Tag: ISL 2022-23

ISL 2022-23

  • ISL 2022-23: আইএসএলে বিতর্ক! বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ল কেরল

    ISL 2022-23: আইএসএলে বিতর্ক! বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ল কেরল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএলের প্রথম নকআউটে এক্সট্রা টাইম খেলা চলাকালীন দল তুলে নিল কেরল ব্লাস্টার্স। অভিযোগ, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই ফ্রিকিক থেকে শট নেন সুনীল ছেত্রী। সেই গোলে বেঙ্গালুরু এফসি এগিয়ে যেতেই মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কেরলের ক্ষুব্ধ ফুটবলাররা। যদিও সেই বিতর্কিত গোলেই সুনীলরা পৌঁছে গিয়েছেন প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে।

    আইএসএলে বিতর্ক

    শুক্রবার বেঙ্গালুরু এবং কেরলের মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রথম নকআউট ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের ৯৭ মিনিটে বক্সের বাইরে সুনীলকে কেরলের এক ফুটবলার ফাউল করায় ফ্রিকিক দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। কেরলের গোলরক্ষক, ফুটবলাররা প্রস্তুত হওয়ার আগেই শট মারেন সুনীল। রেফারিও গোল দিয়ে দেন। কেরলের ফুটবলাররা অভিযোগ করেন, রেফারি বাঁশি বাজানোর আগেই সুনীল শট নিয়েছেন। তাঁরা প্রস্তুত ছিলেন না। তাই গোল বাতিল করতে হবে। কিন্তু তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি। শুরু হয় বচসা। রেফারিকে ঘিরে ধরে প্রতিবাদ করেন কেরল ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করায় কোচ ইভান ভুকোমানভিচের নির্দেশে মাঠ ছাড়েন কেরল ফুটবলাররা।

    এই ঘটনায় বিস্মিত সুনীল ছেত্রী। দল আইএসএলের সেমিফাইনালে ওঠায় খুশি হলেও ভারতের ফুটবল অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন এমন ঘটনা কখনও দেখেননি। সুনীল বলেন, ‘‘২২ বছরের ফুটবলজীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখিনি। আমি সব সময় রেফারির সিদ্ধান্ত মেনে চলেছি। ওটা একটা তিক্ত এবং মিষ্টি মুহূর্ত ছিল। আমরা সেমিফাইনালে উঠতে পারায় আমি খুশি।’’ আইএসএলের ইতিহাসে কখনও ওয়াক ওভার দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। কেরল প্রথম দল হিসাবে রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যাচ ছেড়ে দিল। এর আগে ২০১৫ সালের আইএসএলে একটি ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এফসি গোয়া খেলার শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বয়কট করেছিলেন। কিন্তু, ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার মতো ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস! সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ‘ভার’ প্রযুক্তি

    ফুটবলের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ ফাউলের ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি খেলা শুরু করার জন্য রেফারির বাঁশির অপেক্ষা না করেও ফ্রিকিক নেওয়া যায়। তবে, রেফারি কাউকে কার্ড দেখালে তাঁর বাঁশির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সুনীলকে ফাউলের ক্ষেত্রে রেফারি কাউকে কার্ড দেখাননি। তাই এই গোল বৈধ।  যদিও কেরল শিবির এই যুক্তি মানতে চায়নি। কেরল দল তুলে নেওয়ার পর ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে বেঙ্গালুরুকে জয়ী ঘোষণা করেন রেফারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Atk Mohun Bagan vs East Bengal: ফের ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সবুজমেরুন সমর্থকরা

