Tag: Irfan Ahamed

  • Delhi Blast: ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত পরিচয়, দিল্লি-হামলাকারী উমরের পুলওয়ামার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী

    Delhi Blast: ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত পরিচয়, দিল্লি-হামলাকারী উমরের পুলওয়ামার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Red Fort blast) মামলায় বড় পদক্ষেপ করল ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী (security forces)। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া হল সন্দেহভাজন চিকিৎসক উমর উন নবির (Umar Nabi) পুলওয়ামার বাড়ি (Pulwama house demolition)। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে যে, চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে বাড়িটি একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। গত সোমবার লাল কেল্লা বিস্ফোরণে জড়িত হুন্ডাই আই২০ গাড়িটির সঙ্গে কাশ্মীরের একজন চিকিৎসক উমর-উন-নবির সম্পর্ক রয়েছে। সেই গাড়ি চালাচ্ছিল। উমরই ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে নিশ্চিত পরিচয়

    উমর নবি, যাঁকে এই সপ্তাহের শুরুতেই লালকেল্লায় ঘটা বিস্ফোরণের (Delhi Blast) মূল সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা হচ্ছে, তাঁর বাড়ি ঘিরে আগেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছিল। সোমবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটি সরাসরি যুক্ত হয়েছে উমর-উন-নাবির সঙ্গে। বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আহত হন ২০–এর বেশি মানুষ। কাশ্মীরের এই চিকিৎসকই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। বিস্ফোরণে তাঁর ভূমিকা ঠিক কতটা, তা এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ টানা রাতভর তল্লাশি চালায়। গ্রেফতার হয় মোট ছয়জন, যাদের মধ্যে তিনজন উমরের পরিবারের সদস্য। বিস্ফোরণস্থল থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নমুনা তাঁর মায়ের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে উমরের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে আটক করা হয়েছিল উমরের মাকে। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পরেই সোমবার রাতে উমরের মা এবং দুই ভাইকে আটক করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “সন্দেহভাজনের মাকে আমরা ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহের জন্য আটক করেছিলাম। বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া দেহাংশের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হয়।”

    কেন গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি

    পুলিশ জানিয়েছে, উমর নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আরও দুই কাশ্মীরি চিকিৎসকের সঙ্গে, যাঁদের ফরিদাবাদ সন্ত্রাস মডিউল ফাঁস হওয়ার পরে আটক করা হয়েছিল। সেই মডিউল থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক, যা তদন্তকে আরও গভীর করেছে। স্থানীয় মানুষের মতে, একসময়ে উমর ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, পড়াশোনায় মনোযোগী চিকিৎসক, সমাজেও তাঁর পরিচিতি ছিল ইতিবাচক। তদন্তকারীরা বলছেন, গত দুই বছরে তাঁর আচরণে বড় পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের একাধিক র‌্যাডিকাল গ্রুপে যোগ দেন তিনি, এবং ক্রমশ কঠোর মতাদর্শের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। উমরের সম্ভাব্য সহযোগী, যোগাযোগের নেটওয়ার্ক, অর্থের উৎস – সব দিকেই নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি। পুলওয়ামার (Pulwama) বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মূলত সম্ভাব্য বিস্ফোরক বা নথি উদ্ধার-ঝুঁকি এড়ানোর জন্য, এবং তদন্তের নির্দিষ্ট প্রোটোকলের অংশ হিসেবে।

    কীভাবে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘটিয়েছিল উমরই। সেই ছিল সুইসাইড বম্বার বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মহম্মদের লজিস্টিক টিমের সদস্য ছিল উমর। ফরিদাবাদ, লখনউ এবং কাশ্মীরে কাজ করত তারা। এই চক্রের ৯-১০ জনের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসক। সেই পরিচয়কে কাজে লাগিয়েই বিস্ফোরক এবং রাসায়নিক তৈরির উপকরণ জোগাড় করত উমর। কিন্তু ফরিদাবাদের একটি গুদাম থেকে ২,৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরেই ভয় পেয়ে গা ঢাকা দেয় উমর। পুলিশ জানিয়েছে যে, দলটি ২৬ লক্ষ টাকারও বেশি নগদ সংগ্রহ করেছিল। তদন্ত অনুসারে, গুরুগাঁও, নুহ্ এবং আশেপাশের এলাকার সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রায় ২৬ কুইন্টাল এনপিকে সার – যার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা – কেনার জন্য এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্যান্য রাসায়নিকের সঙ্গে মিশ্রিত, এনপিকে হল ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের একটি প্রধান উপাদান। প্রায় আটজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি জোড়ায় বিভক্ত হয়ে চারটি শহরে সমন্বিত বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

