Tag: isf

isf

  • North 24 Parganas: বসিরহাটে দোকানে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি, হামলাকারীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন

    North 24 Parganas: বসিরহাটে দোকানে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি, হামলাকারীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল ভোটে জয়ের পরও অশান্ত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাট। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বসিরহাটের বাঁশতলা এলাকায় আলতাফ মালি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া একজন তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  বাঁশতলা (North 24 Parganas) এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় আলতাফসাহেব একটি দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় এক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দোকানে ঢুকে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে। এরপরই জনবহুল রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ছুটে পালায়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী আশপাশের এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। একজন তৃণমূল কর্মীকেও মারধর করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে পিফা এলাকায় রাস্তার ওপরে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ-বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী -সমর্থকরা। ঘটনার পর পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। আয়ুব গাজি নামে এক যুবক এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তার বাড়ি শঙ্করপুর এলাকায়। উত্তেজিত জনতা আয়ুব গাজির বাড়িতে চড়াও হয়। তার দোকানপাট ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের (Trinamool Congress) অঞ্চল সভাপতি অহিদুল শাহজি বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে বিরোধীরা। কোনও কারণ ছাড়াই দলীয় কর্মীকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করে। এরপরই স্থানীয় মানুষ একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বসিরহাটের বিজেপি সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, বিরোধীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নই। আসলে তৃণমূলের ক্ষমতা দখলের লড়াই। নিজেদের কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বিরোধীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় রক্ত ঝরল বিরোধীদের। কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হল। বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। ফলে, শনিবার সপ্তম দফা ভোটে সকাল থেকে একাধিক লোকসভা কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

    ভাঙড়ে অশান্তি! (Lok Sabha Election 2024)

     শনিবার মধ্যরাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। তৃণমূল- আইএসফ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূলত, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে। অভিযোগ আইএসএফের দিকে। পাল্টা দলীয় পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল এলাকায়। আইএসএফও-এর দাবি, তাদের কর্মীরাও আহত হয়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে, ভোটের রাতে দলীয় প্রার্থী নুর আলম খানের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাতেই ভাঙড় থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। রাতভর ভাঙরের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালেই ভোটকে (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এ বার ঘটনাস্থল ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তৃণমূল। উল্টোদিকে, আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    জলে ফেলা হল ইভিএম

    কাশীপুরের বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপস রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ও ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কুলতলিতে বিজেপিসহ বিরোধীদের ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই রাগে ইভিএম জলে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ক্যানিং গোলাবাড়ি বাজারে বিরোধী দলের ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এক সংবাদ কর্মী গুরুতর আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    জয়নগরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ

    জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। আহত ৬ জন। বিজেপির ২ জন এবং তৃণমূলের ১ জন কর্মীকে আহত অবস্থায় কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি নেতার মেয়ের ওপর হামলা

    বারাসাত লোকসভার কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপির বুথ সভাপতির মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়ড়া শিবতলা এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত ওই নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “আরাবুল জেলে, শওকত বাইরে কেন?”, পোস্টারে শোরগোল ভাঙড়ে

    Saokat Molla: “আরাবুল জেলে, শওকত বাইরে কেন?”, পোস্টারে শোরগোল ভাঙড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচন (Lok sabha vote 2024), আর এরই মধ্যে ভাঙড়ে শোরগোল পড়েছে। শওকত মোল্লার (Saokat Molla) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। ক্যানিং পূর্বের এই তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতারির দাবিতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata police) পোলেরহাট থানা এলাকার শ্যামনগরে পড়ল পোস্টার। ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    কী লেখা পোস্টারে?

