Tag: israel hamas war

israel hamas war

  • Israel Hamas War: উড়ে যাচ্ছে হামাসের ছোড়া রকেট, প্রত্যাঘাত ইজরায়েলি বোমার, গাজা-অভিযানের ভিডিও প্রকাশ্যে

    Israel Hamas War: উড়ে যাচ্ছে হামাসের ছোড়া রকেট, প্রত্যাঘাত ইজরায়েলি বোমার, গাজা-অভিযানের ভিডিও প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল গত শনিবার। ৭ অক্টোবর, ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ (স্থানীয় সময়) ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসে হাজার হাজার রকেট (Israel Hamas War)। সেগুলি ছোড়া হয়েছিল সীমান্তের ওপারে জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা থেকে। কাঁটাতার পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে শয়ে শয়ে হামাস জঙ্গি। নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয় শয়ে শয়ে নিরীহ ইজরায়েলিকে। অপহরণ করে পণবন্দি করা হয় আরও শয়ে শয়ে সাধারণ নাগরিককে।

    অষ্টম দিনে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    সেই অতর্কিত জঙ্গি হামলার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। সেই থেকে চলছে দুই যুযুধান পক্ষের রক্তক্ষয়ী লড়াই। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ৭ দিন। আজ আরেক শনিবার। অষ্টম দিনে পড়ল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel Hamas War)। দুপক্ষের এই তীব্র লড়াইয়ে মৃ্তের সংখ্যা ৪ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেশি। সারাক্ষণ চলছে মুহুর্মুহু আক্রমণ। এরই মধ্যে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস বা আইডিএফ।

    ভিডিও প্রকাশ আইডিএফ-এর

    এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমুদ্র তীরবর্তী একটি অংশে একের পর এক রকেট পড়ছে। ইজরায়েল সেনা জানিয়েছে, সমুদ্রসৈকতের কাছের ঘাঁটি থেকে ইজরায়েলি সেনার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে হামাস বাহিনী (Israel Hamas War)। পাল্টা হামাস গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করে চলেছে ইজরায়েলি সেনাও। ইজরায়েলি সেনা লিখেছে, হামাসের ঘাঁটি ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মিসাইল লঞ্চারগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রর হামলা ও পাল্টা হামলায় মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে গোটা এলাকা। গুঁড়িয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ২৪-ঘণ্টার ডেডলাইন…

    এদিকে, গাজায় স্থলপথে অভিযানের প্রস্তুতি প্রায় পাকা করে ফেলেছে ইজরায়েলি সেনা (Israel Hamas War)। ৭ তারিখ থেকে আকাশপথে বোমাবর্ষণ চালাচ্ছিল ইজরায়েলি এয়ার ফোর্স। এবার, স্থলপথে গাজায় ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। ইজরালেয়ের দাবি, পণবন্দিদের খুঁজে বের করতে সব তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে ইজরায়েল। তার আগে, উত্তর গাজায় বসবাসকারী প্রায় ১১ লক্ষ প্যালেস্তেনীয়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজার দক্ষিণে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েল। এর পরই, গাজায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শয়ে শয়ে মানুষ বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে গাজা ছেড়ে পালাচ্ছেন।

     

    শের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • PM Modi: “তামাম বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদের বিপদ”, জি২০ স্পিকার সম্মেলনে বললেন মোদি

    PM Modi: “তামাম বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদের বিপদ”, জি২০ স্পিকার সম্মেলনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জি২০ স্পিকার সম্মেলনে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলের ওপর আঘাত হেনেছে শিয়া মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে চালাচ্ছে ধ্বংসাত্মক হামলা।

    সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু

    প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তেল আভিভও। হামাস-ইজরায়েলের এই যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে প্রায় চার হাজার ইজরায়েলবাসীর। এমতাবস্থায় সন্ত্রাসবাদ যে তামাম বিশ্বের পক্ষে মাথাব্যথার কারণ, তা জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদ কত বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাস যেখানেই ঘটুক না কেন, যে কারণেই ঘটুক না কেন, যেভাবেই ঘটুক না কেন, তা মানবতার শত্রু। সন্ত্রাস দমনে সবাইকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।”

    বসুধৈব কুটুম্বকম 

    ইজরায়েলে হামাসের হানাদারির বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর। তিনি (PM Modi) বলেন, “এটা সকলের উন্নয়ন ও কল্যাণের সময়। বৈশ্বক সঙ্কট কাটিয়ে মানবকেন্দ্রিক চিন্তাধারায় এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পৃথিবীকে এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক আত্মার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। ভারত কয়েক দশক ধরে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসের মুখোমুখি হচ্ছে। এখানে সন্ত্রাসবাদীরা হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। বছর কুড়ি আগে আমাদের সংসদকেও টার্গেট করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সময় সংসদ অধিবেশন চলছিল। সন্ত্রাসবাদীরা সাংসদদের হত্যা করতে চেয়েছিল। এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার মোকাবিলা করে ভারত এখানে পৌঁছেছে।”

