Tag: Indian Railways

Indian Railways

  • Indian RailWays: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প 

    Indian RailWays: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-৩): প্রায় ৪০ বছরেও সম্পূর্ণ হল না উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ প্রকল্প 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আটকে রয়েছে রেলের (Indian RailWays) ৪৪টি প্রকল্প। জমি জটের কারণেই তা এগোচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছেন রেলের আধিকারিকরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পগুলির উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের শিলান্যাসও করেছিলেন ২০০৯-২০১০ নাগাদ যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু ওই পর্যন্তই! কাজ এগোয়নি। রেলের দাবি রাজ্য জমি দিতে পারছেনা বলেই সম্পূর্ণ হচ্ছেনা প্রকল্পগুলি।

    উত্তর দিনাজপুর জেলায় ১৯৮৩-৮৪ সালের প্রকল্প আজও শেষ হয়নি

    প্রায় ৪০ বছর ছুঁইছুঁই অথচ শেষ করা গেলনা, উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩টি রেল প্রকল্প। জানা গেছে, ১৯৮৩-৮৪ সাল নাগাদ প্রস্তাবিত হয়েছিল বালুরঘাট-একলাখিপুর রেল প্রকল্প। আনুমানিক বাজেট ধরা হয়েছিল ৬১৪ কোটি টাকা। মোট ১৬৩ কিমি রেলপথের এই প্রকল্পে কাজ হয়েছে মাত্র ৮৭ কিমি অর্থাৎ বাকি থেকে গেছে, এখনও ৭৬ কিমি। এই প্রকল্পের অন্তর্গত গাজোল-ইটাহার (২৭ কিমি), রায়গঞ্জ-ইটাহার (২২ কিমি),ইটাহার-বুনিয়াদপুর (২৭কিমি) রেলপথ নির্মানের কাজ থমকে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের ব্যস্ততম এই স্থানগুলিকে জোড়া যাচ্ছেনা রেলপথের মাধ্যমে। অথচ এই প্রকল্পগুলির শিলান্যাসও হয়ে গেছে ২০০৭-০৮ এবং ২০১১-১২ নাগাদ।

    কী বলছেন ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা

    দীর্ঘদিন দিন ধরে এই প্রকল্পগুলি আটকে রয়েছে, জট কাটানোর জন্য ইতিমধ্যে তা সংসদে তুলেছেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ এতেও কোনও সুরাহা হয়নি। বাসিন্দারা বলছেন, রেলের (Indian RailWays)  তরফে তো বাজেট প্রস্তুত, কিন্তু রাজ্যের জমি জটের কারণেই তার বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছেনা। রায়গঞ্জের বাসিন্দা বিমল দাস বলেন, অনেকদিন ধরেই এই প্রকল্প থমকে রয়েছে। এতে শিলিগুড়ি যেতে হলে ট্রেনগুলিকে (Indian RailWays)  বিহার হয়ে ঘুরে যেতে হয়, যারফলে সময় অনেকটাই বেশি লাগে। শিলিগুড়ি হল উত্তরপূর্ব ভারতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগকারী স্থান। বিমলবাবুর আরও সংযোজন, এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবেন এলাকার মানুষজন।

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-২): প্রায় ৫০ বছরেও শেষ হলনা হুগলির ৩ প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মোট ৪৪টি প্রকল্প আটকে রয়েছে রেলের (Indian Railways)। অভিযোগ রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা এবং জমি জটিলতার কারণে এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করতে পারছে না রেল। এরমধ্যে ১৩টি প্রকল্প রয়েছে যেগুলিতে নতুন লাইন পাতার কথা। রেল সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পগুলির মোট বাজেট ধরা হয়েছে ৯,২২৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, মোট ১০৪৯ কিমির এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত রেল কিন্তু জমি জটের কারণেই নাকি এই প্রকল্পগুলি এগোচ্ছেনা।

    গনিখান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রস্তাবিত হয়েছিল এই প্রকল্পটি, বর্তমানে তা বিশ বাঁও জলে!

