Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Train Cancelled) জানিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। বুধবার শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা না হলেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কখন ছাড়বে শেষ ট্রেন

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার (Cyclone Dana) আশঙ্কা রয়েছে। ডিআরএম দীপক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার সমস্ত গন্তব্যের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই শাখায় বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল।’’ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদার উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদা থেকে। 

    শিয়ালদার কোন শাখায় কত ট্রেন বাতিল 

    ১) শিয়ালদা-ক্যানিং শাখা: ২৪টি ট্রেন বাতিল

    ২) সোনারপুর-ক্যানিং শাখা: ৭টি ট্রেন বাতিল

    ৩) শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা: ২৫টি ট্রেন বাতিল

    ৪) শিয়ালদা-বজবজ শাখা: ২৯টি ট্রেন বাতিল

    ৫) শিয়ালদা-সোনারপুর শাখা: ১১টি ট্রেন বাতিল

    ৬) সোনারপুর-বারুইপুর শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৭) শিয়ালদা-বারুইপুর শাখা: ১৬টি ট্রেন বাতিল

    ৮) শিয়ালদা-নৈহাটি শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৯) লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর শাখা: ৩টি ট্রেন বাতিল

    ১০) শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখা: ৩০টি ট্রেন বাতিল

    ১১) লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখা: ১৯টি ট্রেন বাতিল

    ১২) শিয়ালদা/বারাসত-হাসনাবাদ শাখা: ২০টি ট্রেন বাতিল

    ১৩) চক্ররেল: ২টি ট্রেন বাতিল

    হাওড়ার হালচাল

    যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিয়ালদা বিভাগে লোকাল ট্রেন চলাচলের (Train Cancelled) ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, আরও ট্রেন বাতিল করা হবে কিনা, পরিস্থিতি বিচার করে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুক্রবার ছ’ঘণ্টা (ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা) একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছ’ঘণ্টার মধ্যে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেগুলি যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। অর্থাৎ গ্যালোপিং ট্রেনও সব স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    কোন কোন ট্রেন বাতিল

    লোকাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্‌ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে। ‘দানা’র কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেলও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাতিল করা হয়েছে ১৭২টি ট্রেন। এ ছাড়াও ১২০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫২টি লোকাল ও মেমু ট্রেন বাতিল থাকছে এই সময়ের মধ্যে।

    হেল্পলাইন নম্বর

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Train Cancelled) তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১৩৬৬০, ০৩৩ ২৬৪০২২৪১, ০৩৩ ২৬৪০২২৪২, ০৩৩ ২৬৪১২৩২৩। শিয়ালদা ডিভিশন হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৩৫১৬৯৬৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    Indian Railways: ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য খুশির খবর, ৬০ দিন আগেই মিলবে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে বড়সড় পরিবর্তন আনল রেল। ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট সময় কমিয়ে দেওয়া হল। আর চারমাস নয়। এবার দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট বুকিং করা যাবে দু-মাস আগে। বুধবারই এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল (Indian Railways) বোর্ড ও রেল মন্ত্রক। নতুন নিয়মে ১২০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন আগে টিকিট কাটার ব্যবস্থা হলে অনেকেরই সুবিধা হবে বলেই মনে করছে রেল।

    নতুন নিয়মে কী রয়েছে? (Indian Railways)

