Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল তৃণমূলের (TMC) দিল্লি যাত্রার বিশেষ ট্রেন। আগামীকাল শনিবার হাওড়া থেকে দিল্লিগামী তৃণমূলের জন্য ট্রেন ছাড়ছে না বলে জানা গেছে। এই নিয়ে রেলের পূর্ব রেল, আইআরসিটিসিকে স্পষ্ট ভাবে জানায় যে দিল্লি যাওয়ার জন্য যে আলাদা বগি চাওয়া হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল অবশ্য এই ট্রেন বাতিলের বিষয়ে পাল্টা বিজপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করছে।

    রেলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) রেল বাতিল নিয়ে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আইআরসিটিসি আমাদের কাছে ট্রেনের জন্য বলেছিল। কিন্তু তেমন বগির ট্রেন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সেটা আইআরসিটিসিকে জানিয়ে দিয়েছি।”

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা (TMC)

    আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করা। তৃণমূল আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল, ট্রেন ভাড়া করে তৃণমূলের কর্মীরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে। সেই মতন ২২ বগির একটি এক্সপ্রেস বুক করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেল যে পূর্ব রেল এমন কোনও ট্রেন দিতে পারছে না। পূর্ব রেল, আইআরসিটিসকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য যেমন বগি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল (TMC) এই দিল্লি যাত্রায় ট্রেন বাতিলের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার ঘটনার কথা বলে উল্লেখ করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণেই করা হয়েছে। বিজেপি তৃণমূলের এই অভিযানকে ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে। তবে এই সব করে বিজেপি, তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) দিল্লিগামী রেল বাতিলের প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি তো রেলের মুখপাত্র নই, তাই এই নিয়ে কিছু বলার অধিকারী নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: টাকা দিতে টালবাহানা রাজ্যের, নিজেরাই ওভারব্রিজ তৈরি করবে রেল, জানালেন আলুওয়ালিয়া

    Durgapur: টাকা দিতে টালবাহানা রাজ্যের, নিজেরাই ওভারব্রিজ তৈরি করবে রেল, জানালেন আলুওয়ালিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলের ওভারব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে খরচের চার ভাগের এক ভাগ রাজ্য বহন করে এবং তিনভাগ রেল। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের টালবাহানায় থমকে দুর্গাপুরের (Durgapur) মায়বাজার ও পানাগড়ে রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরির কাজ। রাজ্য টাকা দিতে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন আর্থিক সঙ্কট। অথচ দান খয়রাতি, বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধিতে রাজ্যের কোনও আর্থিক সঙ্কট নজরে পড়ছে না। তাহলে আর্থিক সঙ্কট কি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাফাইবাক্য? এদিকে রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের জেরে রেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দুটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরি করতে যখন রাজ্য সরকার অপারগ, তখন কেন্দ্রীয় সরকার নিজের খরচে তৈরি করবে বলে জানিয়ে দিলেন দুর্গাপুর বর্ধমানের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

    দুর্ভোগের শিকার এলাকার সাধারণ মানুষ (Durgapur) 

    উল্লেখ্য, পানাগড় ও মায়াবাজারের (Durgapur) ওভারব্রিজ তৈরি না হওয়ার ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুল পড়ুয়ারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেল গেটের কাছে দাঁড়িয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিল রোগী থেকে পথচলতি মানুষ। বছর দুয়েক আগে সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ওই দুই রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরিতে উদ্যোগী হন। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অনুদান প্রসঙ্গে রেল দফতর চিঠি দিয়ে আসছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন সাংসদ আলুওয়ালিয়া। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জট কাটে রাজ্যে রেল ওভারব্রিজ তৈরির কাজে। প্রধানমন্ত্রী রেলমন্ত্রককে নিজেদের একশো শতাংশ খরচে ওভারব্রিজ তৈরির নির্দেশ দেন। সেইমতো রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তারা তাদের নিজেদের খরচে পানাগড় ও মায়াবাজারের ওই দুই ওভারব্রিজ তৈরি করবে।

