Tag: ISI

ISI

  • ISI: গোপন তথ্য দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে! এ বার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের শাহজাদ

    ISI: গোপন তথ্য দিতেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে! এ বার গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের শাহজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ফের গ্রেফতার করা হল একজনকে। শনিবারই উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলা থেকে সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) গ্রেফতার করে শাহজাদ নামের একজনকে। তাঁকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একাধিকবার পাকিস্তানেও গিয়েছেন শাহজাদ। সেখানে আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও হত তাঁর। সন্ত্রাস দমন শাখার আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, শাহজাদ রামপুর ও উত্তর প্রদেশের অন্যান্য অংশ থেকে সাধারণ মানুষদের পাকিস্তানে পাঠাত আইএসআই-র হয়ে কাজ করার জন্য।

    শাহজাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ

    জানা গিয়েছে, শাহজাদ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর (ISI) হাতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য তুলে দিতেন। আইএসআই-এর শীর্ষকর্তাদের একাংশের সঙ্গেও তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই শাহজাদ নামের ওই যুবকের উপর নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৪৮ ও ১৫২ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    শাহজাদ একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন

    আরও জানা যাচ্ছে, শাহজাদ একাধিক বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। সেখানেই আইএসআই-এর (ISI) মদতে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে নানা জিনিস চোরাচালান করতেন বলে জানা যাচ্ছে। চোরাচালানের কারবারের আড়ালেই এই চরবৃত্তি চলত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তরকারীরা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে আইএসআই-এর (ISI) লোকজনকে ভারতের সিমকার্ড দেওয়া, এদেশে আইএসআই এজেন্টদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

    জ্যোতির পরে হরিয়ানায় গ্রেফতার নোমান ইলাহী

    জ্যোতি মলহোত্রার পরেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (ISI) অভিযোগে হরিয়ানা থেকে নোমান ইলাহী নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তিনি উত্তরপ্রদেশের শামলীর বাসিন্দা তবে কর্মসূত্রে থাকতেন হরিয়ানায়। হরিয়ানার পানিপথে একটি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন নোমান। কাজের আড়ালেই চলত চরবৃত্তি। প্রসঙ্গত, চরবৃত্তির অভিযোগে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার হয়েছেন হরিয়ানার বছর পঁচিশের এক পড়ুয়াও।

  • Pakistan: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ৯

    Pakistan: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার আরও ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্ষের মধ্যেই ভূত! পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ভারতেরই হরিয়ানা (Haryana) থেকে গ্রেফতার আরও এক। ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য আরহান নামের ওই যুবক পাকিস্তানে পাচার করে দিত বলে অভিযোগ। দিল্লিতে পাক দূতাবাসের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। পুলিশ তার কাছ থেকে দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ছবি এবং ভিডিও। আরমান নামের বছর ছাব্বিশের ওই যুবককে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে হরিয়ানার নুহ জেলা থেকে। নুহ পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় সেনা ও সামরিক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাত ওই যুবক। দিল্লির পাক দূতাবাসের এক কর্মচারীর মাধ্যমে সে এই কাজ করত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে এ খবর পেয়েছিল নুহ পুলিশ। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় আরমানকে।

    আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Pakistan)

    আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের হয়ে চরের কাজ করছিল সে। সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে, বিশেষত হোয়াটসঅ্যাপে এই সংক্রান্ত তথ্য সে শেয়ার করত। পাকিস্তানের একাধিক নম্বরের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গিয়েছে। অনেক ছবি এবং ভিডিও-ও সে ওই নম্বরে পাঠিয়েছে। আরমানকে গ্রেফতারির পর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Pakistan)। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

    হরিয়ানা থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার

    প্রসঙ্গত, শনিবারই হরিয়ানা থেকে চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রকে। অভিযোগ, পাক গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান, গুপ্তচরদের কাছে তথ্য পাচার করার একটি চক্র তৈরি হয়েছে এ দেশে। এই চক্র সক্রিয় মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। জ্যোতি এবং আরমান সেই চক্রের সদস্য কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

    এদিকে, জ্যোতির পাশাপাশি গুজালা নামে আরও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাক চর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মালেরকোটলার ইয়াসিন মহম্মদ, হরিয়ানার কৈঠালের দেবেন্দ্র সিং ধিঁলো-ও। উত্তরপ্রদেশের কৈরানার বাসিন্দা নোমান ইলাহিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানার কাইথাল জেলার গুহলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেবেন্দর সিংকে। উত্তরাখণ্ডের রুরকির পেশায় দর্জি রাকিব খানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের সমস্তিপুরের মুচি সুনীল কুমারকেও। গত ৩ মে সেনানিবাস ও বিমানঘাঁটির তথ্য সংগ্রহ এবং ছবি তোলার অভিযোগে অমৃতসরে গ্রেফতার করা হয়েছিল পলক শের মাসিহ এবং সুরজ মাসিহ নামে দু’জনকে। অমৃতসর (Haryana) কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি হরপ্রীত সিং ওরফে পিট্টু ওরফে হ্যাপির মাধ্যমে তারা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল (Pakistan)।

