Tag: Investigation

Investigation

  • RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা, এই বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে। কার্যত সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। উল্লেখ্য, আগেই সিবিআই (CBI), ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। কিন্তু গত ৯ অগাস্টের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এই খুনের মামলায় একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ছিল বলে বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতির রিপোর্ট পড়েন প্রধান বিচারপতি (RG Kar Case)

    মঙ্গলবার ফের একবার চিকিৎসক তরুণীর হত্যা মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই শুনানি। আবার আরজি কর মামলায়, গত ৭ অক্টোবর সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। এই চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। সেইসঙ্গে শিটে নাম দেওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই চার্জশিটের কথার ফের উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে চার্জশিটের কপিও জমা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। খুনের পিছনে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দেন সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা। সেই রিপোর্ট প্রধান বিচারপতি এদিন পড়েন।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে সিবিআই

    এদিন শুনানি চলার সময়, প্রধান বিচারপতি সিভিক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে কড়া প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কী ভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন?’’ উত্তরে রাজ্য জানায় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করে থাকে। হাসপাতালের সুরক্ষার প্রসঙ্গে বলেন, “ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।” অপর দিকে নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা (CBI) নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Birbhum: বীরভূমের খয়রাশোল বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে খয়রাশোলের ভাদুলিয়া কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গিয়েছে। এবার এই বিস্ফোরণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়েরের জন্য আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বোমাকাণ্ডে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের অনুমতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।

    লরিতে মজুত ছিল বিস্ফোরক (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রাশোলের (Birbhum) লোকপুর থানার ভাদুলিয়া গ্রামে একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই খনিতে একটি লরিতে প্রচুর বিস্ফোরক-বারুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর ওই লরিতেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। প্রথমে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। একই ভাবে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ একাধিক এলাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, খনিতে অবৈধ কাজ চলে। হয়তো কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য লরিতে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। পুলিশ এলাকায় সক্রিয় নেই বলেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

    পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি খাদানে বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের কাজ হচ্ছে কিনা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে মৃতদের পরিবার থেকে পুলিশকে ঘেরাও করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদের পরিবারের দাবি, রাজ্য প্রশাসনকে পরিবার পিছু ৩০ লক্ষ টাকা, একটি করে বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দিতে হবে। তবে বেশ কিছু সময় ধরে আন্দোলনের পর প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন এলাকার মানুষ। এলাকার (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বলেন, “কয়লাখনিগুলিতে তৃণমূলের নেতারা অবৈধভাবে দখল করে বেআইনি কাজ করছে। গোটা বাংলাকে এই ভাবে বারুদের স্তূপের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আগামী দিনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবেন। আমাদের দাবি, এই বিস্ফোরণের পিছে যারা আছে তাদের খোঁজ করে সত্যটা প্রকাশ্যে নিয়ে আসুক এনআইএ।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    Siddaramaiah: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে’, কর্নাটক হাইকোর্টে জোর ধাক্কা সিদ্দারামাইয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার তদন্ত করবে লোকায়ুক্ত। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) এই রায়ে চাপ বাড়ল কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর। বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দুর্নীতির প্রত্যকে বিষয়ে তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সরকারি পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আরও আগে হওয়া উচিত। এনিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কোর্টের বক্তব্য তদন্ত হওয়া দরকার (Siddaramaiah)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ অগাস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার এখনও পর্যন্ত ৬টি শুনানি হয়েছে। তবে কোর্ট (Karnataka High Court) রায়দান স্থগিত রেখেছে। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) আবেদন খারিজ করে বলেন, “আবেদনে যে যে বিষয়গুলি এসেছে তার তদন্ত হওয়া দরকার। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই কর্মকাণ্ডের দ্বারা সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছেন, যাঁরা, তাঁরা হলেন মামলার আবেদনকারীর পরিবারের লোকজন। এখানে বাইরের কেউ নেই। আবেদন বাতিল করা হল।”

    আরও পড়ুনঃ তিরুপতির লাড্ডু বিতর্কে ঘি সরবরাহকারী সংস্থাকে নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

