Tag: IPL

IPL

  • IPL 2024: অরেঞ্জ ক্যাপ বিরাট, পার্পল ক্যাপ হর্ষল, জানেন কত টাকা পেল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর?

    IPL 2024: অরেঞ্জ ক্যাপ বিরাট, পার্পল ক্যাপ হর্ষল, জানেন কত টাকা পেল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বার আইপিএল (IPL 2024) খেতাব জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চলতি মরশুমে শেষ হল ক্রীড়া বিনোদনের মহাযজ্ঞ। মরশুমের শেষে একগুচ্ছ পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করল বিসিসিআই। আইপিএলের বিজয়ী দল কেকেআর পেল ২০ কোটি টাকা। রানার্স হওয়ার জন্য সানরাইজার্স পেল ১২.৫ কোটি টাকা। পুরস্কৃত করা হল গ্রাউন্ড স্টাফদেরও। যাঁদের জন্য এই মহাযজ্ঞ সুসম্পন্ন হয়েছে তাঁদেরকে কুর্নিশ জানালেন বিসিসিআই (BCCI) সচিব জয় শাহও।

    সর্বাধিক রানের জন্য অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ী হলেন বিরাট কোহলি। এবারের আইপিএলে (IPL 2024) শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন কোহলি। এবার আইপিএলে ৭৪১ রান করেছেন কোহলি। যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি এবং পাঁচটি অর্ধশতরান রয়েছে। ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা পেলেন। তাঁর হয়ে পুরস্কার নিলেন শ্রেয়স আইয়ার। ২০২৩ সালের অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক হয়েছিলেন শুভমান গিল। ১৬ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছি‌ল ৮৯০ রান। হর্ষল প্যাটেল টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট(২৪) শিকারী। তিনি পেলেন বেগুনি টুপি ও ১০ লক্ষ টাকা।

    আইপিএল ২০২৪-এর সেরা পুরস্কার

    ১. চ্যাম্পিয়ন- কলকাতা নাইট রাইডার্স (ট্রফি ও ২০ কোটি টাকা)।

    ২. রানার্স- সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (শিল্ড ও ১২.৫ কোটি টাকা)।

    ৩. অরেঞ্জ ক্যাপ (সব থেকে বেশি রান)- বিরাট কোহলি (৭৪১ রান) (স্মারক ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ৪. পার্পল ক্যাপ (সব থেকে বেশি উইকেট)- হার্ষাল প্যাটেল (২৪টি উইকেট) (স্মারক ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ৫. ইলেক্টিক স্ট্রাইকার্স অফ দ্য ম্যাচ- বেঙ্কটেশ আইয়ার (ট্রফি ও ১ লক্ষ টাকা)।

    ৬. ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ- মিচেল স্টার্ক (ট্রফি ও ১ লক্ষ টাকা)।

    ৭. ফাইনালে সব থেকে বেশি ছক্কা- বেঙ্কটেশ আইয়ার (ট্রফি ও ১ লক্ষ টাকা)।

    ৮. ফাইনালে সব থেকে বেশি চার- রহমানউল্লাহ গুরবাজ (ট্রফি ও ১ লক্ষ টাকা)।

    ৯. ফাইনালে সব থেকে বেশি ডট বল- হর্ষিত রানা (স্মারক ও ১ লক্ষ টাকা)।

    ১০. প্লেয়ার অফ দ্য ফাইনাল ম্যাচ- মিচেল স্টার্ক (ট্রফি ও ৫ লক্ষ টাকা)।

    ১১. টুর্নামেন্টের উঠতি ক্রিকেটার- নীতীশ রেড্ডি (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১২. ইলেক্টিক স্ট্রাইকার্স অফ দ্য টুর্নামেন্ট- জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৩. ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্ট- সুনীল নারিন (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৪. টুর্নামেন্টের সব থেকে বেশি ছক্কা- অভিষেক শর্মা (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৫. টুর্নামেন্টের সব থেকে বেশি চার- ট্র্যাভিস হেড (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৬. টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ- রমনদীপ সিং (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৭. ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড- সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৮. মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার)- সুনীল নারিন (ট্রফি ও ১০ লক্ষ টাকা)।

    ১৯. সেরা মাঠ ও পিচ- হায়দরাবাদ (ট্রফি ও ৫০ লক্ষ টাকা)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IPL 2024: রাতভর চলল উচ্ছ্বাস, একপেশে ফাইনালে ১০ বছর পর দাপটে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা

    IPL 2024: রাতভর চলল উচ্ছ্বাস, একপেশে ফাইনালে ১০ বছর পর দাপটে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরল বারো বছর আগের স্মৃতি। সেই মাঠ, সেই দল। চেন্নাইয়ের মাঠে ২০১২-প্রথম আইপিএল (IPL 2024) ট্রফি জিতেছিল কলকাতা। এবার তৃতীয়বার ট্রফি জয়ও চিপকেই। তবে এরকম  একপেশে ফাইনাল আইপিএলের ১৭ বছরের ইতিহাসে হয়নি। আইপিএল ফাইনাল চলাকালীনই টুইটারে ট্রেন্ডিং, ‘ওর্স্ট এভার আইপিএল।’ সত্যি এতটাও নিকৃষ্টতম ফাইনাল উপহার দিয়ে যাবে রবিবারের দ্বৈরথ, ভাবাই যায়নি। ব্যাটে-বলে সব জায়গায় ব্যর্থ হায়দরাবাদ। সেরার সেরা কলকাতা (KKR vs SRH)। গুরু গম্ভীরের মন্ত্রে এতটা জোর তা হয়তো ভাবতেও পারেননি বিশ্বজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