    সাদা কাগজে কালো কালিতে কম্পিউটার প্রিন্টের পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোস্টারে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, “ক্যানিং ও জীবনতলা থেকে লোক এনে ভাঙড়ে (Bhangar) সন্ত্রাস করে খুন করা হল। আর ওই খুনের দায়ে আরাবুল (Arabul Islam) জেলে কিন্তু শওকত মোল্লা বাইরে কেন? প্রশাসন জবাব দাও!” এর পাশাপাশি পোস্টারে আরও লেখা রয়েছে, “জনগনের প্রকল্পের টাকা চুরি করে নেতা-মন্ত্রীরা সব জেলে কেন? কয়লাকাণ্ডের অভিযুক্ত শওকাত মোল্লা জবাব দাও।” এর পাশাপাশি শওকতকে ভাঙড়ে বোমা-গুলির ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলেও পোস্টারে কটাক্ষ করা হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, “‌মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা স্বীকৃত বোমা, গুলির মাস্টারমাইন্ড শওকত মোল্লার ভাঙড়ে ঠাঁই নাই।”‌

    শওকত বিরোধী গোষ্ঠীর পোস্টার?

    তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই পোষ্টার (posters) লাগাল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা কেউ দিল, নাকি শাসক দলে শওকতের কোনও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ এটা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর ৷ কারণ, পোস্টারে কারও নাম না থাকলেও একাধিক ইস্যুতে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে শুধু শওকতকেই ৷

    আরও পড়ুনঃ মমতার বিরুদ্ধে এবার উস্কানি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে কমিশনে দ্বারস্থ বিজেপি

    শওকতের বক্তব্য

    এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শওকত বলেন, “আমি জানি না কারা এই সব করেছে। পক্ষের লোক নাকি বিপক্ষের লোক। তবে যারাই করছে তারা আমাদের আশীর্বাদ করেছে, দোয়া করছে। কারণ এইসব করলে তৃণমূল (TMC) আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ভাঙড়ের মানুষ মিথ্যাকে কখনও প্রশ্রয় দেবে না।” তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত এলাকা জমি কমিটির আঁতুড়ঘর বলেই পরিচিত। তবে আইএসএফ শ্যামনগর এলাকায় যথেষ্ট শক্তি অর্জন করে রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় শওকতের (Saokat Molla) বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষমূলক পোস্টার লাগানোর পিছনে জমি কমিটি নাকি আইএসএফ যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে আরও ৫ আসনে প্রার্থী দিল বামেরা, রয়েছে ডায়মন্ডহারবারও

    Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে আরও ৫ আসনে প্রার্থী দিল বামেরা, রয়েছে ডায়মন্ডহারবারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আরও এক দফায় প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। এবারে বামেদের প্রার্থী তালিকার (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে রাজ্যের পাঁচটি আসন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ডায়মন্ডহারবারও রয়েছে। এর পাশাপাশি বসিরহাট, বারাকপুর, ঘাটাল, বারাসাতেও প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা।

    একনজরে প্রার্থীরা

    বসিরহাট- নিরাপদ সরদার
    বারাকপুর- দেবদূত ঘোষ
    ডায়মন্ডহারবার- প্রতিকুর রহমান
    ঘাটাল- তপন গঙ্গোপাধ্যায়
    বারাসাত- প্রবীর ঘোষ 

    এর আগে শোনা যাচ্ছিল, ডায়মন্ডহারবারে প্রাথী হতে পারেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে তিনি প্রার্থী হননি। তাঁর বদলে আইএসএফ সেখানে দাঁড় করিয়েছে মজনু লস্করকে। বৃহস্পতিবারই আইএসএফ-এর সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট ভেঙে গিয়েছে। জোট ভাঙার একদিনের মধ্যেই ৫ আসনে প্রার্থী দিল বামফ্রন্ট শিবির। সূত্রের খবর, হাই ভোল্টেজ ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র নিয়ে দড়ি টানাটানি চলেছে বেশ কয়েকদিন কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদেরও। কারণ এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রথম থেকেই নজর ছিল আসনটি বাম কংগ্রেসের মধ্যে কার কাছে যাবে। শেষমেষ এখান থেকে বামেরাই প্রার্থী দিল। অন্যদিকে বারাকপুরের মত আসনে বামেরা দাঁড় করাল অভিনেতা দেবদূত ঘোষকে। বারাসাত আসনটি তারা জোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লককে ছেড়ে দিয়েছে এবং সেখান থেকে প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) হয়েছেন প্রবীর ঘোষ। ঘাটাল আসনটি জোট শরিক সিপিআইকে ছেড়েছে। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন তপন গঙ্গোপাধ্যায়। ঘাটাল আসন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের দড়ি টানাটানি চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে প্রার্থী দিল বামেরা। এখনও পর্যন্ত ২৮ আসনে বামেরা এবং ১২ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ জোটের মোট ৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা হল। বাকি রয়েছে দুটি আসন।