    মুডা দুর্নীতির অভিযোগ

    কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলটের কাছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন টিজে আব্রাহাম, প্রদীপ এবং স্নেহময়ী কৃষ্ণা। মূল অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নথিপত্র বদল করে স্ত্রী পার্বতীকে এমইউডিএ (মুডা) বা মহীশূর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্প সস্তায় পাইয়ে দিয়েছিলেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মোট জমির পরিমাণ ছিল ৩.১৪ একর। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে উচ্চ আদলাতে গেলে মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরে মামলার কয়েকটি শুনানি হয়।

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এই কারণেই গত মাসে রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে কথা বলেন। সেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, আইনি লড়াই থেকে রেহাই না পেলে গদি ছাড়তে হতে পারে সিদ্দারামাইকে। সূত্রের খবর, আগে আদালতের রায় আসুক তারপর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী চান তদন্ত বহাল থাকলে তাঁর সরে যাওয়া দরকার। তবে সিদ্দারামাইয়া পদত্যাগ করলে ডিকে শিব কুমারের নাম উঠে আসছে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এদিকে, গতবছর গতিতে বসার পর থেকে কংগ্রেসের অপর একগোষ্ঠী সিদ্দারামাইয়াকে অপসারণের অভিযোগও তুলেছে। পরবর্তীতে মামলার গতি কোনদিকে এগোয় তাই এখন দেখার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই দিল্লি থেকে এলেন গোয়েন্দারা

    RG Kar Rape-Murder: আরজি কর-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই দিল্লি থেকে এলেন গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে বলেন, “রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য এবং নথি সিবিআইকে দিতে হবে। সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ অবিলম্বে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে এবং সেই দিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা করতে হবে।” এদিকে আদালতের নির্দেশের পরই তদন্তভার নিতে সিবিআই পৌঁছে যায় টালা থানায়। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল (RG Kar Rape-Murder)?

    মঙ্গলবারের শুনানিতে মৃতার পরিবারের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পরিবারের কাছে প্রথমে কেউ ফোন করে বলেছিল আপনার মেয়ে অসুস্থ। তারপর আবার আরেকজন ফোন করে বলে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পাল্টা সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, পরিবারের বক্তব্য সঠিক। দু’বার ফোন করা হয়েছিল। তবে হাসপাতালের সহকারী সুপারই ফোনে সংবাদ দিয়েছিলেন। তবে কেউ অভিযোগ না করায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর (RG Kar Rape-Murder) মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করে বলেন, “এটা আশা করা যায় না। মৃতদেহ কি রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে? কেন অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল। হাসপাতালের সুপার ও অধ্যক্ষ রয়েছেন। প্রিন্সিপালকে পুরস্কৃত করলেন। কেন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হল না? এই যুক্তি একদম দেখানো উচিত নয়।” উল্লেখ্য মামলাকারীদের অবশ্য দাবি ছিল রাজ্যের প্রভাব থাকবে না এমন কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। হাসপাতালের প্রত্যকে তলার প্রবেশ পথে যেন সিসিটিভি লাগানো হয় সেই দাবিও তোলা হয়।

    কোর্টের গুঁতো

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Rape-Murder) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অন্য কোনও মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাক্ষের দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। আজ হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সন্দীপের ভূমিকায় আদালত ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “সারানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কৃত করা হল অধ্যক্ষকে। পুরস্কৃত অধ্যক্ষকে ছুটিতে যেতে বলুন। তা না হলে আমরা নির্দেশ দেব।” কিন্তু আদালতের নির্দেশের কিছু সময়ের পর জানা যায় সন্দীপ ছুটির আর্জি করেছেন। ঘটনা ঘটার পর কেন হাসপাতালের সুপার এবং অধ্যক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি, এই প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। সন্দীপ ছুটির আর্জি করলে নাকচ করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

    আরও পড়ুনঃ‘‘এত পাওয়ারফুল লোক’’! ‘পুরস্কৃত’ সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে পাঠাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    চাপে রাজ্য সরকার

