Tag: ISL

ISL

  • Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    Mohun Bagan: পর পর দু’বার! দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই আইএসএল লিগ-শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। আর অপেক্ষা নয়, ঘরের মাঠেই সেই লক্ষ্যে সফল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ইনজুরি টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল। আর কোনও অঙ্ক নয়। মোহনবাগান লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) ধরে রাখল। আইএসএলে টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের। এর আগে কোনও টিমের এই কৃতিত্ব ছিল না। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ-শিল্ড জিতলেও এখনই তা পাচ্ছে না মোহনবাগান। ৮ মার্চ যুবভারতীতে নিজেদের শেষ ম্যাচে শিল্ড তুলবে তারা।

    পেত্রাতোসের গোলেই জয়

    সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মোহনবাগান (Mohun Bagan) জনতার নয়নের মণি। গত মরসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু এবার চোট পাওয়ার পরে গোল পাচ্ছিলেন না। চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিল না। সেই পেত্রাতোসের গোলেই লিগ-শিল্ড জিতল মোহনবাগান। এদিন খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েক বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় মোহনবাগান। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না ম্যাকলারেনরা। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। অবশেষে ৯৩ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করে সোজা গ্যালারির কাছে ছুটে গেলেন পেত্রাতোস। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে। যে সমর্থকেরা কঠিন সময়ে তাঁর উপর বিশ্বাস রেখেছেন, ভরসা দেখিয়েছেন, সেই জনতার সঙ্গে উল্লাস করলেন। দেখা গেল পেত্রাতোসের পরিচিত ‘স্টেনগান’ সেলিব্রেশন। গোটা দল তখন উচ্ছ্বাসে ব্যস্ত। পেত্রাতোসের গোলের পর মাঠে নেমে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোচ হোসে মোলিনাও। তাঁর কাছেও এটা ছিল পরীক্ষা।

    এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য

    এ মরসুমে শুরুর দিকে অস্বস্তিতে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কোচ বদল হয়। হোসে মোলিনা দায়িত্ব নিয়ে আগে রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার দিকে নজর দেন। তাঁর লক্ষ্য সফল হয়েছিল। টানা জয়ের মাঝেও বেশ কিছু ড্রয়ে অস্বস্তি বেড়েছিল। আবারও ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। অবশেষে একটা লক্ষ্য পূরণ। টানা দ্বিতীয় বার আইএসএলে লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) জয়। এই প্রথম বার আইএসএলের ইতিহাসে কোনও দল ৫০-এর বেশি পয়েন্ট পেল। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি বাগানের। কাজও বাকি। এবার একসঙ্গে দুটো ট্রফি জেতাতেই নজর সবু-মেরুন সমর্থকদের। গত সংস্করণে আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতলেও নকআউট ট্রফি আসেনি। এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য মোহনবাগানের।

  • India’s Sports Industry: উন্নতির জোয়ার! ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে ভারতের ক্রীড়া শিল্প

    India’s Sports Industry: উন্নতির জোয়ার! ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে ভারতের ক্রীড়া শিল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট থেকে ফুটবল, হকি থেকে কাবাডি, তীরন্দাজি, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, দাবা ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারত (India’s Sports Industry) এখন উল্লেখযোগ্য নাম। মোদি সরকারের হাত ধরে ক্রিকেট-ফুটবলের বাইরেও ছোট বড় অন্য নানা খেলার উন্নতি ঘটেছে। ভারতের ক্রীড়া শিল্প ২০২৩ সালে ৫২ বিলিয়ন (৫ হাজার ২০০ কোটি) ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৩০ বিলিয়ন (১৩ হাজার কোটি) ডলারে উন্নীত হতে চলেছে। সম্প্রতি গুগলের একটি গবেষণায় এই ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমে ক্রিকেট-ফুটবল ছাড়াও নানা খেলার দিকে আগ্রহ বাড়ছে। যা বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিচ্ছে।