    আইএসএফ-বামফ্রন্ট দ্বন্দ্ব

    আইএসএফের সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়ার জন্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকেই দায়ী করলেন। সাংবাদিকদের সামনে বিমান অভিযোগ করেন, জোট গঠনে প্রথম থেকে একেবারেই আন্তরিক ছিল না আইএসএফ। গতকাল ১৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল। এ নিয়ে একদা তাদেরই জোট শরিক বামফ্রন্টের নেতা বিমান বসুর বক্তব্য, ২০২১ সালে যে দল তৈরি হয় তারা এতদূর কিভাবে ভাবছে! সিপিএমের বর্তমানে রাজ্য সম্পাদক রয়েছেন মহম্মদ সেলিম। তাঁকে এবার মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র (Lok Sabha Election 2024) থেকে দাঁড় করিয়েছে দল। সেই আসনেও সেলিমের বিপক্ষে প্রার্থী দিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকির দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শেখ শাহজাহান জেলে, এবার ছোট শাহজাহানের আতঙ্ক শুরু সন্দেশখালিতে!

    Sandeshkhali: শেখ শাহজাহান জেলে, এবার ছোট শাহজাহানের আতঙ্ক শুরু সন্দেশখালিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখন জেলে বন্দি। কিন্তু তাতেও কি সন্ত্রাস, অত্যাচার থেমে আছে? এবার ছোট শাহজাহান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে নিজের একনায়কতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় আইএসএফের লাগানো পতাকাকে ঘিরে গন্ডগোল। তৃণমূলের এই শাহজাহান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন দুই মহিলা। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ২ ব্যক্তি। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। এলাকায় আতঙ্কের প্রহর কি ফের শুরু? উঠছে নানা প্রশ্ন।

    ছোট শাহজাহানের উত্থান (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের পর কি এবার ছোট শাহজাহানের উদ্ভব হল। এলাকায় বড় শাহজাহান নেই। তাই এই সুযোগে সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকাকে নাকি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন এই তৃণমূল নেতা। হাটখোলার ১৪২ নম্বর যে মাদ্রাসা বুথ রয়েছে সেখানে হাকিম মোল্লা এবং জাকুরিয়া মোল্লা নামে দুই আইএসএফ কর্মীরা পতাকা লাগিয়েছেন। এরপর ছোট শাহজাহান তাঁর বাহিনী নিয়ে তাঁদের হামলা করেন বলে অভিযোগ। অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ। হাকিম মোল্লা, জাকারিয়া মোল্লার সঙ্গে দুজন মহিলা রুকসনা বিবি এবং আফসান বিবিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ফলে সন্দেশখালি ফের ছোট শাহজাহানের আতঙ্কের শিকার হচ্ছে না তো। এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে মানুষের মনে।

    ইডির উপর আক্রমণে ভূমিকা ছিল ছোট শাহজাহানের

    বেড়মজুর (Sandeshkhali) এলাকার এক উপপ্রধান হলেন ছোট শাহজাহান। এলাকার মানুষের অভিযোগ, শেখ শাহজাহান জেলে থাকলেও এখনও এলাকায় দাপিয়ে সন্ত্রাস করছেন ছোট শাহজাহান। গত ৫ জানুয়ারি রেশন-দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটলে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন এই ছোট শাহজাহান। তাঁর ছবি ধরা পড়েছিল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। একেবারে তদন্তকারী আধিকারিকদের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁর সেই সময় বক্তব্য ছিল, শাহজাহানের বাড়িতে যেতে হলে তাঁর বুকের উপর দিয়ে যেতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তিনি নাকি ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা! ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরায় ঘেমে-নেয়ে একশা আরাবুল

