Tag: israel hamas war

israel hamas war

  • Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়ে গেল পণ্যবাহী জাহাজ। ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের ওই জাহাজটির আসার কথা ছিল ভারতে। ইজরায়েলের (Israel Hamas War) দাবি, জাহাজটি ছিনতাই করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথি। হুথির পাশাপাশি জাহাজ ছিনতাইয়ের নেপথ্যে রয়েছে ইরানের হাতও।

    ভারতে আসার পথে ছিনতাই 

    ব্রিটেনের একটি সংস্থার মালিকানাধীন জাহাজটি জাপানের একটি সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজে ছিলেন ইউক্রেন, বেলারুশ, মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশের ২৫ জন কর্মী। পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই করার অভিযোগ কবুল করেছে হুথি। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, একটি ইজরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হুথির তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজে থাকা ২৫ জন কর্মীকে ইসলামিক রীতিনীতি ও আদর্শ অনুযায়ী হেফাজতে রাখা হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল?

    ইজরায়েলি (Israel Hamas War) সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইয়েমেনের কাছে হুথিরা একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণ করেছে। জাহাজটি তুরস্ক থেকে ভারতের পথে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে সেটি অপহৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের নাগরিক সেই জাহাজে রয়েছে। তবে এটি ইজরায়েলি জাহাজ নয়।  ইজরায়েলের কোনও নাগরিকও এই জাহাজে ছিলেন না। গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। ঘটনার জেরে ইরানকেও দুষছে ইজরায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সচিবালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের মদতে আন্তর্জাতিক জলপথের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মাথা উঁচু করে ফিরব’, ভারতীয় দলকে ভরসা জোগালেন শুভেন্দু

    গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপের হামাস প্রথম ইহুদি দেশ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায়। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইহুদিদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার জেরে ইজরায়েলের বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এর পরেই পাল্টা আঘাত হানে তেল আভিভ। ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে রেখেছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। সেই হামাসরাই ইজরায়েল আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। হামাসের পাশে দাঁড়ায় হুথিও। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, পরোক্ষে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে ইরানও। হামাস পাশে পেয়েছে তুরস্ককেও। মাসাধিক কাল ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাস। এমতাবস্থায় ছিনতাই করা হল আস্ত একটি জাহাজ। যারা ছিনতাই করল, তারা হামাসের সহযোগী। যুদ্ধের ((Israel Hamas War)) ‘রক্ত’ কতদূর গড়ায়, এখন তাই দেখার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    Israel Hamas War: কেরলের কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, কী বললেন উন্নিথান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস সাংসদের নিশানায় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাজমোহন উন্নিথান হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Hamas War) জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন নেতানিয়াহুকে। তাঁকেই অপরাধী ঠাওরেছেন উন্নিথান। যুদ্ধের জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা উচিত বলেও দাবি করেন কেরলের ওই কংগ্রেস সাংসদ। উন্নিথানের এই মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।

    শনিবার কেরলের কাসারাগোদে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ ও প্যালেস্তাইনের পাশে থাকার বার্তা দিতে আয়োজন করা হয়েছিল সমাবেশের। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উন্নিথান দোষী সাব্যস্ত করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নুরেমবার্গে যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নুরেমবার্গ মডেল লাগু করার সময় এসে গিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংঘর্ষের জন্য বিশ্বের মানুষ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ি বলে মনে করছেন। তাই নেতানিয়াহুর ওপর নরেমবার্গ মডেল প্রয়োগ করা উচিত।” উন্নিথান বলেন, “প্যালেস্তাইন-ইজরায়েল সমস্যা নিয়ে জেনেভা কনভেনশনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি যারা ভঙ্গ করছে, তাদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।” হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে কংগ্রেস যে প্যালেস্তাইনের পাশেই, সেই বার্তাও দিয়েছে কংগ্রেস। ২৩ নভেম্বর কোঝিকোড়ে এনিয়ে একটি সমাবেশ করতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, শুক্রবারই তা প্রকাশ পেয়েছে দিল্লিতে আয়োজিত দ্বিতীয় ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপে অসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধের আবেদনও জানান প্রধানমন্ত্রী। গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর প্রথমে হামলা চালায় হামাস। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলেকে নিশানা করে ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। তারা নৃশংসভাবে খুন করে ইজরায়েলের (Israel Hamas War) নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে নেতানিয়াহুর দেশ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    রাজনৈতিক মহলের মতে, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে মুসলমান ভোট ব্যাঙ্ক যাতে কংগ্রেসের পাশে থাকে, সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধীর দলের ভোট ম্যানেজাররা। উন্নিথানের বক্তব্য সেই পথের দিশারী বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    Israel Hamas War: গাজায় প্রবীণ হামাস নেতার বাড়িতে হানা ইজরায়েলের, কোথায় গেলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পশ্চিমী বিশ্বের চাপের মুখেও হামাসদের (Israel Hamas War) উচিত শিক্ষা দেওয়ার পণ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার জানা গেল, গাজায় ইসমাইল হানিয়ার বাড়িতে আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    ইসমাইলের বাড়িতে হত বৈঠক