    ভারতে খেলাধুলার ইতিহাস

    খেলাধুলা (India’s Sports Industry) সব সময়ই মানবজাতির বিকাশ ঘটায়। জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের অনুভূতি তৈরি করে। পাশাপাশি, একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য শৃঙ্খলা ও নেতৃত্ব দানের ক্ষমতার বিকাশ ঘটায়। ভারতের খেলাধুলার প্রচলন শুরু হয় সিন্ধু সভ্যতার যুগে অর্থাৎ আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে। সেই যুগের পাওয়া বিভিন্ন সিলমোহর থেকে প্রাচীন কালে খেলাধুলার চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে প্রাচীন সেই সমস্ত মুদ্রার মধ্যে দাবা, পাশা খেলা, পশু শিকার এবং বক্সিং যা বৈদিক যুগে দেহবাদ নামে পরিচিত ছিল। এই সমস্ত খেলার নিদর্শন পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতেও পাশা খেলার উল্লেখ রয়েছে। এই প্রাচীন কাব্যগ্রন্থ গুলিতে আরও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কসরত দৌড়, তীরন্দাজ, ঘোড়দৌড়, সামরিক কৌশল, ভারোত্তোলন, শিকার, সাঁতার এবং বল খেলার উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে উপলব্ধি করা যায় যে সেই সময়ে এই খেলাগুলি যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল। মধ্যযুগীয় কালে নালন্দা তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পেহেলওয়ানী অর্থাৎ কুস্তি প্রচলন হয়। এমনকী, মনে করা হয় সাপ লুডো, তাস খেলা, কুস্তি, পোলো, তীরন্দাজি সব খেলাগুলির উৎপত্তি হয় ভারতে। পরবর্তীকালে তা বিদেশে প্রেরণ করা হয় সেখান থেকেই তাদের আধুনিকীকরণ ঘটে।

    গুগলের গবেষণা

    গুগল ইন্ডিয়ার তরফে রোমা দত্ত চৌবে বলেন, “এটি ভারতের খেলাধুলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। আমরা মাল্টি-স্পোর্ট ফ্যানডমের বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং ভারতের ক্রীড়া অনুরাগীদের বৃহত্তম অংশের প্রতিনিধিত্বকারী জেনারেশন জেডের (জেন জি) গভীর সম্পৃক্ততা প্রত্যক্ষ করছি৷ এই প্রবণতাগুলি ব্যবসার জন্য উদ্ভাবন, উৎসাহী অনুরাগীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং বাস্তুতন্ত্র জুড়ে বৃদ্ধির জন্য অনন্য সুযোগ উপস্থাপন করে।” 

    বৈচিত্র্যময় ক্রীড়া সংস্কৃতি

    ভারতে খেলার জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে রোমা জানান, ৭০ শতাংশ ভারতীয় ক্রিকেট খেলা পছন্দ করেন। তাঁদের মধ্যে আবার অনেকে অন্য খেলার প্রতিও আকৃষ্ট। ভারতে (India’s Sports Industry) অধিকাংশ মানুষ খেলার প্রতি আকৃষ্ট। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এখন ছোট ছোট খেলাগুলোকেও প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা করছে। অধিকাংশ ভারতীয় এখন ২০ শতাংশ বেশি সময় ব্যয় করে নন-লাইভ (রেকর্ডেড) সম্প্রচার যেমন হাইলাইটস এবং শর্ট-ফর্ম ভিডিওতেও খেলা দেখেন। এর ফলে জিডিপি বাড়ছে। 

    অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি

    গবেষণা বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতে ১ কোটির বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বাড়বে রাজস্বের হারও। ২০৩০ সালের মধ্যে ২১০০ কোটি ডলার পরোক্ষ কর রাজস্ব উৎপন্ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্রীড়া সামগ্রী এবং পোশাকের বাজার দ্বিগুণ ৫৮০০ কোটি ডলার হবে, যা ফিটনেস-সচেতন জনসংখ্যার দ্বারা চালিত হবে এবং পছন্দের দলগুলির পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। 

    আরও পড়ুন: ভারত-জাপান বিশেষ প্রতিরক্ষা-চুক্তি, নৌসেনার রণতরীগুলিতে বসবে ‘স্টেলথ’ মাস্তুল

    আইপিএলের প্রভাব

    ভারতীয় ক্রিকেটে মিলিয়ন ডলার ক্রিকেট লিগ নামে পরিচিত আইপিএল। এই লিগের এতটাই জৌলুশ এবং বিশ্বব্যাপি দাপট যে বহুদেশই ওই সময় ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেন আইপিএলে খেলতে, শুধু তাই নয়। ক্রিকেটারদের তাঁরা জাতীয় দলেও রাখেন না। ২০২৩ সালে আইপিএল থেকে আয়ের অঙ্ক ছিল ৫১২০ কোটি টাকা। এর আগে বছর পর অর্থাৎ ২০২২ সালের আইপিএলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই লিগ থেকে আয় করেছিল ২৩৬৭ কোটি টাকা, অর্থাৎ এক বছরে ২০২৩ সালে আয়ের শতাংশ ১১৬ গুন বৃদ্ধি পায়। আইপিএল ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রে সম্প্রচার অধিকার এবং স্পনসরশিপ আয়ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) একাই বছরে ১২০ কোটি ডলার উপার্জন করছে।  আইপিএল-এর সাফল্য দেখে ধীরে ধীরে ভারতে চালু হয়েছে ফুটবল লিগ আইএসএল, খেলো কাবাডির মতো টুর্নামেন্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: ডার্বির উন্মাদনার কাছে ফিকে বিশ্বকাপও! গোল করে আপ্লুত সবুজ-মেরুনের ম্যাকলারেন

