Tag: IS Module Head arrested

IS Module Head arrested

  • ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    ISIS: কলকাতা এসটিএফের বড় সাফল্য! মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা কুরেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসটিএফের জালে আরও এক আইএস (ISIS) জঙ্গি। হাওড়া থেকে ধৃত দুই আইএস জঙ্গিকে জেরা করেই গতকাল মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ৩৩ বছর বয়সি ওই ধৃত জঙ্গির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধৃতের কাছ থেকে এমন কিছু জিনিস মিলেছে, যা থেকে তাঁর জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (STF) তাঁকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে।

    গ্রেফতার আইএস মডিউলের মাথা

    গত ৬ জানুয়ারি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম এম ডি সাদ্দাম এবং শেখ সৈয়দ। এই দু’ জনকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রেই কুরেশিকেএই মামলায় গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই আব্দুল রাকিব কুরেশি জঙ্গি সংগঠন সিমি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। গতকাল মধ্যপ্রদেশের খান্ডওয়া জেলা থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুরেশি দেশের আইএস-এর অন্যতম মাথা। তাঁকে হাতে পাওয়ার পর এবার লিঙ্কম্যানদের খোঁজে নামবেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারই ধৃত কুরেশিকে কলকাতায় আনা হতে পারে ও বুধবার তোলা হবে আদালতে।

    ধৃত দুই জঙ্গির থেকে কী তথ্য পেয়েছে এসটিএফ?

    আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সাদ্দাম, সৈয়দরা। সাদ্দামদের বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। এছাড়াও সাদ্দামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্তত তিন জনের মগজ ধোলাই করেছে কুরেশি। ওই তিন জনেরও খোঁজ শুরু হয়েছে। সাদ্দামের কাছে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে আরবি ভাষায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর শপথ বাক্যও পেয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃত সাদ্দাম এবং সৈয়দকে জেরা করতে এনআইএ-এর একটি দল লালবাজারে গিয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: ভোটমুখী ত্রিপুরায় প্রচারে আজ শুভেন্দু-মিঠুন, পৃথক সভার কর্মসূচি জানুন

    ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দের সম্পর্কে কী কী তথ্য পেল এসটিএফ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র সাদ্দাম ও সৈয়দ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন উস্কানিমূলক এবং হত্যাকাণ্ডের মত ভিডিও ভাইরাল করার কাজে নিয়োজিত ছিল। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর এই তথ্য পেয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। তাঁরা আরও জানতে পেরেছেন, রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জির গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই প্ল্যানিং ছিল সাদ্দাম ও সৈয়দের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নৃশংস হত্যাকান্ডের ভিডিওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেশ এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলাকে উত্তপ্ত করা।

    আবার এই দুই যুবক পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত এবং তাদের থেকে অ্যাসাইমেন্ট পেয়ে তা এই রাজ্য তথা দেশের উপর প্রয়োগ করত। এটিই তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। এছাড়াও দুই জঙ্গি সন্দেহে যুবকের কাছ থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক বিবরণ পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে বেশ কিছু সাংকেতিক কথাবার্তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি তদন্তকারীদের পক্ষে। এবার তা ল্যাবরেটরীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে লালবাজার।

LinkedIn
Share