  • ISI Operative: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি! পাক হাইকমিশনের কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল্লির

    ISI Operative: আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তি! পাক হাইকমিশনের কর্তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে চড়েছে ভারত-পাক উত্তজনার পারদ। ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যার বদলা নিতে পাকিস্তানে (Pakistan) ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় (ISI Operative) ভারত। সেই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি। পরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। তবে তার পরেও যে উত্তেজনার পারা এতটুকুও নামেনি, তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার। এদিন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লির পাক হাইকমিশনের এক আধিকারিককে অবাঞ্ছিত (পার্সোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার (ISI Operative)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, পাক হাইকমিশনের ওই কর্তা ভারতে তাঁর সরকারি মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। দিল্লির পাক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কোন অভিযোগে ওই পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্ছিত

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ দিল্লির পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচারের অভিযোগে এক মহিলা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই পাক হাইকমিশনের ওই কর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল গৌরব যাদব জানান, সরকারি পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (ISI Operative)।

    সম্প্রতি পাঞ্জাব পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে, যাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের কাছে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। ওই হ্যান্ডলার দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। তাদের জেরা করেই ফাঁস হয় পাকিস্তানি হাইকমিশনের ওই কর্মীর নাম – এহসান উর রহিম ওরফে দানিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের অনলাইন মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করানো হত। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা দফতরের (Pakistan) মতে, এই ঘটনা পাক চরচক্র ভাঙার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য (ISI Operative)।

  • Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    Bangladesh Border: বাংলাদেশে পাক সেনা-আইএসআইয়ের জোর তৎপরতা! হাই অ্যালার্ট ভারতের পূর্ব সীমান্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তেও (Bangladesh Border) দুই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। কারণ, গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের তৎপরতা বেড়েছে পদ্মাপাড়ে। মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতাও তৈরি হয়েছে বেশ ভালো। এই কারণেই বাংলাদেশ সীমান্তে চূড়ান্ত হাই অ্যালার্ট বজায় রাখা হয়েছে। অনুপ্রবেশ রোখার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। বাংলাদেশের পাশাপাশি নজরদারি চালানো হচ্ছে মায়ানমার সীমান্তেও।

    মুর্শিদাবাদ হিংসায় উঠে আসে বাংলাদেশি যোগ

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নামে মুর্শিদাবাদ জেলাতে বিক্ষোভের নামে ভয়ংকর হিংসা ছড়ায়। সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশি যোগ। এই আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে (Bangladesh Border) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করতে শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ হিংসায় তিনজন মানুষের মৃত্যু হয়। কয়েকশো মানুষ আহত হন। কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ যোগের কারণেই এই হিংসা আরও প্রবল আকার ধারণ করেছে। এই আবহে ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ২৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। ঠিক সেই সময়ই বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তেও ব্যাপক সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারত।

    নজরে বাংলাদেশ সীমাও (Bangladesh Border)

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করা হয়েছে। সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই আবহে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাক সেনা (Bangladesh Border)। অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। কাশ্মীর সীমানা ছাড়া, বাংলাদেশ সীমাও এখন ভারতের নজরে।

  • Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    Indus Water Treaty: সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে থরহরি কম্প বাংলাদেশও, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত করে দিয়েছে ভারত। তার জেরে ভরা গ্রীষ্মে প্লাবিত হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ (Bangladesh)। ভারতের এহেন পদক্ষেপের জেরে ভীত বাংলাদেশ সরকারও।

    বিপজ্জনক খেলা (Indus Water Treaty)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশকে ভারতের নিরাপত্তাকে হুমকি দেওয়ার বিপজ্জনক খেলা বন্ধ করতে হবে। পাকিস্তানের আইএসআইকে মুক্ত হস্তে কাজ করতে দেওয়া এবং ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ও সুন্দরবনের মংলা বন্দরের কাছাকাছি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে চিনকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো থেকে ঢাকাকে সরে আসতে হবে। নাহলে দিল্লি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল কিংবা আরও কয়েকটি পরিকাঠামো প্রকল্প বন্ধ করার চেয়েও ঢের বেশি কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ভাবতে পারে। ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর পাকিস্তানের দশা দেখে বাংলাদেশ সহ নিম্নাঞ্চলের দেশগুলিতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই চুক্তি তিনটি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (কার্গিল সহ) এবং ২০০৮-এর মুম্বই হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক জঙ্গি হামলা সহ্য করেছিল। তাই এই উদ্বেগ যুক্তিসঙ্গত, বিশেষত যখন আগামী বছর ৩০ বছরের পুরানো গঙ্গা জল চুক্তি নবীকরণের কথা রয়েছে।