    আরও পড়ুুন: তদন্ত করতে পারবেন ইডির অপসারিত অধিকর্তা মিথিলেশ, নির্দেশ বিচারপতি সিনহারই

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আজ যা কিছু ঘটছে, তা থেকে কেউ বাদ পড়েনি। আজ বিশ্ব সঙ্কটের মুখোমুখি। এই সঙ্কটে পূর্ণ বিশ্ব কারও স্বার্থের পক্ষে নয়। মানবতার মুখোমুখি প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির সমাধান করতে পারে না বিভক্ত বিশ্ব। এটি বিশ্বকুম্ভ। শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্বের সময়। এক সঙ্গে চলার এবং এক সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সময়।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আজও ইনকামবেন্ট টেররিজমের আন্তর্জাতিক কনভেনশনে ঐক্যমত্যের জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্ব। বিশ্বের এই মনোভাবের সুযোগ নিচ্ছে মানবতাবাদের শত্রুরা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা কীভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারি, তা নিয়ে বিশ্বের সংসদ ও প্রতিনিধিদের ভাবতে হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas War: হামাসের ডেরায় হানা ইজরায়েলি ‘শায়েতেত ১৩’ কমান্ডোদের, মুক্ত ২৫০ পণবন্দি, খতম ৬০ জঙ্গি

    Israel Hamas War: হামাসের ডেরায় হানা ইজরায়েলি ‘শায়েতেত ১৩’ কমান্ডোদের, মুক্ত ২৫০ পণবন্দি, খতম ৬০ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম সেরা কমান্ডো বাহিনী হল ইজরায়েলের ‘শায়েতেত মতকল’ (Shayetet Matkal)। এদের গঠন করা হয়েছে ব্রিটিশ স্যাস-এর ধাঁচে। এই ‘শায়েতেত মতকল’ বাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট হল ‘শায়েতেত ১৩’ (Shayetet 13)। সম্প্রতি, এই ইউনিট দুর্ধর্ষ একটি কমান্ডো অপারেশন চালিয়ে হামাসের হাতে বন্দি ২৫০ পণবন্দিকে উদ্ধার করে। শুধু তাই নয়, ওই গোপন ডেরায় লুকিয়ে যাকা অন্তত ৬০ হামাস জঙ্গিকে খতম করেছে তারা। অভিযানের সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ ও সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    পর্দার অভিনয় নয়, বাস্তব অভিযান!

    এক ঝলক দেখে মনে হবে যেন কোনও হলিউডি বা হালের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন থ্রিলারের একটি দৃশ্য। আবার কখনও দেখে মনে হবে এ তো কোনও ভিডিও গেম। দেখা যাচ্ছে, একজন সৈনিক এগিয়ে যাচ্ছেন। যা ঘটে চলেছে, তাঁর চোখ দিয়েই দেখছে দুনিয়া। ওই সৈনিকের হাতে ধরা অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেলের ভাইসর এদিক-ওদিক শত্রু খুঁজে বেড়াচ্ছে। আশে-পাশে রয়েছেন ওই সৈনিকের আরও কয়েকজন সহযোদ্ধা। তাঁরা সকলে মিলে একটি বাঙ্কারে অভিযান চালাচ্ছেন। এদিক-ওদিক দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি চলার আওয়াজ আসছে। চিৎকার শোনা যাচ্ছে। এক ঝলকে মনে হবে একেবারে সিনেমার মতো। কিন্তু, গোটা ঘটনা একেবারে বাস্তব। যা ঘটেছে ইজরায়েল-গাজা সীমান্তবর্তী এলাকায়।

    বন্দি উদ্ধারে ডাক ডাক পড়ে ‘শায়েতেত ১৩’ ইউনিটের

    সম্প্রতি, ইজরায়েলি সেনা আইডিএফ এবং সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ একটি ভিডিও পোস্ট করে নিজেদের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে। সেখানে ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি লাইভ অপারেশনের ফুটেজ। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, এটা ইজরায়েলি কমান্ডো (Israeli Commandos) অপারেশন। আইডিএফ স্বীকার করে যে, ওই ভিডিওটি আদতে গত ৭ তারিখের। ঘটনাস্থল গাজা সীমান্ত সংলগ্ন সুফা আউটপোস্ট। খবর ছিল, সীমান্তবর্তী জায়গা থেকে ইজরায়েলিদের অপহরণ করে সেখানেই পণবন্দি করে রেখেছে হামাস বাহিনী। কালক্ষেপ না করে, জঙ্গি নিধন ও বন্দিদের মুক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয় কমান্ডো বাহিনী ‘শায়েতেত মতকল’-কে। এই অভিযানে পাঠানো হয় বাহিনীর ‘শায়েতেত ১৩’ ইউনিটকে। 