    গণিখান চৌধুরি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৪-৭৫ সাল নাগাদ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল মোট ১১০ কিমি দৈর্ঘ্যের রেলপথের মাধ্যমে জোড়া হবে হাওড়া-আমতা (৪২ কিমি), বড়গাছিয়া-চাঁপাডাঙ্গা-তারকেশ্বর (৪০ কিমি), আমতা-বাগনান (১৬ কিমি) এবং জাঙ্গিপাড়া-ফুরফুরা শরিফকে (১৬ কিমি)। এরমধ্যে একমাত্র হাওড়া-আমতা ৪২ কিমির রেলপথ শুরু হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও হয় ২০০৯-২০১০ নাগাদ, তখন কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যস ওইটুকুই! আর এগোয়নি কাজ। রেলের দাবি, কয়েকটি প্রকল্পের জন্য জমি কিনতে রাজ্য সরকারকে ২৩ কোটি টাকাও দেওয়া হয়েছিল! কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। রেল আবার রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয় ওই টাকা ফেরতের জন্য। রেল (Indian Railways) বলছে, রাজ্য সরকারের এমন অসহযোগিতার কারণে তারা প্রকল্প আপাতত বন্ধ রেখেছে।

    কী বলছেন এই অঞ্চলের বাসিন্দারা

    এই প্রকল্পের অন্যতম অংশ হল হুগলির চাঁপাডাঙ্গা, সেখানকার প্রবীণ বাসিন্দা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, ছোট থেকে শুনছি এই প্রকল্পের কথা। ৪০ বছর আগেও দেখেছি মাপজোক করতেন রেলের আধিকারিকরা। তারপর ২০০৯-২০১০ সালে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কতগুলি জায়গায় শিলান্যাসও করে গেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাজ এগোয়নি! 

    কী বলছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর

    রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতিই হল, কোনও প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় রয়েছে কিন্তু সেখানেও রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিতেই হবে। অনেক মহলের তাই প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের কাছে নতুন রেলপথের প্রকল্প বিশেষ নয় কেন? কারণ কী শুধুই রাজনৈতিক?

     

    জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Sikkim First Station: গ্যাংটক হয়ে ট্রেনেই চিন সীমান্তের নাথু লা! শিলান্যাস সিকিমের প্রথম রেলস্টেশনের

    Sikkim First Station: গ্যাংটক হয়ে ট্রেনেই চিন সীমান্তের নাথু লা! শিলান্যাস সিকিমের প্রথম রেলস্টেশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রেল মানচিত্রে সিকিমকে (Sikkim First Station) জুড়ে ফেলতে প্রত্যয়ী ভারতীয় রেল। সোমবার দেশের ৫৫৪টি রেলস্টেশনের কাজের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এই তালিকায় ছিল রংপো স্টেশনের (Rangpo railway station) শিলান্যাস। সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দেশের বাকি অংশের সঙ্গে রংপো স্টেশনের শিলান্যাস করলেন ভার্চুয়ালি, তখন ভিড়ের মধ্যে ভারত মাতার জয়ধ্বনি দিলেন শেরপারা। সেবক-রংপো রেল প্রকল্প নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পাহাড়ি রাজ্যটি। 

    ট্রেনে চেপেই চিন সীমান্তে

    নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আর বাস বা ভাড়ার গাড়িতে যেতে হবে না পড়শি রাজ্য সিকিমে। দার্জিলিঙের পর বাঙালি যদি কোনও পাহাড়ি শহরে বেশি ভিড় জমায় তা হল গ্যাংটক। এবার বাংলা থেকে ট্রেনে করেই সরাসরি যাওয়া যাবে রংপো হয়ে গ্যাংটক। পরের পর্বে চিন সীমান্তের কাছে নাথু লাতেও পৌঁছে যাবে ট্রেন। সোমবার ভারতের রেল মানচিত্রে ঢুকে গেল সিকিম। এই প্রথম ওই রাজ্য কোনও স্টেশন পেতে চলেছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে রংপো স্টেশনের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগেই বাংলার সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। একই ভাবে সুড়ঙ্গ তৈরি হবে নাথু লা পর্যন্ত। 

