Tag: ISRO Chief

  • Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Kasturirangan: প্রাক্তন ইসরো চেয়ারম্যান কস্তুরীরঙ্গনের শেষকৃত্য সম্পন্ন, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম’’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) শেষকৃত্য সম্পন্ন হল রবিবার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার নিজের বেঙ্গালুরুর বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর মতে, ‘‘অমূল্য রত্ন হারালাম।’’ কস্তুরীরঙ্গনের মৃত্যুতে আগেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কস্তুরীরঙ্গন শুক্রবার সকাল ১০.৪৩ টায় প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। সাধারণ মানুষদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ এদিন ২৭ এপ্রিল রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের মধ্যে বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে রাখা হয়।

    মহাকাশ গবেষণাকে নতুন উচ্চতা দিয়েছিলেন, সমাজমাধ্যমে লেখেন মোদি

    তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদি শোক প্রকাশ করে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘তাঁর (Kasturirangan) দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জাতির প্রতি নিঃস্বার্থ অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ইসরোর সেবা করেছেন। ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তার জন্য আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতিও পেয়েছি।’’

    ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন

    প্রসঙ্গত, ডঃ কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan) ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত ইসরোর পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা যায়। ৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরোর মহাকাশ কমিশন এবং মহাকাশ বিভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। ইসরোর (ISRO) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও কস্তুরীরঙ্গন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং কর্নাটক জ্ঞান কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তৎকালীন ভারতের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কস্তুরীরঙ্গন (Kasturirangan)।এছাড়াও, ইসরো স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি । ইনস্যাট-২, আইআরএস-১এ/১বি উপগ্রহ এবং অন্যান্য উপগ্রহ তৈরির সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন ইসরোর এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

  • ISRO: এবার চন্দ্রযান ৫ মিশনের অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে হবে অভিযান

    ISRO: এবার চন্দ্রযান ৫ মিশনের অনুমোদন দিল কেন্দ্র, জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে হবে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর (ISRO) চন্দ্রযান-৫। ইতিমধ্যে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্র পেয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরো প্রধান ভি নারায়ণন। প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩ সফল হওয়ার পরে চন্দ্রযান-৪ অভিযানের জন্য গত বছরেই অনুমোদন করে কেন্দ্র। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মোদি মন্ত্রিসভা চন্দ্রযান ৪ মিশন অনুমোদন করেছিল। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল চাঁদে একটি মহাকাশযান অবতরণ করানো, চাঁদের মাটি এবং পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা এবং নিরাপদে তা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা। এই মিশনে জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২১০৪ কোটি টাকা। চন্দ্রযান ৪ মিশন নিয়ে এখন ইসরোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২০২৭ সালেই উৎক্ষেপণ করা হতে পারে চন্দ্রযান ৪। এই আবহে সামনে এল চন্দ্রযান ৫ এর অনুমোদনের খবর। চন্দ্রযান-৫ সম্পর্কে নারায়ণন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাত্র তিন দিন আগে আমরা চন্দ্রযান-৫ অভিযানের অনুমোদন পেয়েছি (Chandrayaan 5 Mission)। আমরা জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করব।”

    চন্দ্রযান-৫ যে রোভার নিয়ে যাবে তার ওজন হবে ২৫০ কেজি (ISRO)

    প্রসঙ্গত, রবিবারই এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা ঘোষণা করেন ইসরো (ISRO) চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন। তিনি আরও জানিয়েছেন জাপানের সহযোগিতায় এই মিশন পরিচালিত হবে। সম্প্রতি, ইসরো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ভি নারায়ণন। চন্দ্রযান ৫ মিশন নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩ মিশনে রোভার যন্ত্রটির ওজন ছিল ২৫ কেজি। তবে, চাঁদের পৃষ্ঠদেশে অনুসন্ধানের জন্য চন্দ্রযান ৫ যে রোভারটি নিয়ে যাবে, সেটির ওজন হবে ২৫০ কেজি। বস্তুত, চাঁদের পৃষ্ঠদেশ নিয়ে গবেষণার জন্যই চন্দ্রযান কর্মসূচি শুরু করে ইসরো।

    ২০০৮ সালে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান ১, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২

    চাঁদের দেশে গবেষণা (ISRO) করতে ভারত একাধিক চন্দ্রযান কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রথম মিশন শুরু হয় ২০০৮ সালে। চন্দ্রযান-১, ২০০৮ সালে সফলভাবেই পাড়ি দেয় মহাকাশে। চন্দ্রপৃষ্ঠে রাসায়নিক, খনিজ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা চালায় চন্দ্রযান ১। ২০১৯ সালে উৎক্ষেপণ করা চন্দ্রযান-২-তে একটি ল্যান্ডার এবং রোভার ছিল, কিন্তু অবতরণের সময় ল্যান্ডারটি বিধ্বস্ত হয়ে মিশনটি (Chandrayaan 5 Mission) শেষ হয়ে যায়। তার পরে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ সম্পূর্ণ সাফল্য পায়নি। সেসময় ইসরো প্রধান জানান, লক্ষ্যে সফল না হলেও চন্দ্রযান ২-এর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা থেকে প্রচুর ছবি পাচ্ছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।

    বিরাট সাফল্য পায় চন্দ্রযান ৩

    পরবর্তীকালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা এবং চন্দ্রাভিযানে অন্যতম বড় সাফল্য এসেছে চন্দ্রযান ৩-এর হাত ধরেই। চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করে। উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা দেশ। চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ যেখানে অবতরণ করে, বিশ্বের অন্য কোনও দেশ সেখানে আজও মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট, চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল তৃতীয় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম। পাখির পালকের মতো অবতরণ (সফ্‌ট ল্যান্ডিং) করে ওই ল্যান্ডারটি। যা এর আগে কোনও দেশ কখনও করতে পারেনি। তার পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদের মাটি-পাথর নমুনা সংগ্রহ করে নিজের মধ্যে থাকা মিনি-গবেষণাগারে পরীক্ষা করে তার ফল পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল প্রজ্ঞান। ১৪ দিনের কাজের পর, ল্যান্ডার ও রোভার চির-ঘুমে চলে যায়। এই সাফল্যের পরেই ২০২৪ সালে চন্দ্রযান ৪ এর অনুমোদন দেয় কেন্দ্রের মোদি সরকার। পরবর্তীকালে ২০২৫ সালে চন্দ্রযান ৫ কেন্দ্রের অনুমোদন পেল।

    মহাকাশ অভিযানে ইসরোর (ISRO) অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প

    চন্দ্রযান অভিযানের বাইরেও, ইসরো বেশ কয়েকটি অন্যান্য কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। যা নিয়ে চর্চা চলছে দেশজুড়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গগনযান অভিযান। ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযান কর্মসূচি হতে চলেছে এই কর্মসূচি। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল ভারতীয় নভোচারীদের মহাকাশে পাঠানো। এছাড়াও, নারায়ণন ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন সাংবাদিক সম্মেলনে। যার নাম হবে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন। এই প্রকল্প ভারতের স্বাধীন মহাকাশ গবেষণার সুবিধা তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন ইসরো প্রধান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসরো ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর জন্য কাজ করছে। বর্তমানে, আমেরিকাই একমাত্র দেশ যারা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। জানা গিয়েছে, চিন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভশ্চরদের পাঠানোর জন্যও কাজ করছে।

LinkedIn
Share