Tag: International news

International news

  • Indian Air Force: মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে ইজরায়েলি ‘র‌্যাম্পেজ’ ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, কতটা শক্তি বাড়বে?

    Indian Air Force: মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে ইজরায়েলি ‘র‌্যাম্পেজ’ ক্ষেপণাস্ত্র বসাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, কতটা শক্তি বাড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ‘মিগ-২৯ ইউপিজি’ (MiG-29 UPG) যুদ্ধবিমান। রুশ-নির্মিত এই ফাইটার জেটগুলির আয়ু বাড়াতে বড় আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর আওতায় একদিকে যেমন এভিয়োনিক্স ও কন্ট্রোল সিস্টেম সহ বিমানের একাধিক সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার উন্নীত করা হবে, তেমনই এই যুদ্ধবিমানের অস্ত্রসম্ভারে ক্ষমতায় আনা হতে পারে বিরাট পরিবর্তন। সূত্রের খবর, মিগ-২৯ ইউপিজি’র (MiG-29 UPG) মারণ ক্ষমতা বাড়াতে ইজরায়েলের ঘাতক আকাশ থেকে ভূমি ‘র‌্যাম্পেজ’ ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনাচিন্তা চলছে।

    আরও ভয়ানক মিগ-২৯ ইউপিজি…

    যা জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ২৪টি মিগ-২৯ ইউপিজি (ভারতীয় নৌসেনা ব্যবহার করে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের ‘কে’ ভেরিয়েন্ট। বায়ুসেনা ব্যবহার করে এরই ‘ইউপিজি’ ভেরিয়েন্ট) যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণ করা হবে। ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) অন্য যুদ্ধবিমানে ইজরায়েলের এই র‌্যাম্পেজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যার পোশাকি নাম হাই-স্পিড লো ড্র্যাগ (এইচএসএলডি) মার্ক-২। এই মিসাইলের পাল্লা ১৮০ কিলোমিটারেরও বেশি। এবার, মিগ-২৯ ইউপিজি-তে (MiG-29 UPG) এই অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এর জন্য এই মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে— বিমানের দুপাশের ডানার বাইরের দিকের অংশের তলায় ক্ষেপণাস্ত্র ধরে রাখার নতুন র‌্যাক, অতিরিক্ত কেবল এবং রিগ। সেইসঙ্গে ঢোকাতে হবে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। 

    কেন ভারতের (Indian Air Force) পছন্দ র‌্যাম্পেজ?

    র‌্যাম্পেজকে তৈরি করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রথমদিকে শুধুমাত্র ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবেই তৈরি করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি মাল্টি-লঞ্চ রকেট সিস্টেম থেকে নিক্ষেপ করা হত। পরবর্তীকালে, এর আকাশ থেকে (বিমান থেকে) নিক্ষেপযোগ্য ভেরিয়েন্ট তৈরি করা হয়। ফলত, অন্যান্য ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এই মিসাইলের উৎপাদন খরচ অনেকটাই কম। অর্থাৎ, কম অর্থ ব্যয় করেই ইজরায়েল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কিনতে পারে ভারত। নিজের টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে আইএনএস/জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। পাশাপাশি, এর পাল্লা বড় হওয়ায় শত্রুপক্ষের অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট বা বিমান-বিধ্বংসী সিস্টেমের রেঞ্জের মধ্যে বিমান আসবে না। সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই মিসাইলের আরও একটি বড় ক্ষমতা হল— এটি শত্রুপক্ষের এয়ার-ডিফেন্স নেটওয়ার্ককে ভেদ করে উচ্চ-সুরক্ষিত লক্ষ্যবস্তু বা গুপ্ত বাঙ্কারকে ধ্বংস করতে ওস্তাদ।

    একই অঙ্গে এত গুণ!

