Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি (ABSS) শুরু হয়। তারই প্রতিফলন হিসাবে উঠে আসে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের ২৭ টি রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণ ঘটাতে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেল স্টেশনগুলিকে অত্যাধুনিক মানের হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

    কী এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প (ABSS)?

    অমৃত ভারত প্রকল্প (ABSS) হল ভারতীয় রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের ৫০৮ টি স্টেশনকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া, যা হবে বিশ্বমানের। বলা যেতে পারে রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের এক নতুন নীতি এটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনের চাহিদা অনুসারে একটি দীর্ঘমেয়াদী মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলবে।

    পশ্চিমবঙ্গের ক’টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পাবে?

    ভারতে ২৭টি রাজ্যের ৫০৮টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পেতে চলেছে। যার মধ্যে সব রাজ্যের অনেক স্টেশনে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ টি স্টেশন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলছে। তার মধ্যে শিয়ালদা, বর্ধমান, রামপুরহাট, আসানসোল, অন্ডাল, সিউড়ি, নিউ কোচবিহার, খড়্গপুর, নিউ আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    এই প্রকল্পের (ABSS) মূল লক্ষ্যগুলি কী?

    প্রত্যেকটি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ ও অত্যাধুনিক মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি কতকগুলি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে যেমন:-

    ১) প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে অত্যাধুনিক মানের তৈরি করা হবে এবং সেগুলিতে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য পণ্যের দোকান। 
    ২) স্টেশনমুখী বা স্টেশন লাগোয়া সমস্ত রাস্তাকে চওড়া করা হবে এবং রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ নির্মাণগুলিকে সরিয়ে ফেলা হবে, যাতে সহজেই যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন এবং স্টেশন থেকে বের হতে পারেন। তার সঙ্গে থাকবে দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা।
    ৩) স্টেশনগুলিকে আগের থেকে উঁচু করে নির্মাণ করা হবে, ৬৭০ থেকে ৮১০ মিলি উঁচু করা হবে। 
    ৪) স্টেশন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা বিশেষ আলোর মাধ্যমে আলোকিত করা হবে।
    ৫) নিত্যযাত্রীদের স্টেশন চত্বরে পার্কিং ব্যবস্থা সুলভ করার জন্য বিশেষ পার্কিং প্লেস তৈরি করা হবে। 
    ৬) মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হবে।  
    ৭) তহবিল অনুযায়ী সমগ্র ভারতবর্ষে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) অধীনে থাকা স্টেশনগুলিকে পরিবেশ বান্ধব স্টেশন হিসাবে নির্মাণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) সংলগ্ন পার্কিং লটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত ও স্থানীয় মস্তানদের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনেক ট্যাক্সিচালকই শালিমার স্টেশনে যেতে চাইছেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতো শালিমার স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নেই। যে সংস্থাকে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তা মূলত স্টেশনের সামনের পার্কিং জোনের জন্য। কিন্তু পার্কিংয়ের কন্ট্রাক্টররা স্টেশন থেকে আরও প্রায় আধ  কিলোমিটার দূরে দু’নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকায় যত ট্যাক্সি প্রবেশ করে, তাদের কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি নেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। ফলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ির চালকরা শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় পান।

    নেই কোনও বাসরুটও(Shalimar Station)

    অন্যদিকে শালিমার স্টেশনে যাওয়ার যে বাস রুট রয়েছে, তাও প্রায় এক কিলোমিটার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেললাইন পার হয়ে একটি রাস্তা সরাসরি শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির দিকে গেছে। ব্যতাইতলা ফাঁড়ি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং পার হলেই ওই রাস্তায় রয়েছে শালিমার তিন নম্বর গেট। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেট বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রীকেই ডানদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর কলেজ রোড ধরতে হয়। এই রাস্তাটি ঘুরে এসে আবার তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে ডান দিকে কলেজ রোড বেঁকে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যেদিক দিয়েই যাত্রীরা আসুক না কেন, তিন নম্বর গেটের পর শালিমার স্টেশনে (Shalimar Station) যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় তাঁদের অটো, টোটো অথবা ট্যাক্সি ধরতে হয়। ফলে টোটো চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে মওকা বুঝে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকায়।

    যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতা (Shalimar Station)

    ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আরেকটি রাস্তা লেভেল ক্রসিংয়ের আগে বাঁদিকে বেঁকে গেছে। যেটি  শালিমার (Shalimar Station) দু’নম্বর গেট পর্যন্ত গেছে। এই দুই নম্বর গেট দিয়ে যাতে সহজে শালিমার স্টেশনে যাওয়া যায়, সেই জন্য দু’নম্বর গেটের কাছে একটি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। বর্তমানে সেখানে কিছু পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দু’নম্বর গেটের লেভেল ক্রসিংও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে এখান থেকেও যাত্রীদের রেললাইন পার হয়ে ফের আরেকটি টোটো বা ট্যাক্সি ধরে শালিমার স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। তাও আর এক যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। টোটো থেকে নেমে  বর্ষায় ভাঙাচোরা, কাদা প্যাচপ্যাচানি রাস্তা পার হয়ে যাত্রীদের বড় বড় লাগেজ নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টেশনে পোঁছাতে হয়।

    কী বলছেন যাত্রী সংগঠনের কর্তারা?

    হাওড়া জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় দোলুই বলেন, শুধু শালিমার স্টেশনেই (Shalimar Station) নয়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের বাইরেও এভাবে যাত্রীদের নানা ভাবে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং জোর করে অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাল রেল?

    রেল সুত্রে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) চত্বরের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ স্থানীয় পুলিশের। যাত্রীদের সঙ্গে জোর করে এবং অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হলে স্থানীয় পুলিশকেই বিষয়টি দেখতে  হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, যাত্রীদের কী কী সুবিধা হবে?

    Indian Railways: স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, যাত্রীদের কী কী সুবিধা হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট ছোট স্টেশন (Indian Railways) পর্যন্ত দূরযাত্রার টিকিট করতে প্রায়ই হয়রানি হয় যাত্রীদের। অনলাইন টিকিটের ক্ষেত্রে বুকিং এর সময় নাম খুঁজতেও সমস্যা হয়। অথচ দেখা যায়, ওই স্টেশনে নামলেই মূল গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়। যেমন ধরুন আপনি নবদ্বীপ ধাম যাবেন, সেক্ষেত্রে আপনি বিষ্ণুপ্রিয়াতে নামলে সব থেকে সুবিধা হবে। কিন্তু নবদ্বীপ ধামের মতো বিষ্ণুপ্রিয়া অত জনপ্রিয় স্টেশন নয়। এই সমস্যা দূর করতে এবার উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেল সূত্রে খবর মিলেছে, জনপ্রিয় স্থান বা শহরের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ছোট ছোট স্টেশনের নাম। এর ফলে ভ্রমনের পরিকল্পনাও যেমন সহজ হবে তেমনি ওয়েবসাইট বা মোবাইল আ্যপের মাধ্যমে টিকিট কাটাও খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবেন ভ্রমণপ্রিয়রা। পর্যটকদের স্টেশনের নাম খুঁজতে আর অসুবিধা হবে না। এর পাশাপাশি, ছোটখাটো স্টেশনের নাম জনপ্রিয় জায়গার সঙ্গে জুড়লে সেখানকার বাসিন্দারা গর্ব অনুভব যেমন করবেন তেমনি সেই অঞ্চলে বাণিজ্যও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।  

    গত মাসের ২১ জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থার

    ইতিমধ্যে ২১ জুলাই থেকেই এই নতুন কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর মিলেছে। রেলের আধিকারিকরা (Indian Railways) জানিয়েছেন, গোটা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে বিভিন্ন টিম কাজ করছে। বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭২৫টি স্টেশনের সঙ্গে ১৭৫ টি জনপ্রিয় স্থানকে যুক্ত করার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। যেমন নয়ডা জুড়েছে নতুন দিল্লির সঙ্গে।

