Tag: irrigation department

irrigation department

  • Teesta River: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    Teesta River: দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তার গতিপথে (Teesta River) বিরাট বদল হচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে নদীর গতিরেখা। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সেচ দফতরে। গত বছর অক্টোবর মাসে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখা গিয়ে ছিল। মূলত পাহাড়ের হড়পা বানে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ভীষণ ভাবে আশঙ্কাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।

    রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট সূত্রে খবর

    উত্তরবঙ্গের লাইফ লাইন হল তিস্তা নন্দী (Teesta River)। নদীর গতিপথ বদলে যাচ্ছে প্রতিবছর। বর্ষার জলে আরও প্রভাব ফেলবে তিস্তার নন্দী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নদীর গতিপথ নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। নদীপথ অনেক জায়গায় সরে গিয়েছে। কোথাও চওড়া আবার কোথাও সরু হয়ে গিয়েছে। এই রিপোর্ট চূড়ান্ত ভাবে দেবে সেচ দফতর। এরপর সেই ভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সেচ দফতর। বন্যা নিয়ন্ত্রণ এই ভাবেই করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ২৮ কোটি টাকা ব্যায়ে শুরু কাজ

    প্রত্যেক বছর বর্ষা এলে তিস্তা (Teesta River) নিচু এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সেচ দফতর ২৮ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করা হয়েছে। সেবক থেকে সমতল এলাকায় বয়ে গিয়েছে এই তিস্তা। পাথুরে জমির উপর থেকে তিস্তার গতি বদলে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই

    জীবন-জীবীকা নির্ভর করে আছে নদীর উপর

    অপর দিকে উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে তিস্তার (Teesta River) গতি বদলে যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় মানুষের জনজীবনের উপর তিস্তা বিরাট প্রভাব ফেলেছে, তাই নদীর গতিপথের উপর জীবন-জীবীকা নির্ভর করে রয়েছে অনেক মানুষের। আবার রাজ্যের সেতু দফতর নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার ছবি দেখে অবাক হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হয়েছে। গত বছর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল তিস্তার জল। সিকিমের লোনাক হ্রদ জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছিল। ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, ৭৭ জন নিখোঁজ ছিলেন। একই ভাবে ৮৮০০০ মানুষ সরাসরি প্রভাবিত হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Teesta River: উত্তরবঙ্গের ‘লাইফ লাইন’ তিস্তার গতিপথ এভাবে বদলে গেল কেন?

    Teesta River: উত্তরবঙ্গের ‘লাইফ লাইন’ তিস্তার গতিপথ এভাবে বদলে গেল কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অক্টোবরে সিকিমের ভয়াবহ হড়পা বানের জেরে বিপর্যয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক নতুন এবং অভাবনীয় বিপত্তি হাজির। আর তা হল, দুটি রাজ্য এবং দুটি দেশের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে চলা তিস্তা নদীর (Teesta River) গতিপথই বদলে গিয়েছে। এ হল উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়া ছবি। এই দৃশ্য সামনে আসতেই সেচ দফতরের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ, এ শুধু নিছকই পথ পরিবর্তন, এমনটা নয়। এর সঙ্গে তিস্তার দীর্ঘ পথের দুপাশের মানুষের জীবন-জীবিকা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রধান এই নদীকে বলা হয়ে থাকে উত্তরের ‘জীবন রেখা’। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের কাছে এই গতিপথ বদলের খবর পৌঁছে গিয়েছে। ঠিক কী হয়েছে, আপাতত তা পরীক্ষা করার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে আসছেন রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরাও। মনে রাখতে হবে তিস্তা আদপে একটি আন্তর্জাতিক নদী। ফলে বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও যে আলাপ-আলোচনা এবং সমীক্ষা শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

    পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক? (Teesta River)

    সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া চিত্রের সঙ্গে বাস্তবের পরিস্থিতি আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ দূর থেকে ছবি তোলার কারণে খুবই ছোট ছোট পরিবর্তন হয়তো নজরে পড়ছে না। কেবলমাত্র বড় বড় বাঁকাচোরা বা সরে যাওয়ার বিষয়গুলিই উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। যেমন ওই চিত্র অনুযায়ী টোটোগাঁও ছেড়ে নদী ডান দিকে লালটং বস্তির দিকে চলে গেছে। গজলডোবা ব্যারাজের পরে নদী (Teesta River) আবার ডান দিক থেকে সরে গিয়েছে বাঁদিকে। ধর্মপুর এবং বাকালিতে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। সিকিম বিপর্যয়ের পরেই যে এই ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সে কথা স্বীকার করেছেন সেচ দফতরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের মুখ্য বাস্তুকার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক। এই পরিবর্তনের বিষয়টি দফতরের শীর্ষ কর্তাদের নজরে আনা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

    কেন এমন হল? (Teesta River)

    বিভিন্ন জায়গায় নদীর গতিপথ কেন এভাবে বদলে গেল, তার যে ব্যাখ্যা মিলেছে, তা অবশ্য খুবই সহজ। হড়পা বান চলাকালীন নদীর বিরাট স্রোতের সঙ্গে পাহাড়ের উপর থেকে সমতলের বিভিন্ন জায়গায় আছড়ে পড়েছে বালি, পাথর ইত্যাদি। প্রকৃতি শান্ত হওয়ার পর এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে জল নেমে যাওয়ার পর এই সমস্ত বালি এবং পাথর ডাঁই হয়ে বিভিন্ন জায়গায় জমে গেছে। এইসব জায়গাতেই নদী এসে বাধা পাচ্ছে এবং তার স্বাভাবিক প্রবাহ (Teesta River) বজায় রাখতে অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে। বহু চাষযোগ্য জমির কাছাকাছি নদী চলে আসার ফলে সেখানকার মানুষ নতুন করে বন্যার আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share