    Atk Mohun Bagan vs East Bengal: ফের ২-০ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন সবুজমেরুন সমর্থকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই নিয়ে টানা সপ্তম ডার্বি ম্যাচ (Derby match) হারলেন ইস্টবেঙ্গল দল। ২-০ গোলে জিতল মোহনবাগান (Mohun Bagan), এ বারও ভাগ্য ফিরল না ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। এবারের ডার্বি যে একতরফা হবে না তা নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন। কিন্তু  তা সত্ত্বেও অনেক বিশেষজ্ঞ এবছরের আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা যে ভুল ছিল না, প্রমাণ করে দিল সবুজমেরুণ ফুটবলাররা।
    দু’মাস আগেও অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের ডার্বি ম্যাচে (Derby match) কিছুতেই ভাগ্য বদল হচ্ছে না লাল হলুদের।
    প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের হার দেখে অনেক সমর্থকই শাপশাপান্ত করছিলেন কোচ জুয়ান ফেরান্দোকে। কেন তিনি রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসকে ছেড়ে দিলেন? গোল করবেন কে? শনিবারের পর থেকে মনে হয় না সেই আওয়াজ আর উঠবে। ফেরান্দো বার বার বলেছেন, তাঁর দলে গোল করার লোক অনেক।
    আজকের ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল মোহনবাগানের (East Bengal Vs MohunBagan)। প্রথম ১৫ মিনিট আক্রমণে ঝড় তুলেছিলেন হুগো বুমোসরা। ৫ মিনিটে প্রথম গোল করার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে। বাঁদিক থেকে ঢুকে মাপা মাইনাস করেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।ওভারল্যাপে উঠে আসা শুভাশিসের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর রক্ষণাত্মক মানসিকতা ঝেড়ে ফেলে আক্রমণে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল। ১৫ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত লালহলুদ। বাঁদিক থেকে মহেশ সিং বাঁদিক থেকে মাপা সেন্টার করেন। শরীর বাঁকিয়ে দুরন্ত হেড করেন সেমবই হাওকিপ। বল গোলে ঢোকার মুখে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ। ২৩ মিনিটে জর্ডনকে নিজেদের বক্সের মধ্যে ফেলে দেন এটিকে মোহনবাগানের আশিস রাই। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন জর্ডন। রেফারি শ্রীকৃষ্ণ কর্ণপাত করেননি।
    ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোল করার সুযোগ এসেছিল এটিকে মোহনবাগানের সামনে (East Bengal Vs MohunBagan)। হুগো বুমোস বক্সের মধ্যে তিনজনকে ড্রিবল করেও গোলে রাখতে পারেননি। ৪২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ক্লেইটন সিলভাকে ফেলে দেন প্রীতম কোটাল। ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পেতে পারত। রেফারি আবার এড়িয়ে যান। ৪৫ মিনিটে হুগো বুমোস একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের হাতে চলে যায়। গোলের জন্য জুয়ান ফেরান্দোর অন্যতম ভরসা ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। প্রথমার্ধে একেবারেই নিস্প্রভ ছিলেন সবুজমেরুণের এই স্ট্রাইকার। তাঁকে বল ধরার সুযোগ দিচ্ছিলেন না জর্ডন ডোহার্টি। ফলে সবুজমেরুণের গোলও আসেনি।

    [tw]


    [/tw]

    দ্বিতীয়ার্ধে পুরো অন্য ছবি। শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এটিকে মোহনবাগান (East Bengal Vs MohunBagan)। হুগো বুমোসের নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। এরই মাঝে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কমলজিতের ভুলে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ৫৬ মিনিটে অবশেষে সেই কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে অনেকটা এগিয়ে যান হুগো বুমোস। কিরিয়াকু বাধা দিতে এগিয়ে যাননি। ফলে বিনা বাধায় এগিয়ে গিয়ে শট নেন হুগো বুমো। বল কমলজিতের সামনে ড্রপ খেয়ে হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়।

    এগিয়ে গিয়ে মনোবল বেড়ে যায় এটিকে মোহবাগান ফুটবলারদের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় (East Bengal Vs MohunBagan)। ৬৫ মিনিটে পেত্রাতোসের সঙ্গে ওয়াল খেলে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন হুগো বুমোস। একজন লালহলুদ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে মনবীরের কাছে যায়। তাঁর শট আর এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়। পরের দিকে অ্যালেক্স লিমা, এলিয়ান্দ্রোকে নামিয়েও কাজের কাজ হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের কাছে একটাই সান্তনা ম্যাচের ইনজুরি সময়ে তুহিন দাসের একটা শট পোস্টে লাগা। যা এটিকে মোহনবাগানে গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে লেগে বল পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়।

    এ দিন ইস্টবেঙ্গল বনাম এটিকে মোহনবাগান ম্যাচ (East Bengal Vs MohunBagan) শুরু হয় সন্ধে ৭.৫০ মিনিটে। ২০ মিনিট পিছিয়ে যায় ম্যাচ। হায়দরাবাদ বনাম গোয়া ম্যাচে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ার কারণে ম্যাচটি বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। এই ম্যাচে দেরিতে শেষ হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ডার্বিও শুরু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। সম্প্রচারের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share