আইএসটি (Indian Standard Time) গ্রহণ করে। এর প্রায় আড়াই বছর পরে বোম্বে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ মার্চ ১৯৫০ আইএসটি গ্রহণ করে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: বন্দে ভারতে ভূরিভোজ! উত্তরবঙ্গ রুটে মিলবে সর্ষে মাছ থেকে বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষা

    Vande Bharat Express: বন্দে ভারতে ভূরিভোজ! উত্তরবঙ্গ রুটে মিলবে সর্ষে মাছ থেকে বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ রুটের বন্দে ভারতে (Vande Bharat Express) চড়লেই মিলবে দারুণ সব বাঙালি খাবার। পাত পেড়ে যাত্রীরা খেতে পাবেন সর্ষে মাছ থেকে বাসন্তী পোলাও চিকেন কষা । ট্রেনে কবজি ডুবিয়ে রসনা মেটাতে পারবেন বাঙালি পর্যটকরা। আর কোনও হোটেলে যেতে হবে না! এবার বন্দে ভারতেই মিলবে হরেক রকমের বাঙালি খাবার। এমনই ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-এ মিলবে এই সমস্ত খাবার।

    বাংলার সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার থাকবে যাত্রীদের পাতে 

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পদগুলিকে ইতিমধ্যেই রাখা হয়েছে মেনুতে। যেমন ব্রেকফাস্টে বাঙালি ভ্রমণকারীরা (Vande Bharat Express) ব্রেড অমলেট-এর বদলে পাবেন ত্রিকোণ পরোটা, ছোলার ডাল, আটার রুটি প্রভৃতি। লাঞ্চ অথবা ডিনারের সময় যাত্রীদের দেওয়া হবে বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই, ধোকা অথবা ছানার ডালনা। দুপুরের মেনুতে থাকবে সোনামুগের ডাল তার সঙ্গে মাছের ঝোল, সরষে মাছ, মিষ্টি দই, সন্দেশ, ক্ষীর কদম্ব ইত্যাদি। পাহাড় ঘুরতে গেলে চেনা ভাত রুটির বাইরেও বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষার স্বাদ নিতে পারবেন যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতে সাধুদের অপমান করছেন মমতা, তোপ মোদির

    রেলযাত্রীদের সফরকে স্মরণীয় করে তুলতেই এমন উদ্যোগ 

    প্রসঙ্গত, হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) এক্সপ্রেস অত্যন্ত উচ্চগতিতে চলে, অন্যান্য বন্দ্যে ভারতের মতোই। এতে রয়েছে বিলাসবহুল সুযোগ সুবিধা এবং বিশ্বমানের সমস্ত কিছু ব্যবস্থা। রেল যাত্রীদের জন্য রেল যাত্রার অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে ভারতীয় রেলের তরফে এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মোদি সরকারের আমলেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) ট্রেন চালু হয় এবং তা মেক-ইন-ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমেই সারা দেশে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ‘দশ বছরে ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হয়েছে’, দাবি রেলমন্ত্রীর

    Indian Railways: ‘দশ বছরে ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলপথ তৈরি হয়েছে’, দাবি রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাট মাত্র দশ বছরের। তার মধ্যেই দেশের ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। অঙ্কের হিসেবে দেখলে, মোদি জমানায় যে রেলপথ পাতা হয়েছে, তা গোটা জার্মানির সমান। এই তথ্য জানিয়েছেন রেলওয়েজ, কমিউনিকেশনস এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railways)। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে রেল উপেক্ষিত ছিল বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।

    কংগ্রেস জমানায় রেল ছিল উপেক্ষিতই (Indian Railways) 

    মুম্বইয়ে বিকশিত ভারত অ্যাম্বাসাডর ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় রেল ‘দুগ্ধবতী গাভি’ হলেও, পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় উপেক্ষিতই ছিল। রেলের উন্নতি যা কিছু হয়েছে, তা মোদির আমলে। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী দেখিয়ে দেন, নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে কত নয়া রেলপথ পাতা হয়েছে, কত কিলোমিটার রেলপথে হয়েছে বৈদ্যুতিকরণের কাজ, দেশের অর্থনীতিরই বা কী উন্নতি হয়েছে। বিকশিত ভারত অ্যাম্বাসাডরদের মন্ত্রী (Indian Railways) বলেন, “আজ দেশে প্রতিদিন চার কিলোমিটার করে রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। কেবল গত অর্থনৈতিক বর্ষেই আমরা ৫ হাজার ৩০০ কিমি রেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ করেছি। এটা সুইজারল্যান্ডের গোটা ট্রেন নেটওয়ার্কের সমান।”

    নয়া রেলপথ কত হয়েছে জানেন?