    এই ইসমাইল হামাসের প্রবীণ নেতা। ইজরায়েলি সেনার (আইডিএফ) দাবি, ইসমাইলের বাড়িত সন্ত্রাসী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল। এখানেই প্রায়ই বৈঠকে বসত হামাসের প্রবীণ নেতারা। ইজরায়েল হামলার পরিকল্পনা ছকা হত এই বাড়িতেই। ইসমাইলের বাড়িতে হামাস নেতারা বৈঠকে বসলেও, তিনি নিজে থাকেন কাতারে। হামাস জঙ্গিদের এই ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে বুধবার ইজরায়েলি সেনা ব্যবহার করেছিল ফাইটার জেট।

    ইজরায়েলি সেনার ট্যুইট-বার্তা

    এক্স হ্যান্ডেলে ইজরায়েলি সেনা লিখেছে, “আজ রাতে (বুধবার) ১৬২ ডিভিশনের ২১৫ ফায়ার ব্রিগেড ফাইটার জেট নিয়ে ইসমাইল হেনিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়। ইসমাইল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান। তাঁর বাড়িটি সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ছিল। হামাসের প্রবীণ নেতাদের বৈঠক হত এই বাড়িতে।” দিন কয়েক আগেই একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ইসমাইল বলেছিলেন, “আমরা যা করছি, তা যথার্থ। ৭ অক্টোবরের মতো আঘাত আমরা ফের হানব। ইজরায়েলকে (Israel Hamas War) ধ্বংস না করা পর্যন্ত আমরা থামব না। ইজরায়েলের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। আমরা তাদের হামলার শিকার। তাই আমরা যা করছি, তা যথার্থ। আমাদের প্রতিটি আঘাত যথার্থ। আমরা কোনওমতেই পিছু হটব না।”

    ইসমাইলের বয়স ৬০। ২০১৭ সালে তিনি হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। এই পরিচয় ছাড়াও ইসমাইলের অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। ২০০৬ সালে প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। তার জেরে প্রাণ যায় বহু নিরীহ মানুষের। এর পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলি সেনা। ক্রমেই পিছু হঠতে থাকে হামাসের জঙ্গিরা। গাজা স্ট্রিপের উত্তরাংশের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে ফেলেছে ইজরায়েলি সেনা। এখানকার পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করেছে আইডিএফ (Israel Hamas War)।

    আরও পড়ুুন: জয়নগরের পর আমডাঙা! প্রকাশ্যে বোমা মেরে তৃণমূলের প্রধানকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    Israel Hamas War: তুমুল লড়াই, গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলি সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা স্ট্রিপের পার্লামেন্ট ভবনের দখল নিল ইজরায়েলের সেনা (Israel Hamas War)। মঙ্গলবার ভোরে হামাস নিয়ন্ত্রিত এই ভবনের দখল নেয় তেল আভিভ। পরে ভবনের ভেতরে ইজরায়েলের পতাকা নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন ইজরায়েলি সেনা। সেনার গোলান ব্রিগেডের সদস্যদের সেই উল্লাসের ছবি প্রকাশও করেছে নেতানিয়াহুর দেশ। স্থানীয় সময় সোমবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেরা গোলানি ব্রিগেড হামাসের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে।