    নতুন ব্যবস্থার সুবিধা 

    অন্যদিকে কাশী , খাটুশ্যাম , বদ্রীনাথ , কেদারনাথ , বৈষ্ণদেবীর মতো বিখ্যাত তীর্থস্থানগুলি জুড়েছে কাছের স্টেশনের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় আরও সুবিধা মিলবে (Indian Railways)। যেমন ধরুন, কোনও কারণে কোনও স্টেশনে কাজ চললে তার বিকল্প প্ল্যাটফর্মের নাম প্লানারে যোগ হয়ে যাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ট্রেন যাত্রা (Indian Railways) আরও সহজ হবে যাত্রীদের ক্ষেত্রে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Station: মোদি জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ সমেত রাজ্যের ৩৬ রেল স্টেশনের

    Sealdah Station: মোদি জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ সমেত রাজ্যের ৩৬ রেল স্টেশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুনভাবে সেজে উঠতে চলেছে শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station)। ভোল পাল্টে শিয়ালদহ স্টেশনের নতুন রূপ দেখে নাকি আমজনতা চমকে যাবে, এমনটাই বলছে অনেকে। নতুনভাবে সাজার পরে শিয়ালদহ স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকার কে দেখতে ঠিক কেমন লাগবে তার একটি ছবিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় রেল। ব্যস্ততম এই রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে নিঃসন্দেহে বাঙালির অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। দেশভাগের সময় হিন্দু শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল এই স্টেশন। এবার এই স্টেশনকে এই নতুন ভাবে সংস্কার করতে উদ্যোগে নিল মোদি সরকারের রেল। রবিবার অমৃত স্টেশন হিসাবে দেশজুড়ে ৫০৮টি স্টেশনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে শিয়ালদহও (Sealdah Station) রয়েছে। রাজ্য থেকে মোট ৩৭টি স্টেশন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি স্টেশনকেই আধুনিক মানের গড়ে তোলা হবে।

    বাঙালির মিলনক্ষেত্র শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) 

    শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) যেন বাঙালির এক মিলন ক্ষেত্র। সারা রাজ্যের মানুষ এখানে এসে মিলিত হন। এবং নিজে নিজের গন্তব্যে পৌঁছান। শিয়ালদহ স্টেশনের ব্যস্ততা স্থান পেয়েছে সিনেমাতেও। ৮:০৮ বনগাঁ লোকাল যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ভোল বদলে শিয়ালদহ স্টেশন নতুন চেহারা কবে পাবে সেটা অবশ্য এখনও সঠিকভাবে জানাতে পারেনি ভারতীয় রেল। প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার অনেক স্টেশনেরই চেহারা পাল্টে যেতে চলেছে। রবিবারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই গোটা প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  শুক্রবার শিয়ালদহ (Sealdah Station) স্টেশনে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার  এপি দ্বিবেদি শিয়ালদহ স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং তিনি বলেন ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছা অনুযায়ী পূর্ব রেলের ২৮টি স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আধুনিক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে স্টেশনগুলিতে।’’ স্টেশনের প্রবেশপথ, প্ল্যাটফর্ম থেকে শৌচাগার কিংবা বিশ্রামকক্ষ সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে। শিয়ালদহ স্টেশনে এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৭ কোটি টাকা।

    চলতি বছরেই ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো

    শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসে যে অত্যন্ত ভিড়ের কারণে ব্যস্ত সময়ে নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শিয়ালদা স্টেশনে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের মাধ্যমে। অন্যদিকে চলতি বছরেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। এটা চালু হলে শিয়ালদহ স্টেশনেও এর প্রভাব পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। এবং প্রতি ঘন্টায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিতে হবে শিয়ালদহ স্টেশনকে (Sealdah Station), এমনটাই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রেল মানচিত্রে জুড়তে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। জানা গিয়েছে রাজ্যের চতুর্থ এক্সপ্রেস হিসেবে অগাস্ট মাসেই গড়াবে বন্দে ভারতের চাকা। এর আগে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি এবং হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) চাকা গড়িয়েছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বন্দে ভারত ছুটবে হাওড়া থেকে পাটনার মধ্যে। কলকাতা এবং পাটনার মধ্যে দ্রুততম সংযোগ স্থাপন করবে চতুর্থ বন্দে ভারত। ভারতীয় রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে হাওড়া পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কখন ছাড়বে হাওড়া থেকে এবং পাটনা থেকেই বা কখন রওনা দেবে? সে নিয়ে আলোচনা চলছে। ভাড়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

    হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারতের ভাড়া কত হবে?

