Tag: Jadavpur University

Jadavpur University

  • JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যুর কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এখন ঘরে-বাইরে আলোচনার শিরোনামে। পরের সপ্তাহে আসতে চলেছেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুর আইওইউ বা Institutions of Eminence (IoE) এর তকমা কি হারাবে? এই প্রশ্নই উঠছে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে। 

    ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স বা বিশিষ্টতার তকমা কী (JU Student death)?

    ২০১৮ সাল থেকে ইউজিসি বিশেষ প্রকল্পের সুচনা করেছিল। তাতে বলা হয়, দেশের মোট ১০ টি সরকারি এবং ১০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশিষ্টর তকমা দিয়ে বড় অনুদান দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা এবং উন্নত ক্লাসের সুবিধার জন্য এই অনুদান মিলবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে। সেই সঙ্গে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমে স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এই ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স-এর জন্য বিশেষ প্রচার অভিযান চালায়। উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এবং রাজ্যকে বিশিষ্টতার জন্য সহযোগিতা এবং বিশেষ অনুদান পাওয়ার জন্য প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই তকমা নিয়ে খুব একটা সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

    কেন এই তকমা বাতিল হতে পারে?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) সম্পর্কে ইউজিসির এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাদবপুর ৩ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার বাজেট জমা দিয়েছে ইউজিসির কাছে। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে অনুদানের ১০০০ কোটি টাকা বহন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতর সক্রিয়তা দেখায়নি। প্রস্তাবকে সংশোধন করে রাজ্য শিক্ষা দফতর পাঠালেও, সেখানে বাজেটের পরিমাণ কম করা হয় বলে ইউজিসিকে জানানো হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক যাদবপুরের ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স তকমা বাতিল করার সুপারিশ করে। একই ভাবে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্টতার তকমা হারাবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকার যদি অনুদানের একটা অংশ বহন না করে, তাহলে এই বিশেষ তকমার অনুদান না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে যাদবপুর এখন সরগরম। মৃত্যুর কারণ হিসাবে র‍্যাগিং এবং কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিয়েও উঠছে প্রশ্না। ইউজিসি আসার পর এখন তদন্তের গতি কোন পথে এগোয় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহেই যাদবপুরে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের (UGC) অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্যরা। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ কমিটির (ICC) বিশেষ বৈঠক হবে। এরপর ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। যাদবপুরের মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যুর (JU Student death) ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে এবার ইউজিসি তদন্তে নেমে পড়ল। কীভাবে হয়েছে ছাত্রের মৃত্যু! র‍্যাগিং ক্যাম্পাসে কতটা সক্রিয়! হস্টেলগুলিতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কতটা সুরক্ষিত! সব কিছুর তদন্ত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদের একাংশ। তবে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা যে ইউজিসির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভিসি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তৈরির বিশেষ ভাবনাচিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    কার মা বললেন আমার ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার (JU Student death)?

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে (JU Student death) র‍্যাগিং-এর অভিযোগে ধৃত সৌরভ চৌধুরীও শিকার হয়েছিল র‍্যাগিং-এর! এমন চাঞ্চল্যকর দাবি যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরীর মা প্রণতি চৌধুরীর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি র‍্যাগিংয়ের আঁতুড় ঘর? সৌরভের মায়ের মন্তব্যে উঠছে এমনই প্রশ্ন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর কার্যত তোলপাড় সারা রাজ্য। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে হস্টেলে অত্যাচারের তত্ত্ব। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চন্দ্রকোনার সৌরভ চৌধুরী সহ আরও দুজন। আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে সন্দেহভাজনদের তালিকায়, এমন তথ্য যখন প্রকাশ্যে আসছে, তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই সৌরভের ওপরও হয়েছে র‍্যাগিং। কর্তৃপক্ষকে তৎকালীন সময়ে জানিও মেলেনি কোনও সুরাহা। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে আজ স্বপ্নদীপের মতো তাঁর ছেলেকে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হতে হতো না! সাফ দাবি সৌরভের মায়ের।

    কী বললেন মা?