    হামাসকে উৎখাতের শপথ

    সেনার এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, “হামাসকে পুরোপুরি উৎখাত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।” ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, “আমরা গাজাকে দ্রুত হামাসমুক্ত করব। সোমবার আমাদের দখল করা আল-রানতিসি হাসপাতালে ভূগর্ভস্থ ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালাতে হামাস জঙ্গিরা ওই সব সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিল।” প্রসঙ্গত, স্বশাসিত (Israel Hamas War) প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের নির্বাচনে বছর পনের আগেই গাজায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করেছিল হামাস। প্রত্যাশিতভাবেই পার্লামেন্ট ভবনটিও দখল করে নিয়েছিল তারা।

    তুমুল লড়াই

    ২৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপে ঢোকে ইজরায়েলি সেনা। তারপর থেকে হামাসের দখলে থাকা একাধিক এলাকার রাশ নেয় তারা। উত্তর গাজায় থাকা হামাসদের বিভিন্ন ঘাঁটিতেও এয়ার স্ট্রাইক চালায় তেল আভিভ। ইজরায়েলকে আঘাত করতে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল হামাস। সেই সব সুড়ঙ্গও দখল করে ইজরায়েলি সেনা। গাজার সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। আম-জনতার ভিড়ে মিশে দক্ষিণে চলে গিয়েছে হামাসের একটা বড় অংশ। তবে এদিন বিনা যুদ্ধে পার্লামেন্ট ভবনের রাশ ছাড়েনি হামাস। দু’ পক্ষে ভীষণ লড়াইয়ের পর জয় পায় ইজরায়েলি সেনা। যে হাসপাতালগুলিকে ওয়ার-রুম হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল হামাস, সেগুলির দখলও ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে মেইতেইদের ৯টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েলে হামলা (Israel Hamas War) চালায় হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় নিরীহ নাগরিকদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার পরেই পাল্টা আঘাত হানে ইজরায়েল। দু’ পক্ষের এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন হাজার বারো মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Benjamin Netanyahu: ‘‘হামাস ইজরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তবেই যুদ্ধ থামবে’’, সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    Benjamin Netanyahu: ‘‘হামাস ইজরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তবেই যুদ্ধ থামবে’’, সাফ জানালেন নেতানিয়াহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ অক্টোবর শুরু হয়েছিল। সেই থেকে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel Hamas War)। মাস শেষ হতে চলল। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। আর হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যে এই লড়াই থামবে না, তা ফের একবার স্পষ্ট করে দিল ইজরায়েল। গাজায় সংঘর্ষবিরতির আবেদনের জবাবে এদিন বেঞ্জামিন নেতাহিয়াহু (Benjamin Netanyahu) সাফ জানিয়ে দিলেন, লড়াই থামানোর প্রশ্নই নেই। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মতে, এখন যুদ্ধ থামানোর অর্থ হল হামাসের কাছে মাথা নত করা।

    হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ডাক ইজরায়েলের

    প্রায় একমাস গড়াতে চলল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel Hamas War)। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস। প্যালেস্তেনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের হামলায় অন্তত পক্ষে ১৪০০ ইজরায়েলির মৃত্যু হয়। এই হামলার পরই, হামাসকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার ডাক দেন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। সেই থেকে হামাসের ঘাঁটি গাজায় চলছে ইজরায়েলি প্রত্যাঘাত। অহরহ বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। সেই সঙ্গে গাজায় ঢুকে যুদ্ধ শুরু করেছে ইজরায়েল বাহিনী। যুদ্ধট্যাঙ্ক দিয়ে স্থলাভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস বা সংক্ষেপে আইডিএফ। এই দুয়ের জেরে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত উত্তর গাজা। এখনও পর্যন্ত দুপক্ষের মিলিয়ে ৮ হাজার বেশি সংখ্যর মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহতের সংখ্যাও হাজার হাজার। 