    রাতভর উচ্ছ্বাস

    আইপিএল (IPL 2024) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে প্রথমে সাজঘরে ও তার পর হোটেলে ফিরে উল্লাসে মাতলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারেরা। কেক কাটা থেকে শুরু করে শ্যাম্পেনে স্নান বাদ গেল না কিছুই। বেদ গেলেন না কেউই। গুরু গম্ভীর থেকে নারিন, রাসেল, রিঙ্কু, শ্রেয়স, ভেঙ্কি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উচ্ছ্বাস। ১০ বছর পর ফের ঘরে ট্রফি। রাত ২টো নাগাদ নাচতে নাচতে হোটেলে ফেরেন নাইটরা। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য চেন্নাইয়ের হোটেলে রাখা হয়েছিল একটি বিশাল কেক। ট্রফি নিয়ে হোটেলে ঢোকেন শ্রেয়স আয়ার। তিনি প্রথমেই কেকের পাশে গিয়ে ট্রফি রেখে দেন। ক্রিকেটারদের গায়ে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জার্সি। চার দিকে ‘কেকেআর, কেকেআর’ চিৎকার। 

    ব্যাটে-বলে দাপট

    বিশ্বকাপ ফাইনালে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ম্যাচ বের করেছিলেন অজি নেতা। এদিন পিচ চিনতেই ভুল করে বসলেন সেই বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। লাল বলের পিচ যে দেড় গজ করে সুইং করিয়ে দেবে ভাবতে পারেননি অজি তারকা। প্রথম তিন ওভারেই ম্যাচটা হেরে যায় হায়দরাবাদ। ২০১৩-র ফাইনালে সিএসকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১২৩/৯ তুলেছিল। সেটাই ছিল কোনও সংস্করণের ফাইনালে সর্বনিম্ন রানের নজির। সেই রেকর্ড ভাঙল রবিবার। চিপকে হায়দ্রাবাদ অল আউট ১১৩ রানে। এই রান যে কেকেআর দশ ওভারে তুলে দেবে তা সবাই ধরেই নিয়েছিল। কোনও অঘটন ঘটেনি। হলও তাই। ৫৭ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে কেকেআর। একাই ২৬ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ভেঙ্কি। তার আগে গুরবাজের লড়াকু ইনিংস। বাকিটা ইতিহাস।

    স্টার্কই সেরা

    কামিন্সের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিলেন তাঁরই বন্ধু মিচেল স্টার্ক। প্লে অফ থেকে এতটাই দুরন্ত স্টার্ক যে ট্র্যাভিস হেডের মত পেস বোলিং মোকাবিলায় অন্যতম সেরা তারকা নিজে স্ট্রাইক নিলেন না। স্টার্ককে ফেস করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন অভিষেককে। সতীর্থ স্টার্ককে সম্মান করেই ভুল করলেন হেড। স্টার্কের প্ৰথম চার বলে নাস্তানাবুদ অভিষেক। পঞ্চম বলে একেবারে বেসামাল। কেঁপে গেল গোটা হায়দরাবাদের ব্যাটিং।

    ফাইনালেও (IPL 2024) ম্যাচের সেরা স্টার্ক। বারবার উঠছিল তাঁর দর ও প্রথম দিকে তাঁকে ঘিরে সমালোচনার কথা। তবু কোনও কিছুই যেন গায়ে মাখলেন না চরম পেশাদার স্টার্ক। আসল সময়ে জ্বলে উঠে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাঁর দাম ২৫ কোটি। কেকেআর-কে চ্যাম্পিয়ন (KKR vs SRH) করলেও ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়ে গেলেন অজি পেসার। এই ফর্মে থাকলে এক সপ্তাহ পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর সামনে ফের পরাস্ত হবেন না তো বিরাট-রোহিতরা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরের চালেই ট্রফি থেকে আর মাত্র এক পা দূরে নাইটরা

    Gautam Gambhir: গুরু গম্ভীরের চালেই ট্রফি থেকে আর মাত্র এক পা দূরে নাইটরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরু গম্ভীরের মগজাস্ত্র আর নাইটদের দলগত পারফরম্যান্সের জেরে চলতি আইপিএলের (IPL 2024) ফাইনালে কেকেআর। গুরু গম্ভীরের চালেই ট্রফি থেকে আর মাত্র এক পা দূরে নাইটরা, বললে অত্যুক্তি হবে না। দলের জোড়া কাপ জয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) আসতেই যেন সবকিছু বদলে গিয়েছে কেকেআর শিবিরে। কিন্তু কীভাবে, সেই মন্ত্রই প্রকাশ্যে এল একটি ভিডিও-য়।

    গম্ভীরের মন্ত্র

    আমদাবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়িয়ে আইপিএল ২০২৪-এর (IPL 2024) ফাইনালে ওঠার দিনে সামনে এল গম্ভীরের (Gautam Gambhir) একটি বিশেষ ভিডিও, যেখানে মরশুমের শুরুতেই নাইট তারকাদের লক্ষ্য স্থির করে দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ভাইরাল ভিডিও ক্লিপটিতে ক্রিকেটারদের প্রতি গম্ভীরকে বলতে শোনা যায় যে, ‘এই গ্রুপের প্রত্যেকের সঙ্গে সমান আচরণ করা হবে। এখানে কোনও সিনিয়র-জুনিয়র থাকবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটার আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করা হবে না। কারণ আমাদের সামনে একটাই লক্ষ্য। সেটা হল আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তাই সকলকে একটাই কথা মাথায় রাখতে হবে, নিজেদের সবটুকু দিয়ে ২৬ মে আমাদের ওখানে (ফাইনালে) পৌঁছতে হবে। আমাদের এটা মেনে চলতে হবে আজ থেকেই।’