    South 24 Parganas: তিনি নাকি ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা! ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরায় ঘেমে-নেয়ে একশা আরাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে তিনি নাকি বেতাজ বাদশা। তাঁর কথায় এলাকা কাঁপে। দাপুটে সেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের একী হাল। কাশীপুর থানায় ডেকে তাঁকে টানা তিনি ঘণ্টা জেরা করা হয়। পুলিশি জেরায় তিনি কার্যত ঘেমে যান। বার বার তিনি জল চান। দাপুটে নেতার অবস্থা দেখে তাঁর অনুগামীরা হতবাক হয়ে যান।

    থানায় এনে জেরা করল পুলিশ (South 24 Parganas)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন, ১৫ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার মেলার মাঠে আইএসএফ ও তৃণমূলের বোমা-গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এঁদের মধ্যে দু’জন তৃণমূল কর্মী, রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। অন্য দিকে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার। মহিউদ্দিনের বাবা কুতুবুদ্দিন মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট গত বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আপাতত তিনি লালবাজারে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। গ্রেফতারের প্রায় এক সপ্তাহ পর আরাবুলকে কাশীপুর থানায় আনা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। ওসির ঘরে তাঁকে দফায় দফায় তদন্তকারী জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা গিয়েছে, সে দিন ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে ঘটনা নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রশ্ন বাণে কার্যত ভেঙে পড়েন দাপুটে তৃণমূল নেতা। থানা থেকে লালবাজারে যাওয়ার আগে আরাবুলের অনুগামীরা থানার বাইরে ভিড় জমান। কিন্তু কড়া পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে কেউ ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি।

    পরিবারের লোকজনের সঙ্গে থানায় কথা

    আরাবুল গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে আনার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন থানাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লালবাজারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় পরিবারের লোকজন এসেছিলেন। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। পরিবারের বিষয়ে কিছু কথা হয়। তারপর পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে ফের লালবাজার নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার হরিপালের সভা থেকে তিনি মমতার প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। এমনকী অভিষেককে তাঁর খাসতালুকে তৃতীয় করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ! (Suvendu Adhikari)

    শনিবার হরিপালের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে ১৮ থেকে কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে যারা সক্রিয় কর্মী তাঁদের নাম বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে গরমিল করা হয়েছে।” তিনি  হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা এটা ছাড়ব না। এসব চলবে না। ফলতার বিডিওকে বলে রাখলাম, দরজা পরিষ্কার করে রাখুন আপনার কাছে যাচ্ছি, যে কোনও দিন। ভাইপো কে ওখানে হারাবো। বিজেপি জিতবে, ভাইপো থার্ড হবে।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভোটার তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রেও ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেই ভোটার তালিকায় মমতার প্রশাসন কতটা গরমিল করেছে তা দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সংহতি মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বলেছিলেন, “বিজেপি রাম নিয়ে এত উচ্ছ্বাস দেখালেও সীতা দেবীকে নিয়ে কোনও কথা বলে না। বিজেপি নারী বিরোধী বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এসব চপবাজি কেউ খাবে না। পশ্চিমবঙ্গের সীতাদের খোঁজ নিতে বলুন, হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, রামপুরহাটের সীতারা কি অপরাধ করেছে? শিখল তুলে পুড়িয়ে মেরেছেন লজ্জা লাগেনা?” প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে এবারেও বড় অঘটন না ঘটলে প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিজেপিও প্রভাবশালী কাউকে দাঁড় করাবেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের যুবরাজের আসনেই তাঁকে হারানার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার (Saokat Molla) ফের বেফাঁস মন্তব্য “জিনা হারাম করে দেব”। একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রসের বিধায়ক! এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? ভাঙড়ে এক প্রকাশ্য সভায় দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে গোলমাল হলে বিরোধী দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, আর সেখানে তাঁর দলেরই এক বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের এই রকম হুমকি দিচ্ছেন! এই ঘটনা ভাঙড় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    কেন করেছেন এমন মন্তব্য(Saokat Molla)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) প্রতিবাদ সভার নামে এই মন্তব্য করেন। ভাঙড়ের বোদারা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রকাশ্য সভায় এই রকম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে দলের পতাকা লাগানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এবং সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এরপর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। 