    বিশ্বের অন্যতম সেরা কমান্ডো-ইউনিট

    ‘শায়েতেত ১৩’ (Shayetet 13) হল ইজরায়েলি কমাান্ডোদের অন্যতম ক্ষিপ্র, ক্ষুরধার ও তীক্ষ্ণ। এক কথায়, স্পেশাল অপারেশন্সের জন্য বাহিনীর অন্যতম সেরা এই এলিট ইউনিট। পণবন্দি পরিস্থিতি মোকাবিলা এই ইউনিট অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ। অতীতের একাধিক এমনই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ইউনিটের (Israeli Commandos)। ফলে, এমন বাহিনীর সঙ্গে এঁটে উঠকে পারেনি হামাস জঙ্গিরা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর বাঙ্কার থেকে অপহৃত ২৫০ বন্দিকে উদ্ধার করে ইজরায়েলের এই এলিট বাহিনী। শুধু তাই-ই নয়, হামাসের ৬০ সদস্যকে খতমও করেছে তারা।

    খতম ৬০ জঙ্গি, আটক আরও ২৬

    ভিডিও পোস্ট করে ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, সুফা আউটপোস্টের কাছে বাঙ্কারে অভিযান চালিয়ে বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি জঙ্গি নিধন অভিযানও সম্পন্ন করেছে ‘শায়েতেত ১৩’ (Shayetet 13)। এছাড়া, হামাসের সাদার্ন নেভাল ডিভিশনের ডেপুটি কমান্ডার মহম্মদ আবু আলি সহ ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই অভিযান অবশ্য ঠিক কবে হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, ৭ অক্টোবর হামাস এই সুফা সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিয়েছিল। ওই দিনই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারে কমান্ডোদের (Israeli Commandos) নামিয়েছিল ইজরায়েল। একই ভিডিও নিজেদের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে মোসাদও। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    Israel Hamas War: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই দাঁত-নখ বের করছে প্যালেস্তাইনি (Israel Hamas War) জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। কখনও তারা খুন করছে অসহায় শিশুদের। কখনও আবার আচরণ করছে বর্বরোচিত। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন আশদোদের বাসিন্দা ইয়োসি ল্যান্ডাও। ইজরায়েলের এই বাসিন্দা কয়েক দশক ধরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করছেন মৃতদেহ উদ্ধারের। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের সময়ও তিনি উদ্ধার করে চলেছেন লাশ।

    ভয়ঙ্কর দৃশ্য

    বছর পঞ্চান্নর ইয়োসি জানান, প্রতিদিন সাইরেনের শব্দে ঘুম ভাঙে তাঁর। তার পরেই বেরিয়ে পড়েন দেহ উদ্ধারের কাজে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে গিয়ে খুঁজে বেড়ান লাশ। ইয়োসি বলেন, “আমি গাড়ি উল্টে পড়ে থাকতে দেখেছি। রাস্তায় কত মানুষের দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। সেই দৃশ্য ভয়ঙ্কর। সীমান্তের কাছাকাছি সেডেরো শহরে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।” কয়েক দশক ধরে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ করলেও, এবারই ভয়ঙ্করতম ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ইয়োসি। বলেন, “একটা রাস্তায় এত দেহ পড়েছিল যে ১৫ মিনিটের রাস্তা পেরোতে আমাদের সময় লেগেছিল ১১ ঘণ্টা। কারণ আমরা ব্যাগে করে দেহগুলি তুলছিলাম।”

    বর্বরোচিত অভিজ্ঞতার সাক্ষী ইয়োসি

    তবে ইয়োসির বুকে গেঁথে রয়েছে (Israel Hamas War) এক নৃশংশ খুনের ছবি। তিনি বলেন, “একটি বাড়িতে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখি, ছুরি দিয়ে পেট ফালাফালা করে দেওয়া হয়েছে এক মহিলার। সেখানে একটি শিশুও ছিল। মায়ের নাড়ির সঙ্গে তখনও যুক্ত ছিল শিশুটি। শিশুটিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দৃশ্যটি দেখে আমি ঠিক থাকতে পারিনি।” এই যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলের অনেক মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলেও দাবি ইয়োসির। ইয়োসি বলেন, “আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, আমিও বুঝি ছিন্নভিন্ন হয়ে যাব। শুধু আমিই নয়, আমার সঙ্গীরাও।” তিনি বলেন, “দেখলাম, কয়েকজনকে বিষ দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হেনস্থা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে

    গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ। ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে প্রথম হামলা চালায় শিয়া মুসলমানের দেশ প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। ইহুদিদের সবংশে ধ্বংস করতে মরিয়া হামাস। সেই কারণেই তারা এমন বর্বরোচিত আচরণ করছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Hamas War: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে

    Israel Hamas War: রক্তাক্ত শিশুর লাশের পাশেই অর্ধদগ্ধ একরত্তির দেহ, হামাস হামলার নৃশংস ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাশ। এর মধ্যে যেমন তরুণ-তরুণী রয়েছেন, তেমনি রয়েছে মাস কয়েকের শিশুর দেহও। রক্তাক্ত শিশুর লাশের (Israel Hamas War) পাশেই হয়তো কোথাও পড়ে রয়েছে আধপোড়া শিশুর দেহ। এই সব দেহ উদ্ধার করে সৎকারের ব্যবস্থা করছে ইজরায়েলি সেনা। গত কয়েক দিন ধরে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ড থেকে ইজরায়েলের ওপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে হামাসরা। এমনই কিছু মৃত শিশুর বিকৃত দেহের ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে। যে ছবি দেখে স্তম্ভিত তামাম বিশ্ব।