    এখনও পর্যন্ত যে নিয়ম রয়েছে তাতে ট্রেন ছাড়ার দিনটি বাদ দিয়ে ১২০ দিন আগে কোনও ট্রেনের টিকিট (Ticket) সংরক্ষণ শুরু হয়। এর ফলে অনেক আগে থেকে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলতে হয়। এ বার সেই অগ্রিম পরিকল্পনার মেয়াদ কমানোর সুবিধা করে দিচ্ছে রেল। এখন যদি কেউ ফেব্রুয়ারি মাসের টিকিট বিক্রি শুরুর দিনেই কাটতে চান, তবে যে দিন ট্রেন ছাড়বে সে দিন থেকে ১২০ দিন আগে কেটে নিতে হবে। কিন্তু সেই নিয়ম বদলে যাবে ১ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার রেলের (Indian Railways) তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১২০ দিন আগে টিকিট বুকিংয়ের যে নিয়ম লাগু ছিল পয়লা নভেম্বর থেকে তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে বেড়াতে যাওয়ার দু-মাস আগে দূরযাত্রার জন্য টিকিট কাটা যাবে। তবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ ১২০ দিন আগেই সংরক্ষিত আসনের জন্য টিকিট কাটা যাবে। রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, টিকিট ক্যানসেল করার ক্ষেত্রেও এই ৬০ দিনের সময়সীমাই মানতে হবে। তবে তাজ এক্সপ্রেস, গোমতী এক্সপ্রেস-এই দুটি ট্রেনে আসন সংরক্ষণের জন্য মানতে হবে ১২০ দিনের সময়সীমাই। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকেরা এখনকার মতো ৩৬৫ দিন আগেই কোনও ট্রেনের টিকিট কেটে রাখতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ

    রেলের (Indian Railways) এমন সিদ্ধান্তে খুশি ভ্রমণপ্রিয় মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য, অনেক সময়ই চারমাস আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যায় না। কিন্তু শুধুমাত্র টিকিট কাটার জন্য তা করতে বাধ্য হতেন। কারণ, চারমাস সময়ের মধ্যে ভালো-মন্দ অনেক কিছু হতে পারে। অনেক সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে। এখন টিকিট কাটার সময় কমে দু-মাস হওয়ায় এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gujarat: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চক্রান্ত! গুজরাটে ফিসপ্লেট খুলে রাখা হল লাইনের ওপর

    Gujarat: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চক্রান্ত! গুজরাটে ফিসপ্লেট খুলে রাখা হল লাইনের ওপর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক বার ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা। ফিস প্লেট খুলে তা লাইনের (Train Accident Averted) ওপর রেখে দেওয়ার অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের (Gujarat) সুরাটের কিম রেল স্টেশনের কাছে। যদিও রেলকর্মীদের তৎপরতায় কোনওরকম অঘটন ঘটার আগেই ফিসপ্লেট লাইনের ওপর থেকে সরানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gujarat)

    জানা গিয়েছে, শনিবার গুজরাটের (Gujarat) সুরাটের কাছেই অল্পের জন্য বড়সড় রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মেলে। পশ্চিম রেলওয়ের ভাদোদরা ডিভিশনের কাছে আপ রেললাইন থেকে খুলে নেওয়া হয়েছিল ফিসপ্লেট। কিম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রেল আধিকারিকদের নজরে আসে বিষয়টি। তড়িঘড়ি রেললাইন থেকে এগুলি সরানো হয়। ট্রেন আসার আগেই ফের ফিসপ্লেট জুড়ে দেওয়া হয় রেললাইনে, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। এই ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল এই লাইনে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের আজমেরেও রেললাইনে এক কিলোমিটারের ব্যবধানে দুটি সিমেন্ট ব্লক পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশের সহায়তায় ফ্রেট করিডর কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড সিমেন্টের ব্লক সরিয়ে কোনওমতে দুর্ঘটনা এড়ায়। প্রতিবারই কি দুর্ঘটনা ঘটছে নাকি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে বড় ষড়যন্ত্র? ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে কলকাঠি নাড়ার তত্ত্বই জোরাল হল আরও। এবার রেললাইনের ওপরে মিলল সন্দেহজনক বস্তু। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ফিসপ্লেটও। দ্রুতগতিতে আসা ট্রেন যাতে রেললাইন থেকে ছিটকে যায়, তার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল।

    আরও পড়ুন: তিরুপতির প্রসাদ লাড্ডুতে পশু চর্বি! হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    পশ্চিম রেলের বরোদা শাখা জানিয়েছে, কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী রেলের আপ লাইনের ফিসপ্লেট (Gujarat) খুলে সেটিকে লাইনের ওপর রেখে দিয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরই রেলকর্মীরা দ্রুত পদক্ষেপ করেন। লাইনের ওপর থেকে সেটি সরিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।

    অগাস্টে ১৫ বার লাইনচ্যুত করার চেষ্টা!

    কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে কালিন্দী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রেল লাইনের ওপর ফেলে রাখা হয়েছিল একটি গ্যাস সিলিন্ডার। কিছুটা দূরেই পাওয়া গিয়েছিল এক বোতল পেট্রল ও দেশলাই বাক্স। রেলের তরফে সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু অগাস্টেই ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনবার চেষ্টা করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে সব রাজ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং তেলঙ্গানা। তবে, উত্তরপ্রদেশে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    Kavach 4.0: দিল্লি-হাওড়া রুটে বসছে ‘কবচ ৪.০’, টেন্ডার এবছরই, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মূল্যে দুর্ঘটনা রুখতে সক্রিয় ভারতীয় রেল। প্রায় ২০ হাজার ট্রেনে অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তথা “কবচ” বসানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। আনা হচ্ছে ‘কবচ ৪.০’। ইতিমধ্যেই ১০ হাজার ট্রেনে ‘কবচ ৪.০’ বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণও করেছে রেলমন্ত্রক। বুধবার এই বিষয় নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কবচ ৪.০-তে রয়েছে ‘টেম্পোরারি স্পিড রেস্ট্রিকশন’, উন্নত ব্রেকিং কার্ভ এবং লোকেশন প্রিসিশনের মতো অতিরিক্ত ফিচার। 

    রেলমন্ত্রীর ঘোষণা

    ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মধ্য রেলের ১ হাজার ৪৬৫টি রুটের ১৪৪টি রেকে এই ‘কবচ’ চালু করা হয়েছে। দিল্লি-চেন্নাই এবং মুম্বই-চেন্নাই সেকশনে অটোমেটিক সিগন্যাল সেকশনের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, আপাতত দু’টি ব্যস্ততম রুটে এই ‘কবচ’ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি- দিল্লি-মুম্বই এবং অন্যটি দিল্লি-হাওড়া। এই প্রক্রিয়া এই অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।নতুন এই কবচের নাম রাখা হয়েছে ‘কবচ ৪.০’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ধীরে ধীরে প্রতিটি সেকশনেই কবচ ৪.০ আনা হবে। ভারতের প্রাণ রেলওয়ে তাই মরুভূমি থেকে জঙ্গল প্রতিটি রেললাইনেই এই অত্যাধুনিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধী ব্যবস্থা আনতে চলেছে ভারতীয় রেল।

    কী ভাবনা রেলের

    দিল্লি-কলকাতা এবং দিল্লি-মুম্বই রেলপথে কবচ বসানোর কাজ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ হবে, বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রীদের ভ্রমণ নিরাপদ করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া রুটে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার কবচের কাজ চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গোল্ডেন কোয়াড্রিল্যাটেরাল বা সোনালী চতুর্ভুজে চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ হয়। ১০ হাজার ইঞ্জিনে কবচ বসানো ছাড়াও সারা দেশে ৮,০০০ রেল স্টেশন লিডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং, একটি রিমোট সেন্সিং পদ্ধতি যা পৃথিবীতে রেঞ্জ পরিমাপ করতে স্পন্দিত লেজারের আকারে আলো ব্যবহার করে) এবং ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ করা হবে। এর পরে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একযোগে সমস্ত স্টেশনে কবচ ডেটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    Kavach: দ্রুতগতিতে বসছে ‘কবচ’, জানালেন রেলমন্ত্রী, কাজ কতদূর এগোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার যে কোনও আপোস করবে না, বুধবার সংসদে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানালেন, দেশে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার রুটে অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম (Automatic Train Protection System) কবচ (Kavach) বসানো হয়েছে। এই কবচ বসানো হয়েছে ১৪৪টি লোকোমোটিভেও।

    ‘কবচ’ বসাতে ব্যয় (Kavach)

    সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়েতে বসানো হয়েছে এই কবচ। মন্ত্রী জানান, কবচ সিস্টেম বসাতে গিয়ে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ হাজার ২১৬.৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ১১২.৫৭ কোটি টাকা। মন্ত্রী জানান, ২ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ক্যাপিটেল এক্সপেনডিচার হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে। সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কবচ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে। কবচ ৪.০-এর উন্নত সংস্করণ অনুমোদন পেয়েছে। দ্রুত তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

    ‘কবচ’ কী?