    ভারতের শতাধিক নদী বাংলাদেশে গিয়েছে

    গঙ্গার বাইরে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র-সহ বারাক, ফেনির মতো শতাধিক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৯ সালে ভারত ফেনি নদীর জল বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে কোনও চুক্তি নেই। যদিও তাতে উদ্বেগ কমেনি। ভারত ঢাকার সঙ্গে সঠিক সময়ে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য, বন্যা সতর্কতা আদানপ্রদান করে। এই তথ্য প্রবাহে সামান্য বিঘ্নও বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে (Indus Water Treaty)। দিল্লি জল বা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেই পারে। কারণ উত্তর ভারতের বেশিরভাগ প্রধান নদীর উৎপত্তিই হয়েছে তিব্বতে। যখনই রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়, তখনই বেজিং থেকে তথ্যপ্রবাহ ধীর হয়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ এই নদীগুলির প্রধান জলাধার রয়েছে ভারতেই। তাছাড়া, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারত সতর্কও রয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসাবে, দিল্লি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশাল জলাধার সহ একাধিক বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে। এগুলি উজানের প্রবাহে অপ্রত্যাশিত ওঠানামা মোকাবিলায় সাহায্য করবে (Bangladesh)।

    ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে

    আসল কথা হল, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কানাডা ও মেক্সিকোর মতো দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সহযোগীর ওপরও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করতে পারে, তবে কোনও সম্পর্ক বা চুক্তিই যাচাই-বাছাইয়ের ঊর্ধ্বে নয়। ভারত কঠোর শক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলে কারণ সে তার উন্নয়নের গতিপথ থেকে বিচ্যুত হতে চায় না। ১৯৯১ সালে উদারীকরণের পর থেকে ৬ শতাংশেরও বেশি গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম (Indus Water Treaty)। ভারতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিনিময়ে ঢাকা ভারতের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে তার চরম মূল্য দিতে হবে ইউনূসের দেশকে। শেখ হাসিনা এটি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন। এর সুবিধা শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বিমস্টেক উপঅঞ্চলেও বিস্তৃত হয়েছিল। ২০১৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কের অকার্যকর প্রক্রিয়া এড়িয়ে অগ্রগতির লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।

    সার্কের ব্যর্থতা

    দুর্ভাগ্যবশত, মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই ধারাকে উল্টে দেন। তিনি কখনও বিবিআইএন (BBIN)-এর উল্লেখ করেননি। বরং বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে মজবুত করার দিকে ঝুঁকেছেন। মাত্র আট মাসের মধ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছায় – এমনকি ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ উপেক্ষা করে বাংলাদেশ পাকিস্তানি পণ্য পরিবহণের শক্তি যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তাও বাতিল করে দেয় (Bangladesh)। সার্কের ব্যর্থতা ও এর পিছনের কারণগুলি সকলেই জানেন। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের লাভকে উপেক্ষাই করা যায়। তবুও ইউনূস ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে রাজনীতিকীকরণের লক্ষ্যেই কেবল সার্ককে সমর্থন করছেন (Indus Water Treaty)। এটি একটি দশক প্রাচীন পরিকল্পনা, যা বর্তমান ভূ-রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক, যেখানে ভারত বৈশ্বিক মহাশক্তির অবস্থান জোগাড় করতে তৎপর। বুধবার, মোদি পাকিস্তানের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। সকল পাক নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড়ের স্কিমও বাতিল করা হয়েছে।

    ইউনূসের দায়িত্ব গ্রহণ

    ইউনূস দায়িত্ব নিয়েছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংবেদনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে। সম্প্রতি তিনি দিল্লিকে স্টেকহোল্ডার না করে উত্তর-পূর্ব ভারতীয় বাজার দখলের লক্ষ্যে বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সন্ত্রাসের সঙ্গে খেলাধুলা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। একসময় উত্তর-পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১০ ট্রাক অস্ত্রের মামলা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে সমর্থনের একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। ইউনূস প্রশাসন সেই মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই মুক্তি দিয়েছে (Bangladesh)। মারণাত্মক সন্ত্রাসী সংগঠন আনসারুল্লাহ্ বাংলা টিমের প্রধান এখন মুক্ত। নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরিরের পোস্টার বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। আল-কায়েদার পতাকা চোখে পড়ে ঢাকার যত্রতত্র। এগুলো কি ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনার অংশ?

    ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলি ভারতের সন্ত্রাস বিষয়ক মনোভাবের পরিবর্তন নির্দেশ করে। এই পরিবর্তন শুরু হয় ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর। কাশ্মীর হামলা এই দৃঢ়সংকল্পকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করা যায়, বাংলাদেশ এটি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করছে (Indus Water Treaty)। প্রসঙ্গত, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আলোচনার ধারা নিয়ন্ত্রণে আনতে এক অভিনব কৌশল নিয়েছে। প্রচলিত মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের রুটিন কাজের অংশ হলেও, আসল দক্ষতা দেখিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে। সরকারের প্রায় সবাই ফেসবুকে নিজেদের দফতরের দায়িত্বের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে জটিল ও বিস্তারিত মতামত শেয়ার করছে। যে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জবাবদিহিতা ছাড়াই এই পরিকল্পনাটি সযত্নে পরিকল্পিত করা হয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এগুলোর মুখোমুখি হলে তারা পোস্ট মুছে দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকবে। তবে স্ক্রিনশটের মাধ্যমেই আলোচনা চলতে থাকে। একজন শীর্ষ মন্ত্রী ভারতের উত্তর-পূর্বকে ছিনিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর ঠিক এমনটাই ঘটেছিল। কাশ্মীর হামলার পরেও তারা একই কাজ করেছিল।

    কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন আইন অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে সাধারণত জুলাই মাসের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে তিনি ইউনূস মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। ২৩ এপ্রিল তিনি মোদি সরকারকে কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বর্ণনা করে কলকাতাভিত্তিক এক কংগ্রেস সমর্থকের একটি পোস্ট শেয়ার করেন (Indus Water Treaty)। পোস্টটির ভূমিকায় নজরুল লিখেছিলেন, “আমি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করছি। তবে কে এর পেছনে আছে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন।” নজরুলের এই বক্তব্য দ্রুত ডিজিটাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। দৈনিক ইনকিলাবের মতো পাক-সমর্থিত ইসলামিস্ট মিডিয়া একে লিড নিউজ করে। পরে তিনি পোস্টটি মুছে দেন (Bangladesh)। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কিছু কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি নিম্ন অববাহিকার দেশ। ফলে ভারতের ছোটখাট কোনও সিদ্ধান্তেরও চড়া মাশুল গুণতে হতে পারে বাংলাদেশকে (Indus Water Treaty)।

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় হামাসের হাত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) হামাসের হাত! এই হামাসই (Hamas) প্রথমে আক্রমণ করেছিল ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর। সেই হামাস এবং অন্যান্য সংস্ত্রাসবাদী সংগঠনকে নিয়ে জঙ্গি-জাল তৈরি করছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই নেটওয়ার্কই বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলেছে। চালাচ্ছে হিন্দুনিধন যজ্ঞ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জঙ্গি-জাল অবিলম্বে ছিন্ন করতে না পারলে কিংবা জঙ্গিদের সমূলে বিনাশ করতে না পারলে, তামাম বিশ্বের পক্ষেই তা হবে সাক্ষাৎ যমদূত স্বরূপ। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বলি হন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। এঁদের মধ্যে আবার দুজন বাদে বাকি ২৬ জনই হিন্দু। জঙ্গি হামলায় একমাত্র যে মুসলিম ধর্মাবলম্বীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়েছিলেন বলে। এছাড়া, এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও মৃত্যু হয়েছে।

    বিস্ফোরক সব তথ্য (Pahalgam Attack)

    পহেলগাঁওকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ভারত। তার পরেই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। এই তদন্তেই জানা যায়, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নয়া নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। হামাস একটি মুসলিম জঙ্গি সংগঠন। মুসলিম অধ্যুষিত প্যালেস্তাইনের গাজায় তাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখান থেকেই ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস। পরে প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও। বছর দুয়েক আগে যে কায়দায় হামাস হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে, তার সঙ্গে পহেলগাঁওকাণ্ডের যথেষ্ট মিল খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, পাকমদতপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে যেভাবে হামাসের নয়া সমীকরণ গড়ে উঠেছে, তা গোটা বিশ্বের কাছেই উদ্বেগের।

    হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইএসআই!

    গোয়েন্দারা জেনেছেন, হামসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে (Pahalgam Attack) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পহেলগাঁওয়ে যে চার জঙ্গি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানের নাগরিক, বাকি দুজন কাশ্মীরের। এরা প্রত্যেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সূত্রের খবর, সেখানেই লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে আইএসআইয়ের মদতে তরুণদের জঙ্গি হওয়ার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে হামাস (Hamas)। কেন্দ্রের এক সূত্রের দাবি, যুদ্ধ বিরতির শর্ত মেনে ইজরায়েল যে হামাস নেতাদের সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছিল, পাক সরকারের আমন্ত্রণে তারাই আসে পাকিস্তানে। তার পরেই তাদের রীতিমতো এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেখানেই লস্কর ও জৈশ জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে হামাসের ওই নেতারা।

    জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর

    সূত্রের খবর, পাকিস্তান হামাস জঙ্গিদের রীতিমতো জামাই আদর করেছে। হামাস জঙ্গিরা পাকভূমে পা দেওয়ার পরে রাওয়ালকোট থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তাদের নিয়ে যাওয় হয় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সেই শোভাযাত্রায় হামাস নেতাদের ঘোড়ার পীঠে চাপিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। শোভাযাত্রায় যাদের ঘোড়ায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তারা হল হামাস মুখপাত্র খালিদ কোয়াদ্দৌমি এবং নাজি জাহির। হামাসের দুই শীর্ষ নেতা মুফতি আজম এবং বিলাল আলসাল্লাতকেও পাকিস্তানের তরফে দেওয়া হয়েছিল ওই রাজকীয় অভ্যর্থনা। এই শোভাযাত্রায়ই ছিল লস্কর ও জইশের একাধিক শীর্ষ কমান্ডার এবং মাথারাও। সেই শোভাযাত্রা থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল, প্যালেস্তাইনের মতোই কাশ্মীরও একই ধরনের ইসলামিক জেহাদের অংশ (Pahalgam Attack)। ভারত এবং ইজরায়েলকে একই বন্ধনীভুক্ত করে এই দুই দেশের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হয় জঙ্গিদের ওই শোভাযাত্রায়।

    কী বলছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত রুভেন আজারের। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে গণহত্যা চালায় হামাস। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গিরা হামলা করে ২২ এপ্রিল। গোয়েন্দাদের মতোই এই দুই হামলার কৌশলের মধ্যে অদ্ভূত মিল খুঁজে পেয়েছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। রুভেন আজার বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমাদের স্বীকার করতে হবে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে। পহেলগাঁও হামলা এবং ৭ অক্টোবর (২০২৩) ইজরায়েলে যা ঘটেছিল, তার মধ্যে মিল রয়েছে। তাতে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। ঠিক সেইভাবেই সময় বেছে পর্যটকে ভরা বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করেছে হামাস প্রতিনিধিরা (Hamas)। তার পরেই পহেলগাঁওয়ে এহেন হত্যালীলা।” তাঁর মতে, এর সঙ্গে বছর দুয়েক আগে ইজরায়েলে হামাস আক্রমণ ও পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলা একই ষড়যন্ত্রের এপিঠ-ওপিঠ।

    মোদির প্রশংসা

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ভারত সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ঘটনার প্রতিবাদে গোটা দেশ এখন জবাব দিতে মরিয়া।” তিনি বলেন, “এই অবস্থায় ভারতবাসীকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন, এবং জঙ্গিদের ওপর চরম আঘাত হানার বার্তা দিয়েছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই দরকার ছিল।” ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “বহু দেশই টাকা, অস্ত্র, ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করে জঙ্গিদের (Pahalgam Attack) মদত দিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদের মদত খুব বড় অপরাধ। তাই এবার জবাব দিতেই হবে।”

    বাংলাদেশেও হামাসের হাত!

    শুধু পাকিস্তান কিংবা পাক অধিকৃত কাশ্মীর নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়ও হামাস নেতারা পা রেখেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। গত ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ওই দিনই বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার পরে পরেই কয়েকজন হামাস নেতাকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছন আইএসআইয়ের কর্তারা। উদ্দেশ্য, হামাসের ভাবধারা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। ঢাকায় ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ইসলামিক সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামি। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি শহিদুল ইসলাম চরমপন্থী ইসলামি হিসেবেই পরিচিত। আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে তার। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামাসের একটি দল সম্প্রতি বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর পরিদর্শন করে। দলটি পাক সেনার নয়া উদ্বোধন করা পাকিস্তান আর্মি ফেসিলিটিও পরিদর্শন করে। এখানেই রয়েছে পাকিস্তানের যুদ্ধ সিমুলেশন কেন্দ্র।

    পাকিস্তান দাদা!

    হামাস দলটি যে অঞ্চলটি পরিদর্শন করেছিল, সেখানেই রয়েছে বাহাওয়ালপুর কোর। রাজস্থান সীমান্তের কাছে হওয়ায় এই সামরিক গঠনটির প্রধান দায়িত্ব হল সীমান্ত রক্ষা ও দ্রুত সেনা মোতায়েন। গোয়েন্দারা জেনেছেন, গত বছর জানুয়ারিতে হামাসের মুখপাত্রকে পাক সংসদে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই সময় এক পাকিস্তানি আইনপ্রণেতা ভারত ও ইজরায়েলের পরিকল্পিত ইন্ডিয়ান মিডল ইস্ট ইউরোপিয়ন করিডরের উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “গাজার ধ্বংসস্তূপের নীচে এখন সেই পরিকল্পনা চাপা পড়েছে।” জানা গিয়েছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ১৫ জন প্যালেস্তাইন বন্দিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে হামাসের (Hamas) মুখপাত্র। পাকিস্তানকে ‘দাদা’ হিসেবেও সম্বোধন করে তিনি।

    সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার উপযুক্ত জবাব দিতে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে ভারত। এর পাশাপাশি তারা সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখিয়ে কূটনৈতিক দিক দিয়ে গোটা বিশ্বের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও শুরু করেছে নয়াদিল্লি (Pahalgam Attack)।

  • FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে আমেরিকা (FBI Arrested Punjab Terrorist)। পাঞ্জাবে গত ৬ মাসে অন্তত ১৪টি গ্রেনেড হামলার চক্রী হ্যাপি কানাডা থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছিল। তাকে খুঁজছিল এনআইএ-ও। অবশেষে সেই হ্যাপি পাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছিল হরপ্রীত সিং। তাকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হলেই ওই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনআইএ।

    হরপ্রিত সিং এর পরিচয়

    পাঞ্জাবের অমৃতসরের আজনালা তহসিলের বাসিন্দা হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, একটি মামলায় তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদেশে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, মাদক আইন ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসিয়া পাকিস্তানি গ্যাংস্টার থেকে জঙ্গি হওয়া হরবিন্দর সিং সাঁধু ওরফে রিন্ডার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ ছিল। তাদের হয়েও বেশ কয়েকটি অপারেশন চালিয়েছিল পাসিয়া। গোড়ার দিকে ছিল গ্যাংস্টার, পরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পাসিয়া।

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, যারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংগঠনটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২-এর বোমা হামলা, যাতে ৩২৯ জন নিহত হয়েছিল, বিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংগঠনটি বর্তমানে পাকিস্তান, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সক্রিয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে কাজ করে।

    পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে শত্রুতা

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল পাসিয়া। হরপ্রিত এবং রিন্ডা মিলে এই গ্রেনেড হামলার লজিস্টিক সহযোগিতা, তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবে পুলিশের উপরেও একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ওই হামলা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দায় স্বীকার করত হ্যাপি পাসিয়া। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে অমৃতসর এবং অন্যান্য এলাকায় পুলিশ এবং পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। সেখানে কোথাও গ্রেনেড হামলা হয়। আবার, একাধিক থানার সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণও হয়। এই হামলার পিছনে হরপ্রীত সিং আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তখন থেকেই তার খোঁজ করতে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

    পাঞ্জাবে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি

    গত মার্চ মাসেই অমৃতসরে একটি মোটর সাইকেল লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে দুই জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। পাঞ্জাবের এক বিজেপির নেতার বাড়ি ছাড়াও এক ইউটিউবারের বাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেও ওই গ্যাংস্টার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে পাঞ্জাবে আরও বড় হামলা এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হ্যাপি।

    এফবিআই-এর উদ্যোগ

    এফবিআই-এর (FBI Arrested Punjab Terrorist) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “আজ, ভারতের পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি হরপ্রীত সিংকে এফবিআই এবং ইআরও স্যাক্রামেন্টোতে গ্রেফতার করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করেছিল এবং ধরা এড়াতে বার্নার ফোন ব্যবহার করছিল।” বার্নার ফোন মূলত আত্মগোপনের কাজে ব্যবহৃত অত্যন্ত পুরনো ধাঁচের ফোন। আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের আত্মগোপনকারী গুপ্তচর, জঙ্গি, পাচারকারীরা এই ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকে। এই ফোনের কয়েকটি বিশেষত্ব হল, এতে ডিটাচেবল ব্যাটারি থাকে। ফলে ব্যাটারি খুলে নিলে এই ফোনকে ট্র্যাক করা যায় না। এছাড়াও সুইচ বন্ধ করে রাখলেও লোকেশন বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও এতে সংগৃহীত থাকে না।

    হরপ্রীত-এর গ্রেফতারির গুরুত্ব

    ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে হরপ্রীত সিং-এর (Harpreet Singh) গ্রেফতার বিকেআই-এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারে। হরপ্রীত সিং-এর গ্রেফতার খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং আইএসআই-এর সমর্থনে বিকেআই-এর ক্রিয়াকলাপ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রেফতার ভারত-আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে এবং পাঞ্জাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

    ভারতে ফেরানোর তোড়জোড়

    এফবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাপি পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ। ভারতের তরফে এনআইএ এবং পাঞ্জাব পুলিশ তার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার মামলা করে। আমেরিকাকে জানানো হয় যে, সে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছে। অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও বের হয়। গ্রেফতারির পর ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে পাসিয়াকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হবে।

  • ISI: পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে লেখা! সাংবাদিক আহমদ নূরানির দুই ভাইকে নিয়ে গেল আইএসআই