    আচমকা হামলা চালায় হামাসরা

    গত শনিবার ইহুদিদের উৎসবের দিনেই আচমকা হামলা চালায় হামাসরা। কোথাও নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে কোনও শিশুর পিতাকে। কোথাও (Israel Hamas War) আবার খুন করা হয়েছে তার মাকে। আবার কোথাও তরোয়াল দিয়ে চিরে দেওয়া হয়েছে গর্ভবতী মায়ের পেট। ছুরিকাঘাতে বিদ্ধ করা হয়েছে ভ্রুনটিকেও। হামাসদের এই নৃশংস হামলার নিন্দা করেছে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলির একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় মর্মান্তিক ছবিগুলি প্রকাশ করে নেতানিয়াহুর কার্যালয় লিখেছে, “প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে যে ছবিগুলি দেখিয়েছিলেন, তার কয়েকটি এখানে রয়েছে। সতর্কতা: এগুলি হামাস দানবদের খুন করা এবং পুড়িয়ে ফেলা শিশুদের ভয়ঙ্কর ছবি। হামাস অমানবিক। হামাস আর আইএসআইএসে কোনও পার্থক্য নেই।”

    “হামাস আইএসআইএসের থেকেও খারাপ”

    বৃহস্পতিবারই নেতানিয়াহু একটি রক্তমাখা শিশুর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “হামাস আইএসআইএসের থেকেও খারাপ।” এদিকে, নেতানিয়াহু-ব্লিঙ্কেন বৈঠকের পর হয় যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে ব্লিঙ্কেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইজরায়েল শক্তিশালী দেশ হলেও, মার্কিন শক্তি তাদের পাশে রয়েছে। সর্বদা সাহায্য করে। হামাসরা চাইলে মার্কিন সরকার কথাবার্তা বলতে রাজি বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, হামাসরা প্যালেস্তানীয়দের প্রতিনিধিত্ব করে না। প্যালেস্তাইনের যে সব মানুষ (Israel Hamas War) শান্তি চান, মার্কিন প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। স্বাধীনতা, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে সকলেরই।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাস-হামলার নেপথ্যে এরাই! হামাসের কুখ্যাত ‘নুখবা’ কমান্ডোদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Israel Hamas War: সন্ত্রাস-হামলার নেপথ্যে এরাই! হামাসের কুখ্যাত ‘নুখবা’ কমান্ডোদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল

    Israel Hamas War: সন্ত্রাস-হামলার নেপথ্যে এরাই! হামাসের কুখ্যাত ‘নুখবা’ কমান্ডোদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলে অতর্কিত জঙ্গি-হামলার নেপথ্যে ছিল এরাই! বদলা স্বরূপ, হামাসের সেই কুখ্যাত কমান্ডোদের সদর দফতর বোমা মেরে গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েল (Israel Hamas War)। 

    ‘নুখবা’-র ডেরায় বোমাবর্ষণ ইজরায়েলের

    ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর তরফে জানানো হয়েছে, গাজার প্রাণকেন্দ্রে হামাসের কুখ্যাত স্পেশাল ফোর্সের ইউনিট ‘নুখবা’-র ডেরায় অভিযান চালায় ইজরায়েল। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আকাশপথে বোমাবর্ষণ করে হামাসের কমান্ডো-বাহিনীর ঘাঁটি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা (Israel Hamas War)। আইডিএফ-এর আরও দাবি, রাতে গাজায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। সেই অভিযানে হামাসের রাফা নৌবাহিনীর প্রধান আবু শামলা খতম হয়েছে। জানা গিয়েছে, হামাসের নৌ-অস্ত্রাগারের পাশে একটি ডেরায় ছিলেন আবু শামলা। সেখানেই বোমা নিক্ষেপ করা হয়।

    আরও পড়ুন: ভারত চায় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাক ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    ইজরায়েলে হামলার নেপথ্যে কুখ্যাত ‘নুখবা’!

    ‘নুখবা’ হল সিরিয়ার বাছাই করা জঙ্গিদের নিয়ে গঠিত একটি এলিট ফোর্স। শীর্ষস্থানীয় হামাস নেতারা নিজের হাতে ‘নুখবা’-র সদস্যদের বেছে নেয়। অতর্কিত হামলা থেকে শুরু করে খুনজখম, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে অনুপ্রবেশ— এরা সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চালানো থেকে শুরু করে রকেট হানা এবং নিখুঁত লক্ষ্যভেদকারী স্নাইপার— এরা বিভিন্ন অস্ত্র চালনায় পারদর্শী। বর্তমানে এই কমান্ডোরাই হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বলে ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের দাবি।