    কী বললেন সাংসদ আলুওয়ালিয়া (Durgapur) 

    বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর (Durgapur) ও পানাগড়ে রেলের দুটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। দুর্গাপুরে দুটি প্ল্যাটফর্মে চলমান সিঁড়ির উদ্বোধন করেন এবং পানাগড়ে পুর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসের স্টপেজের সূচনা করেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের টালবাহানার জন্য পানাগড় ও মায়াবাজার রেলব্রিজ নির্মাণের কাজ আটকে ছিল। বহুবার রেলের তরফে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার সদুত্তর আসেনি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। রাজ্য এক-চতুর্থাংশ অনুদান দিতে হয়তো গররাজি। তাই বলে পশ্চিমবঙ্গে মোদিজির বিকাশযাত্রা থামবে না। তিনি রেল মন্ত্রককে একশো  শতাংশ খরচ করে রেল ওভারব্রিজ তৈরির জন্য বলেছেন। রাজ্যের অনুদান ছাড়াই ওই দুই রেলওভারব্রিজ তৈরি হবে। খুব শীঘ্রই রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রস্তাবিত ওভারব্রিজের জমি পরিদর্শনে আসব।” বৃহস্পতিবারই রাজ্যে বিধায়ক-মন্ত্রীদের ভাতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ভাতা বৃদ্ধি ও আর্থিক সঙ্কট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আলুওয়ালিয়া বলেন,” বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধি হয়েছে কি জানি না। তবে পুজো ও ঈদের সময় রাজ্যের বিধায়কদের ট্রাক ভর্তি করে শাড়ি, জামা-কাপড় দেওয়া হয়।শীতকালে কম্বল, বর্ষায় ত্রিপল দেওয়া হয়। অথচ আমি রাজ্যের সাড়ে ন’ বছর সাংসদ রয়েছি। এযাবৎকাল একটা শাড়ি কিম্বা কাপড়, কিম্বা ত্রিপল পাইনি। আমিও এরাজ্যের একজন প্রতিনিধি সাংসদ। বিরোধীদলের সাংসদ বলেই বঞ্চিত করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব রেলের উদ্যোগে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে চালু হল লোকাল ট্রেনের (Indian Railways) জন্য অটোমেটিক কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট। যেখানে মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিটে একটি ট্রেনের বগি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে অটোমেটিক ক্লিনারের মাধ্যমে। ট্রেনটি যখন রেল ট্র্যাক দিয়ে এগিয়ে যাবে, তখন দু’ দিক থেকে অটোমেটিক ক্লিনার পরিষ্কারের কাজ শুরু করবে। মূলত শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে এই স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই হাওড়া কারশেড ছাড়াও অন্যান্য রেল ডিভিশনে এই ধরনের স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং মেশিন বসানো হয়েছে।

    কীভাবে হচ্ছে এই পরিস্কারের কাজ (Indian Railways)?

    স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট হল রেকের কোচের জন্য একটি মাল্টিস্টেজ এক্সটার্নাল ক্লিনিং সিস্টেম। তরল ডিটারজেন্ট, উচ্চচাপের জলের ফোয়ারা বা জেট এবং উলম্ব ঘূর্ণায়মান ব্রাশ ব্যবহার করে এই পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। ১২ কোচের ইএমইউ ট্রেনের (Indian Railways) পুরো রেকটি বাহ্যিকভাবে ধোয়ার জন্য মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিট সময় লাগে। হাওড়া ইএমইউ কারশেডে গড়ে প্রতিদিন ১৩ টি ইএমইউ রেক এইভাবে ধোয়া হচ্ছে বর্তমানে। ট্রেন প্রবেশের পর ধোয়া শুরু করার জন্য প্ল্যান্টটি সেন্সর ভিত্তিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। এই ওয়াশিং সিস্টেমে প্রতিটি ট্রেনের জন্য শুধুমাত্র ২০% বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৮০% পুনর্ব্যবহার‍্যোগ্য জল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এরপর ঠিকমতো পরিষ্কার বা ধোয়া হল কিনা, তা দেখতে রেলের পক্ষ থেকে  দক্ষ কর্মী ও  কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা নিয়মিত এই পরিষ্কারের দিকটি পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে স্থানীয় যাত্রীরা রেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেন।