    প্রশ্ন হল, কবচ কী? কবচ হল একাধিক ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানোর উচ্চ প্রযুক্তি। ট্রেনের গতি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকার সময় বিপদ বুঝলে এই প্রযুক্তি লোকোপাইলটকে সতর্ক করে দেবে। লোকোপাইলট যদি ব্রেক কষতে ব্যর্থ হন, তবে কবচই করে দেবে সেই কাজ। যার জেরে ট্রেন যাবে দাঁড়িয়ে। এড়ানো যাবে সংঘর্ষ। প্রাণ বাঁচবে যাত্রীদের। যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে কবচই এখনও পর্যন্ত উচ্চস্তরীয় নিরাপত্তা দেয় বলে শংসাপত্র দিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট সেফটি অ্যাসেসর।

    আরও পড়ুন: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মন্ত্রী জানান, দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-হাওড়া করিডরে চলছে কবচ (Kavach) সম্পর্কিত কাজ। এই দুই রুটে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর কাজও চলছে। ইতিমধ্যেই এই ফাইবার বসানো হয়েছে ৪ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার রেলপথে। ইনস্টল করা হয়েছে ৩৬৪টি টেলিকম রওয়ার। ২৮৫ ইউনিট কবচ যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন স্টেশনে (Automatic Train Protection System)। কবচ ট্র্যাকসাইড ইক্যুইপমেন্ট ইনস্টল করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮৪ কিলোমিটার রুটে (Kavach)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dibrugarh Express: দুর্ঘটনার আগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের চালক! তদন্তে রেল

    Dibrugarh Express: দুর্ঘটনার আগে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছিলেন ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের চালক! তদন্তে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের (Dibrugarh Express) একজন চালক দাবি করেছেন যে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার আগে তিনি জোরালো বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রেল। গোটা ঘটনায় অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল। উত্তরপ্রদেশের গোন্ডাতে বৃহস্পতিবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পরে এমন দাবি করেন রেলের এক চালক। রেলের (Indian Railway) তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালকের এই বিবৃতি স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে।

    ২ জন চালকই সুরক্ষিত (Dibrugarh Express)

    প্রসঙ্গত, আটটি বগি চন্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের (Dibrugarh Express) লাইনচ্যুত হয় মতিগঞ্জ ঝিলাই রেলওয়ে স্টেশনের কাছে। উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায় এই দুর্ঘটনায় চারজন মানুষ মারা গেছেন এবং কুড়ি জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে দুজন চালকই সুরক্ষিত রয়েছেন আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। একজন চালক যাঁর নাম হল ত্রিভুবন তিনি দাবি করেছেন যে লাইনচ্যুত হওয়ার আগে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনেছেন তিনি। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। রেলমন্ত্রী (Indian Railway) ইতিমধ্যে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা এবং গুরুতর জখমদের আড়াই লাখ টাকা, কম জখমদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও ঘোষণা করেছে রেল গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য।

