Tag: Israel Iran Conflict

  • Israel Iran Conflict: যুদ্ধের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Israel Iran Conflict: যুদ্ধের আবহে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে পরেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তিনি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার পরেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যে শান্তির (Israel Iran Conflict) পক্ষে, নানা সময় তা উঠে এসেছে তাঁর বক্তৃতায়।

    ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোন মোদিকে (Israel Iran Conflict)

    ইউরোপে যখন চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, তখন মধ্য এশিয়ায়ও শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ। এহেন আবহে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে মোদি জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ফোনে কথোপকথনে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ইরানের প্রেসিডেন্টকে উত্তেজনা প্রশমনের আর্জিও জানিয়েছেন। শনিবার ইরানের অন্তত তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। তার পরেই ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব অন্য মাত্রা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ফোন করেন মোদিকে। তখনই শান্তিপ্রতিষ্ঠার বার্তা দেন মোদি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সমাজমাধ্যমের পোস্টে মোদি লেখেন, “বর্তমান (Israel Iran Conflict) পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে সবিস্তার কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনাবৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আরও এক বার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি দ্রুত ফিরে আসুক।” ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে যোগ দিয়েছে আমেরিকাও। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হামলা অত্যন্ত সফল হয়েছে। ইরানের আকাশসীমা ছেড়ে নিরাপদে বেরিয়েও গিয়েছে আমেরিকার বিমান। এর পরেও যদি ইরান শান্তিস্থাপন না করে, তবে আগামী দিনে আরও ভয়ানক হামলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, এদিন ইরানের ফরডো, নাতানজ এবং এসফাহানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।

    মার্কিন হামলার পর ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংগঠনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছে। ফোরডো, ইসফাহান এবং নাতানজে হামলার দায় স্বীকার করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বেআইনি কাজের (PM Modi) প্রতিবাদ করে ইরানকে তাদের বৈধ অধিকার অর্জনে সমর্থন করবে বলে আশা করা হচ্ছে (Israel Iran Conflict)।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলকে বাঁচাতে ধর্মান্তরিতও হয়েছিলেন, কে এই রহস্যময়ী?

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলকে বাঁচাতে ধর্মান্তরিতও হয়েছিলেন, কে এই রহস্যময়ী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ কাহিনি হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। ভারত-পাক যুদ্ধের মাঝে চর্চায় এসেছিল জনৈক জ্যোতি মালহোত্র। অভিযোগ, সে ছিল পাক চর। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) আবহেও উঠে এল আরও এক নারীর ‘কীর্তি’র কথা। যিনি ইজরায়েলকে (Mossad Female Spy) বাঁচাতে ধর্মান্তরিত পর্যন্ত হয়েছিলেন।

    হুথিদের নির্বংশ করতেই ইরানে হামলা (Israel Iran Conflict)

    এ কাহিনি শুরু করার আগে জেনে নেওয়া যাক ইজরায়েল এবং ইরানের চরিত্র। ইজরায়েল ইহুদি দেশ। আর ইরান ইসলামি প্রজাতন্ত্র। এই ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম হুথি। এদের ডেরা মূলত ইয়েমেনে। তবে এদের সামরিক শাখা আনসারুল্লাকে ইরান মদত দেয় বলে অভিযোগ। এই হুথিদের নির্বংশ করতেই গাজার পর ইরানে হামলা চালায় ইজরায়েল। তার পরেই শুরু হয় ইজারায়েল-ইরান যুদ্ধ। এই যুদ্ধের আবহেই চর্চায় চলে এসেছেন ক্যাথারিন পেরেজ শেকড।

    এই মহিলার কৃতিত্বেই কুপোকাত ইরান

    ফ্রান্সের বাসিন্দা শেকড উচ্চ শিক্ষিত, বুদ্ধিমতী এবং সাহসী। তিনি ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোদাসের একজন মহিলা গুপ্তচর। দীর্ঘ পরিকল্পনার পর বছর দুয়েক আগে গোপনে তিনি ঢুকে পড়েন ইরানে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর পর তিনি ইরানের সরকারি কর্তাদের সঙ্গে আলাপ করতে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করতে তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গেও ভাব জমান মোসাদের এই চর। নানা অছিলায় তিনি ঢুকে পড়তেন ইরানের বিভিন্ন জায়গায়। ছবি তোলার পাশাপাশি সংগ্রহ করেন ইরানের গোপন সব তথ্য। সাংকেতিক ভাষায় সেসব তথ্য তিনি পাচার করেন ইজরায়েলে।