    বিশেষজ্ঞদের মত

    আইপিএলের (IPL 2024) আঙিনায় আবির্ভাবেই প্রথম ২টি মরশুমে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২টি মরশুমেই তাদের মেন্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। আইপিএল ২০২৪-এর আগে লখনউ ছেড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফেরেন গম্ভীর। ক্যাপ্টেন হিসেবে যে দলকে ২ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন, এবার মেন্টর হিসেবে তাদের ফের ফাইনালে পৌঁছে দিলেন গৌতম। চলতি আইপিএল মরশুমে কেকেআরের সাফল্যের পিছনে গম্ভীরের যে বিরাট অবদান রয়েছে, সেটা এককথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    স্টার্কে ভরসা

    শুধু নিখুঁত গেম প্ল্যান ছকে দেওয়াই নয়, ক্রিকেটারদের উপর ভরসা রাখতে শখিয়েছেন গম্ভীর (Gautam Gambhir)। চলতি আইপিএলের শুরুতে ছন্দে ছিলেন না স্টার্ক। তাঁকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু ভরসা রেখেছিলেন  মেন্টর গৌতম গম্ভীর। কলকাতা-হায়দরাবাদ ম্যাচের পর আর হয়তো গম্ভীরকে ব্যাখ্যা দিতে হবে না কেন এত টাকা দিয়ে দলে স্টার্ক।  কথায় বলে ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’। এদিন তিন উইকেট নিয়ে স্টার্ক বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁর দাম ২৪.৭৫ কোটি টাকা।

    শাহরুখের আস্থা

    কেকেআরের আইপিএল (IPL 2024) জয়ী (২০১২, ২০১৪) একমাত্র অধিনায়ক ফের কেকেআরের ড্রেসিংরুমে। দলের মালিক শাহরুখ খানের যে তাঁর প্রতি অগাধ আস্থা। গম্ভীর (Gautam Gambhir) বলেন, ‘আমি সাত বছর কেকেআরের ক্য়াপ্টেন ছিলাম। ওই সাত বছরে ৭০ সেকেন্ডের জন্য়ও ও ক্রিকেট নিয়ে কখনও শাহরুখ কথা বলেনি। জীবনে ক্রিকেট নিয়ে একটা প্রশ্নও করেনি। আমি আসার পর থেকেও এসআরকে আমার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কোনও কথাই বলেনি। আমাকে ও বলেছিল, কেউ যদি আমাকে অভিনয় শেখাতে আসে, তাহলে আমার শুনতে ভালে লাগবে না। একই ভাবে তোমাকেও নিশ্চয়ই যদি কেউ ক্রিকেট খেলা শেখাতে আসে তাহলে ভালে লাগবে না। আমি বলেছিলাম ঠিকই।  ওইটুকুই কথোপকথন হয়েছিল। একবারও কোন দল নিয়ে খেলব বা আমাদের স্ট্র্য়াটেজি কী হবে, তা নিয়ে এসআরকে একটা কথাও বলেনি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: বড় ম্যাচেই জাত চেনালেন স্টার্ক, হায়দরাবাদকে সহজে হারিয়ে রবিতে ট্রফির লড়াইয়ে কলকাতা 

    IPL 2024: বড় ম্যাচেই জাত চেনালেন স্টার্ক, হায়দরাবাদকে সহজে হারিয়ে রবিতে ট্রফির লড়াইয়ে কলকাতা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রেয়স, স্টার্ক, নারিনদের সম্মিলিত প্রয়াসে আইপিএল (IPL 2024) ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেট হারিয়ে এবার ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করল নাইটরা। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে (KKR vs SRH) চালকের আসনে বসিয়ে দেন ২৫ কোটির বোলার। হায়দরাবাদের ১৫৯ রানের জবাবে কেকেআর ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে করল ১৬৪ রান। ২০ ওভারের ম্যাচে ৩৮ বল বাকি থাকতেই ফাইনালে চলে গেল কলকাতা।

    বড় ম্যাচের ঘোড়া

    কয়েক মাস আগে এই মাঠেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। আইপিএলে (IPL 2024) প্রতিপক্ষ। ইনিংসের দ্বিতীয় ডেলিভারি। সামনে জাতীয় দলের সতীর্থ ট্রাভিস হেড। এ মরসুমে বোলারদের ত্রাস। তাঁর বিরুদ্ধে বোলিংয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। জানেন সতীর্থের দুর্বলতাও। ট্রাভিস হেডকে দ্রুত ফেরানোই লক্ষ্য মিচেল স্টার্কের। যা খুবই কঠিন কাজ। আর সেই কঠিন কাজই সহজ ভাবে করলেন স্টার্ক। লেন্থ বল, হালকা বাইরের দিকে যাচ্ছিল, হেড খেললেন, কিন্তু ব্যাটে বলে হল না। উল্টে দুটো উইকেট মাটিতে লুটিয়ে পড়ল!ট্রাভিস হেডকে গোল্ডেন ডাক করতেই একটা অদৃশ্য চাপ গ্রাস করল হায়দরাবাদকে। এরপর পাওয়ার প্লে-তেই ফেরালেন নীতীশ রেড্ডি ও শাহবাজ আহমেদকে।

    ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন স্টার্কই। এর মধ্যে ট্রাভিস হেডের উইকেটই যে সবচেয়ে তৃপ্তির, বলার অপেক্ষা রাখে না। স্টার্ক বলছেন, ‘পাওয়ার প্লে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমরা সকলেই জানি। এই দুটি দলই পাওয়ার প্লে-তে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছে। সুতরাং, দ্রুত উইকেট নেওয়া খুবই জরুরি ছিল। হেড ও অভিষেক এ মরসুমে পাওয়ার প্লে-তে যে ভাবে ব্যাট করছিল, ঠিক বর্ণনা করা যায় না।’ হেডের উইকেট প্রসঙ্গে স্টার্ক যোগ করেন, ‘এ ক্ষেত্রে নিজেকে ভাগ্যবান বলব। ওকে দ্রুত ফেরানো কার্যত অসম্ভব। সব দিন হয় না।’

    উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক

    ফাইনালে (IPL 2024) ওঠার পর নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখেননি কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, তাঁর দল প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে, যার জেরে সাফল্য এসেছে। সানরাইজার্সের (KKR vs SRH) ইনিংস ১৫৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর, রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর মাত্র ১৩.৪ ওভারে দুই উইকেটে ১৬৪ রান করে ফেলে। নারিন-গুরবাজের নতুন ওপেনিং জুটিও ভরসা দিল দলকে। আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। নারাইন করলেন ১৬ বলে ২১। ৪টি চার মারলেন তিনি। আমদাবাদের ২২ গজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়সও। কামিন্সেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। দুজনেই অর্ধশতরান করে অপরাজিত রইলেন। 

    ম্যাচ শেষে শ্রেয়স বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি। প্রত্যেকেই তাদের দায়িত্ব দুর্দান্ত ভাবে পালন করেছে। পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যখন গোটা দেশ জুড়ে ভ্রমণ করে খেলতে হয়, তখন এভাবে পুনরুজ্জীবিত হওয়াটা সহজ হয় না। আমরা সব সময়ে বর্তমানে থাকার চেষ্টা করেছি, যা এই ম্যাচে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা যে সুযোগই পেয়েছি, তার পুরো সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, ফাইনালেও একই ধারা বজায় রাখব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: তৃতীয় দল হিসেবে উঠল হায়দরাবাদ, আইপিএল প্লে-অফে কলকাতার সামনে কে?

    IPL 2024: তৃতীয় দল হিসেবে উঠল হায়দরাবাদ, আইপিএল প্লে-অফে কলকাতার সামনে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টুর্নামেন্ট যতই এগোচ্ছে রোজই প্রায় বদলাচ্ছে আইপিএল প্লে-অফের (IPL 2024) অঙ্ক। বৃহস্পতিবার গুজরাট বনাম হায়দরাবাদের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় প্লে-অফের টিকিট সহজেই পেয়ে গিয়েছে হায়দরাবাদ। কেকেআর (Kolkata Knight Riders) এবং রাজস্থান রয়্যালসের পরে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে উঠল হায়দরাবাদ। চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে কে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। রবিবারের আরসিবি বনাম সিএসকে ম্যাচটি কার্যত নক আউট ম্যাচ হয়ে গেছে৷ এই ম্যাচের জয়ী দল চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে খেলবে। তবে পাল্লা ভারি ধোনিদের।

    নাইটদের সামনে কারা

    ইতিমধ্যেই কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) কোয়ালিফায়ার ১ খেলবে তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ঘরের মাঠ ইডেনে প্রস্তুতিও শুরু করেছে নাইটরা। তবে তাদের সামনে কারা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বে সেই অঙ্ক খষছে নাইট শিবির। কোয়ালিফায়ার (IPL 2024) ওয়ানে কেকেআরের মুখোমুখি হতে পারে চেন্নাই বা হায়দরাবাদ। ১৩ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস বা সিএসকে-র পয়েন্ট ১৪৷  বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে চেন্নাই। শেষ ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে হায়দরাবাদ হারালে ও রাজস্থান তাদের শেষ ম্যাচে হেরে গেলে তবেই পয়েন্ট টেবিলের (IPL 2024) প্রথম দুইয়ে শেষ করবেন প্যাট কামিন্সরা। তবে চেন্নাই সুপার কিংস শেষ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিলে রান রেট ভাল থাকার সুবাদে তারাও হতে পারে নাইটদের প্রতিপক্ষ। আর শেষ ম্যাচ রাজস্থান যদি কলকাতাকে হারিয়ে দেয় তাহলে তারাও হতে পারে কেকেআর-এর প্রতিপক্ষ।

    আরও পড়ুন: কেকেআর ছাড়ছেন গম্ভীর! ভাসছে নানা নাম, রাহুল পরবর্তী জমানায় টিম ইন্ডিয়ার কোচ কে?

