Tag: Investigation

Investigation

  • Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    Kaliyaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যু কাণ্ডের তদন্তে তাঁর বাড়িতে মহকুমা শাসক, তৈরি করা হল স্কেচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ (Kaliyaganj) ব্লকের রাধিকাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ হল। এর পর আজ রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি ঘটনাস্থল চাঁদগা গ্রামে পরিদর্শনে যান। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি মহকুমা শাসকের তত্ত্বাবধানে সেদিনের ঘটনার স্কেচ তৈরি করা হয়। তবে এদিনের তদন্ত নিয়ে মহকুমা শাসক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আজও ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হয়েছে।

    কীভাবে গ্রহণ হল সাক্ষ্য (Kaliyaganj)?

    এদিন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি, কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) জয়েন্ট বিডিও এবং স্কেচ তৈরিতে পারদর্শী একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে পৌঁছান। মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে সেই রাতের ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন মহকুমা শাসক। পরিবারের সদস্যদের বয়ান অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি স্কেচ তৈরি করা হয়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করেন মহকুমা শাসক।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বলা হয়, ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে ওইদিন রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরকেও আসার জন্য বলা হয়। ৬ জুন ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় মহকুমা শাসকের (Kaliyaganj) উপস্থিতিতে। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এই তদন্তের কাজ থেমে থাকে। নির্বাচন পর্ব মিটতেই এই তদন্তের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরপর তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে ঘটনার দিন এই গ্রামে অভিযানে নিযুক্ত প্রত্যেক পুলিশকর্মীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। এরপর স্কেচ ফাইনাল করে মহকুমাশাসক তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliyaganj) বর্মনের দাদা মৃণালকান্তি বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসকের আজকের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের উপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আধিকারিকদের যেসব ঘটনা সামনে এসেছে তাতে তো বোঝাই যাচ্ছে যে তাঁরা মমতা ব্যানার্জির সাথে মিলে রয়েছেন।  বিভিন্ন আধিকারিকরা আসছেন, সিআইডি এসেছেন। তাঁরা সব তথ্য নিয়ে গেছেন।  কিন্তু আদৌ এই সমস্ত তথ্য হাইকোর্টে পেশ করবে কিনা তা নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।”

    অপরদিকে, মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসককে ঘটনার সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু সিআইডি কিংবা পুলিশের ওপর আমাদের ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চুরির তদন্ত বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তন চায় তৃণমূল, বললেন শুভেন্দু

    Paschim Medinipur: চুরির তদন্ত বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারে পরিবর্তন চায় তৃণমূল, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে-তে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ভীমপুরে বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে এলাকায় বিজেপির পক্ষে ব্যাপক উন্মাদনা এদিন লক্ষ্য করা গেল।

    কেমন প্রচার চলছে (Paschim Medinipur)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে ভীমপুরে পদযাত্রায় যোগদান করেন। এরপর তিনি দীর্ঘ রাস্তায় টোটো করে জনসংযোগ সারেন। শেষে পিড়াকাঠায় (Paschim Medinipur) এসে পৌঁছান। দলীয় কর্মীদের সাথে পিড়াকাঠায়ও যোগ দেন একটি নির্বাচনী পদযাত্রায়। এরপরই একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকার তথা শাসক শিবিরকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিকে ঘিরে দলীয় কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার অভিযানে (Paschim Medinipur) যোগদান করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধীর পায়ে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রের সরকারকে পরিবর্তন করতে হবে। কারণ পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি, এনআইএ যাতে তদন্ত আর না করতে পারে! তৃণমূল শাসকদের বড় বড় নেতামন্ত্রী এখন জেলে রয়েছেন। আরও হয়তো অনেকে যাবেন। নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে পাটনায় সব চোরেরা এক হয়েছেন। কিন্তু লাভ হবে না। কার্যত চুরির তদন্ত বন্ধ করতেই তৃণমূল দিল্লির কেন্দ্র সরকারের পরিবর্তন চায়। শুভেন্দু আরও বলেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে সিপিএমকে ভোট দেওয়া আবার সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়া। তাই তিনি বলেন, এই গোপন বোঝাপড়া এবং সেটিংকে বুঝে নিতে হবে।

    আরও কী বললেন?

    সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, রাজ্যে রাজ্যপাল সমান্তরাল শাসন চালাচ্ছেন বলে তৃণমূল অভিযোগ করছে। উত্তরে শুভেন্দু বলেন, সময়ে সময়ে রাজ্যপাল ভালো হয়ে যা্‌ আবার সময়ে সময়ে তৃণমূলের কাছে খারাপ হয়ে যান। সবই নাটক! এক কথায় তৃণমূল শাসক সংবিধানকে মানে না। কয়েকদিন আগে বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, আমি যখন তৃণমূলে ছিলাম তখন ভালো ছিলাম। এখন বিজেপিতে আসায় খারপ হয়েগেছি। তৃণমূলের জনজোয়ার যাত্রাকে তিহার যাত্রা বলেও সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Farooq Abdullah: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    Farooq Abdullah: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকাতেও দুর্নীতি! এবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে (Farooq Abdullah) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল ইডি (Enforcement Directorate)। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর নেতা ফারুক আবদুল্লাকে তাদের শ্রীনগরের দফতরে হাজির থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক বেনিয়মের (Money Laundering) তদন্তেই সমন পাঠানো হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। 

    ইডির অভিযোগ

    ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটিয়ে তিনি টাকা নয়ছয় করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই-এর থেকে প্রাপ্ত টাকা ফারুকের আমলে বেআইনিভাবে অনেকের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আজ, ১১ জানুয়ারি শ্রীনগরের ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। যদিও তিনি হাজিরা দেবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ফারুকের বয়স ৮৬। বয়সজনিত কারণে তিনি হাজিরা এড়াতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। 

    কখন হয়েছিল এই দুর্নীতি

    ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফারুক তাঁর রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, টাকা তছরুপের ঘটনাটি ঘটে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বরাদ্দ টাকা বিভিন্নভাবে হাতিয়ে নেওয়া হত। অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে যে টাকা জমা পড়ার কথা, তা অ্য়াসোসিয়েশনের অধিকর্তা সহ একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের অপব্যবহার করেছিলেন এবং বহু লোকজনকে নিয়োগ করেছিলেন, যারা বিসিসিআই-র তহবিল তছরুপ করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    উল্লেখ্য, এই একই মামলায় তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তারা ইতিমধ্যেই মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০২২ সালে ইডির চার্জশিটে শ্রীনগরের লোকসভার সাংসদ ফারুক আবদুল্লার নাম ছিল। ইডির দাবি, ফারুকের সময় ৪৫ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kalighater Kaku : এসএসকেএম-এর থেকে রিপোর্ট তলব! সুজয়কৃষ্ণকে দেখতে হাসপাতালে ইডি

    Kalighater Kaku : এসএসকেএম-এর থেকে রিপোর্ট তলব! সুজয়কৃষ্ণকে দেখতে হাসপাতালে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ আছেন কেমন? সরেজমিনে সোমবার হাসপাতালে গেলেন ইডি-র এক আধিকারিক। খুব অল্প সময় তিনি পিজি-তে ছিলেন, বলে খবর। কার্ডিয়োলজি বিভাগে গিয়ে কাকুর অবস্থা জেনে আসেন ওই অফিসার। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। এ বিষয়ে কলকাতা থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে, ইডি কর্তাদের কাছে। 

    কেন হাসপাতালে ইডি

    ‘আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ গত শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে এসএসকেএম থেকে জোকা ইএসআই-তে নিয়ে যেতে পারেনি ইডি। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে গিয়েও ফিরে যেতে হয়েছিল তাদের। ইডিকে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় কার্ডিয়োলজির এক নম্বর কেবিন থেকে ‘কাকু’কে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এবার সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দেখা গেল ইডি কর্তাদের মধ্যে। কাকু কতখানি অসুস্থ সেটাই স্পষ্ট নয় এসএসকেএমের মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকে। ইডি সূত্রে খবর, কাকুর সিএবিজি গ্রাফ্ট ভেসেল (CABG GRAFT VESSLE) রিপোর্টও নেই। হার্টের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট এটি। সেই রিপোর্ট চেয়ে এবার এস‌এসকেএমকে চিঠি দিল ইডি।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে ৩০ দিনে বাংলো খালির নির্দেশ! মন্ত্রককে চিঠি সংসদের আবাসন কমিটির