    ঠিক কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত (Saokat Molla) বলেন, “প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এই এলাকার মানুষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বোদরা এলাকায় তাদের জিনা হারাম করে দেব। এই কথা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি।” এই বক্তব্যে এলাকায় শাসক দলের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় যে ফুটে উঠেছে সে কথা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে মালাদা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “বিরধিতা করলে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রামছাড়া করা হবে।” আর এই মন্তব্যে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে একযোগে অত্যাচার করা হচ্ছে।” ঘটনায় আইএসএফের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা (Saokat Molla) এই সব কথা বলেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটাও ভোট পাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ। আর বিস্ফোরণের জেরে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। আহত যুবকের নাম কবিরুল আলি। বছর তেইশের জখম যুবকের বাড়ি দেগঙ্গার গোসাইপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার দুদিন আগেই দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখের মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে।  খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় এক নাবালক। এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল কদম্বগাছিতে।

    কী করে ঘটল বোমা বিস্ফোরণ? (Bomb Blast)

    এদিন সকালে কোদাল দিয়ে বাড়ির অদূরে জমিতে মাটি কাটচ্ছিলেন কবিরুল। মূলত সেখানে ঝোঁপ পরিষ্কার করার তিনি কাজ করছিলেন। মাটির মধ্যে বোমা পোঁতা ছিল। শাবল দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কবিরুল। তাঁর শরীরের একটি অংশ ঝলসে গিয়েছে। বাঁ হাতের তালু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে ওখানে বোমা এল তা খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের নজরদারি অভাবের জন্যই বার বার বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটছে। মাটির নীচে এভাবে বোমা রাখা থাকলে সাধারণ মানুষ কী করে বুঝবে। এই ঘটনার পর রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ভয় লাগছে। বোমা মজুতকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে দেগঙ্গা, কদম্বগাছির মতো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বার বার ঘটবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভপতি সর্দার মেহবুব হাসান নয়ন  বলেন, আইএসএফ এই এলাকা সংগঠন তৈরি করতে পারছে না। তাই, এভাবে বোমা মজুত করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে আসা সমস্ত কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বেসুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের মানতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবস্থানের জন্য দলের অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে সমালোচিত হয়েছেন বিধায়ক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    বিধায়কের বক্তব্যে সরব যোগদানকারীরা (South 24 Parganas)

    ব্লক সভাপতির হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে এই যোগদানকারীদের অস্বীকার করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী মোট পাঁচজন সদস্য। কিন্তু, তাঁরা দলে যোগদান করেননি।

    অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা বলেন, গত ১১ ই নভেম্বর সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারিকা ও কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদারের হাত ধরে গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমরা দুজন আইএএফ এবং তিনজন কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। আমরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিধায়ক না মানলে হব? জেলা নেতৃত্ব তো আমাদের দলে নিয়েছে।

    কী বললেন দলের অঞ্চল সভাপতি?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গাজিপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ব্লক সভাপতি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী উপস্থিতিতে বিরোধীদের পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু, কীভাবে বিধায়ক এই কথা বলতে পারেন তা তিনিই জানেন। যোগদানকারীরা তৃণমূলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share