    একবার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত হয়ে গেলে, শেষ ধাপে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজের গতি বাড়িয়ে নেয়। শুধু উচ্চ গতিই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের ম্যানুভরাবিলিটিও দুরন্ত। অর্থাৎ, শত্রুর ভূমি থেকে আকাশ বা আকাশ থেকে আকাশ অ্যান্টি-মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্রকে হাওয়ায় কাটাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র সিদ্ধহস্ত। সর্বোপরি, এর ট্র্যাজেক্টরি (নিক্ষেপ হওয়া থেকে নিশানায় আঘাত করার আগে পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের সমগ্র গতিপথ) ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মিশেল। এই সব কারণে, র‌্যাম্পেজকে চিহ্নিত করা বা ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন। ভারতীয় নৌসেনা মিগ-২৯কে (MiG-29 UPG) যুদ্ধবিমানে এই র‌্যাম্পেজ মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পাশাপাশি, ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) জাগুয়ার বম্বার এবং সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এই ইজরায়েলি-জাত মিসাইল।

    সুখোই-৩০ অন-দ্য ‘রকস্’

    এদিকে, সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের জন্য ইজরায়েলের আরও একটি মিসাইল ‘রকস্’-কে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এটি তৈরি করেছে ইজরায়েলের অন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা রাফায়েল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটিও বায়ুসেনার অন্য যুদ্ধবিমানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম ‘ক্রিস্টাল মেজ ২’। এটি ২৫০ কিমি পাল্লার আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। র‌্যাম্পেজের মতো ‘রকস্’ ক্ষেপণাস্ত্রও প্রথমদিকে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। পরে, এর আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ভেরিয়েন্ট তৈরি করা হয়, যাতে করে যুদ্ধবিমান থেকেও এটি নিক্ষেপ করা যায়। 

    ভারতে তৈরি হবে ‘রকস্’!

    সূত্রের খবর, এই ‘রকস্’ বা ক্রিস্টাল মেজ মিসাইলকে বিপুল পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। প্রথমে ইজরায়েল থেকে আমদানি করা হলেও, পরে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে এদেশেই উৎপাদন করতে তৎপর ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা প্রশ্নাতীত। সম্প্রতি, ইরানের এস-৩০০ এয়ার-ডিফেন্স সিস্টেমের অংশ হিসেবে মোতায়েন করা ৩০এন৬ই রেডারকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে এই ক্ষেপণাস্ত্রকেই ব্যবহার করেছিল ইজরায়েল। বলা বাহুল্য, রুশ-নির্মিত এস-৩০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমটি ইজরায়েলের র‌্যাম্পেজ ও ‘রকস্’-কে আটকাতেই বসিয়েছিল ইরান।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Texas: ৯০ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা টেক্সাসে, জানুন বিশদে

    Texas: ৯০ ফুট উঁচু হনুমানজির মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা টেক্সাসে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল ৯০ ফুট উঁচু হনুমান মূর্তির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় উচ্চতম স্থাপত্য এটি। ১৮ অগাস্ট রবিবার টেক্সাসের (Texas) হিউস্টনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন হল হনুমানজির এই মূর্তির। 

    মূর্তির বিশেষত্ব (Hanuman sculpture)  

    ৯০ ফুট উঁচু এই মূর্তিটির নাম ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিয়ন’। স্থাপত্যটি তৈরির পেছনের স্বপ্নদর্শী মানুষটি হলেন শ্রী চিন্নাজিয়ার স্বামীজি। মন্দিরটি টেক্সাসের (Texas) সুগার ল্যান্ডের শ্রী অষ্টলক্ষ্মী মন্দির এলাকায় বসানো হয়েছে। স্ট্যাচু অফ ইউনিয়নের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই মূর্তিটি উত্তর আমেরিকায় ভগবান হনুমানের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি। হনুমানজি “শক্তি, ভক্তি এবং নিঃস্বার্থ সেবার প্রতীক।” 

    আরও পড়ুন: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মূর্তিটি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে,  ‘‘এছাড়াও স্ট্যাচু অফ ইউনিয়ন হল একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র, যেখানে মন সান্ত্বনা পায়, শান্তি পায় এবং জীবনের সব পরিস্থিতি অতিক্রম করার পথ খুঁজে পায়। আসুন, উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু হনুমান মূর্তিকে জীবন্ত করে তুলি, এবং একসঙ্গে ভালোবাসা, শান্তি এবং ভক্তিতে ভরা একটি পৃথিবী গড়ে তুলি।’’

    কী জানিয়েছে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন? (Texas) 

    হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ভগবান হনুমানকে (Hanuman sculpture) রামের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে পুজো করা হয়। বিগত কয়েক দশক আগে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভগবান হনুমানের অস্তিত্ব উঠে আসে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হল ঋষি বাল্মীকির সংস্কৃত রামায়ণে পাওয়া ঘটনা। যখন সীতাকে উদ্ধারের জন্য রাম ও তাঁর ভাই লক্ষণ বনবাসে ছিলেন, তখন হনুমানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে তাঁদের। সে সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাহস, শক্তি ও অসাধারণ কর্মক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ভক্তি ও অনুগত্য প্রকাশ পায় হনুমানের।     
      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।  