    আইডিএফ জানিয়েছে, ২০০৭ সালে গাজার দখল নেয় হামাস। তার পর থেকে নিজেদের ‘সেফ প্যাসেজ’ তৈরি করতে গোপনে গাজায় গোপন সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় সুড়ঙ্গ খোঁড়ায় পারদর্শী ‘নুখবা’ বাহিনীকেই (Israel Hamas War)। এবার এই বাহিনীকে দিয়েই সীমান্তে গোপনে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সেখান দিয়ে আচমকা ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করায় হামাস। ইজরায়েলি গোয়েন্দার দাবি, গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্ক এমনভাবে বিস্তৃত যে, প্রত্যেকটি স্কুল বা মসজিদ অথবা কোনও হামাস দফতর— সবার ভেতর দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ পথ তৈরি করা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘অপারেশন অজয়’-এর প্রথম উড়ানে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২১২ জন ভারতীয়

    নিরীহ অপহৃতদের ঢাল বানাচ্ছে হামাস

    গত শনিবার সকালে, ইজরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস জঙ্গিরা। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট এসে আছড়ে পড়ে ইজরায়েলে। আইডিএফ জানিয়েছে, ২০ মিনিটে প্রায় ৫ হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়ে ইজরায়েলে। আয়রন ডোম-এর ফলে, অধিকাংশ মাঝ-আকাশেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাও, অনেকগুলো আছড়ে পড়ে মাটিতে। এর পাশাপাশি, প্যারাগ্লাইডারে চেপে ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করে হামাস জঙ্গিরা (Israel Hamas War)। এছাড়া, সীমান্তে সুড়ঙ্গ কেটে এবং সুমুদ্রপথেও ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামাসের হামলায় ১২০০-র বেশি ইজরায়েলির মৃত্যু হয়। জখম হল ৩ হাজারের বেশি। হত্যালীলা চালানোর পর বহু ইজরায়েলিকে এপার থেকে অপহরণ করে সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় পণবন্দি করে রেখেছে হামাস। তাঁদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি আইডিএফ-এর।

    গাজায় ঢোকার অপেক্ষায় ৩ লক্ষ ইজরায়েলি ফৌজ

    এর পরই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজায় হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলে মুহুর্মুহু আক্রমণ।  ইজরায়েলি সেনার হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। হামাস তাদের হামলার নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’। ইজরায়েলের জবাবি অভিযানের কোডনেম হল ‘অপারেশন সোর্ডস অফ আয়রন’। হামাসের হত্যালীলা রুখতে ইজরায়েলের তরফে ৩ লক্ষ শক্তিশালী বাহিনীকে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে (Israel Hamas War)। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা স্থলপথে গাজায় ঢুকতে তৈরি। কিন্তু, রাজনৈতিক সবুজ সঙ্কেত না মেলায় তারা অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, পৃথিবীর বুকে একটিও হামাস জঙ্গিকে রাখা হবে না। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানান, বায়ুসেনাকেও হামাসের উপরে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: হিংসার আগুনের মাঝে জীবনের জয়গান! ইজরায়েলে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার যমজ শিশু

    Israel Hamas War: হিংসার আগুনের মাঝে জীবনের জয়গান! ইজরায়েলে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার যমজ শিশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধ্বংস যজ্ঞের মধ্যেও প্রাণের স্পন্দন! এ ছবি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েলের। দিন পাঁচেক ধরে কার্যত যুদ্ধ চলছে ইজরায়েল এবং হামাসের (Israel Hamas War)। প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসই প্রথম গাজা ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায় ইজরায়েলে। পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে তেল আভিভ। হামাসের হামলায় ইজরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার হাজারের কাছাকাছি। ইজরায়েলের বাতাসে বারুদের গন্ধ। যত্রতত্র ছড়িয়ে মৃতদেহ। এরই মধ্যে শোনা গেল জীবনের জয়গান।

    শেল্টার হাউসে লুকিয়ে রাখেন যমজ সন্তান

    ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। হামাসরা ইজরায়েলে হামলা চালাতেই মাস দশেকের যমজ সন্তানকে একটি শেল্টার হাউসে লুকিয়ে রাখেন ইজরায়েলের এক তরুণ দম্পতি। এর পরপরই হামাস জঙ্গি বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। হামাসের ছোড়া গোলায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে তাঁদের বাড়িটিও। হামাসের ডেরা গাজার পূর্বে মাইল তিনেক দূরের ওই এলাকায় কার্যত তাণ্ডব চালিয়ে ফিরে যায় হামাস জঙ্গিরা। হিংসার আগুন কিছুটা স্তিমিত হলে প্রাণের খোঁজে এলাকা চষে ফেলে ইজরায়েলি সেনা। তখনই শেল্টার হাউস থেকে ভেসে আসে কান্নার শব্দ। তারাই উদ্ধার করে (Israel Hamas War) যমজ ওই শিশু দুটিকে।

    উদ্ধার অনাথ দু’টি শিশু 

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দম্পতির ছবি পোস্ট করে সাইপ্রাসে ইজরায়েলের ডেপুটি অ্যাম্বাসাডর রোতেম সেগেভ লিখেছেন, “বছর তিরিশের ইটালি ও হাদার বেরডিচেভস্কি একটি শেল্টার হাউসে তাঁদের দশ মাসের যমজ বাচ্চাকে লুকিয়ে রেখেছিল। জঙ্গিরা ইটালি ও হাদারকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। যদিও জঙ্গিদের সঙ্গে শেষতক লড়েছিল ওই দম্পতি।” সেগেভ জানান, বাচ্চা দু’টি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওই শেল্টার হাউসে পড়েছিল। পরে ইজরায়েলি বাহিনী তাদের উদ্ধার করে।