    ISL Kolkata Derby: ডার্বির উন্মাদনার কাছে ফিকে বিশ্বকাপও! গোল করে আপ্লুত সবুজ-মেরুনের ম্যাকলারেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ (ISL Kolkata Derby) খেলার অনুভূতি আলাদা কিন্তু ডার্বির উন্মাদনা সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়। আইএসএল ডার্বি জয়ের পর এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এখনও অবধি দুটো ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দুটো ম্যাচেই গোল। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেনকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে গোল করতে পেরে আপ্লুত ম্যাকলারেনও। তাঁকে নিয়ে মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্টও উচ্ছ্বসিত। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল টেবলে আপাতত দু’নম্বরে উঠে এসেছে  মোহনবাগান (Mohun Bagan super Giant)।

    কী বললেন ম্যাকলারেন

    ডুরান্ড ডার্বি (ISL Kolkata Derby) বাতিল হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আইএসএলে মরসুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে। বড় ম্যাচ সব সময়ই নায়কের জন্ম দেয়। প্রথম বার কলকাতা ডার্বিতে নেমেছিলেন ম্যাকলারেন। আর প্রথম বড় ম্যাচেই গোল। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বড় ম্যাচের অন্যতম নায়ক অজি বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলারেন বলছেন, ‘বিশ্বকাপে খেলেছি। এ ছাড়াও অনেক বড় ম্যাচেই খেলেছি। কিন্তু এই কলকাতা ডার্বি অসাধারণ। এই ম্যাচে গোল করে সবার সঙ্গে সেলিব্রেশন দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে আরও সেলিব্রেট করতে চেয়েছিলাম। ইচ্ছে করছিল ফেন্সিং টপকে সমর্থকদের মাঝে চলে যাই। তবে এখনও আরও ম্যাচ বাকি আছে। এমন সুযোগ আরও পাব।’

    মোলিনার চালে মাত

    পরপর দুটো ডার্বি (ISL Kolkata Derby) জয়। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগানের (Mohun Bagan super Giant) আইএসএল টেবলে দু’নম্বরে উঠে আসে। এর পিছনে রয়েছে মোহনবাগানের নতুন কোচ মোলিনার ম্যান ম্যানেজমেন্ট নীতি। মোলিনা চার বছর ধরে স্পেনের মতো বিশ্বের সেরা ফুটবল টিমের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের কাজ করায় ম্যান ম্যানেজমেন্টে খুব ভালো। তাই তিনি দ্রুত তিন ব্যাকের বদলে মহামেডান ম্যাচ থেকে চার ব্যাকে টিম সাজানো শুরু করেন। যা তাঁর রক্ষণের ছবিটাকেই বদলে দেয়। দুই ডার্বিতে ক্লিনশিট রেখেছে মোলিনার টিম। তাঁর ম্যান ম্যানেজমেন্ট দক্ষতাতেই টিমের তিন অজি বিশ্বকাপার— ম্যাকালারেন, দিমিত্রি, কামিংসরা রিজার্ভ বেঞ্চে বসলেও টিম স্পিরিটে ধাক্কা খাচ্ছে না। অ্যাটাকে বৈচিত্র্য আনতে স্টুয়ার্টকে ফ্রি ফুটবলার হিসেবে খেলানোটাই মোলিনার বড় চাল। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দাপুটে ফুটবলে মোলিনার মার্কিং নীতিও দারুণভাবে কাজে লেগেছে। তিনি জানতেন, লাল হলুদের দুই মিডফিল্ডার সল ক্রেসপো আর মাদিহ তালাল টিমটাকে চালনা করেন। এই দু’জনেই ক্রমাগত উইংয়ে বল সাপ্লাই করে যান। আর সেই বলেই প্রান্তিক অ্যাটাকে ঝড় তোলেন মহেশ-নন্দরা। মোলিনা তাই শনিবার রাতে ক্রেসপোর পিছনে অনিরুদ্ধ থাপা আর তালালের পিছনে আপুইয়াকে লাগিয়ে দেন। আর তাতেই জারিজুরি শেষ লাল হলুদের মাঝমাঠের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL Kolkata Derby: শনিবার বড় ম্যাচ, প্রস্তুতি তুঙ্গে! ফিরতি লেগে কবে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?