    এর পরেই তিনি বলেন, “গত দশ বছরে ৩১ হাজার কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক তৈরি হয়েছে। এটা জার্মানির পুরো নেটওয়ার্কের সমান।” মোদি জমানায় যে রেলে বৈদ্যুতিকরণও বেশি হয়েছে, সেই পরিসংখ্যানও দেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মোদি জমানার দশ বছরে ৪৪ হাজার কিলোমিটার রেলপথে বৈদ্যুতিকরণ করা হয়েছে। আর গত ৬০ বছরে কংগ্রেসের জমানায় বৈদ্যুতিকরণের কাজ হয়েছিল মাত্র ২০ হাজার কিলোমিটার।” তিনি বলেন, “আজ আমরা ভারতীয় রেলপথের একশো শতাংশই বৈদ্যুতিকরণের পথে এগোচ্ছি।”

    আর পড়ুন: “মমতার শেষ দেখে ছাড়ব”, জেলমুক্ত হয়েই হুঙ্কার সন্দেশখালির মাম্পির

    তিনি জানান, ভারতে গণপরিবহণের প্রধান মাধ্যম রেল। অথচ আগের সরকার একে উপেক্ষা করেছিল। পাঁচ-ছয়ের দশকে মিটার গেজ থেকে ব্রড গেজে করা উচিত ছিল রেলপথকে। এই কাজটাই হয়েছে এনডিএ সরকারের আমলে। মোদি জমানায় যে রেলের স্টেশনগুলির সংস্কার হচ্ছে, দেশেই অত্যাধুনিক ট্রেন তৈরি হচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন রেলমন্ত্রী (Indian Railways)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railways: রেলে এবার ২০ টাকা, ৫০ টাকায় ভরপেট খাবার, ট্রেনেই পাবেন পছন্দের মেনু

    Indian Railways: রেলে এবার ২০ টাকা, ৫০ টাকায় ভরপেট খাবার, ট্রেনেই পাবেন পছন্দের মেনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসাধারণের জন্য স্বল্প মূল্যের খাবারের ব্যবস্থা করতে চলেছে রেল (Indian Railways)। নাম রাখা হয়েছে ইকোনমি মিল (economy meal)। মূলত অসংরক্ষিত কামরা ও দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways)। এই খাবার মিল এবং জল, স্টেশনের কামরাগুলির কাছে অবস্থিত কাউন্টারেই পাওয়া যাবে।

     ১০০টি স্টেশনে মোট ১৫১টি কাউন্টার (Indian Railways)

    রেল (Indian Railways) এই নয়া ভাবনার খাবার আপাতত ৫১টি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল। তাতে সাড়া মিলেছে ভালই। এখন বেড়ে ১০০টি স্টেশনে মোট ১৫১টি কাউন্টারে ইকোনমি মিল দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা স্বল্পমূল্যে সরাসরি এই কাউন্টার থেকে তাঁদের খাবার ও জল কিনতে পারবেন। তাঁদের আর হকারের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। কুড়ি টাকার বিনিময়ে খাবার এবং তিন টাকার বিনিময়ে ২০০ মিলি জল কিনতে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন জংশন স্টেশনের প্লাটফর্মে সস্তায় খাবারের স্টল বসানো হয়েছে। চলতি বছরের শেষেই দেড়শটি স্টেশনে এই খাবার কিনতে পাওয়া যাবে বলে রেল সূত্রে খবর।

    ইকোনোমি মিলে কী কী থাকবে?