    ‘‘হামাস আত্মসমর্পণ করল তবেই যুদ্ধে ছেদ’’

    এই পরিস্থিতিতে, ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ বিশ্বের একাধিক শান্তিকামী সংগঠন ও দেশ। কিন্তু, এর জবাবে, ইজরায়েল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে যুদ্ধ (Israel Hamas War) বন্ধ করার কোনও প্রশ্নই নেই। যুদ্ধবিরতির আবেদন পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। এদিন নেতানিয়াহু বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না। এখন যুদ্ধবিরতি করার মানে হল হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ করা। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে মনে হবে হামাসের কাছে ইজরায়েলি শক্তি আত্মসমর্পণ করছে।” তাঁর আরও ঘোষণা, “সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা হবে না। এই যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত লড়াই করবে। হামাস যদি ইজরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করে তবেই একমাত্র যুদ্ধবিরতি হতে পারে।”

    এখনও পণবন্দি ২৩০ ইজরায়েলি

    ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী (Benjamin Netanyahu) জানিয়েছেন, এখনও ২৩০ জন ইজরায়েলি পণবন্দি হামাসের কব্জায় রয়েছেন। ওই পণবন্দিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। তাঁদের মুক্তিই হল ইজরায়েলি বাহিনীর প্রাথমিক লক্ষ্য। এর পাশাপাশি, গাজা থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার দায়িত্বও রয়েছে তাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    Israel Hamas War: গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ জাল, হামাসকে রুখতে স্পঞ্জ বোমা বানাচ্ছে ইজরায়েল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলকে ঘায়েল করতে গাজা স্ট্রিপজুড়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Israel Hamas War)। সেই সুড়ঙ্গ-জাল ধরেই ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাসের নৃশংস জঙ্গিরা। হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জালই এবার ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে ইজরায়েল। তেল আভিভের মতে, হামাসের তৈরি এই সুড়ঙ্গ জাল অবরুদ্ধ করতে পারলেই কেল্লাফতে। সেই কারণেই এবার গাজার সুড়ঙ্গে স্পঞ্জ বোমা নিক্ষেপ করতে চলেছে ইজরায়েল। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জোরকদমে স্পঞ্জ বোমা তৈরি করতে শুরু করেছে ইজরায়েল।

    স্পঞ্জ বোমা কী?

    প্রশ্ন হল, স্পঞ্জ বোমা কী? স্পঞ্জ বোমা দেখতে খানিকটা ফেনার মতো। প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে এটি কোনও রাসায়নিকের ফেনা। কিন্তু নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরেই ফেনা পরিণত হয় কঠিন পদার্থে। আসলে দুটি তরল দিয়ে তৈরি এই ফেনা। রাখা থাকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে। লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে প্যাকেটের মধ্যে আলাদা করে রাখা হয় তরল দুটি। নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর ঘটে বিস্ফোরণ। তখনই প্লাস্টিকের প্যাকেট ছিন্ন করে মিশে যায় তরল দুটি। তৈরি হয় ফোম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ফোম। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জমাটও বাঁধতে থাকে দ্রুত। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ।

    রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষা

    গাজা স্ট্রিপে হামাসের (Israel Hamas War) তৈরি সুড়ঙ্গের মুখ এই স্পঞ্জ বোমা দিয়েই অবরুদ্ধ করে দিতে চাইছে ইজরায়েল। সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করতে রাসায়নিক গ্রেনেডের পরীক্ষাও করছে ইজরায়েল। এই জাতীয় গ্রেনেডে কোনও বিস্ফোরক নেই। তবে সুড়ঙ্গ কিংবা গুহামুখ বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয় এই ধরনের বোমা। বছর দুই আগেও গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে থাকা কিছু সুড়ঙ্গমুখ বন্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতীয় গ্রেনেড ব্যবহার করেছিল ইজরায়েল।