    ISL Kolkata Derby: শনিবার বড় ম্যাচ, প্রস্তুতি তুঙ্গে! ফিরতি লেগে কবে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের কলকাতা ডার্বির অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। শনিবার বড় ম্যাচে মুখোমুখি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর চলতি মরসুমে এখনও অবধি মুখোমুখি হয়নি মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আইএসএলে (ISL) কলকাতা ডার্বির (Kolkata Derby) প্রথম ম্যাচের আগেই জানা গেল, এ মরসুমের দ্বিতীয় বড় ম্যাচের দিনক্ষণ। ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি হবে আইএসএলের এ মরসুমের দ্বিতীয় কলকাতা ডার্বি। ফিরতি লেগে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বড় ম্যাচ।

    দুই দলের প্রস্তুতি

    চলতি আইএসএল-এ মোহনবাগানের পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করলেও অনেকটা গুছিয়ে নিতে পেরেছে তারা। চোট সারিয়ে দলের সঙ্গে পুরোদমে অনুশীলন করছেন আলবার্তো রডরিগেজ। ডার্বির আগে রাগবি বল নিয়ে খেলায় মাতলেন জেমি, দিমিরা। কোচ মোলিনা ছক কষছেন ডার্বি জয়ের। বড় ম্যাচ জিতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চান মোলিনা। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের এ মরসুমে ৪ ম্যাচে ৪টে-তেই হার ইস্টবেঙ্গলের। বড় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প ক্লেটন, ক্রেসপোদের। ডার্বি জিতে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার আশায় সৌভিক, তালালরা।

    পয়েন্ট টেবলে কে কোথায়

    ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ বছরের ৩০ ডিসেম্বরের পরবর্তী আইএসএল সূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চলতি মরসুমে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। তাদের পয়েন্ট ১০। ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পঞ্জাব এফসি। তিনে জামশেদপুর এফসি। ৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে মোহনবাগান। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে মহমেডান। আর ৪টি ম্যাচ খেলে ৪টিতেই হেরে শূন্য ঝুলি লাল-হলুদের। পয়েন্ট টেবলের ১৩ নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anwar Ali: চার মাস নির্বাসিত ফুটবলার আনোয়ার আলি, শাস্তির কবলে ইস্টবেঙ্গলও, কী কারণ?

    Anwar Ali: চার মাস নির্বাসিত ফুটবলার আনোয়ার আলি, শাস্তির কবলে ইস্টবেঙ্গলও, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনোয়ার আলি (Anwar Ali) বিতর্কে জয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। জানা গিয়েছে, ভারতীয় এই ডিফেন্ডারকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। শাস্তি হয়েছে ইস্টবেঙ্গলেরও। আগামী দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডোয় কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না লাল-হলুদ শিবির। এই শাস্তিকে ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে বলা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসিকে দুটো ট্রান্সফার উইন্ডোতে ব্যানের পাশাপাশি, আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। 

    আনোয়ারের দলবদল নিয়ে বিতর্ক

    চলতি মরশুম শুরুর আগে থেকেই আনোয়ারের (Anwar Ali) দলবদল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। দিল্লি এফসি থেকে গত মরশুমে লোনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে সই করেন আনোয়ার আলি। চলতি মরশুমের আগে তিনি ইস্টবেঙ্গলে সই করেন। অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে আনোয়ার আলিকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বার ট্রান্সফার মার্কেট উত্তাল হয়েছিল। বিষয়টি গড়ায় প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি পর্যন্ত। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা ও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল আনোয়ার ও মোহনবাগানের। সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো হয়েছিল, পাঞ্জাবের ফুটবলার যে প্রক্রিয়ায় মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি ভেঙেছেন, তা অনৈতিক। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। 

    আরও পড়ুন: এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দাপটে শুরু! চিনের পর জাপান, হকিতে অপ্রতিরোধ্য ভারত

    আইএসএল-এর প্রথমে নেই আনোয়ার

    ভারতের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলা আনোয়ার (Anwar Ali) ২০২১ থেকে দিল্লি এফসি-র ফুটবলার। তবে লোনে তিনি খেলেন গোয়া এবং মোহনবাগানের হয়ে। এই বছর ইস্টবেঙ্গলে সই করেন আনোয়ার। কিন্তু আপাতত চার মাসের জন্য নির্বাসিত ভারতীয় ডিফেন্ডার। এই ব্যান শুরু হবে আইএসএল-এর আসন্ন মরশুমের প্রথম ম্যাচ থেকে। তবে চাইলে আনোয়ার তাঁর শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করে ফিফার কাছে যেতে পারেন। এ প্রসঙ্গে  আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও আনোয়ার আলিকে। মোট ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে দুই পক্ষকে। এই টাকা পাবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এই বিষয়ে ইস্টবেঙ্গলের ও দিল্লি এফসির কাছে রাস্তা আছে। সূত্রের খবর, লাল হলুদ আইনি পথে হাঁটতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan Super Giant: ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেড মোহনবাগানে, খুশি কোচ মোলিনা