    কাজ চলছে দ্রুত গতিতে

    রেল সূত্রে খবর, সিকিমে এই রেল প্রকল্পের ৪৪.৯৮ কিলোমিটারের রেলপ্রকল্পটির ৮৫ শতাংশই টানেলের মধ্যে। আগামী বছর অগাস্টের মধ্যেই কাজ শেষ করে দেওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ইরকনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দার সিং। তাঁর বক্তব্য, ‘১৪টি টানেলের মধ্যে আটটির খননকাজ শেষ। এই টানেলগুলিতে আগামী মাস থেকে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে। বাকি টানেলের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। প্রত্যেকটি সেতুর পিলারের ভিত তৈরি শেষ। সেতু তৈরির ক্ষেত্রেও বেশি সময় লাগবে না।’ সিকিমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য বললেন, “কয়েক দশকের দুঃখ ঘোচার আনন্দে আমার চোখে জল চলে এসেছে।” সিকিমের একমাত্র রেল স্টেশন রংপোর শিলান্যাসে তিনি সমস্ত কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। 

    উত্তর-পূর্বে নজর

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে বিশেষ নজর দেয় মোদি সরকার। ২০২২ সালের বাজেটেই সিকিমের রেল প্রকল্পে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথে থাকবে পাঁচটি স্টেশন। রেল জানিয়েছে, রংপো-গ্যাংটক পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই শুরু হবে পরের ধাপে নাথু লা পর্যন্ত সমীক্ষা। এই রেলপথ তৈরি হলে চিনকে জবাব দিতে সীমান্তে সেনা পাঠানোও ভারতের পক্ষে সহজ হবে। একই সঙ্গে উন্নত হবে সিকিমের পর্যটনও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: বাংলার একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদি, জানেন কী কী পাচ্ছে রাজ্য?

    Indian Railways: বাংলার একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের উদ্বোধনে মোদি, জানেন কী কী পাচ্ছে রাজ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল (Indian Railways) অনেক আগেই দেশের অনেক রেল স্টেশনের পরিকাঠামো বদলের ঘোষণা করেছিল। আজ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ দেশের ৫৫৩টি ‘অমৃত ভারত’ স্টেশন (Amrit Bharat Scheme) সহ আরও ১৫০০ ওভারব্রিজ-আন্ডারপাসের কাজের সূচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে স্টেশনের উন্নয়ন এবং সাবওয়ের শিল‌্যান‌্যাস করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই ২০০০ রেল পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব শাখার একাধিক স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে বাংলার বহু স্টেশনের আধুনিকীকরণ, মানোন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি নতুন ওভারব্রিজ-আন্ডারপাসের কাজের সূচনাও হবে। 

    দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বাংলার ২২টি অমৃত ভারত স্টেশন

    সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব রেলের (Indian Railways) মধ্যে অমৃত ভারত প্রকল্পে ৪৬টি স্টেশন রয়েছে। যার মধ্যে ২২টি স্টেশন বাংলার। তালিকায় রয়েছে খড়্গপুর, মেচেদা, উলুবেরিয়া, আন্দুল, পাঁশকুড়া, দিঘা, হলদিয়া সহ একাধিক স্টেশন। উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে ৫৯৭.১৫ কোটি টাকা। ১০৮টি রোড ওভারব্রিজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। 

    এর মধ্যে, আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত মোট ১৫টি অমৃত ভারত স্টেশনের (Amrit Bharat Scheme) কাজের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। আদ্রা ডিভিশনে অমৃত ভারত স্টেশনের জন্য ৪০৯.৩৭ কোটি বরাদ্দ রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি বাংলার। ২৭০.১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। বাকি ৩টি ঝাড়খণ্ডের। আদ্রা ডিভিশনের অন্তর্গত বাংলার যে ১২টি অমৃত ভারত স্টেশন (Indian Railways) রয়েছে তার মধ্যে পুরুলিয়ার আদ্রা, পুরুলিয়া, আনাড়া, বরাভূম, মধুকুণ্ডা, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, জয়চন্ডী পাহাড়, মেদিনীপুরের গড়বেতা, শালবনী, চন্দ্রকোনা রোড ও পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুর। শুধু ঝাঁ চকচকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নই নয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকেও আলাদাভাবে নজর কাড়বে এইসব স্টেশনগুলি।

