Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Indian Railways: দুর্ঘটনা রোধে রেলের ট্র্যাক পরীক্ষায় এবার অত্যাধুনিক আল্ট্রাসোনিক মেশিন

    Indian Railways: দুর্ঘটনা রোধে রেলের ট্র্যাক পরীক্ষায় এবার অত্যাধুনিক আল্ট্রাসোনিক মেশিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব রেল ট্র্যাক এবং রেলপথের (Indian Railways) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরীক্ষার জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির পর যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পথে পা বাড়িয়েছে রেল। রেলের দাবি, ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে সুরক্ষা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রয়োগের জন্য, রেল এবং ওয়েল্ডেড জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা করার জন্য পূর্ব রেল ‘আল্ট্রাসোনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ’ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে। এর মূল বিশেষত্ব হল, ছোটখাট যে সব ত্রুটি খালি চোখে দেখা যায় না, আল্ট্রাসোনিক তরঙ্গের মাধ্যমে সেগুলি শনাক্ত করা সম্ভব। তাই এভাবে কাজের গুণমান কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই হিসাবে ইউএসএফডি (Ultrasonic Flaw Detection) একটি অত্যাধুনিক পরিদর্শন সরঞ্জাম, যা প্রাথমিক শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধমূলক রক্ষণাবেক্ষণ সাহায্য করছে।
     
    কোথায় কত পরীক্ষা হল? (Indian Railways)
     
    পূর্ব রেল ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৬২৭.৮৯ ট্র্যাক কিলোমিটার (টিকেএম) রেলপথের (Indian Railways) আল্ট্রাসোনিক ত্রুটি শনাক্তকরণ (ইউএসএফডি) পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ইউএসএফডি পরীক্ষার রেল ডিভিশিন ভিত্তিক অগ্রগতি হল-আসানসোল বিভাগে ২১৮১.৩২৬ টিকেএম, হাওড়া বিভাগে ৩৪৯৮.৫৯৫ টিকেএম, মালদা বিভাগে ১০৮৭.০০২ টিকেএম এবং শিয়ালদা বিভাগে ১৮৬০.৯৬৭ টিকেএম।
     
    এর মূল বৈশিষ্ট্য (Indian Railways)
     
    পূর্ব রেল জানিয়েছে, এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,
     
    উচ্চমানের নির্ভুল স্ক্যানিং: ইউএসএফডি সুনির্দিষ্ট স্ক্যানিংয়ের জন্য উন্নত আল্ট্রাসোনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ফলে এর মাধ্যমে সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক, এমন ক্ষুদ্রতম ত্রুটিগুলিও শনাক্ত করা সম্ভব।
    রিয়েল-টাইম ডেটা বিশ্লেষণ: ডেটা বিশ্লেষণ ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত এই মেশিন। ফলে ইউএসএফডি অপারেটররা যখন প্রয়োজন হয়, তখন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
    বর্ধিত নিরাপত্তা: ইউএসএফডি পরীক্ষার মাধ্যমে খালি চোখে দৃশ্যমান নাও হতে পারে, এমন ত্রুটিগুলি শনাক্ত করা সম্ভব। ফলে এটি যাত্রীদের সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে এবং সম্ভাব্য বিপদগুলি সক্রিয়ভাবে মোকাবিলা করে (Indian Railways)।
    অ-ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা: একটি অ-ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা পদ্ধতি হিসাবে ইউএসএফডি রেলের পরিকাঠামোর ক্ষতি না করে পরিদর্শন নিশ্চিত করে, ডাউনটাইম এবং অপারেশনাল ব্যাঘাত কমিয়ে আনে।
    অভিযোজনযোগ্যতা: ইউএসএফডি’র ডিজাইন করা হয়েছে বিভিন্ন ট্র্যাক কনফিগারেশন এবং পরিবেশগত অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো করে, যা পূর্ব রেলের বৈচিত্র্যময় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের পক্ষে খুবই কার্যকর হবে বলে রেলকর্তারা মনে করছেন।
     
     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: আগামী দিনে রেলের প্রত্যেক যাত্রীই পাবেন ‘কনফার্মড’ টিকিট, থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট

    Indian Railways: আগামী দিনে রেলের প্রত্যেক যাত্রীই পাবেন ‘কনফার্মড’ টিকিট, থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের (Indian Railways) টিকিট পেতে আর যাত্রীদের হয়রান হতে হবে না। করতে হবে না অপেক্ষাও। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ভারতীয় রেলের এই পরিকল্পনার কথা। ভারতের লাইফ লাইন এই রেল। প্রতিদিন তিল ধারণের জায়গা থাকে না লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি দূরপাল্লার ট্রেনেও।

    উৎসবে টিকিটের চাহিদা বাড়ে 

    দুর্গাপুজো, ছটপুজো, দীপাবলির মতো উৎসব-অনুষ্ঠানে টিকিটের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হয় যাত্রীদের। সমস্যায় পড়তে হয় ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে অনেকে পড়েন দালালের খপ্পরে। টিকিটের দামের চেয়ে ঢের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় টিকিট। এসবেই এবার ইতি টানতে চলেছেন ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামী চার-পাঁচ বছরে নেটওয়ার্ক বাড়িয়ে যাত্রীদের আরামদায়ক যাত্রা উপহার দেবে রেল। অতিরিক্ত ৩ হাজার মেল, এক্সপ্রেস ও যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আসছে নতুন ট্রেন 

    বর্তমানে প্রায় ৮০০ কোটি যাত্রী বহন করে রেল। পাঁচ বছরের মধ্যেই এর পরিমাণ পৌঁছবে হাজার কোটিতে। রেলমন্ত্রক (Indian Railways) সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রতিদিন ১০ হাজার ৭৪৮টি ট্রেন চলে। করোনা অতিমারির আগে এই সংখ্যাটা ছিল ১০ হাজার ১৮৬। এটা বাড়িয়ে ১৩ হাজার করার পরিকল্পনা করেছে রেল। সেই কারণেই নামানো হবে ৩ হাজার নতুন ট্রেন। ট্রেনে গতি আনতে বাড়ানো হচ্ছে ট্র্যাকও। প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার ট্র্যাকের নয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করছে রেল। ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। গতির কারণে এই ট্রেনে যাত্রীও হচ্ছে প্রচুর।

    আরও পড়ুুন: বৈঠক শেষে ফের জিনপিংকে ‘একনায়ক’ কটাক্ষ বাইডেনের, কেন চুপ চিনা প্রেসিডেন্ট?

    রেলকর্তারা জানান, রেলের লক্ষ্যই হল ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে টিকিট বুক করার জন্য প্রত্যেক যাত্রীই যেন নিশ্চিত টিকিট পান। একজন যাত্রীকেও যেন ওয়েটিংয়ে থাকতে না হয়। সারা দেশে যাত্রীর চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এই প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছে। আরও পুশ-পুল ট্রেন চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার জেরে গতি বাড়বে ট্রেনের। কমবে ভ্রমণের সময়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “আরও বন্দে ভারত ট্রেন, আধুনিক এলএইচবি কোচ এবং পুশ-পুল ট্রন চালু করা হবে। এর পাশাপাশি বছরে চার-পাঁচ হাজার কিলোমিটার নয়া ট্র্যাক তৈরির কাজও চলবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের লক্ষ্য, ভ্রমণের সময় কমানো ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো (Indian Railways)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Asansol: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    Asansol: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে আসানসোল (Asansol) ডিভিশনের পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল রেলমন্ত্রক। অমৃত ভারত প্রকল্পে এই উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রক অর্থ অনুমোদনও করেছে। আর সেই সব স্টেশনে কাজ শুরু হওয়ার পথে। নতুন করে পাঁচটি স্টেশনকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসীও খুশি।

    ঢেলে সংস্কার করা হচ্ছে কোন পাঁচটি স্টেশন? (Asansol)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের আসানসোল (Asansol) ডিভিশনের আসানসোল, রানিগঞ্জ, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এবং ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি-এই পাঁচটি স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ নতুন বছরের গোড়া থেকে শুরু হবে। এর জন্য রেল মন্ত্রক প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল স্টেশনে কাজ শুরু হয়েছে। শুরুতে অমৃত ভারত প্রকল্পে রানিগঞ্জ স্টেশনের নাম ছিল না। অথচ এই স্টেশন ১৮৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল পর্যন্ত রেল চালু হওয়ার পর তা সম্প্রসারণের কাজ বর্ধমান হয়ে রানিগঞ্জ পর্যন্ত হয়েছিল। তাই, এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সরব হন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। পরে এই স্টেশনের নাম নথিভুক্ত করা হয়।

    কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে?