    চেন্নাই না বেঙ্গালুরু

    চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে ডু অর ডাই ম্যাচে বিরাটদের এই ম্যাচে জিততেই হবে। তবে তারপরেও রয়েছে নানা সমীকরণ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে। একটা সময় প্লে-অফের (IPL 2024) দরজা কার্যত বিরাটদের সামনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন যে শুধুমাত্র অঙ্কের বিচারে এই দলটা টুর্নামেন্টে টিকে রয়েছে। এবার তাদের মরণ-বাঁচন লড়াই। ১৮ মে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তাদের খেলতে হবে। এই ম্যাচে যদি নেট রানরেট ঠিকঠাক রেখে আরসিবি জিততে পারে, তাহলেই শেষ চারে তারা জায়গা করে নিতে পারবে। অন্যদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে প্লে-অফের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। আর চেন্নাই জিততে পারলে তো কথাই নেই, ধোনিরা প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করবে। যদি বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচটা ভেস্তে যায়, তাহলে চেন্নাই সরাসরি প্লে-অফে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে কলকাতা (Kolkata Knight Riders), রাজস্থান, হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই আইপিএল (IPL 2024) প্লে-অফ খেলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hybrid Pitch: ধর্মশালায় তৈরি হল দেশের প্রথম হাইব্রিড ক্রিকেট পিচ! নয়া প্রযুক্তিতে কার লাভ?

    Hybrid Pitch: ধর্মশালায় তৈরি হল দেশের প্রথম হাইব্রিড ক্রিকেট পিচ! নয়া প্রযুক্তিতে কার লাভ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ধর্মশালা মাঠে বসল হাইব্রিড পিচ। সোমবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হল জাঁকজমক করে। হাইব্রিড পিচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিএল চেয়ারম্যান অরুন ধুমল, ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা আইসিসি কর্তা পল টেলার সহ ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের একাধিক নামি ব্যক্তিত্ব।

    হাইব্রিড পিচ আসলে কী?

    ৫ শতাংশ সিন্থেটিক ফাইবারের সঙ্গে আসল ঘাস মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পিচ। এর উদ্দেশ্য, টানা বর্ষা কিংবা টানা খেলা হলে যাতে পিচের চরিত্র বদলে না যায়। আইসিসির অনুমোদন নিয়েই এই ধরনের পিচ ব্যবহার হচ্ছে। ধর্মশালা স্টেডিয়াম প্রসঙ্গ পাঞ্জাব কিংসের হোম গ্রাউন্ড। ৯ মে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে এই মাঠেই খেলা রয়েছে। সেদিন হাইব্রিড পিচে খেলায় কী তফাৎ তা বোঝা যাবে।

    ক্রিকেট প্রশাসকের বক্তব্য

    আইপিএল চেয়ারম্যান আনন্দ ধুমল জানিয়েছেন, “ইংল্যান্ডে  লর্ডস এবং ওভাল স্টেডিয়ামে হাইব্রিড পিচে আগেও খেলা হয়েছে। এবং কোন সমস্যা আসেনি। এই দুটি মাঠে সাফল্যের পর এবার ভারতেও হাইব্রিড পিচের ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়। প্রাকৃতিক টার্ফ এবং কৃত্রিম ফাইবার মিশিয়ে হাইব্রিড পিচ তৈরি করা হয়। এর ফলে যারা মাঠ তৈরি করেন তাদের উপর চাপ কমবে। একই সঙ্গে খেলার পরিস্থিতি বৃষ্টি হওয়ার পরেও অনেকটাই সমান থাকবে। ফলে বৃষ্টির পর পিচের চরিত্র কম বদলাবে। বৃষ্টির পর পিচ স্লো হওয়ার সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। বর্তমানে বৃষ্টির পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিচে বোলার ও ব্যাটসম্যান উভয়ের কিছু অসুবিধা হয়। সাধারণত বোলিং টিম অতিরিক্ত সুবিধা পায়। অনেক ক্ষেত্রেই একটি টিম বাড়তি অসুবিধা কিংবা সুবিধা পেয়ে যায় এই ধরনের অভিযোগ ওঠে।  হাইব্রিড পিচে এই অভিযোগ কমবে।

    কবে থেকে এই পিচের ব্যবহার শুরু

    জানা গিয়েছে ২০১৭ সালে এসআইএস গ্রাস এবং ইউনিভার্সাল মেশিন সংস্থার মাধ্যমে এই ধরনের পিচ তৈরি করা হয়েছিল। প্রথমে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটের মাঠগুলিতে এই পিচ ব্যবহার করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ম্যাচে হাইব্রিড পিচ ব্যবহার করার স্বীকৃতি দিয়েছে। চার দিনের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপেও এই পিচ ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত ক্রিকেট এমন একটি খেলা যা নতুন প্রযুক্তি এবং নতুনত্বের ব্যবহারে কখনওই বাধা হয়নি। রিভিউ প্রথা ফুটবলে ব্যবহারের অনেক আগে থেকে ক্রিকেটে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে এই হাইব্রিড পিচের ব্যবহারেও ক্রিকেট সংস্থাগুলির তরফে কোন ধরনের রক্ষণশীলতা নেই।

    কারা তৈরি করে হাইব্রিড পিচ

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে অবস্থিত এসআইএস গ্রাস নামে একটি সংস্থা এই ধরনের পিচ তৈরি করে থাকে। তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে বহু মাঠে এই পিচ তৈরি করেছে। হাইব্রিড পিচে আর্দ্রতা এবং ঘাসজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আয়োজক যে ধরনের পিচ চাইবেন ঠিক সেই ধরনের পিচ তৈরি করা সম্ভব।

    টি-২০ বিশ্বকাপে জঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি! নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    হাইব্রিড পিচে অতিরিক্ত স্পিন ও বাউন্স পাওয়া যাবে