    গত ১৩ থেকে ২১ জুনের মধ্যে ইজরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হারিয়েছে তেহরান (ইরানের রাজধানী)। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর সর্বাধিনায়ককেও উড়িয়ে দিয়েছে ইহুদি ফৌজ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। ইজরায়েলের আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছুই সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি (Israel Iran Conflict)।

    ইরানি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইহুদিদের টার্গেট কিংলিংয়ের ধরন দেখে সন্দেহ হয় ইরানের গুপ্তচর সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইনটেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানে’র। খুনগুলির ব্যাপারে জানতে তদন্তে নামে তারা। তখনই জানা যায়, ইজরায়েলি চর ক্যাথরিন পেরেজ শেকডের নাম। যদিও রবিবার (Mossad Female Spy) দুপুর পর্যন্তও তাঁর টিকি ছুঁতে পারেনি ইরান সরকার (Israel Iran Conflict)।

  • USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) ঘোষণা করেন যে, তাঁরা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে ও ইজরায়েলের পক্ষে এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, ইজরায়েলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। কিন্তু ঠিক দু’দিনের মাথাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাল।

    কোন তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল মার্কিন বিমান বাহিনী?

    ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও এসফাহান, এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর সব বিমান বর্তমানে নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে অবস্থান করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি পোস্টে লিখেছেন, মহান মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বে আর কোনও সামরিক বাহিনী এটি করতে পারত না, যা তারা করে দেখিয়েছে। এখন শান্তির সময়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইরানকে এখন এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।

    কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু?

    এই হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমি প্রায়ই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি আসে। প্রথমে শক্তি, তারপর শান্তি।” প্রসঙ্গত, ইরানে এই হামলা চালানোর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বিরোধ শেষ না করলে ইরানের ওপর আরও হামলা চালানো হবে।”
    সাংবাদিকদের তিনি (Trump) বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো এভাবেই যুদ্ধ চলবে।” মার্কিন রাষ্ট্রপতি (USA) বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য হল ইরানের পারমাণবিক উৎপাদন এবং পরমাণু বোমার হুমকিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।”

  • Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    Iran: দিল্লির জন্য ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত তেহরানের! ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে ইরান খুলে দিল আকাশ সীমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) মধ্যে চলমান সংঘর্ষে দুই দেশেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে ইরান তার আকাশসীমা আংশিকভাবে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইরানে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইরান ও ভারত সরকার। ‘অপারেশন সিন্ধু’র মাধ্যমে এক হাজার ভারতীয় নাগরিককে (Indian Students) ইরান থেকে দেশে ফেরত আনা হচ্ছে।

    মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে

    জানা যাচ্ছে, ইরানের (Iran) আকাশসীমা এখনও সীমিতভাবে বন্ধ থাকলেও ভারতীয় নাগরিকদের সুবিধার্থে ইরানের মার্ সাহা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ চ্যাটার্ড ফ্লাইট চালু করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে উড়িয়ে আনার জন্য। এই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর প্রথমটি আজ রাতেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানা গেছে। ইরানের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এই ফ্লাইটগুলো কেবলমাত্র ভারতীয়দের জন্য নির্ধারিত এবং যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

    আগেই দেশে ফিরেছেন ১১০ জন পড়ুয়া (Iran)

    এর আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্করভাবে উত্তপ্ত উত্তর ইরান থেকে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে (Indian Students) সফলভাবে সরিয়ে আনা হয়েছিল। তবে সে সময় ইরানের কোনও বিমানবন্দর ব্যবহার না করে তাদের প্রথমে আর্মেনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর সেখান থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। উভয় দেশের ভারতীয় দূতাবাস এই অভিযানে সমন্বয় রাখে নিজেদের মধ্যে। এবার ইরানের অভ্যন্তর থেকেই সরাসরি বিশেষ বিমানে করে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, যা একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।