    রেল সূত্রে খবর, রানিগঞ্জে চলমান সিঁড়ি, লিফ্‌ট, আধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পাণ্ডবেশ্বরে সৌন্দর্যায়ন, অন্ডালে লিফ্‌ট, চলমান সিঁড়ি, ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হবে। পাশাপাশি, পাণ্ডবেশ্বর লাগোয়া ঝাঁঝরা, সোনপুর বাজারি খনি থেকে রেলের রেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা পরিবহণ করা হয়। তাই পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনটির পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। আর এই কাজের জন্য রানিগঞ্জের জন্য ৩৫ কোটি, পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনের জন্য ২১ কোটি, অন্ডালের জন্য ২০ কোটি এবং কুমারডুবি স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, প্রথম ধাপে আসানসোলের (Asansol) সঙ্গে বাকি চারটি স্টেশনের কাজও চলবে। নতুন বছরেই কাজ শুরু হবে। আসানসোল রেল ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল কুমারডুবি। সেখানে নতুন স্টেশন ভবন, অত্যাধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, দু’টি চলমান সিঁড়ি, লিফট তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ট্রেনে ধূমপানের দিন শেষ, সিগারেটে টান দিলেই স্মোক ডিটেক্টরে জ্বলবে লাল আলো

    Indian Railways: ট্রেনে ধূমপানের দিন শেষ, সিগারেটে টান দিলেই স্মোক ডিটেক্টরে জ্বলবে লাল আলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে লুকিয়ে ধূমপান অনেকেই করেন। বেশিরভাগই এক্ষেত্রে ট্রেনের (Indian Railways) টয়লেটকে ব্যবহার করেন। সুখটানের অনুভূতি কি আর অত সহজে ছাড়া যায়! তবে এবার লুকিয়ে ধূমপান করার দিন শেষ হয়ে গেল। ট্রেনে এতদিন পর্যন্ত ‘নো স্মোকিং বোর্ড’ থাকত, কিন্তু তা অনেকেই অগ্রাহ্য করতেন। তবে এবার আর যাত্রীর ধূমপান গোপন থাকবে না।

    ট্রেনের বগিতে স্মোক ডিটেক্টর

    ট্রেনের (Indian Railways) প্রত্যেকটি বগিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক স্মোক ডিটেক্টর। এই যন্ত্রই একেবারে হাতেনাতে ধরবে ধূমপায়ীদের। ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিটি কোচে একটি ‘ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম’ স্থাপন করেছে। যেটি যে কোনও কামরায় ধোঁয়া বা আগুনের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, কোনও কারনে ধোঁয়া বা আগুন যদি স্থায়ী হতে থাকে, তাহলে সেই সিস্টেমটি অ্য়ালার্ম দেবে। জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের প্রায় ৮৭ শতাংশ এসি কোচে বর্তমানে চালু হয়ে গিয়েছে এই ব্যবস্থা। ১০৯২টি কামরার মধ্যে ৯৪৯টি কামরায় ইতিমধ্যে চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। অন্যদিকে ১৩৮টি পাওয়ার ও প্যান্ট্রি কোচেই চালু হয়েছে এই ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুুন: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    ‘ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম’-এর কাজ

    ১) যে কোনও ধরনের ধোঁয়া ট্রেনের (Indian Railways) কামরার মধ্যে নির্গত হলেই তা স্মোক সেন্সরে ধরা পড়ে যাবে। এটি বিড়ি-সিগারেট থেকেও হতে পারে।

    ২) যে কোনও ধরনের ধোঁয়া কামড়ায় নির্গত হলেই তা প্যানেলে বিশ্লেষণ করা হবে।

    ৩) ধোঁয়া ট্রেনের কামরার মধ্যে বেশিক্ষণ স্থায়ী হলেই ভিতরে লাল বাতি জ্বলতে থাকবে।

    ৪) ধোঁয়া ক্রমাগত কামরার মধ্যে থাকলে এক মিনিট পরেই একটি ঘোষণা হবে। রেল কর্তৃপক্ষ তখন যাত্রীদের সেই কামরা ছাড়ার নির্দেশ দেবে।

     