    পাটনা থেকে হাওড়া রেলপথে দূরত্ব হল ৫৩৫ কিলোমিটার। জানা গিয়েছে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে বন্দে ভারত সময় নেবে ৭ ঘণ্টা। সেমি হাই স্পিডের এই ট্রেন ছুটবে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের (Vande Bharat) ভাড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত রেল কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা  বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারতের ভাড়া বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে হাওড়া থেকে পাটনা যেতে, এসি এক্সিকিউটিভের বন্দে ভারতের ভাড়া হতে পারে ২৬৫০ টাকা। অপরদিকে, এসি চেয়ারকারের জন্য ১,৪৫০ টাকা ভাড়া হতে পারে। হাওড়া থেকে পাটনা পর্যন্ত বন্দে ভারতের (Vande Bharat) স্টপেজ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পুজোয় বন্দে ভারতে থাকছে স্পেশাল মেনু

    পুজোর আর খুব বেশিদিন দেরি নেই। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সে কথাকে মাথায় রেখে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও (Vande Bharat) আসতে চলেছে পুজোর স্বাদ। লুচি, আলুর দম, বাসন্তী পোলাও এইসব দিয়েই দুর্গাপুজোর স্পেশাল মেনু বানানোর পরিকল্পনা করেছে বন্দে ভারত। রসগোল্লা এবং মিষ্টি দইও থাকছে সঙ্গে। এমনটাই জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা।  প্রসঙ্গত জানুয়ারি মাসেই বাংলা পেয়েছে প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat)। তাই সেমি হাইস্পিডের এই ট্রেন রাজ্যে প্রথমবার দুর্গাপুজো দেখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Indian Railways: ট্রেনের টিকিটের ৫ অঙ্কের নম্বরে লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য?

    Indian Railways: ট্রেনের টিকিটের ৫ অঙ্কের নম্বরে লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে চড়তে কে না ভালোবাসে? আট থেকে আশি, সবারই ট্রেনের (Indian Railways) প্রতি এক অগাধ ভালোবাসা। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতে সব থেকে আরামদায়ক ও দ্রুততম মাধ্যমও হল ট্রেন। আর এই পরিষেবা ভারতীয়রা ১৭০ বছর ধরে পেয়ে আসছেন। এর মধ্যেই ঘটে গিয়েছে অনেক বিবর্তন, কয়লার ইঞ্জিন থেকে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন আর এখন ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। এই ভারতীয় রেলের এমন কিছু নিয়মবিধি আছে, যেগুলি হয়তো অনেকেরই অজানা। আসলে সাধারণ মানুষ সেগুলি নিয়ে ভাবার কথা মাথায়ও আনতে পারেন না। কিন্তু সেগুলি জানলে অবাকই হবেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমনই অজানা তথ্য জানব ভারতীয় রেলের টিকিটের সম্বন্ধে। টিকিটের গায়ে থাকে একটি ৫ অঙ্কের নম্বর, যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য তথ্য।

    ট্রেনের (Indian Railways) টিকিটের নম্বরের মধ্যে কী তথ্য লুকিয়ে থাকে?

    ট্রেনের টিকিট লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন রয়েছে অসংখ্য নম্বর। প্রত্যেকটি নম্বরের অনেক তাৎপর্য আছে। আপনার ভ্রমণ ও ট্রেন সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত নথি এই টিকিটের মধ্যেই থাকে। তার মধ্যে যেটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে, সেটি ৫ অঙ্কের একটি নম্বর। এই সংখ্যাটি আপনার গন্তব্যের সমস্ত খুঁটিনাটি বলে দিতে পারে। জেনে নেওয়া যাক এই রকমই কিছু লুকিয়ে থাকা তথ্য। 