    আরও পড়ুুন: বাটলা হাউস এনকাউন্টারে দোষী সাব্যস্ত আরিজ খানের ফাঁসির সাজা রদ

    মাইক্রোব্লগিং সাইটে তিনি লিখেছেন, “কল্পনা করুন ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্যের। ভীত-সন্ত্রস্ত সেই দম্পতি তাঁদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চেষ্টা করেছিল সন্তান দুটিকে রক্ষা করতে। এই শিশু দু’টি এখন অনাথ হয়ে পড়ল। তাদের এই স্মৃতি যেন আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়ে।” জানা গিয়েছে, বর্তমানে শিশু দু’টি সুস্থ রয়েছে। তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের ঠাকুমার হাতে (Israel Hamas War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: হামাসকে আইসিসের সঙ্গে তুলনা বাইডেনের, ইজরায়েল যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব

    Israel Hamas War: হামাসকে আইসিসের সঙ্গে তুলনা বাইডেনের, ইজরায়েল যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে (Israel Hamas War) এখন তোলপাড় পশ্চিম এশিয়া। সেখানকার আকাশে-বাতাসে এখন বারুদের গন্ধ। চারদিকে ধ্বংসের ছবি। এবার কি সেই যুদ্ধে যোগ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? এই প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সোমবারই ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। আর বুধবার, ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভে পৌঁছল অস্ত্রবোঝাই মার্কিন সামরিক বিমান। জানা যাচ্ছে, এই বিমানে অত্যাধুনিক সামরাস্ত্র রয়েছে, যা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইজরায়েলকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি, হামাসের তথাকথিত মিত্র বলে পরিচিত— লেবানন, সিরিয়া, ইরানের ওপর নজর রাখতে ভূমধ্যসাগরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর একটি আস্ত ফ্লিট। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত মার্কিন বাহিনী। অন্যদিকে, এদিনই ইজরায়েলে পৌঁছচ্ছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সব মিলিয়ে যুদ্ধে মার্কিন ভূমিকা কী হতে চলেছে, সেই নিয়ে তুমুল জল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে।

    হামাস-হামলাকে ‘‘শয়তানের কাজ’’ উল্লেখ বাইডেনের

    শনিবার ভোরবেলা ইজরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস বাহিনী। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা থেকে ইজরায়েলে উড়ে আসে হাজার হাজার রকেট। ইজরায়েলে ঢুকে শতাধিক মানুষকে পণবন্দি করে হামাস জঙ্গিরা। নির্বিচারে হত্যালীলা চালানো হয়। যাতে ১২০০ ইজরায়েলিদের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪ মার্কিন নাগরিকেরও। এর পরই হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলকে (Israel Hamas War) পূর্ণ সহযোগিতার ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। হামাস বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে যে তারা যে ইজরায়েলের পাশে আছে সেই কথা পরিষ্কার করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার হামাসকে জঙ্গি-গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে একাসনে বসান জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস থেকে ইজরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণরূপে শয়তানের কাজ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের রক্তাক্ত হাত, যাদের লক্ষ্যই হল ইহুদিদের হত্যা করা। ইজরায়েলের পাশে আমাদের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।’’

     

    ইজরায়েল পৌঁছল মার্কিন সামরিক বিমান, সাগরে রণতরী 

    এটাই নয়। ইজরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথাও জানিয়ে দেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘আয়রন ডোম যাতে ফের পূর্ণ শক্তি ফিরে পায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে নিজেদের শহর ও শহরবাসীকে রক্ষা করার কাজে ইজরায়েলের অস্ত্রাগারে কোনও টান না পড়ে।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের কিছু পরই ইজরায়েলে পৌঁছে যায় অস্ত্রভর্তি তেল আভিভে পৌঁছে যায় (Israel Hamas War)। বুধবার ভোরে আমেরিকার বিমান দেশের দক্ষিণ প্রান্তে নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে নামে। তাতে প্রচুর পরিমাণ অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে বলে খবর। ইজরায়েলের সহায়তায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন রয়েছে মার্কিন রণতরী। জানা যাচ্ছে, গোটা ফ্লিট নিয়ে মোতায়েন রয়েছে বিমানবাহী রণরতী ইউএসএস জেরাল্ড এস ফোর্ড। রয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমানও। 