    রেলযাত্রীরা (Indian Railways) খুশি

    রেলের এই কর্মকাণ্ডে খুশি সাধারণ রেলযাত্রীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় এই অটোমেটিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে প্রতিটি ট্রেনের (Indian Railways) কামরাই সুন্দরভাবে পরিষ্কার থাকে। তবে ট্রেন কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশগুলি সেভাবে পরিচ্ছন্ন থাকে না। যাত্রীদের ফেলে দেওয়া জিনিসেই অনেক সময় নোংরা হয়ে থাকে। তাই ট্রেনের বাহ্যিক দিক পরিষ্কারের পাশাপাশি যাতে কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশ, বিশেষ করে সিটের নিচে জমে থাকা নোংরা এবং ফ্যানের গায়ে তৈরি হওয়া ঝুল পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও রেল কর্তৃপক্ষকে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি (ABSS) শুরু হয়। তারই প্রতিফলন হিসাবে উঠে আসে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের ২৭ টি রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণ ঘটাতে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেল স্টেশনগুলিকে অত্যাধুনিক মানের হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

    কী এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প (ABSS)?

    অমৃত ভারত প্রকল্প (ABSS) হল ভারতীয় রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের ৫০৮ টি স্টেশনকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া, যা হবে বিশ্বমানের। বলা যেতে পারে রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের এক নতুন নীতি এটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনের চাহিদা অনুসারে একটি দীর্ঘমেয়াদী মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলবে।

    পশ্চিমবঙ্গের ক’টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পাবে?

    ভারতে ২৭টি রাজ্যের ৫০৮টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পেতে চলেছে। যার মধ্যে সব রাজ্যের অনেক স্টেশনে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ টি স্টেশন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলছে। তার মধ্যে শিয়ালদা, বর্ধমান, রামপুরহাট, আসানসোল, অন্ডাল, সিউড়ি, নিউ কোচবিহার, খড়্গপুর, নিউ আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    এই প্রকল্পের (ABSS) মূল লক্ষ্যগুলি কী?

    প্রত্যেকটি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ ও অত্যাধুনিক মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি কতকগুলি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে যেমন:-

    ১) প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে অত্যাধুনিক মানের তৈরি করা হবে এবং সেগুলিতে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য পণ্যের দোকান। 
    ২) স্টেশনমুখী বা স্টেশন লাগোয়া সমস্ত রাস্তাকে চওড়া করা হবে এবং রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ নির্মাণগুলিকে সরিয়ে ফেলা হবে, যাতে সহজেই যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন এবং স্টেশন থেকে বের হতে পারেন। তার সঙ্গে থাকবে দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা।
    ৩) স্টেশনগুলিকে আগের থেকে উঁচু করে নির্মাণ করা হবে, ৬৭০ থেকে ৮১০ মিলি উঁচু করা হবে। 
    ৪) স্টেশন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা বিশেষ আলোর মাধ্যমে আলোকিত করা হবে।
    ৫) নিত্যযাত্রীদের স্টেশন চত্বরে পার্কিং ব্যবস্থা সুলভ করার জন্য বিশেষ পার্কিং প্লেস তৈরি করা হবে। 
    ৬) মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হবে।  
    ৭) তহবিল অনুযায়ী সমগ্র ভারতবর্ষে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) অধীনে থাকা স্টেশনগুলিকে পরিবেশ বান্ধব স্টেশন হিসাবে নির্মাণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) সংলগ্ন পার্কিং লটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত ও স্থানীয় মস্তানদের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনেক ট্যাক্সিচালকই শালিমার স্টেশনে যেতে চাইছেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতো শালিমার স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নেই। যে সংস্থাকে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তা মূলত স্টেশনের সামনের পার্কিং জোনের জন্য। কিন্তু পার্কিংয়ের কন্ট্রাক্টররা স্টেশন থেকে আরও প্রায় আধ  কিলোমিটার দূরে দু’নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকায় যত ট্যাক্সি প্রবেশ করে, তাদের কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি নেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। ফলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ির চালকরা শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় পান।