    বৈঠকে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড

    অন্যদিকে কাকুর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, এম‌এসভিপি পীযূষ রায় ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের তিন সদস্য কার্ডিওলজিস্ট দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়, অসিত দাস, গৌতম দত্ত। আইসিসিইউ থেকে স্থানান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, শুক্রবারই সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে চায় তারা। নিয়োগ মামলায় সুজয়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলার স্বরের নমুনা অনেক দিন ধরে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু বার বার তাতে বাধা আসছে বলে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • iPhone Hacking: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

    iPhone Hacking: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রের মদতে তাঁদের আইফোন হ্যাক (iPhone Hacking) করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার অ্যাপেলের পক্ষ থেকে এই মর্মে সতর্কবার্তা পেয়েছেন বসলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী সাংসদ ও নেতার। সেই বার্তা কেন পাঠানো হল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের বক্তব্য 

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারত সরকার নাগরিকদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এই বিজ্ঞপ্তিগুলির শেষ দেখতে তদন্ত করা হবে।” অ্যাপলের সতর্কবার্তা ভুয়ো বলেও দাবি মন্ত্রীর। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, অ্যাপল যে কেবল ভারতেই এই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, তা নয়। সব মিলিয়ে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫০টি দেশে জারি করা হয়েছে এই সতর্কবার্তা। তিনি বলেন, “কেন ওই সতর্কবার্তা এল, তা জানতে বিশদ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা ওই সতর্কবার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন তদন্তে সহযোগিতা করেন।” 

    ধ্বংসাত্মক রাজনীতি

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা সমালোচনার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করার কোনও বড় কারণ না পেয়ে এখন হ্যাকিং নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা।” তিনি বলেন, “অ্যাপলের পাঠানো ই-মেইল থেকে বোঝা যায়, তাদের কাছে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই। তারা অনুমানের ভিত্তিতে এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এটা ভুয়ো। অ্যাপল সাফ জানিয়েছে, সমালোচনার জন্য যারা সমালোচনা করছেন, তাঁদের অভিযোগ সত্য নয়। যাঁরা দেশের উন্নয়ন চান না, তাঁরাই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন।”

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “পুরোটা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব অ্যাপল সংস্থার পক্ষেই। বিরোধী নেতাদের কোনও সমস্যা হলে এফআইআর করা উচিত। ওঁদের তো কেউ আটকায়নি!” তিনি বলেন, “পেগাসাস বিতর্কে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা নিযুক্ত কমিটির সামনে তাঁর আইফোনটি জমা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। আজকের অভিযোগ নিয়ে হইচই করার আগে ওই বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন।”

    সাফাই দিল অ্যাপল-ও

    হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে নিজেদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেজে বিবৃতি দিয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত হামলাকারীরা সাধারণত আর্থিকভাবে পুষ্ট ও অত্যাধুনিক হয়। গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারির ওপর নির্ভর করে এ ধরনের হামলা ধরতে গেলে দেখা যায়, তা অনেক সময়ই ত্রুটিযুক্ত ও অসম্পূর্ণ। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, কিছু নোটিফিকেশন অনেক সময়ই মিথ্যে সঙ্কেত হতে পারে। আবার অনেক হামলা ধরাই পড়ে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড দুর্নীতিতে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আইনজীবীর ফ্ল্যাট থেকে বেরতে দেখা যায়নি ইডি (ED Raid) অফিসারদের। বৃহস্পতিবারও তল্লাশি জারি রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আইনজীবীকে। দুর্নীতির সঙ্গী আইনজীবী সঞ্জয় বসু, এমন দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে শুভেন্দু যা বললেন