    পূর্ব রেল শাখায় বাংলার ১৭টি স্টেশন অমৃত ভারত

    অন্যদিকে, পূর্ব রেলের (Indian Railways) অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের ২৮টি স্টেশনের পূনর্বিন্যাসের কাজের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে রাজ্যেরই ১৭টি স্টেশন রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭০৪ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশনের জন্য। ৩০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে ব্যান্ডেল। অত্যাধুনিক পরিষেবা ও সুবিধা সহ এই স্টেশনটিকে বিশ্বেমানে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত পানাগড় স্টেশনের উন্নয়নের শিলান্যাস করা হবে অমৃত ভারত প্রকল্পের (Amrit Bharat Scheme) আওতায়। পাশাপাশি, ১২৩.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি আন্ডারপাসের উদ্বোধন হবে, যার মধ্যে ১০টি পেয়েছে বাংলা। ডানকুনি ও বর্ধমানের বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের শিলান্যাস হবে।

    জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের আদলে বিষ্ণুপুর স্টেশন

    জানা গিয়েছে, রাজ্যের রেল (Indian Railways) স্টেশনগুলির মান উন্নয়নে ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫৬ কোটি টাকা খরচ হবে শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা মায়ের পদধূলি ধন্য বিষ্ণুপুর স্টেশনের জন্য। জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের আদলে গড়ে উঠবে বিষ্ণুপুর রেল স্টেশন (Amrit Bharat Scheme)। জয়রামবাটী মাতৃ মন্দিরের আদলে মডেল স্টেশন তৈরি করার পাশাপাশি আন্দুল সোনামুখী স্টেশনেরও মানে উন্নয়ন হবে। 

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দল এই সব স্টেশনে সাংসদ, বিধায়ক, নেতাদের হাজির থাকতে বলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Metro: ‘বন্দে ভারতে’র পর এবার শীঘ্রই আসছে ‘বন্দে মেট্রো’, গতি কত জানেন?

    Vande Metro: ‘বন্দে ভারতে’র পর এবার শীঘ্রই আসছে ‘বন্দে মেট্রো’, গতি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্প দূরত্বের দুই শহরের মধ্যে ঘন্টাপ্রতি ১৩০ কিমি গতির ‘বন্দে মেট্রো’ (Vande Metro) ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় রেল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘বন্দে মেট্রো’ ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা দুই গন্তব্যের মধ্যে চলবে। বন্দে ভারত ট্রেনের আদলেই বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলিকে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্দে মেট্রো ট্রেন প্রকল্পের কথা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ২০২৩ সালের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন।

    রেলের জিএম কী জানালেন (Vande Metro)?

    রেলের বন্দে মেট্রো (Vande Metro) এই প্রজেক্ট সম্পর্কে রেলের কোচ তৈরি কারখানা ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) জিএম বিজি মালিয়া বলেছেন, “কম দূরত্বের জন্য দ্রুত, দ্রুত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রায় বন্দে মেট্রো ট্রেন চলবে। এই ট্রেন বন্দে ভারতের ডিজাইনেই প্রস্তুত করা হবে। বন্দে মেট্রোগুলিকে মেইনলাইন ইএমইউ-এর জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে। এখন এই প্রজেক্টের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কিমির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে জানুয়ারি ২০২৪ থেকেই।”

    কেমন হবে বন্দে মেট্রো ট্রেন দেখতে?

