Tag: IPS

IPS

  • Coal Smuggling Scam: কয়লাপাচার মামলায়  কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Coal Smuggling Scam: কয়লাপাচার মামলায়  কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং- কে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটেশ্বর রাও- এর পর এবার শ্যাম সিং (Shyam Singh)। কয়লাপাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) এবার ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন আরেক আইপিএস (IPS) আধিকারিক। বুধবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই আধিকারিককে তলব করেন ইডি গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার এই একই মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেন পুরুলিয়ার প্রাক্তন এসপি কোটেশ্বর রাও। তাঁর হাজিরা দেওয়ার পরদিনই  বাংলার আরেক পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবন্ত না গেলেও দিল্লির ইডি দফতরে আজ যাচ্ছেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও 

    সম্প্রতি কয়লাপাচার মামলায় আট আইপিএস আধিকারিককে তলব করে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। তালিকাতে ছিল শ্যাম সিং- এর নামও। সেইমতো নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২১-র মধ্যে দু দফায় বীরভূমের এসপি ছিলেন এই আইপিএস। গোয়েন্দাদের দাবি, কয়লাপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার কর্মকাণ্ড বীরভূমসহ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক জেলায় চলত। সেই অঞ্চলে এসপি থাকাকালীন এই বিষয়ে কিছু জানতেন কি না, পুলিশ কর্তাকে সেই প্রশ্ন করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, লালার ডায়েরিতে থেকে বেশ কিছু পুলিশ অফিসারের নাম ও টাকার উল্লেখ রয়েছে। এই বিষয়ে শ্যাম সিং কিছু জানতেন কি না তাও জিজ্ঞেস করেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে
     
    এর আগে গত সোমবার কয়লা পাচারকাণ্ডে এডিজি জ্ঞানবন্ত সিংকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু ইডির হাজিরা এড়িয়ে যান ওই আইপিএস আধিকারিক। হাজিরা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, যে সময় রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে রমরমিয়ে কয়লাপাচার হত, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদের দায়িত্বে ছিলেন জ্ঞানবন্ত। লালার জেরায় এই আইপিএস আধিকারিকের নাম উঠে এসেছে বলেও দাবি করেছেন ইডি আধিকারিকরা। আর সেই কারণেই এই তলব। 

    এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আরও ৩ আইপিএস এবং রাজীব মিশ্র, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সেলভা মুরুগান, সুকেশ জৈন ও তথাগত বসুকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির সঙ্গেই কয়লাপাচার মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। গত মাসেই ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (ECL) বর্তমান ও প্রাক্তন মিলিয়ে ৫ আধিকারিকসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে তারা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) জের। বদলি করা হল এসপি (SP), আইজিসহ (IG) ৩২ আইপিএস (IPS) অফিসারকে।  দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজস্থানসহ গোটা দেশ। তারই মাঝে একটি খবর সামনে আসে, যে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি আসতে শুরু করে মৃত  দর্জির কাছে। সে বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও। অস্বস্তিতে পড়ে রাজস্থান সরকার। আর তাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন  

    বৃহস্পতিবার মৃত দর্জির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি পুলিশের সততা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমেই সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। পরে বাকি পুলিশ কর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।     

    ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল জানান, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না। দুদিন পরে দুজন তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক   

    তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেশি থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কানহাইয়া থানায় গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পরে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু তার পরেও কানহাইয়া লালকে হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। আর এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজস্থান সরকার। বদলির নির্দেশ নেমে আসে আইপিএসদের মাথায়।    

     

  • Tapan Kumar Deka: দুঁদে আইপিএসদের টপকে তপন ডেকা কী করে পৌঁছলেন আইবি প্রধানের সিংহাসনে?

    Tapan Kumar Deka: দুঁদে আইপিএসদের টপকে তপন ডেকা কী করে পৌঁছলেন আইবি প্রধানের সিংহাসনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (Intelligence Bureau) প্রধানের  পদে শুক্রবার আইপিএস অফিসার তপন কুমার ডেকাকে (Tapan Kumar Deka) নিযুক্ত করেছে কেন্দ্র। এর আগে এই পদের দায়িত্বে ছিলেন, অরবিন্দ কুমার। জুনের ৩০ তারিখ তাঁর পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তপন ডেকা এর আগে আইবি-র (IB) অপারেশন ডেস্কের প্রধানের পদ সামলেছেন। এবার তিনি প্রধানের ভূমিকায়। কিন্তু কেন তপন কুমার ডেকাকেই পছন্দ হল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের? 

    এই পদের দৌড়ে ছিলেন আরও তিনজন সিনিয়র আইপিএস। কিন্তু এই বর্ষীয়ান আইপিএসদের টপকে প্রধানের মুকুট পরেছেন তপন কুমার ডেকা। কারণ অমিত শাহের মন্ত্রক অভিজ্ঞতার থেকে মেধাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তাই শেষ হাসি হেসেছেন তপন কুমার ডেকা। আগামী ৩০ জুন থেকে দুবছরের জন্য তিনি ওই পদে থাকবেন।

    আরও পড়ুন: আইবি প্রধানের পদে আইপিএস তপন কুমার ডেকাকে নিয়োগ কেন্দ্রের

    ডেকা হিমাচল প্রদেশ ক্যাডারের ১৯৮৮ সালের ব্যাচ। এর আগে তিনি আইবির স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি আইবির অপারেশন উইংকে পরিচালনা করেছেন।   

    ১৯৬৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামে জন্ম হয় তপন কুমার ডেকার। পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করার পর তিনি আইপিএস হন। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান এই আইপিএস। পুলিশ সার্ভিসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি গোয়েন্দা বিভাগের পদস্থ কর্তার দায়িত্ব সামলেছেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি আইবিতে রয়েছেন।  

    ২৬/১১ হামলার তদন্তেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১৩ সালে মুজাহিদিনের বাড়বাড়ন্ত হয়। তারপর ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন এই দুঁদে গোয়েন্দা কর্তা। জঙ্গি মোকাবিলায় তিনি বার বার সাফল্য পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA-র শীর্ষ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নন্দ মুলচন্দানি

    ইসলাম বিচ্ছিন্নতাবাদের যখন বাড়বাড়ন্ত দেশে, তখন এই আইপিএসের ওপরেই ভরসা রাখছে প্রতিরক্ষা দফতর। কারন ২০ বছর খুব কাছ থেকে এই বিষয়টিকে দেখেছেন তিনি। বহু আতঙ্কবাদী নিকেশ হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে।  

    কথা কম, কাজ বেশি। এই আদর্শে বিশ্বাসী তপন কুমার ডেকা। শুধু পর্যালোচনাতেই সীমাবদ্ধ নন, প্রতিক্রিয়ামূলক তদন্তই তাঁর কাজের ধরন। তাই তাঁর নেতৃত্বে ভরসা রাখছে পুরো ডিপার্ট্মেন্ট। 

     

LinkedIn
Share