    আরও পড়ুন: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল তৃণমূলের (TMC) দিল্লি যাত্রার বিশেষ ট্রেন। আগামীকাল শনিবার হাওড়া থেকে দিল্লিগামী তৃণমূলের জন্য ট্রেন ছাড়ছে না বলে জানা গেছে। এই নিয়ে রেলের পূর্ব রেল, আইআরসিটিসিকে স্পষ্ট ভাবে জানায় যে দিল্লি যাওয়ার জন্য যে আলাদা বগি চাওয়া হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল অবশ্য এই ট্রেন বাতিলের বিষয়ে পাল্টা বিজপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করছে।

    রেলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) রেল বাতিল নিয়ে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আইআরসিটিসি আমাদের কাছে ট্রেনের জন্য বলেছিল। কিন্তু তেমন বগির ট্রেন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সেটা আইআরসিটিসিকে জানিয়ে দিয়েছি।”

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা (TMC)

    আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করা। তৃণমূল আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল, ট্রেন ভাড়া করে তৃণমূলের কর্মীরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে। সেই মতন ২২ বগির একটি এক্সপ্রেস বুক করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেল যে পূর্ব রেল এমন কোনও ট্রেন দিতে পারছে না। পূর্ব রেল, আইআরসিটিসকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য যেমন বগি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল (TMC) এই দিল্লি যাত্রায় ট্রেন বাতিলের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার ঘটনার কথা বলে উল্লেখ করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণেই করা হয়েছে। বিজেপি তৃণমূলের এই অভিযানকে ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে। তবে এই সব করে বিজেপি, তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) দিল্লিগামী রেল বাতিলের প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি তো রেলের মুখপাত্র নই, তাই এই নিয়ে কিছু বলার অধিকারী নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: টাকা দিতে টালবাহানা রাজ্যের, নিজেরাই ওভারব্রিজ তৈরি করবে রেল, জানালেন আলুওয়ালিয়া

    Durgapur: টাকা দিতে টালবাহানা রাজ্যের, নিজেরাই ওভারব্রিজ তৈরি করবে রেল, জানালেন আলুওয়ালিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলের ওভারব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে খরচের চার ভাগের এক ভাগ রাজ্য বহন করে এবং তিনভাগ রেল। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের টালবাহানায় থমকে দুর্গাপুরের (Durgapur) মায়বাজার ও পানাগড়ে রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরির কাজ। রাজ্য টাকা দিতে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন আর্থিক সঙ্কট। অথচ দান খয়রাতি, বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধিতে রাজ্যের কোনও আর্থিক সঙ্কট নজরে পড়ছে না। তাহলে আর্থিক সঙ্কট কি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাফাইবাক্য? এদিকে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের জেরে রেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দুটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরি করতে যখন রাজ্য সরকার অপারগ, তখন কেন্দ্রীয় সরকার নিজের খরচে তৈরি করবে বলে জানিয়ে দিলেন দুর্গাপুর বর্ধমানের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

    দুর্ভোগের শিকার এলাকার সাধারণ মানুষ (Durgapur) 

    উল্লেখ্য, পানাগড় ও মায়াবাজারের (Durgapur) ওভারব্রিজ তৈরি না হওয়ার ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুল পড়ুয়ারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেল গেটের কাছে দাঁড়িয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিল রোগী থেকে পথচলতি মানুষ। বছর দুয়েক আগে সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ওই দুই রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরিতে উদ্যোগী হন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অনুদান প্রসঙ্গে রেল দফতর চিঠি দিয়ে আসছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সাংসদ আলুওয়ালিয়া। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জট কাটে রাজ্যে রেল ওভারব্রিজ তৈরির কাজে। প্রধানমন্ত্রী রেলমন্ত্রককে নিজেদের একশো শতাংশ খরচে ওভারব্রিজ তৈরির নির্দেশ দেন। সেইমতো রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তারা তাদের নিজেদের খরচে পানাগড় ও মায়াবাজারের ওই দুই ওভারব্রিজ তৈরি করবে।

    কী বললেন সাংসদ আলুওয়ালিয়া (Durgapur) 

    বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর (Durgapur) ও পানাগড়ে রেলের দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। দুর্গাপুরে দুটি প্ল্যাটফর্মে চলমান সিঁড়ির উদ্বোধন করেন এবং পানাগড়ে পুর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসের স্টপেজের সূচনা করেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের টালবাহানার জন্য পানাগড় ও মায়াবাজার রেলব্রিজ নির্মাণের কাজ আটকে ছিল। বহুবার রেলের তরফে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার সদুত্তর আসেনি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। রাজ্য এক-চতুর্থাংশ অনুদান দিতে হয়তো গররাজি। তাই বলে পশ্চিমবঙ্গে মোদিজির বিকাশযাত্রা থামবে না। তিনি রেল মন্ত্রককে একশো  শতাংশ খরচ করে রেল ওভারব্রিজ তৈরির জন্য বলেছেন। রাজ্যের অনুদান ছাড়াই ওই দুই রেলওভারব্রিজ তৈরি হবে। খুব শীঘ্রই রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রস্তাবিত ওভারব্রিজের জমি পরিদর্শনে আসব।” বৃহস্পতিবারই রাজ্যে বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ভাতা বৃদ্ধি ও আর্থিক সঙ্কট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আলুওয়ালিয়া বলেন,” বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধি হয়েছে কি জানি না। তবে পুজো ও ঈদের সময় রাজ্যের বিধায়কদের ট্রাক ভর্তি করে শাড়ি, জামা-কাপড় দেওয়া হয়।শীতকালে কম্বল, বর্ষায় ত্রিপল দেওয়া হয়। অথচ আমি রাজ্যের সাড়ে ন’ বছর সাংসদ রয়েছি। এযাবৎকাল একটা শাড়ি কিম্বা কাপড়, কিম্বা ত্রিপল পাইনি। আমিও এরাজ্যের একজন প্রতিনিধি সাংসদ। বিরোধীদলের সাংসদ বলেই বঞ্চিত করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব রেলের উদ্যোগে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে চালু হল লোকাল ট্রেনের (Indian Railways) জন্য অটোমেটিক কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট। যেখানে মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিটে একটি ট্রেনের বগি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে অটোমেটিক ক্লিনারের মাধ্যমে। ট্রেনটি যখন রেল ট্র্যাক দিয়ে এগিয়ে যাবে, তখন দু’ দিক থেকে অটোমেটিক ক্লিনার পরিষ্কারের কাজ শুরু করবে। মূলত শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে এই স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই হাওড়া কারশেড ছাড়াও অন্যান্য রেল ডিভিশনে এই ধরনের স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং মেশিন বসানো হয়েছে।

    কীভাবে হচ্ছে এই পরিস্কারের কাজ (Indian Railways)?

    স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট হল রেকের কোচের জন্য একটি মাল্টিস্টেজ এক্সটার্নাল ক্লিনিং সিস্টেম। তরল ডিটারজেন্ট, উচ্চচাপের জলের ফোয়ারা বা জেট এবং উলম্ব ঘূর্ণায়মান ব্রাশ ব্যবহার করে এই পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। ১২ কোচের ইএমইউ ট্রেনের (Indian Railways) পুরো রেকটি বাহ্যিকভাবে ধোয়ার জন্য মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিট সময় লাগে। হাওড়া ইএমইউ কারশেডে গড়ে প্রতিদিন ১৩ টি ইএমইউ রেক এইভাবে ধোয়া হচ্ছে বর্তমানে। ট্রেন প্রবেশের পর ধোয়া শুরু করার জন্য প্ল্যান্টটি সেন্সর ভিত্তিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। এই ওয়াশিং সিস্টেমে প্রতিটি ট্রেনের জন্য শুধুমাত্র ২০% বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৮০% পুনর্ব্যবহার‍্যোগ্য জল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এরপর ঠিকমতো পরিষ্কার বা ধোয়া হল কিনা, তা দেখতে রেলের পক্ষ থেকে  দক্ষ কর্মী ও  কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা নিয়মিত এই পরিষ্কারের দিকটি পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে স্থানীয় যাত্রীরা রেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেন।

    রেলযাত্রীরা (Indian Railways) খুশি

    রেলের এই কর্মকাণ্ডে খুশি সাধারণ রেলযাত্রীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় এই অটোমেটিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে প্রতিটি ট্রেনের (Indian Railways) কামরাই সুন্দরভাবে পরিষ্কার থাকে। তবে ট্রেন কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশগুলি সেভাবে পরিচ্ছন্ন থাকে না। যাত্রীদের ফেলে দেওয়া জিনিসেই অনেক সময় নোংরা হয়ে থাকে। তাই ট্রেনের বাহ্যিক দিক পরিষ্কারের পাশাপাশি যাতে কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশ, বিশেষ করে সিটের নিচে জমে থাকা নোংরা এবং ফ্যানের গায়ে তৈরি হওয়া ঝুল পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও রেল কর্তৃপক্ষকে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি (ABSS) শুরু হয়। তারই প্রতিফলন হিসাবে উঠে আসে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের ২৭ টি রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণ ঘটাতে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেল স্টেশনগুলিকে অত্যাধুনিক মানের হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

    কী এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প (ABSS)?