    রেলের সূত্রে জিএম বিজি মালিয়া বলেন, “বন্দে মেট্রো (Vande Metro) ট্রেনগুলির গঠন দেখতে অনেকটাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই হবে। কিন্তু পার্থক্যও থাকবে, যা হল বন্দে ভারতের চেয়ারকারের মধ্যে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না কিন্তু এই মেট্রোগুলিতে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে। এই ট্রেনে ১০০ জন যাত্রী বসার সুযোগ থাকবে এবং ২০০ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যাত্রা করার সুযোগ পাবেন। ট্রেনগুলি স্বয়ংক্রিয় এবং বাতানুকূল থাকবে। মূলত মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির জায়গায় এই ট্রেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হবে। যাত্রীরা স্বল্প সময়ে নিরাপদ দূরত্বে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।”

    আর কী কী সুবিধা  থাকবে ট্রেনে?

    এই বন্দে মেট্রো ট্রেনের (Vande Metro) সর্বোচ্চ গতি থাকবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ট্রেনের কামরা পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ট্রেনের বডির ওজন বেশি ভারি করা হবে না। ট্রেনের সিট হবে হালকা গদি যুক্ত। বেশ প্রসস্থ এবং স্লাইডিং যুক্ত দরজা থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা, পিআইএস সিস্টেম এবং এলসিডি। স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভিতরে। মোবাইল চার্জ করার প্লাগ থাকবে। ভ্যাকুয়াম ইভাকুয়েশন সিস্টেম সহ মডুলার টয়লেট থাকবে। এছাড়াও থাকবে রুট নির্ধারণের লাইটের ব্যবহার কামরার ভিতরে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kavach Trial: ১৬০ কিমি বেগে ছুটছে ট্রেন, ব্রেক কষলেন না চালক, কবচ পরীক্ষায় সাফল্য

    Kavach Trial: ১৬০ কিমি বেগে ছুটছে ট্রেন, ব্রেক কষলেন না চালক, কবচ পরীক্ষায় সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনা এড়াতে কবচ সিস্টেমের (Kavach Trial) বড় সাফল্য পেল ভারতীয় রেল। ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে যাওয়া ট্রেনে দুর্ঘটনা রুখতে এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কার্যকর বলেও দাবি করা হল। সম্প্রতি উত্তর-মধ্য রেলের আগরা ডিভিশনে পরীক্ষামূলক ভাবে ওই কবচ ব্যবস্থার কার্যকরিতা দেখা হয়। পালওয়াল-মথুরা শাখায় একটি সেমি-হাইস্পিডের ইঞ্জিনে কবচ লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়। 

    কবচ সিস্টেম কী 

    অ্যান্টি ট্রেন কলিশনের কবচ সিস্টেম (Kavach Trial) পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। রিসার্চ ডিজাইনস অ্য়ান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের তরফে এই কবচ সিস্টেমকে লাগু করা হয়। এই সিস্টেমের মাধ্য়মে যেটা বলা হয়ে থাকে যে কোনও ট্রেন চালক যদি সিগন্যাল ভঙ্গ করেন তবে আপৎকালীন ব্রেক চালু হয়ে যাবে। রেল জানিয়েছে, কখনও যদি জরুরি ভিত্তিতে ট্রেন দাঁড় করানোর দরকার হয় এবং চালক যদি তা করতে না-ও পারেন, এই ব্যবস্থায় ট্রেন দাঁড়িয়ে যাবে। এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে দুই বিচারপতির বেনজির সংঘাত, বিশেষ বেঞ্চ গঠন শীর্ষ আদালতের