    ISI: পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে লেখা! সাংবাদিক আহমদ নূরানির দুই ভাইকে নিয়ে গেল আইএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমদ নূরানি (Ahmad Noorani) ১৯ মার্চ তার এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন যে, পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (ISI) তার দুই ভাইকে ইসলামাবাদে অপহরণ করেছে। তারা নির্যাতিত হতে পারে, এই আশঙ্কায় রয়েছেন নূরানির মা আমিনা বাশির। তিনি মানবাধিকার আইনজীবী ইমান জাইনাব এর মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন।

    কী ঘটেছিল

    আহমদ নূরানি একজন সাংবাদিক। তিনি গত পাঁচ বছর ধরে ওয়াশিংটনে (যুক্তরাষ্ট্র) বসবাস করছেন। তিনি ফ্যাক্টফোকাসপাক নামক একটি পোর্টাল পরিচালনা করেন, যেখানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রতিবেদনের একটি শিরোনামে বলা হয়েছে, “জেনারেল আসিম মুনিরের অধীনে পাকিস্তান (ISI) সেনাবাহিনী কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অযাচিত প্রভাব বিস্তার করছে।” নূরানি তাঁর প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ১৭ মার্চ, আইএসআই তাঁর পিতৃভূমিতে ঢুকে, বাড়ি তছনছ করে এবং দুই ভাইকে মায়ের সামনে পিটিয়ে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় অজানা স্থানে।

    কী ছিল নূরানির প্রতিবেদনে

    নূরানি তাঁর প্রতিবেদনে দাবি করেছেন যে, জেনারেল মুনিরের দুই মেয়েকে অবৈধভাবে কূটনৈতিক পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান (Pakistan) সরকার এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নকভি, যিনি জেনারেল মুনিরের শাশুড়ির নিকটাত্মীয়, তার নিয়োগও শুধুমাত্র মুনিরের প্রভাবের কারণে। প্রতিবেদনটি জেনারেল মুনিরের আত্মীয়দের দ্রুত পদোন্নতি ও তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে, যা পাকিস্তানে বর্তমানে এক ধরনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের প্রতিবেদন এবং নূরানির পরিবারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ দেশটির সাংবাদিকতার স্বাধীনতার উপর বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে আইএসআই এবং সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠছে।

  • Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    Bangladesh Crisis: আইএসআই ও জামাতের যৌথ চক্রান্ত! বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মাপাড়ে অশান্তি অব্যাহত। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান সেনা প্রধান ওয়াকার উজ-জামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশ সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তান ও জামাতের সঙ্গে মিলে এই চক্রান্ত করা হয়েছিল। এই যোজসাজশ করেছিলেন বাংলাদেশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান।

    কীভাবে ভেস্তে গেল চক্রান্ত

    শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর, ইসলামপন্থী গোষ্ঠীরাই এখন বাংলাদেশের মসনদে। এই অবস্থায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যার পেছনে পাকিস্তানের আইএসআই-এর ষড়যন্ত্র ছিল বলে খবর এসেছে। তুরুপের তাস ছিল  ফয়জুর রহমান, যিনি কিনা বাংলাদেশ সেনায় কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল পদে কর্মরত। ফয়জুর একজন পাকিস্তানি সমর্থক এবং জামাতপন্থী বলে পরিচিত। জামাত নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সখ্যতা রয়েছে বলে খবর। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে যাচ্ছিলেন ফয়জুর। তাঁর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল। মিশন সাকসেসফুল করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেই গোল বেঁধে যায়। সেনা অধিকারিকরা এই বৈঠক সম্পর্কে সেনাপ্রধানের অফিসকে জানিয়ে দেন। তাতেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ফয়জুরের।

    নজরদারিতে ফয়জুর

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধানের সচিবালয়ে গোপন তথ্য আসে যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, যিনি জামাত-ই-ইসলামীর প্রতি সহানুভূতিশীল, কিছু বৈঠক আহ্বান করেছেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধানের অজান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে ফয়জুর সেনাপ্রধানকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে তিনি তেমন সমর্থন অর্জন করতে পারেননি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়জুর রহমান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে, সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী কমান্ডারদের (জিওসি) সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেনাপ্রধানের সচিবালয় এই বৈঠক সম্পর্কে জেনে যাওয়ার পর, শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠক থেকে সরে যান। চলতি বছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে, ফয়জুর জামাত নেতৃবৃন্দ এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের নজরে আসার পর, তিনি ফয়জুরকে নজরদারিতে রাখেন।

    গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার

    এছাড়াও, এই ষড়যন্ত্রের মধ্যে ১০ জন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) জড়িত, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন মেজর জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, যিনি চট্টগ্রামের অঞ্চল কমান্ডার, মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক, যিনি কুমিল্লার অঞ্চল কমান্ডার। তাদের পাশাপাশি আরও কয়েকজন মেজর জেনারেলও এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন, যেমন মেজর জেনারেল হাসেন মুহাম্মদ মাশিহুর রহমান, মেজর জেনারেল মহম্মদ কামরুল হাসান, মেজর জেনারেল মহম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, মেজর জেনারেল এসএম কামাল হোসেন এবং আরও অনেকে। আরও জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া এবং আবু বেলাল মহম্মদ শফিউল হক সহ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারী এবং এহতেশামুল হক এবং প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম কামাল নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছেন, যাতে অ্যান্টি-ওয়াকার সেনাবাহিনীর সদস্য এবং জামাত-ই-ইসলামীর সমর্থন থাকবে।

    বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের আশা

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান সব নেতাকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেছিলেন, এই সময় নেতারা নিজেদের মধ্যে আকচাআকচি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। নেতাদের সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশের সার্বভৌমত্ব সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে। নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করার ফলে দুষ্কৃতীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সঙ্কট থেকে দেশকে বের করতে হবে। পরে তিনি জানান, নেতাদের সাবধান করার পিছনে তাঁর কোনও উচ্চাকাঙ্খা নেই। জাতীয় স্বার্থে এই কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘আমি শুধু দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত শুধু সেনাবাহিনী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা দেখবে।’

    পাকিস্তান-বাংলাদেশ সখ্যতা

    শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মহম্মদ ইউনূস। গত কয়েকমাসে ক্রমে পাকিস্তানের সঙ্গে সক্ষতা তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)। কোনও নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই যে কোনও পাকিস্তানি নাগরিককে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনূস সরকার। এর ফলে ভারতের মাটিতে আইএসআই এবং জামাতের কার্যকলাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বন্ধু দেশগুলিকে নিয়ে পাকিস্তানের নৌবাহিনী ২ বছর অন্তর করাচিতে একটি মহড়ার আয়োজন করে। ‘আমন-২৫’ নামে মার্চের এই মহড়ায় এই প্রথম অংশ নিতে চলেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনীও। এই আবহে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও সদা সতর্ক রয়েছে দিল্লি।

  • Pakistan: পাকিস্তানে খতম ভারত বিরোধী মৌলবাদী, অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলিতে করল ঝাঁঝরা

    Pakistan: পাকিস্তানে খতম ভারত বিরোধী মৌলবাদী, অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীরা গুলিতে করল ঝাঁঝরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব অপহরণে পাকিস্তানের আইএসআইকে সাহায্য করার অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের (Pakistan) অন্যতম ধর্মগুরু মুফতি শাহ মীরের বিরুদ্ধে। বালুচিস্তানের তুরবাতে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা তাঁকেই গুলি করে হত্যা করল। জানা গিয়েছে পাকিস্তানের একটি ইসলামী মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জেআইইউ-এফ-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলতেন এই মীর। আরও জানা গিয়েছে,  এই ধর্মগুরু নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    নিয়মিত জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির পরিদর্শনও করতে তিনি (Pakistan)

    বালুচিস্তানের তুরবাতের বাসিন্দা মুফতি শাহ মীর মানব পাচারেও যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র পাচারের কাজেও তিনি যুক্ত ছিলেন। একটি পাক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে মুফতির হত্যা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ কর্তা রশিদ-উর-রহমান জেহরি বলেছেন, ‘‘মুফতি শাহ মীর আজিজ মসজিদের ভিতরে নমাজ পড়ছিলেন। তখন বন্দুকধারীদের এক জন মসজিদে প্রবেশ করে এবং মুফতি বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঝাঁঝরা করে দেয়।’’

    কূলভূষণ যাদবের গ্রেফতারির কাহিনী (Pakistan)

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কূলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাক সেনা। সেসময় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে (Pakistan) ভারত জানিয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে ইরান থেকে অপহরণ করা হয়। তারপর কূলভূষণের বিরুদ্ধে বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের মদত দেওয়ার মতো মিথ্যা গল্প সাজায় পাকিস্তান। মনে করা হয়, কুলভূষণকে অপহরণে বড় হাত ছিল মুফতির।

    আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি

    অভিযোগ, আইএসআইয়ের নির্দেশে আফগানিস্তানেও গিয়েছিলেন মুফতি। সেখান থেকে অনেক তথ্য পাক সেনাবাহিনীর কাছে পাচার করেন। বালুচ বিদ্রোহীদের দমনেও নাকি সক্রিয় ছিলেন তিনি। সেই মুফতির মৃত্যুতে পাকিস্তান (Pakistan) জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে একেবারে। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থার মাথাদেরও। ধর্মীয় নেতার উপর কে এমন হামলা চালাল, তা জানতে মাঠে নেমেছে পাক গোয়েন্দারাও।

LinkedIn
Share