    Mohun Bagan Super Giant: ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেড মোহনবাগানে, খুশি কোচ মোলিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দল গঠনে ফের চমক মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant)। ইংল্যান্ডের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেডকে সই করাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। ২০১৯ থেকে ব্রিসবেন রোয়ার্সের হয়ে খেলেছেন ৩৩ বছরের ফুটবলার। তাঁকে পেয়ে খুশি মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। গতবার মোহনবাগান আইএসএল (ISL Next Season) লিগ শিল্ড জিতেছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার ট্রফিই পাখির চোখ সবুজ-মেরুন কর্তাদের।

    মোহনবাগানে স্বাগত (Mohun Bagan Super Giant)

    টম অ্যালড্রেডকে সই করানোর খবর এক ভিডিয়ো শেয়ার করে জানিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ‘জর্ডনের বিকল্প হিসেবে এই তারকার দিকে নজর লাল-হলুদের।’ একইসঙ্গে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘টম অ্যালড্রেডকে সই করানোর জন্য কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে লড়াইয়ে চলে এসেছে ইস্টবেঙ্গল।’ এরপরই ভিডিয়োতে রয়েছে চমক। টমের বেশ কয়েকটি খেলার ভিডিয়ো দিয়ে শেষে লেখা হয়েছে মোহনবাগানে স্বাগতম। 

    কী বলছেন অ্যালড্রেড

    মোহনবাগানে (Mohun Bagan Super Giant) সই করে খুশি স্কটল্যান্ডের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল খেলা টমও। তাঁর কথায়, ‘‘মোহনবাগানে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। সবুজমেরুন জার্সি পরে খেলা সম্মানের। মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি। বেশ উত্তেজিত লাগছে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। এ বার ভারতে খেলব। ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ক্লাবের ইতিহাস জানি। গত কয়েক বছরের সাফল্যের কথাও জানি। মোহনবাগানের জার্সি গায়ে নিজের সেরাটাই দেব। কঠোর পরিশ্রম করে ক্লাবের আগামী সাফল্যে অবদান রাখতে চাই। সতীর্থদের সাহায্য করতে চাই। সমর্থকদের খুশি দেখতে চাই।’’

    আরও পড়ুন: রোহিতকে ধন্যবাদ, টার্গেট দিলেন কোহলিকে! বিশ্বজয়ের পর আবেগে ভাসলেন দ্রাবিড়

    খুশি মোহন কোচ মোলিনা (Mohun Bagan Super Giant)

    এবার অস্ট্রেলিয়ার এ লিগের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেডকে (Tom Aldred) পেয়ে খুশি মোহনবাগানের (Mohun Bagan Super Giant) নয়া কোচ মোলিনা। তিনি বলেছেন, ‘‘অ্যালড্রেড অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ফুটবলার। আমাদের রক্ষণ শক্তিশালী হবে। সুঠাম চেহারার অ্যালড্রেড শক্তিশালী এবং আগ্রাসী ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। রক্ষণ থেকে খেলা তৈরি করতে দক্ষ। উঁচু বলেও বেশ সাবলীল। টম যে কোনও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISL 2024: ওড়িশার কাছে ২-১ ব্যবধানে হার! আইএসএল ফাইনালে যেতে কী করতে হবে মোহনবাগানকে?

    ISL 2024: ওড়িশার কাছে ২-১ ব্যবধানে হার! আইএসএল ফাইনালে যেতে কী করতে হবে মোহনবাগানকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নের জগত থেকে বাস্তবের মাটিতে ফিরে এল মোহনবাগান। কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস চেয়েছিলেন, ভারতীয় ফুটবলে সবুজ-মেরুন শিবিরের দাপট অক্ষুণ্ণ রাখতে। কিন্তু আইএসএল (ISL 2024) নক আউট পর্যায়ে ওড়িশা এফসি-র কাছে প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ১-২ ব্যবধানে হেরে গেল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা সম্পূর্ণ কাজে লাগাল ওড়িশা। এদিন ওড়িশার হয়ে দুটি গোল করেন কার্লোস ডেলগার্ডো ও রয় কৃষ্ণ।