    কীভাবে হয়েছিল পরীক্ষা

    উত্তর-মধ্য রেলের জনসংযোগ আধিকারিক প্রশস্তি শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গত ১৯ জানুয়ারি পরীক্ষামূলক যাত্রা সফল হয়েছে। কবচ (Kavach Trial) ব্যবস্থার এই পরীক্ষা হয়েছে উত্তর সেন্ট্রাল রেলওয়ের ডেপুটি চিফ সিগনাল অ্য়ান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার কুশ গুপ্তের নেতৃত্বে। সেমি হাইস্পিড ইঞ্জিনের এই কবচ সিস্টেম লাগু করা হয়। লোকোর পাইলটকে বলা হয়েছিল সিগন্য়াল লাল থাকলেও আপনি ব্রেক কষবেন না। দেখার চেষ্টা হয় কবচ ব্যবস্থা কাজ করছে কি না। সফল পরীক্ষায় দেখা যায়, সিগন্যালের থেকে দূরত্ব রেখেই ট্রেন নিজের থেকে দাঁড়িয়ে পড়ে। তবে রেল আরও পরীক্ষা চালাতে চায়। তার পরেই গোটা দেশে সর্বত্র এই কবচ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিপাকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি। রেলে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় (Land For Jobs Case) রাবড়ি ও মিসার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

    ইডির চার্জশিটে কারা?

    ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে লালুর আর এক মেয়ে হেমা যাদব, লালু পরিবারের ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যাল, রেলের কর্মী এবং সুবিধাভোগী (অভিযোগ) হৃদয়ানন্দ চৌধুরী, একে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড ও এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থা এবং ওই দুই সংস্থার ডিরেক্টর শরিকুল বারীর নামও। লালু ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও ওই মামলায় তদন্ত করছে ইডি। প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। অভিযোগ, ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমি ও টাকার বিনিময়ে (Land For Jobs Case) রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কাঠগড়ায় তোলা হয় রাবড়ি ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমাকে।

    ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে রেলে চাকরি

    সিবিআইয়ের দাবি, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বহু ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এজন্য তাঁদের কাছ থেকে জমি বা মোটা টাকা নিয়েছিলেন লালুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ নেতারা। অভিযোগ পেয়ে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মূলে পৌঁছতে তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    ইডির আগে তদন্ত করেছিল সিবিআই-ও। ২০২২ সালের ২০ মে সিবিআই হানা দেয় দিল্লি, পাটনা-সহ দেশের ১৫টি জায়গায়। লালুর দল আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। ওই বছরেরই ২২ অক্টোবর লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে লালু-পত্নী রাবড়ি এবং দুই কন্যা মিসা ও হেমার নামও ছিল। এই চারজন বাদে আরও ১২ জনের নামও ছিল সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে। এবার ইডির চার্জশিটেও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার। মঙ্গলবার দিল্লির পিএমএলএ আদালতে চার্জশিট (Land For Jobs Case) পেশ করেছে ইডি। ১৬ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    পদ্ম শিবিরকে ধরাশায়ী করতে গঠিত হয়েছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি। এই জোটে রয়েছে লালুর দলও। সপরিবারে অভিযুক্ত লালুর দলকে নিয়ে ইন্ডি জোটের নেতারা কী করেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    ISIS: আইএস জঙ্গিদের তহবিলে টাকা দিতেন ভারতীয় রেলের ক্লার্ক! তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি করেন ভারতীয় রেলে। অথচ নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন আইএসআইএস (ISIS) জঙ্গির সঙ্গে! শুধু তাই নয়, ভুয়ো মেডিকেল বিল তৈরি করে রেলের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা জমা করতেন জঙ্গিদের তহবিলে। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রেলের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে।

    তদন্তে এনআইএ

    রেলকর্মীর জঙ্গিযোগের মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। দিল্লির একটি থানায় ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অক্টোবর মাসে তিন আইএসআইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এরা হল, শাহনওয়াজ আলম, মহম্মদ আশরাফ এবং মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে তাজ্জব বনে যান তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পারেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে কিছু সোর্স থেকে নিয়মিত টাকা ঢুকছে। এর পরেই কোমর কষে নামে পুলিশ।

    রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত

    জানা যায়, নয়ডার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী ওই জঙ্গিদের নিয়মিত টাকার জোগান দিতেন। ওই কর্মীর বিরুদ্ধে (ISIS) এফআইআর দায়ের করেছে উত্তর রেলওয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অর্থ জালিয়াতির মামলা। রেলের ওই কর্মী ফাইনান্স বিভাগে কর্মরত। অর্থ সংগ্রহ করতে একাধিকবার ভুয়ো মেডিকেল বিল জমা দেন তিনি। এই টাকাই তিনি পাঠাচ্ছিলেন জঙ্গিদের তহবিলে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুুন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দেশজুড়ে কর্মসূচি বিজেপির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    ৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আইএসআইএসের খোঁজে মহারাষ্ট্র সহ দেশের ৪৪টি ঠিকানায় হানা দেয় এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জনকে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মহারাষ্ট্র মডিউলের চাঁই হল সাকিবা নাচান। এই মডিউলই গোটা দেশে জঙ্গি হামলার ছক কষছিল। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র মডিউলের সব আইএসআইএস সদস্যরা কাজকর্ম চালাচ্ছিল পদ্ম-বোরিভালি এলাকা থেকে। এখানে বসেই তারা দেশজুড়ে হামলার ছক কষছিল। জিহাদ, খিলাফত এসবের নামে জঙ্গিরা (ISIS) নষ্ট করতে চাইছিল দেশের শান্তি। এভাবেই তারা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি করতে চেয়েছিল।

    মহারাষ্ট্র মডিউলের নাচান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পরিচিত একটি নাম। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে এক ডজনেরও বেশি। তার ছেলে শামিল নাচানও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে যুক্ত ছিল। গ্রেফতার করা হয়েছে শামিলকে (ISIS)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    Indian Railways: শেষ হল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ, জানুন বিশদে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) মাথায় নয়া তাজ। তৈরি হয়ে গেল ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর। স্বাভাবিকভাই এই করিডর চালু হয়ে গেলে আয় বাড়বে ভারতীয় রেলের। পণ্য পরিবহণ করে সব চেয়ে বেশি আয় করে ভারতীয় রেল। তবে লাইনে জটের জেরে মালগাড়ি গন্তব্যে পৌঁছায় দেরিতে। এতে ক্ষতি হয় দু’তরফেই। একদিকে যেমন ট্রিপ কমে যায় গাড়ির, তেমনি অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হন তাঁরা, যাঁরা পণ্য আমদানি-রফতানি করেন। তার জেরে পণ্য পরিবহণ বাবদ আয় কমে গিয়েছে রেলের। সেই কারণেই ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। সেই কাজই শেষ হয়েছে।

    দুই করিডর

    রেল (Indian Railways) সূত্রে খবর, দুটি করিডর তৈরি হবে। একটি ইস্টার্ন ফ্রেট করিডর, অন্যটি ওয়েস্টার্ন ফ্রেট করিডর। এই দুই করিডর ক্রস করবে একটি জায়গায়। পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে পশ্চিমবঙ্গে সন্নাগর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি হল ইস্টার্ন করিডর। আর উত্তরপ্রদেশের রেওয়ারি থেকে মুম্বইয়ের জওহরলাল নেহরু বিমানবন্দর পর্যন্ত যে করিডর, সেটি ওয়েস্টার্ন করিডর। রেওয়ারি থেকে দাদরি পর্যন্তও ট্রেন নিয়ে যাওয়া যাবে এই করিডরের মাধ্যমে। কাজ শেষ হয়েছে এই ইস্টার্ন করিডরের। এই করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৩৩৭ কিমি। ওয়েস্টার্ন করিডরের দৈর্ঘ ১ হাজার ৫০৬ কিমি। রেল সূত্রে খবর, এই করিডরের কাজ শেষ হয়েছে ৭৮ শতাংশ।

    গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল

    এর পাশাপাশি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের বিকাশেও নয়া নীতি নির্ধারণ করেছে রেলমন্ত্রক। এর ফলে রেলের মাধ্যমে রেলের পাশাপাশি সড়ক এবং জলপথেও পণ্য নিয়ে যাওয়া যাবে এক স্থান থেকে অন্যত্র। ইতিমধ্যেই ১৫টি গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে উঠেছে। গতিশক্তি কার্গো টার্মিনাল গড়ে তুলতে আরও ৯৬টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চার রাজ্যে পিএলএফআইয়ের ডেরায় হানা এনআইএ-র, কী ছক কষেছিল জঙ্গিরা?

