Tag: Israel Army

Israel Army

  • Israel Hamas Conflict: হামাসের ডেরা থেকে শানি লুক-সহ তিন ইজরায়েলি পণবন্দির দেহ উদ্ধার

    Israel Hamas Conflict: হামাসের ডেরা থেকে শানি লুক-সহ তিন ইজরায়েলি পণবন্দির দেহ উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ গাজায় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কয়েকটি ভূগর্ভস্থ ডেরায় অভিযান চালিয়ে শনিবার তিন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করল ইজরায়েলি (Israel Hamas Conflict) সেনা। উদ্ধার হওয়া তিনটি দেহ শানি লুক, অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ গাজা লাগোয়া এলাকায় নোভা উৎসব চলাকালীন ওই তিন জন-সহ ২৫২জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। সম্ভবত সে দিনই ওই তিনজনকে হত্যা করে দেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। শানি লুকের (Shani Louk) অপহরণের ফুটেজ, তার খুলির একটি টুকরো শনাক্ত করার পর মৃত্যু সম্পর্কে আগেই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। তবে অন্যরা বেঁচে থাকতে পারেন এই আশা ছিল নিহতদের পরিবারের।

    ইজরায়েলের অভিযান

    গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারা বহু ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি হিসাবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। বন্দি করা হয়েছিল ইজরায়েলে থাকা বিদেশিদেরও। কাতারের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের অনেককে মুক্তি দিলেও অনেকেই এখনও বন্দি। গাজ়ায় ইজরায়েলি সেনার ‘গ্রাউন্ড অপারেশনের’ মুখে তাঁদের মানবঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তেল আভিবের অভিযোগ। ইজরায়েলি সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া তিনটি দেহ শানি লুক (Shani Louk) , অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হগারি জানিয়েছেন,দেহগুলো একটি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

    নির্মম হত্যালীলা

    নোভা উৎসব চলাকালীন ইজরায়েলে (Israel Hamas Conflict) হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন। এছাড়া ২৫২ জনকে পণবন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। তাদের মধ্যে ১০৫ জনকে গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতির সময় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত অ্যামিট বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে শানি লুকের (Shani Louk) অপহরণের নির্মম ফুটেজ আগেই ভাইরাল হয়। হামাসের হাতে এখনও প্রায় ১২৫ জন পণবন্দি রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কতজন জীবিত আছেন, তা নিশ্চিত নয়। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শনিবার বলেন, ‘‘এই ঘটনা হৃদয়বিদারক। সমস্ত পণবন্দিকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনব। যাঁরা জীবিত রয়েছেন এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন, সকলকেই।’’

    আরও পড়ুন: ফের গরম, কলকাতার পারদ ছুঁল ৩৮ ডিগ্রি! কবে বৃষ্টি, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কে শানি লুক

    প্রাণ চঞ্চল জার্মান-ইজরায়েলি ট্যাটু শিল্পী ছিলেন শানি লুক (Shani Louk)। নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শানি। ইজরায়েলের (Israel Hamas Conflict) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হগারি জানিয়েছেন, উৎসবের মধ্যে হামাস হামলা চালালে পালানোর চেষ্টা করেন ২৩ বছরের ওই তরুণী। তখনই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ ট্রাকের পিছনে চাপিয়ে টেনে হিঁচড়ে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যাওয়া হয়। অক্টোবরে ওই ঘটনার কয়েক দিন পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে শানির অর্ধনগ্ন দেহটি একটি পিক-আপ ট্রাকের পিছনে ঝুলিয়ে গাজার মধ্য দিয়ে প্যারেড করা হচ্ছে। শানির পরিবার, তাঁর ড্রেডলক এবং স্বতন্ত্র ট্যাটু থেকে তাঁকে শনাক্ত করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলের সেনা (Israel Hamas War)। মঙ্গলবার ভোরে হামাস নিয়ন্ত্রিত এই ভবনের দখল নেয় তেল আভিভ। পরে ভবনের ভেতরে ইজরায়েলের পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ইজরায়েলি সেনা। সেনার গোলান ব্রিগেডের সদস্যদের সেই উল্লাসের ছবি প্রকাশও করেছে নেতানিয়াহুর দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেরা গোলানি ব্রিগেড হামাসের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে।

    হামাসকে উৎখাতের শপথ

    সেনার এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “হামাসকে পুরোপুরি উৎখাত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।” ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, “আমরা গাজাকে দ্রুত হামাসমুক্ত করব। সোমবার আমাদের দখল করা আল-রানতিসি হাসপাতালে ভূগর্ভস্থ ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালাতে হামাস জঙ্গিরা ওই সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল।” প্রসঙ্গত, স্বশাসিত (Israel Hamas War) প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে বছর পনের আগেই গাজায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছিল হামাস। প্রত্যাশিতভাবেই পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করে নিয়েছিল তারা।