  • Paris Paralympics 2024: ‘‘নতুন রেকর্ড গড়ে তুলুন’’, ভারতীয় প্যারালিম্পিক্স প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা মোদির

    Paris Paralympics 2024: ‘‘নতুন রেকর্ড গড়ে তুলুন’’, ভারতীয় প্যারালিম্পিক্স প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্স শেষ হলেও প্যারিসে ক্রীড়া উৎসব কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। এ মাসের ২৮ তারিখ থেকে অলিম্পিক্সের ভেন্যু প্যারিসেই শুরু হবে প্যারালিম্পিক্সের (Paris Paralympics 2024) আসর। আর সে প্রসঙ্গেই সোমবার রাখি বন্ধনের দিনই ভারতীয় প্যারা অ্যাথলিটদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ভারতের প্যারা অ্যাথলিটদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কথোপকথন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। উল্লেখ্য, এবার সর্ববৃহৎ দল নিয়ে প্যারালিম্পিক্সে অংশ নিচ্ছে ভারত। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে মোট ৮৪ জনের দল প্যারালিম্পিক্সে অংশ নিচ্ছেন। 

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi) 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, ‘‘আপনাদের এই প্যারালিম্পিক্সের (Paris Paralympics 2024) যাত্রা দেশের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এটি আপনাদের ক্যারিয়ারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের জয় মানেই দেশের জয়, দেশের গৌরব। ১৪০ কোটি ভারতীয় আপনাদেরকে তাঁদের আশীর্বাদ পাঠাচ্ছেন। বিজয় ভব (আপনারা বিজয়ী হোন)।’’

    একইসঙ্গে এদিন এই কথোপকথনে মোদি বলেন, ‘‘ভারতীয় দল ফ্রান্সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনারা সকলেই ভারতের পতাকাবাহী হিসাবে প্যারিসে যাচ্ছেন। এর আগে আপনারা যেমন এশিয়ান প্যারালিম্পিক্স এবং টোকিও প্যারালিম্পক্সে সাফল্য পেয়েছিলেন, সেভাবেই আমি চাই আপনারা সবাই এবার প্যারিসে নতুন রেকর্ড তৈরি করুন।’’

    এবার প্রত্যাশা প্যারালিম্পিক্সকে ঘিরে (Paris Paralympics 2024) 

    এই প্রথমবার প্যারিসে প্যারালিম্পক্সের আসর বসতে চলেছে। ২২টি খেলায় ৫৪৯টি ইভেন্টে এবার মোট ৪৪০০ জন প্যারা অ্যাথলিট প্যারালিম্পিক্সে (Paris Paralympics 2024) অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। ১১ দিন ধরে চলবে এই মেগা ইভেন্ট। প্রসঙ্গত, এবারের প্যারিস অ‌‌লিম্পিক্সে প্রত্যাশা অনুসারে পদক জিততে পারেনি ভারত। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবার প্রত্যাশা প্যারালিম্পিক্সকে ঘিরে। আসন্ন প্যারিস প্যারালিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে পতাকা বাহক হিসেবে দেখা যাবে সুমিত আন্তিল ও ভাগ্যশ্রী যাদবকে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের, হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    এদিন ভার্চুয়াল কথোপকথনে হাই জাম্পার মারিয়াপ্পান থাঙ্গাভেলু, জ্যাভলিন থ্রোয়ার সুমিত আন্তিল, তায়কোয়ান্দো অ্যাথলিট অরুণা তানওয়ার, শ্যুটার রুদ্রাংশ খান্ডেলওয়াল, টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ভাবিনা প্যাটেল, শাটলার তরুণ ধিলোন সহ আরও কয়েকজন প্যারা-অ্যাথলিটদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন মুইজ্জুর

    Mohamed Muizzu: মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন মুইজ্জুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক মাস ধরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) একের পর এক পদক্ষেপ তুলেছে সমালোচনার ঝড়ও। তবে, এবার মুইজ্জু বিরাট প্রতিক্রিয়া দিলেন। আগেই ভারতকে (India) মলদ্বীপের “সবথেকে কাছের বন্ধু”- হিসেবে বিবেচিত করেছিলেন তিনি। আর এবার মলদ্বীপের উন্নয়নে ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের ভূমিকা তুলে ধরে ভারতের লাইন অফ ক্রেডিট দ্বারা অর্থায়িত প্রকল্পগুলির সমর্থন করলেন মুইজ্জু।   