    নেই কোনও বাসরুটও(Shalimar Station)

    অন্যদিকে শালিমার স্টেশনে যাওয়ার যে বাস রুট রয়েছে, তাও প্রায় এক কিলোমিটার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেললাইন পার হয়ে একটি রাস্তা সরাসরি শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির দিকে গেছে। ব্যতাইতলা ফাঁড়ি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং পার হলেই ওই রাস্তায় রয়েছে শালিমার তিন নম্বর গেট। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেট বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রীকেই ডানদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর কলেজ রোড ধরতে হয়। এই রাস্তাটি ঘুরে এসে আবার তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে ডান দিকে কলেজ রোড বেঁকে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যেদিক দিয়েই যাত্রীরা আসুক না কেন, তিন নম্বর গেটের পর শালিমার স্টেশনে (Shalimar Station) যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় তাঁদের অটো, টোটো অথবা ট্যাক্সি ধরতে হয়। ফলে টোটো চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে মওকা বুঝে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকায়।

    যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতা (Shalimar Station)

    ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আরেকটি রাস্তা লেভেল ক্রসিংয়ের আগে বাঁদিকে বেঁকে গেছে। যেটি  শালিমার (Shalimar Station) দু’নম্বর গেট পর্যন্ত গেছে। এই দুই নম্বর গেট দিয়ে যাতে সহজে শালিমার স্টেশনে যাওয়া যায়, সেই জন্য দু’নম্বর গেটের কাছে একটি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। বর্তমানে সেখানে কিছু পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দু’নম্বর গেটের লেভেল ক্রসিংও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে এখান থেকেও যাত্রীদের রেললাইন পার হয়ে ফের আরেকটি টোটো বা ট্যাক্সি ধরে শালিমার স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। তাও আর এক যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। টোটো থেকে নেমে  বর্ষায় ভাঙাচোরা, কাদা প্যাচপ্যাচানি রাস্তা পার হয়ে যাত্রীদের বড় বড় লাগেজ নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টেশনে পোঁছাতে হয়।

    কী বলছেন যাত্রী সংগঠনের কর্তারা?

    হাওড়া জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় দোলুই বলেন, শুধু শালিমার স্টেশনেই (Shalimar Station) নয়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের বাইরেও এভাবে যাত্রীদের নানা ভাবে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং জোর করে অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাল রেল?

    রেল সুত্রে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) চত্বরের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ স্থানীয় পুলিশের। যাত্রীদের সঙ্গে জোর করে এবং অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হলে স্থানীয় পুলিশকেই বিষয়টি দেখতে  হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, যাত্রীদের কী কী সুবিধা হবে?

    Indian Railways: স্টেশনের নামের সঙ্গে জুড়ছে জনপ্রিয় জায়গার নাম, যাত্রীদের কী কী সুবিধা হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট ছোট স্টেশন (Indian Railways) পর্যন্ত দূরযাত্রার টিকিট করতে প্রায়ই হয়রানি হয় যাত্রীদের। অনলাইন টিকিটের ক্ষেত্রে বুকিং এর সময় নাম খুঁজতেও সমস্যা হয়। অথচ দেখা যায়, ওই স্টেশনে নামলেই মূল গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়। যেমন ধরুন আপনি নবদ্বীপ ধাম যাবেন, সেক্ষেত্রে আপনি বিষ্ণুপ্রিয়াতে নামলে সব থেকে সুবিধা হবে। কিন্তু নবদ্বীপ ধামের মতো বিষ্ণুপ্রিয়া অত জনপ্রিয় স্টেশন নয়। এই সমস্যা দূর করতে এবার উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। রেল সূত্রে খবর মিলেছে, জনপ্রিয় স্থান বা শহরের নামের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ছোট ছোট স্টেশনের নাম। এর ফলে ভ্রমনের পরিকল্পনাও যেমন সহজ হবে তেমনি ওয়েবসাইট বা মোবাইল আ্যপের মাধ্যমে টিকিট কাটাও খুব তাড়াতাড়ি করতে পারবেন ভ্রমণপ্রিয়রা। পর্যটকদের স্টেশনের নাম খুঁজতে আর অসুবিধা হবে না। এর পাশাপাশি, ছোটখাটো স্টেশনের নাম জনপ্রিয় জায়গার সঙ্গে জুড়লে সেখানকার বাসিন্দারা গর্ব অনুভব যেমন করবেন তেমনি সেই অঞ্চলে বাণিজ্যও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।  