    ট্রেনের (Indian Railways) টিকিটের মধ্যে থাকা 0 থেকে 9 নম্বরগুলির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যদি আপনার টিকিটের প্রথমে 0 নম্বরটি থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সেটি কোনও স্পেশাল ট্রেন, অর্থাৎ এই ট্রেনটি কোনও হলিডে স্পেশাল বা গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল বা অন্যান্য কোনও স্পেশাল ট্রেন হতে পারে। 
    আবার অপরদিকে আপনার টিকিটের প্রথম সংখ্যাটা যদি 1 অথবা 2 হয়, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এই ট্রেনটি দীর্ঘ পথ যাত্রা করে। আবার এই দুটি সংখ্যা থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে এটি শতাব্দী, রাজধানী,গরিব রথ, দূরন্তর মতো বিশেষ শ্রেণির ট্রেন।

    আরও কিছু নম্বরের উদাহরণ, যা বিশেষ মানে বহন করে

    টিকিটের প্রথম সংখ্যাটি যদি 3 হয়, তবে জানতে হবে এই ট্রেনটি কলকাতা শহরতলির একটি ট্রেন (Indian Railways)। আবার মেট্রো শহর যেমন নয়াদিল্লি সেকেন্দ্রাবাদ, চেন্নাই ইত্যাদি শহরের শহরতলির ট্রেন হলে এতে টিকিটের প্রথম সংখ্যা 4 দিয়ে শুরু হবে। প্রথমে যদি 5 থাকে, তাহলে জানতে হবে এটি একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। 6 ও 7 থাকলে সেটি যথাক্রমে MEMU ও DEMU ট্রেন। আর কিছু সংরক্ষিত ট্রেনের জন্য টিকিট নম্বর 8 দিয়ে শুরু হয়। আর মুম্বই সাবারবান ট্রেনের জন্য প্রথম সংখ্যাটি থাকে 9।

    দ্বিতীয় সংখ্যাটিরও বিশেষ অর্থ থাকে, কী সেটি?

    দ্বিতীয় সংখ্যাটি রেলের বিভাগ সম্বন্ধে আমাদের জানান দেয়। যদি কোনও রেলের (Indian Railways) প্রথম সংখ্যাটি 0, 1 অথবা 2 দিয়ে শুরু হয়, তাহলে বাকি 4 টি সংখ্যা রেলের জোন ও বিভাগ সমন্ধে আমাদের জানান দেয়। 
    সেন্ট্রাল রেলওয়ে, নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ে, ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের জন্য দ্বিতীয় সংখ্যাটি থাকবে 0।
    পূর্ব মধ্য রেলওয়ে এবং পূর্ব রেলের জন্য থাকবে 3।
    উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং উত্তর মধ্য রেলওয়ের জন্য থাকে 4 নম্বর।
    জাতীয় পূর্ব ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য থাকে 5 নম্বর।
    দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের জন্য থাকে 6।
    দক্ষিণ-মধ্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের জন্য 7।
    সাউদার্ন ইস্টার্ন এবং ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের জন্য থাকে 8।
    উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য রেলওয়েতে থাকে 9।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Railway Station: নয়া শিরোপা, হাওড়া স্টেশন এখন থেকে গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন

    Howrah Railway Station: নয়া শিরোপা, হাওড়া স্টেশন এখন থেকে গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া স্টেশন এতদিন ছিল সিলভার রেটিং পাওয়া স্টেশন। বুধবার থেকে হাওড়া স্টেশনকে (Howrah Railway Station) গোল্ড রেটিং স্টেশনের শিরোপা দেওয়া হল। হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনকে ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল, গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে ঘোষণা করল। তাদের রেটিং সিস্টেমের অধীনে সিআইআই-আইজিবিসি গোল্ড রেটিং দেওয়া হয়েছে। বুধবার হাওড়া স্টেশন এক অনুষ্ঠানে, পুর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অমরপ্রকাশ দ্বিবেদীর হাতে গোল্ড ফলক এবং গোল্ড রেটিং সার্টিফিকেট তুলে দেন গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের কোর কমিটির সদস্য জি এম কাপুর। হাওড়া স্টেশনের টেকসই পরিচালন ব্যবস্থা ও পরিবেশ বান্ধব পরিষেবার জন্য এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

    কী কী কাজের জন্য মিলল এই সম্মান?

    হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের সংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম। প্রতিদিন এই স্টেশন (Howrah Railway Station) দিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রূপ বদলেছে হাওড়া স্টেশনের। হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার কাছে গেলে দেখা যাবে আধুনিকতার উজ্জ্বল মুখ। এই অনুষ্ঠানে নতুন ডিআরএম নিযুক্ত হলেন সঞ্জীব কুমার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেল আধিকারিক মণীষ জৈন। গ্রিন রেটিং দেওয়া হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ভবন এবং যাত্রী-বান্ধব বৈশিষ্ট্য যেমন স্টেশনের ছাদের ইনস্টলেশন, জলের ব্যবস্থাপনা, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্টেশন পরিষ্কার রাখা, দিনের বেলায় কোনও কৃত্রিম আলো ব্যবহার না করে সুর্যের আলো ব্যবহার, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, তাজা বাতাস চলাচল সহ নানা বৈশিষ্ট্যের জন্য। অমর প্রকাশ দ্বিবেদী এই সাফল্যের জন্যে স্টেশন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

    খুশি রেলযাত্রীরা (Howrah Railway Station)

    হাওড়া স্টেশনের এই শিরোপা অর্জনে খুশি সাধারণ মানুষ থেকে রেল যাত্রীরা (Howrah Railway Station)। তাঁরা জানান,  অন্যান্য স্টেশনের তুলনায় হাওড়া স্টেশনের পরিষেবা অনেকটাই ভালো। যাত্রী সুবিধার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ভারতীয় রেলের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্বরূপ।  তাই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল বলে তাঁরা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বেশ কিছু লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল

    Indian Railways: হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে বেশ কিছু লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় ব্যান্ডেল-শক্তিগড় বিভাগের আদিসপ্তগ্রাম স্টেশনের উপর উড়ালপুল তৈরি হবে। তার জন্য আগামী ২০ জুলাই থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত ওই শাখায় বিঘ্নিত হবে রেল (Indian Railways) পরিষেবা। এর জন্য বেশ কিছু সময়ের জন্য ওই দুই স্টেশনের মাঝে থাকা লেভেল ক্রসিংগুলি খোলা থাকবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ট্রেনের পাওয়ার ব্লকও করা হবে। এ জন্য এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বেশ কিছু লোকাল এবং কিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল থাকবে বলে পুর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। দূরপাল্লার কোনও কোনও ট্রেনকে বিকল্প পথে নিয়ে যাওয়া হবে। কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের গতি যাত্রাপথে নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। কোন ট্রেন কবে কোন সময়ে বাতিল থাকবে, তা আগাম বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেবে রেল। ২০ জুলাই থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত হাওড়া-আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।

    ট্রেনের (Indian Railways) সময়সূচি পরিবর্তন, কিছু ট্রেন বাতিল

    নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশন থেকে রাত ১১ টা ২০ মিনিটের বদলে রাত পৌনে ১২ টায় ছাড়বে। ট্রেনটি হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন দিয়ে যাতায়াত করবে। ওই সময়ে শিয়ালদহ-মালদা গৌড় এক্সপ্রেস নৈহাটি-ব্যান্ডেল-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রুট দিয়ে যাবে। একই সময়ে মোকামা-হাওড়া এক্সপ্রেস হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন দিয়ে চলবে। তাছাড়া, আজমগড়-কলকাতা এক্সপ্রেস, রক্সৌল-হাওড়া মিথিলা এক্সপ্রেস, বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের (Indian Railways) গতি কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
    জুলাই মাসের ২০, ২২, ২৭, ২৯ এবং‌ অগাস্ট মাসের ৩, ৫ বাতিল থাকছে ০৩০৫২ ডাউন বর্ধমান লোকাল। ওই দিনগুলির জন্য বাতিল থাকছে ৩৭৮৫৭ আপ বর্ধমান লোকালও। জুলাই মাসের ২১, ২৬, ২৮ এবং অগাস্ট মাসের ২, ৪, ৬ তারিখ বাতিল থাকছে ০৩০৫১ আপ বর্ধমান লোকাল, ৩৭৭৮১ ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল এবং ৩৭৭৮২, ৩৭৮১২ ডাউন বর্ধমান লোকাল।
    জুলাই মাসের ২৩, ২৪, ২৫, ৩০, ৩১ এবং অগাস্ট মাসের ১ তারিখ বাতিল থাকছে ০৩০৫১ এবং ৩৭৮৫৭ আপ বর্ধমান লোকাল, ৩৭৭৮১ ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল, ০৩০৫২, ৩৭৭৮২, ৩৭৮১২ ডাউন বর্ধমান লোকাল। ২০ জুলাই থেকে ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বাতিল থাকছে ১৩০২৭ হাওড়া-আজিমগঞ্জ কবিগুরু এক্সপ্রেস।