    কী জানিয়েছেন মুইজ্জু? (Mohamed Muizzu)

    মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহাম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপ এবং ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং ঘনিষ্ঠ সংযোগ জোরদার করার জন্য তার প্রশাসনের সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু আরও জোর দিয়ে বলেছেন, ”ভারত সর্বদা মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে থেকেছে। মলদ্বীপের যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই সহায়তা প্রদান করেছে ভারত।”

    এ প্রসঙ্গে মুইজ্জু মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বলেছেন, ”মলদ্বীপের ২৮টি দ্বীপে জল সরবরাহের জন্য ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ভারত (India) সরকারের লাইন অফ ক্রেডিট দ্বারা অর্থের জোগান দেওয়া হয়েছিল। এই উদ্যোগটি মলদ্বীপের ওপর উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত করেছে যা দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। এই প্রকল্পই ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল মাইলফলক।” মলদ্বীপের প্রতি এই বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মহম্মদ মুইজ্জু (Mohamed Muizzu)।   

    আরও পড়ুন: নতুন সম্প্রচার বিলের খসড়া প্রকাশ নিয়ে বড় ঘোষণা মোদি সরকারের

    বিদেশমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ 

    প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের (Maldives) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু গত শনিবার ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তাঁর সরকারের পূর্ণ অঙ্গীকারের বিষয়টি উপস্থাপিত করেছেন। তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও করেছেন। তাঁরা ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র – অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, আবাসন, প্রতিরক্ষা, পর্যটন, ক্ষমতা উন্নয়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার প্রচেষ্টার জন্য এস জয়শঙ্করের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Women’s T20 World Cup 2024: অশান্তির জেরে বিশ্বকাপ সরাবে আইসিসি? রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ বাংলাদেশ

    Women’s T20 World Cup 2024: অশান্তির জেরে বিশ্বকাপ সরাবে আইসিসি? রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে আর কয়েকদিন পর মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ (Women’s T20 World Cup 2024) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির জেরে সেখান থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসি। তাই বর্তমানে বিকল্প দেশ খুঁজছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। অন্যদিকে, নিজেদের দেশে বিশ্বকাপের আসর ধরে রাখতে মরিয়া বাংলাদেশ। যে কোনও উপায়ে মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় তারা (Bangladesh Cricket)। যে কারণে, রাষ্ট্রপুঞ্জেরও দ্বারস্থ হয়েছে ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

    বাংলাদেশের শেষ আশা রাষ্ট্রপুঞ্জ  (Bangladesh Cricket) 

    হাসিনা দেশ ছেড়েছে, তবে বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন ও তার জেরে হিংসার ঘটনা এখনও থামেনি। এমত অবস্থায় বাংলাদেশের শেষ আশা রাষ্ট্রপুঞ্জ। অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তুলবেন। কোনও দেশ যাতে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে সেই আবেদন করবেন তিনি। তবে যদি বাংলাদেশে মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ (Women’s T20 World Cup 2024) অনুষ্ঠিত না হয়, সেক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দুবাইতে আইসিসির এই ইভেন্ট স্থানান্তরিত হতে পারে।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    কী জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা? 

    ৩ অক্টোবর টুর্নামেন্টের সূচনা হওয়ার কথা। কিন্তু সে দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যা ঘটে গিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের এ বারের মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ (Women’s T20 World Cup 2024) আয়োজন নিয়ে আশঙ্কা দেখা গিয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সেনাপ্রধানকে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আইসিসি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল বিসিবির কাছে। এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (Asif Mahmud Sajeeb Bhuiyan) মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সে দেশে আয়োজন নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছেন।
    তিনি বলেছেন, ”আমি এই নিয়ে এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করছি, মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (Women’s T20 World Cup 2024) বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময় যদি এই রকম (টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে স্থানান্তরিত হওয়া) কিছু ঘটে, তা হলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য ভীষণ ক্ষতিকর হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন বাদেই পালিত হবে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। আর সেই উপলক্ষে প্রতিবারের মত দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লাল কেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এরই ফাঁকে ভারতের প্যারিস অলিম্পিক্স দলের (Paris Olympics contingent) সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দলটির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    অলিম্পিক্স পদকজয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের ১১৭ জন অ্যাথলিটের সম্পূর্ণ দল উপস্থিত থাকবে। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে, যে সব ক্রীড়াবিদরা এবছরের প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতকে ছ-ছটি পদক এনে দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে পদক জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে,  একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হওয়া ভিনেশ ফোগাটের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি এবং কুস্তিগীরের পরিস্থিতির পাশে থেকে ট্যুইট করে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা মোদির 