    হাইব্রিড পিচে অতিরিক্ত বাউন্স পাওয়া যায় যা বোলারদের সাহায্য করবে। বর্তমানে যে ধরনের বল ব্যবহার হয় তাতে ভারতীয় পরিস্থিতিতেও স্পিন কম হয়। কিন্তু হাইব্রিড স্পিন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবে না। স্পিনারদের সোনালি দিন ফিরে আসবে হাইব্রিডের পিচের সৌজন্যে। সৌরভ গাঙ্গুলির আমলে তিন জন রেগুলার এবং আরো দুই থেকে তিনজন পার্ট টাইম স্পিনার খেলানোর চল ছিল। হাইব্রিড পিচে স্পিনারদের গুরুত্ব বাড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন হাইব্রিড পিচে গ্রাউন্ড স্টাফদের নিজের মত পিচ তৈরি করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    IPL 2024: বোলারদের দিনে ৪ উইকেট নিয়ে জবাব স্টার্কের, এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয় কলকাতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ এক যুগ পর ওয়াংখেড়েতে জয়ের খরা কাটল কলকাতার। ১২ বছর পরে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১২ আইপিএলে এক বারই গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল নাইটরা। সেই রাত ফিরে এল, এখন মাঠে নয় ডাগ আউটে বসে গৌতম গম্ভীর। ম্যাচ শেষে নাইট মেন্টরের মুখে তৃপ্তির হাসি। তৃপ্ত ২০১২তে ম্যাচ জেতানোর নায়ক সুনীল নারিন। সে বার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নারিন। এবার ৪ উইকেট নিলেন চলতি আইপিএলে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার মিচেল স্টার্ক। 

    ম্যাচ আপডেট

    টসে জিতে শুক্রবার প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগে। ১৬৯ রানে কলকাতাকে বেঁধে ফেলে জসপ্রীত বুমরারা ৷ কলকাতার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ৷ ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ৪২ রান করেন মনীশ পাণ্ডে ৷ পালটা রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের একমাত্র সূর্যকুমারের ব্যাট চলে ৷ ৫৬ রান করে আউট হন স্কাই ৷ আর ২৪ রান করেন টিম ডেভিড ৷ বাকি টপ থেকে মিডল ও টেল-এন্ডার ব্যাটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অবদান ১৩ রান ৷ কলকাতার হয়ে এদিন সফল বোলার স্টার্ক। ৩.৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৪ ওভার বল করে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারিন। ৩০ রান দিয়ে রাসেলও নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ২৪ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফের একেবারে কাছে পৌঁছে যায় কেকেআর। 

    সফল স্টার্ক

    বিশ্বকাপের সফল বোলার কেকেআর-এর হয়ে সব সমালোচনার জবাব দিলেন মিচেল স্টার্ক। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে কেনা মিচেল স্টার্ক টুর্নামেন্টের শুরুতে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। সেই স্টার্ককে শুক্রবার রাতে পাওয়া গেল অন্য রকম ফর্মে। ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে গড়ে ফেললেন এক অনন্য নজির। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইতিহাসে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যেসব বোলাররা এক ম্যাচে চার বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন তাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করালেন স্টার্ক। স্টার্ক‌ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন আর মাত্র দুই জন। একজন সুনীল নারিন। যিনি আবার এই তালিকায় দু’বার জায়গা পেয়েছেন। অপর জন জনপ্রিয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এদিন গ্যালারি থেকে স্বামী স্টার্কের প্রত্যাবর্তন দেখলেন স্ত্রী তথা অজি মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি৷ 

    প্লে অফের পথে কলকাতা

    শুক্রবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরের মাঠে, তাদের হারিয়েই প্লে-অফের রাস্তা একেবারে মজবুত করে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১৪। রাজস্থানের ঘাড়েই এবার নিঃশ্বাস ফেলছে কেকেআর। ১০টির মধ্যে ৭টিতে জিতেছে কলকাতার দল। তিনটি ম্যাচে তারা হেরেছে। পয়েন্ট টেবলের দুই নম্বরেই রয়েছে নাইটরা। শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের নেট রানরেট +১.০৯৮। এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছেন সঞ্জু স্যামসনরা। ১০ ম্যাচ খেলে আটটিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রাজস্থান। দু’টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের শীর্ষস্থানের দখল রেখেছে সঞ্জুর দল। তাদের নেট রানরেট +০.৬২২। একই সঙ্গে এদিন ম্যাচ হেরে আইপিএল থেকে বিদায়ের ঘণ্টা প্রায় নিশ্চিত হার্দিকের মুম্বইয়ের। 


    দুই দলই অল আউট

    চলতি আইপিএলে যেন প্রতি ম্যাচেই রান‌ বন্যার সাক্ষী থেকেছেন দর্শকেরা। এক এক ম্যাচে তৈরি হয়েছে এক একটি ব্যাটিং রেকর্ড। প্রতি ম্যাচেই বোলারদের কপালে জুটেছে বেদম পেটানি। উল্টো ছবি দেখা গেল কেকেআর বনাম মুম্বই ম্যাচে। এদিন অল আউট হয়েছে দুই দল। ১৭ বছরের আইপিএল ইতিহাসে মাত্র চারটি ম্যাচে দুই দলই অল আউট হয়ে গিয়েছে। প্রথমবার এই ঘটনা ঘটেছিল আইপিএল শুরুর বছর দুই পরে। ২০১০ সালে এই ঘটনা প্রথম ঘটে নাগপুরে দিল্লি বনাম রাজস্থান ম্যাচে। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে প্রথম ঘটনার ৭ বছর বাদে। ২০১৭ সালে এই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতাতে নাইট রাইডার্স বনাম আরিসিবি ম্যাচে। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই ঘটনা ফের ঘটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচে। তালিকায় সর্বশেষ জায়গা করে নিল ২০২৪ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই বনাম কলকাতার ম্যাচটি।