    আরও পরিবর্তন

    উড়ালপুলের কাজ চলার কারণে জুলাই মাসের ২০, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১ এবং অগাস্ট মাসের ১, ৩, ৫ তারিখ ১৩০২৯ হাওড়া-মোকামা এক্সপ্রেস (Indian Railways) হাওড়া স্টেশন থেকে রাত ১১ টা ২০ মিনিটের বদলে ১১ টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে এবং ট্রেনটি হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখা দিয়ে যাবে। উপরোক্ত দিনগুলিতে ১৩১৫৩ শিয়ালদহ-মালদহ গৌড় এক্সপ্রেস নৈহাটি-ব্যান্ডেল-কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রুট দিয়ে যাবে এবং যাত্রাপথে ট্রেনটি অম্বিকা কালনা, নবদ্বীপধাম, কাটোয়া, আজিমগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর স্টেশনে দাঁড়াবে। ১৩১৫৪ ডাউন মালদহ-শিয়ালদহ ডাউন গৌড় এক্সপ্রেসও এই বিকল্প পথ দিয়ে যাবে এবং ওই স্টেশনগুলিতে দাঁড়াবে। ওই দিনগুলির জন্যই ১৩০৩০ মোকামা-হাওড়়া এক্সপ্রেস হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখা দিয়ে যাবে।

    ট্রেনের (Indian Railways) গতি নিয়ন্ত্রণ

    তাছাড়াও রেলের তরফে জানা গিয়েছে, আজমগড়-কলকাতা এক্সপ্রেস, রক্সৌল-হাওড়া মিথিলা এক্সপ্রেস, জয়নগর-কলকাতা এক্সপ্রেস, বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস-সহ বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের গতি কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হতে পারে ট্রেনগুলির (Indian Railways)। রেলের উড়ালপুল তৈরির কাজ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, এই কাজ শেষ হলে ব্যান্ডেল অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: ‘নীল-সাদা’ নয়! এবার ছুটবে ‘গেরুয়া’ বন্দে ভারত

    Vande Bharat: ‘নীল-সাদা’ নয়! এবার ছুটবে ‘গেরুয়া’ বন্দে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিকতা, গ্ল্যামার, বিশ্বমানের সুবিধা, সব কিছুই মেলে বন্দে ভারতে (Vande Bharat)। এই ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের উৎসাহও চোখে পড়ার মতো। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে ২৫টি রুটে ছুটছে বন্দে ভারত। নীল-সাদা রঙের যে ট্রেন দেখতে অভ্যস্ত দেশবাসী, তা এবার বদলে হচ্ছে ‘গেরুয়া’, এমনটাই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দেশে প্রথম বন্দে ভারত ছোটে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

    ২৮ তম বন্দে ভারত হতে চলেছে গেরুয়া

    ২৭ তম বন্দে ভারত পর্যন্ত রং ছিল নীলন-সাদা। এবার গেরুয়া রং ‘গায়ে মাখবে’ দেশের ২৮ তম বন্দে ভারত। ইতিমধ্যে সামনে এসেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ট্যুইট করা নতুন বন্দে ভারতের ছবি। সেই ছবিতেই দেখা যাচ্ছে গেরুয়া পোশাকে বন্দে ভারতকে। তবে আগামী দিনে সব বন্দে ভারতকেই ‘গেরুয়া’ করা হরে কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী মোদি দুটি নতুন বন্দে ভারতের (Vande Bharat) উদ্বোধন করেন। একটি গোরখপুর থেকে লক্ষ্ণৌ এবং অপরটি সবরমতী থেকে যোধপুর।

    হঠাৎ কেন গেরুয়া হচ্ছে বন্দে ভারত (Vande Bharat)?

    এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের জাতীয় পতাকা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন বন্দে ভারতের রং বদলে গেরুয়া করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষামূলক ভাবে এই রং বদলানো হচ্ছে। শনিবার চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) পরিদর্শনে যান রেলমন্ত্রী। শুধু রং বদল নয়, বন্দে ভারতে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। নিরাপত্তার বিষয়েও বেশ কিছু বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বন্দে ভারত এবং অন্যান্য ট্রেনেও এই নিরাপত্তা পদ্ধতি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন রেলমন্ত্রী?

    রেলমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ভারতের ইঞ্জিনিয়াররা তা তৈরি করেছেন। বন্দে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে বেশ কিছু সুরক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অ্যান্টি ক্লাইম্বিং ডিভাইস। বন্দে ভারত চালুর পর থেকে আমরা এসি, টয়লেট ইত্যাদি বিষয়ে যে সমস্ত ফিডব্যাক পেয়েছি, তা কার্যকর করা হচ্ছে। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ভাড়া কমছে এসি চেয়ার কার, বন্দে ভারত-সহ সকল এগজিকিউটিভ শ্রেণির ট্রেনে!

    Indian Railway: ভাড়া কমছে এসি চেয়ার কার, বন্দে ভারত-সহ সকল এগজিকিউটিভ শ্রেণির ট্রেনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! এখন এগজিকিউটিভ ক্লাস ট্রেনগুলির (Indian Railway) ভাড়া পকেট সাশ্রয়ী হতে চলেছে, এমনটাই খবর রয়েছে ভারতীয় রেল সূত্রে। জানা গিয়েছে, ভাড়া কমছে বন্দে ভারত-সহ দেশের সমস্ত এগ্‌জিকিউটিভ ক্লাস ট্রেন, ভিস্তাডোম এবং এসি চেয়ার কার ট্রেনের। রেল জানিয়েছে, সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে ভাড়া। ভাড়া কত কমবে সেটা কীভাবে স্থির করা হবে? রেল বলছে, ওই ট্রেনগুলির টিকিট বিক্রির পরিমাণের ওপর নির্ভর করবে ভাড়া কত কমবে।  শনিবারই ভারতীয় রেলের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি সামনে এসেছে।

    কী বলছে রেল?

    রেলওয়ে বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এসি চেয়ার কার, অনুভূতি এবং ভিস্তাডোম কোচ-সহ সমস্ত এগ্‌জিকিউটিভ ক্লাস ট্রেনে এই ভাড়া প্রযোজ্য হবে। সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল ভা়ড়া কমানো হতে পারে। তবে রিজার্ভেশন চার্জ, জিএসটি-সহ বাকি পরিষেবা মূল্য আলাদা করে নেওয়া হবে।’’ রেল (Indian Railway) এও জানিয়েছে, গত এক মাসে যে ট্রেনগুলির মোট সিটের ৫০ শতাংশের বেশি টিকিট বিক্রি হয়নি, সেগুলিতে নতুন ভাড়া অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। তবে ট্রেনের ভাড়া কত কমবে, তা এবার ঠিক করবেন রেলের বিভিন্ন জোনের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু রেলবোর্ড সিদ্ধান্ত নেবেনা।

    উৎসবের মরসুমে মিলবে না এই সুবিধা

    তবে রেলের তরফে এও বলা হয়েছে, পুজো বা উৎসবের মরশুমে কিন্তু এধরনের ছাড়ের সুবিধা মিলবে না। জানা গিয়েছে, যাত্রীদের ট্রেন যাত্রায় উৎসাহ দিতেই রেলের এই পদক্ষেপ। কারণ, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে, ইন্দোর-ভোপাল, জবলপুর-ভোপাল এবং মাদগাঁও-মুম্বইয়ের মতো নতুন রুটে চালু হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা খুবই কম। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, তারপরেই ট্রেনের (Indian Railway) ভাড়া কমানোর কথা ভাবনাচিন্তা করে রেল মন্ত্রক। তবে যাত্রার সময় যে কোনও স্ট্রেচে তৎকাল অপশন নিলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share