    আইআরসিটিসি-র সহযোগিতায় এই পরিষেবা চালু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। জানা গিয়েছে ইকোনোমি মিলে পাওয়া যাবে, লুচি তরকারি আর আচার। খিচুড়ি, ছোলা-ভাটুরা, ধোসার মত খাবারও পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়। যে কোনও একটি খাবারের প্লেটের দাম মাত্র ৫০ টাকা । ভারতীয় রেল ৫০ টাকার প্লেটে রাজমা ও ভাত, মশলা কুলচা, মশলা ধোসার মত পদ যোগ করতে চলেছে। যে সমস্ত যাত্রীরা বাড়ি থেকে খাবার আনতে ভুলে যান কিংবা দীর্ঘ যাত্রাকালে যাঁদের খাবারের প্রয়োজন তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই নয়া ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুনঃ “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    ৫ টাকায় শুরু হয়েছিল মিল

    প্রসঙ্গত রেলের (Indian Railways) সস্তায় খাবারের ভাবনা অনেক পুরোনো। লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কয়েক দশক আগেই “জনতা আহার” চালু করেছিলেন। ৫ টাকা থেকে শুরু হওয়া ওই খাবারের দাম এখন ২০ টাকায় ঠেকেছে। কিন্তু ওই খাবারের মান নিয়ে চিরকাল প্রশ্ন ছিল। রেলযাত্রীদের অভিযোগ আজও আছে, ৪টে লুচি আর আলুর তরকারির খবার কিন্তু তাতে পেট ভরে না এবং জিভের স্বাদও মেটানো যায় না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরি প্রদানকারী সরকারি সংস্থা। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সঙ্গে এমন অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। আজ এমন একটি রেল স্টেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেখানে একটি স্টেশনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে দুটি স্টেশনের নাম! আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোথায় নির্মিত হয়েছে এই অনন্য রেল স্টেশন!

    অন্য রকমের চিত্র (Indian Railways)

    স্টেশন কিন্তু একটাই। কিন্তু স্টেশনের নাম রয়েছে আলাদা আলাদা। ইয়ার্কি বা কল্পনা বলে মনে হচ্ছে তো? না, এই আজব স্টেশনটির নাম বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশন। খাতায় কলমে বীরভূম জেলায় রয়েছে স্টেশনটি। আর এই স্টেশনে এলেই আপনি দেখতে পাবেন একদম অন্য রকমের চিত্র, যা কিছুটা হলেও আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

    দু সেকেন্ডের মধ্যে এক স্টেশন থেকে অন্যতে

    বীরভূমের এই স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপনি থাকবেন আহমদপুর জংশন, আবার দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সোজা সাঁইথিয়া। তবে এই দুটি স্টেশনের দূরত্ব মাত্র দু সেকেন্ডের। তবে একটাই রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে (Indian Railways) ভিন্ন কেন নাম, এই বিষয়ে যদিও কারও কিছু জানা নেই। তবে বীরভূমের সাঁইথিয়া রেল স্টেশনের এই দুই ভিন্ন নাম কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।

    চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Indian Railways)

    ভারতের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরকে রেল-পরিষেবা প্রদান করে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্টেশনটি। এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬০ টি ট্রেনের আগমন রয়েছে। সাঁইথিয়া জংশন বীরভূম জেলার তৃতীয় ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। তবে এই স্টেশনের দুই ভিন্ন নাম বিভ্রান্ত করছে রেল যাত্রীদের। ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা চরণ মণ্ডল জানান, তাঁরা প্রত্যেকদিন আসেন এই স্টেশন ঘুরতে। তবে তাঁদের নজরে আসেনি এই বিষয়টি। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও এক ভুলের কারণে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সকলেই। তবে বিষয় যাই হোক, বীরভূমের এই স্টেশনকে (Indian Railways) নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: প্রতিনিয়ত উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রেল, যাত্রীসুরক্ষায় জনপ্রিয় হচ্ছে এলএইচবি কোচ

