মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে প্রয়োজন ছিল একটি জয়। আর অপেক্ষা নয়, ঘরের মাঠেই সেই লক্ষ্যে সফল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ইনজুরি টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোল। আর কোনও অঙ্ক নয়। মোহনবাগান লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) ধরে রাখল। আইএসএলে টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের ইতিহাস মোহনবাগানের। এর আগে কোনও টিমের এই কৃতিত্ব ছিল না। ২২ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ-শিল্ড জিতলেও এখনই তা পাচ্ছে না মোহনবাগান। ৮ মার্চ যুবভারতীতে নিজেদের শেষ ম্যাচে শিল্ড তুলবে তারা।
পেত্রাতোসের গোলেই জয়
সেই দিমিত্রি পেত্রাতোস। মোহনবাগান (Mohun Bagan) জনতার নয়নের মণি। গত মরসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু এবার চোট পাওয়ার পরে গোল পাচ্ছিলেন না। চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিল না। সেই পেত্রাতোসের গোলেই লিগ-শিল্ড জিতল মোহনবাগান। এদিন খেলার শুরু থেকেই মোহনবাগান আক্রমণাত্মক ছিল। প্রথমার্ধেই বেশ কয়েক বার গোলের কাছে পৌঁছে যায় মোহনবাগান। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না ম্যাকলারেনরা। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। অবশেষে ৯৩ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করে সোজা গ্যালারির কাছে ছুটে গেলেন পেত্রাতোস। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে। যে সমর্থকেরা কঠিন সময়ে তাঁর উপর বিশ্বাস রেখেছেন, ভরসা দেখিয়েছেন, সেই জনতার সঙ্গে উল্লাস করলেন। দেখা গেল পেত্রাতোসের পরিচিত ‘স্টেনগান’ সেলিব্রেশন। গোটা দল তখন উচ্ছ্বাসে ব্যস্ত। পেত্রাতোসের গোলের পর মাঠে নেমে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন কোচ হোসে মোলিনাও। তাঁর কাছেও এটা ছিল পরীক্ষা।
এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য
এ মরসুমে শুরুর দিকে অস্বস্তিতে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। কোচ বদল হয়। হোসে মোলিনা দায়িত্ব নিয়ে আগে রিজার্ভ বেঞ্চ শক্তিশালী করার দিকে নজর দেন। তাঁর লক্ষ্য সফল হয়েছিল। টানা জয়ের মাঝেও বেশ কিছু ড্রয়ে অস্বস্তি বেড়েছিল। আবারও ঘুরে দাঁড়ায় মোহনবাগান। অবশেষে একটা লক্ষ্য পূরণ। টানা দ্বিতীয় বার আইএসএলে লিগ-শিল্ড (ISL League Shield Champion) জয়। এই প্রথম বার আইএসএলের ইতিহাসে কোনও দল ৫০-এর বেশি পয়েন্ট পেল। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি বাগানের। কাজও বাকি। এবার একসঙ্গে দুটো ট্রফি জেতাতেই নজর সবু-মেরুন সমর্থকদের। গত সংস্করণে আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতলেও নকআউট ট্রফি আসেনি। এবার নকআউট ট্রফিই লক্ষ্য মোহনবাগানের।