    জানা গিয়েছে, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর ও গতিশক্তি কার্গো টার্মিনালের লক্ষ্যই হল লজিস্টিক সেক্টরে ভারতে গ্লোবাল লিডার হিসেবে গড়ে তোলা। এতে একই সঙ্গে বৃদ্ধি এবং বিকাশ হবে ভারতীয় অর্থনীতির। এর পাশাপাশি (Indian Railways) বাড়বে কাজের সুযোগও। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগও বাড়বে। উৎপাদন, কৃষি এবং খনির মতো ক্ষেতেই মূলত বাড়বে বিনিয়োগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Sadharan Express: নভেম্বর থেকেই চলবে ‘বন্দে সাধারণ’ এক্সপ্রেস, কোন রুটে শুরু পরিষেবা?

    Vande Sadharan Express: নভেম্বর থেকেই চলবে ‘বন্দে সাধারণ’ এক্সপ্রেস, কোন রুটে শুরু পরিষেবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বর মাসেই চালু হবে ‘বন্দে সাধারণ’ এক্সপ্রেস (Vande Sadharan Express)। ভারতীয় রেল এই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ট্রেন মূলত গরিব সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই চালু হবে। এই ট্রেনের ভাড়া বন্দে ভারত ট্রেনের তুলনায় অনেক কম হবে। এই সাধারণ ট্রেন হল নতুন ‘পুশ-পুল’ ট্রেন। নাসিক করিডরে ট্রায়ালের জন্য দুটি বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস গত ২৯ অক্টোবর মুম্বইয়ের ওয়াদি বান্ডার ইয়ার্ডে পৌঁছেছে। প্রথম ট্রেনটি নয়াদিল্লি-মুম্বই রুটে পরিষেবা দেবে। চালু হবে এই নভেম্বরে মাসেই। এছাড়াও পাটনা-নয়াদিল্লি, হাওড়া-নয়াদিল্লি, হায়দরাবাদ-নয়াদিল্লি, এরনাকুলাম-গুয়াহাটি রুটে চলবে এই ট্রেন।

    কেমন হবে ট্রেনটি (Vande Sadharan Express)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বন্দে সাধারণ এক্সপ্রেস (Vande Sadharan Express) বেশ আধুনিক উন্নত পরিষেবা যুক্ত ট্রেন হবে। ট্রেনে মোট ২২টি কোচ থাকবে। যার মধ্যে ১৮টি অসংরক্ষিত এবং ৪টি সংরক্ষিত নন-এসি কোচ থাকবে। মোট ১৮০০ জন যাত্রীকে বহন করার ক্ষমতা থাকবে এই ট্রেনের। এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।

    রেলের পক্ষ থেকে বক্তব্য

    ভারতীয় রেলের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, আপাতত কয়েকটি রুটে এই ট্রেনের (Vande Sadharan Express) পরিষেবা চলু হবে। কিন্তু যাত্রীদের প্রতিক্রিয়ার কথা মাথায় রেখে আগামীতে এই ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। এই ট্রেনে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় দরজা, বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক রেডিও যোগাযোগের পরিষেবা থাকবে। একই সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মানি বলেছেন, “বন্দে সাধারণ ট্রেনের ইঞ্জিনগুলি শক্তি সাশ্রয়ী হবে। তবে কোচগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে বেশি ভালো হবে।”

    রেলের প্রাক্তন বোর্ডের সদস্য সুবোধ জৈন বলেন, “সাধারণের ভাড়া প্রিমিয়াম বন্দে ভারত ট্রেনের তুলনায় অনেক কম হবে। ট্রেনের ভাড়া ২৫ শতাংশ কম থাকবে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৩৪টি বন্দে ভারত ট্রেন চলছে। তবে সেই সব ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি না করাই ভালো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share