    Indian Railways: প্রতিনিয়ত উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে রেল, যাত্রীসুরক্ষায় জনপ্রিয় হচ্ছে এলএইচবি কোচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল দৈনন্দিন কয়েক কোটি মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসছে। আর এই পরিষেবা যাতে সুখকর হয়, আরামদায়ক হয়, সে কথা মাথায় রেখে রেল প্রতিনিয়ত তাদের পরিষেবা উন্নত থেকে উন্নততর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে ভারতের রেল (Indian Railways) পরিষেবা অনেকটাই উন্নতমানের। কয়েক হাজার কিমি যাত্রা করলেও মানুষের শরীরে তার কোনও ছাপ পড়ে না। আর এই সবকিছু নির্ভর করে একটি ট্রেনের কোচ কী ধরনের, তার ওপর। আগে ভারতীয় রেলে নীল রঙের আইসিএফ কোচের দেখা মিলত, এখনও অনেক ট্রেনেই এই আইসিএফ (ICF) কোচ দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে মানুষের কাছে সব থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলএইচবি(LHB) কোচ, ঝাঁ চকচকে, রং বেরংয়ের কোচ, যেগুলিতে মানুষ সাধারণত চাপতে খুবই ভালোবাসে। বর্তমানে রাজধানী সহ বহু দূরপাল্লার ট্রেনে এই এলএইচবি (LHB) কোচের দেখা মেলে। শুধু সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, ঝাঁ চকচকে বলে নয়, এই কোচের আছে অনেক গুরুত্ব যা ট্রেনকে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে। তাই যাত্রী নিরাপত্তার দিক থেকে এই কোচগুলি শীর্ষে। এই প্রতিবেদনে আমরা জানব সেইসব বিশেষত্বের কথা।

    কেন আলাদা এই এলএইচবি (LHB) কোচ?

    এলএইচবি-র পুরো নাম লিঙ্ক হফম্যান বুশ। এই কোচ জার্মানির কোম্পানি লিঙ্ক-হফমান-বুশ এর দ্বারা উৎপাদন করা হয়, যা বর্তমানে ভারতে কপুরথলাতে তৈরি হওয়া শুরু হয়েছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে ২০০০ সালে প্রথম ভারতে এই কোচ নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রথমে সাধারণত রাজধানীর সমগোত্রীয় ট্রেনে এর ব্যবহার  শুরু হয়। এই কোচের ট্রেনগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে খুব কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই কোচের (Indian Railways) ব্যবহার শুরু হয়। এই এলএইচবি কোচের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন এই কোচ অ্যান্টি রোল, অ্যান্টি কোলাপ্স এবং অ্যান্টি টেলিস্কোপিক। এই কোচগুলি সাধারণত মাইল্ড স্টাইল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এগুলি আইসিএফ (ICF) কোচের তুলনায় অনেকটাই হালকা। কারণ পুরানো কোচগুলিতে স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করা হয়। এই ট্রেনে যাত্রা খুবই আরামদায়ক হয়। এই কামরাগুলিতে চাকায় লাগানো আছে উন্নতমানের ডিস্ক ব্রেক, যা দ্রুততম ট্রেনকে সহজেই ব্রেক করে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। আইসিএফের তুলনায় দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম এই কোচের ট্রেনগুলি বর্তমানে ১৬০কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতিতে ছুটতে পারে। অপরদিকে ICF কোচের ট্রেনগুলি ঘণ্টায় ১১০ কিমির বেশি দৌড়াতে পারে না। আইসিএফ কোচে বসে থাকলে ট্রেন চলার সময় অনেক বেশি ঝাঁকুনি  অনুভব হত। কিন্তু এই উন্নত কোচগুলিতে সেই ঝাঁকুনির পরিমাণ অনেক কম।

    দুর্ঘটনার সময়ও এই কোচ দেয় বিশেষ নিরাপত্তা (Indian Railways) 

    পূর্বের অনেক রেল দুর্ঘটনার সময় আমরা লক্ষ্য করেছি একটি কোচের ওপর আরেকটি কোচের উঠে পড়া, ফলে অনেক মানুষ আহত এবং নিহত হন এবং দুর্ঘটনা এক ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। কিন্তু বিশেষ এলএইচবি কোচে এই সমস্যা হয় না। এই কোচের ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে তা আড়াআড়ি ভাবে লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ফলে যাত্রীদের প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কম হয়। বর্তমানে রেল মন্ত্রকের (Indian Railways) তরফ থেকে জানা গিয়েছে, যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতে আইসিএফ কোচগুলির পরিবর্তে সমস্ত ট্রেনকেই এলএইচবি (LHB) কোচে রূপান্তরিত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share