    ধৃত সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী রবিবার চন্দ্রকোনায় দাঁড়িয়ে বলেন, “ছেলে যখন পড়াশোনা করত তখন ফোন করলেই বলতো র‍্যাগিং এর কথা, সহ্য করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তার কাছে।” উল্লেখ্য, যাদবপুর কাণ্ডের (JU Student death) ধৃত সৌরভ বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকেও যথেষ্ট ভালো ফল করেছে সৌরভ। মেদিনীপুর কলেজে প্রথমে অংক নিয়ে পড়াশোনা, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ। ডাব্লু বিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু। তাঁর বাড়ি নদিয়ার বগুলায় (Nadia)। স্বপ্নদীপ বুধবার রাতে যাদবপুর মেইন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। ইতি মধ্যেই তাঁর বাবা মামলা দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ শক্রবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হল বগুলায়। বলা হয় স্বপ্নদীপকে যারা খুন করেছে, তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই মৃত্যুকে খুনের অভিযোগ বলে মনে করছেন অনেকেই। পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নদিয়ার (Nadia) বগুলাবাসী।

    নদিয়ায় মিছিল

    আজ স্বপ্নদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১ টায় বগুলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং পাড়া-প্রতিবেশী সহ সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে বগুলা কলেজ থেকে বগুলা হাই স্কুল (Nadia) পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যারা স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। অন্যদিকে একাংশ বিক্ষোভকারীদের দাবি, ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করার জন্য সব বাবা মায়েরাই চেষ্টা করেন। একইভাবে স্বপ্নদীপের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁর বাবা-মাও চেষ্টা করেছিলেন। কোনও রকমে সংসার চালিয়ে স্বপ্নদীপকে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাবা মা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কখনও এইভাবে হতে পারে না, তাঁকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। তাই দোষীদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি করছি।

    কী ঘটেছিল

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু (Nadia)। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল গতকাল সকালে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রথমে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুরে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন মেন হস্টেলে এ-টু ব্লকের তিনতলায়। ওই ছাত্র কি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Student Death: হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের! রহস্য ঘনীভূত

    Student Death: হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের! রহস্য ঘনীভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশিদিন আগের কথা নয়। খড়্গপুর আইআইটির এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। এবার ঘটনাস্থল যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হল মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে। দুর্ঘটনা ঘটার পর গুরুতর জখম ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি (Student Death)। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। নদিয়া জেলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ এখানে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন মেন হস্টেলে এ ব্লকের তিনতলায়। ওই ছাত্র কি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

    প্রাথমিক তদন্তে কী জেনেছে পুলিশ (Student Death)?

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাত্র কয়েক দিন আগেই ওই ছাত্র এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার ছিল প্রথম ক্লাস। কিন্তু সেই ক্লাসে তাঁকে দেখা যায়নি। অথচ তিনি হস্টেলে ছিলেন। কেন তিনি প্রথম ক্লাসেই উপস্থিত হলেন না, তা পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখছে। মেন হস্টেলেন নিচে যখন ওই ছাত্রের দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল (Student Death), তখন তা প্রথম নজরে এসেছিল অন্য ছাত্রদের। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে, ঠিক কী ঘটেছিল। আপাতত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

    নদিয়ার গ্রামে শোকের ছায়া (Student Death), কী কথা হয়েছিল মায়ের সঙ্গে?

    অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নদিয়ার হাঁসখালির বগুলায় শোকের ছায়া। এটি (Student Death) আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। জানা গেছে, নদিয়ার বগুলার কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ এলাকায় ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কলেজ হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যার সময় শেষ বারের মতো মায়ের সাথে ফোনে কথা বলেন ছাত্রটি। তখন মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভালো নেই। তাঁর খুব ভয় করছে। মাকে তাড়াতাড়ি সেখানে যাওয়ার জন্যও নাকি বলেছিলেন। পরে তাঁর মা ছেলেকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফোনে পাননি। এই খবর জানিয়ে ওই ছাত্রের মামা র‍্যাগিং-এর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ পরিবারকে জানানো হয়, স্বপ্নদীপ ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছেন। ছাত্রটির মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে ছাত্রটির মৃত্যু নিয়ে গভীর ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রীর, পরীক্ষা স্থগিত যাদবপুরে