    আরও পড়ুুন: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    ইজরায়েলকে পরাস্ত করতে নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে গাজায় এই সুড়ঙ্গ তৈরির ছক কষে হামাস। ২০০৫ সালে যখন ইজরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং তার পরের বছর নির্বাচনে জয়ী হয় হামাস, তার পরেই শুরু হয় সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। এই সুড়ঙ্গগুলিতে রয়েছে বাঙ্কার, স্টোরেজ এবং নানা ধরনের ফাঁদ। সূত্রের খবর, কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এই সুড়ঙ্গ (Israel Hamas War)। গভীরতা ৮০ মিটারের কাছাকাছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas War: প্যারাগ্লাইডারে চেপে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে থাকা হামাস নেতা খতম ইজরায়েলি বায়ুসেনার বোমায়

    Israel Hamas War: প্যারাগ্লাইডারে চেপে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে থাকা হামাস নেতা খতম ইজরায়েলি বায়ুসেনার বোমায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশপথে প্যারাগ্লাইডারে চাপিয়ে ইজরায়েলে জঙ্গি হামলা চালানোর নেপথ্যে থাকা মূল মাথাকে খতম করল ইজরায়েলি সেনা। শনিবার ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস বা আইডিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে গাজায় নির্দিষ্ট জায়গায় আকাশপথে বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। সেই হামলায় খতম হয়েছে প্যালেস্তেনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের আকাশ-বিভাগের মাথা ইসাম আবু রাকবা। আইডিএফ-এর এই তথ্যকে মান্যতা দিয়েছে ইজরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিনবেত। 

    কে এই আবু রাকবা?

    আইডিএফ জানিয়েছে, হামাস বাহিনীর ড্রোন, ইউএভি, প্যারাগ্লাইডার, এরিয়াল ডিটেকশন সিস্টেম ও এয়ার ডিফেন্স পরিচালনার দায়িত্বে ছিল আবু রাকবা। আইডিএফ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর, প্যারাগ্লাইডারে চেপে আকাশপথে জঙ্গিরা দক্ষিণ ইজরায়েলে ঢুকে যে নাশকতামূলক হামলা চালিয়েছিল, তার গোটা পরিকল্পনা করেছিল এই আবু রাকবা। একইসঙ্গে, আইডিএফ-এর বিভিন্ন নজরদারি পোস্টেও ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে আবু রাকবার ওপর। ফলে, তাকে খতম করাটা ইজরায়েলি বাহিনীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আবু রাকবা ছিল ইজরায়েলের অন্যতম টার্গেট। তাকে খতম করা একটা বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছে আইডিএফ। এর আগে, খান ইউনিস অঞ্চলে হামাসের রকেট ডিভিশনের কমান্ডার হাসান আল-আবদুল্লা ইজরায়েলি বায়ুসেনার বোমাবর্ষণে খতম হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছিল আইডিএফ।

    ধ্বংস হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলো

    শুক্রবার রাতে উত্তর গাজায় ইজরায়েলি বায়ুসেনা মুহুর্মুহু অভিযান চালায়। গতকাল রাতে গাজায় আক্রমণ চালায় শতাধিক বোমারু বিমান। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, তাতে হামাসের তৈরি ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই হামলায় বহু হামাস জঙ্গি যেমন একদিকে খতম হয়েছে, তেমনই তাদের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্ক, ভূগর্ভস্থ পরিকাঠামো, জঙ্গি-নেতাদের আত্মগোপনের ডেরা ধ্বংস হয়েছে। ইজরায়েলি হামলার জেরে গাজায় ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেরা বন্ধ। আকাশপথের পাশাপাশি, গাজায় স্থলাভিযানও শুরু করেছে ইজরায়েল। আইডিএফ-এর হাজার হাজার স্থলসেনা, বিশেষ বাহিনী ও যুদ্ধট্যাঙ্ক এখন গাজা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গতকাল, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করেছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্কবাহিনী। পিছিয়ে নেই ইজরায়েলি নৌবাহিনীও। তারাও হামাসের ওপর প্রচণ্ড হামলা চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

    Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে গাজা সংক্রান্ত (Israel Hamas War) প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত রইল ভারত। এই প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ ছিল না। কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সেই কারণেই ভোটদানে বিরত রইল নয়াদিল্লি। তবে রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা ভোট দেওয়ায় সাধারণ সভায় পাশ হয়ে গিয়েছে প্রস্তাবটি। ঘটনাটিকে ‘মানবতার কালো অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।

    ইজরায়েলে হামলা হামাসের

    ২৪ দিন আগে ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামালা চালায় মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। হামাসের নৃশংস আক্রমণে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের বহু মানুষ। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানে তেল আভিভ। জঙ্গিদের উচিত শিক্ষা দিতে গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে অবরোধ করে ইজরায়েল। তার জেরে ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেখানে পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি আনে জর্ডন। প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ না থাকায় ভারত ভোটদানের বিরত ছিল বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। কেবল ভারত নয়, এই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ইংল্যান্ড, ইউক্রেন, কানাডা এবং জাপানের মতো ৪৫টি দেশও।

    কানাডার প্রস্তাব

    প্রস্তাব পেশের সময় কানাডা জানায়, প্রস্তাবের একটি অংশে হামাসের হামলার নিন্দা করা হোক। এর পক্ষে মত দেয় ভারত সহ ৮৭টি দেশ। রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, দুই তৃতীয়াংশ সদস্য পক্ষে না থাকলে সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয় না। এ ক্ষেত্রে সংশোধনী ছাড়াই পেশ হয় প্রস্তাবটি। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধ বিরতির (Israel Hamas War) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ইজরায়েল। তাদের দাবি, ইজরায়েল হামাসকে বিশ্ব থেকে মুছে ফেলতে চায়, যেমনভাবে নাৎসী এবং আইসিসকে খতম করা হয়েছিল।

    শুক্রবার ইউএনএর তরফে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেল থেকে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে স্থায়ী সদস্য জানান, এই সভায় সত্যের কোনও গুরুত্ব নেই। আজকের অধিকাংশ সম্প্রদায়ই দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা আইন মেনে চলা ইজরায়েলকে নয়, বরং নাৎসী বাহিনীর সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছে। যারা সত্যিকারের হিংসা রুখতে আগ্রহী তারা যেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন না জানায়। তিনি জানান, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য হামাসকে (Israel Hamas War) নির্মূল করা হবে।

    আরও পড়ুুন: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    Israel Hamas War: মিসাইল হামলায় উড়ল গাজার হাসপাতাল, হত অন্তত ৫০০, কাঠগড়ায় প্যালেস্তাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিসাইলের হামলায় উড়ে গেল আস্ত একটা হাসপাতাল। চোখের পলকে অকালে প্রয়াত হলেন অন্তত পাঁচশো জন মানুষ। সুস্থ হতে কিংবা রোগীর আত্মীয়-পরিজন হিসেবে যাঁরা এসেছিলেন হাসপাতালে। যুদ্ধের সঙ্গে যাঁদের পরোক্ষভাবেও কোনও সম্পর্কই নেই। গাজার (Israel Hamas War) স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, ইজরায়েলের ছোড়া মিসাইলেই ভেঙে পড়েছে আস্ত হাসপাতালটি।

    অভিযোগ অস্বীকার ইজরায়েলের

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। তাদের দাবি, প্যালেস্তাইনের ছোড়া রকেটের আঘাতেই এই বিপর্যয়। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল অপপ্রচারের মুখোশ। ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে ইজরায়েল জানায়, গাজার হাসপাতালে যে রকেট আছড়ে পড়ে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, তা হামাসের ছোড়া। মিসফায়ার করে ওই রকেট হাসপাতালে গিয়ে পড়ে। দোষ চাপানোর চেষ্টা হয় ইজরায়েলের ওপর।  

    হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ

    দিন দশেকেরও বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ (Israel Hamas War)। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতে হামলা চালায় মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইন। এই প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি হামাসরাই প্রথম হামলা চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ। তার জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