    ইজরায়েল থেকেও শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান

    শুধু ইরান (Iran) নয়, ইজরায়েলেও চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে থাকা ভারতীয়দেরও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার। তেল আভিভে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস কাছাকাছি সীমান্ত অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে আনছে বলে খবর।

  • Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    Israel: ইজরায়েলের হানায় বিপর্যস্ত ইরানের আরক পরমাণু রিঅ্যাক্টর, কেন এই কেন্দ্রকে টার্গেট করল তেল আভিভ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের (Israel) হানায় কাঁপছে ইরান। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইরানের হেভি ওয়াটার নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে। এই হেভি ওয়াটার, যার বিজ্ঞানের ভাষায় নাম হল ডিউটেরিয়াম অক্সাইড (D2O), সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয় যে বিক্রিয়ায় নিউট্রনের গতিকে ধীর করার জন্য। এখানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ইউরেনিয়াম। এই পদ্ধতিতে তৈরি হয় ২৩৯-প্লুটোনিয়াম, যারই মাধ্যমে তৈরি হয় পরমাণু বোমা। দেখা যায় ভারত অথবা উত্তর কোরিয়া এভাবেই তৈরি করেছে তাদের পরমাণু অস্ত্র।

    আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে

    এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইজরায়েলের (Israel) ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে যে, তারা অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে এবং তা আরক হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টরকে ধ্বংস করতে চালানো হয়েছে। কারণ তারা প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন বন্ধ করতে চেয়েছিল। কারণ এই প্লুটোনিয়ামের মাধ্যমেই ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জানা যায়, ইরান এই আরক রিঅ্যাক্টরের কাজ শুরু করে আজ থেকে ২২ বছর আগে, ২০০৩ সালেই। কিন্তু কোনও রকমের বৈধ ছাড়পত্র তারা পায়নি এই কাজের। এই আরক রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার জন্য তাদেরকে কোনও অনুমতি দেয়নি ইন্টারন্যাশনাল নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স। কিন্তু তারপরেও গোপনে এই কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছে ইরান।

    ব্যর্থ হয় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    পরবর্তীকালে ইজরায়েল এবং ইরানের যুদ্ধ শুরু হলে তেল আভিভ থেকে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি সম্প্রচার করা হয়। এই সম্প্রচারের মাধ্যমে তারা জানায় যে, আরকে অবস্থিত নাগরিকরা যেন তাড়াতাড়ি সেই স্থান খালি করেন। তারা আরও জানায় যে, সেখানে যে সামরিক ঘাঁটি রয়েছে সেগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। জানা যায়, অত্যন্ত উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজরায়েল হামলা চালায় ওই পরমাণু কেন্দ্রে। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও ইজরায়েলের হামলাকে রুখতে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়।

    পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম ধ্বংস

    ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম পরবর্তীকালে মেনে নেয় যে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে ওই কেন্দ্রে। তারা আরও বলে যে ইজরায়েলের ঘোষণার পরেই খালি করে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ আরককে এবং সেখানে বর্তমানে কোনও তেজস্ক্রিয় বিপদ নেই। এখনও পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই পরমাণু কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ যে ভেসেল এবং কুলিং সিস্টেম, তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে ইজরায়েলের হানায় এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উয়েপন-গ্রেড প্লুটোনিয়ামের উৎপাদন।