    আলিপুরের বর্ধমান রোডে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে ইডির তল্লাশি (ED Raid) চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কুকর্মের সাথী এই সঞ্জয় বসু। শুভেন্দু বলেন, ‘সঞ্জয় বসু শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী নন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্থায়ী আইনজীবী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যত অপকর্ম করেছেন তার মূল সাগরেদ হচ্ছে সঞ্জয় বসু। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসানসোল, পুলিশকে সংগঠিত করে টাকা তুলছে এই সঞ্জয় বসু। গোটা রাজ্যে তৃণমূলের যত টাকা সংগ্রহ হচ্ছে তার দায়িত্ব রয়েছে সঞ্জয় বসুর ঘাড়ে। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা তোলার দায়িত্ব আগে বিনয় মিশ্রর ছিল, এখন সঞ্জয় বসুর’।

    ইডি সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার এক আধিকারিক এসেছেন, যাঁর তত্ত্বাবধানে এই তল্লাশি (ED Raid) চলছে। একটি চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সঞ্জয় বসুর বিলাসবহুল আবাসনের ভিতরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবাসনের বাইরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। আলিপুর থানার ওসি এবং একজন এসি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ বাহিনী মোতায়ন হয়েছে। ওই আবাসন থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘এই অভিযান (ED Raid) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিচলিত। ডিজিপি অনেককে অনেক নির্দেশ দিয়েছেন তার তথ্যপ্রমাণ আমরা পাচ্ছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলকে ফোন করে বলেছেন, আপনারা এটা নিয়ে বেশি প্রচার করবেন না। আমার অনুরোধ থাকল। টিভি চ্যানেলের মাথাদের কাছে ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে ফেসটাইমে এই কল গিয়েছে। অর্থাৎ সরকার ফেঁসে গেছে। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, জিট্টা, তার পর কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, আর আজকে সঞ্জয় বসু, আর চৌকাঠ পেরনোর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chit Fund Scam: চিটফান্ড কাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার সিবিআই-এর, কোন মামলার তদন্ত?

    Chit Fund Scam: চিটফান্ড কাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার সিবিআই-এর, কোন মামলার তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিট ফান্ড (Chit Fund) কাণ্ডে মঙ্গলবার আরও চারজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। সন্মার্গ চিটফান্ড সংস্থার তদন্তে নেমে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে। এবার সংস্থায় ডেপুটি ম্যানেজার, ফান্ডিং ডিরেক্টর, টেরটরি ম্যানেজার-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং তাঁর ভাই তথা কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। আর এবার মঙ্গলবার চিটফান্ড মামলায় কলকাতায় তল্লাশি চালাল সিবিআই। গতকাল বিরাটি থেকে এই ৪ জনকে গ্রেফতার করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাদেরকে জেরা করে নতুন তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তবে এই তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে রাজু সাহানির মামলার সরাসরি যোগ রয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।   

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের       

    সিবিআই সূত্রে খবর, বিরাটি থেকে ধৃত চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যে নয়া তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই দক্ষিণ কলকাতার একটি আবাসনে তল্লাশি অভিযান চালান আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ২৫৫ নং যোধপুর পার্কের দ্বিতীয় তলায় এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়৷ অন্যদিকে, গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউতেও তল্লাশি করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।   

    আরও পড়ুন: স্বস্তি জিতেন্দ্রর, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    জানা যায়, সকাল সকাল তিনটি গাড়িতে করে সিবিআই তদন্তকারীরা তল্লাশি অভিযানে বের হন। এর মধ্যে একটি গাড়ি যোধপুর পার্কের একটি  বহুতলে যায়। ফ্ল্যাটটির মালিক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি তখন বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর এবং তাঁর পরিবারের লোকের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কোন মামলার তদন্ত চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ তদন্তকারী গোয়েন্দারা। তাই এই সিবিআই হানা নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবার বিপাকে পড়ল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে আগে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানোর আগে এক কথায় সিআইডিকে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    গত শুনানিতে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল আদালত। সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয় 

    সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

    এসএসসির ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। 

    তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে।  

    যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, “এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন।”  

LinkedIn
Share