    সন্দীপের সময়কালে কেন একজন মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের শিকার হয়ে খুন (RG Kar Rape-Murder) হতে হল, এই নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনের চাপে পড়ে রাজ্য সরকার সোমবার অধ্যক্ষ পদ থেকে সরালেও আবার সঙ্গে বদলি করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে। এরপর সেখানেও বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন সেখানকার পড়ুয়ারা। অবশেষে লাগাতার আন্দোলনের চাপে কলেজের দায়িত্ব সন্দীপকে না দিয়ে অজয় রায়ের হাতেই রেখেছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    Organ Transplant Racket: অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস! দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। প্রতিবছরই ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দিনের পর দিন ধরে চলছে কিডনি পাচার চক্র (Organ Transplant Racket)। এবার সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করেই সাফল্য পেল দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্তরা।   

    বাংলাদেশ থেকে চলত এই চক্র পরিচালনা (Organ Transplant Racket)

    এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তার মধ্যে আবার একজন ডাক্তারও রয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী ওই ডাক্তার উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি হাসপাতালে ১৬টিরও বেশি অপারেশন করেছেন। মূলত বাংলাদেশ থেকে এই চক্র পরিচালনা করা হত বলে জানা গিয়েছে। কারণ মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই র‍্যাকেটের সঙ্গে জড়িতদের বাংলাদেশ যোগ রয়েছে। প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তারা ২৫-৩০ লক্ষ টাকা নিত। ২০১৯ সাল থেকে তারা এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে চলত এই পাচার চক্র?  

    ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা হাসপাতাল থেকে একজন ডাক্তারকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাঁকে দিয়ে কাজ চালাত। এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে, দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫টি ট্রান্সপ্লান্ট (Organ Transplant Racket) করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নথিগুলো সঠিকভাবে যাচাই করেছে কিনা তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কর্মকর্তাদের মতে, অভিযুক্তরা বাংলাদেশের হাসপাতাল থেকে জাল লেটারহেড তৈরি করে শুধুমাত্র ইমেল পরিবর্তন করত। এই অভিযুক্তরা ভালো করেই জানে যে তাদের ইমেল আইডি বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাই নতুন ইমেল আইডি তৈরি করা হত, যাতে কোনোভাবেই ইমেল আইডি হ্যাক হয়ে তাদের কারসাজি ধরা না পড়ে যায়।  

    আরও পড়ুন: কর্ণাটকের নেহা হত্যাকাণ্ডে ৪৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটে উল্লেখ নেই লাভ জিহাদের

    অপরাধ দমন শাখার ডিসিপির মন্তব্য (Delhi Police)

    এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি অমিত গোয়েল বলেছেন, “ গত ৯ জুলাই আন্তর্জাতিক অঙ্গ প্রতিস্থাপন র‍্যাকেটের (Organ Transplant Racket) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই র‍্যাকেটের মূল মাস্টারমাইন্ড একজন বাংলাদেশি। দাতা এবং গ্রহণকারী উভয়ই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা রাসেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছি, যে রোগী ও দাতাদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিত। এছাড়াও ট্রান্সপ্লান্টের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা ডাক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: জামিনের পরেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক! সিবিআইয়ের পরে এবার ইডির জালে জীবনকৃষ্ণ?

    Jiban Krishna Saha: জামিনের পরেই বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক! সিবিআইয়ের পরে এবার ইডির জালে জীবনকৃষ্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Recruitment Case)। সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বড়ঞাঁর তৃণমূল বিধায়ক  জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কিন্তু সিবিআই হেফাজত থেকে বেরতে না বেরতেই ফের কি ইডির জালে ফাঁসলেন তিনি? বর্তমানে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। কারণ, জানা গিয়েছে, এ বার ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেনে’র অভিযোগে ইডির ‘নিশানা’ হতে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে তলব করে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে একটি সূত্রের দাবি। তার পরেই দানা বেঁধেছে এই জল্পনা।

    ঠিক কী জানা গিয়েছে? (Jiban Krishna Saha)

    এ প্রসঙ্গে ইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, জীবনকৃষ্ণের স্ত্রী টগরির সম্পত্তি নিয়ে ‘খোঁজখবরের’ সূত্রেই তাঁকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ওই সূত্রের দাবি, এরপর জীবনকৃষ্ণকেও সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। জীবনকৃষ্ণের ‘পুকুরে ছুড়ে ফেলা মোবাইল’ থেকে যে তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি, তাতে ‘টাকা ফেরতের’ প্রসঙ্গ রয়েছে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। সে ক্ষেত্রে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Case) টাকা লেনদেনের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুন: চেয়েছিলেন পুত্রসন্তান, হল যমজ কন্যাসন্তান, দু’জনকেই খুন করে গ্রেফতার ‘কীর্তিমান’ পিতা