    কী বললেন অধিনায়করা

    এদিন ম্যাচে হেরে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন মুম্বই দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ম্যাচের পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, ব্যাটিং ইনিংসে আমরা পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি এবং পরপর উইকেট হারাচ্ছিলাম, টি-টোয়েন্টিতে আপনি যদি পার্টনারশিপ না করেন, তাহলে আপনার ক্ষতি হবেই।’ ম্যাচ শেষে তৃপ্ত নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘আমরা আপাতত প্লে-অফের দরজায় রয়েছি। এই ম্যাচে অনেক কিছুই মাথায় ঘুরছিল। হারলে কী হতে পারে, এসবও ঘুরছিল। এক যুগ পর এখানে জিতলাম, এই পরিসংখ্যান আমার জানা ছিল না।’ আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মেরও প্রশংসা শোনা যায় শ্রেয়সের কথায়। এদিন ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল কেকেআর। মণীশ পান্ডেকে ইমপ্যাক্টে নামানো হয়। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পান্ডে জুটিতে ৮৩ রান যোগ হয়। কেকেআর ইনিংসে সেটাই টার্নিং পয়েন্ট। শ্রেয়সের কথায়, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম এই ম্যাচে আমাদের দারুণ ভাবে সাহায্য করেছে। প্রথম ম্যাচ থেকেই মণীশ সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওর জন্যই লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছতে পেরেছি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: মহম্মদ শামিকে ‘ভাই’ সম্বোধন, ভারতীয় পেসারের আরোগ্যও কামনা করলেন মোদি

    PM Modi: মহম্মদ শামিকে ‘ভাই’ সম্বোধন, ভারতীয় পেসারের আরোগ্যও কামনা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১০২ কেন্দ্রে যখন চলছে লোকসভা নির্বাচন, তখন উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় প্রচারে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রচার চলাকালীন হঠাৎই তাঁর মুখে শোনা যায় ক্রিকেটার মহম্মদ শামির নাম। ওয়ার্ল্ড কাপের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “কামাল পারফরমেন্স দেখিয়েছেন ভাই মহম্মদ শামি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (PM Modi)

    বিজেপি আয়োজিত এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরোহার ঢোলক জিআই ট্যাগ পেয়েছে। আর শামি বাজিয়ে দিয়েছেন দেশের ডঙ্কা। এই ঢোলকের শব্দ যেন বারংবার বলে দিচ্ছে কমলে ছাপ।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরোহা কেবল ঢোল নয়, দেশের ডঙ্কাও বাজিয়ে দেবে। ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভাই মহম্মদ শামি যে কামাল দেখিয়েছিলেন, তা উপভোগ করেছিল তামাম বিশ্ব। দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য কেন্দ্র তাঁকে অর্জুন খেলরত্ন পুরস্কারে ভূষিত করেছে। যোগ আদিত্যনাথের সরকার তাঁর জেলায় একটি স্টেডিয়াম বানিয়ে দিয়েছে।”

    শামিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রীর মুখে আগেও শোনা গিয়েছে শামির নাম। বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল ভারত। মুষড়ে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেই সময় সটান ড্রেসিং রুমে চলে যান প্রধানমন্ত্রী। শামিকে বুকে টেনে নেন। তারপর আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি এই বোলার। এদিনের সভায় ফের আরও বেশি করে জনতাকে মতদান করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে আপনাদের মূল্যবান ভোটের ওপর। অ-বিজেপি সরকারের আমলে আমরোহার তেমন উন্নতি হয়নি। তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে আমরোহায়।”

    আরও পড়ুুন: কোথাও তৃণমূলের বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা, হামলা! ভোটে অশান্ত উত্তরবঙ্গ

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শামির হাতে তুলে দেন অর্জুন পুরস্কার। খ্যাতনামা এই পেসার চলতি বছরের আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন। গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হওয়ায় আপাতত সেপ্টেম্বরের আগে বাইশ গজে ফিরতে পারবেন না তিনি। গোড়ালিতে অস্ত্রোপচারের ছবি সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শামি। সেই ছবি দেখে প্রধানমন্ত্রী এই পেসারের উদ্দেশে লেখেন, “আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করি। আমি আশাবাদী, আপনার এই চোট দ্রুত সেরে যাবে। সাহসের সঙ্গে আপনি এই সময়ের মোকাবিলা করবেন (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • IPL 2024: অভিষেকের ঝোড়ো ইনিংস! সহজ জয় হায়দরাবাদের, টানা দুটি ম্যাচে হার চেন্নাইয়ের

    IPL 2024: অভিষেকের ঝোড়ো ইনিংস! সহজ জয় হায়দরাবাদের, টানা দুটি ম্যাচে হার চেন্নাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি আইপিএল (IPL 2024) পর পর দু’টি ম্যাচে হেরে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তোলে ১৬৫ রান। ১১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে পিচ থেকে বোলাররা ১০০ শতাংশ সাহায্য পেয়েছে সেখানে ১২ বলে ৩৭ রান করে অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন অভিষেক শর্মা।   

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে শিবম!