    উল্লেখ্য, এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের লক্ষ্য ছিল ১০টি পদক জেতার। তবে খেলা শেষে ভারতের ঝুলিতে এসেছে মোট ৬টি পদক, এর মধ্যে ১টি রুপো ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদক বিজয়ী নীরজ চোপড়ার হাত ধরেই এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে একমাত্র রুপোর পদক এসেছে। আর অন্যদিকে মনু ভাকেরের হাত ধরে দু’দুটি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে। মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্টল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এবং পরে সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্টল মিশ্র দল ইভেন্টে আরও একটি পদক যেতেন। এছাড়াও টেবিল টেনিসে মানিকা বাত্রা এবং শ্রীজা আকুলা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। ভারতের এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলেছেন, ”সমস্ত ক্রীড়াবিদ (Paris Olympics contingent) তাদের সেরাটা দিয়েছেন এবং প্রত্যেক ভারতীয় তাদের জন্য গর্বিত। আমাদের ক্রীড়া নায়কদের তাদের এই প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: নিজের লক্ষ্যে অবিচল! সরকারি চাকরির প্রস্তাবে না অলিম্পিক্স পদকজয়ীর

    Paris Olympics 2024: নিজের লক্ষ্যে অবিচল! সরকারি চাকরির প্রস্তাবে না অলিম্পিক্স পদকজয়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) থেকে দেশকে ব্রোঞ্জ মেডেল এনে দিয়েছেন হরিয়ানার শুটার সরবজ্যোৎ সিং (Sarabjot Singh)। এবার সেই প্যারিস অলিম্পিক্সে পদকজয়ী শুটার হরিয়ানা সরকারের সরকারি চাকরির প্রস্তাব ফেরালেন। হরিয়ানা সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ২২ বছরের শুটার বললেন, শুটিংই এখন তাঁর অগ্রাধিকার। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত সরবজ্যোতের? (Paris Olympics 2024) 

    ব্রোঞ্জ পদক জিতে দেশে নিজের বাড়িতে ফেরার পরই সরবজ্যোৎকে হরিয়ানা সরকার রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে নিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু অলিম্পিক্সের সাফল্যেই থেমে যেতে চান না সরবজ্যোৎ। ২২ বছরের শুটারের লক্ষ্য দেশকে আরও আন্তর্জাতিক পদক এনে দেওয়া। তাই সরকারি চাকরির থেকে শুটিংকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এই মুহূর্তে।

    আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর পেনশন বিধি সংস্কার করবে কেন্দ্র, কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কী জানিয়েছেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী? (Paris Olympics 2024) 

    হরিয়ানা সরকারের চাকরির প্রস্তাব ফেরানো প্রসঙ্গে সরবজ্যোৎ (Sarabjot Singh) বলেছেন, ”চাকরিটা ভালোই। তবে এখনই আমার চাকরি করার ইচ্ছা নেই। আমি শুটিং নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে চাই। শুটিংই এখন আমার অগ্রাধিকার।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘পরিবারের সকলেও চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি এখন শুধু শুটিং নিয়েই থাকতে চাই। নিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করতে পারব না। তাই এখন চাকরির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছি না।”  

    উল্লেখ্য, প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics 2024) ১০ মিটার এয়ার পিস্তলের ব্যক্তিগত ও মিক্সড টিম ইভেন্টে ভারতের হয়ে লড়াই চালান সরবজ্যোৎ সিং (Sarabjot Singh)। তিনি ব্যক্তিগত বিভাগে পদক জিততে পারেননি। তবে মনু ভাকেরকে সঙ্গে নিয়ে মিক্সড টিম ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন সরবজ্যোৎ। তাই শুটারের সাফল্যে খুশি হরিয়ানা সরকার তাঁকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সরকারের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে ব্রোঞ্জ জয়ী তারকা শুটারের এরপরের টার্গেট ২০২৮-এর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্স। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paris Olympics 2024: এল ব্রোঞ্জ পদক, প্যারিস অলিম্পিক্সে পুনর্জন্ম ভারতীয় হকির, কোন পথে সাফল্য?