    ম্যাচে দাপট ওড়িশার

    আইএসএলের (ISL 2024) লিগ পর্বে এই ওড়িশাকে হারাতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। এএফসি কাপে এই ওড়িশার বিরুদ্ধেই গোলের মালা পরতে হয়েছে। এদিন কিন্তু আড়াই মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। আড়াই মিনিটের মাথায় দিমিত্রির তোলা কর্নার কিক থেকে দুর্দান্ত হেডার মনবীরের। ওড়িশার জালে জড়িয়ে গেল বল। এক মুহূর্তে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা ভেবেছিলেন এবার হয়তো ওড়িশার গাঁট কাটাতে পারবেন শুভাশিসরা। কিন্তু সময় গড়াতেই ম্যাচ থেকে ক্রমশ যেন হারিয়ে যেতে থাকে সবুজ মেরুন শিবির। ধাক্কাটা এল ম্যাচের ১১ মিনিটেই। ঠিক যেভাবে মোহনবাগান গোল করেছিল, অনেকটা সেভাবেই গোল করে সমতা ফেরালেন কার্লেস ডেলগার্ডো। সমতা ফেরানোর পর ওড়িশাই যেন ধীরে ধীরে প্রাধান্য বাড়ানো শুরু করে ম্যাচে। ফল মেলে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। এবার মোহনবাগানের একসময়ের ঘরের ছেলে রয় কৃষ্ণই যেন ভিলেন হয়ে উঠলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য। কার্যত একাই হেক্টরকে কাটিয়ে সবুজ-মেরুনের জালে বল জড়িয়ে দিলেন কৃষ্ণ। 

    দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে যায় ওড়িশা। মূলত প্রতিআক্রমণমূলক ফুটবল খেলতে শুরু করেন লোবেরার ছেলেরা। গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সাফল্য পায়নি কোনও দলই। ৬৭ মিনিটে মাথা গরম করে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মোহন স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুকে। ১০ জনের মোহনবাগান আরও চাপে পড়ে যায়। আবার ৭৪ মিনিটে ডেলগার্ডো বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগালে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ফলে দু’দলই ১০ জনে হয়ে যায়। তাতেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি মোহনবাগান।

    ফাইনালে যেতে কী করতে হবে

    ২৮ এপ্রিল প্রথম সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে যুবভারতীতে মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান ও ওড়িশা। আইএসএল-এর (ISL 2024) নিয়ম অনুযায়ী দু’টি লেগের পরে যে দলের গোল সংখ্যা বেশি থাকবে তারা জিতবে। গোল সংখ্যা সমান থাকলে হবে টাইব্রেকার। সেদিন ওড়িশাকে এক গোলের বেশি ব্যবধানে হারাতে পারলেই মোহনবাগান ফাইনাল খেলার যোগ্যতা পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • East Bengal vs Mohun Bagan: ডার্বি জিততে দেশী ফুটবলাররাই ভরসা মোহনবাগানের! সম্মান বাঁচানোর লড়াই ইস্টবেঙ্গলের

    East Bengal vs Mohun Bagan: ডার্বি জিততে দেশী ফুটবলাররাই ভরসা মোহনবাগানের! সম্মান বাঁচানোর লড়াই ইস্টবেঙ্গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলে আজ ডার্বি। মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এফসি ও এটিকে মোহনবাগান। প্লেয়ার থেকে শুরু করে সমর্থকদের মধ্যে ম্যাচের শুরু থেকেই উত্তেজনা চরমে থাকে। টিকিট নিয়ে বিবাদ, সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ, তবু শনিবার যুবভারতীতে ডার্বি ঘিরে সাজ সাজ রব। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মুখোমুখি সাক্ষাতে পাঁচবারই জয় পেয়েছে সবুজ-মেরুন। সব মিলিয়ে টানা সাতবার কলকাতা ডার্বিতে জয় মোহনবাগানের। তবু এধরনের ম্যাচে কাউকেই এগিয়ে রাখা যায় না।

    ৩ বিদেশিকে পাচ্ছে না মোহনবাগান 

    খাতায়-কলমে যদি বিচার করা যায়, তা হলে শনিবারের ম্যাচে সে ভাবে কাউকে এগিয়ে রাখা যাবে না। মোহনবাগান তিন বিদেশিকে পাচ্ছে না। ব্রেন্ডন হ্যামিল কার্ড সমস্যায় খেলতে পারবেন না। হুগো বুমোস এবং কার্ল ম্যাকহিউয়ের চোট রয়েছে। তিন বিদেশিই চলতি মরসুমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। জনি কাউকো চোটের জেরে মরসুম থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। ফলে শনিবার মূলত দেশী ফুটবলারদের হাতেই থাকবে মোহনবাগানকে জেতানোর ভার। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহরা চলতি মরসুমে ছাপ ফেলতে পারেননি। আগের মরসুমের সাফল্য এ বার দেখাতে পারেননি। কিন্তু ডার্বির মতো একটা ম্যাচে সাফল্য পেলে সমর্থকরা অতীতের পারফরম্যান্স ভুলে যেতে সময় নেবেন না। এই দুই ফুটবলারের কাছে অনেক আশা রয়েছে সমর্থকদের। আক্রমণ ভাগে দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং রক্ষণে স্লাভকো দামিয়ানোভিচকেও বাড়তি ভূমিকা নিতে হবে।