    ইরাক ও সিরিয়াতেও এমন হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল

    প্রথমেই তবে ইরানের ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায়নি ইজরায়েল (Israel)। যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক ৭ দিনের মাথায়, যখন ইরান বোমা হামলা চালায় ইজরায়েলের হাসপাতালে। তারপরেই প্রত্যাঘাত শুরু করে ইজরায়েল। তাঁদের দেশের অসামরিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে ইরান। এনিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ইজরায়েলের প্রধা্নমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) অভিযোগ করেন, “এই মুহূর্তে ইরানের সরকার আমাদের অসামরিক এলাকাগুলিতে হামলা চালাচ্ছে (Israel)। কিন্তু আমরা কেবল সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য করছি। তারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে, আমেরিকার দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছে, বেইরুটে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনকে সালে বহ হত্যা করেছে, এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে হাজার হাজার আমেরিকানকে হত্যা করেছে।” এরপরেই ইরানের (Iran) ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালায় ইজরায়েল। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইজরায়েল এমন হামলা চালিয়েছিল ১৯৮১ সালে ইরাকের অসিরাক রিঅ্যাক্টরে, পরবর্তীকালে ২০০৭ সালে সিরিয়াতে। এরপরেই ২০২৫ সালে এই একই হামলা দেখা গেল ইরানে।

    কী বলছেন ইরানের রাজনৈতিক নেতারা?

    ইরানের (Iran) রাজনৈতিক নেতারা ইজরায়েলের এমন হানাকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন এবং তাঁরা জানিয়েছেন যে, এভাবেই তারা (ইজরায়েল) আন্তর্জাতিক আইনকে না মেনে এমন কাজ করেছে। ইজরায়েলের এমন হানার পরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেইকে একটি সরাসরি সম্প্রচারে আসতে দেখা যায়। সেখানে তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং বলেন যে, ইজরায়েল যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তার প্রত্যাঘাত হবেই। আমরা তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেব। এই আবহে ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে এই যুদ্ধে ইরান ব্যবহার করতে পারে লেবাননের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে এবং ইরাকের জঙ্গি সংগঠন শিয়া মিলিশিয়াকে।

  • Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    Mossad: গোপন অভিযানে মোসাদ হাতিয়ে নেয় পরমাণু বোমা সংক্রান্ত ৫০০ কেজির নথি, টেরও পায়নি ইরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে ইজরায়েল। ইরানের ১০০টিরও বেশি স্থানে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইহুদি দেশটি। এর পরমাণু কেন্দ্র, সামরিক কেন্দ্র এবং গোয়েন্দা পরিকাঠামোগুলিতে বড় আঘাত হানে তারা (Nuclear Blueprints)। এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলি হানায় ২২৪ জন ইরানির মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্র দাবি করছে। কিন্তু ইজরায়েল-ইরান এই যুদ্ধ রাতারাতি শুরু হয়নি। এর বীজ বহু বছর আগে থেকেই পোঁতা শুরু হয়েছিল ইজরায়েল। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির রাতে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ-এর এজেন্টরা ছোট্ট দলে গঠন করে ইরানের রাজধানী দক্ষিণ তেহরানের একটি গুদামে প্রবেশ করে। নিরাপত্তা রক্ষী আসার আগেই অপারেশন শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা। তখন তাদের হাতে সময় ছিল ৬ ঘণ্টা ২৯ মিনিট। এক বছর ধরে ওই গুদামের নজরদারি চালায় মোসাদ (Mossad)। তারপরে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয় যাতে নির্ধারণ করা যায়, কতটা সময় পাবে ওই গুদামে ঢোকার জন্য।

    হাতানো হয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র

    ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থার (Mossad) এখান থেকে হাতিয়ে নেয় ব্লু-প্রিন্ট, প্রযুক্তিগত নকশা, মানচিত্র, পরিকল্পনা নিয়ে লেখা অনেক নথি ছিল। এই সবই ইরান দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছিল এবং এগুলো ছিল ইরানের পরমাণু অস্ত্রের সম্পর্কিত। জানা যায়, এরপরে মোসাদের এজেন্টরা অত্যন্ত গোপনে সেই গুদাম ত্যাগ করে (Nuclear Blueprints)। তারা এমন টর্চ ব্যবহার করে যাতে কারও নজরে না আসে। এভাবেই তারা ইরানের বোমার নকশা হাতিয়ে নেয়। পরে জানা যায়, যে পরিমাণ উপাদান তারা সেই গুদাম থেকে নিয়ে এসেছিল, তার ওজন হয় ৫০০ কেজি।

    নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দেখে চুরি গিয়েছে নথি (Mossad)

    প্রসঙ্গত, ওই গুদামের ছিল কঠোর নিরাপত্তা। রক্ষীরা কীভাবে কাজ করবে, কতক্ষণ ডিউটি করবে, কীভাবে নজরদারি চালাবে—তা সূক্ষ্মভাবে দেখভাল করা হতো প্রতিদিন। এছাড়াও সেখানে ছিল অ্যালার্ম সিস্টেম—অর্থাৎ, অবাঞ্ছিত কেউ ঢুকে পড়লে গোটা গুদাম জুড়ে শুরু হয়ে যেত অ্যালার্ম। কিন্তু ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিস তা অকেজো করতে সক্ষম হয়। ইজরায়েলের সিক্রেট সার্ভিসের এই অভিযান বাস্তবিকপক্ষে কোনও সিনেমার থেকে কম কিছু নয়। সকাল পর্যন্ত মোসাদের চুরি ধরতেই পারেনি ইরানের সরকার। এর পরে, যখন প্রহরী বা নিরাপত্তারক্ষী এসে দেখে যে দরজা ভাঙা এবং সমস্ত কিছু খালি অবস্থায় পড়ে রয়েছে, তখন তারা বুঝতে পারে যে চুরি হয়েছে।

    মঞ্চে দাঁড়িয়ে নথি প্রকাশ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    এই ঘটনার ঠিক একেবারে তিন মাস পরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঞ্চে ওঠেন বক্তব্য রাখতে। তখনই তিনি একটি কালো ফোল্ডার এবং ডিস্কের স্তূপ নিয়ে ওঠেন এবং সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন মোসাদের এই সাফল্যের কথা। তিনি অভিযোগ করেন, ইরান বিশ্বের কাছে মিথ্যা কথা বলেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কারবার করছে এবং পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অনেক কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা বক্তব্য হিসেবে ইরান, নেতানিয়াহুর দেখানো সেই আর্কাইভকে জাল বলে উড়িয়ে দেয়।

  • Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    Crude Oil Crisis: ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষে বিশ্বে তেল সঙ্কট! ভারতে কী প্রভাব? ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে ইরানের তেলকূপ। সেই আগুনের লেলিহান শিখা যত ছড়াচ্ছে, ততই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিশ্বে। না, কোনও পরিবেশজনিত কারণে এই উদ্বেগ নয়। এই উদ্বেগ বিশ্বের চালিকা শক্তিকে ঘিরে। এই চিন্তা জ্বালানি তেলকে (Crude Oil Crisis) ঘিরে।

    শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষের (Israel Iran Conflict) মাঝে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের বাজারেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের একের পর এক তেলের খনিতে আছড়ে পড়ছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরানও। ফলে, সংঘর্ষ থামার ইঙ্গিত তো নেই-ই, উল্টে তার পরিধি ও প্রভাব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি চাপা উৎকণ্ঠা (Crude Oil Crisis)।

    দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান

    কেন? বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। বিশ্বে তেল রফতানিকারী দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রয়েছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা ওপেক-এর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র এটি। ইরান সহ বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রগুলির গোষ্ঠী অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (সংক্ষেপে ওপেক) গড়ে দৈনিক ১২ কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করে (Crude Oil Crisis)। এর মধ্যে, ইরান প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৪ লক্ষ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে, যার মধ্যে প্রায় ১৭ লক্ষ ব্যারেল রফতানি করা হয়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেল সরবরাহে ইরান একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।

    আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি

    তথ্য বলছে, ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘর্ষ (Israel Iran Conflict) শুরু হওয়া ইস্তক, বিশ্বের দৈনিক তেল উৎপাদনের পরিমাণ ১২ কোটি থেকে কমে ৯.৭ কোটি ব্যারেল হয়েছে। ধরে নেওয়া যেতে পারে, এই ঘাটতি ইরানের থেকেই উৎপন্ন। ফলে, ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব তেলের বাজারে (Crude Oil Crisis)। যুদ্ধ শুরু ইস্তক আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড ব্রেন্ট-এর প্রকাশিত দৈনিক মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০.২ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৪টি সেশনে বেড়েছে ৯ বার! অর্থাৎ, সেশন-প্রতি ১.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি।