    Paris Olympics 2024: এল ব্রোঞ্জ পদক, প্যারিস অলিম্পিক্সে পুনর্জন্ম ভারতীয় হকির, কোন পথে সাফল্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে ফের বাজিমাত। প্যারিস অলিম্পিক্স (Paris Olympics 2024) হকিতে ব্রোঞ্জ আনল ভারতীয় পুরুষ দল। এ দিন ব্রোঞ্জের ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও ২-১ ব্যবধানে জিতে যায় ভারত। এর আগে টোকিও অলিম্পিক্সেও ব্রোঞ্জ এসেছিল ভারতীয় হকি দলের (Indian Hockey Team) ঝুলিতে। এবার প্যারিসও ব্রোঞ্জ এল। একই সঙ্গে এবারের অলিম্পিক্সে চতুর্থ পদক জিতে নিল ভারত। হকিতে অলিম্পিক্সের মঞ্চে এই নিয়ে ১৩তম পদক জিতে নিল ভারতীয় হকি দল। ১৯৬৮ ও ১৯৭২ পরপর দুবার অলিম্পিক্সে পদক জিতেছিল ভারত।  এর পর ৫২ বছর পর ফের টানা দুটো অলিম্পিক্সে পদক জিতল টিম ইন্ডিয়া। 

    পুনর্জন্ম ভারতীয় হকির (Indian Hockey Team) 

    স্বাধীনতার আগে এবং পরে হকিতে ভারতের অভূতপূর্ব সাফল্য নজর এড়ায়নি কারওরই। বেশির ভাগ খেলার মতো এটিও ব্রিটিশদের থেকেই শিখেছিল ভারত। তবে ভারতীয়েরা এটি রপ্ত করে নিয়েছিলেন নিজের মতো করে। অলিম্পিক্সে কোনও খেলাধুলোয় ভারতের সর্বাধিক সাফল্য বলতে গেলে সবার আগে আসবে হকির নাম। ক্রিকেট নয়, ভারতকে সর্বপ্রথম গোটা বিশ্বে পরিচিতি দিয়েছিল যে খেলা, তা হকি। তবে এই খেলায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখানোর পর সত্তরের দশক থেকে ভারত হকিতে দুর্বল হতে শুরু করে। ১৯৮০ সালে শেষ বার সোনা। তারপরে ৪১ বছরের খরা কাটিয়ে টোকিয়োয় পদক জয়। আর এবার প্যারিসের সাফল্য প্রমাণ করল, ভারতীয় হকি আবার ঠিক দিকেই এগোচ্ছে। খেলাধুলোর টেকনিক্যাল দিকগুলির কথা বাদ দিলে বলতে হয়, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাই ভারতের সাফল্যের অন্যতম কারণ। 

    কোন পথে এল সাফল্য? (Paris Olympics 2024) 

    প্যারিসে যাওয়ার আগে ভারতীয় দল তিন দিন কাটিয়ে এসেছে আল্পস পর্বতে। বিখ্যাত অভিযাত্রী মাইক হর্নের অনুপ্রেরণা শুনেছেন মনপ্রীত সিংরা। জীবনের কঠিনতম সময়েও কী ভাবে বেঁচে থাকা যায়, সেই গল্প তিরের মতো গেঁথে যায় প্রত্যেকের হৃদয়ে। সঙ্গে ছিলেন মনোবিদ প্যাডি আপটন। দু’জনেই অতীতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে কাজ করেছেন। হকিতে এই জুটি ভারতীয় খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসই বদলে দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জীবনের সেরা থ্রো করেও অধরা সোনা, রুপো জয়ের পর নীরজকে শুভেচ্ছা মোদির

    প্রধানমন্ত্রীর ফোন 

    পদক (Paris Olympics 2024) জয়ের পরই নরেন্দ্র মোদি ফোনে কথা বলেন ভারতীয় হকি টিমের সঙ্গে। হরমনপ্রীতকে ফোনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাপ্তান সাহাব’, শুরুতেই এই কথা শুনে মুখে গর্বের হাসি খেলে যায় হরমনপ্রীত সিংয়ের। সতীর্থরাও হেসে ওঠেন। ভারতীয় হকি টিমের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত সিং মোদির এ কথাতে যেন একটু লজ্জাও পেলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও যোগ করেন, ”আপনার নেতৃত্ব এবং পুরো টিমের চেষ্টাতেই পদক এসেছে। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, হকিতে আমাদের যে সোনালি অধ্যায় ছিল, তা আবারও আপনারা ফেরাতে চলেছেন।” 