    এর আগে কী ঘটেছিল? (Recruitment Case)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে নেমে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এরপর ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই থেকেই প্রায় ১৩ মাস জেলে কেটেছে তাঁর। অভিযোগ, গ্রেফতারের সময় নিজের দুটি মোবাইল বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এরপর বহু কষ্টে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। 
    মোবাইল দু’টি থেকে বিভিন্ন তথ্য পুনরুদ্ধার করা হয় বলে পরে জানায় সিবিআই। যদিও জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করেননি। এবার সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ফের ইডির নজরে পড়লেন জীবনকৃষ্ণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    Malda: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! রবিবার রাতে এই হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন জাতীয় সড়কে। স্বাভাবিকভাবেই এ দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন রোগীর আত্মীয়েরা। ঘটনাটি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে খুলিটি। ইতিমধ্যেই ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে সেটি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dog carrying human skull) 

    মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজে এরআগে একাধিক বার সদ্যোজাতের দেহাংশ কুকুরকে খুবলে খেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এ বার মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশের সদর দরজা লাগোয়া জাতীয় সড়কের নর্দমার উপরে কুকুরকে একটি খুলি খুবলে খেতে দেখা যায়। ঘটনাটি নজরে আসতেই রোগীর আত্মীয়দের একাংশ কুকুরটিকে তাড়া করে সরিয়ে দেন। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, খুলিটি সদ্যোজাতের হতে পারে। তবে মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় কী ভাবে খুলিটি এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

    আরও পড়ুন: পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম! বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়

    তদন্তে নামল পুলিশ 

    অন্যদিকে খুলিটি আদেও সদ্যোজাতের কি না, তা ময়না-তদন্তে স্পষ্ট হবে দাবি পুলিশের। এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছে, খুলির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্পষ্ট করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেছেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি খুলি উদ্ধারের সঙ্গে মেডিক্যালের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মেডিক্যাল, সংলগ্ন এলাকায় একাধিক নার্সিংহোম রয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে রেল লাইনও রয়েছে। সেখানে প্রায়ই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। কুকুরে খুলি (Dog carrying human skull) সেখান থেকেও নিয়ে আসতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এ ঘটনায় মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, “মেডিক্যাল চত্বরে খুলি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। মেডিক্যালের বাইরে হয়েছে। তবু ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tufanganj Incident: প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলার চুলের মুঠি ধরল পুলিশ! ক্লোজ করা হল তুফানগঞ্জের এসআইকে

    Tufanganj Incident: প্রকাশ্য রাস্তায় মহিলার চুলের মুঠি ধরল পুলিশ! ক্লোজ করা হল তুফানগঞ্জের এসআইকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর লোকসভা ভোটের প্রথম চার দফা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম-এই তিন দফার ভোট। কিন্তু রাজ্যে এই ভোটের আবহের মধ্যেই এক  মহিলাকে পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হল। ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের সেই ঘটনায় (Tufanganj Incident) এবার ওই পুলিশ আধিকারিককে করা হল ক্লোজ।

    ঠিক কী ঘটছিল? (Tufanganj Incident) 

    ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার।  নিগৃহীতা মহিলার বয়ান অনুযায়ী, পারিবারিক বিবাদের জন্য গত ৯ তারিখ বাড়িতে সালিশি সভা হয়। অভিযোগ, বচসা শুরু হতেই এই সালিশি সভার ভিতরেই এলাকার তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির আলি তাঁকে মারধর করেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও নাকি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি তাঁর। নিগৃহীত মহিলা বলেন, “বাড়ির লোক মারল না। তৃণমূল নেতা মারল। আমি থানায় গেলেও পুলিশ কোনও কথা শোনেনি। আমার কেসও নেয়নি।” এরপর এই ঘটনার (Tufanganj Incident) প্রতিবাদে বিচার চেয়ে নাটাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযোগ এরপর প্রকাশ্যেই পুলিশের এক এসআই মহিলাকে তাঁর চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে পুলিশের গাড়িতে তোলেন। 
    এ প্রসঙ্গে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা বঙ্গের সংস্কৃতীর সঙ্গে যায় না। মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই? তৃণমূল নেতারা আসবে, মারধর করবে। তারপর পুলিশ অভিযোগ করবে না।”