    জিততে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল

    ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারানোর কিছু নেই। শেষ ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়েছে তারা, যারা এ বার অপ্রতিরোধ্য ছিল। দু’বার হারিয়েছে বেঙ্গালুরুকে। জেতার মতো খেলেছে অনেক ম্যাচেই। কিন্তু শেষ দিকে মনোযোগ হারানোর কারণে ম্যাচ হারতে হয়েছে। তবে মুম্বইকে হারানো যে তাদের বাড়তি সুবিধা দেবে, এমনটা মনে করছেন না কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। বলেছেন, “ডার্বি বিশেষ ম্যাচ। এখানে কে এগিয়ে বা কে পিছিয়ে, তা দিয়ে কিছু বোঝা যায় না।”

    আরও পড়ুন: আর ক্লান্তি নয়, কয়েক মিনিটের ওয়ার্কআউটেই সুস্থ থাকবে শরীর, মন থাকবে ফুরফুরে

    কড়া নিরাপত্তা

    এবার ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। ফলে তাদের কাছে এবারের ডার্বিটা চ্যালেঞ্জের। কারণ ময়দানে চলছে বয়কটের আবহ। সমর্থকদের একাংশ ডার্বি বয়কটের দাবি করেছেন। যদিও ডার্বি নিয়ে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। ডার্বি নিয়ন্ত্রণ করতে মোট ১৭ জন DC পদমর্যাদার অফিসার, ২৬ জন AC পদমর্যাদার অফিসার, ৪৮ জন ইন্সপেক্টর, ৩২০ জন অফিসার ও বাকি পুলিশকর্মীরা। বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার মিলিয়ে মোট ২ হাজার জন পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। তিনটে মোবাইল ভ্যান, তিনটে HRFS। এছাড়া প্রতিটা গেটে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স এবং একটা বিশেষ নজরদারির ভ্যান। এছাড়াও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তার জন্য।

    টিকিট নিয়ে অসন্তোষ

    টিকিট নিয়ে ইনভেস্টরের প্রতি অসন্তুষ্ট ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ফিরতি ডার্বি আয়োজনের দায়িত্ব ইস্টবেঙ্গলের, সেক্ষেত্রে ইনভেস্টর সংস্থাই সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের ভিভিআইপি এবং ভিআইপি টিকিট পাঠালেও তা যথেষ্ট কম সংখ্যক। ডার্বি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ভিভিআইপি বা ভিআইপি টিকিট নাকি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে সমান বন্টন হয়নি। এই বিষয়ে মোহনবাগান ক্লাবের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, সমস্ত ভিভিআইপি এবং ভিআইপি টিকিট ফেরত দিচ্ছে তারা। আইএফএ-কে মোট ৫০০ টি টিকিট দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সংস্থা। আইএফএ -র তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “৩০০ টিরও বেশি ক্লাব ও জেলা রয়েছে। এত অল্প সংখ্যক টিকিট গভর্নিং বডির সদস্য ও ক্লাবগুলোকে পর্যাপ্ত টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়। টিকিট ম্যাচ আয়োজকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে আইএফএ।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Kolkata Derby:  মোহনবাগানের চাপে, আদালতের হস্তক্ষেপে ডার্বির টিকিটের দাম কমল

    Kolkata Derby:  মোহনবাগানের চাপে, আদালতের হস্তক্ষেপে ডার্বির টিকিটের দাম কমল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডার্বির টিকিটের দাম নিয়ে জটিলতা কাটল। গত বৃহস্পতিবারই ডার্বির (Kolkata Derby) টিকিটের মূল্য বৈষম্য নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। এমনকী মোহন সচিব দেবাশিস দত্ত ম্যাচ বয়কটের দাবি জানিয়েছিলেন। শুক্রবার মোহনবাগানের চাপে রবিবার আইএসএল ডার্বি (ISL 2023-24) ম্যাচের টিকিটের দাম কমাল ইস্টবেঙ্গল।

    আদালতে গিয়ে কাটল জট

    ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। বুকমাইশো অ্যাপে দেখা গিয়েছিল ডার্বিতে (Kolkata Derby) ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান (Mohun Bagan Vs East Bengal) সমর্থকদের গ্যালারির দামে ফারাক অনেকটাই। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য নূন্যতম টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছিল ১০০ টাকা। কিন্তু মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য নূন্যতম টিকিটের দাম ধার্য করা হয়েছিল ২৫০ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণ বেশি দামে মোহনবাগান সমর্থককে টিকিট কিনতে হত। সব বিভাগেই দামের বৈষম্য ছিল। এরপরই মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দেন, তারা ইস্টবেঙ্গলের থেকে ডার্বির কোনও টিকিট কিনবে না। ডার্বি বয়কটের ডাকও দেন তিনি। এরপরই জানা যায়, পাঁচ বাগান সমর্থক নগর দেওয়ানী আদালতে ইস্টবেঙ্গেলর বিরুদ্ধে মামলা করেন। বাগান সমর্থকদের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেখানে বিচারপতি শান্তনু ঝা জানিয়ে দেন দুই দলের সমর্থকের জন্যই একই দামে টিকিট বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ দামের বৈষম্য করা যাবে না।