    ৮৫ শতাংশ তেল আমদানি করে ভারত

    বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির অন্যতম ভারত। বর্তমানে, প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলই অন্য দেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তবে, বিগত ২ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়েছে ভারত। এখন এই ৮৫ শতাংশের মধ্যে ৪০ শতাংশ তেলই ভারত কেনে রাশিয়া থেকে। এটা চালু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। সেই সময় অত্যন্ত সুকৌশল অবলম্বন করে রাশিয়া থেকে সস্তায় বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল আমদানি শুরু করে ভারত। একটা সময় ছিল, যখন ভারত ২৭টি দেশ (মূলত ওপেক গোষ্ঠীভুক্ত) থেকে তেল আমদানি করত। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০। ফলে, ভারতের হাতে একাধিক বিকল্প রয়েছে। যার জেরে দেশের তেল সরবরাহ সুরক্ষা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    হরমুজ প্রণালির গুরুত্ব কতটা?

    তবে, ভারতের আশঙ্কা কি একেবারেই নেই? না, অবশ্যই রয়েছে। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Israel Iran Conflict) জেরে যদি হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একটা আশঙ্কা (Crude Oil Crisis) তৈরি হতে পারে। কী এই হরমুজ প্রণালি? কোথায় অবস্থিত? কেন এতটা তাৎপর্যপূর্ণ? হরমুজ প্রণালির মাধ্যমে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর সংযুক্ত হয় এবং পরে এর মাধ্যমে তা আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়।হরমুজ প্রণালি মাত্র ২১ মাইল বা ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। এই হরমুজ প্রণালির উত্তরে রয়েছে ইরান, দক্ষিণে রয়েছে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সবচেয়ে বড় কথা, এর নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই ইরানের হাতে।

    কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে?

    মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা তেল মূলত হরমুজ প্রণালি রুট দিয়ে ভারতে আসে। শুধু ভারত নয়, এটি দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম পথ। বিশ্বের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ তেল (১ কোটি ৭০ লক্ষ ব্যারেলেরও বেশি) প্রতিদিন এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে যায়। সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো উৎপাদক দেশগুলি থেকে জ্বালানির রফতানির অন্যতম প্রধান জাহাজপথ হল এই প্রণালি। আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসন যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেলের বেশি তেল এই সংকীর্ণ হরমুজ প্রণালির জলপথ দিয়েই যায়। এর ৮৩ শতাংশই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারের জন্য নির্ধারিত।

    ভারতের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ৩৩ শতাংশ এই হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। এই রাস্তা বন্ধ হলে ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সরবরাহ (Crude Oil Crisis) বাধাপ্রাপ্ত হবে। এর ফলে অন্য দেশ থেকে তেল আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে, যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়বে তেলের দামে। শুধু তেল নয়, এই পথেই কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে ভারত। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানিও বন্ধ হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়।

    বিকল্প পথ তৈরি ভারতের

    তাহলে ভারতের সামনে উপায় কী? পশ্চিম এশিয়ায় সম্ভাব্য টালমাটাল পরস্থিতির (Israel Iran Conflict) কথা চিন্তা করে আগাম বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। এখন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকেও তেল কেনে ভারত। যেগুলি ভারত মহাসাগর হয়ে আসে। তাই এগুলোই বিকল্প হতে পারে যদি হরমুজ প্রণালি বন্ধ হয়। তবে এই দেশগুলি থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় তা অনেকটাই কম। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, সেই পরিমাণ বাড়াতে হবে। তবে, তাতে অর্থ ও সময় দুই বেশি ব্যয় হবে। ফলে, বাড়বে তেলের দাম। অর্থাৎ, হরমুজ প্রণালি (Strait of Hormuz) যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে প্রতিটি ভারতবাসী এর প্রভাব অনুভব করতে পারবে। পেট্রোলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি মাসে সাংসারিক খরচও প্রতিটি পরিবারকে বেঁধে দিতে হবে, বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতিও।