    এদিন টসে জিতে ঋতুরাজদের ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। দলের ২৫ রানের মাথায় চেন্নাই প্রথম উইকেট হারায়। ৯ বলে ১২ রান করে চতুর্থ ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন রাচিন রবীন্দ্র। অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ও ২১ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে যান। দুই ওপেনারকে হারানোর পর এক দিক ধরে রেখেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। উল্টো দিকে বড় শট খেলতে শুরু করেন শিবম দুবে। শুক্রবার চারটি ছক্কা মারেন শিবম। তাঁর ছক্কা দেখে উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখার দাবিও তোলেন যুবি। তিনি বলেন, “এত সহজ ভাবে শিবম শটগুলো মারছে দেখে ভাল লাগছে। আমার মনে হয় ওকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত। যে কোনও সময় খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ও। সেই ক্ষমতা ওর আছে।” শুক্রবার কামিন্সের দেওয়া মন্থর বাউন্সার বুঝতে পারেননি শিবম। অর্ধশতরান থেকে ৫ রান দূরে ক্যাচ তুলে দেন ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে। এরপর চেন্নাইয়ের হয়ে কেউ দাগ কাটতে পারেনি।

    ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্স ঝোড়ো সূচনা করে। ১২ বলে ৩৭ রান করে আউট হন অভিষেক শর্মা। তাঁকে আউট করেন দীপক চাহার। ট্র্যাভিস হেড ২৪ বলে ৩১ রান করেন। একটা সময়ে ৯.৪ ওভারে ১০৬ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল হায়দরাবাদের। তখনই তাদের জয় স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপরে মার্কমার ৩৬ বলে ৫০ রান করেন। হেনরি ক্লাসেন এবং নীতীশ রেড্ডি জয়ের বাকি কাজটা করে দেন। পরাজয়ের কারণ হিসেবে চেন্নাই অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড় বলেন, ‘পিচ ধীরগতির ছিল। ব্যাক এন্ডে ওরা খুব ভালো বোলিং করেছে। শেষ পাঁচ ওভারে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। আমাদের বোলিংও খুব একটা ভালো হয়নি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Angkrish Raghuvanshi: ‘গিলের সঙ্গে বহু মিল’! নাইটদের তরুণ তুর্কি অংকৃষে মজে নেটিজেনরা

    Angkrish Raghuvanshi: ‘গিলের সঙ্গে বহু মিল’! নাইটদের তরুণ তুর্কি অংকৃষে মজে নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’জনেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে উঠে এসেছেন। দুজনেরই আইপিএলে হাতেখড়ি কেকেআর-এর হয়ে। তাঁরা হলেন ভারতীয় ক্রিকেটে তারকা ব্যাটার শুভমন গিল ও চলতি আইপি এলে দিল্লি ম্যাচে অর্ধশতরানকারী নাইট তারকা অংকৃষ রঘুবংশী (Angkrish Raghuvanshi)। দু’জনের খেলার ধরনও অনেকটা একইরকম। আইপিএল ২০২৪-এর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রঘুবংশী। 

    গিলের সঙ্গে মিল

    ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন গিল। ভারতের হয়ে সর্বাধিক রান করেছিলেন। ছ’টি ম্যাচে (পাঁচটি ইনিংস) করেছিলেন ৩৭২ রান। অন্যদিকে, ২০২২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন অংকৃষ। সার্বিকভাবে বিশ্বকাপের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ছ’টি ম্যাচে করেছিলেন ২৭৮ রান।অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরে আইপিএল নিলামে তাঁদের দলে নিয়েছে কেকেআর। ২০১৮ সালের আইপিএলে গিলকে ১.৮ কোটি টাকায় নিয়েছিল নাইট ব্রিগেড। আর ২০২৪ সালের আইপিএলের মিনি নিলামে অংকৃষকে ২০ লাখ টাকায় পেয়ে গিয়েছেন গৌতম। অংকৃষের (Angkrish Raghuvanshi) মধ্যে গিলের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিনি বলেন, ‘দেখে দারুণ তরুণ খেলোয়াড় মনে হচ্ছে। লম্বা, স্টাইলিশ (খেলোয়াড়)। অনেকটা শুভমন গিলের মতো।’

    কে এই অংকৃষ

    চলতি আইপিএলে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার। ৫ জুন ২০০৫-এ দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১০ বছর বয়সে দিল্লি থেকে মুম্বই আসার পর অভিষেক নায়ার তাঁকে মুম্বইতে প্রশিক্ষণ দেন। মুম্বইতে অভিষেক নায়ারের বাড়িতে থাকার সময়ই রঘুবংশী (Angkrish Raghuvanshi) তার ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নেন।

    রঘুবংশীর বাবা-মাও খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত। অংকৃষ রঘুবংশীর মা মালেকা ভারতীয় দলের হয়ে বাস্কেটবল খেলেছেন এবং বাবা অবনীশ রঘুবংশী টেনিসে ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অংকৃষ রঘুবংশীর ছোট ভাইও টেনিস খেলায় আগ্রহী। তার পুরো পরিবার মূলত দিল্লির বাসিন্দা। বুধবার দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচে ২৭ বলে ৫৪ রান করেন অংকৃষ। পাঁচটি চার মারেন। হাঁকান তিনটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ২০০। অভিষেকেই দুরন্ত ইনিংসের পর অংকৃষ বলেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলাম, আমি শুধুমাত্র বলটা দেখছিলাম, সেটাই মূল বিষয় ছিল। আমি যেরকম অনুশীলন করেছি, তাতে নিজের উপর আস্থা রেখেছিলাম।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share