    খেলোয়াড়দের জন্য নগদ পুরস্কার ঘোষণা 

    উল্লেখ্য, প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympics 2024) ভারতীয় খেলোয়াড়দের ব্রোঞ্জ পদক জয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরুষ হকি দলের খেলোয়াড়ের জন্য ১৫ লাখ টাকা এবং সাপোর্ট স্টাফেদের প্রতিটি সদস্যের জন্য ৭.৫ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার ঘোষণা করেছে হকি ইন্ডিয়া। এ প্রসঙ্গে হকি ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল ভোলা নাথ সিং বলেছেন, “ভারতীয় পুরুষ হকি দল আবারও প্যারিসে তাদের অসাধারণ কৃতিত্বের মাধ্যমে দেশকে গর্বিত করেছে। দলের একতা, দক্ষতা এবং অধ্যবসায় সারা দেশের লাখ লাখ হকি ভক্তদের জন্য আনন্দ নিয়ে এসেছে। আমি ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত সিং, কিংবদন্তী পিআর শ্রীজেশ এবং পুরো হকি স্কোয়াডকে তাদের ঐতিহাসিক কৃতিত্বের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই। ভারতে হকির আরও উন্নতির জন্য আমরা সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    Bangladesh Crisis: ‘‘ধর্ষণ করছে, মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে’’, বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের মুখে দুর্দশার কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) যেন ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে দেশের দখল নিয়েছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তাতে অবস্থার যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে এমনটা নয়। দেশজুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে। এমনকী, বর্বরোচিত অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যাননি হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারাও (Hindu women in Bangladesh)। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের হিন্দু নারীদের ওপর ব্যপক অত্যাচার চলছে। শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের মত অভিযোগও উঠেছে। 

    হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    এই চরম অস্থিরতার সময় বাংলাদেশি হিন্দু নারীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলেছে এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্যাতিতারা। ৮ অগাস্ট স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিওতে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজন হিন্দু মহিলা (Hindu women in Bangladesh) তাঁদের দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ”ওরা তলোয়ার ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। বাড়ি থেকে সব নিয়ে গেছে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য, আমাদের কাছে যা ছিল সবই দিয়েছি।” আরেক মহিলা বলেন, ”রাতে, ওরা এসেছিল। আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে। আমি লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওরা আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে ধরে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে আমরা তাঁকে উদ্ধার করি। সে সময় তাঁর মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। ওরা তাঁর গলা কেটে ফেলতে চেয়েছিল। ওকে বাঁচানোর জন্য আমরা আমাদের সব সোনার গয়না দিয়ে দিয়েছি।”     

    অন্যদিকে, তৃতীয় আরেক মহিলা (Hindu women in Bangladesh) অনুরূপ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, ”আমরা রাতে ঘুমাচ্ছিলাম। তখনই ওরা এসেছিল। ওদের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র ছিল। ওরা আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছিল, ‘আমাদের পঞ্চাশ জন লোক তোমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে, তোমার পালানোর কোনও পথ নেই।’ এরপর ওরা সবকিছু লুট করেছে। আমাকে ধরে বিছানায় নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি তাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যে হয় আমাকে রেহাই দাও অথবা আমাকে মেরে ফেলো। এরপর ওরা আমাকে কান্না থামানোর জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমাদের কাছে যা কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল সব দিতে বলেছিল ওরা। নিজের প্রাণ বাঁচাতে তাই আমি বাধ্য হয়ে আমার সমস্ত গয়না ওদের দিয়ে দিয়েছিলাম। সেসব নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায় ওরা।” 

    হিন্দুদের ওপর হামলা অব্যাহত, ভাঙচুর মন্দিরে (Bangladesh Crisis)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। অশান্তির সঙ্গে সঙ্গে এবার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের অভিযোগ ও উঠতে শুরু করেছে। হিন্দু মহিলাদের নির্যাতনের পাশাপাশি জলছে সংখ্যালঘুদের ঘর। একাধিক মন্দিরে ও হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করে, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হয়েছে মন্দিরও।  