    দুর্ঘটনার পরেই ৪০ জন সদস্যের চিকিৎসকের একটি দল হাজির হন ঘটনাস্থলে

    প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পরেই ৪০ জন সদস্যের (Dibrugarh Express) চিকিৎসকের একটি দল এবং ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স তৎক্ষণাৎ পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। সেখানে হাজির হন রেলের (Indian Railway) উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। দুর্ঘটনার স্থলটি লক্ষ্ণৌ থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনা সকাল থেকেই নজরে রেখেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন বলেও খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ (Balurghat) সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জুলাই মাসের মধ্যেই রেল দফতরের হাতে এক-তৃতীয়াংশ জমি হস্তান্তর করার প্রশাসনিক দাবি থাকলেও, বাস্তবে কিন্তু ঘটেছে অন্যরকম। ৭০ শতাংশ জমিদাতাই এখনও টাকা পাননি। শুধু তাই নয়, কত টাকা পাওয়া যাবে, ওই টাকা কবে ঢুকবে বা কবে জমি তাঁদের ছাড়তে হবে ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন জমিদাতারা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এই কাজে গতি আনার দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সুকান্তবাবু বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসনের। জমিদাতাদের বিঘা প্রতি কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বা কত টাকা তাঁরা পাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তাঁদের জানানো উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে, তাই জেলা প্রশাসনকে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) কাজে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

    সমস্যায় ১০০টি পরিবার (Balurghat)

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বালুরঘাট পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফায় বালুরঘাট ব্লকের যে সমস্ত এলাকার জমি রেল দফতরকে জুলাই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে প্রশাসনের, সেই সব এলাকার জমিদাতাদের অধিকাংশই এখনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইন আত্রেয়ী নদী পেরিয়ে বালুরঘাট শহরে ঢুকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ঢুকবে হিলি ব্লকে।

    বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রামাঞ্চলের যে দিকে রেল লাইন যাবে, সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই এখনও তাঁদের জমির প্রাপ্য টাকা পাননি। অথচ জেলা প্রশাসন দাবি করছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ জমি তুলে দেওয়া হবে রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এবং দুর্গাপুজোর মধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমিদাতারা। তাঁদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে। এই সুযোগে এলাকায় জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা যে হিসেবে টাকা দেওয়া হবে, সেই টাকা দিয়ে আদৌ জমি কিনে বাড়ি করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান জমিদাতারা। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, জমি দান করতে সম্মতি জানালেও কত দাম দেওয়া হবে জমির জন্য, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। বারবার জেলা প্রশাসনিক দফতরে গিয়েও তাঁরা জানতে পারেননি, কত টাকা পেতে পারেন বা কবে ঢুকবে টাকা। সেই কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ১০০টি পরিবার।

    কী বলছেন জমিদাতারা?

    জমিদাতা লোকনাথ হালদার বলেন, বছরখানেক আগেই কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে জমা করে দিয়েছি। এখন আমাদের অন্যত্র জমি কিনে নেওয়ার কথা। কিন্তু কত টাকা পাব বা কবে টাকা পাব, এই ব্যাপারে কিছুই জানতে পারছি না। এদিকে জমিও (Balurghat) কিনতে পারছি না, জমির দামও বেড়ে যাচ্ছে।

    কী জানাল জেলা প্রশাসন?

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমিদাতাদের (Balurghat) টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। পুজোর আগে এই প্রকল্পের জন্য সমস্ত জমিই রেলকে হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