    গত মাসের ২১ জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়েছে এই ব্যবস্থার

    ইতিমধ্যে ২১ জুলাই থেকেই এই নতুন কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর মিলেছে। রেলের আধিকারিকরা (Indian Railways) জানিয়েছেন, গোটা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে বিভিন্ন টিম কাজ করছে। বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭২৫টি স্টেশনের সঙ্গে ১৭৫ টি জনপ্রিয় স্থানকে যুক্ত করার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। যেমন নয়ডা জুড়েছে নতুন দিল্লির সঙ্গে।

    নতুন ব্যবস্থার সুবিধা 

    অন্যদিকে কাশী , খাটুশ্যাম , বদ্রীনাথ , কেদারনাথ , বৈষ্ণদেবীর মতো বিখ্যাত তীর্থস্থানগুলি জুড়েছে কাছের স্টেশনের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় আরও সুবিধা মিলবে (Indian Railways)। যেমন ধরুন, কোনও কারণে কোনও স্টেশনে কাজ চললে তার বিকল্প প্ল্যাটফর্মের নাম প্লানারে যোগ হয়ে যাবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ট্রেন যাত্রা (Indian Railways) আরও সহজ হবে যাত্রীদের ক্ষেত্রে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Station: মোদি জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ সমেত রাজ্যের ৩৬ রেল স্টেশনের

    Sealdah Station: মোদি জমানায় ভোল বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ সমেত রাজ্যের ৩৬ রেল স্টেশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুনভাবে সেজে উঠতে চলেছে শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station)। ভোল পাল্টে শিয়ালদহ স্টেশনের নতুন রূপ দেখে নাকি আমজনতা চমকে যাবে, এমনটাই বলছে অনেকে। নতুনভাবে সাজার পরে শিয়ালদহ স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকার কে দেখতে ঠিক কেমন লাগবে তার একটি ছবিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এনেছে ভারতীয় রেল। ব্যস্ততম এই রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে নিঃসন্দেহে বাঙালির অনেক ইতিহাস জড়িত রয়েছে। দেশভাগের সময় হিন্দু শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল এই স্টেশন। এবার এই স্টেশনকে এই নতুন ভাবে সংস্কার করতে উদ্যোগে নিল মোদি সরকারের রেল। রবিবার অমৃত স্টেশন হিসাবে দেশজুড়ে ৫০৮টি স্টেশনে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে শিয়ালদহও (Sealdah Station) রয়েছে। রাজ্য থেকে মোট ৩৭টি স্টেশন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি স্টেশনকেই আধুনিক মানের গড়ে তোলা হবে।

    বাঙালির মিলনক্ষেত্র শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) 

    শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) যেন বাঙালির এক মিলন ক্ষেত্র। সারা রাজ্যের মানুষ এখানে এসে মিলিত হন। এবং নিজে নিজের গন্তব্যে পৌঁছান। শিয়ালদহ স্টেশনের ব্যস্ততা স্থান পেয়েছে সিনেমাতেও। ৮:০৮ বনগাঁ লোকাল যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ভোল বদলে শিয়ালদহ স্টেশন নতুন চেহারা কবে পাবে সেটা অবশ্য এখনও সঠিকভাবে জানাতে পারেনি ভারতীয় রেল। প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত প্রকল্পে বাংলার অনেক স্টেশনেরই চেহারা পাল্টে যেতে চলেছে। রবিবারে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই গোটা প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  শুক্রবার শিয়ালদহ (Sealdah Station) স্টেশনে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার  এপি দ্বিবেদি শিয়ালদহ স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং তিনি বলেন ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছা অনুযায়ী পূর্ব রেলের ২৮টি স্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আধুনিক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে স্টেশনগুলিতে।’’ স্টেশনের প্রবেশপথ, প্ল্যাটফর্ম থেকে শৌচাগার কিংবা বিশ্রামকক্ষ সবকিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে। শিয়ালদহ স্টেশনে এই কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৭ কোটি টাকা।