    প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলার রেকি

    লালকেল্লার কাছে একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় সোমবার। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩। ওই দিনই সকালে ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মুজাম্মিল আহমেদ-সহ একাধিক ব্যক্তিকে। মুজাম্মিলের ফোন ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একাধিক বার তিনি লালকেল্লার সামনে গিয়েছিলেন। অনুমান, প্রজাতন্ত্র দিবসে হামলার রেকি করা হয়েছিল। শুধু মুজ়াম্মিল নন। আর এক চিকিৎসক উমর নবিও তাঁর সঙ্গে লালকেল্লার সামনে গিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

     

  • Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড শোপিয়ানের মৌলবি! পড়ুয়াদের সন্ত্রাসের পাঠ দিতেন ইরফান

    Delhi Blast: দিল্লি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড শোপিয়ানের মৌলবি! পড়ুয়াদের সন্ত্রাসের পাঠ দিতেন ইরফান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফরিদাবাদ মডিউলের নেপথ্যে কাজ করছে কার মাথা? কার কথাতে প্ররোচিত হয়ে ডাক্তার, ডাক্তারি পড়ুয়া বা মেধাবী ছাত্ররা যুক্ত হত সন্ত্রাসের সঙ্গে? তার খোঁজেই ছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলো। এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়েই তদন্তকারীদের নজরে আসে জম্মু-কাশ্মীরেরই এক বাসিন্দা। নাম ইরফান আহমেদ। পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ইরফানই ডাক্তারি পড়ুয়াদের মগজধোলাই করত। পুলিশ সূত্রে খবর, হরিয়ানার ফরিদাবাদ মডিউল সংক্রান্ত ঘটনা ও দিল্লি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ইমাম ইরফান আহমেদ।

    মূল পরিকল্পনাকারী কে?

    দিল্লি বিস্ফোরণ ও ফরিদাবাদের বিস্ফোরক এবং অস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে যোগসূত্র খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বেশ কয়েকটি সূত্র ধরে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সোমবার রাত থেকে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যেই রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা ইরফান। পূর্ব শ্রীনগরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্যারামেডিক্যাল কর্মী ছিল সে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই কারণে মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই যোগাযোগ এবং সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই মগজধোলাইয়ের কাজ করত ইরফান! নানা ধরনের সন্ত্রাসমূলক কাজে প্ররোচিত করার চেষ্টা করত মেধাবী যুবকদের।

    কীভাবে চলত মগজধোলাই

    তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, নওগামের এক মসজিদে যে সব পড়ুয়ারা যেতেন, তাঁদের সঙ্গে প্রথমে আলাপচারিতার মাধ্যমে বন্ধুত্ব করত ইরফান। তার পর ধীরে ধীরে ওই সব পড়ুয়াদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নানা রকম পাঠ পড়াত। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের বিভিন্ন ভিডিয়ো পড়ুয়াদের দেখাত। আর এ ভাবেই মগজধোলাই চলত বলে দাবি তদন্তকারীদের। সে তরুণ মেডিকেল ছাত্রদের ধীরে ধীরে উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ করত। মগজ ধোলাই করে তাদের চরমপন্থী কাজে টেনে আনত। পুলিশ সূত্রে খবর, এই মৌলবী পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগোচ্ছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, ভিডিও কলের মাধ্যমে আফগানিস্তানের হ্যান্ডলারদের সঙ্গেও যোগাযোগ করত সে। তার মূল উদ্দেশ্যে ছিল তরুণদের মৌলবাদে দীক্ষিত করা।

    পছন্দের ছাত্র কাশ্মীরের দুই চিকিৎসক

    তদন্তকারীরা মনে করছেন, ফরিদাবাদ মডিউলের অন্যতম দুই চক্রী— মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ইরফানের। শুধু তা-ই নয়, দিল্লি বিস্ফোরণের মূল সন্দেহভাজন উমর নবির সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ থাকার অনুমান করা হচ্ছে। এ-ও মনে করা হচ্ছে, ফরিদাবাদে বিস্ফোরক নিয়ে আসার নেপথ্যে থাকতে পারেন ইরফান। তবে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি কোনও তদন্তকারী সংস্থাই। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, মেন্টর আহমেদের পছন্দের ছাত্র ছিল কাশ্মীরের দুই চিকিৎসক, ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ মহম্মদ উমর। তাদের একেবারে মগজ ধোলাই করে ফেলেছিল ইরফান। উভয় ডাক্তারই মৌলবীর দেখানো লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। তবে আসল মস্তিষ্ক ছিল ইরফানই। সূত্রের খবর, রবিবার তাঁর সহযোগী দুই চিকিৎসক – মুজাম্মিল শাকিল ও আদিল আহমেদ রাঠারকে গ্রেফতারের খবর জানার পরই ভয় পেয়ে উমর বিস্ফোরণ ঘটায়। তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল ইরফানের।

LinkedIn
Share