    তুমুল লড়াই

    ২৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপে ঢোকে ইজরায়েলি সেনা। তারপর থেকে হামাসের দখলে থাকা একাধিক এলাকার রাশ নেয় তারা। উত্তর গাজায় থাকা হামাসদের বিভিন্ন ঘাঁটিতেও এয়ার স্ট্রাইক চালায় তেল আভিভ। ইজরায়েলকে আঘাত করতে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল হামাস। সেই সব সুড়ঙ্গও দখল করে ইজরায়েলি সেনা। গাজার সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। আম-জনতার ভিড়ে মিশে দক্ষিণে চলে গিয়েছে হামাসের একটা বড় অংশ। তবে এদিন বিনা যুদ্ধে পার্লামেন্ট ভবনের রাশ ছাড়েনি হামাস। দু’ পক্ষে ভীষণ লড়াইয়ের পর জয় পায় ইজরায়েলি সেনা। যে হাসপাতালগুলিকে ওয়ার-রুম হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল হামাস, সেগুলির দখলও ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েলে হামলা (Israel Hamas War) চালায় হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় নিরীহ নাগরিকদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার পরেই পাল্টা আঘাত হানে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন হাজার বারো মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Al Jazeera Reporter: ‘ভুলবশত’ সেনার হাতেই আল–জাজিরা সাংবাদিকের মৃত্যু হতে পারে, স্বীকার করল ইজরায়েল  

    Al Jazeera Reporter: ‘ভুলবশত’ সেনার হাতেই আল–জাজিরা সাংবাদিকের মৃত্যু হতে পারে, স্বীকার করল ইজরায়েল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল সেনার (Israel Army) ‘ভুল করে ছোড়া’ গুলিতে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আল জাজিরার সাংবাদিক (Al Jazeera Reporter) শিরিন আবু আকলেহর (Shireen Abu Akleh)। স্বীকার করে নিল ইজরায়েল প্রশাসন। তবে একে অপরাধ বলে মনে করছে না ইজরায়েল। তাই তদন্ত হবে না। এমনটাও এদিন স্পষ্ট করে তারা।  

    গত ১১ মে একটি শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় গুলি লেগে মৃত্যু হয় সাংবাদিক আবু আকলেহর। গুলিটি চলে ইজরায়েলি সেনার বন্দুক থেকে। ওই সময় সাংবাদিকের ভূমিকায় কর্তব্যরত ছিলেন  আবু আকলেহ। হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে লেখা ছিল প্রেস। তারপরেও গুলি চালায় সেনা। যাকে এখন ‘ভুল’ বলে দায় সারতে চাইছে ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি 

    প্রত্যক্ষদর্শী ও আল জাজিরা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এবং জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও বিভিন্ন সংবাদসংস্থার বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, এক ইজরায়েলি সেনা আবু আকলেহকে গুলি করেছেন।  

    ইজরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছিল। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় সেনা। যদিও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, আকলেহ নিহত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে কোনো ফিলিস্তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি
     
    গতকাল সোমবার ইজরায়েল প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, যে গুলিতে আবু আকলেহ নিহত হয়েছেন, তা কোথা থেকে ছোঁড়া হয়েছিল, তা পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয়। এ ঘটনা নিয়ে বিশদ পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মিলিটারি অ্যাডভোকেট জেনারেল এখানে অপরাধমূলক কোন ঘটনার গন্ধ পান নি। তাই কোনও পুলিশি তদন্ত নিষ্প্রয়োজন। 

    তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে উচ্চপদস্থ এক সেনা আধিকারিক বলেন, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সেনাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি সেনাদের গুলিতেই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে তা অনিচ্ছাকৃত, ভুলবশত হয়েছে।” ইজরায়েল প্রশাসন বার বারই বলে এসেছে, তাদের সেনাদের নিয়ে তারা গর্বিত। সেনারা সবসময় নিয়ম মেনেই কাজ করেন।   

    গতকাল এক বিবৃতিতে ইজরায়েল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আবু আকলেহর পরিবার। বিবৃতিতে বলা হয়, ইজরায়েল সত্যিকে আড়াল করতে চাইছে এবং শিরিন আবু আকলেহর হত্যার দায় এড়াতে চাইছে। এটি প্রত্যাশিত বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, “আমাদের পরিবার এ নিয়ে হতবাক হয়নি। কারণ, ইজরায়েল নিজের অপরাধ নিয়ে যে তদন্ত করতে পারে না, তা জানাই ছিল।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share