    জানা গিয়েছে, নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কলাপাড়া, শরিয়তপুর ও ফরিদপুরের একাধিক মন্দিরে ভাঙচুর (Bangladesh Crisis) করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফেনি শহরের দুর্গামন্দির, দিনাজপুরের পার্বতীপুর কালীমন্দির সহ আরও পাঁচটি মন্দির, যেখানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ২ নম্বর ইউনিয়নের শ্মশান মন্দিরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং নেত্রকোনা শহরে রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইস্কন মন্দিরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পুড়িয়ে ছাই হয়ে যায় জগন্নাথ বিগ্রহ। একইসঙ্গে যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনার একাধিক বাড়িঘরে হামলা চলেছে। 

    এমনকী, দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। যশোরে অন্তত ৫০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। ভাঙচুর, লুটপাট, ডাকাতির মতো ঘটনার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িগুলিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোকানে ভাঙচুর করে মালপত্র লুট করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করতে জেলায়-জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে বাংলাদেশ সেনা। 

    ভারত আসতে চাইছেন বাংলাদেশি হিন্দুরা

    এদিকে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার (Bangladesh Crisis) পরেই আতঙ্কে ভারত বাংলাদেশ বর্ডারের কাছে বহু বাংলাদেশি জড়ো হয়েছিলেন বলে খবর।  বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করেন। তবে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার আগেই তাদের আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ। শরণার্থীদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে শরণার্থীরা জানান, বিএসএফ পারলে গুলি করে তাঁদের মেরে দিক, কিন্তু তাঁরা দেশে ফিরে যাবেন না। এ প্রসঙ্গে, হলদিবাড়ি ছিটমহলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘মহিলারা আর্তনাদ করছেন। বাঁচান বাঁচান বলে চিৎকার করছেন। একটু আশ্রয় চাইছেন। এ দৃশ্য দেখা যায় না!’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘বাঁচান, আশ্রয় দিন…’’! ভারত-সীমান্তে ভিড় বাংলাদেশি শরণার্থীদের, রুখল বিএসএফ

    কী জানাল ভারতের বিদেশমন্ত্রক?   

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে যে, গোটা বিষয়গুলি সম্পর্কে কেন্দ্র অবগত। একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোটা না ফেরা পর্যন্ত উদ্বেগ রয়েছে। আইন ও সরকারের দায়িত্ব হল সমস্ত নাগরিকদের সুরক্ষা যাতে বজায় থাকে। এটা সেই দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য দরকার। বৃহত্তরক্ষেত্রে এটা দরকার। 

    বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করে বলেন, ”কোনও ইসলামিক দেশে গণতন্ত্র সফল হয় না, এটা তার প্রমাণ। কিছু গণ্ডগোল হলেই ওখানে হিন্দুদের ওপরে অত্যাচার হয়। তারা পালিয়ে আসেন। আবার সেটা হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের হয়ে কেউ কথা বলছে না। কেউ জামাতিদের কথা বলছে, কেউ স্বৈরতন্ত্রের কথা বলছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে এখানে তার প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের সেখানে সরকার বদলের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা বলে প্রতিবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    Bangladesh Crisis: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন চালু থাকলেও দিল্লিতে ফিরলেন বহু কর্মী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশে ২৩২ জন নিহত হয়েছেন। এমত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। অন্যদিকে, এবার বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian High Commission) অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনল ভারত। জানা গিয়েছে, এই অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বাণিজ্যিক ফ্লাইটের মাধ্যমে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

    ঢাকা থেকে দিল্লি এলেন ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মচারীরা 

    বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের (Bangladesh Crisis) পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন থেকে নিজেদের কর্মীদের একাংশকে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশন (Indian High Commission) সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে একান্ত জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঢাকা থেকে দিল্লি এসে পৌঁছেছেন সকলে। তবে কূটনীতিকরা বাংলাদেশেই থাকছেন। হাইকমিশনের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু আছে। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ”বর্তমানে বাংলাদেশে আনুমানিক ১৯,০০০ ভারতীয় নাগরিক রয়েছে যার মধ্যে প্রায় ৯০০০ জন ছাত্র। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই, আমরা আমাদের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভাঙা পড়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি, ‘মানা যায় না’, বলছে ভাষা-শহিদের পরিবার

    বন্ধ বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি

    এখনও স্বাভাবিক নয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলিতে সতর্ক ভাবে পাহারায় রয়েছে বিএসএফ। এমত পরিস্থিতিতে এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি। বুধবার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থিত সব ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, পরবর্তী কবে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। 

    উল্লেখ্য, হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার কথা। আপাতত ১৫ সদস্যের সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share