    সক্রিয় হওয়ার আর্জি সুকান্তর (Balurghat)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের কাজ হল জমি অধিগ্রহণ করা। তাদের উচিত, জমিদাতাদের সঠিক তথ্য জানানো, তাঁরা প্রতি বিঘার উপর কত করে দাম পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণের জন্য। জেলা প্রশাসনের সক্রিয় হওয়া উচিত (Land Acquisition)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুবিধার্থে এবার এক দারুন উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে আর ট্রেনে নিজের সংরক্ষিত সিটে (Reservation Seat) বসা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। সম্প্রতি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে একেবারে টিটিই(TTE) এসে ওই সিট খালি করে দেবেন। কেবল আপনাকে একটি মেসেজ করতে হবে। মেসেজে কীভাবে করতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    কী জানিয়েছে রেল? (Indian Railways)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে (Reservation Seat) অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে মেসেজে ইংরেজি বড় অক্ষরে কেবল SEAT লিখুন। কিছুটা স্পেস দিয়ে PNR নম্বর, স্পেস কোচ নম্বর, সিট নম্বর এবং তারপর OCCUPIED BY UNKNPWN PASSENGER লিখে পাঠিয়ে দিন ১৩৯ নম্বরে। ১৩৯ নম্বরে মেসেজ পাঠানোর পরই টিই নিজে আসবেন এবং আপনার সিট খালি করে দেবেন। এরপর আপনি আপনার সিটে বসে স্বচ্ছন্দে যেতে পারবেন। এছাড়া ট্রেনে অন্য কোনও সমস্যা বা সাহায্যের প্রয়োজন হলেও এই নম্বরে মেসেজ করে জানাতে পারেন বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। 
    তবে কেবল মেসেজ নয়, ১৩৯ নম্বরে ফোনও করেও ট্রেন সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য, পিএনআর স্টেটাস এবং টিকিট মিলছে কি না, তাও জানা যাবে। এছাড়া ট্রেন কোন স্টেশনে রয়েছে, কখন কোন স্টেশনে ঢুকবে, পিএনআর নম্বর দিয়ে সেটাও জানা যাবে। এমনকি রিজার্ভেশন সম্পর্কিত তথ্যও পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    মাঝেমধ্যেই রেলের (Indian Railways) যাত্রীদের একাংশ অভিযোগ করেন যে তাঁদের রিজার্ভ করা সিটে অন্য কোনও ব্যক্তি জবরদখল করে বসে রয়েছেন। সেই যাত্রীকে সেখান থেকে তুলতে গিয়ে গন্ডগোল, হাতাহাতি-মারামারিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ার খবর মেলে। কনফার্ম টিকিট (Reservation Seat) থাকা সত্বেও প্রায়শই এই প্রকট সমস্যার সম্মুখীন হন একটি বড় অংশের যাত্রী। তাই এবার যাত্রী সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: রেলে প্রচুর নিয়োগ, অতিরিক্ত ১৩ হাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদের বিজ্ঞপ্তি

    Indian Railways: রেলে প্রচুর নিয়োগ, অতিরিক্ত ১৩ হাজার অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদের বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই কর্মসংস্থানে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ হাজার অতিরিক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদে নিয়োগ করবে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেলের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। মঙ্গলবার ভারতীয় রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়, যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সহকারি ট্রেন চালক (রেলের পরিভাষায় লোকো পাইলট) নিয়োগের সংখ্যা তিনগুণ বাড়ানো হবে। রেলওয়ে বোর্ডের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে সহকারি ট্রেন চালক পদে নিয়োগ করা হবে ১৮ হাজার ৭৯৯ জনকে।

    বিপুল নিয়োগের সিদ্ধান্ত (Indian Railways)

    অবসর নেওয়ায় কমছিল ট্রেন (Indian Railways) চালক ও সহকারি ট্রেন চালকের সংখ্যা। তাই কর্মরত চালক ও সহকারি চালকদের ওপর বাড়ছিল কাজের চাপ। চালকদের ২১ শতাংশ ও সহকারি চালকদের ৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে বলে অভিযোগ রেলের বিভিন্ন সংগঠনের। তাই শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানাচ্ছিল তারা। চালক ও সহকারি চালকদের যাতে কাজের চাপ কমে, তাই প্রায় উনিশ হাজার পদে সহকারি চালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।

    বাড়ানো হল তিনগুণ

    রেল সূত্রে খবর, প্রথমে ঠিক ছিল সহকারি চালক পদে নিয়োগ করা হবে ৫ হাজার ৬৯৬ জনকে। পরে যাত্রী সুরক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়টির কথা মাথায় রেখে ঠিক হয় নিয়োগ করা হবে ১৮ হাজার ৭৯৯ জনকে। রেলের তরফে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জোনকে শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, শূন্য পদ পূরণে অন্তত ছ’মাস সময় লাগবে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর হবে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা, অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা। তার পরে হবে প্রশিক্ষণ পর্ব। প্রশিক্ষণ পর্ব শেষে হবে লাগানো হবে কাজে।

    আর পড়ুন: হরিয়ানা কংগ্রেসে ‘রাম’ধাক্কা, বিজেপিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ, নাতনি