    চলতি বছরেই ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো

    শিয়ালদহ স্টেশনের (Sealdah Station) যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসে যে অত্যন্ত ভিড়ের কারণে ব্যস্ত সময়ে নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শিয়ালদা স্টেশনে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে অমৃত ভারত রেল প্রকল্পের মাধ্যমে। অন্যদিকে চলতি বছরেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাচ্ছে। এটা চালু হলে শিয়ালদহ স্টেশনেও এর প্রভাব পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। এবং প্রতি ঘন্টায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিতে হবে শিয়ালদহ স্টেশনকে (Sealdah Station), এমনটাই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রেল মানচিত্রে জুড়তে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। জানা গিয়েছে রাজ্যের চতুর্থ এক্সপ্রেস হিসেবে অগাস্ট মাসেই গড়াবে বন্দে ভারতের চাকা। এর আগে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি এবং হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) চাকা গড়িয়েছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বন্দে ভারত ছুটবে হাওড়া থেকে পাটনার মধ্যে। কলকাতা এবং পাটনার মধ্যে দ্রুততম সংযোগ স্থাপন করবে চতুর্থ বন্দে ভারত। ভারতীয় রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে হাওড়া পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কখন ছাড়বে হাওড়া থেকে এবং পাটনা থেকেই বা কখন রওনা দেবে? সে নিয়ে আলোচনা চলছে। ভাড়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

    হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারতের ভাড়া কত হবে?

    পাটনা থেকে হাওড়া রেলপথে দূরত্ব হল ৫৩৫ কিলোমিটার। জানা গিয়েছে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে বন্দে ভারত সময় নেবে ৭ ঘণ্টা। সেমি হাই স্পিডের এই ট্রেন ছুটবে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের (Vande Bharat) ভাড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত রেল কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা  বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারতের ভাড়া বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে হাওড়া থেকে পাটনা যেতে, এসি এক্সিকিউটিভের বন্দে ভারতের ভাড়া হতে পারে ২৬৫০ টাকা। অপরদিকে, এসি চেয়ারকারের জন্য ১,৪৫০ টাকা ভাড়া হতে পারে। হাওড়া থেকে পাটনা পর্যন্ত বন্দে ভারতের (Vande Bharat) স্টপেজ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পুজোয় বন্দে ভারতে থাকছে স্পেশাল মেনু

    পুজোর আর খুব বেশিদিন দেরি নেই। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সে কথাকে মাথায় রেখে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও (Vande Bharat) আসতে চলেছে পুজোর স্বাদ। লুচি, আলুর দম, বাসন্তী পোলাও এইসব দিয়েই দুর্গাপুজোর স্পেশাল মেনু বানানোর পরিকল্পনা করেছে বন্দে ভারত। রসগোল্লা এবং মিষ্টি দইও থাকছে সঙ্গে। এমনটাই জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা।  প্রসঙ্গত জানুয়ারি মাসেই বাংলা পেয়েছে প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat)। তাই সেমি হাইস্পিডের এই ট্রেন রাজ্যে প্রথমবার দুর্গাপুজো দেখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Indian Railways: ট্রেনের টিকিটের ৫ অঙ্কের নম্বরে লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য?