    ইজরায়েল-হামাসের এই সংঘর্ষ থেকে গাজার আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন শতাধিক সাধারণ মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিছু রোগীও। তাঁদের দেখতে এসেছিলেন তাঁদের পরিজনেরা। আচমকাই আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। ভেঙে পড়ে হাসপাতালের একটি বড় অংশ। দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। গাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, মিসাইলের ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৫০০ জনের। এর পরেই শুরু হয়েছে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel Hamas War) মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের পালা। ইজরায়েলের দাবি, যে সময় হাসপাতালটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় প্যালেস্তাইনের জিহাদি সংগঠন রকেট হামলা চালিয়েছিল। কোনও একটি রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়। সেটিই আছড়ে পড়ে গাজার ওই হাসপাতালের ওপর।

    রয়েল ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাসপাতালে রকেট হামলার জন্য ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি সংগঠনই দায়ী। আইডিএফের অপারেশনাল সিস্টেমের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, একগুচ্ছ রকেট ইজরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তা ওই হাসপাতালের ওপর দিয়েই গিয়েছিল। কোনও একটি রকেট আছড়ে পড়েই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।” আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জেনেছি, ইসলামিক জিহাদির এজন্য দায়ি। রকেট হামলা ব্যর্থ হওয়ায়ই ঘটেছে এই বিপর্যয়।”

    আরও পড়ুুন: “গ্রিন প্ল্যানেটের জন্য ব্লু ইকনমিকের দিকে যাচ্ছি”, মেরিটাইম সামিটে বললেন মোদি

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Israel-Hamas War: ইজরায়েলি রকেট হানায় খতম হামাসের শীর্ষ জঙ্গি আয়মান নোফাল

    Israel-Hamas War: ইজরায়েলি রকেট হানায় খতম হামাসের শীর্ষ জঙ্গি আয়মান নোফাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের রকেট হানায় খতম হামাসের শীর্ষ জঙ্গি নেতা আয়মান নোফাল (Israel-Hamas War)। ইজরায়েল সেনা সূত্রে খবর যে এয়ার স্ট্রাইকের ফলেই এই জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছে তারা। আয়মান মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি লেবাননের হেজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর ২ জঙ্গিকেও খতম করতে সক্ষম  হয়েছে ইজারায়েলি সেনা। প্রসঙ্গত, হামাসের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করার পরে লেবাননের হেজবুল্লা ইজরায়েলে আচমকাই হামলা চালায়, পাল্টা প্রত্যাঘাত করতে শুরু করে নেতানিয়াহু প্রশাসন (Israel-Hamas War)।

    খতম হামাসের শীর্ষ জঙ্গি নেতা

    ইজরায়েল প্রশাসন জানিয়েছে যে বিমান হানায় গাজার একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি তারা ধ্বংস করতে পেরেছে। ঠিক এরকম একটি বিমান হানায় খতম হয়েছেন হামাসের কট্টরপন্থী নেতা আয়মান নোফাল। জানা গিয়েছে, আড়াল থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর শেখ আহমেদ ইয়াসিনের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল হামাস। যার পুরো নাম, ‘হারকত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া’ (Israel-Hamas War)। ২০০৪ সালে ইজরায়েলের হানায় নিহত হয় ইয়াসিন। জানা গিয়েছে প্রতিষ্ঠাতা তিনজনের মধ্যে দুজনই মারা গিয়েছেন। জীবিত রয়েছেন একমাত্র জঙ্গি নেতা জহর। তাঁর কিছু কমান্ডার এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আয়মান নোফাল।

    সাধারণ প্যালেস্তাইন নাগরিকদের জন্য ত্রাণ ইজরায়েলের

    ইজরায়েলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে গাজার সাধারণ প্যালেস্তাইন নাগরিক যারা পালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁদের জন্য সুরক্ষিত রুটও ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ঘোষণা করে দিয়েছে। যদিও সেই পথেই বোমাবাজি চালাতে শুরু করে হামাস (Israel-Hamas War)। সাধারণ নাগরিকদের গাড়ির চাবিও কেড়ে নেয় তারা, এমনটাই অভিযোগ হামাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের ঢাল হিসেবে তারা ব্যবহার করছে। প্যালেস্তাইনে এখনও পর্যন্ত তিন হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জখম সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share