    Jadavpur University: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রীর, পরীক্ষা স্থগিত যাদবপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করছেন ওই ছাত্রী। আর, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে যৌন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের জেরে আপাতত একটি বিশেষ বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, অভিযোগকারিণী ওই ছাত্রী এই বিভাগেরই।

    ছাত্রীর অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। এক ছাত্রীর অভিযোগ, এক অধ্যাপক (Jadavpur University) তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। অভিযোগের কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে একটি ইমেল করেছিলেন ওই ছাত্রী। তিনি লিখেছিলেন, “অভিযুক্ত অধ্যাপক পরীক্ষায় নকল করার মিথ্যা দায় চাপিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের সামনেই শারীরিক তল্লাশি চালাতে দিতে বাধ্য করেছেন।

    শারীরিক নির্যাতন!

    পরের পরীক্ষার দিন তাঁকে হল থেকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়ে ওই অধ্যাপক শারীরিক নির্যাতনও করেন। প্রথমে নিজে ও পরে দুই সিনিয়র ছাত্রকে দিয়ে তাঁকে যৌন প্রস্তাবও দেন।” বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে লেখা ওই চিঠি ছাত্রীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদাধিকারী এবং রাজ্য মহিলা কমিশন এবং যাদবপুর থানায় পাঠিয়েছিলেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটার সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আসলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুই রাজনৈতিক দলের দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। ওই ছাত্রী হলে প্রতারণার মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। হলের পরিদর্শক তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন। তখনই অভিযুক্ত ওই অধ্যাপককে ডেকে আনা হয়। ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আগে কখনও এমন অভিযোগ ওঠেনি। ওই ছাত্রী সত্যি বলছেন না।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত ভোটে সন্দেশখালিতে কী অভিযোগ ছিল? খুঁজে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, “ওই ছাত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্যি কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনেই ওই অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ বিষয়ক কমিটির কাছে। তারাই তদন্ত করে দেখবে (Jadavpur University)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    CV Ananda Bose: কোন আইনে সমাবর্তন যাদবপুরে? আদালতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হয়েছে সমাবর্তন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী উপাচার্যকেও। এই উপাচার্যকেই বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে রবিবার সমাবর্তন উৎসব করিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠান মঞ্চে ঠায় বসেছিলেন সদ্য পদ খোয়ানো অন্তর্বর্তী উপাচার্য। তবে সমাবর্তনে তাঁর স্বাক্ষরিত শংসাপত্রই বিলি করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। অনুমতি ছাড়াই সমাবর্তন করায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    পড়ুয়াদের উদ্বেগ

    জানা গিয়েছে, সমাবর্তনের শংসাপত্রে উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউয়ের স্বাক্ষর থাকায় রাজ্যপালকে মেইল করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কয়েকজন পড়ুয়া। এই সার্টিফিকেট নিয়ে পরে কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও তৈরি করেছে রাজভবন। সমাবর্তন করতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের সবুজ সঙ্কেত, শংসাপত্র প্রাপকদের হাতে সহ-উপাচার্যের ডিগ্রি তুলে দেওয়া এবং সেই শংসাপত্রে সদ্য অপসারিত উপাচার্য বুদ্ধদেবের স্বাক্ষর থাকা – এসব নিয়ে আইনি পরামর্শ নিয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। মতামত নিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের। এ সব ক্ষেত্রের মতই হল, এভাবে সমাবর্তন করা যায় না। পুরোটাই বেআইনি।