    Indian Railways: ট্রেনের টিকিটের ৫ অঙ্কের নম্বরে লুকিয়ে কোন অজানা রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে চড়তে কে না ভালোবাসে? আট থেকে আশি, সবারই ট্রেনের (Indian Railways) প্রতি এক অগাধ ভালোবাসা। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতে সব থেকে আরামদায়ক ও দ্রুততম মাধ্যমও হল ট্রেন। আর এই পরিষেবা ভারতীয়রা ১৭০ বছর ধরে পেয়ে আসছেন। এর মধ্যেই ঘটে গিয়েছে অনেক বিবর্তন, কয়লার ইঞ্জিন থেকে ডিজেল চালিত ইঞ্জিন আর এখন ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। এই ভারতীয় রেলের এমন কিছু নিয়মবিধি আছে, যেগুলি হয়তো অনেকেরই অজানা। আসলে সাধারণ মানুষ সেগুলি নিয়ে ভাবার কথা মাথায়ও আনতে পারেন না। কিন্তু সেগুলি জানলে অবাকই হবেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমনই অজানা তথ্য জানব ভারতীয় রেলের টিকিটের সম্বন্ধে। টিকিটের গায়ে থাকে একটি ৫ অঙ্কের নম্বর, যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অসংখ্য তথ্য।

    ট্রেনের (Indian Railways) টিকিটের নম্বরের মধ্যে কী তথ্য লুকিয়ে থাকে?

    ট্রেনের টিকিট লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন রয়েছে অসংখ্য নম্বর। প্রত্যেকটি নম্বরের অনেক তাৎপর্য আছে। আপনার ভ্রমণ ও ট্রেন সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত নথি এই টিকিটের মধ্যেই থাকে। তার মধ্যে যেটি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহন করে, সেটি ৫ অঙ্কের একটি নম্বর। এই সংখ্যাটি আপনার গন্তব্যের সমস্ত খুঁটিনাটি বলে দিতে পারে। জেনে নেওয়া যাক এই রকমই কিছু লুকিয়ে থাকা তথ্য। 

    ট্রেনের (Indian Railways) টিকিটের মধ্যে থাকা 0 থেকে 9 নম্বরগুলির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যদি আপনার টিকিটের প্রথমে 0 নম্বরটি থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে সেটি কোনও স্পেশাল ট্রেন, অর্থাৎ এই ট্রেনটি কোনও হলিডে স্পেশাল বা গ্রীষ্মকালীন স্পেশাল বা অন্যান্য কোনও স্পেশাল ট্রেন হতে পারে। 
    আবার অপরদিকে আপনার টিকিটের প্রথম সংখ্যাটা যদি 1 অথবা 2 হয়, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে এই ট্রেনটি দীর্ঘ পথ যাত্রা করে। আবার এই দুটি সংখ্যা থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে এটি শতাব্দী, রাজধানী,গরিব রথ, দূরন্তর মতো বিশেষ শ্রেণির ট্রেন।

    আরও কিছু নম্বরের উদাহরণ, যা বিশেষ মানে বহন করে

    টিকিটের প্রথম সংখ্যাটি যদি 3 হয়, তবে জানতে হবে এই ট্রেনটি কলকাতা শহরতলির একটি ট্রেন (Indian Railways)। আবার মেট্রো শহর যেমন নয়াদিল্লি সেকেন্দ্রাবাদ, চেন্নাই ইত্যাদি শহরের শহরতলির ট্রেন হলে এতে টিকিটের প্রথম সংখ্যা 4 দিয়ে শুরু হবে। প্রথমে যদি 5 থাকে, তাহলে জানতে হবে এটি একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। 6 ও 7 থাকলে সেটি যথাক্রমে MEMU ও DEMU ট্রেন। আর কিছু সংরক্ষিত ট্রেনের জন্য টিকিট নম্বর 8 দিয়ে শুরু হয়। আর মুম্বই সাবারবান ট্রেনের জন্য প্রথম সংখ্যাটি থাকে 9।

    দ্বিতীয় সংখ্যাটিরও বিশেষ অর্থ থাকে, কী সেটি?