    অমৃত ভারত প্রকল্প (ABSS) হল ভারতীয় রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের ৫০৮ টি স্টেশনকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া, যা হবে বিশ্বমানের। বলা যেতে পারে রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের এক নতুন নীতি এটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনের চাহিদা অনুসারে একটি দীর্ঘমেয়াদী মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলবে।

    পশ্চিমবঙ্গের ক’টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পাবে?

    ভারতে ২৭টি রাজ্যের ৫০৮টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পেতে চলেছে। যার মধ্যে সব রাজ্যের অনেক স্টেশনে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ টি স্টেশন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলছে। তার মধ্যে শিয়ালদা, বর্ধমান, রামপুরহাট, আসানসোল, অন্ডাল, সিউড়ি, নিউ কোচবিহার, খড়্গপুর, নিউ আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    এই প্রকল্পের (ABSS) মূল লক্ষ্যগুলি কী?

    প্রত্যেকটি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ ও অত্যাধুনিক মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি কতকগুলি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে যেমন:-

    ১) প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে অত্যাধুনিক মানের তৈরি করা হবে এবং সেগুলিতে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য পণ্যের দোকান। 
    ২) স্টেশনমুখী বা স্টেশন লাগোয়া সমস্ত রাস্তাকে চওড়া করা হবে এবং রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ নির্মাণগুলিকে সরিয়ে ফেলা হবে, যাতে সহজেই যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন এবং স্টেশন থেকে বের হতে পারেন। তার সঙ্গে থাকবে দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা।
    ৩) স্টেশনগুলিকে আগের থেকে উঁচু করে নির্মাণ করা হবে, ৬৭০ থেকে ৮১০ মিলি উঁচু করা হবে। 
    ৪) স্টেশন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা বিশেষ আলোর মাধ্যমে আলোকিত করা হবে।
    ৫) নিত্যযাত্রীদের স্টেশন চত্বরে পার্কিং ব্যবস্থা সুলভ করার জন্য বিশেষ পার্কিং প্লেস তৈরি করা হবে। 
    ৬) মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হবে।  
    ৭) তহবিল অনুযায়ী সমগ্র ভারতবর্ষে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) অধীনে থাকা স্টেশনগুলিকে পরিবেশ বান্ধব স্টেশন হিসাবে নির্মাণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) সংলগ্ন পার্কিং লটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত ও স্থানীয় মস্তানদের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনেক ট্যাক্সিচালকই শালিমার স্টেশনে যেতে চাইছেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতো শালিমার স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নেই। যে সংস্থাকে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তা মূলত স্টেশনের সামনের পার্কিং জোনের জন্য। কিন্তু পার্কিংয়ের কন্ট্রাক্টররা স্টেশন থেকে আরও প্রায় আধ  কিলোমিটার দূরে দু’নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকায় যত ট্যাক্সি প্রবেশ করে, তাদের কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি নেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। ফলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ির চালকরা শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় পান।

    নেই কোনও বাসরুটও(Shalimar Station)

    অন্যদিকে শালিমার স্টেশনে যাওয়ার যে বাস রুট রয়েছে, তাও প্রায় এক কিলোমিটার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেললাইন পার হয়ে একটি রাস্তা সরাসরি শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির দিকে গেছে। ব্যতাইতলা ফাঁড়ি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং পার হলেই ওই রাস্তায় রয়েছে শালিমার তিন নম্বর গেট। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেট বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রীকেই ডানদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর কলেজ রোড ধরতে হয়। এই রাস্তাটি ঘুরে এসে আবার তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে ডান দিকে কলেজ রোড বেঁকে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যেদিক দিয়েই যাত্রীরা আসুক না কেন, তিন নম্বর গেটের পর শালিমার স্টেশনে (Shalimar Station) যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় তাঁদের অটো, টোটো অথবা ট্যাক্সি ধরতে হয়। ফলে টোটো চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে মওকা বুঝে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকায়।

    যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতা (Shalimar Station)

    ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আরেকটি রাস্তা লেভেল ক্রসিংয়ের আগে বাঁদিকে বেঁকে গেছে। যেটি  শালিমার (Shalimar Station) দু’নম্বর গেট পর্যন্ত গেছে। এই দুই নম্বর গেট দিয়ে যাতে সহজে শালিমার স্টেশনে যাওয়া যায়, সেই জন্য দু’নম্বর গেটের কাছে একটি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। বর্তমানে সেখানে কিছু পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দু’নম্বর গেটের লেভেল ক্রসিংও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে এখান থেকেও যাত্রীদের রেললাইন পার হয়ে ফের আরেকটি টোটো বা ট্যাক্সি ধরে শালিমার স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। তাও আর এক যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। টোটো থেকে নেমে  বর্ষায় ভাঙাচোরা, কাদা প্যাচপ্যাচানি রাস্তা পার হয়ে যাত্রীদের বড় বড় লাগেজ নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টেশনে পোঁছাতে হয়।

    কী বলছেন যাত্রী সংগঠনের কর্তারা?

    হাওড়া জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় দোলুই বলেন, শুধু শালিমার স্টেশনেই (Shalimar Station) নয়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের বাইরেও এভাবে যাত্রীদের নানা ভাবে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং জোর করে অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাল রেল?

    রেল সুত্রে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) চত্বরের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ স্থানীয় পুলিশের। যাত্রীদের সঙ্গে জোর করে এবং অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হলে স্থানীয় পুলিশকেই বিষয়টি দেখতে  হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, যাত্রীদের কী কী সুবিধা হবে?

    Indian Railways: স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, যাত্রীদের কী কী সুবিধা হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট ছোট স্টেশন (Indian Railways) পর্যন্ত দূরযাত্রার টিকিট করতে প্রায়ই হয়রানি হয় যাত্রীদের। অনলাইন টিকিটের ক্ষেত্রে বুকিং এর সময় নাম খুঁজতেও সমস্যা হয়। অথচ দেখা যায়, ওই স্টেশনে নামলেই মূল গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়। যেমন ধরুন আপনি নবদ্বীপ ধাম যাবেন, সেক্ষেত্রে আপনি বিষ্ণুপ্রিয়াতে নামলে সব থেকে সুবিধা হবে। কিন্তু নবদ্বীপ ধামের মতো বিষ্ণুপ্রিয়া অত জনপ্রিয় স্টেশন নয়। এই সমস্যা দূর করতে এবার উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেল সূত্রে খবর মিলেছে, জনপ্রিয় স্থান বা শহরের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ছোট ছোট স্টেশনের নাম। এর ফলে ভ্রমনের পরিকল্পনাও যেমন সহজ হবে তেমনি ওয়েবসাইট বা মোবাইল আ্যপের মাধ্যমে টিকিট কাটাও খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবেন ভ্রমণপ্রিয়রা। পর্যটকদের স্টেশনের নাম খুঁজতে আর অসুবিধা হবে না। এর পাশাপাশি, ছোটখাটো স্টেশনের নাম জনপ্রিয় জায়গার সঙ্গে জুড়লে সেখানকার বাসিন্দারা গর্ব অনুভব যেমন করবেন তেমনি সেই অঞ্চলে বাণিজ্যও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।  

    গত মাসের ২১ জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থার

    ইতিমধ্যে ২১ জুলাই থেকেই এই নতুন কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর মিলেছে। রেলের আধিকারিকরা (Indian Railways) জানিয়েছেন, গোটা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে বিভিন্ন টিম কাজ করছে। বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭২৫টি স্টেশনের সঙ্গে ১৭৫ টি জনপ্রিয় স্থানকে যুক্ত করার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। যেমন নয়ডা জুড়েছে নতুন দিল্লির সঙ্গে।

    নতুন ব্যবস্থার সুবিধা 

    অন্যদিকে কাশী , খাটুশ্যাম , বদ্রীনাথ , কেদারনাথ , বৈষ্ণদেবীর মতো বিখ্যাত তীর্থস্থানগুলি জুড়েছে কাছের স্টেশনের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় আরও সুবিধা মিলবে (Indian Railways)। যেমন ধরুন, কোনও কারণে কোনও স্টেশনে কাজ চললে তার বিকল্প প্ল্যাটফর্মের নাম প্লানারে যোগ হয়ে যাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ট্রেন যাত্রা (Indian Railways) আরও সহজ হবে যাত্রীদের ক্ষেত্রে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share