    আরও পড়ুন: রোহিত-শুভমনের শতরান, সরফরাজ-পাড়িক্কলের ঝোড়ো ইনিংস, ২৫৫ রানের লিড ভারতের

    ভরা গ্যালারির অপেক্ষায় কলকাতা

    মোহনবাগানের চাপে পড়েই লাল হলুদ কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম নামী কর্তা দেবব্রত সরকার বিবৃতি দেন, এটা সত্যিই ভুল হয়েছে। ডার্বিতে (Kolkata Derby) এমন টিকিটের বৈষম্য ঠিক নয়। আদতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের আধিকারিকরাই টিকিটের দাম ঠিক করেছিলেন। তাতে লাল হলুদ গ্যালারির দ্বিগুণ দাম করা হয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Vs East Bengal) গ্যালারির ক্ষেত্রে। এখন একই দামের টিকিট কেটেই মাঠে যেতে পারবেন সবুজ মেরুন সমর্থকরা। শুরু থেকেই রবিবার কলকাতা ডার্বি ঘিরে সমস্যা চলছিল। সেদিনই শাসক দল তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। ফলে নিরাপত্তা জনিত কারণে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ম্যাচ আয়োজনের ছাড়পত্র দিচ্ছিল না। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বারংবার বৈঠক করেন পুলিশের সঙ্গে। তারপরই সময় পরিবর্তন করে এই ম্যাচ আয়োজনের ছাড়পত্র দেয় পুলিশ। সেই জটিলতা কাটতে শুরু হয় টিকিট নিয়ে সমস্যা। এখন অবশ্য আর খুব একটা সমস্যা রইল না। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ভরা গ্যালারিতে ডার্বি দেখার অপেক্ষায় কলকাতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISL 2023-24: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়, আইএসএলে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল

    ISL 2023-24: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়, আইএসএলে প্লে-অফের আশা টিকিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। সোমবার ঘরের মাঠে তারা হারিয়ে দিল চেন্নাইয়িন এফসি-কে। ১-০ ব্যবধানে জিতে আইএসএলে প্লে-অফে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন চেন্নাইয়েরই ভূমিপুত্র নন্দকুমার। আইএসএলের প্রথম ছয়ে থাকাই লক্ষ্য কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের। এই ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল তালিকায় আটে চলে এল বেঙ্গালুরুকে টপকে।

    আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ

    শেষ ম্যাচে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ৮১ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও ২-১ ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। যার ফলে প্লে অফে যাওযার পথে জোর ধাক্কা খেতে হয়েছিল কার্লোস কুয়াদ্রাতের দলকে। সেই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুটা ঘুড়ে দাঁড়াল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চলে খেলা। ম্যাচর শুরুতেই ফ্রি কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ক্লেইটন গোলের মুখ খুলতে পারেননি। এরপরও ক্লেইটন, নন্দকুমার, ফোর্বসরা কয়েকবার গোলের কাছে চলে গিয়েছিল। সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণে ওঠে ফারুক-সাংওয়ানরা। কিন্তু লাল-হলুদ রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোল শূন্যভাবে।

    জিততেই হত ইস্টবেঙ্গলকে

    দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি বদল ইস্টবেঙ্গলের খেলায় পরিবর্তন আনে। কোচ নামান নিশু কুমারের বদলে মন্দার রাও দেশাইকে। ফেলিসিও ব্রাউনের জায়গায় নামলেন বিষ্ণু। রাকিপের পরিবর্তে নবাগত প্যান্টিচ। তাতেই আরও আক্রমণ করেছে নন্দকুমার, সিলভারা। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে একাধিক গোলে জিতলে কোচ ও ফুটবলাররাও আরও খুশিতে থাকতেন। কিন্তু গোল মিস করার প্রবণতা ও আসল সময়ে রক্ষণে কাঁপন কোচকে বাকি ম্যাচেও চিন্তায় রাখবে। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে ইস্টবেঙ্গলকে এই ম্যাচে জিততেই হত। কারণ এর পরে টানা চারটি কঠিন ম্যাচ খেলতে চলেছে তারা। ওড়িশা, গোয়া, মোহনবাগান এবং কেরলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে। লিগের পয়েন্ট তালিকায় প্রথম পাঁচের মধ্যে রয়েছে সবক’টি দল। এর মধ্যে মোহনবাগান বাদে বাকি সবক’টি বাইরের মাঠে খেলতে হবে লাল-হলুদকে। ফলে সবই কঠিন লড়াই। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয় কিছুটা হলেও উদ্বুদ্ধ করবে লাল-হলুদ শিবিরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share