    দ্বিতীয় সংখ্যাটি রেলের বিভাগ সম্বন্ধে আমাদের জানান দেয়। যদি কোনও রেলের (Indian Railways) প্রথম সংখ্যাটি 0, 1 অথবা 2 দিয়ে শুরু হয়, তাহলে বাকি 4 টি সংখ্যা রেলের জোন ও বিভাগ সমন্ধে আমাদের জানান দেয়। 
    সেন্ট্রাল রেলওয়ে, নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ে, ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের জন্য দ্বিতীয় সংখ্যাটি থাকবে 0।
    পূর্ব মধ্য রেলওয়ে এবং পূর্ব রেলের জন্য থাকবে 3।
    উত্তর-উত্তর পশ্চিম এবং উত্তর মধ্য রেলওয়ের জন্য থাকে 4 নম্বর।
    জাতীয় পূর্ব ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জন্য থাকে 5 নম্বর।
    দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের জন্য থাকে 6।
    দক্ষিণ-মধ্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রেলওয়ের জন্য 7।
    সাউদার্ন ইস্টার্ন এবং ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের জন্য থাকে 8।
    উত্তর-পশ্চিম এবং পশ্চিম মধ্য রেলওয়েতে থাকে 9।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Railway Station: নয়া শিরোপা, হাওড়া স্টেশন এখন থেকে গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন

    Howrah Railway Station: নয়া শিরোপা, হাওড়া স্টেশন এখন থেকে গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া স্টেশন এতদিন ছিল সিলভার রেটিং পাওয়া স্টেশন। বুধবার থেকে হাওড়া স্টেশনকে (Howrah Railway Station) গোল্ড রেটিং স্টেশনের শিরোপা দেওয়া হল। হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনকে ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল, গ্রিন রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে ঘোষণা করল। তাদের রেটিং সিস্টেমের অধীনে সিআইআই-আইজিবিসি গোল্ড রেটিং দেওয়া হয়েছে। বুধবার হাওড়া স্টেশন এক অনুষ্ঠানে, পুর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী অমরপ্রকাশ দ্বিবেদীর হাতে গোল্ড ফলক এবং গোল্ড রেটিং সার্টিফিকেট তুলে দেন গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের কোর কমিটির সদস্য জি এম কাপুর। হাওড়া স্টেশনের টেকসই পরিচালন ব্যবস্থা ও পরিবেশ বান্ধব পরিষেবার জন্য এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

    কী কী কাজের জন্য মিলল এই সম্মান?

    হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন, প্ল্যাটফর্মের সংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম। প্রতিদিন এই স্টেশন (Howrah Railway Station) দিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ যাত্রী চলাচল করেন। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রূপ বদলেছে হাওড়া স্টেশনের। হাওড়া স্টেশনের ফুড প্লাজার কাছে গেলে দেখা যাবে আধুনিকতার উজ্জ্বল মুখ। এই অনুষ্ঠানে নতুন ডিআরএম নিযুক্ত হলেন সঞ্জীব কুমার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেল আধিকারিক মণীষ জৈন। গ্রিন রেটিং দেওয়া হয়েছে পরিবেশ বান্ধব ভবন এবং যাত্রী-বান্ধব বৈশিষ্ট্য যেমন স্টেশনের ছাদের ইনস্টলেশন, জলের ব্যবস্থাপনা, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্টেশন পরিষ্কার রাখা, দিনের বেলায় কোনও কৃত্রিম আলো ব্যবহার না করে সুর্যের আলো ব্যবহার, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, তাজা বাতাস চলাচল সহ নানা বৈশিষ্ট্যের জন্য। অমর প্রকাশ দ্বিবেদী এই সাফল্যের জন্যে স্টেশন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

    খুশি রেলযাত্রীরা (Howrah Railway Station)

    হাওড়া স্টেশনের এই শিরোপা অর্জনে খুশি সাধারণ মানুষ থেকে রেল যাত্রীরা (Howrah Railway Station)। তাঁরা জানান,  অন্যান্য স্টেশনের তুলনায় হাওড়া স্টেশনের পরিষেবা অনেকটাই ভালো। যাত্রী সুবিধার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ বান্ধব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা ভারতীয় রেলের কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্বরূপ।  তাই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল বলে তাঁরা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share