    কূটনৈতিক সমর্থন দিতে ইজরায়েলের পথে ব্লিঙ্কেন

    সামরিক সাহায্যের পাশাপাশি, ইজরায়েলকে কূটনৈতিক সমর্থনও জানাচ্ছে আমেরিকা। বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার ইজরায়েলে যেতে পারেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকিন। ইজরায়েলি প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা তাঁর। ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, তিনি ইজরায়েলের পক্ষে মার্কিন সমর্থনের বার্তা নিয়ে আসবেন। নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে ট্যুইট করে মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, ‘‘কাল আমি ইজরায়েলে যাব। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। একইসঙ্গে এই জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে (Israel Hamas War) কীভাবে ইজরায়েলকে সহায়তা করা যায়, তা খতিয়ে দেখা হবে। ইজরায়েলের প্রতি আমাদের সমর্থনে কোনও হেরফের হবে না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: ইজরায়েল সীমান্তে ৪০ শিশুর মুণ্ডচ্ছেদ! হামাস জঙ্গিদের নারকীয় অত্যাচারে স্তম্ভিত বিশ্ব

    Israel Hamas War: ইজরায়েল সীমান্তে ৪০ শিশুর মুণ্ডচ্ছেদ! হামাস জঙ্গিদের নারকীয় অত্যাচারে স্তম্ভিত বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডের কাছে বসবাসকারী কাফর আজা গোষ্ঠীভূক্তদের ওপর হামাসের নারকীয় অত্যাচারের ছবি সামনে এল। এলাকায় ৪০ টি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে বহু শিশুর মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে, বলে খবর। ইজরায়েলের (Israel Hamas War) শান্তিপ্রিয় কাফর আজা গোষ্ঠীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে হামাস। 

    নৃশংস অত্যাচার হামাসের

    ইজরায়েলি (Israel Hamas War) সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কাফর আজা গোষ্ঠীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে হামাস। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগের মেজর জেনারেলন ইতাই ভেরুভ হামাসের এই হামলাকে ‘জেনোসাইড’ বলে উল্লেখ করেছেন। সন্তানহারাদের পরিবারের আর্তনাদে কাফার আজা গোষ্ঠীভূক্তদের মধ্যে শোকের ছায়া। হামাসের এই নারকীয় অত্যাচারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ৭০ জন হামাস জঙ্গি অনুপ্রবেশ করে অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। তখনই তারা গণহত্যা শুরু করে। ছাড়েনি শিশুদেরও। ৪০ টি শিশুর দেহ এই গণহত্যার পর উদ্ধার হয়েছে। 

    সতর্ক ইজরায়েল

    জানা গিয়েছে, কাফার (Israel Hamas War) আজায় যে হামলা চলেছে, তাতে গ্রেনেড ব্যবহার করছে হামাস। কাফর আজা হল, একটি শান্তিপ্রিয় গোষ্ঠী। তবে ওই এলাকায় হামাসের আক্রমণের পর থেকে বহু বাড়ি এখন খালি। এলাকার বহু বাসিন্দা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, যুদ্ধের বলি এখনও পর্যন্ত তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সতর্ক থাকতে হচ্ছে, বুবি ট্র্যাপ নিয়ে। বহু গাড়ি কিম্বা বাড়িকে বিস্ফোরণের হাতিয়ার করে এই ফাঁদ পেতে রাখার সম্ভাবনা থাকছে হামাসের তরফে। 

    আরও পড়ুন: গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার ইজরায়েলি সেনার, এবার ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্ততি?

    আটকে বহু দেশের নাগরিক

    মধ্যপ্রাচ্যে গত শনিবার থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হামাস জঙ্গিদের আক্রমণে। ইজরায়েলের (Israel Hamas War) তরফে জানানো হয়েছে, তারা দেড় হাজার হামাস জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। ইজরায়েল জানিয়েছে, সীমান্তে তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছে। কোনও হামাস জঙ্গি সোমবারের পর থেকে ইজরায়েল সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারেনি, বলেও জানানো হয়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে রয়েছে বহু দেশের নাগরিকরা। প্রায় সাত হাজার কেরালার বাসিন্দা ইজারায়েলে যুদ্ধের কবলে। এই নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে চিঠি লিখেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার ইজরায়েলি সেনার, এবার ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্ততি?

    Israel Hamas War: গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার ইজরায়েলি সেনার, এবার ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্ততি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজা সীমান্তের কাঁটাতার কেটে গত শনিবার ইজরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছিল হামাস বাহিনী। ৪ দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর গাজা সীমান্ত জঙ্গি-মুক্ত করে পুনরুদ্ধার করল ইজরায়েলি সেনা। যুদ্ধে এখনও অবধি ৩ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১২০০ জন ইজরায়েলি। ৯০০ জন মারা গিয়েছেন গাজায়। তবে, লড়াই (Israel Hamas War) এখনও শেষ হয়নি। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবে না সেনা। সেই মতো, বড় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। 

    ইজরায়েলকে বাঁচিয়েছে ‘আয়রন-ডোম’

    শনিবার দক্ষিঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। গাজা স্ট্রিপ থেকেই ইজরায়েলের ওপর হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে এসেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট। ইজরায়েলের দাবি, ২০ মিনিটে প্রায় ৫ হাজার রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল ইজরায়েলের ওপর। কিন্তু, বেশিরভাগ রকেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েলের ‘আয়রন-ডোম’। কিন্তু, ঝাঁকের মধ্যে থেকে বহু রকেটগুলি আছড়ে পড়ে ইজরায়েলের বুকে (Israel Hamas War)। 