    রাজ্যপালই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য

    রাজ্যপালই পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তাই রাজভবনের দাবি, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের বিষয়ে আইনত কিছু বলতে পারে না রাজ্য সরকার। সমাবর্তনে সহ-উপাচার্যেরও কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, সেখানে তাঁর কাজের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতে পারেন কেবলই আচার্য। উপাচার্য থাকলে অবশ্য অন্য কথা। সেক্ষেত্রে তিনি দায়িত্ব দিতে পারেন তাঁর অধীনস্থ কাউকে। সেক্ষেত্রে আবার আইন অনুযায়ী নিযুক্ত কিংবা আচার্য মনোনীত অন্তর্বর্তী উপাচার্য তা করতে পারেন।

    আরও পড়ুুন: খসল পরাধীনতার গ্লানি! দেশে কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি এমনতর ছিল না। কারণ রবিবার সমবর্তনের ঠিক আগের দিন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে। তাই তিনি তখন উপাচার্য নন, কেবলই শিক্ষক। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন সহ- উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। যা আইনানুগ নয় বলেই মনে করছে রাজভবন। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: আচার্যের অনুমতি নেই, নেই ভিসি-ও, প্রথা ভেঙে সমাবর্তন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 

    Jadavpur University: আচার্যের অনুমতি নেই, নেই ভিসি-ও, প্রথা ভেঙে সমাবর্তন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের অনুমতি মেলেনি। আবার শনিবারই রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অপসারণ করেছেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। এহেন আবহেই পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সমাবর্তন।

    যাদবপুরে সমাবর্তন

    বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের বৈঠকের পরেই শুরু হয়ে গেল শংসাপত্র প্রদান অনুষ্ঠান। শংসাপত্র ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। শংসাপত্রে উপাচার্য হিসেবে স্বাক্ষর রয়েছে বুদ্ধদেবের। যেহেতু শনিবারই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে, তাই পরিবর্তন করতে হতে পারে শংসাপত্র। এদিনের অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। মঞ্চে বসে ছিলেন সদ্য অপসারিত উপাচার্য। যেহেতু আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হচ্ছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান, তাই অনুপস্থিত ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান।

    জোড়া গেরোয় প্রশ্ন চিহ্ন

    প্রথমত, আচার্যের অনুমতি মেলেনি। দ্বিতীয়ত, শনিবার সমাবর্তনের (Jadavpur University) আগের রাতেই সরিয়ে দেওয়া হয় উপাচার্যকে। জোড়া গেরোয় অনিশ্চিত হয়ে পড়ছিল সমাবর্তনের অনুষ্ঠান। এর পরেই আসরে নামে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সমাবর্তন যাতে হয়, সেজন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় বুদ্ধদেবকে। এক্ষেত্রে হাতিয়ার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এককভাবে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত (উপাচার্যকে অপসারণ) নিতে পারেন না।

    শনিবারই সরিয়ে দেওয়া হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। তাঁকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বুদ্ধদেব বলেন, “মুক্ত লাগছে। আমি আড়াই হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে লড়েছি।”

    আরও পড়ুুন: চেয়েছিলেন চাকরি, বদলে চাকরিপ্রার্থীদের কপালে জুটল জেল হেফাজত!

    এদিকে, সোমবার থেকে উপাচার্যহীন হতে চলেছে রাজ্যের ১০ বিশ্ববিদ্যালয়। ছ’ মাসের মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই উপাচার্যদের। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ, রবিবার। তাই ফাঁকা হচ্ছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চেয়ার। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজে ফের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে এডুকেশনিস্ট ফোরাম।  

    প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে রাজ্য ও রাজ্যপালের। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে একে অপরকে তোপ দাগতেও দেখা যায় প্রকাশ্যেই। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রবিবার। তাই সোমবার থেকে (Jadavpur University) উপাচার্যহীন হয়ে পড়ছে এই ১০ বিশ্ববিদ্যালয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadvapur University: ফের যাদবপুরে উঠল র‌্যাগিং-এর অভিযোগ, তদন্তের আশ্বাস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের

    Jadvapur University: ফের যাদবপুরে উঠল র‌্যাগিং-এর অভিযোগ, তদন্তের আশ্বাস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে তিন মাসের মাথায় ফের র‌্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadvapur University) মেন হস্টেলে। নাম গোপন রেখেই লিখিত নালিশ করলেন দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের এক পড়ুয়া। এই ঘটনা ঘিরে ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সিডি ব্লকে থাকতেন প্রথম বর্ষের স্নাতকোত্তরের ওই পড়ুয়া। ওই পড়ুয়ার তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া একটি চিঠি এদিন প্রকাশ্যে আসে। তাতে ওই ছাত্র অভিযোগ করেন যে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। হস্টেলে যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। এমনটাও জানিয়েছেন ওই ছাত্র। গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ইমেলের মাধ্যমে তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযোগ পত্রে কী লিখলেন ওই পড়ুয়া?