    সহকারি চালক পদে নিয়োগের খবরে খুশির হাওয়া লোকো পাইলট মহলে। অল ইন্ডিয়া লোকো রানিং স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভি বালাচন্দ্রন বলেন, “রেলওয়ে বোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের কাজের চাপ কমবে (Indian Railways)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Indian Railway: পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? বিরাট উদ্যোগ রেলের, টিকিট কাটার আগে অবশ্যই জানুন

    Indian Railway: পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? বিরাট উদ্যোগ রেলের, টিকিট কাটার আগে অবশ্যই জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের কথা মাথায় রেখে এবার নয়া উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই দুর্গা পুজোর লম্বা ছুটি। আর এই লম্বা ছুটিতে বেড়াতে বেড়োয় না এমন বাঙালি খুব কমই আছে। তাই পুজোর মাসে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আগাম ট্রেনের টিকিট কাটতে লাইন পরে যায় জুন জুলাই থেকেই। তাই পুজোর মাসের টিকিট বুকিং (Ticket Booking For Puja) শুরু হতে না হতেই হট কেকের মতো বিকিয়ে যায় টিকিট। প্রায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কাউন্টারে। অনলাইন বুকিংয়েও থাকে প্রচণ্ড চাপ। তাই যাত্রী সুবিধার্থে এবার বিশেষ ব্যবস্থা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।  

    ঠিক কী জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ? (Indian Railway)

    এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পুজোর জন্য এবার থেকে রবিবারেও খোলা থাকবে সংরক্ষিত টিকিটের কাউন্টার। শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনে রবিবার সকালের শিফটে খোলা থাকবে রিজার্ভেশন অফিস। ফলে যাঁরা সপ্তাহে কাজের দিনগুলিতে টিকিট বুক (Ticket Booking For Puja) করতে যেতে পারেন না, তাঁরা ছুটির দিনে নিজেদের সময় সুযোগ মত ভিড় এড়িয়ে কাটতে পারবেন অগ্রিম টিকিট। 
    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা ডিভিশনের কোন কোন স্টেশনে রিজার্ভেশন অফিস খোলা থাকবে সেই তালিকাও দেওয়া হয়েছে রেলের (Indian Railway) তরফে। সেই তালিকায় আছে, শিয়ালদহ, কলকাতা, বিধাননগর রোড, দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট। এছাড়াও রয়েছে দক্ষিনেশ্বর, বেলঘড়িয়া, সোদপুর, টিটাগড়, ব্যারাকপুর, শ্যামনগর, কাঁকিনাড়া , নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, কল্যাণী, রানাঘাট, মাজদিয়া, বগুলা, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সিটি, বেথুয়াডহরি, দেবগ্রাম, পলাশি, বেলডাঙা, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ। অন্যদিকে  লালগোলা, লক্ষ্মীকান্তপুর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, বারাসাত, হাবরা, ঠাকুরনগর, বনগাঁ, বসিরহাট, হাসনাবাদ, যাদবপুর, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ , সোনারপুর, বজবজ , মাঝেরহাট এবং ক্যানিং ও রয়েছে সেই তালিকায়।

    আরও পড়ুন: টানা তিনবার অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ বিজেপির পেমা খান্ডুর, উপমুখ্যমন্ত্রী কে?

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    আসলে পুজো যত এগিয়ে আসে ততই ভিড় বাড়তে থাকে টিকিটের লাইনে। তাই সেই চাপ সামাল দিতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন রেল কর্তারা। তাই পুজোর অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে রবিবারও বিশ্রাম নেবেন না রেলওয়ের (Indian Railway) কাউন্টারে বসা কর্মীরা। জানা গিয়েছে, পুজোর অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে ১৬ জুন, ২৩ জুন, ৩০ জুন, ৭ জুলাই ও ১৪ জুলাই  শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগের রিজার্ভেশন অফিসগুলি (পিআরএস এবং এসআরও উভয়ই) খোলা থাকছে রবিবারও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share