    আরও পড়ুন: “সিএএ নিয়ে তৃণমূলের প্রচার ঠিক হলে আমি থুতু চাটব”, চ্যালেঞ্জ মিঠুনের

    পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করার সিদ্ধান্ত 

    অন্যদিকে ঘটনার (Tufanganj Incident) খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। একজন মহিলাকে কী করে চুলের মুঠি ধরে টেনে ওই পুলিশ আধিকারিক গাড়িতে তুললেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকার মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই সেই পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ আধিকারিক জানান, ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: গোষ্ঠীকোন্দল! ধারাল অস্ত্রের কোপ, দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

    Murshidabad: গোষ্ঠীকোন্দল! ধারাল অস্ত্রের কোপ, দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট। আর এরই মধ্যে বুধবার বিকেলে গন্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। 

    ঠিক কি ঘটেছিল? 

    জানা গেছে মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে রঘুনাথগঞ্জের গিরিয়া অঞ্চলের ভৈরব টোলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গণ্ডগোল এমনই অভিযোগ উঠছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তিনজন। ইতিমধ্যেই জখমদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর (Jangipur) মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও হাসান শেখ নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের (Baharampur Medical College) রেফার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। জঙ্গিপুর আউটপুস থানার ওসি (OC) সুমিত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পুলিশ এলাকায় তদন্ত (Investigation) চালাচ্ছেন। আক্রান্ত এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলেরই মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মারধরের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ দফায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি, দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    তৃণমূলে কোন্দল লেগেই রয়েছে!

    যদিও তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন ঘটনা নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনার তালিকা অনেক লম্বা। এর আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থানার পূর্ব গ্রামে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সম্প্রতি তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা ঘটেছিল হুগলিতে। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় কেড়ে নেওয়া হল বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) মাইক। এই ঘটনায় মঞ্চ ছাড়েন ‘অপমানিত’ বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    Sandeshkhali: “পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে”, বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ নিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন গ্রামের মানুষ। এবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পুলিশ নিরাপরাধ মানুষকে বেছে বেছে গ্রেফতার করছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।

    সিবিআইয়ের দাবি (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রেশন দুর্নীতি মামলা এবং ইডির আধিকারিকদের উপর শাহজাহানের দুস্কৃতী বাহিনীর আক্রমণ প্রসঙ্গে সিবিআই দাবি করেছে, “অপরাধ আড়াল করতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর দলবল ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। সেখানে সত্য ঘটনাকে ধামা চাপা দিতে বহু নিরাপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যত জন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তাদের বয়ানের উপর নির্ভর করে আদালতে এমনটাই জানাতে চলেছে সিবিআই। আদালতের কাছে এই বক্তব্য পেশ হলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের এক একবার প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    পুলিশের দ্বারা ধৃতের বিরুদ্ধে তথ্যের অভাব

    গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট (Sandeshkhali) আদালতে আবেদন জানিয়ে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। এরপর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই জানায়, ধৃতদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য পরীক্ষা করে দেখা হয়, কিন্তু তদন্তকারী অফিসারেরা জানান ঘটনায় হামলার সঙ্গে এইসব ব্যক্তিরা যুক্ত ছিলেন বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

    ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) পুলিশের দ্বারা ধৃতদের জেরা করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ধৃতেরা জানিয়েছেন, “তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাদের থানায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু থানায় পৌঁছলে, তাদের সেইসময় গ্রেফতার করা হয়।” তাদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে তদন্তকারী অফিসারেরা ধৃতদের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। গত শনিবার সুকোমল সর্দার এবং মেহবুব মোল্লার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এরপর আবার গতকাল রবিবার, রামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারেরা কথা বলেন। ফলে সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যে আরও একবার প্রশ্ন উঠল বলে ওয়াকিবহাল মানুষ মনে করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share