    বর্বর, নির্মম হত্যালীলার সাক্ষী বিশ্ব

    শুধু আকাশপথে নয়, হামাস বাহিনী হামলা চালানো হয় সমুদ্রপথ ও স্থলপথেও। গাজা সীমান্ত জুড়ে ৪০ কিমি লম্বা কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা দিয়ে সেই বেড়া কেটেই অনুপ্রবেশ করেছিল হামাস জঙ্গিরা। সীমান্ত পেরিয়ে গাড়ি নিয়ে ইজরায়েলের গাজা-সীমান্তবর্তী শহরে ঢুকে পড়ে শয়ে-শয়ে সশস্ত্র জঙ্গি। পাশাপাশি, প্যারাগ্লাইড করে আকাশপথে ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ইজরায়েলি সেনা ছাড়াও শয়ে শয়ে অসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্মম হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। বিরি নামক একটি জায়গাতেই হামাসের যোদ্ধারা শতাধিক নাগরিককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানা গিয়েছে (Israel Hamas War)। আর শুধু হত্যা করাই নয়। হত্যার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। কোথাও তরুণীকে হত্যা করে তাঁর নগ্ন দেহ শহরজুড়ে ঘোরানো হয়। আবার কোথাও অপহরণ করে পণবন্দি করা হয় শতাধিক ইজরায়েলবাসীকে। জঙ্গি হামলায় মোট ১২০০-র বেশি ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯০০-রও বেশি সাধারণ ইজরায়েলি নাগরিকই রয়েছেন। 

    ইজরায়েলি জবাবে খতম হামাসের দুই শীর্ষ কর্তা

    হামাসের এই অতর্কিত হামলার জবাব দিতে যুদ্ধ ঘোষণা (Israel Hamas War) করে ইজরায়েল। হামাস-অধ্যূষিত ও নিয়ন্ত্রিত গাজা স্ট্রিপে মুহুর্মুহু আছড়ে পড়ে ইজরায়েলি বোমা-ক্ষেপণাস্ত্র। ইজরায়েলি সেনার জবাবি হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজার একাংশ। গাজাতেই হামাসের মূলকেন্দ্র বা ঘাঁটি। ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফের দাবি, হামাসের ৫০০টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েলের বায়ুসেনা আইএএফ দাবি করেছে, তারা হামাসের অর্থনীতি-বিষয়ক মন্ত্রী জাওয়াদ আবু শামলাকে খতম করেছে। পাশাপাশি, জঙ্গি সংগঠনের রাজনৈতিক ব্যুরোর অন্যতম সিনিয়র সদস্য জাকারিয়া আবু মামারকেও খতম করা হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলি সেনার। ১৫০০ হামাস জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে গাজা স্ট্রিপ ও তার আশেপাশের এলাকাগুলি থেকে। অন্যদিকে, গাজা প্রশাসনের তরফে এখনও অবধি ৭৬৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

    গাজায় জরুরি পরিষেবা বন্ধ করল ইজরায়েল

    শুধু হাতে মারা নয়, হামাসকে ভাতে মারার ব্যবস্থাও করেছে ইজরায়েল (Israel Hamas War)। সোমবার গাজাকে চারদিক থেকে ঘিরতে ট্যাঙ্ক বাহিনীকে নামায় আইডিএফ। বন্ধ করে দেওয়া হয় জল, খাবার ও বিদ্যুতের লাইন। গাজার এই সমস্ত জরুরি পরিষেবা ইজরায়েলের উপর নির্ভরশীল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের তরফে বলা হয়, গাজায় ইজরায়েলি বিমান হানায় ৭৯০টি আবাসন ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও ৫৩৩০টি আবাসন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজায় বর্তমানে গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। এদের সিংহভাগই স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। 

    ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’-এর প্রস্তুতি ইজরায়েলের

    মঙ্গলবার ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়, তারা গাজা সীমান্ত পুনরুদ্ধার করেছে। গাজার সীমান্ত ফের এখন ইজরায়েলি সেনার নিয়ন্ত্রণে। সে দেশের সেনার তরফেও বিবৃতিত জানানো হয়েছে, গাজার সীমান্ত ও দক্ষিণ অংশের অধিকাংশ অঞ্চলই পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ১২টিরও বেশি শহর থেকে উৎখাত করা হয়েছে হামাস বাহিনীকে। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধিনতা দেওয়া হয়েছে। হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস করতে এবার পূর্ণ শক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে তাদের সেনা (Israel Hamas War)। এর জন্য প্রস্তুতি সারা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ‘গ্রাউন্ড অ্যাসল্ট’ শুরু হবে। অর্থাৎ, এবার গাজায় নেমে হামাস-নিধন অভিযান চালাবে আইডিএফ। তাঁর হুমকি, গাজা আর পুরনো দিনে ফিরবে না। ফলে, এটা সহজেই অনুমেয় যে, আগামী কয়েকদিন যুদ্ধ আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share