    ‘চিন্তা নেই’, আশ্বাস কেন্দ্রের

    যদিও, দেশে জ্বালানি তেল নিয়ে সঙ্কট তৈরি হবে না বলে অভয় দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের মতে, দাম বাড়লেও, সরবরাহের কোনও ঘাটতি হবে না। তৈরি হবে না দেশে তেলের ভান্ডারগুলিতে যে পরিমাণ তেল মজুত রয়েছে, তাতে কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না বলেই আশ্বাস দিচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫৬ লক্ষ ব্যারেল তেল ব্যবহার হয় ভারতে (Israel Iran Conflict)। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল পরিমাণ তেল হরমুজ প্রণালি দিয়ে আসে। বাকিগুলি এখন আসে অন্য রুট দিয়ে। বেশ কিছুদিন ধরে এই রুটের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে দিল্লি। উপরন্তু, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, সারাদেশে বর্তমানে ৭৪ দিনের তেল মজুত রয়েছে এবং কৌশলগত মজুতও রয়েছে ১০ দিনের তেল।

    ফলে, এখনই ভারতের চিন্তার কিছু নেই (Crude Oil Crisis)।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলের অপারেশন চলাকালীনই ভূমিকম্প ইরানে, একই ঘটনা ঘটেছিল অপারেশন সিঁদুরের সময়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Conflict) জেরে আরও উত্তপ্ত হল পশ্চিম এশিয়া। ইজরায়েল ইরানে চালিয়েছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। তার পাল্টা ইরান চালিয়েছে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’। রবিবার রাত (Operation Sindoor) থেকে দু’পক্ষের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। এদিকে, সোমবার সকালে ইরানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি হয়েছে ইরানের ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছেই। দুইয়ে মিলে আতঙ্ক গ্রাস করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা (Israel Iran Conflict)

    গত সপ্তাহেই ইরানের কোম শহরে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৫। ফরদো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও এর কাছাকাছি। ইরানের আগে ভূমিকম্পে কেঁপেছিল পাকিস্তান। সে দেশের সিস্তান এবং বালুচিস্তানের ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। জানা গিয়েছে, ইরানের ফরদোয় এদিন যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে বিস্ফোরণও ঘটে একই সময়ে। এর পরেই উঠে আসে ভারত-পাক সংঘাতের জেরে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র অনুষঙ্গ। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সেই সময়ও ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল পাকভূম। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে।

    ইরানের তিন পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

    এদিকে, ইজরায়েল হল প্রথম দেশ, যারা ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্র – নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফরদোয় হামলা চালিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রথম দফার হামলায় নাতাঞ্জ সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র এবং ইসফাহানে ইউরেনিয়াম পরিবর্তন কেন্দ্রে আঘাত হানা হয়। ফরদোয় হামলা চালানো হয় পরে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে (Israel Iran Conflict)।

    সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে, নাতাঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন, যার মধ্যে রয়েছে এর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও। এ থেকে স্পষ্ট হামলার পরিমাণ ও তীব্রতা। সংঘর্ষ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। কারণ সামরিক অভিযানের পাশাপাশি রহস্যময় ভূকম্পনও দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলি পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুরে’র সময় দেখা ভূকম্পন ও সামরিক হামলার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে।

    রবিবার ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ আরও তীব্র রূপ নিয়েছে। দুই দেশই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কেন্দ্রে আঘাত হানার পর ইজরায়েল তাদের আক্রমণের পরিসরও বিস্তৃত করেছে (Operation Sindoor)। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, তারা রাতারাতি ইরানের রাজধানীর ৮০টিরও বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ছিল ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণকের সদর দফতর এবং এসপিএনডি নামে পরিচিত পারমাণবিক কর্মসূচির কার্যালয়ও (Israel Iran Conflict)।

LinkedIn
Share