    অভিযোগ পত্রে ওই পড়ুয়া লেখেন, ‘‘হস্টেলে (Jadvapur University) যাওয়ার পর থেকে আমার উপর নানা ভাবে র‌্যাগিংয়ের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে যখন হস্টেলে মেস চালু হয়, তখন আমায় মেস কনভেনর করা হয়। কিন্তু, আমি নতুন (আবাসিক)। আমার সঙ্গে আরও এক জন মেস কনভেনরও নতুন। তাই মেস কমিটি যে ভাবে বাজার করতে বলে, সেই ভাবে বাজার করি। তা সত্ত্বেও গত ২৫ নভেম্বর সকালে বাজারের পর মাছের টুকরো কেন ছোট এবং ডাল কেন পাতলা হয়েছে, এই বলে আমাকে অকথ্য গালাগালি করা হয়।’’ এর পাশাপাশি ওই পড়ুয়া আরও অভিযোগ এনেছেন যে তাঁকে বাদ দিয়েই গভর্নিং বডির মিটিং ডাকা হয়। সেখানে বলা হয়, ওকে (অভিযোগকারী ছাত্র) একটু টাইট দিতে হবে। মেস কনভেনরের পদ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এবং তার পর তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পড়ুয়ার আরও অভিযোগ যে, তাঁকে দেখে নানা কটুক্তি এবং অঙ্গভঙ্গি করেন কয়েকজন আবাসিক। এতে তিনি নিরাপত্তার অভাবে (Jadvapur University) ভুগছেন। তাই হস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

    অগাস্ট র‌্যাগিং -এর ফলে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসের ৯ তারিখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। সে সময়ে ওঠে র‌্যাগিং-এর অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। যাদের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadvapur University) প্রাক্তনীও ছিলেন। মেন হোস্টেলে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল ওই প্রাক্তনীর। র‌্যাগিং-এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Jadavpur University: ‘‘আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর শিকার’! কেন বললেন যাদবপুরের উপাচার্য?

    Jadavpur University: ‘‘আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর শিকার’! কেন বললেন যাদবপুরের উপাচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রদের একাংশের অন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‌্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা রাজ্য। তারপরে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং ক্যাম্পাসে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিসিটিভি বসাতে উদ্যোগী হয় বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতায় সরব হয় ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। এবার সেই নিয়েই মুখ খুলতে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। পাশাপাশি বুদ্ধদেব সাউ এদিন আরও আশঙ্কা করেন যে কয়েকজন শিক্ষকও চাইছেন না তিনি উপাচার্য পদে থাকুন।

    কী বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য

    এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘আমারও পদত্যাগ দাবি করছেন অনেকে। অন্যায্য দাবি করছেন পড়ুয়ারা। আমি নিজেও র‌্যাগিং-এর  শিকার। কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দিচ্ছে না ছাত্রদের একাংশ। এর পিছনে সক্রিয় রয়েছে কোনও বড় মাথা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের একাংশের চাপ নিতে না পেরে ডিন অফ স্টুডেন্টস বর্তমানে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন।’’ ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘‘মাত্র কিছু ছাত্র ১৩ হাজার সংখ্যার মধ্যে যা খুবই নগণ্য। বারবার এসে অহেতুক ঝামেলা করছে। এদের মূল উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ঢোকানো। এগুলো আমার ন্যায্য দাবি বলে কখনও মনে হয়নি। এই নিয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত হওয়া উচিত। নয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নষ্ট হয়ে যাবে।’’ 

    সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

    অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) মোট ২৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলির পরিচালনার জন্য থাকবে একটি আলাদা সার্ভার রুমও। মোট ২১টি বুলেট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলি থাকবে গেটে। অন্যদিকে যে সমস্ত গাড়ি ক্যাম্পাসে আসবে এবং ক্যাম্পাস থেকে বের হবে সেগুলির ছবি তোলার জন্য থাকছে ছ’টি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা গুলি গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি তুলবে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার রুমে পাঠিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

    Jadavpur University: সিনিয়রদের ‘ক্রীতদাস’ হয়ে থাকতে হত! যাদবপুরে র‌্যাগিংয়ের ভয়াবহ চিত্র তদন্ত কমিটির রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট রাতে মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকে ভয়াবহ র‌্যাগিং করা হয়েছিল নদিয়া থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে। বাকি ব্লকগুলিতে অল্পবিস্তর র‌্যাগিং হলেও, এই ব্লকটি ছিল ছাত্রদের কাছে ত্রাস। প্রাণভয়ে এই হস্টেলে কখনও নজরদারি করতে আসতেন না স্বয়ং সুপারও।

    কী করতে হত ‘বাচ্চা’দের?

    রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৬ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত এই ব্লকের ৫৯, ১০৪, ১০৮, ১১০ এবং ১১৪ নম্বর রুমে ভয়াবহ র‌্যাগিংয়ের আসর বসে। হস্টেলের সিনিয়ররা জুনিয়রদের ‘বাচ্চা’ বলে ডাকেন। এই বাচ্চাদের সবসময় ফুল প্যান্ট পরতে হবে। ঘড়ি পরা চলবে না। চুলের ছাঁট হবে মিলিটারিদের মতো। সিনিয়রদের সামনে ফোনে কথা বলা যাবে না। সিনিয়রদের (Jadavpur University) জলের বোতল ভরে দেওয়া, খাবার কিনে আনা, মদ, বিড়ি, সিগারেট – যখন যা প্রয়োজন এনে দিতে হবে জুনিয়রদের। তাঁদের জামাকাপড় কেচে দিতে হবে। করে দিতে হবে পড়াশোনা সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্টও।

    নগ্ন হয়ে দেখাতে হবে নাচ 

    পরিচয় পর্বে জুনিয়রদের পার্শ্ববর্তী পুলিশ কোয়ার্টারের মহিলাদের উদ্দেশে বাংলায় গালিগালাজ করতে হবে। সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে নাচ দেখাতে হবে সিনিয়রদের। কাউকে আলমারির ওপর উঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কাউকে আবার দেওয়ালে ঘষতে হবে মুখ। খাটের তলা দিয়ে হামাগুড়ি দিতে হত কাউকে। কাউকে আবার দিতে হত ব্যাঙ-লাফ। পারফর্মেন্স খারাপ হলে বাড়ত র‌্যাগিংয়ের মাত্রা। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই ব্লককে ‘মোস্ট নটোরিয়াস’, ‘ফিয়ার-সাইকোসিস’আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের অভিযোগ, এই ব্লকটি ছিল ‘কালেক্টিভ’ নামে একটি ছাত্র সংগঠনের ডেরা।

    আরও পড়ুুন: পুরনো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশন! গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু নতুনের

    র‌্যাগিংয়ে যুক্ত পাসড আউট ৬জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে। হস্টেলে (Jadavpur University) ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক আরও ২৫ জন প্রাক্তনী ও বহিরাগতের। ইউজি তৃতীয় বর্ষের পাঁচজন পড়ুয়াকে চারটি সেমেস্টারের জন্য সাসপেন্ড এবং হস্টেল থেকে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। ১১ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে দুটি সেমেস্টারের জন্য ক্যাম্পাসে ও সারা জীবনের জন্য হস্টেল থেকে বহিষ্কার করা হোক। ১৫ জন পড়ুয়াকে একটি সেমেস্টার ও হস্টেল থেকে সারা জীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক। এ-২ ব্লকের মোট ৯৫ জন সিনিয়র পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে সারাজীবনের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share